পদ্মিনী,পর্বঃ৬,৭
আবির হাসান নিলয়
পর্বঃ৬
আমিঃঅনেক বেশিই ভালোবাসি পদ্মিনী
জান্নাতঃঢং,আজাইরা কথা বাদ দিয়ে
নিজের যত্ন নেন কাজে লাগবে।আর
আমি আপনাকে না কখনো ভালোবেসেছি
নাতো বাসি আর নাতো বাসবো।তাই
এসব চিন্তাভাবনা বাদ দেন।
আমিঃকেনো,আমি এতিম বলে?
জান্নাতঃআপনি পাগল বলে।এখন
আমি গেলাম।
আমিঃসাবধানে যেও
কোনো উত্তর না দিয়ে বাসা থেকে
চলে গেলো।যতোটা সময় জান্নাতের
সাথে ছিলাম অনেক বেশিই ভালো
লাগা কাজ করছিলো।আর মেয়েটার
মাঝেও অন্যরকম একটা নেশা আছে।
জানিনা দাদু ওর মাঝে কি দেখেছিলো
কিন্তু বুঝতে পাড়ছি এই মেয়েটার
মাঝে কিছু লুকিয়ে আছে।যা হঠাৎ
করেই আমার কাছে এসে ধরা দিবে।
দিনটা কোনোরকম পার করে দিলাম।
পরেরদিন,,,,,,,,
রাতের বেলা মেডিসিন খেয়ে ঘুমিয়ে
যাওয়ার জন্য শরিরটা অনেক দুর্বল
লাগছিলো।ভোর সকালে ঘুম ভেঙে
গেলেও আবার ঘুমিয়ে গেলাম।।
ঘুমিয়েই ছিলাম কিন্তু বাইরে থেকে
দরজা টোকানোর শব্দ পেয়ে বিছানা
থেকে উঠে দরজা খুলে দিয়ে দেখলাম
জান্নাত এবং খালাম্মা বাইরে দাঁড়িয়ে
আছে।ঘুম ঘুম চোখে দুজনের জন্য
ভিতর থেকে দুটো চেয়ার আর আমার
জন্য একটা মোড়া নিয়ে তাদের
পাশে এসে বসলাম।
খালাম্মাঃতোমার এই অবস্থা কেনো?
আমিঃজান্নাত কিছু বলেনি?
খালাম্মাঃবলেছে,কিন্তু আমি তো
ছেলেটার কাছে জিজ্ঞাস করলাম
বললো;সে এসবের কিছুই জানে না।
আমিঃযে দোষ করে সে কি কখনো
স্বীকার করে?
খালাম্মাঃতা ঠিক কিন্তু….
জান্নাতঃখালাম্মা তুমি কি ঐ বেয়াদবকে
বিশ্বাস করো?
খালাম্মাঃবিশ্বাস তো রবীন্দ্রনাথকেও
করি না।
আমিঃনা করাটাই বেটার।
খালাম্মঃতোমার আসল নাম ইশতিয়াক
আহমেদ তাই না?
জান্নাতঃনা নিলয়
খালাম্মাঃনিলয় মানে?
আমিঃআমার নাম
খালাম্মাঃতাহলে ঐটা..!
আমিঃভুল নাম
খালাম্মাঃদেখলি,,,ও নিজেও মিথ্যা
দিয়ে সাজিয়ে রাখছে।
আমিঃকিন্তু মারগুলো তো মিথ্যা না
খালাম্মাঃহতেও পারে
আমিঃকিভাবে?
খালাম্মাঃতুমি নিজেই গুণ্ডা ভাড়া করলে
আমিঃআমি নিজেই চলতে পাড়ি
না।আর গুণ্ডা..হাস্যকর হয়ে গেলো না।
জান্নাতঃখালাম্মা তোমার দেখা শেষ
এখন চলো।
খালাম্মাঃহুম যাওয়া যাক
জান্নাতঃতুমি ভার্সিটি যাবে?
আমিঃদেখি কি করা যায়।
জান্নাতঃইচ্ছা হলে এসো।
আমিঃহুম
খালাম্মা আমার দিকে কিভাবে
জেনো তাকিয়ে থাকার পর
জান্নাতকে সাথে নিয়ে গেলো।
হয়তো সন্দেহ করছে আমাকে।
কিন্তু এসব ভেবে লাভ নেই।কারণ
শুধু তিনি কেনো,অন্য কেউ আসলেও
জানতে পাড়বে না আমি কে..!
এক চিলতে হাসি দিয়ে টিনের সাথে
মাথা দিয়ে কিছু একটা মনে করার
চেষ্টা করলাম।আজ আর ভার্সিটি
যাবো না।কিছু সময় চুপচাপ বসে
থাকতেই শুরু হলো ঝুম বৃষ্টি।
পুড়ানো সেই কথাগুলো মনে
পড়তেই দ্রুত ড্রয়ার থেকে বাটন
ফোন বের করলাম।ফোনটা
সব সময় সাইলেন্ট করে রাখার
জন্য বোঝা যায়না কে কখন
কল করেছে।হাতে নিয়ে দেখলাম
অনেক নাম্বার থেকে কল এসেছে।
লাষ্ট কল এসেছে ৫মিনিট আগে।
সেটাও বাসার নাম্বার থেকে।
কিছু না ভেবেই কল ব্যাক করলাম।
রিং হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রিসিভ করলো।
আম্মুঃনতুন আবার কি পাগলামো
শুরু করছেন আপনি?
আমিঃআম্মু ওসব কিছু না।
আম্মুঃজিহাদ যে বললো,আপনি
ওদের থেকে মার চেয়ে নিছেন।
আমিঃতোমাদের কি ঝগড়া হয়েছে?
আম্মুঃঝগড়া হবে কেনো?
আমিঃনা এমনি মনে হলো।
আম্মুঃকি করছিস এখন?
আমিঃবৃষ্টি হচ্ছে তাই বৃষ্টি দেখছি
আম্মুঃনাস্তা হয়েছে?
আমিঃউহু
আম্মুঃকরবি কখন?
আমিঃবৃষ্টি থামলে বাইরে থেকে
খেয়ে আসবো।আর আব্বু কোথায়?
আম্মুঃচলে গেছে ১৫দিন আগে।
আমিঃআমাকে কিছু না জানিয়ে?
আম্মুঃআজ পাক্কা ২০দিন পর
কল দিলি আমাদের।আর তোকে
তো যাওয়ার আগের দিন এমনকি
সেদিনও কল করেছিলো।কিন্তু
তুই ধরিস নাই।
আমিঃওহ,তোমার শরির কেমন আছে?
আম্মুঃহালকা একটু অসুস্থ।
আমিঃঔষধ খাচ্ছো না?
আম্মুঃহুম,আজ বাসায় আয়।
আমিঃআজ না।
আম্মুঃআমি আপনাকে রিকুয়েস্ট
করছি না।আদেশ করছি।
আমিঃআম্মু আমি কিন্তু কান্না করবো
আম্মুঃবারণ করেছে কে?
আমিঃকিছুদিন পর যাবো
আম্মুঃআজ মানে আজ,আর না…
আমিঃওকে আমি যাবো
আম্মুঃকখন?
আমিঃরাতে রওনা দিবো
আম্মুঃঠিক আছে রাখছি
আমিঃহুম আল্লাহ হাফেজ।
আর কোনো কথা না বাড়িয়ে ফোনটা
পুনরায় ড্রয়ারে রেখে বৃষ্টি থামার জন্য
অপেক্ষা করছি তখনই জান্নাতের
কবিতাটার কথা মনে পরে গেলো।
পুরোটা মনে নেই কিন্তু যতোটুকু
মনে পরছে সেটুকুই অনুভব
করছি।তেপান্তরের মাঠ কি
সত্যি কোথাও আছে নাকি
সবটাই লেখকদের কল্পনাতে
তৈরি করা একটা সুন্দর স্থান
যেখানে দুপাশ দিয়ে কৃষ্ণচূড়া
ফুলের সমাবেশ শেষ হতেই
দেখতে পায় বিশাল একটা
ফাকা মাঠ।আর মাঠের শেষ
হতেই অপেক্ষায় আছে আছে
একটা ছোট্ট ডিঙি নৌকা।হুমায়ন
আহমেদ-এর ময়ূরাক্ষী নদীটাও
তো।কল্পনা করা কিন্তু এই নামের
একটা স্থানও আছে ভারতে।
তাহলে কি তেপান্তর মাঠও আছে..!
নিজের মধ্যে নিজেই এসব চিন্তাভাবনা
করার মাঝেই বৃষ্টি কমে গেলো।আর
দেরি করা মোটেও ঠিক হবে না।দ্রুত
গফুর চাচার দোকানে গিয়ে এক
প্লেট ভাতের সাথে ডাউল দিয়ে সকালের
খাবার শেষ করে বাইরে বের হলাম।
কাদামাটিতে ঠিকঠাকভাবে গাড়ি
চলতে পাড়ছে না।তবুও রাস্তার
একপাশ দিয়ে হেটে হেটে যাচ্ছি।
কাচা রাস্তা থেকে পাকা রাস্তায়
উঠতেই সেদিনের পুলিশটাকে
লক্ষ্য করলাম ফোনে কারো সাথে
কথা বলতে।কিন্তু তাকে দেখে
মনে হচ্ছে কিছু একটা করতে
করতে না পারাই বোঝাচ্ছে কিন্তু
উনার কথা বলার ভাবসাব দেখে
স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম তিনি
কাজটা করতে পারছে না।
এগিয়ে গিয়ে একটা সালাম দিলাম।
—কিছু বলবে?(সালামের উত্তর দিয়ে)
আমিঃযদি কোনো সমস্যা হয়
তাহলে আমাকে বলতে পারেন।
হয়তো সমস্যার সমাধান করতে পারি।
—তোমার সাথে পরে কথা বলছি।
এটুকু বলে ফোন কেটে দিলো।
—তোমাকে কোথাও দেখেছি
আমিঃএকদিন রাতে আমাকে খাওয়ার
জন্য ১০০০হাজার টাকা দিয়েছিলেন।
—হ্যা মনে পড়েছে।
আমিঃকি সমস্যা স্যার?
—আর বলো না,আমি এসব ফোন
ঠিকঠাক মতো চালাতে পাড়ি না।
কোথা থেকে জেনো কি হয়ে গেছে।
আর তখন থেকে ফোনের ডাটা
চালু হচ্ছে না।কিন্তু এদিকে আমার
স্ত্রী এবং মেয়ে ভিডিও কল দেয়ার
উঠেপড়ে লেগেছে।
আমিঃকিছু না মনে করলে আমাকে
দিতে পারেন।
—হুম নাও
স্যারের থেকে ফোনটা নিয়ে প্রথমে
ডাটা অন করে দেখলাম ডাটা চালু
হচ্ছে ঠিকিই কিন্তু উপরে শো করছে
না।সেটিং-এ গিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক
এর মাঝে গিয়ে Access point এর
ওখানে সমস্যা।তাই সবটা রিসেট
দিয়ে রবি ইন্টারনেট সেট করে ডাটা
অফ করে পুনরায় অন করতেই
দেখলাম উপরে শো করছে।মানে
কাজটা হয়ে গেছে।স্যারের কাছে
ফোনটা দিয়ে চলে আসলাম।
উনাকে সাহায্য করলাম কারণ
সেদিন তিনি আমাকে সাহায্য
করেছিলো।আর সেদিন আমার
মিথ্যা শুনেই সাহায্য করছেন,না
জানি আরো কতো অসহায়
মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে
দিয়েছে।পেছন থেকে দুইবার
ডাকলো।কিন্তু শোনার প্রয়োজন
নেই।কারণ গেলেই পরিচয়
জানতে চাইবে।যা আমার কাছে
সব থেকে বিরক্তি লাগে।
সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরাফেরা
করে বিকেল ৫টা নাগাদ বাসায়
গিয়ে বাটন ফোনটা আমার ব্যাগে
তুলে নিলাম।কারণ হয়তো যাওয়ার
সময় মনে নাও থাকতে পারে।এখন
অপেক্ষা করছি সন্ধ্যা হওয়ার।সন্ধ্যা
হলেই রওনা দিবো।প্রায় ৩মাস বাসায়
যায়না।শুয়ে বসে ঘণ্টা ২ কাটিয়ে
দেয়ার পর ঘরের বাইরে তালা
দিলাম।রেজাউলের কাছে আলাদা
চাবি আছে।তাই ও আসলেও
নিজের চাবি দিয়ে খুলতে পাড়বে।
হেটে হেটে বাসস্টপে আসতে কুড়ি
মিনিট সময় লাগলো।সেখানে
আরো ৫ মিনিট বাসের জন্য
অপেক্ষা করার পর বাস আসলো।
দ্রুত বাসে উঠে পেছনের দিকে একটা
ফাকা সিটে গিয়ে বসলাম।একটা
টিকিট কেটে জান্নাতের দেয়া
নাম্বারে কল দিলাম।তবে সেটা
পরিচয় গোপন করে।
প্রথমবার ধরলো না।কিন্তু পরের
বার দিতেই রিসিভ করলো।
জান্নাতঃকে বলছেন?
আমিঃআমি জুনায়েদ
জান্নাতঃকোন জুনায়েদ?
আমিঃমামুনের ফ্রেন্ড।
জান্নাতঃকল করেছেন কেনো?
আমিঃকিছু কথা বলার ছিলো
জান্নাতঃযা বলার জলদি বলেন
আমিঃএতো তারা কিসের?
জান্নাতঃআমি পড়তে বসছি তাই
আমিঃআই লাভ ইউ
জান্নাতঃজুতা চেনেন?
আমিঃকোন ব্রান্ডের?
জান্নাতঃআর একবার কল দিলে
তোর কথা খালুজানকে বলে দেবো।
আমিঃতোমার খালু পুলিশ বলে
আমাকে জেলে দিবে?
জান্নাতঃআমাকে বিরক্তি করলে
সেটাই করতে বলবো।
আমিঃতোমার সেই সাহস নেই।
জান্নাতঃনেই ভালো।
আমিঃআর শুনো ঐ ব্যাটা একদম
পাগল এবং অনেক বেশিই ত্যাড়া।
তাই মার খেয়েছে।
জান্নাতঃতো আমার বা আপনার কি?
আমিঃতুমি ওরে ভালোবাসো না?
জান্নাতঃআজ্ঞে না,আমার অলরেডি
বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।
আমিঃতাহলে আমার কি হবে?
জান্নাতঃজাহান্নামে যান
আমিঃগেলে তো তোমাকে নিয়েই
যাবো।আর খুব শীঘ্রই মামুনকে
দিয়ে তোমাকে কিডন্যাপ করে
বিয়ে করছি।
কিছু না বলেই কল কেটে দিলো।
সম্ভবত ভয় পেয়েছে।পুনরায়
কল দিতেই রিসিভ করলো।
আমিঃকি হলো ভয় পেলে নাকি?
জান্নাতঃতোকে দেখে ভয় পাওয়ার
কি আছে শুনি?
আমিঃতাহলে কল কেটে দিলি কেন?
জান্নাতঃআমার ইচ্ছা তাই।আর তুই
কেনো তোর চোদ্দ পুরুষ আসলেও
আমাকে কিডন্যাপ করতে পাড়বে না।
আমিঃতাই বুঝি
জান্নাতঃতোর বোঝাবুঝি রাখ।আর
যদি কল দিস তাহলে তোরে এমন
মাইর দেয়া দেবো বাপে জন্মে
ভুলতে পারবি না।
আমিঃকোথায় যেতে হবে মার খাওয়ার জন্য?
জান্নাতঃতুই সামনে আসলেই মার
খাবি আর জেলে ভরে দিয়ে যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড দেওয়াবো।
আমিঃহুম জেল তো তোমার বাপের
জান্নাতঃজানোয়ার কথাবার্তা ভালো
করে বল।
আমিঃকথাতেই বংশের পরিচয় 😶
জান্নাতঃতোরে এখন কাছে পেলে…
আমিঃআদর করতে সেটা আমি জানি।
জান্নাতঃকল রাখ জানোয়ার।
আমিঃগালি দিচ্ছো তুমি আর
এখন আমাকে দোষ দিচ্ছো।
জান্নাতঃআমার মুখ আমি যা
খুশি বলবো।তোর বাপের কি?
আমিঃআমার ফোন দিয়ে আমি
যাকে খুশি তাকে কল দেবো
তাতে তোমার কি?
জান্নাতঃতুই আমার নাম্বার কই পেলি?
আমিঃএটা বলা যাবে না।
জান্নাতঃকেনো ভয় পেলি?
আমিঃহ্যা গো😫
জান্নাতঃআর যদি একবার আমাকে
কল দিস একদম কুয়াতে ফেলে
দেবো।
আমিঃআর আমার কল না ধরলে
কুয়া থেকে উঠে এসে কিডন্যাপ করবো
জান্নাতঃতুমি আমার বা** করবে।
আমিঃদেখাই যাক কি হয়।
জান্নাতঃরাখ ব্যাটা ছাগল
আমিঃআচ্ছা ছাগলের স্ত্রী লিঙ্গ 😁
আর কিছু না বলে কল কেটে দিলো।
চলবে……….
পদ্মিনী
পর্বঃ৭
#আবির হাসান নিলয়
জান্নাতকে যেমনটা ভেবেছিলাম হয়তো
তেমন মোটেও না।কারণ,কথাই কথাই বকা
দেয়।তবে ওর প্রতিটা কথাই তো ভালো লাগে।
হোক সেটা বকা কিংবা সুন্দর করে।
বাসায় যেতে প্রায় ঘণ্টা ২ লাগবে।বাসে বসে
বসে বাসার কথা ভাবছি।
পরিবার বলতে,আব্বু আম্মু আমি এবং
আমার যমজ বোন নিলু।কুত্তীটা আমার
থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের বড়।কিন্তু
সেই জন্য তাকে বড় বলতে হয়।দাদু অনেক
আগেই মারা গেছে।
২ঘণ্টা পর…….
বাস থেকে নেমে হাটা শুরু করলাম।বাসস্টপ
থেকে বাসায় যেতে ৩/৪ মিনিট সময় লাগে।
হাটতে হাটতে বাসার সামনে আসতেই রহিম
চাচা আমাকে দেখেই এগিয়ে আসলো।
চাচাঃকেমন আছিস বাবা?
আমিঃজ্বি চাচা ভালো আছি,আপনি
কেমন আছেন?
চাচাঃভালো আছি
আমিঃভিতরে যাচ্ছি,আপনার সাথে পরে
কথা বলছি।
চাচাঃঠিক আছে।
বাইরে না থেকে ভিতরে আসতেই দেখলাম
আম্মু সোফার উপর বসে আছে।আমাকে
দেখে হাসি দিয়ে কাছে ডাকলো।
আম্মুঃতোর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।
আমিঃকেমন আছো?(জড়িয়ে ধরে)
আম্মুঃআমাকে তো ভুলেই গেছিস।কথা
ছিলো দুদিন পর পর কল দিবি।
আমিঃটাকা ছিলো না কিউটি।
আম্মুঃজিহাদকে তো টাকা দিছিলাম।কিন্তু
তুই নিজেই সেগুলো নিস নাই।
আমিঃআচ্ছা আম্মু সেসব বাদ দাও।
আম্মুঃচল ডিনার শেষ করি আগে।
আমিঃহ্যা চলো।
আম্মুঃনিলুকে ডেকে নিয়ে আয়।
আমিঃওকে
উপরে গিয়ে নিলুর রুমে গেলাম।
আমিঃঐ আম্মু ডাকে আয়।
নিলুঃকিরে কুত্তা তুই কখন আসলি?
আমিঃমাত্র আসলাম।কিন্তু তোর ল্যাপটপের
ছেলেটা কে?
নিলুঃতোর জেনে লাভ কি?
আমিঃবলবি নাকি আম্মুরে বলবো?
নিলুঃবল তাতে আমার কি?
আমিঃতাহলে তুই বলবি না?
নিলুঃওর নাম মামুন।
আমিঃসেটা আবার কে?
নিলুঃআমরা দুজন রিলেশনে আছি।
আমিঃকি করে ছেলে?
নিলুঃছোট একটা জব করে।
আমিঃকোথায়?
নিলুঃএকটা প্রাইভেট কোম্পানিতে।
আমিঃওহ,আমাদের কোম্পানিতে নিয়ে আয়।
নিলুঃআমার পরিচয় দেয়নি তো।
আমিঃতো কি বলছিস?
নিলুঃবলছি,আমি বাবা মায়ের এক মাত্র
মেয়ে।আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না।
আমিঃতাহলে আমি কি?
নিলুঃতোরে তো কুড়িয়ে পাইছে।
আমিঃলাথি মারবো,উঠ আম্মু ডাকে।
নিলুঃচলো মেরি ভাইয়ু😘
দাঁড়িয়ে পেছন থেকে আমার কাদে উঠলো।
আমিঃনাম কুত্তী
নিলুঃকুত্তা(নেমে গিয়ে)।পদ্মিনীর কি খবর?
আমিঃযেমন ছিলো তেমনি।
নিলুঃএখনো পটাতে পারিস নাই?
আমিঃপটানোর মেয়ে হলে তো পটাবো
নিলুঃঅনেক ভালো মেয়েটা।
আমিঃতুই জানলি কি করে?
নিলুঃআম্মু বললো,যখন দেশে আসছি
তখনি তো বলছিলো।
আমিঃওহ,আবার কবে যাবি কানাডা?
নিলুঃআর যাবো না।
আমিঃকেনো?
নিলুঃবিয়ে করে সংসার করবো।
আমিঃওয়াও
দুজন কথা বলতে বলতে নিচে এসে
ডাইনিং টেবিলে বসলাম।
আম্মুঃতোদের খালাম্মা তোদের যেতে বলছে।
আমিঃকেনো?
আম্মুঃদেখবে।
নিলুঃকাল সকালেই চলো যাই আম্মু
আমিঃআমি যাবো না।
নিলুঃকেনো?
আমিঃকেনো কি,?এখনো আমার কাজ হয়নি।
আম্মুঃতবুও যেতে হবে।অনেক মন খারাপ
করে কথা বলছিলো।
আমিঃকিন্তু আম্মু…
নিলুঃতুই আসলেই একটা বাচাল।
আমিঃলাথি খাবি তুই?
আম্মুঃচুপচাপ খেয়ে নে।আর সকালে
দুজন রেডি থাকবি।
নিলুঃওকে আম্মু।
টুকটাক কথা বলার পাশাপাশি ডিনার
শেষ করে রুমে এসে দেখলাম অনেকটা
সুন্দর করে সাজানো রয়েছে।আগে যেমন
করে থাকতো ঠিক তেমন করে।বারান্দায়
গিয়ে বসে কিছু সময় আকাশ দেখে রুমে
এসে ঘুমিয়ে গেলাম।
পরেরদিন,,,,,,,
অনেক বেলা করে ঘুমানোর অভ্যাস
আমার আগে থাকলেও এখন মোটেও নেই।
ভোর সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে
নিচে আসলাম।এখনো সবাই ঘুমিয়ে আছে।
রান্নাঘরে গিয়ে এক কাপ কফি বানিয়ে
বাগানে গেলাম।এখানে অনেক স্মৃতি
লেগে আছে।অনেক সময় দাদা,দাদুর
সাথে বসে সময় কাটিয়েছি। তাদের সাথে
পরিচর্যা করেছি পুরো বাগানটাকে।
কিন্তু এখন শুধুমাত্র তাদের ভালোবাসা
ছাড়া আমার কাছে কিছুই নেই।বসে
বসে অতিতের সব রঙিন দিন গুলোর
কথা ভাবতেই আম্মু আসলো।
আম্মুঃকখন উঠলি?
আমিঃঅনেক আগেই।
আম্মুঃকিছু কথা বলবো তোকে
আমিঃসেটার জন্য কি পারমিশন লাগে?
আম্মুঃতবুও
আমিঃবলো আম্মু
আম্মুঃতুই কি ঐ মেয়েটাকে সত্যি ভালোবাসিস
নাকি তোর দাদুর ইচ্ছার জন্য করছিস?
আমিঃজানিনা আম্মু,কিন্তু ওর সাথে কথা
বলতে আমার অনেক ভালো লাগে।ইচ্ছা
করে সব সময় ওর সাথে থাকি।যখন
আমি ইচ্ছা করে মার খেয়েছিলাম তখন
জান্নাত নিজেই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে
ট্রিটমেন্ট করিয়েছে।নিজ হাতে খাইয়েও দিছে।
জান্নাত অনেক বেশিই কেয়ারিং।
আম্মুঃমেয়েটার পরিবার হয়তো অনেক
ভালো তাই এমন হয়েছে মেয়েটা।
আমিঃমনে হয় না ওর ফ্যামিলি এতোটা ভালো।
সেদিন কল দিয়ে শুনতে পারছিলাম কেউ
একজন জান্নাতকে বকা দিচ্ছিলো।
আম্মুঃকেনো?
আমিঃসেটা তো জানিনা।
আম্মুঃআমি কি ওদের বাসায় যাবো?
আমিঃসেটার প্রয়োজন নেই।
আম্মুঃএখন রেডি হয়ে নে,যেতে হবে।
আমিঃনাস্তা করে যাবো না?
আম্মুঃওখানে গিয়ে করবো।
আমিঃওকে
আম্মুর সাথে কথা বলতে বলতে বাসায়
এসে রুমে আসলাম।রেডি হয়ে নিচে
আসতেই দেখলাম নিলু আগে থেকেই
রেডি হয়ে আছে।আম্মু বাইরে আসতেই
বের হলাম।রহিম চাচাকে বলে গাড়িতে
উঠলাম।আমি আর নিলু সামনে আর
আম্মু পেছনে বসে কথা বলছিলাম। গাড়ি
ড্রাইভ করার পাশাপাশি বললাম,,,,
আমিঃআম্মু তোমার মেয়েকে বিয়ে দিবে নে?
আম্মুঃহঠাৎ?
আমিঃতোমার মেয়ের তো ছেলে পছন্দ
হয়েছে।তোমাদের কিছু বলেনি?
নিলুঃনিলয়ের বাচ্চা চুপ করবি তুই😤
আম্মুঃআমাকে বলতেও লজ্জা লাগে?
নিলুঃতেমন না আম্মু,কিন্তু আসলে ছেলেটা
আমাকে ঠিকমতো জানে না।
আমিঃতুই তাকে ঠিকমতো জানিস?
নিলুঃশাফি ভাইয়াকে দিয়ে খোজ নেয়াইছি
আম্মুঃকি বললো শাফি?
নিলুঃছেলেটা ভালোই আছে,একটা প্রাইভেট
কোম্পানিতে জব করে।যৌথ পরিবার।
আমিঃওহ
আম্মুঃকথা বলবো নাকি তোর আব্বুর সাথে?
নিলুঃএখনি না আম্মু,আগে দুজন একে
অন্যের সাথে আরেকটু পরিচিত হয়।
আম্মুঃঠিক আছে
তিনজন কথা বলতে বলতে খালাম্মার
বাসায় চলে আসলাম।অনেকটা দূরে না,
বাসার সামনে গাড়ি পার্ক করে ভিতরে
যেতেই রুহি এসে নিলুর কোলে উঠলো।
রুহি খালাম্মার মেয়ে,বয়স ৪ কিংবা ৫ হবে।
আঙ্কেল কলেজের টিচার তাই বাসাটায়
খালাম্মা আর রুহি সারাদিন পার করে।
যদিও ছুটির দিনে বাসায় থাকে তবে অন্য
দিন পুরো বাসায় তারা দুজন।
খালাম্মা রুম থেকে বের হয়ে আসলো।
আমিঃকেমন আছো খালাম্মা? (সালাম দিয়ে)
খালাম্মাঃভালো আছি,তোদের কি খবর?
আমাকে তো ভুলেই গেছিস একদম।আমি
তো আর তোদের কেউ না যার জন্য মনে
রাখবি,দেখা করবি।
আম্মুঃকাল রাতেই বাসায় আসছিলো,তাই
ধরে নিয়ে আসছি
খালাম্মাঃআপু চল বসি আগে।
আম্মুঃহ্যা চল।
সবাই মিলে কথা বলতে শুরু করলাম।
খালাম্মা একদম আম্মুর মতোই ভালোবাসে।
কখনো বকা দিয়ে কথা বলেনি আমাদের
দুভাই বোনদের।যখন আমরা ছোট ছিলাম
তখন বেশিরভাগ সময়টা আমাদের বাসায়
থাকতো আমাদের আদর করতো।
অনেকটা সময় মজা করার পর নাস্তা শেষ
করে আবার আড্ডা দিতে লাগলাম।
আগামী মাসে রুহির বার্থডে সেটা নিয়েও
আলোচনা করলাম।
সারাদিন খালাম্মার বাসায় কাটিয়ে দিয়ে
বিকেল হতেই সবাই রওনা দিলাম।বাসায়
এসে রাতটা পার করে ভোরবেলা আম্মুকে
বলে রওনা দিলাম।বাসে উঠে পদ্মিনীর
কথাগুলো ভাবছিলাম।কি করবো ওর সাথে..!
অনেক দিন হয়েছে এখনো নিজের করে
নিতে পারিনি।আর বেশি দেরি করা হয়তো
কারোর জন্যই ঠিক হবে না।এসব ভাবতে
ভাবতে বাসস্টপে বাস থামতেই আনমনে
হাটতে হাটতে ভার্সিটির দিকে রওনা দিলাম।
কিছু সময় হাটার পর মনে হলো কেউ ফলো
করছে।কিন্তু এদিক সেদিক তাকিয়ে একটা
গাড়ি ছাড়া কাউকেই পেলাম না।
কিছু সময় হাটার পর শুনতে পেলাম…
—নিলয়
পেছন ফিরে সেদিনের পুলিশকে দেখলাম।
কিন্তু তিনি আমার নাম জানলো কি করে।
আমার কাছে এসে বললেন…
—তোমাকে চেনা চেনা লাগছে
আমিঃআমাকে?
—হ্যা,কোথায় দেখেছি মনে পরছে না
আমিঃআমার তো মনে পড়ছে না,কিন্তু
আপনি আমার নাম জানলেন কি করে?
—আমার স্ত্রী তোমার নাম বলেছে
আমিঃআপনার স্ত্রী আমার পরিচিত?
—খুব একটা চেনে না।কিন্তু তুমি অনেক
ভালো করেই চেনো।সে যাই হোক যেটা
বলার জন্য ডাকলাম।
আমিঃজ্বি বলুন
—জান্নাতকে ভালোবাসো?
আমিঃআপনি জান্নাতের কে?
—আমি ওর আঙ্কেল,ওর খালাম্মার হাসবেন্ড
আমিঃওহ খালুজান,কেমন আছেন
—এখনো হয়নি
আমিঃকিন্তু খুব শীঘ্রই হয়ে যাবেন।
—যেটা বললাম সেটার উত্তর দাও
আমিঃনিজের চাইতেও বেশি ভালোবাসি।
—কি করতে পারবে ওর জন্য?
আমিঃকি করতে হবে ওর জন্য?
—ওকে নিয়ে পালিয়ে যাও
আমিঃমানে?
—মানে ওর সাথে অন্য কোথাও চলে যাও
আমিঃআপনি কি ওর সত্যি খালু?
খালুঃওর ভালোর জন্য বলছি।
আমিঃযদি একটু ক্লিয়ার করে সব বলতেন
খালুঃগাড়িতে আসো
আমিঃঠিক আছে।
গাড়িতে উঠে বেশ অবাক হলাম,জান্নাতের
খালাম্মা নিজেও গাড়িতে বসে আছে।
আমিঃখালাম্মা আপনি?
খালাম্মাঃএদিক দিয়েই যাচ্ছিলাম কিন্তু
দেখলাম তুমি এখানে।তাই উনাকে সব বললাম।
খালুঃতুমি ওকে বলবে নাকি আমি বলবো?
খালাম্মাঃআমি নিজেই বলি
আমিঃজ্বি বলুন
খালাম্মাঃনিলয় তুমি হয়তো জানো না,তোমার
পদ্মিনীর মা নেই।ওরা যৌথ পরিবারে থাকে।
আমিঃআমি জানি।
খালাম্মাঃওর সাথে কিভাবে কথা বলে সেটা
কি জানো?
আমিঃনা
খালাম্মাঃঐ বাসায় একমাত্র বন্ধু মামুন,সবাই
ওর সাথে তেমন কথা বলে না।বললেও খোঁটা
মেরে কথা বলে।কারণ জান্নাতকে জন্ম দিতেই
আমার বোন মারা গেছে।
আমিঃকিন্তু এখানে জান্নাতের কি দোষ
খালাম্মাঃসেটাই তো ঐ বাসার কেউ জানে না।
কি একটা ছেলের সাথে মেয়েটাকে বিয়ে দিচ্ছে।
তুমি ওকে নিয়ে পালিয়ে যাও,তোমার জব
থাকার জায়গা সব ব্যবস্থা করে দেবো।
আমিঃপালালে তো নিয়ে যাবো।
খালাম্মাঃজান্নাত হয়তো তোমাকে একটু
হলেও পছন্দ করে।কিন্তু ওর পরিবারের
জন্য তোমার সাথে এমন করছে।
আমিঃতাহলে কি পরিবারের জন্যই আপনার
সাথে থাকে না?
খালাম্মাঃহুম,কারণ ওর বাবা।
আমিঃবুঝতে পারছি।তবে খালাম্মা চিন্তা
করেন না।আমি খুব শীঘ্রই জান্নাতকে
আমার করে নেবো।এখন আসি?
খালুঃকিন্তু তোমাকে আমি কোথাও দেখেছি
আমিঃজ্বি আপনি আমাকে ১হাজার টাকা
দিয়ে হেল্প করছিলেন।
খালুঃনাম কি বলছিলে?
আমিঃমনে নেই আমারো😁
খালুঃতুমি মানুষ হিসাবে সুবিধার না।
আমিঃহিহি,,আল্লাহ হাফেজ।
খালাম্মাঃসাবধানে যেও।
গাড়ি থেকে নেমে সব মাথার মধ্যে সাজিয়ে
নিলাম।আর কিভাবে কি করতে হবে সেটাও
ভেবে নিলাম।প্ল্যানের মধ্যে কোনোপ্রকার
পুলিশ থাকা যাবে না।কারণ পুলিশকে মোটেও
বিশ্বাস নেই।কখন কিভাবে প্ল্যান নষ্ট
করে দিবে তারাই ভালো জানে।
***অন্যদিকে জান্নাতের খালাম্মা আঙ্কেলের কথা*****
খালুঃছেলেটা সুবিধার না।
খালাম্মাঃকিন্তু জান্নাতকে ভালোবাসে
খালুঃছেলের সব কথা মিথ্যা,যদি ওর
ভালোবাসা মিথ্যা হয় তখন?
খালাম্মাঃআমিও সেটাই ভাবতাম,কিন্তু
এখানে ওর মাত্র ২জন বন্ধু আছে।তাদের
থেকে জিজ্ঞাস করছি নিলয় এখানে কেনো
আসছে..উত্তরে তারা বলছে জান্নাতের জন্য।
যে ছেলে জান্নাতের জন্য গত ১ বছর পরে
আছে সে মিথ্যা বললেও তার ভালোবাসা
মিথ্যা হবে না।
খালুঃহতেও তো পারে
খালাম্মাঃনাও হতে পারে,সব সময় নেগেটিভ
চিন্তাভাবনা করো কেন শুনি?
খালুঃমেয়েটার জন্য,বড্ড ভালোবাসি যে।
খালাম্মাঃওর সুখের জন্যই এমন করছি।
আর এখনি তো পালিয়ে যাচ্ছে না।আরো
খোজ নেয় ছেলেটার, যদি ভালো মনে হয়
তখন হেল্প করবো।কিন্তু যদি মনের মতো
না হয় তখন বারণ করে দিবো।
খালুঃহুম
খালাম্মাঃজ্বি,এখন চলেন।
খালুঃঠিক আছে।
*****নিলয়ের কথা******
বাড়িতে না গিয়ে সোজা ভার্সিটিতে চলে
আসলাম।খুব বেশি স্টুডেন্ট আসেনি,
তাই ক্যাম্পাসে বসে কোনো একটা প্ল্যান
সাজাচ্ছিলাম। রুহির বার্থডের আগে
জান্নাতকে নিয়ে গেলে কেমন হয়।কিন্তু
জান্নাত আমাকে বিশ্বাসই করে না।পালানোর
কথা বললে ভার্সিটি আসাই বন্ধ করে দিবে।
অনেকটা সময় বসে থাকার পর স্টুডেন্টদের
আনাগোনা বেরে গেলো।এসব এখন ভেবে
লাভ নেই।তাই চিন্তা থেকে বের হয়ে বন্ধুদের
জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।কারণ এখন
জান্নাতের থেকে একটু দূরে থাকতে হবে।
চলবে……………