সিটি_হ্যাকড” (চতুর্থ পর্ব)

#সিটি_হ্যাকড” (চতুর্থ পর্ব)

শহরকে হ্যাক করে নেয়া অচেনা অজানা অদৃশ্য হ্যাকারকে কে হ্যাক করতে চাচ্ছে “হার্ট হ্যাকার” নামক একজন হ্যাকার! যে কি না প্রশাসনের হয়ে কাজ করবে!
..
হার্ট হ্যাকার নিজের মতো করে যুদ্ধটা শুরু করলো! প্রথমে কিছু একটা বের করতে হবে!
হ্যাকার ৫টি প্রতিষ্ঠান এ টাকা ব্যাক দিয়েছে কিন্তু হ্যাকারের ব্যাংক একাউন্ট হাইড!
হার্ট হ্যাকার তার নিজস্ব হ্যাকিং ট্যাকনলজি দিয়ে নির্ঘুম একটি রাতে খুব কষ্ট করে হ্যাকারের ব্যাংক একাউন্ট বের করে!
এবার হার্ট হ্যাকার এর পরবর্তী কাজ হচ্ছে হ্যাকারের ব্যাংক একাউন্টটা হ্যাক করা!
তাহলেই কিছুটা ডিটেইলস হয়তো মিলবে!
.
হার্ট হ্যাকার তার হ্যাকিং কাজ শুরু করে! কিন্তু হার্ট হ্যাকার তার আইপি হাইড করে হ্যাকিং লিংক পাঠাতে থাকে!
যাতে হ্যাকার কোন ভাবেই বুঝতে না পারে যে কেউ তাকে হ্যাক করার ট্রাই করছে!
.
রাত তখন ২টা!
হার্ট হ্যাকার বিভিন্ন ভাবে ট্রাই করছিল কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না! অবশেষে হার্ট হ্যাকার ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক করে ফেলে!
ব্যালেন্স জিরো!
একাউন্ট নেম “রাফাত হাসান”
একাউন্ট ডিটেইলস ফেইক ও হতে পারে!
তাই হার্ট হ্যাকার জাস্ট একাউন্ট হ্যাক করেই ঘুমিয়ে পড়লো!
..
সকালে ঘুম থেকে উঠে হার্ট হ্যাকার তার মোবাইল এ একটা ম্যাসেজ দেখতে পায়!
অপরিচিত নাম্বার থেকে ম্যাসেজ!
লিখা ছিল “Welcome to Dark war”
.
ম্যাসেজটা দেখেই হার্ট হ্যাকার লাফ দিয়ে উঠে বসে! হার্ট হ্যাকার চেক করে দেখে অলরেডি তার ল্যাপটপ হ্যাক করে ফেলেছে ওই হ্যাকার!
..
হার্ট হ্যাকার জয়কে একটা ভয়েস রেকর্ড পাঠায়..
বলছে….
“হ্যাকার বুঝে ফেলেছে বাংলাদেশ থেকে কেউ ওকে হ্যাক করার ট্রাই করছে! ও আমার ল্যাপটপ হ্যাক করে ফেলেছে! হয়তো ও এখন আপনার সাইবার সেল সিস্টেম হ্যাক করতে চলেছে! আপনার ইথিক্যাল হ্যাকারদের বলুন কাজ করতে”
জয়; ওকে আমি করছি! কিন্তু আপনার ল্যাপটপ হ্যাক করে তো ও সব জেনে গেলো?
হার্ট হ্যাকার ভয়েস দেয় “আমরা হ্যাকার! ল্যাপটপে সব ডিটেইলস রাখি না! ল্যাপটপে কিছুই নেই! আপনি জাস্ট সজাগ থাকুন! আমি দেখি ওর (হ্যাকার) কি ব্যবস্থা করা যায়”
.
১ দিন পর!
..
হার্ট হ্যাকার জয়কে একটা অন্য ফেসবুক একাউন্ট থেকে ম্যাসেঞ্জারে ভয়েস রেকর্ড পাঠায়!
বলে “আমি হার্ট হ্যাকার বলছি..এই হ্যাকারকে হ্যাক করা আমার পক্ষে সম্ভব না..দুঃখিত”
জয় রিপলে দেয় “কেন?”
হার্ট হ্যাকার আর রিপলে দেয় নি!

১ দিন কেটে যায়!
..
হঠাৎ “আধারের গল্প” আইডি দিয়ে হার্ট হ্যাকার জয়কে ভয়েস দেয় “প্লানিং সাক্সেসফুল..আমি জানাচ্ছি”
জয় অপেক্ষা করে হার্ট হ্যাকারের…

২দিন পর হার্ট হ্যাকার ভয়েস দেয়!
“ইয়েস আই ডিট ইট”
.
জয়; বললেন পারবেন না! আবার কি হলো?
হার্ট হ্যাকার; ওটা একটা ফাদ ছিল! ওই ম্যাসেজটা সহ আমার ২য় ল্যাপটপটা হ্যাক করে ওই হ্যাকার! তখন ওই ম্যাসেজ দেখে হ্যাকার ধরে নিয়েছে আমি হার মেনেছি! আর এটা করার কারন ও দেশের বাহিরে চলে যেতে পারে ভয়ে!
.
জয়; তাহলে এখন?
হার্ট হ্যাকার; আমি অলরেডি ওর ল্যাপটপে একবার প্রবেশ করে ফেলেছিলাম! জাস্ট ৩ সেকেন্ড এর জন্য হ্যাক করে ফেলেছিলাম! কিন্তু ওর পাসওয়ার্ড প্রতি ৪ সেকেন্ড পর পর চেঞ্জ হয় তাই ওর ল্যাপটপ কেউই কখনো হ্যাক করতে পারবে না! কেউ হ্যাক করলেও সময় পাবে মাত্র ৪ সেকেন্ড! ৪ সেকেন্ডে পর আউট!
জয়; তাহলে?
হার্ট হ্যাকার; দুনিয়ার সবচাইতে বড় ট্যাকনলজিটা আমি ইউজ করবো যেটার কাছে ওর মতো হ্যাকার ও হার মানবে!
জয়; কি সেটা?
হার্ট হ্যাকার; জানতে হবে না!
.
হার্ট হ্যাকার তার রা*বে* পাই কম্পিউটারটি বের করে!
সেটাতে প*জ* ট্যা* নামক ডিভাইসটি আনলক করে!
এবং হ্যাকারের লিংকে ক্লিক করে মাত্র ৪৩ সেকেন্ডেই হ্যাক করে ফেলে হ্যাকারের ল্যাপটপ!
এবং সাথে সাথেই হ্যাকারের ল্যাপটপে থাকা পিক এবং ফাইল গুলো কপি করে নিয়ে ফেলে!
..
হার্ট হ্যাকার ভয়েস দেয় জয়কে “পিক পাঠালাম! হ্যাকারের নাম আদিল আল মাহবুব..০১********২ এই নাম্বারটা ট্রেক করলেই হয়তো ওর লোকেশন পেয়ে যাবেন”
জয় পিকটা থেকে!
প্রচুর স্মার্ট একটা ছেলে!
বয়স ২৩-২৪ হবে!
..
জয় নাম্বারটা প্রথমিক ট্রেকিং এ দিয়ে জানতে পারে খাগড়াছড়িতে নাম্বারটা সচল আছে!
জয় রাত ৩টায়ই তার সহকর্মীদের নিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে!
এবং একদম এলাকা লোকেশন বের করার ট্রাই করছিল ট্রাকিং টিম!
.
সকাল সকাল জয় সহ পুরো টিম খাগড়াছড়ি পৌছে যায়!
জয়ের হাতে একদম এডজেক্ট লোকেশন হ্যাকারের!
..
কিছুটা পাহাড়ি পথ,জংগল পাড়ি দিয়ে জয় এবং বাকিরা বাড়িটির সামনে এসে দাঁড়ায়!
একটা কুড়েঘর পাহাড়ের ওপর!
দূরে থেকেই দেখা যাচ্ছে ঘরে তালা দেয়!
লোকেশন অনুযায়ী এটাই হ্যাকারের বাসা!

জয় সহ বাকিরা পজিশন অনুযায়ী বাড়িতে ঢুকলো!
তালাটি ভেংগে ঘরে ঢুকলো!
বাড়ি ফাকা!
রুমে ঢুকে সবাই দেখে!
রুমটা একদম অগোছালো! রুমে ৬টা ল্যাপটপ,,৩টা মোবাইল! ল্যাপটপ গুলো সবই ওপেন..একটা বিছানা যেখানে এখনো মশারি টানানো আছে!
টুকাটুকি জিনিসপত্র!
একটা ব্যাগ যেখানে কিছু টাকার বান্ডেল!

নাঈম(জয়ের সহকারী); স্যার হ্যাকার এই ছোট কুড়েঘরে বসে পুরো দেশটাকে নাড়িয়ে দিল!
.
জয়; হ্যা এটাই প্রযুক্তি! কেউ ভালো কাজে ব্যবহার করে আর কেউ খারাপ কাজে!

হ্যাকারকে পাওয়া গেলো না! ল্যাপটপ,মোবাইল গুলো জব্দ করে জয় এবং টিম হ্যাকারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে একটি হোটেলে হ্যাকারের পিক দেখিয়ে জয় জিজ্ঞাসা করে…
..
জয়; একে চিনেন?
(লোকটি চাকমাইয়া ভাষায় কিছু বললো জয় কিছুই বুঝলো না)
তখনি পাশ থেকে একজন যে বাংলা বুঝে এবং বলতে পারে “আরে এটা তো মাহবুব ভাই”
.
জয়; হ্যা চিনেন তাকে?
লোকটি; হ এইতো সামনেই বাড়ি!
জয়; বাড়িতে নেই! কোথায় পাবো বলতে পারেন?
.
লোকটি ; মাহবুব ভাই তো একটু পরেই এখানে নাস্তা করতে আসবে! এখন মর্নিং ওয়ার্ক করতে গেছে তাই বাড়িতে নেই!
জয়; আচ্ছা আমরা অপেক্ষা করছি!
(সবাই হোটেলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে পজিশন নিল)
..
লোকটি ; আপনারা কারা? মাহবুব ভাইরে কেন খুজেন?
জয়; আমরা তার পুরনো বন্ধু! আচ্ছা মাহবুব এখানে কতদিন ধরে থাকে? কেন থাকে? আগে তো ঢাকা ছিল!
লোকটি; হেয় তো ট্রাভেলার! আমগো খাগড়াছড়ি ঘুরতে আসছে! অনেকদিন ধরেই তো থাকে!

কিছুক্ষন পরই…
কালো হুডি গায়ে হাফ প্যান্ট এবং পায়ে কেডস! একটা ছেলে হোটেলে এসে ঢুকলো!
স্মার্ট একটা ছেলে!
এটাই মাহবুব!
মাহবুব এসে হোটেলে বসতেই জয় পিছন থেকে বলতে থাকে “Mahobub hacked”
জয়ের সহকর্মীরা মাহবুবকে পিস্তল তাক করে ধরে ফেলে!
মাহবুব এরেস্ট হয়”
মাহবুবকে নিয়ে জয় এবং টিম ঢাকায় ফিরে আসে!

মিডিয়াতে নিউজ হয় “হ্যাকার হ্যাকড”…
দেশবাসী যেন টেনশন মুক্ত হয়!
..
জয় মিডিয়াকে বলে ” আমরা ওকে আমাদের হেফাজতে রেখেছি! জিজ্ঞাসাবাদ করবো তারপর আমি নিজে মিডিয়া এবং দেশবাসীকে জানাবো ও কে? কেন? এবং কিভাবে?”

মাহবুবকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়!
মাহবুব মাথা নিচু করে বসে আছে!
..
জয়; Why did u hack My city?
.
চলবে!
..
লেখক; আলিফ খান(মেন্টাল)
.
গল্পটি কাল্পনিক!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here