ভ্যাম্পায়ার ওয়াইফ সিজন ২
পর্ব__৫,৬ শেষ
লেখা : Sabbir Ahmed
পর্ব__৫
_দোস্ত এটা কার ছবি দিলি।
রক্ত মাখা চেহারার এটা
কে (ওপাশ থেকে)
_তোর ভাবীকে দেখতে
চেয়েছিলি না।
এইতো এটা তার ছবি (আমি)
-হোয়াট কি বলছিস এসব
(ওপাশ থেকে)
_হুম কাল রাত্রে তোর ভাবি
সুইসাইড করছে (আমি কাদতে
কাদতে)
-মানে কি বলতেছিস এসব
তুই।আমি তো কিছুই বুঝতে
পারতেছি না (ওপাশ থেকে)
_তারেক তোর সাথে আমার
অনেক কথা আছে।
তুই কাল আমার বাড়িতে
আয়।
তখনই সবকিছু নিয়ে
খোলাখুলি আলোচনা হবে
(আমি)
-ঠিকাছে তবে এটা বল যে…
তুই কী এখন আবার সেই ভয়টা
পাচ্ছিস যেই ভয়টা তুই
কলেজে থাকতে পেতি
(তারেক)
.
.
আমি একটু সময় নিলাম..
_হ্যা রুশা ফিরে এসেছে
(আমি)
.
টুট টুট টুট
কল কেটে যাওয়ার আওয়াজ
পেলাম।
কি জানি হয়তো তারেক
এখন ব্যস্ত আছে তাই কল
কেটে দিয়েছে।
থাক সকালে তো ও এখানে
আসছেই।
তখন না হয় কথা হবে।
.
.
তারেক বসে আছে শহরের
সেরা সাইন্টিস্ট আরমান
সাহেবের চেম্বারে।
তিনি একজন বিখ্যাত
সাইকো চিকিৎসক।
তারেককে দেখেই
করমর্দনের জন্য হাত
বাড়িয়ে দিলো আরমান
সাহেব।
.
-কি খবর তারেক সাহেব
কেমন আছেন (আরমান)
_এইতো ভালই আছি স্যার।
আপনার খবর কি (তারেক)
-ডাক্তারদের খবর যেমন হয়
আরকি।
রুগিদের নিয়ে ভালই চলছে
আমার দিনকাল।
তবে আপনি যে খুব টেনশনে
আছেন এটা আমি বুঝতে
পারছি (আরমান)
_আমার এক বন্ধুকে আপনার
কাছে এনেছিলাম,,তার কথা
মনে আছে (তারেক)
.
-হ্যা হ্যা ওইতো সাব্বির
নামের ছেলেটা।
তা কেমন আছে সে (আরমান)
.
.
কিছুক্ষন চুপ করে থাকলো
তারেক।
_আমার মনে হয় আবার
প্রবলেম হয়েছে ওর।
৪ বছর পরে আজকে আবার
ফোন দিয়েছে সাব্বির
(তারেক)
-কি বলেন,,,আবার।
তাহলে তো রোগটা আবার
মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে
মনে হয় (আরমান)
_আমিও তো এই টেনশনে
আছি।
কাল সকালে ও আমাকে
দেখা করতে বলেছে।
না জানি কি করতে চলেছে
ছেলেটা (তারেক)
-মাই গড।
খারাপ কোনো খবর আছে
সেটা আপনার মুখ দেখেই
বোঝা যাচ্ছে (আরমান)
.
.
পকেট থেকে ফোন বের করে
আরমান সাহেবের হাতে
দিলো তারেক…..
_দেখেন অলরেডি একটা
মাডার করে ফেলেছে।
না জানি আরো কয়টা করতে
চলেছে ও।
এখন ওকে আটকাতে না
পারলে খুব ভয়াবহ পর্যায়ে
গিয়ে দাড়াবে এই
ব্যাপারটা (তারেক)
-হ্যা যা করার দ্রুত করতে
হবে (আরমান)
_আচ্ছা এই রোগের কি
পুরোপুরি শেষ করার কোনো
ওষুধ নেই (তারেক)
-সেটা পরে ভাবা যাবে
আগে আপনার বন্ধুকে ফোন
করুন।
না জানি ছেলেটা আবার
কি করতে চলেছে (আরমান)
.
.
আরমান সাহেব তারেকের
কাছে ফোন দিতে দিতে
বললো।
.
ফোন হাতে নিয়েই তারেক
কল দিলো সাব্বিরকে।
.
.
-হ্যালো দোস্ত,,তুই এখন
কোথায় (তারেক)
_ঘরে শুয়ে আছি।
তবে বেশিক্ষন থাকতে
পারবো না মনে হয় (আমি)
-কেনো কেনো (তারেক
উদ্ধিগ্ন হয়ে)
_কারন আমার মনে হচ্ছে
তোর ভাবিকে তার নিজের
আপন ভাই হত্যা করেছে
(আমি)
-মা..মানে কি বলতে চাস
তুই।
এই ব্যাপারে কোনো প্রুফ
আছে তোর কাছে (তারেক)
_হ্যা সত্যই।
কারন তোর ভাবিদের অনেক
সম্পদ আছে।
আর তার জন্যেই আমার
ধারনা ওর বড় ভাই ওকে খুন
করেছে (আমি)
-তুই এখন কি করতে চাচ্ছিস
(তারেক)
_তুই তো জানিস আমি
অপরাধীদের বাচিয়ে
রাখি না।
ওকে পরপারে পাঠানোর
ব্যবস্থা করতে হবে (আমি)
-আচ্ছা তুই ওর বড় ভাইয়ের
নাম্বারটা দে তো (তারেক
ভয়ে ভয়ে)
_নে উঠা 017546457..ওকে
(আমি)
-হুম ঠিকাছে।
তবে আমিও তোকে হেল্প
করতে চাই।
তাই আমি না আসা পর্যন্ত তুই
বাসা থেকে বের হবি না
ওকে (তারেক)
_ওকে চেষ্টা করবো।
তবে তুই তো ভাল করেই
জানিস আমি অপেক্ষা
করতে পছন্দ করি না।
তাই যদি আসতে চাস তবে
দ্রুত আয় (আমি)
-ঠিকাছে মাত্র 1ঘন্টা
(তারেক)
_হুম বায় (আমি)
.
টুট টুট টুট..
.
-স্যার অবস্থা খারাপ
পর্যায়ে।
আপনি এই নাম্বারটাতে
ফোন দেন।
এটা সাব্বিরের পরবর্তীতে
শিকার হতে যাওয়া
ব্যাক্তির নাম্বার (তারেক)
.
দ্রুত চেম্বার থেকে বের
হতে হতে আরমানকে
কথাগুলো বললো তারেক।
আর পিছন থেকে আরমান দ্রুত
সেই নাম্বারটাতে ফোন
করলেন।
.
দু বার রিং হতেই কল রিসিভ
হলো
.
-হ্যালো কে (ঘুমজড়িত গলায়
রোহান)
_আমি ডাক্তার আরমান
বলছি।
আপনার নামটা জানতে
পারি প্লিজ (আরমান)
-জ্বী রোহান আমার নাম
(রোহান)
_রোহান ভাই আপনি দ্রুত
বাসা থেকে বের হন
(আরমান)
-কেনো স্যার আমার আত্মীয়
কেউ হাসপাতালে ভর্তি
নাকি (রোহান)
_না ভাই এখন কথা বলার সময়
না।
আপনি দ্রুত বাসা থেকে বের
হন (আরমান)
-ওকে বাট বাসা থেকে বের
হয়ে এত রাত্রে কোথায়
আসবো (রোহান)
_আপনি চকবাজারের দিকে
আসেন।
আমরাও ওদিকেই আসছি
(আরমান)
-ওকে আসতেছি স্যার
(রোহান)
_হ্যা দ্রুত আসবেন।
মোটেও দেড়ি করবেন না।
আর আসার আগে আপনার
বাবা মায়ের রুমগুলো
ভালোমতো লক করে দিয়ে
আসবেন (আরমান)
-আপনার কথার কোনো কিছুই
আমার মাথায় ঢুকছে না
স্যার।
আপনি কি বলতে চাইছেন
ঠিকমতো একটু বলুন প্লীজ
(রোহান)
_ভাই চকবাজারে এলে
আপনাকে সব কিছু ভালমতো
খুলে বলবো।
এখন যেটা বললাম সেটা দ্রুত
করেন।
আর মাত্র ৫মিনিটের মধ্যেই
বাসা থেকে বের হন প্লীজ
(আরমান)
-ঠিকাছে ঠিকাছে বের
হচ্ছি (রোহান)
.
.
কল কেটে দিয়ে দ্রুত
তারেকের গাড়িতে চেপে
বসলো আরমান সাহেব।
এখন তাদের গন্তব্য চকবাজার
আর ওখান থেকে সাব্বিরের
বাসায়।
.
.
তারেকের হাতে ফোনটা
দিতেই তারকে আবার
সাব্বিরের নাম্বারে কল
করলো।
কিন্তু দু বার রিং হওয়ার
পরেও কল রিসিভ হলো না।
.
তারেক আরমান সাহেবের দিকে ফিরে
তাকালো।
আরমান সাহেব তারেকের
চোখমুখ দেখে বুঝতে পারলেন
খবর ভালো না।
.
-কী হয়েছে (আরমান)
_সাব্বির ফোন ধরছে না
মনে হয় বাসা থেকে বের
হয়ে গেছে (তারেক)
-ও মাই গড (আরমান)
.
আরমান তারেকের কথা শুনে
মাথায় হাত দিয়ে বসে
পড়লেন।
_আমার মনে হয় এবার আমরা
আর রোহানকে বাচাতে
পারবো না (তারেক)
.
.
আরমান কিছু বললেন না।
শুধু গাড়িতে বসে সামনের
দিকে তাকিয়ে রইলেন।
.
.
রোহান তার বাবা মায়ের
রুম ভালো মতো লক করে দ্রুত
নিচে নেমে এসে তার
গাড়ির দিকে এগিয়ে
গেলো।
কিন্তু সে খেয়াল করলো
না,,তার আগেই গাড়ির
পিছনে সাব্বির উঠে
পড়েছে।
ওর হাতে ধাড়ালো ফল
কাটার ছুড়ি চকচক করছে।
সাব্বিরের মুখে হাসি।
“যাক শেষ পর্যন্ত
ছেলেটাকে ধরতে পারা
গেছে”
.
.
দ্রুত গতিতে গাড়ি
চালাচ্ছে তারেক।
আর পাশের সিটে বসে
আরমান একের পর এক টেনশন
করে যাচ্ছেন।
তিনি এত বড় সাইকিক হয়েও
সাব্বিরের ব্যাপারটা
বুঝতে পারছেন না।
.
.
ওদিকে তারেক বারবার
সাব্বিরের ফোনে কল করেও
যখন ওপর পাশ থেকে আশা
অনুরূপ উত্তর না পেলো তখন
রোহানের ফোনে কল
করলো।
কিন্তু তার জানা নেই
রোহান ভুল করে তার
ফোনটা বাড়িতে ফেলে
চলে এসেছে।
তারেক এখন দু দিক থেকে
কোনো ফল সরূপ উত্তর না
পেয়ে গাড়ির স্টারিংয়ে
হাত রাখলো।
.
.
হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি
চালাচ্ছে রোহান।
তার মনে নানা রকম প্রশ্ন
ঘুরপাক খাচ্ছে।
কি জন্য এত রাতে ডাক্তার
আরমান তাকে দেখা করতে
বললো।
তাছাড়া “আসার আগে
বাবা মায়ের রুমটাই বা লক
করে আসতে বললো কেনো”
সেটা তার জানা নেই।
তাই চকবাজারের দিকে
গাড়ি ছুটিয়ে দিয়েছে
রোহান।
সব প্রশ্নের উত্তর যে ওখানে
গেলেই মিলবে।
.
.
গাড়ির পিছন থেকে আসতে
আসতে সামনের দিকে আসছে
সাব্বির।
শিকার তার হাতের
নাগালে চলে এসেছে।
এই ছেলেটার জন্যেই সে
রুশাকে হারিয়েছে।
ছুরি নিয়ে নিচ থেকে
নিজের হাত কেটে আরো
একবার পরীক্ষা চালালো
সে।
নাহ ভালোই “ধার” আছে।
.
ছুড়ি নিয়ে যেই উঠতে যাবে
ওমনি গাড়ির সাইডের
গ্লাসের দিকে তাকাতেই
সে
“ভ্যাম্পায়ার রুশা”কে
দেখতে পারলো।
রুশাকে দেখে সে চমকে
গেলো।
গাড়ির মধ্যে দুকান চেপে
ধরে জোড়ে চিৎকার করে
উঠলো সে।
.
.
ওদিকে গাড়ির ভিতর থেকে
মানুষের এমন জোড়ে
চিৎকার শুনে ভয় পেয়ে
গেলো রোহান।
এমনিতেও মাথায় রাজ্যের
টেনশনে আছে সে।
তার উপর এমন চিৎকার শুনে
গাড়ি কন্ট্রোল করতে না
পেরে একটা গাছের সাথে
লাগিয়ে দিলো রোহান।
.
ভয়ে ভয়ে পিছনে উকি
মারতেই সেখানে জড়সড় হয়ে
কারো বসে থাকার আভাস
টের পেলো সে।
তারপর ভয়ে ভয়ে তার গায়ে
হাত দিতেই একটা চকচকে
ছুড়ি তার দিকে
.
.
চলবে…
ভ্যাম্পায়ার ওয়াইফ সিজন ২
পর্ব__৬ (শেষ পর্ব)
লেখা : Sabbir Ahmed
.
.
.
ভয়ে ভয়ে তার গায়ে হাত
দিতেই একটা চকচকে ছুড়ি
তার দিকে তেড়ে এসে একদম
বুক বরাবর গেথে গেলো।
রোহান একহাতে বুক চেপে
ধরে কোনো মতে গাড়ির লক
খুলে গাড়ির বাহিরে
বেড়িয়ে গেলো।
.
.
ওদিকে সাব্বির যখন মাথা
তুলে তাকালো তখন দেখলো
যে গাড়িতে কেউ নেই।
সে দ্রুত গাড়ি থেকে বের
হতেই দেখে রোহান
একহাতে বুক চেপে ধরে
সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
সুযোগ হারাতে দিলো না
সে।
হাতে থাকে ছুড়িটা
রোহানের পিঠ লক্ষ ছুড়ে
দিতেই সেটা রোহানের
পিঠে বিধে গেলো।
সাব্বিরের মুখে পৈচাশিক
হাসির রেখা ফুটে উঠলো।
মিশন সাকসেস ফুল।
.
.
গাড়ি নিয়ে দ্রুত ড্রাইভ
করে চকবাজারে এসে
রোহান কেনো একটা কুকুরের
দেখাও পেলো না।
তাই তারা গাড়ি নিয়ে
আরো সামনের দিকে
এগিয়ে গেলো কিছুদুর
যেতেই তারা রোডের
মাঝে আড়াআড়ি ভাবে
একটা গাড়ি পার্ক করা
দেখতে পেলো।
আরো সামনে এগিয়ে এসে
বুঝতে পারলো যে গাড়িটা
পার্ক করা হয় নি।
গাড়িটা একটা গাছের
সাথে ধাক্কা খেয়ে স্টার্ট
অফ হয়ে গেছে।
আরমান আর তারেক গাড়ি
থেকে নেমে গাড়িটার
কাছে গিয়ে দেখলো
গাড়িতে কেউ নেই।
তাই তারা আশেপাশে
কাউকে দেখতে পাওয়া যায়
কিনা সেই চেষ্টা করতে
লাগলো।
তবে কাউকেই দেখা গেলো
না।
.
হঠাৎ রাস্তার মাথার দিক
থেকে একটা গোঙানির
আওয়াজ ভেসে এলে তারেক
চমকে উঠলো।
ভয়ার্ত চোখে আরমানের
দিকে তাকাতেই আরমান
সাহেব রাস্তার মাথার
দিকে দৌড় দিল।
তারেকও আরমান সাহেবকে
অনুসরণ করে তার পিছু পিছু
দৌড়াতে লাগলো।
.
.
রাস্তার মাথায় পৌছেই
তারা দেখতে পেলো
সাব্বির রোহানের পিছন
থেকে তার পিঠে অনবরত
ছুড়ি চালিয়ে যাচ্ছে।
তা দেখে তারেক দ্রুত দৌড়
গিয়ে সাব্বিরের হাত ধরে
আটকানোর চেষ্টা করতে
লাগলো।
.
ততক্ষনে আরমান সাহেব এসে
রোহানের পাল্স চেক করে
দেখলো ইতোমধ্যেই রোহান
মারা গিয়েছে।
আরমান সাহেব দ্রুত গাড়ির
কাছে গিয়ে তার ফাস্ট এইড
বক্স থেকে ইংজেক্শন বের
করে এনে সাব্বিরের
বাহুতে পুশ করে দিলো।
আর ইংজেকশনের কারনে
চোখ বুজে এলো সাব্বিরের।
মাটিতে লুটিয়ে পড়লো সে।
.
.
.
৪মাস পর …..
.
.
হাসপাতাল থেকে
পূর্ণ চিকিৎসা নিয়ে এখন
সাব্বির পুরোপুরি সুস্থ।
ডাক্তার আরমানের
রির্পোট মোতাবেক
সাব্বির একজন সাইকো
রোগী।
হয়ত ছোট বেলায় মারাত্মক
কোনো ভয়ের কারনে তার
মস্তিষ্কের নিউরনে বড়
প্রবলেম হয়।
তাই মাঝে মধ্যেই সে অনেক
অস্বাভাবিক জিনিস
দেখতে শুরু করে।
আর বিনা কারনেই সে
অন্যের উপরে চড়াও হয়।
তবে এই রোগীরা মূলত খুনি
পাগলাটে হয়।
আর তাদের অল্পতেই সন্দেহ
বেড়ে যায় এবং কিছু কিছু
বিষয় ভুলে যায়।
.
তবে যতদুর জানা
গিয়েছে,,রুশাকে সাব্বির
নিজেই খুন করেছ।
তবে প্রমাণ লোপাটের জন্য
সে রুশাকে ছাদ থেকে
ফেলে দিয়েছে।
আর সে নিজেই তার মনে
মনে রুশাকে এক ভয়ংকর রূপ
দিয়েছে।
যার ফলে সে রুশাকে
ভ্যাম্পায়ার মনে করতে শুরু
করে।
.
.
অন্যদিকে রুশাকে খুন করার
ব্যাপারটা তার মাথায় না
থাকায় সে মনে করে রুশার
ভাইই রুশাকে খুন করেছে।
এজন্য সে রুশার ভাইকে খুন
করে তার প্রতিশোধ নেয়।
.
তবে আসল কথা হলো…
এই পুরো ব্যাপারটা কেউই
জানে না শুধুমাত্র তারেক
আর আরমান ছাড়া।
আর রোহানের খোজও কেউ
পায় নি যে,,,ছেলেটা
কোথায় গেলো।
পুরো ব্যাপারটাই তারেক
ধামাচাপা দিয়ে
দিয়েছে।
.
.
.
৮ বছর পরে….
.
একরাতে ঘুমিয়ে আছে
সাব্বির।
পাশে তার স্ত্রী আর ছোট
মেয়ে ঘুমিয়ে আছে।
মেয়েটার বয়স ৩মাস।
.
হঠাৎ প্রচন্ড গরমে ঘুম ভেঙে
যায় সাব্বিরের।
খাট ছেড়ে উঠে গিয়ে ঘরের
জানালা খুলে দিতে গিয়ে
লক্ষ করে বাহিরে তার
স্ত্রী একটা ছেলের গায়ে
হাত লাগিয়ে কথা বলছে।
.
চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো
তার।
টেবিলে থাকা ছুড়িটা
হাতে নিলো সে।
তারপর বাহিরের যাওয়ার
জন্য পা চালালো সাব্বির।
অথচ সে খেয়াল করলো না
তার স্ত্রী খাটেই গভীর
ঘুমে মজে আছে।
.
.
তাহলে কি আবার রোগটা
জেগে উঠলো তার।
.
.
সমাপ্ত