#সিটি_হ্যাকড (৩য় পর্ব)
হ্যাকার পুরো ডিপার্টমেন্টকে চ্যালেঞ্জ করছে!
একটি চ্যানেল এর পুরো সিস্টেম হ্যাক করে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে হ্যাকার!
…
পুরো দেশের মানুষ অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকে ডিএমপির দিকে! এদিকে ডিএমপির হাতে কোন লিড নেই!
হ্যাকার যেন জাস্ট পুরো দেশটা নাড়িয়ে দিচ্ছে!
জয়ের ওপর প্রচুর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে!
খুব দ্রুত এই হ্যাকারকে ক্র্যাক করার জন্য কিন্তু সাইবার সেলের ইথিক্যাল হ্যাকাররা অবদি পরাজিত এই হ্যাকারের কাছে!
পুরো দেশ স্তব্ধ মিডিয়া গরম!
..
এমন অবস্থায় জয়ের সাথে মিটিং এ বসে জয়ের উর্ধ্বতন কর্মকতারা!
মিটিং এ জয়কে তার প্লানিং সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে,কিভাবে সে এই হ্যাকারকে ক্র্যাক করবে এসব জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে!কিন্তু জয়ের কাছে কোন উত্তর নেই!
..
হঠাৎ মিটিং রুমে জয়ের সহকর্মী রাকিব প্রবেশ করে!
..
রাকিব; স্যার একটা শকড নিউজ আছে!
অফিসার; হ্যাকার আবার কিছু হ্যাক করেছে এইতো?
রাকিব; না স্যার! টাকা গুলো ফেরত আসছে!
জয়; What!
রাকিব; ৫টি প্রতিষ্ঠান এর ব্যাক একাউন্ট ডিটেইলস হ্যাকড করে হ্যাকার যেই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল সেটা আবার প্রতিষ্ঠান এর ব্যাংক একাউন্ট এ ব্যাক আসছে! যাদের মোবাইল ব্যাংকিং এর টাকা হ্যাকড হয়েছিল তাদের টাকাও ফিরে আসছে!
অফিসার; What nonsense..
জয়; কি বলতেছ তুমি রাকিব?
রাকিব; স্যার আমি সত্যি বলছি!
.
জয় চেক করে দেখে হ্যা সত্যিই কোম্পানি গুলো তাদের টাকা এবং ফাইল যেগুলো হ্যাকড হয়েছিল সেগুলো ফিরে পেয়েছে!
..
জয়; এতগুলো টাকা হ্যাকড হলো…ফাইল হ্যাকড হলো! আবার ফিরিয়ে দিল?
রাকিব; স্যার কোম্পানি গুলো এই ফাইল গুলোতে যেই প্লানিং এর ম্যাপ গুলো ছিল! এগুলো যদি হ্যাকার ইউরোপ এর কোন কান্ট্রিকে সেল দিত প্রচুর টাকা পেত!
জয়; কিন্তু হ্যাকার সেটা করলো না! কিন্তু কেন?
রাকিব; স্যার হ্যাকার চাইলে কোম্পানি গুলোকে পথে বসিয়ে দিতে পারতো!
জয়; তাহলে কি হ্যাকার ওর ক্ষমতাটা কাউকে দেখানোর জন্য এতকিছু করলো?
রাকিব; কি বলেন স্যার? জাস্ট এভিলিটি দেখানোর জন্য এত বড় রিস্ক কেন কেউ নিবে? ও এখন মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল!
জয়; নিজেকে প্রমাণ করার জন্যই হ্যাকার হ্যাকিং করেছে..এটা একদম ফেলে দেয়ার মতো কথা না রাকিব!
.
জয়ের ওপর চাপ বাড়তে থাকে!
জয় তার পুরো হ্যাকার টিম নিয়ে এই হ্যাকারকে থামাতে চায়!
কিন্তু কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না!
হ্যাকারের সবকিছুই ব্ল্যানক!
হ্যাকারের লোকেশন ট্রেক করা কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না!
.
জয়ের ইথিক্যাল হ্যাকাররা অনেক ট্রাই করছিল হ্যাকারের সিস্টেমে প্রবেশ করার কিন্তু হ্যাকার অনেক স্ট্রং আইপি দিয়ে কাজ করে তাই অসম্ভব হয়ে পড়েছিল!
এদিকে উল্টো হ্যাকার সাইবার সেলের সিস্টেম ৪-৫ সেকেন্ডের জন্য ডাউন করে দিত এবং নেটওয়ার্ক আউট করে দিত!
..
এভাবেই ল্যাপটপ এর সাথে ল্যাপটপ কিংবা সিস্টেমের সাথে সিস্টেমের লড়াই কিংবা ইনভেস্টিগেশন চলছিল!
.
হঠাৎ করে একদিন দেশের উচ্চপদস্থ ২ জন ব্যাক্তি এবং একজন চলচ্চিত্র শিল্পীর কিছু অনৈতিক কার্যকলাপের অডিও রেকর্ড,ভিডিও রেকর্ড এবং পিক ভাইরাল হয়ে যায় ফেসবুকে!
তাদেরকে পুরো দেশবাসী খুব ভালো জানতো কিন্তু তারা গোপনে এসব উল্টো পালটা কাজ করতো সেটা সেদিন পাবলিক জানতে পারে!
..
ধারনা করা হয় এই হ্যাকার তাদের ফেসবুক সহ বিভিন্ন আইডি হ্যাক করে এসব তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো বিভিন্ন ফেইক আইডির মাধ্যমে ভাইরাল করে দিচ্ছে!
..
এই ৩ জন সহ আরো যারা মুখোশ এর আড়ালে এসব ব্যাপার স্যাপার করে তারা সবাই এখন উঠে পড়ে লাগলো হ্যাকারকে ধরতেই হবে!
তারা তাদের ক্ষমতার মাধ্যমে প্রশাসনকে চাপ দিতে থাকে আর সেই চাপ গিয়ে পড়ে জয়ের ওপর!
..
এদিকে মিডিয়া আরও গরম হয়ে উঠে! নিউজ হয় “ভদ্র মুখের আড়ালে অভদ্র মুখ ফাস করলো হ্যাকার”
…
হ্যাকারকে মুটামুটি সবাই ভয় পাওয়া শুরু করলো! কখন কার কি হ্যাক হয়ে যায় কে জানে…
…
এদিকে একদিকে উচ্চপদস্থ দের চাপ অন্যদিকে মিডিয়ার চাপ অথচ জয়ের কাছে কোন লিড নেই!
হ্যাকার এখনো অন্তরালে!
জয়ের রাতের ঘুম হারাম!
.
রাত তখন ২টা!
হঠাৎ জয়ের ম্যাসেঞ্জারে একটা ম্যাসেজ আসে!
ম্যাসেজে লিখা ছিল “আপনি যা চান আমি তা দিতে পারি”
জয় রিপলে দেয় “কি দিতে পারেন?”
..
আধারের গল্প নামের ফেসবুক আইডি থেকে রিপলে দেয় “হ্যাকারের হদিস দিতে পারি”
..
জয়; অসম্ভব!
আধারের গল্প; আমি পারবো যদি আমি সেইভ থাকি তাহলে!
জয়; কিরকম সেইভ?
আধারের গল্প; আপনি যদি আমাকে ট্র্যাক না করেন তাহলে!
জয়; কিন্তু আপনি কেন আমার হয়ে ওই হ্যাকারের সাথে লড়াই করবেন?
আধারের গল্প; ৩টা জিনিস চাইবো যদি দিতে পারেন তাহলে আমি ওই হ্যাকারের অল সিস্টেম হ্যাক করে ওর লোকেশন বের করবো!
জয়; কি কি শুনি!
..
( আধারের গল্প একটা অডিও রেকর্ড পাঠায়)
..
একটা মেয়ে কন্ঠ বলছে “আমি আড়াল থেকেই হ্যাকারের সাথে লড়াই করবো! আপনাকে সব আপডেট দিব! কিন্তু আপনি কখনো আমার লোকেশন ট্র্যাক করতে পারবেন না! আমি জাস্ট আড়াল থেকে হ্যাকারের লোকেশন বের করে দিব..আপনি যদি আমার লোকেশন ট্র্যাক করার ট্রাই করেন আর সেটা যদি আমি টের পাই তাহলে আমি আউট অফ নেটওয়ার্ক হয়ে যাবো এবং ওই হ্যাকার বুঝে যাবে কেউ ওর ল্যাপটপে প্রবেশ করতে চাচ্ছে..তখন ও আরও স্ট্রং আইপি ইউজ করবে! তখন ওকে ধরা অসম্ভব হবে”
.
জয়; আপনি মেয়ে? আচ্ছা ২য় টা?
.
(আধারের গল্প আরেকটা অডিও রেকর্ড পাঠায়)
বলছে “এই মিশনে আপনার পুরো সাইবার সেল সিস্টেম আমার হেফাজতে থাকবে! আমি সিস্টেম ডাউন করে রাখবো এবং একটা নিউ পাসওয়ার্ড ইউজ করবো যেটা শুধু আপনি আর আমি জানবো আর কেউ জানবে না! বিলিভ হলে জানাবেন”
.
জয়; আচ্ছা জানাচ্ছি! আর ৩য় টা!
..
(আধারের গল্প আরেকটা অডিও রেকর্ড পাঠায়)
বলছে “৩য়টা আমি হ্যাকারকে আপনার হাতে হস্তান্তর করার পর চাইবো! যা চাইবো তা দিতে হবে কিন্তু!
.
জয়; আচ্ছা আমি আমার টিম ম্যাটের সাথে কথা বলে জানাচ্ছি!
.
জয় পরেরদিন রাকিবকে পুরো ঘটনা জানায়!
.
রাকিব; স্যার আপনি পুরো সাইবার সেল এর সিস্টেম ওর হাতে তুলে দিবেন! ও যদি বিট্রে করে?
জয়; সাইবার সেল সিস্টেম হ্যাক হলেও সেটা আমি ফিরিয়ে আনতে পারবো!
রাকিব; আর ৩য়টা যদি ওই মেয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চায়?
জয়; আরে না! হয়তো টাকা চাইবে! আমার ওপর প্রচুর চাপ রাকিব! যদি ওই মেয়ে হ্যাকারকে ধরে দিতে পারে আমি বেচে যাই!
রাকিব; স্যার তবুও আরেকবার ভাবুন! আগুন নিভাতে কেরাসিন ঢালছেন না তো!
জয়; আরে না!
.
জয় ওই আধারের গল্প মেয়েটিকে ম্যাসেজ দেয় “আমি আপনার সব শর্ত তে রাজি”
আধারের গল্প ম্যাসেজ দেয় “অকে”
জয় ম্যাসেজ দেয় “আপনার নামটা জানতে পারি?’
আধারের গল্প ” You can call me Heart hacker..I will hack The Hacker”
.
চলবে!
.
লেখক; আলিফ খান (মেন্টাল)
.
গল্পটি কাল্পনিক ধন্যবাদ 🖤