বিয়াইন সাহেবের প্যারা,#পর্বঃ ০১
লেখকঃ #Sazzad_KR
রাতের বেলা ডিনার করছিলাম তখন ভাইয়া আমাকে বলল.?
ভাইয়াঃ এই কয়েকদিন কি তোর কোনো কাজ আছে.?
আমিঃ না ভাইয়া আমার কোনো কাজ নেই। কেন.?
ভাইয়াঃ তোর ভাবি কালকে ওদের বাসায় যাবে সেখানে কয়েকদিন থাকবে। আমি তো সেখানে যেতে পারব না তাই তোকে যেতে হবে.।
আমিঃ তোমার শুশুরবাড়ি তুমি না গিয়ে যদি আমি থাকি তাহলে কেমন হবে
ভাবীঃ শুন সাজ্জাদ তোর ভাইয়াকে কিছু বলার দরকার নেই তুই শুধু এটা বল তুই আমার সাথে যাবি কি না.??
আমিঃ আচ্ছা ভাবী তোমার বাপের বাড়ি কয়দিন থাকবে.?
ভাবীঃ ৭-৮দিন থেকে চলে আসব এই ৭-৮ দিন তুই ও আমার সাথে সেখানে থাকবি
আমিঃ তুমি ভাইয়াকে নিয়ে যাও আমাকে কেন নিয়ে যাচ্ছো.?
ভাইয়াঃ আমার অফিসের কাজ আছে যার জন্য তোকে তোর ভাবীর সাথে যেতে বলছি। অনেকটা রাস্তা তাই তোর ভাবীকে একা ছাড়তে পারব না।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে আমি যাব সমস্যা নাই কিন্তু রওনা দিবে কবে.?
ভাবীঃ কালকে সকালে রওনা দিব তুই আজকে রাতে সবকিছু গুছিয়ে নে
আমিঃ ঠিক আছে।
তারপর খাবার খেয়ে নিজের রুমে চলে এলাম আপনাদের তো আমার পরিচয় দেওয়া হয়নি।
আমি সাজ্জাদ অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। এবং এতক্ষণ যার সাথে কথা বললাম তারা হলেন আমার ভাইয়া ভাবী। আব্বু আম্মুও আছে তবে তারা এখানে না গ্রামে বাড়িতে আছেন।
ভাইয়া আমাদের বিজনেস আছে সেটা দেখাশুনা করে।
আজকে এই পযন্ত বাকীটা গল্পে জেনে যাবেন।
রুমে এসে নিজের জামাকাপড় গুছিয়ে নিলাম কালকে সকালে আবার রওনা দিব৷
ভাইয়ার শুশুর বাড়িতে আমি এই পযন্ত যায়নি। কথাটা শুনতে হাস্যকর লাগলেও
আমার ভাইয়া শুশুর বাড়ি যাওয়া হয়নি কারণ যখন ভাইয়ার বিয়ে হয় তখন আমার পরীক্ষা ছিল।
তাছাড়া অন্য একটা কারণ হলো আমি দেশের বাইরে থেকে পড়াশুনা করতাম।
ব্যাগ গুছিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম..।
সকালবেলা ভাবীর ডাকে আমার ঘুম ভাংল ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে.?
গাড়ি নিয়ে রওনা দিলাম ভাবীর বাড়ির উদ্দেশ্য.।
ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছে আমি সামনে বসে আছি এবং ভাবী পেছনে
কয়েকঘন্টা জার্নি করার পর ড্রাইভার একটা গ্রামের ভেতরে ঢুকল
গ্রাম বললে ভুল হবে এটা শহরের মতো কিন্তু আমার কাছে কেমন যেন গ্রাম গ্রাম মনে হচ্ছে।
আমি সেখানকার সৌন্দর্য দেখতে লাগলাম একটু পর ড্রাইভার সুন্দর একটা বাড়ির সামনে গাড়ি থামাল।
তখন ভাবী আমাকে বলে ওঠল।
ভাবীঃ আমরা এসে গেছি এখন গাড়ি থেকে নেমে পড়।
আমিঃ এটা তোমাদের বাড়ি নাকি.??
ভাবীঃ হ্যাঁ কেন কি হয়েছে
আমিঃ বাড়িটা অনেক সুন্দর।
ভাবীঃ বাইরের থেকে ভেতরে আরো সুন্দর এখন কথা না বলে আমার সাথে ভেতর চল.।
আমিঃ ঠিক আছে চলো ভেতরে যায় তার আগে ব্যাগ গুলো নিয়ে আসি.?
ভাবীঃ ঠিক আছে নিয়ে আয়
আমি গাড়ি থেকে ব্যাগ গুলো নামিয়ে ভাবীর সাথে যেতে লাগলাম৷ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলাম অনেক সুন্দর এবং অনেক বড় বাড়ি।
আমি বাড়িটার চারিদিকে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম তখন ভাবী বলল।
ভাবীঃ এভাবে চারিদিকে তাকিয়ে কি দেখছিস.?
আমিঃ এইতো তোমাদের বাড়িটা দেখছিলাম.।
ভাবীঃ এটা পরেও দেখতে পারবি তার আগে ইরার সাথে যা ও তোকে তোর রুম দেখিয়ে দিবে
আমিঃ ইরাটা আবার কে? (অবাক হয়ে)
ভাবীঃ আমার বোন।
আমিঃ তোমার যে বোন আছে এটা তো আগে বলোনি..?
ভাবীঃ কখনো জানতে চাস নি তাই বলিনি এখন ব্যাগগুলো রেখে রুমে চলে যা.। আমি ইরাকে বলে দিছি ও তোকে তোর রুমে দেখিয়ে দিবে।
এই বলে ভাবী ইরা নাম ধরে ডাকতে লাগল। তখন একটা রুম থেকে সুন্দরী মেয়ে বেরিয়ে এলো।
আমি মেয়েটির দিকে একবার তাকিয়ে থেকে চোখ নামিয়ে নিলাম তখন ভাবী বলল।
ভাবীঃ সাজ্জাদ এই হচ্ছে আমার বোন ইরা (মেয়েটিকে দেখিয়ে) এবং ইরা ও হচ্ছে সাজ্জাদ আমার দেবর।।
ইরাঃ হুম বুঝেছি আর বলতে হবে না।
ভাবীঃ তুই সাজ্জাদকে ওর রুমটা দেখিয়ে দে (ইরাকে বলল)
ইরাঃ আচ্ছা দেখিয়ে দিচ্ছি
ভাবীঃ তুই ইরার পেছন পেছন যা ইরা তোকে রুম দেখিয়ে দিবে.?
আমি কিছু না বলে ইরার পেছন পেছন যেতে লাগলাম। ভাবীর বোন মানে ইরা
আমাকে একটা রুমে নিয়ে এলো রুমের ভেতর প্রবেশ করলাম।
অনেক সুন্দর একটা রুম৷ খুব সুন্দর করে সাজানো।
আমি রুম দেখছিলাম তখন ইরা বলল।
ইরাঃ আপনি তাহলে ফ্রেশ হয়ে আসুন ওই যে এটা ওয়াশরুম (হাত দিয়ে দরজা দেখিয়ে বলল)
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
তারপর ইরাকে আর কিছু না বলে ওয়াশরুমে চলে গেলাম । সেখানে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে বাইরে এলাম
দেখি ইরা চলে গেছে তখন মনে মনে বললাম যাক ভালো হয়েছে চলে গেছে।
আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে। এখন কোনো কিছু না ভেবে ঘুমিয়ে গেলাম৷ ঘুম ভাংল সন্ধ্যার দিকে দরজার শব্দে
ঘুম থেকে ওঠে দরজা খুললাম দেখি দরজার বাইরে ইরা এবং ভাবী দাড়িয়ে আছে।
ভাবীঃ তোর ঘুম কি হলো নাকি আরো ঘুম পারবি..?
আমিঃ তোমরা ডাকাডাকি করছো কেন আগে এটা বলো (ঘুম ঘুম চোখে)
ভাবীঃ খাওয়া দাওয়া করবিনা সেই সকালে খেয়ে এসেছিস। তার উপর এখানে এসে আবার ঘুমিয়ে গেছিস। ফ্রেশ হয়ে আয়
আমিঃ আমি এখন খাব না একেবারে রাতে ডিনার করব তার আগে আর কিছু খাব না এখন তোমরা যাও আমি ঘুমাবো
বলে বিছানায় এসে ঘুমিয়ে গেলাম৷ রাতের বেলা ঘুম থেকে ওঠলাম ওঠে দেখি।
ইরা আমার রুমে লুঙ্গি হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
আমিঃ আপনি এখানে দাড়িয়ে কি করছেন.?
ইরাঃ আপনাকে লুঙ্গি দিতে এসেছি.?
তখন আমি মজা করে বললাম।
আমিঃ এই লুঙ্গিটা কার.?
ইরাঃ এটা আব্বার লুঙ্গি
আমিঃ তো তার লুঙ্গি আমাকে দিচ্ছেন কেন দিলে নতুন একটা লুঙ্গি দিবেন
ইরাঃ এখানে আমি কি করতে পারি আপু বলল তাই দিতে এলাম
আমিঃ এই যে ব্যাগ দেখছেন আমার সব জামাকাপড় নিয়ে এসেছি এবং আপনাকে বলে রাখি আমি লুঙ্গি পড়িনা আপনি এটা নিয়ে যেতে পারেন।
ইরাঃ সেটা আগে বললেই হতো আপনি লুঙ্গি পড়েন না এত কথা বলার কি দরকার ছিল। (রেগে কথা গুলো বলল)
ইরা কথাগুলো রাতের মাথায় বলে রেরিয়ে গেল। আমি ওকে রাগানোর জন্যই কথাগুলো বলেছিলাম৷
ঘড়ির দিকে তাকালাম ৮টা বাজছে৷ এখন আর ঘুমানো যাবে না তাই বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
তারপর রুম থেকে বাইরে এসে দেখি বিয়ান সাহেব মানে ইরা দাড়িয়ে আছে।
আমিঃ কি হয়েছে বিয়ান সাহেব এভাবে দাড়িয়ে আছেন কেন .?
ইরাঃ আপনাকে নিয়ে যেতে এসেছি ডিনার করবেন না
আমিঃ সেটা করব তার আগে বলুন আপনি আগে থেকেই এইরকম নাকি?
ইরাঃ আগে থেকে মানে আমি কি রকম.?? (অবাক হয়ে)
আমিঃ আপনি সবার সাথে এভাবেই কথা বলেন নাকি?
ইরাঃ হ্যাঁ
আমিঃ আপনি কিসে পড়েন
ইরাঃ আমি অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়াশুনা করি আপনি কিসে পড়েন??
আমিঃ আমি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আপনার থেকে এক বছরের সিনিয়র
ইরাঃ এইয়ে হ্যালো এত ভাব নিবেন না ভাব ওয়ালা ছেলে আমি পছন্দ করি না
আমিঃ তাহলে কেমন ছেলে পছন্দ করেন আমাকে একটু বলেন
ইরাঃ বলব না এখন আমার সাথে আসুন খাবার টেবিলে সবাই বসে আছে
আমিঃ ঠিক আছে এখন না বললেন পরে একসময় বলে দিয়েন কেমন??
ইরা অনেকটা রেগে গেছে বোধয় কিছুই বলছে না আমারো ওকে বারবার রাগাতে ভালো লাগছে।
ইরার সাথে খাবার টেবিলে এলাম। দেখি কেউ নেই শুধু ভাবি বসে আছে
আমিঃ তুমি একা বসে আছো কেন বাকিরা সবাই কোথায়?
ভাবীঃ তারাও আসবে আগে তুই খেয়ে নে
আমি খাবার টেবিলে বসলাম৷ তখন ভাবী ইরাকে বলল
ভাবীঃ তুই ওকে খাবার খেতে দে আমি আসছি।
এই বলে ভাবী চলে গেল।
।
।
এদিকে ইরা আমাকে খাবার দিল আমি খেতে লাগলাম হঠাৎ করে খাবার আমার গলায় আটকে গেল..?
আমি পানির গ্লাস হাতে নিতে যাব তখনি ইরা এমন কাজ করল সেটা আমি ভাবতে পারিনি।
#চলবে