বৃত্তের_অন্তরালে।পর্ব-২
#পলি_আনান
বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হতে চললো, চারিদিকে চলকে মৃদ্যু মন্দা হাওয়া নাহিয়ান বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে।ঠিক এই সময় তার রুমে প্রবেশ করে তার দাদিজান তফুরা খাতুন। নাহিয়ানের পরিবার জুড়ে তার বাবা-মা আর দাদিজান মিলেই তারা চারজন। নাহিয়ানের দাদা একজন মুক্তিযুদ্ধা এবং দেশ প্রেমি ছিলেন। তিনি মৃত বরণ করেছে প্রায় ছয় বছর হতে চললো।নাহিয়ান ছোট থেকেই তার দাদা এবং বাবার আর্দশে অনুপ্রানিত।নাহিয়ান তার পরিবারের সাথে একদম মিশুক, মনের যত কথা তার ভাবনা পরিকল্পনা সবকিছু তার পরিবারের তিনজনের কাছে সেয়ার করে।তাদের পরিবারের সবাই সবার সাথে বন্ধু সুলভ।
“দাদুভাই কেমন আছো?”
“আলহামদুলিল্লাহ।তুমি কেমন আছো দাদিজান?”
“এইতো চলছে দিনকাল।দাদুভাই তুমিকি কালকের বিষয়টা ভুলে গেছো?
“কোন বিষয়টা দাদিজান দাদাভাইয়ের মৃত্যু বার্ষিকীর বিষয়টা!
“হুম,মনে আছে তোমার তাহলে(মুচকি হেসে)”
“কি যে বলো তুমি মনে থাকবেনা, অবশ্যই মনে আছে।প্রতি বছরের মতো সব ব্যবস্থা শেষ. কাল তুমি আর আমি মিলে এতিমখানায় যাবো আর বাবা – মা আর রফিক আংকেল মিলে এইদিকটা সামলে নিবে।”
রফিক নাহিয়ানদের একজন বিশ্বস্ত কর্মী।নাহিয়ানদের সব আচার অনুষ্ঠানে,বিপদে,ব্যবসায়ীক কাজে তিনি সবসময় তাদের পাশে থাকে।
নাহিয়ানদের কথায় তুফুরা খাতুনের চোখ জ্বলমল করে উঠে।বর্তমান সময়ের ছেলেমেয়েরা কিছুটা অবাধ্য প্রকৃতির হয়।সাংসারিক কাজে তাদের তেমন মন থাকে না, বন্ধু বান্ধব হই হই করেই দিনকাটাতে পছন্দ করে। কিন্তু নাহিয়ান সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির কীভাবে ঘর এবং বাহির দুইটাই নিয়মমাফিক চালাবে সেই ধারনা এবং বুদ্ধি নাহিয়ানের আছে।নাহিয়ানকে যত দেখে তত অবাক হন তিনি, মনে হয় যুবক বয়সের সেলিম সরকার (নাহিয়ানের দাদা)তার সামনে ঘুর ঘুর করছে।সেলিম সরকার যুবক এবং বৃদ্ধ বয়সেও এমনটাই ছিলেন প্রতিটি দায়িত্ব রগে রগে পালন করা ছাড়া তিনি ক্ষান্ত হতেন না তিনি।সেলিম সাহেবের মতো ঠিক তেমন হয়েছে তার ছেলে ইশরাক সরকার আর বাপ দাদার গুন নিয়ে তৈরি হয়েছে নাহিয়ান সরকার।সত্যি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেলিম সরকার যেভাবে ব্যবসা,বাড়ি, বংশটাকে সামলে গেছে ঠিক একই ভাবে তার পুত্র ইশরাক ও সামলে যাচ্ছে হয়তো ইশরাকের অবর্তমানে নাহিয়ান ব্যবসা এবং বংশটাকে ঠিক একই ভাবে সামলে যাবে।এইসব ভাবতে ভাবতে কেঁদে দিলেন তফুরা খাতুন। আজ বড্ড গর্ব হচ্ছে তার শশুড় শাশুড়ীকে নিয়ে। তারা যেমনটা শিক্ষা সেলিম কে দিয়েছে সেলিম ঠিক তেমন শিক্ষা ইশরাককে দিয়েছে আর ইশরাক দিয়েছে নাহিয়ানকে।সরকার বংশের মানসম্মান ধরে রাখতে তাদের জুড়ি মেলা ভার।
চোখের চশমাটা উচু করে আচঁল দিয়ে আড়ালে চোখের পানি মুছে নিলেন তিনি।বিষয়টা আড়াল করতে চাইলেও আড়াল হয়নি নাহিয়ানের চোখে। সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে নাহিয়ান বলে,
“দাদিজান তুমি কাদঁছো কেন, আমি কি কোন ভুল সিধান্ত নিয়েছি যদি নিই আমাকে ক্ষমা করে দাও আর ভুল গুলো ধরিয়ে দাও”
“তুমি কোন ভুল সিধান্ত নাওনি দাদুভাই। এমনি তোমার দাদার কথা মনে পড়েছে তাই চোখ দিয়ে দুই চারফোটা এই অবাধ্য জল গড়িয়ে পড়েছে।তোমার কথা বলো, আজ কেমন কাটালে দিনটা”?
ভার্সিটির কথা মনে পড়তেই একটু নড়ে চড়ে উঠে নাহিয়ান।চোখের সামনে যেন এখনো ভাসছে তার হুর পরিটাকে।
” হুম ভালোই কেটেছে(কিছুটা আনমনা হয়ে)
“তুমি বিশ্রাম করো আমি আসছি এখন”
তফুরা খাতুন ছোট ছোট পা ফেলে রুম থেকে চলে যায় আর নাহিয়ান উপড় হয়ে শুয়ে ভাবতে থাকে আজকের ঘটনা গুলো।
ফুরফুরে বাতাসে পুকুরের পানি গুলো মৃদ্যু ঢেউ সৃষ্টি করছে।চারিদিকে বাচ্চাদের দৌড় ঝাপে মুখরিত হয়ে আছে পরিবেশ।পুকুর পাড়ে নিরিবিলি চুপচাপ বসে আছে ওজিহা, তার সাথে একটি ৫/৬ বছরের বাচ্চা মেয়েও বসে আছে। বাচ্চাটা একের পর এক বকবক করেই যাচ্ছে। মন খুলে ওজিহার সাথে তার নিত্য দিনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাহিনী গুলো বলছে, যেমন আজ এই পড়া শিখেছে আগামীতে এই করার ইচ্ছা আছে সেই করার ইচ্ছা আছে এমন নানান বিষয় নিয়ে ওজিহার সাথে বেশ আনন্দ নিয়ে কথা বলছে মেয়েটি।ওজিহাও বেশ মনোযোক সহকারে মেয়েটির কথা শুনছে।ওজিহা এখন যেখানে আছে তা হলো একটি এতিমখানা।মন খারাপের সময় ওজিহা প্রায় এখানে এসে মেয়েটির সাথে আড্ডা দেয়।এখানে থাকা অনেকেই ওজিহাকে চেনে। ওজিহার সাথে বসা মেয়েটি যে তার সাথে কথা বলতে বেশ আনন্দ পায় তা ওজিহা ভালো করেই যানে।ওজিহার ছোট বেলাটা ছিল বড্ড কালো।ওজিহার জন্মের সময় তার মায়ের মৃত্যু হয়। ওজিহার জানা মতে তার মায়ের মৃত্যুটি ছিল বড্ড অসাভাবিক রহস্য ঘেরা মৃত্যু। কিন্তু আসল কারনটি তার এখনো অজানায় রয়ে গেছে।ঠিক মায়ের মৃত্যুর একবছর পর তার বাবা গাড়ি এক্সিডেন্ট করে মারা যায় সেই থেকে তার জীবনের কালো অধ্যায় শুরু। একবছরের বাচ্চা ওজিহাকে কেউ তখন রাখতে রাজি হয়নি। ওজিহার বাবারা ছিলেন দুই ভাই এক বোন।তার মধ্যে ওজিহার বাবা ছিলেন সবচে সম্পদশালী। কিন্তু বাচ্চা ওজিহার কাছে সেই সম্পদের কোন মূল্য নেই সে শুধু তখন ভ্যা ভ্যা করে কান্না ছাড়া কিছুই করতে পারে নি।তার বাবার করে যাওয়া উইল অনুসারে ওজিহার আঠারো বছর পূর্ণ হওয়ার পর সব সম্পত্তির মালিক হবে সে।তা নিয়ে বড্ড খুব্দ তার চাচা এবং ফুফু।পিতা মাতা হীন একবছরের বাচ্চা ওজিহার তখন ঠাই হয় একমাত্র মামার ঘরে তাতেও ঘটে এক বিপত্তি ছোট থেকে অত্যাচারের মধ্য রাখতো তার মামি আর মামাতো বোন মারিয়া।দিন দিন অত্যাচারের পরিমান যখন বেশি হয়ে যায় তখন ক্লাস সিক্সে থাকাকালিন তার মামা তাকে এক পরিচিত হোস্টেলে রেখে আসেন।
সেই থেকে বড্ড একা হয়ে যায় ওজিহা।ওজিহা এতিমখানায় এসে বাচ্চাদের দিকে তাকায় আর ভাবে সে নিজেও একজন এতিম একজন এতিমের কষ্ট শুধু একজন এতিমি বুঝতে পারে তাই মাঝে মাঝে মন খারাপ হলে ছুটে আসে সে।
দিন দিন তার সাথে ঘটে যাচ্ছে সব চাঞ্চল্যকর ঘটনা এইতো কাল রাতে তার রুমের সিলিং ফেন থেকে চুইয়ে চুইয়ে পানির মতো কি যেন পড়ছে। সে মোবাইলের ফ্লাশ অন করে দেখলো তার পুরো শরীরে লাল রক্তে ভেসে গেছে,সিলিং থেকে পড়ছে টুপটাপ রক্তের ফোটা। কিছুক্ষন পর সে খেয়াল করে তার বালিশের পাশে তিন চারটা সাপ তাকে ঘেরাও করে রেখেছে একটি সাপ তার চুলে এবং গলায় পেছিয়ে আছে, তা দেখে ওজিহার মাথা যেন ফাকা ফাকা লাগছে, এই মূহুর্তেই যেন দম বেরিয়ে যাবে নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে গলা ফাটি একটি চিৎকার দেয় কিন্তু একি চিৎকার বের হচ্ছে না কেন,ওজিয়া যখনি মুখ খুলে তখনি ওজিহার মুখের ভেতর একটি সাপ ডুকে পরে সাপটি ওজিহার গলা পযর্ন্ত ছুয়ে যায়।এক বিদঘুটে স্বাদ ওজিহার মুখ জুড়ে ছুয়ে যায়। সে কোন কিছু করতে না পেরে দুই হাত দিয়ে সাপটিকে টেনে বের করে আর গগন বিহিন চিৎকার দিয়ে পুরো হোস্টেলের সবাইকে জাগিয়ে দেয়।ওজিহা থরথর করে কাপঁছে ওজিহার রুমে দুই জন মেয়ে থাকে, তারা ওজিহার থেকে দুই বছরের বড়। তারা লাইট অন করে ওজিহার পাশে বসে পরে।
“ওজিহা তোমার সমস্যা কি প্রতিদিন রাতে এমন চিৎকার দাও কেন ”
ওজিহা কাপছেঁ,
“আপু দেখুন আমার হাতে রক্ত..!
ওজিহা খেয়াল করে তার হাতে কোন রক্ত নেই।সে নিজের কথা নিজেই বেকুব বনে যায়।
” কোথায় রক্ত কি আবোল তাবোল বলছো তুমি”
“রক্ত পড়ছিলো আপু বিশ্বাস করুন এখানে সাপ ও ছিল”
ইতিমধ্যেই সবাই ওজিহার রুমে এসে ভিড় করে সবাই বিরক্ত হয়ে তাকে দুই চারটে কথা শুনিয়ে দেয় কেননা প্রতিদিন রাতে একই বিষয় কারোই ভালো লাগে না।সবাই যে যার মতো আবার চলে যায়, ওজিহা অনুভব করে তার হাতে লালার মতো কি যেন লেগে আছে, আবার মুখে কেমন অন্য রকম বিধঘুটে স্বাদ হয়ে আছে।
“তার মানে কি আমি সত্যি সাপ ধরেছি….!
এইসব কথা ভাবতে ভাবতে আবারো দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ে ওজিহা।এইসব কিছু কেন হচ্ছে কি হচ্ছে তার কোনটাই ব্যাখা পাচ্ছেনা সে।
.
এতিমখানার দিকে মনোমুগ্ধ কর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নাহিয়ান ও তফুরা খাতুন।তফুরা খাতুনের চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে চোখের পানি।এই এতিমখানাটি করে যান তার মৃত স্বামী সেলম সরকার। এই এতিম খানা নিয়ে তার ছিল অনেক সপ্ন। সেই সপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে আর এতিম খানার দেখভাল করছে তার পুত্র ইশরাক। পুরো এতিমখানাটা ঘুরে ঘুরে দেখছেন নাহিয়ান এবং তফুরা।
হঠাৎ নাহিয়ানের নাকে আসে সেই ঘ্রাণ। যে ঘ্রাণ তাকে মুগ্ধ থেকে মুগ্ধতায় ঠেলে দেয়।
” এ..এখানে এই ঘ্রাণ কি করছে এটাতো ওজিহার গায়ের ঘ্রাণ এই ঘ্রাণ তো এখানে আসার কথা নয়।উফফফ আমি কি ভুল ভাবছি,না আমি সিওর এখানে ও আছে হয়তো আছে, কিন্তু ও এখানে কেন আসবে।”
নাহিয়ানের আকুলতা আর ছটফটানো দেখে অবাক হয়ে যায় তফুরা।
“দাদুভাই তুমি এমন করছো কেন। কোন সমস্যা?
” না দাদিজান আচ্ছা তুমি এখানে দাঁড়াও আমি একটা কাজ সেরে আসছি।,”
“হুম”
নাহিয়ান পুরো এতিমখানাটি আবার পাক দিয়ে ঘুরে দেখে নেয় কিন্তু না কোন মেয়েকেই তার চোখে পরছে না।হাটুতে ভরকরে দাঁড়িয়ে পরে নাহিয়ান হঠাৎ করে মনে হচ্ছে ঘ্রাণটা পুকুর পাড় থেকে জোরালো ভাবে আসছে, মেয়ালী একটি হাসির শব্দে নাহিয়ান চমকে সামনে তাকালে খেয়াল করে বোরকা পড়া বেশ শালিন ভাবে হিজাব পড়া একটি মেয়ে বসে আছে। মেয়েটির মুখের একপাশ কিছুটা দেখা যাচ্ছে। নাহিয়ানের মুখথেকে অস্পষ্ট স্বরে বেরিয়ে আসে,
“ওহিজান…..!”
নায়াহিয়ান মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে ওজিহার দিকে।বাতাসের দাপট বেড়েই চলছে তার মনে শান্তিত পরশ। হঠাৎ ঘাড়ে কারো হাতের অনুভব পেয়ে চমকে তাকায় নাহিয়ান।
“মেয়েটা কেরে দাদুভাই”
“কোন মেয়েটা?(না জানার ভাব করে)
” মিথ্যা বলবে না তুমি আমি প্রায় পাচঁ মিনিট থেকে খেয়াল করছি তুমি এই মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছো আর কি যেন বিড়বিড় করছো”
“দাদিজান ও হলো ওজিহা। আমাদের ভার্সিটিতে নতুন”
“পছন্দ তোমার মেয়েটাকে”
তফুরা খাতুনের মুখ থেকে এমন একটি কথা শুনে চমকে যায় নাহিয়ান।মাথাটা নিচু করে বেশ লজ্জা ভঙ্গিতে সে বলে,
‘,হুম”
“তাহলে বলো মেয়েটাকে। মেয়েটা দেখতে আমার বেশ ভদ্রই মনে হচ্ছে, এইসময়ে এমন মেয়ে পাওয়া কঠিন। আমাদের সরকার বাড়ির জন্য এমনএকটা মেয়েই উপযুক্ত। তুমি বরং ওকে তোমার পছন্দের কথাটা জানিয়ে দাও”
“না দাদিজান আমি ওকে আমার পছন্দের কথা এখন বলবো না”
“কিন্তু কেন?”
“আমি কোন হারাম সম্পর্কে জড়াতে চাই না দাদিজান। সে যদি আমার ভাগ্য থাকে আল্লাহ তায়ালা যদি আমার জন্য তাকে তৈরি করে তবে অবশ্যই একটা না একটা মাধ্যমে তাকে আমি ঠিক পেয়ে যাবো।তবে এই না যে ওজিহাকে আমি আমার চোখের আড়াল করবো। ওজিহা থাকবে আমার নজরে কোন কুনজর তার উপর আমি পড়তে দেবো না।যে আমার হবে তাকে তো আমি আমার মতো করে নিরাপত্তা দেবো তাইনা দাদিজান..!বাকিটা আল্লাহর ভরসা।”
নাহিয়ানের মুখে এমন কথা শুনে অবাক না হয়ে পারলেন না তফুরা খাতুন। তিনি মুগ্ধ হয়ে নাহিয়ানের দিকে তাকিয়ে আছে।নাহিয়ানের বিচক্ষনতা বুদ্ধিতে তিনি বার মুগ্ধ হোন।
“তুমি যা ঠিক মনে করবে তাই হবে দাদুভাই”
.
মধ্যরাত, ঘুম নেই ওজিহার চোখে সত্যি যদি আবার তার সাথে কিছু হয় ভয়ে আজ আর ঘুমতে পারছেনা সে।জানলা খুলে বাইরের আকাশটার দিকে তাকিয়ে আছে আর চোখের সামনে ভেসে আসছে বার বার অতীতের কিছু কথা। তখন ওজিহা ক্লাস সেভেনে পড়ে। ওজিহা আগে যে হোস্টেলে থাকতো সেই হোস্টেলের একটা রুম ছিল অন্যরুম গুলো থেকে বেশ দূরে আর কোনায় আর সেই রুমের পাশে ছিল বিশাল এক পুরোন কবরস্থান।কবরস্থানটি ছিল জঙ্গলাবৃত। সেই রুমে থাকতো একটি মেয়েও। ওজিহা যাওয়ার আগ পর্যন্ত নাকি মেয়েটি একাই সেই রুমে থাকতো ওজিহা যাওয়ার পর সেই রুমে ওজিহা আর সেই মেয়ে থাকতে শুরু করে।মেয়েটি ছিলো একটু অন্যরকম,,, তবে মিশুক সহযে আপন কাউকে আপন করা মতো গুন সেই মেটার ছিল,মেয়েটি দিন দিন ওজিহার প্রিয় থেকে অনেকটা বেশি প্রিয় হয়ে উঠে।মেয়েটিকে ঘিরেই থাকতো ওজিহার রাত দিন।
এইসব ভাবতে ভাবতে ওজিহা হঠাৎ অনুভব করে পেছন থেকে কেউ যেন তার চুল টেনে ধরেছে। টানটা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে ভয়ে ওজিহার কপাল বেয়ে বিন্দু বিন্দু ঘাম গড়িয়ে পড়ছে।তার জানা মতে এই সময় তো কেউ জেগে থাকার কথা নয়।ভয়কে পেছনে ফেলে ওজিহা সাহস জুগিয়ে প্রশ্ন করে..
“কে…?
চলবে……….