শূন্যতা,২য় পর্ব
লেখাঃ- Rafsan Sydul
ডাঃ মনির হেসে ডাঃ রুহুল এর কথা ফিরিয়ে দিয়ে বললো. “সাইন্স এর জগতে দৈব শক্তিতে বিশ্বাস করেন মিঃ রুহুল?”
ডাক্তাররা নবজাতক শিশুটির ডিএনএ টেস্ট করে কোনো রেজাল্ট পাচ্ছে না, তারা যে ডিএনএ পাচ্ছে সেটা তার পরিবারের কোনো মানুষের সাথে ম্যাচিং হচ্ছে না।বরং সেটা কোনো মানুষের ডিএনএ ই না.
ডাঃ মনির চিন্তিত এ বিষয় নিয়ে। তার ডাক্তারি পেশাগত জীবনে এমন আর কোনো ঘটনা দেখেনি। বিস্ময়কর ঘটনা যেটা সবার মনেই আতংক সৃষ্ট করছে।
নারীর ডিম্বাণু পুরুষের শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়েই একটা জীবন সৃষ্টি হয়, আর তাতে স্বাভাবিক ভাবে বংশের পরিচয় চেনার জন্য মায়ের ডিএনএ এর সাথে ৯৯.৯% মিল থাকবে, কিন্ত ওই মেয়েটার ডিএনএ তো অন্য কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। ডাঃ মনির বিষয়টা আরো একটু গভীরে গিয়ে গবেষণা করতে চায় তাই সে ডাঃ রুহুল আমিন কে আমন্ত্রণ জানায় তার সাহায্য করতে, আমেরিকান নাগরিকত্ব পেয়েছে ডাঃ রুহুল আমিন, ডাক্তারি পেশার পাশাপাশি ধার্মিক নিয়মাবলী পালন করে, মেনেও থাকে। তার গুরু একজন চাইনিজ। যার কাছ থেকে কিছু কালোযাদু সম্পর্কিত ধারণা নিয়েছিলেন। ডাঃ মনির এবং ডাঃ রুহুল বেস্ট ফ্রেন্ড তাই ডাঃ মনির এর কথা ফেলতে পারেনি কথা দিয়েছে সে আসবে।
মিসেস মাহিম তার বংশ প্রদীপ তার একমাত্র কন্যার নামকরণে গ্রামের সবাইকে দাওয়াতে আমন্ত্রণ করে তার মেয়ের নামকরণ হলো। “সুভাষিণী”
“সুভ্র & সুহাস” দুই ছেলের নাম অনুযায়ী এ নাম রাখলো মিসেস মাহিম এর পিতা। তার নাতনীর চেহারায় তার হারিয়ে যাওয়া নাতিদের মুখ দেখতে পায় সে। পনেরো দিনে সুভাষিণীর শারীরিক গঠন একজন ছয়মাস বয়সী কন্যার গঠন অনুযায়ী হয়ে গেলো। পরিবারের সকলে সেটাকে উপরওয়ালার দান মনে করে। কিন্তু মাহিম এবং তার স্ত্রী বুঝতে পারে তার মেয়ের মধ্যে শয়তানী শক্তি ভর করে আছে, যে কারনে সুভাষিণীর এমন অবস্থা। দুধে আলতা শরীর তার, চুলগুলো সাদা সাদা, এক কাল্পনিক পরীর মত মেয়েটা। মাঝে মাঝে ঠোঁটের কোণের তিলটা জ্বলজ্বল করে জ্বলে উঠে।
সারাদিন ব্যস্ততায় কেটে যায় তাদের। রাত যত গভীর হতে থাকে নিস্তব্ধতা আপন করে নেয় সুভাষিণীকে। ক্লান্ত শরীর নিয়ে সুভাষিণীর মা-বাবা ঘুমিয়ে পড়ে, আর সুভাষিণী দু’পায়ে দাঁড়াতে পারেনা, পাড়ার কথাও না। কে যেন তাকে পাশের রুমে নিয়ে গেলো। খিট খিট করে হাসার শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠে মাহিম। পাশে তাকিয়ে দেখে দোলনা ঝুলছে, সুভাষিণী নেই। আতংক সৃষ্টি হয় তার মনে। স্ত্রীকে জাগিয়ে তোলে সে।
ঘুম ঘুম কণ্ঠে বললো “এই কি হলো.? এতরাতে জাগালে কেনো.?”
ভয়ার্ত কণ্ঠে মাহিম উত্তর দিল “সুভাষিণী দোলানায় নেই”
তখনি পাশের রুম থেকে গড় গড় শব্দে অস্পষ্ট ভাবে শুনতে পেলো তারা,
“ওই শুভ্র দেখ সুভাষিণী আমার মত হয়েছে আমার মত নীল চোখ দুটো ওর দেখ”
“তুই বললেই হলো সুভাষিণী আমার মত হয়েছে, ঠোঁটের কোণে লাল তিলটা দেখেছিস একদম আমার মত”
তার মাঝে সুভাষিণীর ছোট্ট মুখে খিল খিলিয়ে হাসির শব্দ আর গড় গড় শব্দ করে কথা বলছে তারা। এক ভয়ংকর মুহূর্তের সৃষ্টি।
মাহিম তার স্ত্রী দু’জন একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে ভীরু পায়ে পাশের রুমের দরজা খুলতেই দেখে ‘মুণ্ডু ছাড়া দুটি দেহ সুভাষিণীর সাথে খেলা করছে’, মাহিম এর পায়ের শব্দে সুভাষিণী তার সামনের বড় বড় দুটো দাত বের করে হাসি দিচ্ছে, রক্তমাখা দাত দুটোতে, বীভৎস অবস্থা দেখে মাহিম ও তার স্ত্রী প্রচণ্ড জোরাল গলায় চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
বাসার সবাই তাদের চিৎকার শুনে জেগে উঠে, আর তাড়াতাড়ি করে এসে তাদের সামলে নেয়। ঘণ্টা দুই পরে তাদের জ্ঞান ফিরতেই বলা শুরু করে
“সুভাষিণী মানুষ না ডাইনি, ও সবাইকে মেরে ফেলবে সবাইকে কাউকে বাঁচতে দিবেনা কাউকে না” ভয়ার্ত কণ্ঠে বললো মাহিম এর স্ত্রী রুবিনা।
রুবিনার আম্মু রুবিনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে “কি বলিস এসব.? কেউ কি কারো নিজের মেয়ের নামে এমন কথা বলে”
“না মা আমি সত্যি বলছি ওই যে ওইখানে সুভাষিণী বসে রক্ত খাচ্ছিলো বিশ্বাস না হলে তুমি ওর দাত দেখ, বুঝতে পারবে” কথা গুলো বলছে রুবিনা তখনো ওর হাত পা থরথর করে কাঁপছে, রুবিনার আম্মু এক গাল হেসে বললো “রুবিনা তুই হয়তো দুঃস্বপ্ন দেখেছিস, তাই এমন বলছিস ওই দেখ সুভাষিণী কি সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে ওর জায়গাতে।”
রুবিনা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সুভাষিণীর দিকে, কত ত্যাগ এর বিনিময়ে পেয়েছে ওকে আর ওর এমন অবস্থা সহ্য হচ্ছেনা ওদের।
ঘুমন্ত সুভাষিণীর মুখের দিকে তাকিয়ে রুবিনা দু’চোখের জ্বল আটকিয়ে রাখতে পারলোনা। কেঁদে দিয়েছে সে তার মেয়ে। মাহিমের চোখ ছলছল করছে। রুবিনা সুভাষিণীর কাছে গিয়ে আলতো করে সুভাষিণীর কপালে চুমু দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে আর বলছে, “তুই আমার চোখের মানিক শোনাপাখি তোর এমন কষ্ট সহ্য হয়না রে। ভয় করে খুব বেশি, তোর জন্য নিজের রক্তে মাংসে গড়া দুটো ছেলেকে বলি দান করেছি, কতবড় ত্যাগ শুধু একজন মা ই বুঝতে পারবে।” রুবিনার চোখের জ্বলে সুভাষিণীর কপাল ভিজে গেছে। বুকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে থাকে রুবিনা। পাগলের মত আদর করে রুবিনা সুভাষিণীকে।
সেদিনের পর থেকে প্রায় একমাস কোনো ঝামেলা ছাড়াই কেটে যায়, রুবিনা আর মাহিম ভাবা শুরু করে তাদের বিপদ কেটে গিয়েছে। কিন্তু তারা সামনে আশা বিপদের কথা একটুও চিন্তা করতে পারেনি।
ডাঃ মনির হেসে ডাঃ রুহুল এর কথা ফিরিয়ে দিয়ে বললো. সাইন্স এর জগতে দৈবীক শক্তিতে বিশ্বাস করেন মিঃ রুহুল.
মনির এর কথা শুনে ডাঃ রুহুল বললো “ডাঃ ম্যাকডোগাল ডানকান ” তিনি ১৯০১ সালে সে মৃত্যু নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে দেখে মানুষের দেহ থেকে ২১ গ্রাম কমে যায়। এই ২১ গ্রাম আত্মার, তার মতে।”
কতগুলো জীবন আমরা পাই? কতবার আমরা মারা যাই?
যখন আমরা মারা যাই, তখন ঠিক ২১ গ্রাম হারাই।
কী থাকে ওই ২১ গ্রামের মধ্যে? কী হারাই আমরা? কিংবা কী অর্জন করি?
এগুলোর উত্তর কি আজও সাইন্স দিতে পারছে? সৃষ্টিকর্তা এ জগতের বাহিরেও কতকিছু সৃষ্টি করে রেখেছে তা একমাত্র তিনি ই জানেন। আর তুমি তো নিজেই ওই মেয়েটার সকল রিপোর্ট দেখেছো, অদ্ভুত লেগেছে তোমার তাই তো আমার সাথে শেয়ার করেছো। তুমিও মনে মনে এসব বিশ্বাস করো কিন্তু সাইন্স এর জুগে এসব বিশ্বাসী মানুষ গুলোকে অদ্ভুত চোখে দেখা হয় সেই ভয়ে প্রকাশ করো না।
এ কথার চেয়ে চল আমরা ওই অদ্ভুত মেয়েটাকে দেখে আসি।” ডাঃ মনির, রুহুল এর কথার উত্তর দিতে পারলো না, বেড়িয়ে পড়লো মাহিম এর বাসার উদ্দেশ্যে।
রুবিনা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দেখে সুভাষিণীর চুলগুলো কালো হয়ে আসছে. আবছা কালসে রং পড়েছে ওর চুলে, কেন যেন মনের খুশির পরিমাণ বেড়ে যায় তার। এখন আর কেউ বলতে পারবে না সুভাষিণী অদ্ভুত, সাধারণ একটা মেয়ের মত বাঁচতে পারবে সবার মাঝে, পাগলের মত খুসি হয়ে মাহিমকে সারা বাসা খুঁজে বের করে বললো কথাটা। রুবিনার মা-বাবা ও খুশি, হৈ চৈ বেধে গেলো বাসার ভিতরে। তার মাঝে গুঙিয়ে গুঙিয়ে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলো রুবিনা। শুধু রুবিনা ই এ কান্নার শব্দ পাচ্ছে আর কেউ না। ভোর দুপুরে কে কান্না করবে, ভ্রুক্ষেপ দিলো না রুবিনা। কিছুক্ষণ পরে আবারো শুনতে পাচ্ছে কান্নার আওয়াজ, রুবিনা মাহিমকে ডেকে বললো, “এই তুমি কি কিছু শব্দ পাচ্ছ.? গুঙিয়ে কান্নার শব্দ.?”
মাহিম উত্তর দিল “না আমি তো কিছুর শব্দ পাচ্ছিনা। তুমি ক্লান্ত তাই হয়তো এমন হচ্ছে চলো রুমে বিশ্রাম নিবে” বলেই মাহিম রুবিনাকে নিয়ে রুমের মধ্যে নিয়ে শুইয়ে দেয়। “তুমি বিশ্রাম নেও আমি বাকি কাজ গুলো দেখছি” বলেই মাহিম রুম ত্যাগ করে, মাহিম চলে যাওয়ার সাথে সাথে রুমের দরজা হঠাৎ ই আটকে যায়, ভিতর থেকে লক হয়ে গেছে। রুবিনা সেগুলো দেখে চিৎকার করতে গিয়েও পারলো না, কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। রুমের মধ্যে বীভৎস কণ্ঠে গড় গড় শব্দে কান্নার আওয়াজে থমকে গেছে সময়।রুবিনার কান দুটো ফেটে যাচ্ছে কান্নার আওয়াজে।
পুরো শরীর প্যারালাইজড। একটুও নড়াচড়া করতে পারছিলো না রুবিনা, দেয়াল ফেটে কথাগুলো রুবিনার হৃদয় ফুটো হয়ে যাচ্ছে, চোখের সামনে বলি দেওয়া ছেলে দুটো, গলার উপর কাটা দাগ, সেখান থেকে তাজা রক্ত ঝড়ছে, আর বলছে “কি দোষ ছিল আমাদের.? তোমার একটা মেয়ের জন্য আমাদের হত্যা করতে তোমার হৃদয়ে একটু বাধলো না মা.? কেমন মা তুমি.? দশমাস দশদিন গর্ভে ধরে সেই ছেলেদের হত্যা করেছো শুধু বংশ রক্ষা করার জন্য.? যদি সেই বংশই না থাকে তাহলে.? বংশ রক্ষক সুভাষিণী এর শরীরে তো তোমার রক্ত ও নেই। সব পাল্টে ফেলেছি। নতুন কোনো অজানা কিছুর জন্ম হয়েছে ওর শরীরে। বীভৎস হাসি হাসছে ওরা। রুবিনার চোখ ফেটে রক্ত বের হচ্ছে, এমন সময় ওরা আবারো বললো, “তুমি আমাদের জন্মের সময় প্রচুর কষ্ট পেয়েছো প্রচুর, বুঝতে পেরেছি এখন, আমাদের এখন কিছুই অজানা নয়। এত সহজে মৃত্যু তোমার হবেনা, মা।
“ওই তুই ওরে মা বলিস ক্যান.? যে তার গর্ভে রাখা ছেলেদের বলি দিতে পারে সে কখনো মা হতে পারেনা। রাক্ষসী ও রাক্ষসী বল” অন্য ভাইয়ের গলা কাটা দেহটা কথাটা বলে আবার বীভৎস হাসি, হেসে বাতাসের সাথে মিলিয়ে গেছে, রুবিনার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে, চোখ ফেটে রক্ত গুলো একা একাই শুকিয়ে মুখের চামড়ার সাথে মিশে গেছে। প্যারালাইজড দেহ স্বাভাবিক হয়ে গেছে, বিছানা থেকে নেমে রুবিনা দৌরে গিয়ে প্রায় এক মগ পানি খেয়ে ফেললো।
রুবিনা এমন কাজ করেছে যেটা কারো কাছেই বলতে পারছে না ও।
ডাঃ মনির এবং ডাঃ রুহুল মাহিম এর বাসায় এসে পৌঁছালে। মাহিম তাদের বাসার ভিতরে নিয়ে আসে, বিলাসবহুল বাড়ি, গ্রামগঞ্জে এমনকি শহরের এমন বাড়ি দেখা যায়না সচরাচর। ডাঃ রুহুল বললো “আমরা আপনাদের মেয়ের শারীরিক অবস্থা দেখতে এসেছিলাম একটু, আমাদের নিয়ে যাবেন ওর কাছে.?”
“জ্বি অবশ্যই” বলে মাহিম তাদের সুভাষিণীর কাছে নিয়ে গেলো।
ডাঃ রুহুল সুভাষিণীকে ছুয়ে দেখেনি, ডাঃ মনির ই সুভাষিণীকে কোলে নিয়ে খেলছে, তখন রুহুল সুভাষিণীকে শুইয়ে রাখা স্থানে হাত দিয়ে কিছু অনুভব করলো। তারপরে তাড়াহুড়ো করে বাসা থেকে বাহির হয়ে গেলো তারা দুজনেই, রুহুল এর এমন উদ্ভট আচারনের কারন মনির বুঝতে পারলো না। বাসা থেকে অনেকটা দূর একটা রাস্তার পাশে এসে রুহুল বললো।
–ওর সাথে দুটো এমন শক্তি আছে যেটা এতটা শক্তিশালী যে বলে বোঝাতে পারবো না। আমি অনুভব করেছি সেই শক্তি। ওরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ঘুরে বেরাচ্ছে, সময় হয়নি এখনো প্রতিশোধ নেওয়ার।
–আরে রাখো তোমার আত্মার কাহিনী, দেখ আমি কি নিয়ে এসেছি… বলেই মনির তার পকেট থেকে একটা ইনজেকশন বের করে দেখালো, তাতে দুই থেকে তিন ফোটা রক্ত রয়েছে। সবার চোখের আড়ালে এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য ব্লাড স্যাম্পল নিয়ে নিয়েছিল। ডাঃ মনির,
তা দেখে ডাঃ রুহুল পিছুপা হয়ে গেলো “কি করেছিস এটা” অবাক হয়ে রুহুল বললো মনির কে।
কিন্তু তখন দেরি হয়ে গেছিলো। ইনজেকশন এর রক্ত গুলো বাস্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে আর কোথা থেকে একটা মিনি ট্রাক এসে মনিরকে ধাক্কা মেরে চলে গেলো দ্রুত গতিতে.রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে মনির পড়ে থাকে, রুহুল তাড়াতাড়ি করে হাসপাতাল এ নিয়ে যাওয়ায় এ যাত্রায় মনিরের কিছু হলো না।
যখন মনির এর জ্ঞান ফিরলো তখন সে জানতে পারলো তার ডান হাতের কোষ গুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে। হাত কেটে ফেলেনি, শরীরে সাথেই রয়েছে তবে ডান হাত আর কোনো কাজের ই নয়।…..
রাত যখন গভীর হয়ে আসছে, মাহিম আর রুবিনা বাসার বাহিরে হাটছে এমনা অবস্থায় সেই ঘটনা, আকাশে ঘনকালো মেঘ জন্মেছে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, বুঝতে পারলো তারা সেই অপরিচিত তাদের আশেপাশে আছে, পিছন ফিরতেই দেখে সেই অর্ধ নামব, তাদের চোখ পড়তেই “শয়তান” যে তাদের কাছে অপরিচিত নামে জানে সে বলে উঠলো,
“আমাকে সাহায্য কর তোরা আমি মরে যাচ্ছি আমাকে সাহায্য কর”
(চলবে)…..