#ভ্যাম্পায়ার,পর্বঃ২
#লেখাঃ লাবন্য নাওয়ার
নিমি- কি দেখেছিস? ?
রাত্রি – ভ্যাম্পায়ার।
নিমি- হেহেহে।
থাম থাম আগে ভাল মত হেসে নেই।
কি দেখেছিস তুই! !! ভ্যাম্পায়ার! !???
seriously? ??সকাল সকাল মজা করতে ইচ্ছা হল
তোর??
রাত্রি- আমি সিরিয়াস।
আমি সত্যি বলছি।
আমি কাল রাতে দেখেছি।
নিমি- দোস্ত তুই ভুত পেত এর বই টই প্লিজ কম
পর।
রাত্রি- আমি জানি তুই মানবিনা।
বাট যা সত্যি তাই বললাম।
নিমি- আচ্ছা হইছে যা এখন বাসায় যা।
আর তোর গাড়ি আব্বু রিপেয়ারিং এ
পাঠিয়েছে।
বিকালে পেয়ে যাবি।
।
রাত্রি- আমার মাথায় শুধু কাল কের বিষয় টা
ঘুর ঘুর করছে।
এসব কি আসলেই থাকে।
এগুলা ত বই এ পরেছি।
কিন্তু এদের অস্তিত্ব কি আসলেই আছে? ??
আর একটা জিনিস এখন মনে পরল।
জ্ঞান হারানোর একটু আগে আমি এক জন কে
দেখেছিলাম।
কিন্তু ঝাপ্সা ঝাপ্সা।
তার চেহারাটা মনে করতে পারছিনা।
তাহলে কি ওই লোক টাই ফোন দিয়েছিল? ??
কে ছিল লোকটা? ??
।
ও কি মানুষ ছিল? ? নাকি? ?
তাহলে আমাকে বাচালো কেন? ??
কি হল এটা।
আগে ত শুধু স্বপ্ন দেখতাম।
এখন বাস্তবেই দেখে ফেললাম।
এত ভয়ংকর জিনিস দেখতে হবে কখনই ভাবি
নি।
চোখ বন্ধ করলেই সেই দৃশ্য ।
সারাদিন বাসায় শুধু এটা নিয়ে ভাবলাম।
আর কিচ্ছু ভাবতে পারছিনা আমি।
আজ সারাদিন বাইরে যাই নি।
পিঠে কেমন ব্যথা করছে।আয়নার সামনে
যেয়ে গেঞ্জি সরিয়ে দেখলাম একটা চিহ্ন।
চিহ্ন টা লাল হয়ে গেছে।
আমি ওই টা দেখে ভয়ে পিছে সরতে যেয়ে
নিচেই পরে গেলাম।
এটা কি দেখলাম আমি।
এটা এইভাবে জ্বলছে কি করে
?
কি করে সম্ভব।
মনে হচ্ছে আলো ছড়াচ্ছে। আধারে ওইটা
আরও প্রখর হয়ে উঠেছে।
আমি আস্তে আস্তে উঠে দাড়ালাম।
ঘরে অন্ধকার।
বাইরে বৃষ্টি।বৃষ্টির সাতগে ঘন ঘন বিদ্যুৎ
চমকাচ্ছে।
আমি আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছি।
বিদ্যুৎ চমকানো র সাথে সাথে মনে হল আমি
আয়নায় কাওকে দেখতে পেলাম।
আমি সাথে সাথে পিছনে তাকালাম।
কেউ নেই।
তাহলে! !” আবার আয়নায় তাকালাম।
কই কেউ ত নেই।
তাহলে হয়ত আমার মনের ভুল হবে।
চিহ্ন টার জায়গাতেও এখন আর ব্যথা নেই
আর ওইটা জ্বল জ্বল ও করছেনা।
আমি বিছানা তে যেয়ে বসে পরলাম।
পাশেই পানির বোতল ছিল।
ঢক ঢক করে সব পানি খেয়ে নিলাম।
আমার প্রায় ই মনে হয় কেউ আমাকে দেখে।
দুর থেকে ফোলো করে।
এটা কি আমার মনের ভুল? ??
নাকি সত্যি।
আয়নার মধ্যে কাকে দেখলাম।
স্পষ্ট ছিল না মুখ টা।
কিন্তু! !
কিন্তু কেউ ত ছিল।
কে ছিল? কি ছিল? ??
কেনো হচ্ছে আমার সাথে এসব? ??
মাথা ধরে আসছে আমার।
কিচ্ছু ভেবে পাচ্ছিনা
শুয়ে পরলাম।
কখন ঘুমিয়ে ছি জানিনা।
-রাত্রি জানেও না কেউ প্রতি রাতে আসে
ওর কাছে। ঘুমন্ত
ওকে দেখে।আবার চলে যায়। আজ ও এসেছে।
ওকে দেখছে।মুখ থেকে চুল সরিয়ে দিচ্ছে।
ঘুমন্ত ওকে চেয়ে চেয়ে দেখছে।)
রাত্রি- ঘুম টা হঠাত ভেংগে গেল।
মনে হল গালে কারও হাতের স্পর্শ পেলাম।
ঠান্ডা অনেক ঠান্ডা।
যেনো বরফ।
কিন্তু কেউ ত নেই।
হয়ত স্বপ্ন দেখেছি।
(—- স্বপ্ন না
সত্যি। কিন্ত তুমি জানবেনা কখনও।)
রাত্রি – সকালে আড়মোড়া ভেংগে ঘুম থেকে
ঊঠলাম।নিচে কিসের এত আওয়াজ হচ্ছে
বুঝতে পারছিনা।
নিচে গেলাম।
আরে মারুফ কাকু তুমি কখন এলে? ??
আর তুমি যে আজ আসবে আআমাকে ত ফোন
করনি।
।
মারুফ কাকু- আজ এসেছি এক কাজে।
তুমি কি মনে কর আমি কিছুই জানিনা? ??
আমি সব শুনেছি।
রাত্রি- কিন্তু কি হয়েছে? ?
কাকু- তোমাকে বলেছিলাম আমার সাথে
জাপান চলে যেতে।
কিন্তু তুমি যাও নি।
দেখো তোমার নানুর সাথে আমার খুব ভাল
বন্ধুত্ব ছিল।
আমরা ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলাম।
তোমাকে ছোট বেলা থেকে চিনি।
আমাকে বিজনেস এর জন্য বাইরে থাকতে হয়।
তোমার দেখা শুনা এইখানে থাকলে সম্ভব
না।
তাই তুমি আমার সাথে কাল কেই যাবে
আমার বাড়ি।
রাত্রি- কাকু তুমি ত জানো।
ছোট বেলা থেকে আমি এই বাড়িতে বড়
হয়েছি।
কত স্মৃতি রয়েছে।
আমি কিভাবে এই বাড়ি, এই দেশ ছেড়ে চলে
যাব বল? ?
কাকু- ঠিক আছে আমি অন্য ব্যবস্থা করছি
আর এই টা নিয়ে আমি কোনো কথা শুনব না।
তুমি যদি এটা নিয়ে অবজেকশন থাকে
তাহলে তুমি আমার সাথে যাবে।
রাত্রি- কি কাকু? ?
কাকু- আমি তোমার জন্য বডি গার্ড ঠিক
করেছি।
আমি জানতাম তুমি আমার সাথে যাবেনা।
তাই আগেই ব্যবস্থা করে রেখেছি
রাত্রি- বাট! !!!….
কাকু- প্রহরর!!!!????
রাত্রি- আমি দরজার দিকে তাকালাম।
মনে হল একটা হলিউড হিরো এন্ট্রি নিল।
ব্লাক জিন্স, ব্লাক শার্ট উইথ ব্লাক কোট আর
ব্লাক সান গ্লাস।
বাপ রে কি বডি!!!! আমি হা হয়ে তাকিয়ে
আছি
কাকু- এ হচ্ছে প্রহর এখন থেকে তুমি ওর কথায়
চলবে।
রাত্রি- এত ক্ষনে টনক নড়ল। ওর কথায় চলব
মানে? ??
ও চলবে আমার কথায়।
কাকু- ও চলবে তোমার কথায় এটা ঠিক। কিন্তু
তোমার সিকিউরিটি এরর ব্যপারে ও যা
বলবে সেটা তোমাকে মানতে হবে।
আর প্রহর ও আমার মেয়ের মত। মনে কর মেয়ে
ই।ওএ ভাল মত খেয়াল রাখবে।
আমি সব কিছুর খবর নিব সব সময়।
এখন থেকে সব দায়িত্ব তোমার।
আমি ওর ব্যপারে কোনো গাফিলতি বরদাস্ত
করব না মনে রেখো।
প্রহর – জি স্যার।
কাকু- আর মামনি আমি এখন যাচ্ছি।
আমাকে আজ ই বেক করতে হবে
আমি কিন্তু সব কিছুর খোজ রাখব।
এদিক সেদিক হলে তোমাকে নিয়ে যাব মনে
রেখো।
আর হ্যা প্রহর তোমার থাকার ব্যবস্থা আউট
হাউজে করেছি।
আমি এখন আসছি।
বাই মামনি।
রাত্রি- কাকু কে বাইরে পর্যন্ত দিয়ে
আসলাম।
পিছে ঘুরতে ই বাড়ি খেলাম।
উফফ পিছে এমন ভুতের মত দাড়িয়ে আছো
কেন? ? সরতে পারোনি।
প্রহর – সরি।
রাত্রি – এ কার উপর আমার দায়িত্ব দিয়ে
গেলো কাকু
দুর।
এই এই এই ভাবে তাকিয়ে আছো কেন? ? চোখ
নামাও।
শুননি কাকু কি বলেছে? ?
আমার কথা মত শুনতে হবে।
প্রহর – আমি একটু তারছিল্য ভাব দেখালাম।
রাত্রি- ছেলের সাহস কত আমার কথা শুনেও
শুনছেনা।
এই তোমার নাম কি যেনো?
প্রহর – কেনো আগে শুননি।?
রাত্রি- শুনেছি।
তাও তুমি আবার বল।
প্রহর- …………
রাত্রি- ওই কি বললাম? ?
প্রহর- নাম মনে করে নেও। আমি বলতে পারব
না।
বলে ভেতরে যেতে লাগলাম।
রাত্রি- এর সাহস ত কম না।
আমাকে মেজাজ দেখানো? ?? আমাকে! !!??
দাড়াও দেখাচ্ছি।
এই তোমার সাহস ত কম না।
তুমি …….
প্রহর – ঘুড়েই ওকে দেওয়ালে চেপে ধরলাম।
রাত্রি- আমি অবাক হয়ে গেলাম।
বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছি ওর দিকে।
ও আরেক টু আমার দিকে এগিয়ে আসল।
আমি মুখ টা সরিয়ে নিলাম।
প্রহর- বেশি বক বক করা আমার এক দম পছন্দ
না।
তাই চুপ করে থাকো।
এর পর আমার সামনে আর বক বক করবেনা।
বুঝলে???
রাত্রি- এই তোমার এত সাহস। ???
প্রহর – সাহসের কিছুই দেখো নি এখনও।
বলে ছেড়ে দিলাম রাত্রিকে।
রাত্রি- এ আমাকে নাকি রক্ষা করতে
আসছে।
মনে হচ্ছে এই ই আমাকে মারতে এসেছে।
শয়তান, ফাযিল, কুত্তা একটা।
এখন এর থেকে আমাকে বাঁচাবে কে? ?
দুর।
রুমে যেয়ে ইচ্ছামত চিল্লালাম।
রাগে আমার মাথা ফেটে যাচ্ছে।
চলবে……………