💙অহংকারি_চাচাতো_বোন💔,পর্ব-১২,১৩
✍️শাকিল দিহান
💓পর্ব-১২💦
-ফ্রেশ হয়ে এসে তানুর সাথে নাস্তা করলাম।রাফির সাথে একবার নাস্তা করার পরও তানুর সাথে আবার নাস্তা করলাম,প্রিয় মানুষ বলে কথা।রুমে এসে বসে আছি তখন নাহিদের ফোন,
“দোস্ত অনেক ভালো একটা খবর পায়ছি”~(নাহিদ)
“বল”
“ফাহাদ আর রাহাত কাদের হয়ে কাজ করে জানতে পারছি,আর ফাহাদ মারা গেছে,রাহাত চাকরি থেকে রিজাইন নিছে”
“আর কিছু জানস?”
“আপাতত এতটুকু জানি”
“ওকে ধন্যবাদ”
-রাহাত মনে হয় জেনে গেছে যে আমি ওকে সন্দেহ করি।আসলে রাহাত ফাহাদ জয় কেউ আর্মি না,তারা সরকারি ডিটেকটিভ।রাহাত আমার ভয়ে চাকরি থেকে লিভ নিছে
লিজার সাথে কিছুক্ষন ফোনে কথা বললাম।খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
-সকালে ভার্সীটি যাচ্ছি,আজ মনটা হালকা লাগছে,এভাবে ভার্সীটি যাওয়া আসা মাধ্যমে আরো ১৫ দিন কেটে গেলো।এই ১৫ দিনে তানুর সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে,সাথে আরো অনেক তথ্য জোগাড় করেছি নাহিদ,জয়কে নিয়ে।
“কীরে তোরা আজ এত তাড়াতারি?”(তানু)
-ক্যাম্পাসে বসে আমি রাফি,আরিফ,নাহিদ,নাদিয়া গল্প করছিলাম তখন তানু এই কথাটা বললো।
“হুম তোকে মিস করছিল”~(আরিফ)
“কে”~(তানু)
“কে আবার দিহান,তোর হবু বর”~(রাফি)
“ও ভালো”
“জানিস তানু অনেকদিন পর ভালো লাগলো”~(নাদিয়া)
“কেন?”
“এই যে তুই আগের মতো আর নাই তাই”~(রাফি)
“ও”
“এসব ইমোশনাল কথা বলবি নাকি কোথাও থেকে ঘুরে আসবি”~(আমি)
“এগুলোকে ইমোশনাল কথা বলে নাকি,আর চল কাল সবাই মিলে ঘুরে আসি আজ হবে না”~(তানু)
“আজ না কেন”~(আমি)
“আজ ক্লাসে যাব সবাই,চল”~(তানু)
“ওকে চলো”
-এরকম করতে করতে আরো কয়েকদিন কেটে গেলো।এখন তানু আর আমার সম্পর্ক অনেক ভালো,দাদা,চাচা-চাচি সবাই খুশি,সাথে আমি আর তানুও।
একদিন রাতে ঘুমাচ্ছি তখন মোবাইল বাজতে থাকে,
“হ্যালো”~(আমি)
“কি দিহান ঘুমাচ্ছিস,আজ দেখবি এই এলাকায় কয়টা বোমা…বিস্পোরন হয়।শত শত বোমা বিস্পোরন হবে।টাকা হবে আমাদের আর নাম হবে তোর”~(রাহাত)
(হ্যা এতক্ষন কথা কথা বলা লোকাটি রাহাত,আমার নিয়োগ করা সহকারি)
“ভালোইতো মজা করতে জানিস,আমি মেজর শাকিল দিহান,যার ভয়ে তুই এখন লুকিয়ে আছিস,দেশের মানুষের আস্তা এখন আমি,তুই নয়,আর তুই ফালতু কথা বলবি আর লোকে বিশ্বাস করে নেবে”~(আমি)
“দেশ চলে আমাদের মতো সন্ত্রাস আছে বলে,তুই শুধু দেখ আগে কি হয়,এটা মনে রাখবি তুই বিষন কষ্ট পাবি বিষন”
-আর কিছু বলতে দেযনি আমাকে তার আগেই ফোন কেটে দিয়েছে।নিজের ছোট মনে কিছুক্ষন রাহাতের কথা বিশ্বাস করলাম।আসলেইতো এভাবে আমার নাম পচানো যাবে না,
-তাড়াতারি করে নিজের ঘর থেকে বের হলাম।গেইটের কাছে আসতে আমার জন্য গাড়ি আসলো।নাহিদকে ফোন করে গাড়ি নিয়ে আসতে বলেছিলাম।গাড়ী নিয়ে ভার্সিটির দিকে রওনা দিলাম।কিছুক্ষন পর মনে হলো কোনো বাইক আমাদের ফলো করছে,তিন রাস্তার মোড়ে আসার পর ডান পাশের সিগনাল অন করে বাম পাশের রাস্তা দিয়ে চলে গেলাম।আর বাইকে ওয়ালা চলে গেলো ডান পাশের রাস্তায়।
(বাইকওয়ালার কাহিনী,
“ওহ শিট আরেকটুর জন্য আজ হাত ছাড়া হলো তোকে আমি পাইছি,সন্ত্রাসি করবি,এমন সাজা দিব,শুধু দেখতে থাক,আজ যদি তোর সবকিছু জানতে পারতাম তাহলে ভিডিও করে লাইব টেলিকাষ্ট করতাম”)
আমরা ভার্সিটির পাশে আসলাম।রাত দুইটা বাজে,তখন শুরু হয় বোমা বিস্পোরন একের পর এক বোমা,দাও দাও করে জ্বলছে শহর,১০ মিনিটের মধ্যে শহর নিস্তব্ধ,মানুষ আগুন নেবাতে ব্যাস্ত,একটায় কথা এটা হলো কীভাবে,এমন সময় আমার মোবাইলে কল আসলো।
“কীরে ভয় পেলি নাকি,মেজর শাকিল আগামী কালই হবে তোর সবচেয়ে নিকৃষ্ট দিন,যে শহরওয়ালারা তুকে সম্মান ওরাই তোর ওপর হামলা করবে,বাচার উপায় নাই,পালাবিও না,কারন তুই মেজর শাকিল দিহান”~(রাহাত)
“কি হবে!
“দেখতে থাক কি হয়”
“দেখাতে থাক”
-মানুষকে সাহায্য করে…আমি আর নাহিদ বাসায় চলে আসলাম।দেখছি তানু এখনো জেগে আছে,
“কীরে কই গেলি”~(তানু)
“বিস্পোরন হয়েছে শুননি,দেখতে গেছিলাম”~(আমি)
“কোথায়”
“ওইতো ভার্সিটী পাশে”
“ও”
“তা আজ জেগে থাকার কারন”
“ঘুম আসছিল না,মনের মানুষ নাই কোনো,যার কথা ভেবে ঘুমিয়ে যাবো”
“তুমি না বললে মেজর শাকিল তোমার ক্রাশ,তার উপর না দেখেই ক্রাশ খাইছ”
“হুম,কিন্ত ওকে পাওয়াত সহজ না”
“তানু একটা কথা বলি”
“বলো”
“সেই ছোটবেলা থেকে দুজন একসাথে বড় হয়েছি,মাঝ পথে কিছুটা বিরতি,শৈশবে কেটেছিল অনেক আনন্দে,তখন থেকে তোমাকে ভালোবাসি,তখন বুঝাতাম না ভালোবাসা কি?কিন্তু এখন জানি আমি তোমাকে ভালোবাসি,তোমার মতামত পেলে আমি বাসায় বিয়ের ব্যাপারে বলবো”
“আমার উত্তর তুমি কাল সকালে পাবে”
“ওকে ধন্যবাদ”
-দুজনে নিজ রুমে গেলাম।আজ কেন যেন ঘুম আসছে না,ডায়রি লিখতে মন চাইছে,হ্যা তানুকে নিয়ে,মনে কথা হয়তো ডায়রিয় বলবে,লিখতে শুরু করলাম,
“তোমাকে কাছে পেয়ে কত যে খুশি আমি,তোমার দুঠোটে কথায় আমি খুশি,তোমার ভালোবাসা পেয়ে হবো আমি ধন্য,তোমার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম,সকাল হতে আর ৬ ঘন্টা কিন্তু আমার কাছে ৬ বছরের বেশি”ডায়েরি লিখতে লিখতে টেবিলেই ঘুমিয় পড়লাম।
সকাল হতেই বাড়ী এই অবস্তা দেখে আমি ভয় পেয়ে গেলাম।রুমের দড়জা কেউ জুড়ে ধাক্কাচ্ছে,
বাইরে অনেক মানুষ,এরপর যেটা হলো সেটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি,
কি হলো এটা?
কি হলো এটা!
কি হলো এটা:-?!
‘চলবে’
💙#অহংকারি_চাচাতো_বোন💔
✍️শাকিল দিহান💯
💓পর্ব-১৩💦
সকালে রুমের দরজা ধাক্কাচ্ছে,মানুষের চেচামেমি অনেক।অবস্তা বুঝার জন্য আগে জানলা দিয়ে নিচে তাকালাম।নিচে পুলিশ ও সাংবাদিক।
দড়জা খুললাম,চাচা চাচি ও তানু,তাসনু রুমে প্রবেশ করলো।
ঠাস্ ঠাস্ দুইটা চড় দিল,
“আঙ্কেল আমি কি করছি?”~(আমি)
“কি করিস নি সেটা বল,তুই একনাম্বার সন্ত্রাস,তুই আসার পর এই এলাকায় খুন আরো বেড়ে গেছে,মানে তুই এসব করছিস,আজ যদি তানু না বলতো তাহলে আমরা জানতামই না”~(চাচা)
“না আঙ্কেল তানু যেটা বলছে সেটা সঠিক নয়,ও ভুল বুঝে বলছে”~(আমি)
“আমি ভুল বলছি,না?বাবা বিশ্বাস করো,যেদিন দুইটা মেয়ের খুন হয়েছিল সেদিনও ওকে বের হতে দেখেছি,কাল কাল রাতে যাকে ধর্ষন করে হত্যা করা হয়েছিল তার রিপোর্ট অনুসারে জানতে পারছে তার মিথ্যু ১-২ টার মধ্যে হয়ছে,আর ও কাল রাতে ১২টায় বের হয়ে বাসায় আসছে ২ টায় আর কি প্রমান লাগে,অফিসার একে নিয়ে যান”~(তানু)
-অফিসার আমার কথা শুনছেই না,নিয়ে যাচ্ছে,চাচা চাচি আমাকে বিশ্বাস করছে না,যারা আমাকে এত ভালোবাসে,বিশ্বাস করবেই বা কেন এই এলাকার যেই পরিস্তিতি,আর এটা তানুর সাজানো একটা ফাঁদ,অফিসারের সাথে গাড়ীতে উঠলাম,হঠাৎ কেউ ধৌড়ে আসছে এদিকে,নাহিদ এসে অফিসারকে কিছু বলার আগে আমি ওকে চলে যেতে বললাম,হঠাৎ দাদার কথা মনে পড়লো,এতকিছু হয়ে গেলো দাদা কই,
“অফিসার আমার একটা ইচ্ছা পুরন করেন আমি সোজা সোজা থানায় চলে যাবো”
“ওই গাড়ি স্টাট দেত”
“প্লিজ অফিসার”
“বল তাড়াতারি”
“একবার দাদার সাথে কথা বলতে চাই”
“ওকে,তানু মামনি দাদাকে একটু ডেকে আনো”~(অফিসার)
“ওকে”~(তানু)
-দাদাকে নিয়ে আসলে দেখি দাদার চোখে পানি,হাত করা পরার সত্বেও পানি গুলো মুছে দিলাম,”আসি দাদা,ভালো থেকো,দোয়া করিও আমার জন্য,হয়তো আবার দেখা হবে হয়তো না”
“আমি জানি তুকে ফাসিয়েছে কেউ,তোর ওপর আমার…বিশ্বাস আছে”
-চলে আসলাম জেলে,এখনো কাউকে পরিচয় দেইনি,পুলিশ গুলো আমার উল্টা কোনো রেসপন্স না পেয়ে আমাকে গায়ে হাত না দিয়ে ভেতরে যেতে বললো।
তারপর সবাই চলে গেলো,এবার আমার প্লান সাকসেস হবে কারন কিছুক্ষন এখানে নতুন কিছু ঘটতে চলছে,
—
অন্যদিকে”এটা কি করলি,রাতে বাইরে যেতে পারে তাই বলে এসব করতে হবে?”~(দাদা)
“দাদা এসবতো আমি করতে চাইনি,আমিতো দিহানকে সহ্য করতে পারি না,রাতে বের হতে দেখেছি অনেকবার তাই বললাম,আমার বান্ধবি বলছে একজন মা বাবাহীন ছেলে কখনো ভালো হতে পারে না,আমার কাঁটা শেষ”
“তানু এটা ভুল ওতো হতে পারে,আর তুই সব জায়গায় এমন করিস কেন?ওকে ছাড়ানোর মানুষ কম নেই,ওর বন্ধু গুলো অনেক পাওয়ার পুল বলছে আমাকে,কিন্তু ওর একটা প্রেস্টিজ আছে না ওইটা শেষ,
এরপর তানু যেটা করলো তা দেখে,
‘চলবে’