অহংকারী_চাচাতো_বোন💔,পর্ব-০৭,০৮,০৯

🌺অহংকারী_চাচাতো_বোন💔,পর্ব-০৭,০৮,০৯
✍️শাকিল দিহান💯
💓পর্ব-০৭

-“বন্ধু মানে!কীসের বন্ধু না অন্যকিছু”~(নাহিদ)
.
“তাহল কি ভাই?”~(নাদিয়া)
.
“এই না,বন্ধুই ঠিক আছে,আমার ভুল হয়ছে”~(নাহিদ)
.
“ওকে ঠিক আছে”~(নাদিয়া)
.
-নাহিদকে ওদের সাথে পরিচয় করে দিলাম।তারপর নাহিদ হাত মেলাচ্ছে সবার সাথে,নাদিয়ার হাত মেলাতে গিয়ে কতক্ষন ধরে রাখছে।
-রাফি আরিফ এটা খেয়াল না করলেও আমি ঠিকই করছি।তাই জুড়ে একটা চিমটি কাটলাম।
“আআআআ”~(নাহিদ)
.
“কীরে কি হলো চিল্লাস কেন?”~(আমি)
.
“না মশা কামড় দিছিল”~(নাহিদ)
.
“ও আচ্ছা,নাদিয়া হসছিস কেন?”~(আমি)
.
“না মানে,কিছু না,ক্লাসে চল সবাই”~(নাদিয়া)
.
“ওকে চল”~(সবাই)
.
-আমরা সবাই ক্লাসে যাচ্ছিলাম।
“নাদিযা,রাফি,আরিফ তোরা ক্লাসে যা,আমি নাহিদের সাথে একটু কথা বলবো”~(আমি)
.
“ওকে,ক্লাস কোনটা জানিস তো?”~(রাফি)
.
“হুম জানি,তোরা যা”~(আমি)
.
-ওরা চলে গেলো।আমি নাহিদের কাছে গেলাম।নাহিদ ভয় পাচ্ছে একটু একটু তা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
“আমাকে একা ডাকার কারন কি?”~(নাহিদ)
.
“কারন আজ তোকে মারব”~(আমি)
.
“মানে”
.
“নাদিয়ার হাত এমন করে ধরে রাখলি কেন?”
.
“কই,আমি আবার কখন হাত ধরে রাখলাম”
.
“দেখ নাহিদ নাদিয়া আমার ছোটবেলার বন্ধু,ওর বিষয়ে আজে বাজে ভাববি না,আর আমরা এখানে মিশনের জন্য আসছি,পড়ালেখা কিংবা প্রেম করার জন্য নই”~(আমি)
.
“ওকে,কিন্তুওও”
.
“কোনো কিন্তু নয় অনেক সময় আছে এসব করার,আগে মিশনটা হয়ে যেতে দে”
.
“ওকে,চল ক্লাসে”
.
-আমি আর নাহিদ ক্লাসে গেলাম।ক্লাসে স্যার বসে আছে।
.
“আসতে পারি?”
.
“নতুন নাকি?”
.
“জ্বী স্যার”
.
“প্রথম দিনেই লেট,আসো তাড়াতারি সিটে বসো”
.
-সিট গুলোর দিকে তাকালাম।একটাও খালি নাই,নাহিদ একজনের পাশে গিয়ে বসলো।আমি বসার জন্য কোনো জায়গা নেই।বিষয়টা স্যার বুঝতে পেরে,”তানু একে তোমার পাশে বসাওতো”
.
“স্যার আমার…পাশে বসাতে পারবো না,জায়গা নেই”
.
“তোমার পাশে যে জায়গা তাতে আরো ১ জন বসতে পারবে,আর কোনো কথা নয় বসাও”
.
-তারপর তানু আমাকে বসার জায়গা দিল!আমি তানুর পাশে বসলাম।
“স্যার দিছেন যখন একটা ভালো দেখে ছেলে পাশে বসাতেন,ওর গায়ের থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে,ওকে আমার পাশ থেকে সরান”~(তানু)
.
“এই নাম কি তোমার,সকালে কি গোসল করনি?”~(স্যার)
.
-এই কথা বলার পর সবাই হাসতে শুরু করলো।প্রথমদিন ভার্সীটি এসেই ইজ্জতের ফালুদা হয়ে গেলো।আমি তাড়াতারি ওর পাশ উঠে গেলাম।বসনোর পর এমন কিছু হবে ভাবতেই পারিনি।আমাকে উঠতে দেখে রাফি তার পাশে জায়গা না থাকার স্বত্বেও জায়গা করে দিলো।(এটাকেই বলে বন্ধুত্ব)
“দোস্ত সত্যিই কি আমার গায়ের থেকে দুর্গন্ধ বের হয়?”
.
“তোকে ওর পাশ থেকে উঠানোর জন্য এমন বলেছে,বাদ দে তুই”
.
“আচ্ছা একটা জানার অনেক আগ্রহ”
.
“ক্লাসটা শেষ হতে ক্যান্টিনে যাবো সবাই তখন নাহয় বলিস”
.
“ওকে”
.
-ক্লাস শেষে আমরা সবাই ক্যান্টিনে গেলাম।
.
“একটা কথা জানতে খুব মন চাইছে”~(আমি)
.
“কি?”~(রাফি)
.
“সবাইকে দেখছি একসাথে আছে,কিন্তু তানু নাই কেন?”~(আমি)
.
“ওতো সেটা কলেজ লাইফের শুরু থেকেই”~(নাদিয়া)
.
“কেন!”~(আমি)
.
“ওই জানে,বাদ দে”~(আরিফ)
.
“আচ্ছা আজ ক্লাস করবো না আর,বাসায় যায়,নাহিদ চল আমার সাথে”~(আমি)
.
“ওকে চল”
.
-আমি আর নাহিদ চলে আসলাম।হঠাৎ সেদিনের সেই লোকটাকে দেখলাম যে আমাকে হুমকি দিয়েছিল।
.
“দেখ নাহিদ ঐ লোকটা,চল ফলো করি”-(আমি)
.
“শুধু শুধু একটা লোককে এভাবে ফলো করে লাভ কি?”-(নাহিদ)
.
“এ হয়তো কোনো আতংকবাদী নয়তো অন্যকিছু,যাকে ফলো করলে অনেককিছু জানা যাবে”
.
-আমি আর নাহিদ লোকটাকে ফলো করছি।লোকটা কিছুদুর গিয়ে একটা ছোট গলি দিয়ে ডুকে গেলো।আমরা ওর পেছন পেছন আসার পর দেখি ও একদম ভার্সীটির পেছন এসে গেছে।ওর এখানে কি কাজ থাকতে পারে?
-লোকটা…ভালোভাবে কি যেন দেখছিল।কিন্তু অন্যপাশ থেকে কারা যেন আসছিল,তাই সে লুকিয়ে গেল।তার দেখাতে আমরাও লুকিয়ে গেলাম।দেখছি ৫ জন লোক আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছে।লোকগুলোর কিছু কথা হচ্ছিল এইরকম,
.
“আজ সমুদ্র ঘাটে ২০ কোটি টাকার চালান হবে,তোরা থাকিস”
.
“কীসের চালান”
.
“মাল আসবে,তোরা সাবধানে থাকিস মেজর শাকিল এখানে মিশনে আসবে,আগেরবারতো সম্পুর্ন করতে পারেনি,এবার করে ফেলবে”
.
“ওকে বস”
.
-আমি আর নাহিদ শুনছিলাম এসবকিছু।ওরা সবাই চলে গেলো।কিন্তু এই লোকটা কই,যেখানে দাড়িয়েছিল সেখানে নাই।আস্তে আস্তে বের হয়ে ভার্সীটির আরো পেছনে চলে গেলাম।
.
“কীরে লোকটা কই গেলো?”-(আমি)
.
“কি জানি,যাক অনেক কিছু জানতে পারলাম ওকে ফলো করে”
.
-আমি আর নাহিদ ওদের বাসায় চলে আসলাম।পুরোদিনটা চলে গেলো কিন্তু ফাহাদের দেখিনি।
জানলার গ্রিল ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি,আর ভাবছি,কি দোষ করেছি তানুর।ও আমাকে এভাবে সব জায়গায় অপমান করছে কেন।
না এভাবে কাজ হবে না।ওকে আমার ভালোবাসার কথাটা বলে দিতে হবে।যদি গ্রহন না করে ওর সামনে আর যাবো না।
.
হঠাৎ গেইট এমন কেউ আসছে,যাকে দেখে আমার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।সে আর কেউ নয়,সে হলো

‘চলবে

💝#অহংকারি_চাচাতো_বোন😜
✍শাকিল দিহান💯
🥀 পর্ব-০৮♨
-হঠাৎ গেইট দিয়ে জয় প্রবেশ করলো।ফাহাদ আর রাহাত কই গেলো।
ফ্রি হয়ে কর্নেল স্যারকে কল দিলাম।
“হ্যা দিহান বলো”~(স্যার)
.
“জ্বী স্যার,আপনি মিশনে কাকে যেন এড করবেন বলছিলেন তার ব্যাপারে বলতে চাইছি”~(আমি)
.
“তার আগে তোমার লিজার সাথে কিছু কথা বলতে হবে,তোমার সময়মতো ওর সাথে দেখা করে নিও”
.
“ওকে স্যার,আচ্ছা রাখি স্যার”
.
-স্যারের সাথে কথা বলে ফোনটা রাখলাম।তখনই ফোন বেজে উঠল,মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি লিজার ফোন,কল ধরে বললাম,”হ্যালো”
.
“হ্যা দিহান কেমন আছো?”~(লিজা)
.
“আলহামদুলিল্লাহ,তুমি?”
.
“ভালো,যেটা বলার জন্য কল দিয়েছিলাম”
.
“হ্যা বলো”
.
“তোমার আমার সাথে একটু দেখা করতে হবে”
.
“পারবো না,আমার অনেক কাজ,মিশন আছে”
.
“বাবা তোমাকে দেখা করতে বলছে,বাবার কথা রাখবে না!”
.
“আচ্ছা বলো কখন দেখা করতে হবে?”
.
“কাল সকালে ***”
.
“ওকে”
.
-জয় এসে আমার পাশে বসে আছে।
.
“কী ব্যাপার জয় কোনো সমস্যা?”
.
“হ্যা ভাই,সকাল থেকে রাহাত ভাই আর ফাহাদ ভাইকে দেখিনি,তোমরা ভার্সীটি চলে গেছিলে,এরপর থেকে একা একা ঘুরছি”
.
“হয়তো কোনো মিশনে গেছে,আর তুমি এখনো ছোট হয়তো নিতে ভরসা করে নাই”
.
“কই আর বড় হতেই পারবো না,তোমরা সবসময় ছোট বলো,আমিকি ছোট্ট বাবু নাকি”
.
“আরে রাগ করছো কেন,মজা করছিলাম”
.
“হয়ছে এবার নাস্তা করতে আসো”
.
“ওকে,ফ্রেশ হয়ে আসছি,তুমি যাও”
.
-নাস্তা করে নিলাম ৩ জনে।কিছুক্ষন পর রাহাত আর ফাহাদ আসলো।ওদের সাথে কিছুকথা বলে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
.
“কীরে বাসায় যাবি না?”
.
“যাবোতো”
.
“কখন যাবি ২ বাজে এখন,আই দুপুরের খাবার আমাদের সাথেই খেয়েবে তারপর যা সবাই চিন্তা করবে”
.
“নারে আমি আসি”
.
“ওকে বাই”
.
-বাসায় চলে আসলাম,সবাই বসে আছে।
.
“আসতে এত দেরি হলো কেন?~(দাদা)
.
“নতুন…ভার্সীটি গেছি,কয়েকজন বন্ধু বানায়ছি,ওদের সাথে কথা বলতে বলতে দেরি হয়ে গেছে”
.
“ও,দেখে শুনে বন্ধু বানাস,এবার খেতে বস”
.
“ওকে,ফ্রেশ হয়ে আসি”
.
-রুৃমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।তারপর খাবার খেয়ে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলাম।
-ছাঁদে দাড়িয়ে আছি,নতুন কিছু গোলাপ ফুলের ছাড়া এনে ছাঁদে লাগিয়েছিলাম।কিছু আগের ছিল।সবগুলোতে পানি দিলাম।
.
“ভাইয়া প্রথম দিন কেমন কাটলো?”~(তাসনু)
.
“ভালোই”~(আমি)
.
“ও,চলো নিচে রাফি ভাইয়া ডাকছে তোমাকে”
.
“ওদের এখানে আসতে বল”
.
“কোথায় যেন যাবে,তোমাকে তাড়াতারি যেতে বলছে”
.
“ওকে যাচ্ছি”
.
-নিচে এসে রাফি আরিফের সাথে বের হলাম।
.
“কীরে কোনো জরুরি দরকার নাকি?”~(আমি)
.
“না তেমন জরুরি না,চল ভার্সীটি গেইটে কিছু পোলাপান তোকে দেখতে চাইছে”~(রাফি)
.
“আমাকে কেন দেখতে চাইবে?”
.
“চল কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে আসি”
.
“ওকে চল”
.
-রাফি আর আরিফের সাথে ভার্সীটি গেইটে চলে আসলাম।সেখানে এসে দেখি ক্যন্টিনে কিছু ছেলে মেয়ে বসে আছে।বিকাল বেলা মেয়েরা ছেলেদের সাথে বসে আছে দেখে অবাক লাগছে।ওরা ৭ জন।৩ জন মেয়ে,৪ জন ছেলে।
-সবার সাথে বসে কিছুক্ষন আড্ডা দিলাম।আড্ডার মাঝে ওরা এখানে কেন?ওরা কে?কি করে? এসব বিষয়ে জিজ্ঞাস করলেও ওরা কথা ঘুড়িয়ে নিচ্ছে।
.
“দিহান ভাইকে এখানে নিয়ে আসলে দেখছি”~(একটা ছেলে বলল রাফিকে)
.
“তোমরা আমাকে চেন?”~(আমি)
.
“আমিই দেখাইছিলাম তোর ছবি,প্রথম দিন যখন আমরা খবর পায় ওদের বলছি এটা আমাদের দোস্”
.
“ও,ভালো করছস,তা সবাই এখানে কি করে?”
.
“ও তেমন কিছু না”
.
“ও আচ্ছা,এখন কি কোনো কাজ আছে রাফি?”
.
“না তোরা পরিচয় হয়েনে,আরো অনেক কথা বলার আছে তোকে”
.
-সবার সাথে পরিচয় হয়ে নিলাম।ওদের থেকে জানতে পারলাম ওদের আরো দুজন বন্ধু আছে।একজন ছেলে,একজন মেয়ে।
-কথা বলে চলে আসলাম বাসায়।রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যাওয়ার ভান করলাম।তারপর…যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়লো,আমি উঠে বসলাম।(দিহানツ)
সিক্রেট ব্ল্যাক সুটকেস থেকে আমার সবচেয়ে প্রিয়ে বন্ধুক বের করলাম।PP25 আমার বেষ্ট বন্ধুক,সাথে চার রাউন্ড এক্সট্রা বুলেট নিলাম।
-মোবাইল স্কিনের হালকা আলোই ঘর থেকে বের হয়ে গেলাম।ঐদিনের মতো আজও ২য় তলায় তানু বসে আছে।আমার দিকে খেয়াল করল কিনা জানিনা।
-নাহিদ আর জয়কে মিশনে আসতে বলছি।ফাহাদ আর রাহাত জানে না মিশন আছে।নাহিদ আর জয়কে সাথে নিয়ে চলে আসলাম সমুদ্র ঘাটে।
.
“কীরে রাহাত আর ফাহাদ তোর কি দোষ করলোরে?”~(নাহিদ)
.
“ওদের চোখ দেখে বুঝে ফেলছি ওরা আমাদের ধোঁকা দিবে,ওদের কথার ধরন,চোখের ভাষা দেখে বুঝে ফেলেছি ওরা ধোকা দিবে”~(আমি)
.
“তোকে এমনি এমনি এত কম বয়সে মেজর দেয়নি,তোর থেকে আমাকে কিছু বুদ্ধি ধার দে”~(নাহিদ)
.
“দেখ এটা মজা করার সময় না,সরিয়াস মুমেন্ট,আর জয় একটু সাবধানে থাকবা,এখনো নতুন ট্রেনিংয়ে অনেক ঘাটতি আছে,তোমার সাহস ও বুদ্ধি দেখে মিশনে নিছি,একটু সাবধান হয়ে কাজ করবা,ওকে?”
.
“ওকে ভাই,তোমার থাকতেও সাবধান থাকতে হবে নাকি?”
.
“সবসময় পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে থাকে না,সাবধান”
.
“ওকে”
.
-সমুদ্রের পারে একটা খোলা দ্বীপ।এপাশ থেকে ওপার ভালো ভাবে দেখা যায়না।মাঝখানে ৬ টা চেয়ার।দুইটা মুখমুখি চেয়ার,পাশে চার জন দাড়িয়ে আছে।কিছুক্ষন পর দুপাশ থেকে চারটা করে মোট আটটা গাড়ী আসলো।সব গাড়ী কালো।প্রতিটি গাড়ী থেকে কালো কোর্ট পড়া লোক নামলো,হাত প্রিলোড গান।প্রথম দুই গাড়ী থেকে দুজন ব্যাক্তি নামলো,মুখোমুখি চেয়ার দুইটায় ওরা বসলো।
কালো কোর্ট পরা লোক গুলো দুরে দুরে দারিয়ে গেলো।
“জয় ঐ যে দুরের ঝুপটা দেখছ সেখানে গিয়ে এই লাইটটা ওদের চোখে মারবে,তারপর আকাশের দিকে একটা গুলি ছাড়বে,নাহিদ এইপাশে যাবি,আর ওরা যদি তোদের সামনে যায় তাহলে ডাইরেক্ট সুট করবি”(আমি)
.
“ওকে”~(ওরা দুইজন)
.
-সবাই নিজ নিজ…অবস্তানে গেলাম।কথা মতো ওরা একই কাজ করলো।ওখানে সবাই ঘাবরে গেল।
দুইপাশের দুই কালো কোর্ট পরা লোকগুলো ওদের দিকে চলে গেলো।
এবার আমি ডিলিং এরিয়ায় গেলাম।মোট ৮ জন লোক আছে সেখানে।
.
“ভাই এখানে মাল কোথায় আসবে?”~(আমি)
.
“এই কেরে তুই”
.
“মাল নিতে আসলাম,কই পাবো?”
.
“কতটুকু আর নিতে পারবি,সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকার,এখানে ২০ কোটি টাকার ডিল হচ্ছে,যা ফোট এখান থেকে”
.
“যাব,তবে খেল শেষ করে”~(এই বলে আশে পাশের গুলো মেরে ফেললাম,আর আছে দুইজন)
.
“এই তুই কেরে”(এটা বলেই দুইজনে হাতে সর্ট গান নিল,সাথে সাথে সুট করে ওদের গান ফেলে দিলাম) (দিহানツ)
.
“এই তুই জানিস আমি ঢাকায় রায়াত মাস্তান,তোর ১৪ গুষ্টিকে কেটে টুকরো করে ফেলব”
.
“আর আমি কুষ্টিয়ার রাশেদ,পুরো দেশ এক নামে চিনে আমাকে,রাশেদ মাস্তান”
.
“ধন্যবাদ ইনফরমেশনের জন্য”~(এটা বলেই ওদের মেরে ফেললাম)
.
ওদিকে জয় আর নাহিদ সবাইকে মেরে ফেলল।নাহিদ নির্দিষ্ট সময়ে আমার পাশে আসলেও জয় আসেনি তাড়াতারি ওর কাছে গেলাম।
গিয়ে যা দেখলাম তা দেখে আমার চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্তা।জয়

💝#অহংকারি_চাচাতো_বোন💯
✍শাকিল দিহান💯
🥀 পর্ব-০৯♨
-জয় সেখানে পড়ে আছে,জয়ে পেটে গুলি লেগেছে।তাড়াতারি ওকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।
-রাত ২ টা আমাদের গাড়ী ছিল বিদায় হাসপাতালে নিতে কোনো সমস্যা হয়নি।এখন মেইন সমস্যা ডাক্তার,হাসপাতালে ডাক্তার নাই।
“ভাই কোনো ডাক্তার নাই?”~(আমি)
“এত রাতে ডাক্তার কই পাবেন,ওনারা এখনই ডিউটি শেষ করে বাসায় গিয়েছে”~(হাসপাতালের সিকিউরিটি)
“প্লিজ ভাই তুৃমি কিছু একটা করো”~(নাহিদ)
“আপনারা চাইলে নীলা আপুর কাছে নিতে পারেন”
“কোন নীলা,কে সে?”
“ওনি একজন ডাক্তার সন্ধ্যায় ডিউটি শেষ করে বাসায় গিয়েছে,ওনি মানুষের বিপদে অনেক সাহায্য করেন,হয়তো উনি কিছু করতে পারেন”
“ওকে তাহলে কোথায় যেতে হবে চলো তাড়াতারি”
–হাসপাতালের সিকিউরিটি সাথে নীলা আপুর বাসায় গেলাম।আমরা কলিং বেল বাজানোর পর,ভেতর থেকে বলল,”কে?”
“আপু আমি শাওন,একজন জরুরি রোগি আপনার সাথে দেখা করতে চায়”
–তারপর ভেতর থেকে দরজা খুলল।
“দয়া করে আমার ছোট ভাইকে একটু বাঁচান প্লিজ”~(আমি)
“এত রাতে আপনাদের ভরসা কেমনে করবো?”~(নীলা)
“আপনি আমাদের ওপর সম্পুর্ন ভরসা রাখতে পারেন,প্রথমে ওকে বাঁচান,আর কিছুক্ষন হলেই ও মারা যাবে”~(আমি)
“তাড়াতারি ওনাকে ভেতরে নিয়ে আসোন”
–আমরা জয়কে নিয়ে ভেতরে গেলাম।জয়ের শরীর থেকে গুলি তুলল নীলা নামের মেয়েটা।
“আপনারা কোনো সন্ত্রাসী হতে পারেন আবার নাও হতে পারেন,আমার কাজ ওনাকে বাচানো,আমার কাজ আমি করে ফেলেছি,এবার আপনারা আসতে পারেন,বাসায় মা ঘুমাচ্ছে শব্দ হলেই উঠে যাবে,ওনাকে সকালে বেলা নিয়ে যাবেন”
“ওকে,আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ”
–বের হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
“মেয়েটা অনেক ভরসা করেই জয়ের চিকিৎসা করেছে,ওকে সত্যটা বলে দেওয়া উচিত যে তুইই মেজর শাকিল”~(নাহিদ)
“বলব কালকে,তার জন্যইতো জয়কে বাচানো গেছে”
–নাহিদ…ভাড়া বাসার সামনে এসে গেলো।
“আচ্ছা তুই যা,সকালে আমি আসবো জয়কে আনতে যেতে হবে”~(আমি
“তুই একা যেতে পারবি?~(নাহিদ)
“হুম পারবো,তুই যা”
–নাহিদ বাসায় চলে গেলো।আমিও নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে হাটা ধরলাম।বাসায় পৌছালাম।তার আগে এমন একজনকে দেখলাম যাকে আমি আগেও দেখেছি,কিন্তু ও এখানে কেন?বাদ দেই হয়তো কোনো কাজ আছে।আমি বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
“হ্যালো ভাই”
“হ্যা বল”
“দিহান ভাই আজকেও অনেক রাতে বাসায় ফিরছে,মাত্রই বাসায় প্রবেশ করলো”
“তুই আরো ভালো করে নজর রাখ,প্রতিমূহুর্তের খবর আমাকে জানাবি”
“ওকে ভাই”
–সকালে মনের আনন্দে ঘুমাচ্ছি।গভীর রাতে ঘুমাতে গেলে ঘুম অনেক দারুন হয়।সকালে ঘুমটা ভাঙতেই চায়না।
(এটা আমার সাথে মিলছে,তাই এই ডায়লগটা মারলাম)
“ভাইয়া উঠো”~(তাসনু)
“এই এত সকালে ডাকে কেরে,কাল রাতে অনেক কষ্ট করছি এখন উঠতে পারবো না”~(আমি)
“কাল রাতে কষ্ট করছো মানে?আর এখন কই সকাল, দশটা বাজে,ঘুমের ঘুরে উল্টা পাল্টা কথা বলা বের করছি,দাড়াও আমি পানি নিয়ে আসি”(তাসনু)
“এই না না বইন উঠে গেছি”
“তাড়াতারি আস সবাই নাস্তা না করে বসে আছে”
“এতক্ষন নাস্তা না করে বসে আছে মানে?”
“তোমার জন্য সবাই নাস্তা না করে বসে আছে”
“তানু সহ?”
“না,তানু কিছুক্ষন আগে নাস্তা করে চলে গেলো”
“ওহ,তুই যা আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি”
–তাসনু চলে যেতে নিচ্ছিল তখন,”ভাইয়া তোমার গেন্জিতে রক্তের দাগ কেন?”
“কই নাতো”
“আমার কাছে মিথ্যা বলে লাভ নাই,বলো সত্যিটা”
“বিকালে বলব শুধু তোকে কেমন?”
“দেখ ভাইয়া তুমি কাল রাতে কাজ করছো বলছো,আবার এখন রক্তের দাগ দেখছি,আমি কিন্তু তোমাকে বিশ্বাস করতে পারছি না”
“তুই বিশ্বাস করতে পারছিস না এটা জেনেইতো তোকে বিকালে সত্যটা বলবো বলছি,কয়েকঘন্টার জন্য বিশ্বাস রাখ”
“হুম ওকে,আমার বিশ্বাস তুমি খারাপ কিছুতে নাই”
“আচ্ছা তুই যা আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি”
…”ওকে”
–ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম।
“কি নবাব এত দেরি হয় কেন,তোমার জন্য আমাদের বসে থাকতে হয়”~(দাদা)
“দাদা কাল ভার্সীটি পড়া শেষ করতে অনেক রাত হয়ে যায়,তাই সকালে উঠতে পারিনি”~(আমি)
“ও,কাল থেকে রাতে পড়া শেষ করতে না পারলে সকালে শেষ করবি,তবুও বেশি রাত যেন জেগে না থাকিস”
“ওকে”
–নাস্তা করা শেষ হওয়ার পর নাহিদকে নিয়ে জয়কে দেখতে চলে গেলাম।নীলা আপু তখন বাসায় ছিল।
“আস্সালামুআলাইকুম আপু”~(আমি)
“ওয়ালাইকুমআস্সলাম”~(নীলা আপু)
“ভালো আছেন?”~(আমি)
“হুম,তোমাদের রোগী জ্ঞান ফিরেছে চাইলে নিয়ে যেতে পারো”~(নীলা আপু)
“নিয়ে যাবো তার আগে একটা সত্য কথা বলে যেতে চাই”~(আমি)
“বলো তাড়াতারি আমার কাজে যেতে হবে”
“কাল রাতে আমাদের বিশ্বাস করে ওকে চিকিৎসা করেছেন,আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ”
“ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নাই,আর কিছু বলার আছে?”
“আপনার মনে কোনো সন্দেহ থাকে তার আগে আমরা আপনাকে বলে দিতে চাচ্ছি,আসলে আমি মেজর শাকিল দিহান,আমরা তিনজন নতুন আর্মিতে জয়েন করেছি,কাল রাতে এখানে একটা মিশনের কারনে জয়ের গুলি লাগে,আমাদের সন্ত্রাস বা অন্যকিছু মনে করবেন না”
“তোমাদের দেখেই আমি বুঝে গিয়েছিলাম তোমরা খারাপ কেউ নও,আর কারো বিপদের পাশে দাড়ানো আমার সৌভাগ্য,আর এত বড় একজন মানুষে সেবা করতে পেরে আমি ধন্য”
“ওকে আজ তাহলে আসি,জয়কে নিয়ে যাই”
“নাস্তা না করে কেউ যেতে পারবে না,আর জয়ের আরো কিছু চিকিৎসা করতে হবে”
“কি করতে হবে?”
“আগে তোমরা বসো আমি নাস্তা নিয়ে আসছি”
–নীলা আপু নাস্তা আনতে চলে গেলো।আমি আর নাহিদ সোফাই বসলাম।জয়ের অক্সিজেন মাক্স এখনো খুলেনি তাই কথা বলতে পারছে না।
“নাস্তা হাজির,এবার নাস্তা করে নাও,আমি জয়কে একটা সেলাইন লাগিয়ে দেই”~(নীলা আপু)
“সেলাইনের কি দরকার”~(নাহিদ)
“অন্যকেউ হলে সকালে কোনোরকমে বিদায় করে দিতাম,কিন্তু জয়ের চিকিৎসা ভালো করে করতে হবে…আর স্যালাইনটা লাগালে দুর্বলতা কমে যাবে”
“ওকে দাও,আমরা তাহলে ওকে নিতে কখন আসবো?”
“দুপুরে খাবার খেয়ে তারপর নিয়ে বাসায় যেতে পারবে”
“একটু কাজ আছে,মিশন শেষ হলে একদিন খাবো,দুপুরে জয়কে নিতে আসবো”
–নীলা আপুর বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম।
“মিশনের কথা হওয়ার আগে থেকে ফাহাদ আর রাহাতকে বাসায় দেখিনি”~(নাহিদ)
“বলিস কি,কই ওরা?”
“জানিনা”
“তুই একটু খোজ খবরনে,আমি একটু বাসায় যায়”
“ওকে আমি দেখছি”
–নাহিদের থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।এসে দেখি সবাই মনযোগ দিয়ে টিভিতে কি যেন দেখছে,সাথে তানুও আছে।ও কখন আসলো।
“দাদা কি দেখছো?”
“খবর দেখছি”
-ব্রেকিং নিউজঃকাল মধ্যরাতে মেজর শাকিল *** মিশনে গিয়েছেন।মিশনে কুষ্টিয়ার রাশেদ ও ঢাকার রায়াত মাস্তানের মিথ্যু হয়েছে কিন্তু এরা সেখানে কেন গিয়েছেন তা জানা যাইনি।এরা দুইজন ছাড়াও আরো ২৬ অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ পাওয়া গিয়েছে।
অন্যদিকে আজ সকালে বাংলাদেশ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন,কাল রাতে গোয়েন্দা বিভাগে কার্যলয়ে ২০ কোটির সমপরিমান ড্রাগস রেখে গিয়েছেন।এত মাদক কোথা থেকে আসলো,এবং কে রাখলো এখনো জানা যায়নি,আরো আপডেড পেতে DRA নিউজের সাথে থাকুন,ফিরছি একটু পরই
“দেখলি ** **** ** **”~(**)

‘চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here