Revenge,পর্ব ১০,১১

#Revenge,পর্ব ১০,১১
#Tisha_Khan_Nabila
১০
·
·
কথা বলতে বলতে আলো ঘুরে গেলো। আয়াশ যেন থমকে গেলো মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো..!!

——মিমিমিষ্টি..!!

আয়াশ দৌড়ে গিয়ে আলো কে জড়িয়ে ধরলো। এদিকে রুপ আর রায়া ও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে..!!

রুপঃ নাবিলা..!!

আলোঃ স্যার কি করছেন আপনি??

আয়াশ জড়িয়ে ধরা অবস্থাতেই বললো..!!

——মিষ্টি তুমি কোথায় ছিলে??

আলোঃ স্যার কে মিষ্টি?? আর আপনি কি করছেন?? প্লিজ ছাড়ুন আমাকে..!!

আয়াশঃ না আমি তোমাকে ছাড়বো না..!!

আলোর মেজাজ এমনিতেই গরম। আয়াশ কে বারবার ছাড়তে বলছে। আয়াশ ছাড়ছে না আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরছে। আলো রেগে আয়াশ কে ছাড়িয়ে। ঠাস করে একটা থাপ্পর মারলো। আয়াশ অবাক হয়ে গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছে..!!

আলোঃ কি মনে করেন হ্যা নিজেকে?? আর আমাকেই বা আপনি কি মনে করেন?? আমি আপনার ওই ক্যারেক্টারলেস জিএফদের মতে?? আপনার সাহস হলো কি করে?? আমাকে জড়িয়ে ধরার?? নাকি আজ আমাকে দেখতে ভাল লাগছে বলে?? ওয়েল এটাই হবে রাইট স্যার?? এতদিন যেন কি বলতেন?? ইয়া মনে পড়েছে মিস কালো। আপনার একটা কথা ভুল ছিলো স্যার। আমি মিস না আমি মিসেস। এন্ড ডোন্ট ট্রাই টু টাচ মি এগেইন..!!

আয়াশঃ মিষ্টি তুমি এসব কি বলছো??

আলোঃ আজব কে মিষ্টি হ্যা?? আমি মিসেস আলো রায়জাদা ওকে??

আয়াশঃ না তুমি মিসেস তিশা খাঁন নাবিলা..!!

আলোঃ হোয়াট ননসেন্স?? মাএ বললেন মিষ্টি এখন আবার বলছেন। এনিওয়ে স্যার আই থিংক আপনার মাথা গিয়েছে। আমি কোনো মিষ্টি বা নাবিলা নই। আমি আলো এন্ড আলোই থাকবো..!!

আয়াশঃ আমি বলেছি না তুমি মিষ্টি। সো তুমি আমার মিষ্টি..!!

আলোঃ আপনি বললেই তো আর হবেনা..!!

বলে আলো চলে যেতে গেলো। ওমনি আয়াশ আলোর হাত ধরলো..!!

আলোঃ আরে আপনি কি করছেন?? বলছি তো আমি আলো লিভ মি..!!

রুপঃ নাবিলা মিথ্যে বলছিস??

আলো এবার ভ্রু কুঁচকে বললো..!!

——রুপ তুমিও এটা বলছো??

আয়াশঃ হ্যা কারন আমি ঠিক বলছি তুমি মিষ্টি..!!

আলোঃ আপনি কিন্তুু এবার বাড়াবাড়ি করছেন..!!

রায়া এগিয়ে এসে বললো..!!

——বেবী ও তো বলছে ও আলো..!!

আয়াশঃ ইউ জাস্ট সাট আপ..!!

আয়াশ আলো কে টেনে। পুল থেকে নিয়ে এলো..!!

আলোঃ স্যার ছাড়ুন আমাকে..!!

আয়াশঃ তুমি আমার সাথে বাড়ি যাবে..!!






আলো এক ঝটকায় হাত সরিয়ে ফেললো..!!

আলোঃ বাড়ি আমি যাবো। তবে আমার বাড়ি..!!

——মাম্মা..!!

মাম্মা শুনে আলো পিছনে তাকালো। অংশ মুখটা মলিন করে দাড়িয়ে আছে। আলোর বুকটা ছ্যাত করে উঠলো। দৌড়ে গিয়ে অংশ কে কোলে নিলো। সারামুখে চুমু খেয়ে বললো..!!

——কি হয়েছে সোনা?? তুমি মুখটা মলিন করে আছো কেন??

অংশঃ মাম্মা পাপা কাঁদছে..!!

আলোঃ হোয়াট?? কোথায় তোমার পাপা??

অংশঃ গাড়িতে..!!

আলো যেতে গেলো আয়াশ হাত ধরে ফেললো..!!

আলোঃ আমার হাতটা ছাড়ুন..!!

আয়াশঃ অংশ কার ছেলে মিষ্টি??

আলোঃ ফার্স্ট অফ অল আমি আলো। এন্ড সেকেন্ড অংশ আমার ছেলে..!!

আয়াশঃ ওর পাপা কে??

আলো এক মুহূর্ত দেরী না করে বললো..!!

——ওর পাপা রিশান রায়জাদা..!!

আয়াশঃ মিথ্যে কথা ওর পাপা আমি..!!

আলো এবার চেঁচিয়ে বললো..!!

——ব্যাস এনাফ মিস্টার খাঁন। অনেক সহ্য করে নিয়েছি আমি। আর একটা বাজে কথাও আপনি বলবেন না। ৫বছর আগে নিজের ওয়াইফ কে মেরে। এখন আমাকে নিয়ে নাটক করছেন?? লিসেন টু মি ভেরী কেয়ারফুলি। আই এম মিসেস আলো রায়জাদা। ওয়াইফ অফ মিস্টার রিশান রায়জাদা। আর অংশ আমার ছেলে ওকে??

বলে আলো অংশ কে নিয়ে চলে গেলো। গিয়ে গাড়িতে বসলো আয়াশ ও এলো এসে শুনতে পেলো..!!

——রিশান ইউ ট্রাস্ট মি না??

রিশানঃ অফকোর্স আই ট্রাস্ট ইউ জান..!!

আলোঃ দ্যাটস এনাফ ফর মি..!!

রিশানঃ যাওয়া যাক??

আলোঃ হামমমম..!!

আয়াশ অন্যদিকে ফিরে দাড়ানো। আয়াশ কিস করার শব্দ পেলো। এরপর ওদের গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে গেলো। আয়াশ হাত মুঠ করে আছে। চোখদুটো রক্তের মতো লাল হয়ে গিয়েছে। রাগে শরীর জ্বলে যাচ্ছে আয়াশ গাড়ি নিয়ে বাড়ি চলে এলো। তারআগে কাউকে ফোন করলো। রুমে গিয়ে ইচ্ছেমতো সব ভাঙচুর করছে। ভাঙচুরের শব্দতে রাইমা খাঁন এলো..!!

রাইমা খাঁনঃ আয়াশ কি করছো তুমি??

আয়াশঃ চলে যান এখান থেকে..!!

রাইমা খাঁনঃ বাট হয়েছে কি??

আয়াশ ল্যাপটপ ফেলে চেঁচিয়ে বললো..!!

——যান জাস্ট গো..!!






রাইমা খাঁন আয়াশের রাগ জানে। তাই উনি চলে গেলো আয়াশ দেয়ালে। নিজের হাত ইচ্ছেমতো ঘুষি দিচ্ছে..!!

আয়াশঃ এটা কি করে হতে পারে??

আয়াশ মিষ্টি বলে চিৎকার করলো। বাড়ির সবাই কেঁপে উঠলো। এদিকে আলো বাড়ি গিয়ে পৌছালো..!!

রিশানঃ তুমি তো ভিজে গিয়েছো..!!

আলোঃ হামমমম..!!

রিশানঃ ওকে তুমি যাও আমি চ্যাম্প কে নিয়ে আসছি..!!

আলোঃ ওকে স্বামী জ্বি..!!

রিশান ফিক করে হেসে দিলো। সাথে আলো ও আলো ভ্রু কুঁচকে বললো..!!

——এই ছেলেটা কে নিয়ে হয়েছে ঝামেলা..!!

রিশানঃ কেন আমার ছেলে কি করলো??

আলোঃ কি করেনি তোমার ছেলে??

রিশানঃ কি করেছে??

আলোঃ কোথাও গেলেই ঘুমিয়ে পড়ে..!!

রিশানঃ তো ঘুম পেলে ঘুমাবে না??

আলোঃ এখন একে কোলে নাও..!!

বলে আলো চলে গেলো। রিশান মুচকি হেসে অংশ কে কোলে নিয়ে। বাড়ির ভেতরে চলে এলো। রুমে গিয়ে অংশ কে শুইয়ে অংশর কপালে। চুমু দিয়ে এসি অন করে দিলো। এরপর নিজেও ফ্রেশ হয়ে নিলো। আলো ফ্রেশ হয়ে কিচেনে গেলো..!!

সার্ভেন্টঃ ম্যাম আপনি??

আলোঃ হামম কেন??

সার্ভেন্টঃ আপনি কেন এলেন?? স্যার দেখলে আমাদের চাকরি থাকবে না..!!

আলোঃ তোমাদের স্যার রুমে আছে..!!

এরমাঝে রিশান আলো বলে ডাকলো। আলো উপরে চলে গেলো..!!

২দিন পর আলো হসপিটালে এলো। আলো হসপিটালে ঢুকতেই সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। আজকে আলো কে সম্পূর্ণ অন্যরকম লাগছে। ফর্সা গায়ের রং ব্লাক শার্ট পড়া। ব্লাক জিন্স প্যান্ট ব্লাক শুজ। হাতে ব্লাক কালার ওয়াচ চুলগুলো ছাড়া। ঠোটে হালকা লাল লিপস্টিক। ঠোটের কোনায় ছোট্ট একটা তিল। আয়াশ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আলো কারো দিকে না তাকিয়ে নিজের কেবিনে গেলো..!!
·
·
·
চলবে………….

#Revenge (পর্ব ১১)
#Tisha_Khan_Nabila
·
·
·
আলো কারো দিকে না তাকিয়ে। সোজা নিজের কেবিনে চলে গেলো। আয়াশ আলোর কেবিনে গেলো..!!

আলোঃ আপনি এখানে??

আয়াশঃ মিষ্টি প্লিজ এমন করো না..!!

আলোঃ উফ কতবার বলবো?? যে আমি মিষ্টি না..!!

আয়াশঃ তুমি মিষ্টি না?? তাহলে বলো দুটো মানুষের চেহারা। হুবহু কি করে মিলতে পারে??

আলোঃ আমি জানিনা বাট আমি আলো..!!

আয়াশঃ মিষ্টি এসব কেন করছো??

আলোঃ আমি আলো স্যার..!!

রেগে গিয়ে বললো আলো। আয়াশ একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললো..!!

——তুমি আলো না তুমি মিষ্টি। কিন্তুু নিজেকে কেন আড়াল করছো?? ওহ আমার উপর রাগ করে। হামম তোমার রাগ জায়েজ আছে। আমি দিনের পর দিন যা করেছি। তোমার উপর যেই টর্চার করেছি। এরপর তো মেরেই ফেলতে চেয়েছিলাম। বাট আমি সত্যি জানিনা কেন এটা করেছি?? কেন আমি তোমাকে ফেলে দিয়েছিলাম। আই রিয়েলি ডোন্ট নো। কি হয়েছিলো সেদিন আমার?? সকাল থেকে সবকিছু বিষাদ লাগছিলো। মনে হয়েছিলো সবকিছু শেষ করে দেই। সেদিন আমি তোমাকে খুজেছিলাম ও। আর তোমার মতো ড্রেস পড়া একজন কে পাই। এতটা উন্মাদ লাগছিলো নিজেকে তাকেই আমি। তুমি ভেবে হসপিটালে নিয়ে আসি। ডক্টর বলে মেয়েটা মারা গিয়েছে। মেয়েটার মুখ এমনকি শরীর ও থেতলে গিয়েছিলো। তাই সবাই মনে করে ওটা তুমি। আমিও প্রথমে ভেবেছিলাম ওটা তুমি। বাট পরে আমার মন বলছিলো ওটা তুমি না। তুমি বেঁচে আছো আর আমি ঠিক তোমাকে পাবো। পেয়েছি ও প্লিজ মিষ্টি একবার বলো। তুমি আমার মিষ্টি আর অংশ আমার ছেলে..!!

আলোঃ আমি আলো অংশ আমার ছেলে..!!

আয়াশঃ হামমম তোমার আর আমার ছেলে..!!

আলোঃ আপনি এরকম ডিস্টার্ব করলে। আমি এই হসপিটাল থেকে চলে যাবো..!!

আয়াশ অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো..!!

——নো তোমার যেতে হবে না..!!

আলোঃ তাহলে আপনি চলে যান..!!

আয়াশ কেবিন থেকে বেরিয়ে চলে এলো। আলো নিজের কাজে মন দিলো। এরমাঝে আয়াশের কেবিনে সেই লোকটা এলো। সেদিন আয়াশ যাকে ইনসাল্ট করে বের করেছিলো। বয়স্ক লোকটা কে দেখে আয়াশ বললো..!!

——চাচা আপনি??

লোকটাঃ হামম বাবা চলে এলাম..!!

আয়াশঃ হঠাৎ সব ঠিক আছে তো??

লোকটাঃ হামম সব ঠিক আছে..!!

এরপর লোকটা একটা বক্স দিয়ে বললো..!!

——এটা তোমাকে আমার বউ দিলো। তুমি আমাদের জন্য যা করেছো। সেটা কোনো আপন মানুষ ও করে না..!!

আয়াশঃ এতে কি আছে চাচা??

লোকটাঃ আজ আমার ছেলের জন্মদিন। তাই পায়েস করেছে সেটাই নিয়ে এলাম। জানি তুমি অনেক বড়লোক এটা পছন্দ নাও হতে পারে..!!

আয়াশঃ কে বললো হবে না??

বলে আয়াশ বক্সটা খুলে। পাশে থাকা চামচ নিয়ে খেতে শুরু করলো..!!

আয়াশঃ ওয়াও চাচা এটার টেস্ট অনেক ভাল হয়েছে..!!






লোকটার চোখ ছলছল করছে..!!

আয়াশঃ সবাই কেমন আছে??

লোকটাঃ খুব ভাল আছে..!!

আয়াশঃ আপনি এখন সুস্থ??

লোকটাঃ হ্যা বাবা..!!

আয়াশ ওয়ালেট থেকে কিছু টাকা বের করে। লোকটা কে দিয়ে মুচকি হেসে বললো..!!

——আপনার ছেলের জন্য গিফট কিনবেন..!!

লোকটাঃ এত টাকা??

আয়াশঃ বাকীটা সংসারের কাজে লাগাবেন..!!

লোকটাঃ তুমি সত্যিই খুব ভাল বাবা..!!

আয়াশঃ ওকে অনেক প্রশংসা হয়েছে। চাচী কে গিয়ে বলবেন খুব তাড়াতাড়ি। আমি আবার আপনাদের বাড়ি যাবো..!!

লোকটাঃ সত্যি তুমি আসবে??

আয়াশঃ হামমম একদম সত্যি..!!

লোকটাঃ অবশ্যই বলবো..!!

লোকটা বেরিয়ে চলে গেলো। আয়াশ উঠে গিয়ে থাই গ্লাস ধরে দাড়ালো আর ভাবতে লাগলো..!!

লোকটা সেদিন বেরিয়ে যাওয়ার পর। আয়াশ ও হসপিটাল থেকে বেরিয়ে যায়। লোকটা কে খুজতে থাকে আর পেয়েও যায়..!!

আয়াশঃ চাচা..!!

লোকটাঃ আপনি??

আয়াশঃ চাচা আই এম সরি। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি একচুয়েলি একটা কারনে ওরকম করেছি। আমি করবো আপনার ট্রিটমেন্ট। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিন..!!

লোকটা কান্না করে দিয়ে বলে..!!

——আপনি বড়লোক স্যার। আমার মতো গরীব মানুষের কাছে। আপনি কেন ক্ষমা চাইছেন??

আয়াশঃ চাচা প্লিজ আমি আপনার ছেলের মতো। আমি যা করেছি ঠিক করিনি জানি। বিশ্বাস করুন আমি চাইনা কাউকে কষ্ট দিতে। কিন্তুু আয়াশের অস্তিত্বটা বাঁচিয়ে রাখছি শুধু। একটা কারনে এমন করেছি সেটা বলতে পারবো না। বাট আমি সত্যি দুঃখিত চাচা..!!

লোকটাঃ আমি ক্ষমা না করলে কি হতো?? আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে ছোট করছেন কেন??

আয়াশঃ ক্ষমা চাইলে কেউ ছোট হয়ে যায় না চাচা। এতটা অমানুষ এখনো হতে পারিনি। যে কাউকে কষ্ট দিয়ে ক্ষমা চাইবো না। হ্যা ইচ্ছে করে কষ্ট দেই জানি। বাট আমি নিরুপায় চাচা..!!

এরমাঝে লোকটার ফোন আসে। লোকটা হতবাক হয়ে কান্না করে তাড়াতাড়ি হাটে..!!

আয়াশঃ চাচা কি হলো??

লোকটাঃ আমার বউ খুব অসুস্থ যেতে হবে..!!

আয়াশঃ চাচা আপনি ওয়েট করুন ওকে??

বলে আয়াশ গিয়ে গাড়ি নিয়ে আসে..!!

আয়াশঃ চাচা আপনি আসুন। আমি আপনাকে নিয়ে যাবো..!!

লোকটা উঠে আসে তাড়াতাড়ি। আয়াশ গাড়ি ড্রাইভ করছে। লোকটাকেও সান্তনা দিচ্ছে। একটা জায়গায় গিয়ে লোকটা গাড়ি থামাতে বলে। আয়াশ তাকিয়ে দেখে এটা বস্তি। লোকটা গাড়ি থেকে নেমে যায়। আয়াশ ও পিছনে পিছনে যায়। সেদিন আয়াশ ওনার ওয়াইফ কে হসপিটালে এডমিট করে। তবে অন্য হসপিটালে আর টাকাও দিয়ে আসে। বস্তি থেকে ওনাদের ফ্লাট বাসায় নিয়ে যায়। যাবতীয় খরচ সবটাই আয়াশ দেয়..!!

বিকেলে আয়াশ বাড়ি চলে আসে। আলো আগেই চলে গিয়েছে। আয়াশ রুমে বসে ভাবছে কি করে। আলো কে দিয়ে কনভেন্স করাবে। যে ও আলো ওর মিষ্টি আর আইডিয়া পেয়েও যায়..!!

আয়াশঃ এবার তোমার সত্যিটা বলতে হবে..!!

পরেরদিন নিজের কেবিনে বসে আছে আবির। আবিরের কেবিনে নাবিলার একটা ছবি। আবির ছবিটার দিকে তাকিয়ে আছে। চেয়ার থেকে উঠে ছবিটার কাছে গেলো। ছবিটাতে হাত বুলাতে বুলাতে বললো..!!

——এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে গেলি?? আমরা তোকে ছাড়া ভাল নেই সোনা। তুই ও নেই মাহি ও নেই সবটা শেষ হয়ে গেলো। মাহি কবে ফিরবে কি ফিরবে না জানিনা..!!






ফোনের রিংটোন বাজছে আবির ফোন ধরলো..!!

আবিরঃ হ্যালো মাম্মা..!!

কনিকা চৌধুরীঃ আবির তুই আসবি কখন??

আবিরঃ বিকেলে কেন??

কনিকা চৌধুরীঃ মাহি ফোন করেছিলো..!!

আবিরঃ সত্যি বলছো??

কনিকা চৌধুরীঃ হ্যা রে ও আজকে আসছে..!!

আবিরঃ মাম্মা আমি এখনি আসছি..!!

আবির ফোন কেটে দিলো। অন্তত একটা বোনকে তো পাবে কাছে। আবির বেরিয়ে গাড়ির কাছে আসে। হঠাৎ কয়েকজন লোক আসে সেখানে। একজন এসেই আবিরের মাথায় পিস্তল ধরে..!!

আবিরঃ হোয়াট দ্যা হেল?? কারা তোমরা??

একজন লোক বলে ওঠে..!!

——চুপচাপ থাকুন নয়তো গুলি করে দেবো..!!

আলো ওটি থেকে বেরিয়ে। নিজের কেবিনে যেতে গেলেই আয়াশ আসে..!!

আলোঃ আপনি??

আয়াশঃ তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে..!!

আলোঃ আপনার সারপ্রাইজ আপনি রাখুন..!!

বলে যেতে গেলেই আয়াশ বলে..!!

——আবির ভাইয়া কে বাঁচাতে চাও??

ওমনি আলো থেমে যায়..!!

আলোঃ কেকে আআবির??

আয়াশ বাঁকা হেসে ফোন বের করে। আলোর সামনে একটা ভিডিও প্লে করে। আবির কে কয়েকটা লোক ধরে রেখেছে। আর একজন মাথায় পিস্তল ধরে রেখেছে। আলো ঘামতে থাকে এটা দেখে..!!

আয়াশঃ সত্যিটা বলো যে তুমি আলো না..!!

আলো আয়াশ কে নিয়ে বাইরে চলে আসে। এরপর আয়াশের কলার ধরে বলে..!!

——কি জানতে চাও তুমি?? এটাইতো যে আমি নাবিলা কি না?? তাহলে শোনো হ্যা আমি নাবিলা। কোনো আলো নই আমি আর অংশ?? অংশ তোমার ছলনার ফসল..!!

বলে ধাক্কা মারে আয়াশ কে। আয়াশ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে এটা শুনে। অংশ তোমার ছলনার ফসল। তবে আজকে ও খুশি ওর মিষ্টি কে পেয়ে। নাবিলা কে ধরতে গেলেই বলে..!!

——এবার আমার ভাইয়া কে ছেড়ে দাও..!!

আয়াশঃ অংশ কে নিয়ে আমার সাথে যাবে। দ্যান তোমার ভাইয়া কে ছাড়বো..!!

নাবিলাঃ আয়াশ..!!

আয়াশঃ ডোন্ট সাউন্ড যা বলছি তা করো..!!

বিকেল ৫টা অংশ কে নিয়ে। খাঁন বাড়িতে আসে নাবিলা। ৫বছর পর আবার পা রাখলো এই বাড়ি। বাড়ি ঢুকেই নাবিলা মনে মনে বলে..!!

——৫ বছর আগে বিয়ে করে এনে। আমাকে বলেছিলে ওয়েলকাম মাই হেল। অনেক অন্যায় করেছো আয়াশ। রিভেন্জ নিতে বিয়ে করেছিলে। রিভেন্জ নেয়ার খুব শখ না তোমার?? আর আমাকে তোমার হেলে ওয়েলকাম করেছিলে তাইনা?? এবার দেখবে রিভেন্জ কাকে বলে। আর তোমার হেলে থেকে। তোমার লাইফ আমি হেল করবো। তোমার এক একটা দিন আমি হেলে পরিনত করবো। তোমার রাতের ঘুম আমি হারাম করে দেবো। এটা আমার প্রমিস মিস্টার খাঁন..!!
·
·
·
চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here