বসন্ত বিলাপ-৬,৭

বসন্ত বিলাপ-৬,৭
ইসরাত মোস্তফা
০৬

রিসেপশনে নিতান্তই ছোকরা বয়সী একজন পুলিশ অফিসার বসা। হাসিব এগিয়ে যেতেই বলল, “আপনিই হাসিব আদনান?”
“জি।” বলে নিজের বিজনেস কার্ডটা এগিয়ে দিলো হাসিব। অফিসার নিজের পরিচয় দিলো সাব-ইন্সপেক্টর সাজিদ বলে। হাসিব এখানে কেন এসেছে, কী কাজে এসেছে এসব প্রশ্ন করল। হাসিব সবকিছুরই ঠিকঠাক জবাব দিলো। অফিসের কাজে এসেছে শুনে সাজিদ জিজ্ঞেস করল, “তাহলে মেয়ে নিয়ে আসলেন, কাহিনিটা কী?”
“মেয়ে নিয়ে আসলাম মানে?”
সাজিদ তার মোবাইলে একটা মেয়ের ছবি দেখিয়ে বলে, “এই মেয়েটাকে নিয়ে সিলেটে আসেননি আপনি?”
সাজিদের মোবাইল স্ক্রিনে হাসিবের পাশের সীটের মেয়েটারই ছবি। হাসিব অবাক হয়ে বলল, “আরে এই মেয়েটা তো আমার পাশের সীটে বসেছিল। কিন্তু আমরা এক সাথে আসিনি, মানে চিনি না তাকে।”
এস.আই হাসছে, “হাসালেন মিয়া, চিনেন না, অথচ সারা রাস্তা গুটুর গুটুর করতে করতে এলেন, এক ছাতার নিচে ঘুরাঘুরি করলেন। কী মনে হয়? ফিডার খাই আমি? বাসের সুপারভাইজারের কাছ থেকে পাক্কা খবর পেয়েই আমি এসেছি।”
হাসিব যতই বুঝাতে চেষ্টা করে, অফিসার তা বুঝতে নারাজ। এক সময় বলে ওঠে, “আরে মিয়া, একলা অচেনা মেয়ে আপনার পাশে বসে আসলো, এটাই তো আমার হজম হচ্ছে না। এই জীবনে কম তো জার্নি করলাম না!”
হাসিব বলল, “ও আপনারও এই কেস?”
“আরে হ্যাঁ, পুলিশ জানতে পারলে তো আরও বসে না। ভাবছিলাম বিয়ে করে বউ নিয়ে ঘুরব, তাও নাই কপালে!”
হাসিব গলা নামিয়ে বলল, “আপনারও বিয়ে হয় না?”
“না রে ভাই। মেয়ে পাই না।”
“বলেন কী! পুলিশের কি মেয়ের অভাব? আমি তো জানি মাছের রাজা ইলিশ, আর জামাইয়ের রাজা…”
“বিসিএস ক্যাডার।” হাসিবকে কথা শেষ করতে না দিয়ে বলে ওঠল সাজিদ। তার চেহারায় স্পষ্টতই ক্যাডার না হতে পারার বেদনা।
“এই জিনিসটা ভাই ঠিকই বলেছেন। প্রাইভেট চাকরি করি, খালি শুনতে হয় অমুকের ভাগ্নে বিসিএস ক্যাডার, কেউ ফরেন, কেউ অ্যাডমিন, কেউ হেলথ, আমাদের তো দামই নাই।”
দুই বিবাহযোগ্য যুবক নিজেদের দুঃখের কাহন গাইতে শুরু করে দেয়। কিছুক্ষণ পর এস.আই. সাজিদের হুঁশ ফিরল। “আরে, আপনি তো আচ্ছে ঘাঁঘু লোক! কথার জালে ফাঁসিয়ে ফেলেছেন আমাকে। শোনেন, এই মেয়ে নোয়াখালীর এক এমপির মেয়ে। ঢাকায় খালার বাসায় এসে সেখান থেকে পালিয়েছে। এখন এই পালানোতে আপনার ভূমিকা কী বলুন।”
“আরে ভাই, আমি চিনি না মেয়েটাকে। জীবনে দেখি।নাই আগে, সত্যি বলছি। আমি অফিসের কাজে আসছি।”
হঠাৎ সাজিদের চোখ গেল হাসিবের হাতের দিকে। কিছুক্ষণ একদৃষ্টে তাকিয়ে থেকে বলল, “এটা আপনার ছাতা?”
অফিসারের প্রশ্ন শুনে নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে নির্বুদ্ধিতার জন্য মনে মনে নিজের গালি দিলো হাসিব। রুম থেকে বের হওয়ার সময় ভেবেছিল পুলিশের সাথে কথা শেষ করে একটু সাইট ঘুরে আসবে। চোখের সামনে টেবিলের উপর ওই মেয়েটির ছাতা দেখে সেটাই নিয়ে চলে এসেছে। এটাই যে এখন তার জন্য ফাঁদ হয়ে দাঁড়াবে, কে জানতো!
হাসিবকে বেকায়দায় ফেলতে পেরেছে বুঝতে পেরে সাজিদ মুখে ধূর্ত হাসি ফুটিয়ে বলল, “দেখলেন, ক্যাডার না হলেও বুদ্ধি কিন্তু কম না আমার। এটা ওই মেয়েটারই ছাতা, তাই না?”

বাস সিলেটে পৌঁছতেই মেয়েটা হাতের ছাতা আর ওষুধের একটা প্যাকেট, যেটা সম্ভবত যাত্রাবিরতির সময় কিনেছিল, হাসিবের হাতে ধরিয়ে দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে নেমে গেল বাস থেকে। হাসিব বাস থেকে নেমে প্রায় ঘঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করেছিল মেয়েটির জন্য। শেষমেশ এগুলো নিয়ে হোটেলে চলে আসে। এখন তো দেখা যাচ্ছে ভালো বিপদেই পড়ে গেল সে।

চলবে

বসন্ত বিলাপ

কথায় আছে, “বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, আর পুলিশ ছুঁলে ছত্রিশ ঘা।” বত্রিশ বছর বয়সে এখনও শ্বশুরবাড়ির দেখা পেলো না, কিন্তু শেষমেশ না মেয়ে নিয়ে পালানোর অভিযোগে আসল শ্বশুরবাড়ির দর্শন হয়ে যায়। এই ঘটনা অফিসে জানাজানি হলে তো চাকরি বাঁচানোই কঠিন হয়ে যাবে। পরবর্তী দুইদিন দারুণ ঝামেলার মধ্যে কাটলো হাসিবের। পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অনেক ব্যাখ্যা, প্রমাণ, চৌদ্দগুষ্টির ইতিহাস জমা দিতে হয়েছে। থানা থেকে বলা হয়েছে যতদিন সিলেটে আছে, ততদিন থানায় দুইবেলা হাজিরা দিতে হবে। তাছাড়া ওই মেয়েকে না পাওয়া পর্যন্ত তাকে সিলেট ছাড়তেও নিষেধ করা হয়েছে। এই ব্যাপারটা অফিসে কীভাবে সামলাবে বুঝতে পারছে না কিছুতেই।

এর মাঝে ফিল্ড ক্যাম্পেইনের কাজ চলছে। কাজের প্রতি সবসময় আন্তরিক হাসিবের মনোযোগচ্যুতি ঘটছে বারবার। সেদিন স্থানীয় একটা কলেজের ক্যাম্পাসে ক্যাম্পেইন চলছিল। বেশ অনেকক্ষণ ধরেই হাসিব খেয়াল করছে বোরকা পরা এক মহিলা বা মেয়ে তার আশেপাশে ঘুরঘুর করছে। অবশ্য এখানকার অধিকাংশ মেয়েরাই বোরকা-নিকাব পরে। প্রথমটায় ব্যাপারটা আমলে নেয়নি। কিন্তু মহিলার গা-ঘেঁষা আচরণটা একটু বিসদৃশ মনে হতে থাকে। হাসিব বোরকাবৃতার দিকে তাকিয়ে বলে, “আপনি কি কিছু বলতে চাচ্ছেন?” উত্তরে মাথা উপরে-নিচে নাড়ায় মহিলা। হঠাৎই হাসিবের হাত ধরে টেনে সাইডে নিয়ে আসে তাকে।

ঘটনার আকস্মিকতায় চমকে যায় হাসিব। এই সিলেট আসাটাই ওর জন্য কুফা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একের পর এক নারী কেলেংকারি হচ্ছে। লোক জানাজানি হলে বিয়ের সাধ তো জলাঞ্জলি দিতে হবেই, সাথে চাকরিটাও না খোয়া যায়। চমক অবশ্য বাকি ছিল, কারণ বোরকাওয়ালি নিকাব উঠালে রীতিমতো ‘জোরকা ঝটকা’ খেলো হাসিব। বাসের সেই ফটফটানি ভাগুড়ে মেয়েটা। হাসিব তাকে দেখেই প্রায় চিৎকার করে বলে উঠল, “আপনি! আপনি কোত্থেকে?” মেয়েটা হুট করে এসে হাসিবের মুখ চেপে ধরল। হিসহিসিয়ে বলল, ‘আরে, পাগল হলেন নাকি! লোক জড়ো করতে চান?” হাসিব ঝটকা মেরে মেয়েটার হাত সরিয়ে বলে, “এই মেয়ে, আমাকে ফাঁসিয়েছেন কেন আপনি? আপনার জন্য দুই বেলা থানার চক্কর কাটছি আমি।”
“আরে আস্তে আস্তে। আমার জন্য আপনি থানার চক্কর কাটবেন কেন? কাহিনি কী?”
হাসিব এস.আই. সাজিদ সেদিন হোটেলে আসার পর থেকে যা যা হয়েছে, সব খুলে মেয়েটাকে। মেয়েটা, যার নাম অবশ্য তার জানা হয়েছে থানা থেকে, রুহি, চিন্তিত বা দুঃখিত হওয়ার বদলে বেশ মজা পেয়েছে বলে মনে হলো। কেমন একটা ফিচলে হাসি দিচ্ছে। বলল, “বাহ! আপনার বোরিং জীবনে একটা এক্সাইটমেন্ট এলো, ভালো হলো না ব্যাপারটা? কোথায় আমাকে থ্যাংকস দেবেন, তা না…”

মেয়েটার হবু স্বামীর জন্য মনে মনে আফসোস হয় হাসিবের। বেচারাকে নিশ্চয়ই এই ভাগুড়ে মেয়ের ভেগে যাওয়ার কাহিনি লুকিয়েই বিয়ে দেয়া হবে। আহারে!

মেয়েটা, যার নাম অবশ্য তার এতদিনে জানা হয়ে গেছে, রুহি, হাসিবের চোখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলল, “আরে, কী চিন্তা করছেন?”
হাসিব হঠাৎ মেয়েটার হাত ধরে বলে, “চলেন আমার সাথে।”
“কোথায়?”
“কোথায় আবার? থানায়। হাজিরা দিয়ে সব সত্য বলে আমাকে মুক্তি দেন।”
রুহি বাতাসে হাত নেড়ে হাসিবের কথাটা হাওয়ায় মিলিয়ে দিতে চাইলো যেন। নিকাবটা আবার মুখের উপর নামিয়ে বলল, “চলেন তো বসে একটু ঠান্ডা মাথায় আলাপ করি।”
কলেজের ভেতরে পুকুর আছে একটা। সেই পুকুরের পাড়ে গিয়েই বসল দু’জন। রুহি নিকাবটা সরিয়ে ফেলেছে আবার। কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকার পর রুহি বলল, “ইউরেকা!”
হাসিব চমকে গিয়ে বলল, “কী?”
রুহি সশব্দে হেসে উঠল, “আরে, আরে, এত ভয় পাবেন না তো! আমি এখন আর্কিমিডিসের মতো দৌড়-ঝাঁপ শুরু করব না, নিশ্চিন্ত থাকেন।”
নাহ! এই মেয়ের মুখে তো কিছুই আটকায় না। হাসিবকে চুপ করে থাকতে দেখে রুহি জিজ্ঞেস করল, “ও মা! কী আইডিয়া পেলাম জিজ্ঞেস করবেন না?”
“সেটা আপনার ইচ্ছা হলে নিজেই বলবেন।”
“ইশ! বললাম না যান। পুলিশ ধরে নিয়ে যাক আপনাকে। এরপর নারী পাচারকারীর কাছে কে মেয়ে দেয় দেখব।”
হাসিবের বিরস মুখের দিকে তাকিয়ে রুহি ঠোঁট টিপে হাসল। তারপর বলল, “আচ্ছা, মুখ ভোঁতা করে রাখতে হবে না, শুনুন। কী হলো, তাকান আমার দিকে। এত সুন্দর একটা মেয়ে কথা বলছে, আর আপনি আকাশ বাতাস দেখছেন।”
“সুন্দর মেয়ে কোথায়?”
জবাবে হাসিবকে উদ্দেশ্য করে ভেংচি কাটল রুহি।
“যা বলছি শুনুন। আমাকে তো বাসা থেকে ফালতু একটা ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চায়। আপনিও বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন, বিয়ে করতে পারছেন না। এক কাজ করুন, আপনি আমাকে বিয়ে করে ফেলুন। দু’জনের লাইফ সেট।”
হাসিব আঁতকে উঠে দাঁড়ায়। “কী বললে তুমি মেয়ে? তোমাকে বিয়ে করব? আমার চেহারায় কি বেকুব লেখা আছে?” নিজের অজান্তেই রুহিকে তুমি করে বলা শুরু করেছে হাসিব।
“দেখি একটু কাছে আসেন তো,” বলে নিজেই উঠে হাসিবের মুখোমুখি দাঁড়ায়। চোখ ছোটো ছোটো করে কিছুক্ষণ হাসিবের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে বলে, “হ্যাঁ, হ্যাঁ, পেয়েছি। এই যে, কপালের ডান দিকে ব এ-কার, ক উ-কার ব। ইয়েস! লেখা আছে।”
হাসিবের নিজের মাথা চাপড়াতে ইচ্ছা করছে। এই মেয়ে আস্ত একটা ফাজিল। এর সাথে কোনো স্বাভাবিক কথাই বলা যাবে না।
সে মুখ গোঁজ করে বলল, “আমি আপনাকে বিয়ে করব না।”
“আরে, ভালো প্রস্তাব দিচ্ছি, রাজত্ব আর রাজকন্যা একসাথে পাবেন। আমার কোনো ভাই-বোনও নেই।”
“নিজেকে তোমার রাজকন্যা মনে হয়? ছাগল একটা! আর তোমার রাজনীতিবিদ বাবার রাজত্বের কোনো দরকার নেই আমার।”
“এরকম করছেন কেন? আমি ফিরে গেলে ওই ভোম্বলটাকে বিয়ে করতে হবে। আর ফিরে না গেলে পুলিশ কিন্তু আপনাকে ধরবে।”
“আরে, চিনি না, জানি না, বিয়ে করে ফেলব? বিয়ে কি এতই সোজা? কত কিছু দেখতে হয় জানো তুমি?”
“এই যে এত ওভারথিঙ্ক করেন, এজন্যই এখনও বিয়ে করতে পারেন নাই।”
এই কথাটা অবশ্য ভুল বলেনি মেয়েটা। আরও অনেকেই এ কথা বলেছে হাসিবকে। হাসিবের মা, বোন, অফিসের বস, বন্ধুরা। লিটল ওয়ান্ডার স্কুলের টিচার মেয়েটার সাথে প্রায় পাকা সম্পর্ক যখন নাকচ করে দিলো হাসিব, তখন তার মা বলেছিল, “এত কিছু ভাবলে বিয়ে করা যায় না।” হাসিবের কী দোষ? মেয়েটাকে তো তার নিজেরও অনেক পছন্দ ছিল। চেহারা, ফিগার, শিক্ষা, পরিবার- সব দিক দিয়ে হাসিবের মনের মতো। কিন্তু বাধ সাধল তার ঘোলাটে চোখ। কেমন যেন অস্বস্তি হতো হাসিবের তার চোখজোড়ার দিকে তাকিয়ে থাকলে। বার বারই ছোটোবেলায় দেখা জি হরর-শো এর একটা দৃশ্যের কথা মনে পড়ে যায়। সেই যে বাসর রাতে বর বউয়ের ঘোমটা তুলল, আর বউ দেখতে পেল বরের চোখে কোনো মণি নেই, পুরোটাই সাদা। এর রিভার্স ভার্শনটাই নিজের সাথে হবে, এই আতঙ্কে ভুগছিল হাসিব। এক সময় মেয়েটাই বুঝতে পেরে সরে দাঁড়ায়। কিন্তু এ পর্যন্ত যদি কাউকে সত্যিকারভাবে ভালো লেগে থাকে, তো সে মেয়েটাই। কিন্তু ভাগ্যের মনে হয় তা মঞ্জুর ছিল না। এতে হাসিবের দোষ কোথায়, সে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না।
একবার মনে হলো, এই মেয়েটা মন্দ বলেনি। দেখতে-শুনতে তো বেশ, শুধু একটু বেশি কথা বলে, আর বাসা থেকে পালিয়েছে, আর বাবা রাজনীতি করে, আর…পড়াশোনার দৌড় কতদূর, তা জানে না হাসিব।

“তুমি পড়াশোনা কিছু করো নাকি সারাদিন বাঁদরামি করে বেড়াও?”
“ইশ! আমি বিবিএ পড়ছি নর্থ-সাউথে।”
“নোয়াখালী থাকো না তুমি?”
“না তো, ঢাকায় খালার বাসায় থাকি। সেমিস্টার ব্রেকে বাসায় গিয়েছিলাম, তখন দেখি এই কেস।”
হাসিবের মনে হলো, একবার রাজি হয়ে গেলে কেমন হয়? হিসাব করে তো কোনো লাভ হলো না, বেহিসাবী হয়ে বরং একবার ভাগ্য পরীক্ষা করা যাক।

তবে মেয়েটিকে কিছু বলার আগেই এস.আই. সাজিদ সেখানে এসে উপস্থিত। সাথে মহিলা কন্সটেবল। হাসিব নিজেই এক ফাঁকে এসএমএস পাঠিয়েছিল তাকে, যে রুহিকে পাওয়া গেছে। পুলিশের গাড়িতে মুখোমুখি বসে দু’জন যখন থানার দিকে যাচ্ছিল, রুহি অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল হাসিবের দিকে। বড় বড় চোখে অভিমানের অশ্রু টলমল করছিল একেবারে। সেদিকে তাকিয়ে হাসিবের বুকের ভেতরটা হা-হুতাশ করতে লাগল।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here