এলাকার বড় আপু_2 #পার্ট: ১

#নাম: এলাকার বড় আপু_2
#পার্ট: ১
#লেখক:Osman

(সিজন ১ এর পর)

👉আপু আর দুলাভাই ধাক্কা দিয়ে বাসর ঘরের ভিতর প্রবেশ করালো। আমি ঢুকে নিলার দিকে তাকিয়ে যা দেখলাম তা বিশ্বাস করার মতো না। দেখি নিলা সিগারেট টানছে। নিলা বলল

নিলা: জামাই বাবু কি খবর? সামনে ইলেকশন ভোট কিন্তু আমাকে দিতেই হবে।

👉আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। এ আমি কি শুনছি। আমি বললাম

আমি: কি বললা তুমি?

নিলা: বলছি আমি নির্বাচন করছি । ভোট আমাকে দিতে হবে।

আমি: তুমি নিশ্চয় মজা করছো?

নিলা: মজা করার কি আছে।? আমি সত্যিই নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছি।

আমি: তুমি না এসব ছেড়ে দিয়েছো?

নিলা: এসব তো করেছি তকে বিয়ে করার জন্য। তকে বিয়ে করে ফেলেছি এখন আমাকে আর দেখে কে?

👉আমি এখনো নিলার কথা বিশ্বাস করতে পারছিনা। কিন্তু সিগারেট টানছে এটা সত্যি। লাস্ট কয়েকদিনের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়েছিলো তাহলে কি সত্যি নিলা আগের মতই রয়ে গেছে। এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে। নিলা বলল

নিলা: কিরে কি ভাবছিস? সিগারেট খাবি নে ধর।

👉আমি সিগারেটটা হাত থেকে নিয়ে ফেলে দিলাম।এই কাজ করার পর নিলার মুখ রাগে লাল হয়ে যায়। বসা থেকে ওঠে এসে আমাকে চড় মারলো বলল।

নিলা: তর কতো বড় সাহস তুই আমার হাত থেকে সিগারেট ফালাই দিয়েছত।জানিস আমি কে আমি এই এলাকার বড় আপু। তাড়াতাড়ি সিগারেট ধরিয়ে আমার মুখে দে।

👉আমি তাড়াতাড়ি সিগারেট ধরিয়ে নিলার মুখে দিলাম। নিলা বলল

নিলা: শুন তুইতো বলছিলি বিয়ে করতে। বিয়ে না করলে ভবিষ্যতে অন্ধকার। তাই আমি সেটাই করলাম।

আমি: বিয়ে করলেতো স্বামীর কথা মানতে হবে।
তাই এখন আমি তোমার স্বামী। তোমার আমার কথা মানতে হবে।

নিলা: মানবো না কি করবি।

আমি: অনেক কিছু।

নিলা: আমাকে কিছু করলে তর হাত পা ভেঙ্গে সারাজীবনের জন্য লোলা বানিয়ে দিবো।

আমি ভাবলাম নিলা এখন তার পাওয়ার দেখাচ্ছে।
অহংকারে তার মাথা ঠিক নাই। আমি বললাম

আমি: শুনো আমার বোধহয় তোমার মাথা ঠিক নাই। তোমার লম্বা একটা ঘুম দরকার।

নিলা: আমি সম্পুর্ন ঠিক আছি। আমি যদি চেয়ারম্যান হই। তাহলে কতো মানুষ আমাদের সম্মান করবে তাই না।

আমি: আমার এতো সম্মান দরকার নাই। তোমাদের প্রকৃত সম্মান কোথায় জানো?

নিলা: ওকে ওকে আমি আর শুনতে চাইনা।

আমি: নিলা তোমার কি হয়েছে? কি সুন্দর কথা বার্তা ছিলো তোমার। কথার মধ্যে আলাদা একটা যাদু ছিলো। হঠাৎ করে সব পাল্টে গেলো। আমার বোধহয় তোমার মাথা ঠিক নাই। এখন তোমার ঘুম দরকার।

নিলা: কিহ আমার মাথা ঠিক নাই।

👉এই বলে ঠাস করে আমাকে চড় মেরে দিলো। ব্যাথার কারনে কাঁদি নাই। কষ্টের কারনে চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো। আমি নিলার পায়ে ধরে বললাম।

আমি: নিলা আপু তুমি আমাকে মেরে ফেলো। কিন্তু আমার মা বাবার সাথে কটু কথা আর খারাপ ব্যবহার করো না।

নিলা: ওকে পা ছাড়।

আমি: না তুমি ওয়াদা করো।

নিলা: আমার কথার বিরুদ্ধে গেলে।

আমি: তাদের সাথে নরম ভাষায় কথা বলবা।

নিলা: ওকে বলবো।

👉আমি খেয়াল করলাম নিলার পায়ে ধরাতে নিলা কেমন যেনো মুচোড় দিয়ে ওঠলো। যতক্ষণ পায়ে ধরে রাখছিলাম। ততক্ষণ বড় বড় শ্বাস নেয়। আমি পা ছেড়ে এক কোনায় গিয়ে বসলাম। কিছুক্ষণ কোনো কথা বললাম না। আমি বললাম

আমি: আমার ঘুমে ধরছে। আমি ঘুমিয়ে যাই।

নিলা: এই সব গয়না কে খুলবে?

আমি: কেনো তোমার হাত আছে না।

👉আমি একটা বালিশ আর খেতা নিয়ে। নিচে শুয়ে পড়লাম। নিলা বলল

আমি: ওপরে শু।

আমি: না তোমার সাথে শুবো না।

নিলা: কেনো?

আমি: চিন্তা ভাবনা করে দেখো।

👉আমি এই বলে নিচে বিছানা করে শুয়ে পড়লাম। নিচে কার্পেট আছে বালিশ আর খেতা দিয়ে শুয়ে পড়লাম আপু দুলাভাই কম্বল দেয় নাই। ভাবছে আজ রাতে এমনিতেই গরম থাকবো কম্বল লাগবে না। আমি নিয়ত করলাম যতদিন পর্যন্ত নিলা আমার কথা মতো না চলবে ততদিন আমি নিলার শরীর টাচ করবো না। আর যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে অন্য ব্যাবস্থা করবো। ভাবছিলাম আজ নিলার ২৭ বছরের জীবনের একটা কষ্টের ইতি ঘটতে যাচ্ছে।
কিন্তু না। সেই কষ্টটা আরো দ্বীর্ঘ মেয়াদি হলো। নিলার মুখটা আমার চোখে ভাসছে। মন চাচ্ছে এখন গিয়ে মনের ইচ্ছে মত কিস করার জন্য। কিন্তু সেটা সম্ভব না। যেদিন পর্যন্ত আমার পায়ে ধরে মাফ না চাইবে ততদিন পর্যন্ত কোনো স্পর্শ নাই। যদি পরকিয়া করে করুক পরদিন অন্য মেয়ে নিয়ে আসবো। যেহেতু ২৭ বছর কোনো পরকিয়া করে নাই। মনে হয় না সামনে করবে। এসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকাল বেলা ঘুম ওঠে দেখি । নিলা পাশে আমকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে বিছানার উপর। আমি সাথে সাথে ওঠে পড়লাম। নিলাও ওঠে পড়লো বলল

নিলা: কি হলো ওঠে পড়লি কেনো?

আমি: তোমাকে কে বলেছে আমার সাথে শুতে?

নিলা: আমার মন চাইছে তাই‌।

আমি: থাকো তুমি তোমার মন নিয়ে।

👉আমি চলে গেলাম ওয়াশ রুমে। ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে টেবিলে পড়াত বসলাম। কিছুক্ষণ পরলে মা ডাক দিলো খেয়ে যেতে। খাইতে গেলাম। মা জিজ্ঞেস করলো

মা: নিলা‌‌ কই?

আমি: আসে নাই?

মা: না

আমি: আসবো নে।

👉মা আমার রুমে গেলো। গিয়ে নিলাকে নিয়ে আসলো। আমি খাওয়া দাওয়া করে চলে গেলাম রুমে। একটা কথাও বললাম না। খেয়ে চলে আসলাম। বিছানায় শুয়ে মোবাইল টিপছি। নিলা চা আনলো বলল।

নিলা: এই নে চা।

আমি: টেবিলে রাখো।

নিলা টেবিলে রাখলো। নিলা বলল

নিলা: আমি বাইরে যাবো।

আমি: যেখানে মনে চাও যাও। আমাকে জিজ্ঞেস করার কি আছে?

👉দেখলাম নিলা রেডি হয়ে বাইরে চলে গেলো। আমিও পিছে পিছে বের হলাম। কারন সে আমার বউ । সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি তাকে ভালোবাসি। নিলা এলাকার কয়েকজন ছেলের সাথে দেখা করলো। তাদের সাথে অনেক ক্ষন কথা বলল।
আবার নিলা বাড়ির দিকে হাঁটা ধরলো। আমি দোকানে গিয়ে সিগারেট ধরাইলাম। খেয়ে বাসায় আসলাম। দেখি নিলা ঘর ঝাড়ু দিচ্ছে। আমি বিছানায় শুয়ে পরলাম। নিলা আমার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে। দেখে আমি কিছু বলি কিনা। কিন্তু না আমি একটা কথাও বলবো না। যতদিন পর্যন্ত এসব না ছাড়বে এভাবে মানসিক কষ্ট পেয়ে যাবে। ঝাড়ো দিয়ে আমার পাশে শুইলো। আস্তে আস্তে নিলা একটা হাত আমার শরীরে রাখলো। আমি যত বিরক্ত আছে সব বিরক্ত নিয়ে নিলার দিকে তাকালাম। নিলা হাত সরিয়ে নিলো। আমি ওঠে কাপড় নিয়ে ওয়াশ রুমে চলে আসলাম। ভাবলাম আমার কথা মানবে না। আবার আমার কাছ থেকে সুখের আশা করে। এতো সোজা না দুনিয়াটা । আমি দেখলাম নিলার কয়েকটি কাপড় ভিজানো আছে। সেগুলো ধুয়ে দিলাম। আমি গোসল করে কাপড় গুলো নিয়ে সাদে চলে গেলাম। সাদে গিয়ে কাপড় লেড়ে আসলাম। এসে দেখি নিলা ওয়াশ রুমে মনে গোসল করছে। আমি টেবিলে বসে বই ঘাটছি।ভাবছি এক রুমে দুই মানুষ একজনের সাথে আরেক জন কথা বলে না। নিলা ওয়াশ রুম থেকে গোসল করে বের হলো। নতুন এক শাড়ি পরে যেটা দেখে আমার মাথা পুরা গরম হয়ে গেলো। নিলা কাপড় লেড়ে বিছানায় বসে চুল আঁচড়াইতেছে। আর আমি লোভাতুর দৃষ্টিতে নিলার দিকে তাকিয়ে রইলাম। তার কোমড়ের একাংশ দেখা যাচ্ছে। আমি কাশতে কাশতে বাথরুমে চলে গেলাম।

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here