গল্পঃ #বিয়াইন_সাহেবের_প্যারা,#পর্বঃ ০২
লেখকঃ #Sazzad_KR
,
এদিকে ইরা আমাকে খাবার দিল আমি খেতে লাগলাম হঠাৎ করে খাবার আমার গলায় আটকে গেল..?
আমি পানির গ্লাস হাতে নিতে যাব তখনি ইরা এমন কাজ করল সেটা আমি ভাবতে পারিনি।
কারণ আমি পানির গ্লাস হাতে নেওয়ার আগেই ইরা পানির গ্লাস নিয়ে চলে গেল।
ইরার এমন কাজে আমার অনেক রাগ হলো..?
এদিকে খাবার আমার গলায় আটকে আছে এখন পানি না হলে হবে না।
পাশে দেখলাম পানির জগ আছে। আমি আর দেরী না করে সেখান থেকে পানি খেলাম।
এবং মনে মনে বললাম এর প্রতিশোধ আমি নিবোই।
তারপর খাবার খেয়ে বাড়ির বাইরে বাগানে এসে বসে পড়লাম।
বসে বসে মোবাইলে গান শুনছি। তখন হঠাৎ করে ভাবী আমার কাছে এলো এসে বলল.?
ভাবীঃ একা একা এখানে বসে কি করছিস.??
আমিঃ এমনি ভালো লাগছে তাই বসে আছি.।
ভাবীঃ খাবার খেয়েছিস.?
আমিঃ হুম খেয়েছি৷
ভাবীঃ তাহলে এখন গিয়ে ঘুমিয়ে পড়.।
আমিঃ আমি এখন ঘুমাবো না তোমার ঘুম পেলে তুমি ঘুমাও গিয়ে যাও..?
ভাবীঃ ঠিক আছে আমি তাহলে ইরাকে পাঠিয়ে দিচ্ছি তুই ওর সাথে বসে থেকে কথা বল.।
আমিঃ না ভাবী থাক ওনাকে এখন এখানে আসতে বলো না আমি একা একা বসে থাকব.
ভাবীঃ ঠিক আছে থাক তাহলে আমি গেলাম।
বলে ভাবী চলে গেল। আমিও বাগানে অনেকক্ষণ বসে থাকলাম।
এখন রাত ১০টা বাজে সেই জায়গাটাতেই বসে থেকে গান শুনছিলাম।
তখন ইরা আমার কাছে এলো এসে বলতে লাগল।
ইরাঃ তখন কার কাজের জন্য আমি সরি.? (মাথা নিচু করে)
আমিঃ কোন কাজের কথা বলছেন.?
ইরাঃ তখন পানির গ্লাসটা নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি সরি.?
আমিঃ এইসব সরি আমার কাছে বলবেন না আমি এইসব পছন্দ করিনা এবং আমি আপনাকে আগেই ক্ষমা করে দিয়েছি..।
ইরাঃ হুম এত রাত হয়ে গেছে এখনো এখানে বসে আছেন কেন ভেতরে চলুন..??
আমিঃ আমার এখানে ভালো লাগছে কত সুন্দর করে বাতাস যাচ্ছে।
ইরাঃ আপনাকে একটা কথা বলার ছিল.?
আমিঃ হুম বলুন আমি শুনছি..।
ইরাঃ আমরা কি বন্ধু হতে পারি না.?
আমিঃ হতে পারি কিন্তু হঠাৎ করে বন্ধু হওয়ার কারণ কি.??
ইরাঃ এত কথা কেন বলছেন বন্ধু হবেন কি না এটা বলেন..?
আমিঃ হুম বন্ধু হওয়া যায় কেন হবোনা.।
ইরাঃ তাহলে কিন্তু আমাকে তুমি করে বলতে হবে.।
আমিঃ তাহলে আপনিও আমাকে তুমি করে বলবেন..?
ইরাঃ আচ্ছা বলব এখন বলো জীবনে প্রেম কয়টা করছেন আপনি.?
আমিঃ প্রেম আমি একটাও করিনাই। কোনো মাইয়া আমারে চয়েস করে না।
ইরাঃ কি বলছো তোমাকে যে মেয়ে পছন্দ করবে না সে পুরো বোকা..?
আমিঃ কেন আমার মধ্যে আর কি আছে..?
ইরাঃ একটা মেয়ে নিজের প্রিয় মানুষটার থেকে যা চায় তার সবকিছুই আছে..।
আমিঃ হুম থাকলেও লাভ হয় না এখন
ইরাঃ কয়টা বাজে দেখো তো..?
আমিঃ রাত ১১টা বাজে.?
কথা বলতে বলতে কখন এত রাত হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি
ইরাঃ তাহলে এখনো কি বসে থাকবে নাকি ঘুমাতে যাবে..?
আমিঃ হুম চলো ঘুমাতে যাওয়া যাক.?
তারপর ইরা নিজের রুমে গেলো আমি আমার রুমে গেলাম।
সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠলাম।
ঘুম থেকে ওঠে দেখি রুমের ভেতর ইরা দাড়িয়ে আছে।
আমি একটু অবাক হলাম ইরাকে দেখে। ইরা এখানে কি করে।
আমিঃ তুমি সকাল সকাল এখানে কি করছো..?
ইরাঃ রুমটা পরিষ্কার করছিলাম। তুমি ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়ে নাও নাস্তা করতে হবে তো নাকি.।।
আমিঃ হুম তুমি যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি..।
বলে ওয়াশরুমে চলে গেলাম৷ ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখি ইরা খাটের উপর বসে আছে।
তারপর আমি কিছু না বলে ওর সাথে খাবার টেবিলে গেলাম
আজকে খাবার টেবিল দেখে অনেক অবাক হলাম কারণ
আজকে অনেক খাবার রাখা আছে। এইসব খাবার আবার কার জন্য রান্না করল.?
এইসব ভাবছিলাম তখন ভাবী বলল?
ভাবীঃ এত কি ভাবছিস বসে পড় এখানে খাবার খেয়ে নে?
আমিঃ বসছি কেউ আসবে নাকি এত খাবার রান্না করছো..?
ভাবীঃ না এখন কেউ আসবে না.?
আমিঃ তাহলে এত খাবার কার জন্য..?
ভাবীঃ কার আবার তোর জন্য রান্না করেছি।
আমিঃ আমার জন্য এইসব করতে হবে কেন..?
ভাবীঃ তুই প্রথমবার আমাদের বাড়িতে এসেছিস। তোকে ভালোভাবে না খাওয়াতে পারলে কেমন হবে বল..?
আমিঃ কিন্তু এত খাবার কি আমি খেতে পারব বলো.?
ভাবীঃ আস্তে আস্তে বসে খাবি এত তাড়াহুড়ো নেই এখন কথা না বলে নাস্তা খেতে থাক??
বলে ভাবী খাবার দিতে লাগল আমিও খাবার খেতে লাগলাম।
এত খাবার আমার দ্বারা খাওয়া সম্ভব না তবুও কষ্ট করে।।
খাবার খেয়ে নিজের রুমে চলে এলাম৷ আমার পক্ষে এখন নাড়াচড়া করা সম্ভব হচ্ছে না।
রুমে এসে খাটের উপর বসলাম তখন ইরা রুমে এলো হাতে একটা 7up
এর বোতল নিয়ে বোতলটা আমার কাছে নিয়ে এসে বলল
ইরাঃ নাও এটা খেয়ে নাও সবকিছু হজম হয়ে যাবে.?
আমিঃ ঠিক আছে গ্লাসে করে দাও.?
তারপর ইরা আমাকে 7up গ্লাসে ঢেলে দিল। আমি সেটা খেয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম।।
বিকেল বেলা ভাবি আমার রুমে এলো এসে বলল.?
ভাবীঃ সাজ্জাদ যা ইরার সাথে বাইরে গিয়ে ঘুরে আয়..?
আমিঃ ঠিক আছে তুমি ইরাকে রেডি হতে বলো
ভাবীঃ তুই রেডি হয়ে নিচে যা ইরা আগে থেকেই রেডি হয়ে আছে
আমি কিছু না বলে নিচে এলাম নিচে এসে দেখি ইরা….??
চলবে,,