গল্প:কে ডেকেছিল-1,2,3
লেখক:#Alauddin
Part-1
তুলির মা ছাদ থেকে ডাক দিলেন, “কাপড়গুলো নিয়ে যা, বৃষ্টি আসছে!” তুলি ছাদের দিকে যেতেই তার মা খপ করে হাত ধরে ফেললেন। ভয়ার্ত গলায় বললেন, “ছাদে যাস না, ডাকটা আমিও শুনেছি!”
মাগরিবের আযান দিয়েছে ১০ মিনিট হবে।বৃষ্টি আসবে মনে হয়। তুলি স্পষ্ট শুনতে পেলো তার মা ছাদ থেকে ডাক দিয়ে বলতেছে, কাপড় গুলা নিয়ে আসতে।তুলি যেই ছাদের দিকে যাবে তার মা হাত ধরে বলে ছাদে যাস না ডাকটা আমিও শুনেছি।তুলির মা রান্না ঘরে গেলো আর বলে গেল তুই এই টিভির রুমে থাক আমি দেখছি কি হয়েছে।তুই ভয় পাস না।এই বলে তুলির মা রান্না ঘরে চলে গেলো।একটু পরেই তুলি দেখতে পায় তার মা বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছে আর বলতেছে কিরে তুলি তোকে বললাম ছাদ থেকে কাপড় গুলা নিয়ে আসতে তুই নিয়ে আসলি না কেন। সব কাপড় তো বিঝে গেলো। তুলি মা বলে চিৎকার করে রান্না ঘরে গেলো দেখলো কেও নেই।তুলি আবার টিভির রুমে গেলো সেখানেও কেও নেই।তুলি ভয়ে কাপতে লাগলো। তুলির মুবাইলে কে যেন কল দিয়েছে,তুলি দেখতে পায় তার মা।তুলি কাপা কাপা হাতে রিসিভড করে।তুলির মা বলে মা তুই আজকের রাতটা সাবধানে থাকিস আমি তোর নানুর বাড়ি চলে এসেছি।তোর নানুর শরীর টা ভালো না, তুই ঘুমিয়ে ছিলি বলে তোকে বলি নাই। তুলি সাথে সাথে জ্ঞেন হারালো।তুলির মা পরের দিন এসে তুলিকে খুজে পায় না দরজাও খুলা।পরে দেখে তুলিকে মেরে বাথরুমে ফেলে রাখা হয়। আর বাথরুমের আয়নাতে লিখা।সবাই মরবি……
গল্প:কে ডেকেছিল
পর্বঃ ২
লেখক:Alauddin.
তুলি মারা যাওয়ার পর, তার মাও বেশিদিন বাঁচেনি। এই বাড়িতে প্রাই মানুষের কান্না শুনা যেতো।ভয়ে সবাই এই যায়গা থেকে পালিয়ে যায়। এই এলাকাটা একদম জন’মানবহীন হয়ে যায়। একদিন তমাল আর তার স্ত্রি এই দিকের রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলো।কিন্তু তুলিদের বাসার সামনে এসে তাদের গাড়িটা নষ্ট হয়ে যায়।তখন রাত বাজে ৯ টা। আসে পাশে কোনো দোকানও নেই। তুলিদের বাড়িতে তাকাতেই সে দেখতে পেলো বাড়িতে কে যেনো কথা বলছে। তারা সেই বাড়িতে রাত কাটাবার পরিকল্পনা করলো।তুলিদের বাড়িতে গিয়ে কলিং বেইল বাজাতেই তুলি দরজাটা খুলে দিলো।তমাল দেখলো একটা ১৫ বছরের মেয়ে আর একটা মহিলা, হয়তো মেয়েটার মা হবে। তমার তাদের গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ব্যপারটা বল্লো।তুলির মা বল্লো ঘরে আসোন আপনারা আজকের রাত টা এখানেই থাকবেন,এইটা বলেই তুলির মা অনেক ভয়ানক দৃষ্টিতে তাকালো।যা দেখে তমালের স্ত্রি অনেক ভয় পেয়ে যেয়।
তমালদের একটা রুমে থাকতে দিলো। রাত প্রায় ২ টার কাছা কাছি। তমালের বউ তমালকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বল্লো চলনা আমরা এই বাড়ির ছাদে যাই। তমাল অবাক হয়ে বল্লো তুমি এই বাড়ির কিছু চিনো নাকি।আর এতো রাত করে ছাদে যাবো কেনো। তমালের বউ বল্লো আসোনা যাই আমার ঘুম আসছে না! তমালের বউ এইটা বলেই হাটতে শুরু করলো আর তমার তার স্ত্রির পিছন পিছন যাচ্ছে।পেছন থেকে তার স্ত্রি এসে হাত ধরে বল্লো এই এতো রাতে তুমি কই যাও।
তমালের ভয়ে কলিজা শুকিয়ে গেলো।তুমি, তুমি আমার পিছনে কি করে? আমাকে ছাদে নিয়ে যাবে বলে তুমিতো দরজা খুলতে গিয়ে ছিলে।তমালের বউ অবাক হয়ে বলে, আরে আমিতো বাথরুমে গিয়ে ছিলাম। বের হয়েই দেখি তুমি কই যানি যাচ্ছো। তমাল এইটাকে সপ্ন মনে করে আবার শুয়ে যায় কিন্তু ঘুম তার আসে না। তমালের অনেক পানি পিপাসা পায়, তাই তমাল টিভির রুমে যায় পানি খেতে।তর বউ পাশেই শুয়ে আছে।তার বউ এর যেনো ঘুম না ভাঙে তাই আসতে আসতে করে তমাল টিভির রুমে যায় মুবাইলের ফ্লাস অন করে।জগ থেকে পানি ডালতেই দেখে,পানির রং লাল,তমাল অনেক ভয় পেয়ে যায়।তমালের হাত থেকে স্টিলের গ্লাসটা নিচে পরে যায়,তমাল সেটা তুলতে গিয়ে দেখে তার স্ত্রির লাশ।তমাল চিৎকার দিয়ে রুমে চলে যায় গিয়ে দেখে তার বউ শুয়ে আছে। তমাল এইবার অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছে।তমাল এইটা কি দেখলো নিজের চোখ কে বিস্যাস করতে পারছে না। তমাল তার স্ত্রির পাশে গিয়ে শুয়ে পরলো। তমাল তার বউ এর চেহারা দেখার জন্য মুখের উপরের থাকা চুল গুলো সরাতাই দেখলো একটা এক চোখা, সেই চোখ থেকে রক্ত বের হচ্ছে……
next….coming soon
গল্প:কে ডেকেছিল (3)
লেখক: Alauddin.
তমাল তার বউ এর চেহারা দেখার জন্য মুখের উপরের থাকা চুল গুলো সরাতাই দেখলো একটা এক চোখা, সেই চোখ থেকে রক্ত বের হচ্ছে……
তমাল সাথে সাথে জ্ঞেন হারিয়ে ফেলে। তুলি,আর তুলির মা মিলে তমাল আর তমালের স্ত্রি এর মাংস, রক্ত খেয়ে নেয়।তুলি আর তুলির মা অপেক্ষা করতে থাকে কবে আবার মানুষ আসবে, আর তারা মানুষের মাংস খাবে।এই দিকে তমাল অনেক বড় ঘরের সন্তান হওয়ায় তাকে পুলিশ, আর তার বাবার কিছু লোক খুজতে থাকে। অনেক দিন হয়ে গেছে তমাল আর তার স্ত্রি নিখুজ। তমালের ফোন বন্ধ থাকায় পুলিশ তা ট্রেক করতে পারতেছিলো না।অনেক খুজার পর তমালের ঘাড়ির সন্ধান পাওয়া গেলো। সেটাও তুলিদের বাসার পাশেই।পুলিশও যানে এই বাড়িতে আত্মা আছে,তাই তারা এই বাড়িতে ডুকার মতো সাহস করতে পারছিল না।কিন্তু কলেজের কিছু ছেলে এই খবর জানতে পেরে হাসা হাসি করতে থাকে, আর বলে কালকে রাতেই আমরা যাবো সেই বাড়িতে।
পুলিশ এই কেইসটা বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ এই কেইস নিয়ে আর কিছুই করতে পারবে না। কলেজে পড়ুয়া ৪ টা ছেলে রাতে সেই বাড়িতে যায়।প্রথম অনেক ভয় পেয়ে যায় কেননা এই এলাকায় একটা মানুষও থাকে না।
৪ টা ছেলে তুলিদের বাড়িতে গিয়ে অবাক, বাড়িটি কতো সুন্দর করে সাজানো,এক বন্ধু আরেক বন্ধুদের বলছে,কি রে ভাই কি শুনলাম আর এসে কি দেখতেছি।এই বাড়িতে মানুষই থাকে,ভুত-আত্মা আসবে কই থাইকা।এক বন্ধু বলতেছে চল বাড়ি চলে যাই সব যেহেতো মিথ্যাই। আরেকজন হেসে বলতেছে এতো দূর থেকে আসছি আজকে এই বাড়িতেই থাকব আমরা। একজন কলিংবেল বাজানোর সাথে সাথেই তুলি দরজা খুলে দিলো।সাথে তমালের স্ত্রিও ছিলো।এতো তারা তাড়ি দরজা খুল্লো যেনো কেও আসবে তারা আগে থেকেই জেনে।
তাদের মধ্যে একজন বলতে লাগলো আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি।আজকের রাতে যদি আমাদের থাকতে দিতেন তাহলে অনেক উপকার হতো।তুলির মা পিছন থেকে সাথে সাথে বল্লো ঘরে আসো তুমরা। তুলি যা ওদের থাকার ঘরটা দেখিয়ে দে।
৪ বন্ধু তো মহা খুশি ২ টা সুন্দরি মেয়ে আছে, তাদের সাথে গল্প করা যাবে। আরো নানা চিন্তা ভাবনা। রাত ২ টার সময় ৪ বন্ধু রুম থেকে বের হয়ে বাহিরে গেলো,এইটা দেখার জন্যে যে ভুত কি আসলেই আছে নাকি।অবস্য সবার মাথাতেই ছিল সুন্দর মেয়ে ২ টা কে দেখবে। কেও যাতে কারো মনের কথা জানতে না পারে তাই ৪ বন্ধু ৪ দিকে চলে গেলো।
তাদের মধ্যে একজন একটা রুমের পাশে যেতেই দেখলো তুলির ভয়ানক রুপ। এক চোখা, চোখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।সে দৌড়ে বাথরুমে চলে যায়।গিয়ে হাপাতে থাকে মনে মনে ভাবতে থাকে আমাদের যেই করেই হোক এই বাড়ি থেকে বেড়োতে হবে।
আয়নার দিকে নজর যেতেই দেখতে পায়, আয়নাতে রক্ত দিয়ে লিখা ৩ টা মরে গেলে, বাকি আছিস তুই,তুইও মরবি।
এইটা পড়ে সে ভয়ে কাপতে লাগলো।বাথরুম থেকে অনেক কষ্টে বের হয়।গিয়ে দেখে তার তিন বন্ধু তার সামনে।এইটা দেখে কিছুটা ভয় কেটে যায় তার। সে তার বন্ধুদের সব বলতে থাকে।কিন্তু ৩ বন্ধু ভয়ানক ভাবে হাসতে থাকে।আঙুল দিয়ে পিছনের দিক দেখাতে থাকে। পিছনে ফিরতেই দেখে,তুলি,তুলির মা তার দিকে এগিয়ে আসছে………
next coming soon……………..