ভালোবাসা_সীমাহীন,চতুর্থ_পর্ব
লেখনীতেঃInsia_Ahmed_Hayat
আমি শরবতের ট্রে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি এমন সময় বরপক্ষ আসলো। আর আমি থ মেরে আছি বরের পাশের জনকে দেখে। মনে মনে খিচ্চা দৌড় দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বরের পাশে দাঁড়িয়ে আছে রাসেল। আমার এক বান্ধবি আমার হাত ধরে আছে কোনো ভাবেই খিচ্চা দৌড় দিতে দিবে না। আমিও অনেক ভেবে চিনতে সিদ্ধান্ত নিলাম আর খিচ্চা দৌড় দিবো না।
আমার দৌড় নিয়ে আমার বান্ধুবিরা অনেক বড় বড় ভাষন দিয়েছে। এইভাবে দৌড় দেওয়াতে আমার মান সম্মান নাকি সব শেষ তাই চুপচাপ রাসেলের দিকে কোনো নজর দিলাম না কারন সেও আমায় ইগনোর করছে। খচ্চর একবার তাকিয়ে ভুলেও আর তাকালো না। (না মানে আমার চোখ বারবার তার দিকেই যাচ্ছিলো কিন্তু সে তাকালোই না)
অত:পর গেট ধরার কাজ শেষ করে সেই যে আমি পালিয়ে কাঠালের আঠার মতো মারিয়ার সাথে চিপকে ছিলাম কেউ টেনেও নিতে পারেনি। আমি বলে দিছি আমি আর বের হবো না। ওইদিকে বাকি কাজ বান্ধুবিরা করছে আর এইদিকে মারিয়াকে আমি বকেই যাচ্ছি।
রানীঃ তুই আমাকে আগে বলিসনি কেন যে সজিব ভাইয়ার বন্ধু রাসেল। আগে জানলে তোর বিয়েতে আসতাম না। তুই সজিব নিয়ে থাক।
মারিয়াঃ এই তোর রাসেল ভাইয়ার সাথে কিসের এত এলার্জি তোকে কি রাসেল কিছু বলছে নাকি হ্যা। হুদাই দৌড় দেস কেন। ওইদিন রেস্তোরাঁ থেকে দৌড় দিয়ে মান সম্মান ডুবিয়ে দিয়েছিস মনে নাই।
রানীঃ হয়েছে এক কথা আর কতবার বলবি। এইযে দেখোস না আমি যে এইবার আর দৌড় দেইনি। আমার ভয় করে তাই তো দৌড় দিতাম।
মারিয়াঃ শোন সজিব আর রাসেল স্কুল ফ্রেন্ড আমি জানতাম না ওইদিন রেস্তোরাঁতে সজিব, রাসেল ও তাদের বন্ধুরা আড্ডা দিতে আসছিলো তখন জেনেছি। আর এখন বেশি ক্যাচাল পারিসনি ওকে। আমার বিয়ে মানুষ দেখলে বলবে নতুন বউ বাচাল তাই চুপ থাক আর বাহিরে গিয়ে দেখ কি হচ্ছে।
রানীঃ না না আমি তো বিদায়ের আগ পর্যন্ত এইখান থেকে নড়ছি না।
বেশ কিছুক্ষন পর দুইটা ক্যামেরাম্যান সহ অনেকজন ভেতরে হাজির আমি আর মারিয়া ভ্যাবাচেকা খেয়ে আছি। পড়ে বুঝলাম এটা বরপক্ষের ক্যামেরা এরপর আর কি ফটোসেশান চলছিলো। আমিও চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলাম। মারিয়া একা একা ওরও কিছু হেল্প লাগে।
এরপর বর আসলো সাথে চৌদ্দ গুষ্টি সেই গুষ্টির মাঝে আমি চিপায় পড়ে গেছিলাম। বিদায় আর কান্নাকাটি চলছে আর আমি বেচারি মানুষের ভিড়ে এক চিপায় হঠাৎ কে যে সামনে থেকে হালকা ধাক্কা দিলো আমি কয়েক কদম পিছিয়ে গেলাম। তখনি কানে আসলো সুমধুর কন্ঠ,
“মিস রানী নিজের পায়ে দাড়াও। আমার পা থেকে সরে দাড়াও অফ”
আমি পেছনে ফিরে দেখি রাসেল দাঁড়িয়ে আছে আর আমি তার পায়ের উপর পা রেখেছি। হিল জুতার কারনে সে ব্যাথা পেয়েছে এরপর আমাকে কিছু না বলে সে বাহিরে চলে গেলো আমি স্যরিও বলতে পারিনি তখন। আমি এত বোকা ছিলাম যে তখন কথা বলতেও ভয় পেতাম কেমন জেনো লাগতো।
এরপর বিয়ে শেষ মারিয়া চলে গেলো কিন্তু পড়াশোনা ঠিকি চলছিলো। মারিয়া শ্বশুরবাড়ি থেকে কলেজে আসতো। এখন আমার একা একা কলেজে আর কোচিং-এ যাওয়া লাগতো।
তো একদিন আমি কোচিং থেকে বাসায় আসছিলান তো শর্টকাট নিয়ে খেলার মাঠের ভিতর দিয়ে আসছি সেখানে যাওয়া আসার রাস্তা আছে। বড় ভাইয়ারা ফুটবল খেলছে আমি খেলা দেখতে দেখতে হঠাৎ একটা সাপের বাচ্চার মাথার কাছাকাছি পা রেখে দেই তখন সাপটা লেজ দিয়ে হালকা নড়ে আর আমি ভিতুর নানী সেখানেই সাপের মাথার কাছাকাছি পা রেখে তব্দা মেরে দাঁড়িয়ে আছি। ভয়ে আমি ঘেমে একাকার পা সরালে কামর দিবে তাই সেই ভয়ে আমি পা আর সরাইনি। বলে রাখাভালো পাশের ঝোপঝাড় এর মতো হয়ে আছে সেখান থেকেই হয়তো এসেছে। দেয়াল আর ঝোপঝাড় এরপর রাস্তা তার পাশে খেলার মাঠ। এখন আমি ভয়ে কাউকে ডাকও দিতে পারছি না কিছু বলতেও পারছি না। বোরকা হালকা উচু করে ধরে রেখেছি সবাই খেলায় ব্যস্ত এইদিকে যে আমি অবলা নারী সাপকে চেপ্টা বানিয়ে ফেলছি।
আমাকে এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কেউ কেউ তাকাচ্ছে কিন্তু কিছু বলছে না। হঠাৎ ফুটবল এসে আমার ডান কাদে লাগে হালকা ব্যাথা পাই। একটা ভাইয়া এসে বলল যে বোন ব্যাথা পেয়েছো। আমি দিছি কেদে🥺।
আমার কান্না দেখে ভাইয়াটা ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো কি বলবে বুঝতে পারছে না।
উনি স্যরি স্যরি বলে যাচ্ছে এরপর দুইএকজন প্লেয়ার আসলো। কি হয়েছে কি হয়েছে জিজ্ঞেস করছে ভাইয়াটা বলল বল লাগায় আমি কাদছি। আমি কান্নার ঠেলায় বলতে পারিনা আরে ভাই আমি একটা সাপের বাচ্চাকে চেপ্টা বানিয়ে তার উপর দাঁড়িয়ে আছি। অনেক কষ্টে কান্না থামিয়ে তাদের দেখালাম। কেউ কেউ হেসে কুটিকুটি। আমার অনেক রাগ হলো। রাগের মাথায় কাদের ব্যাগ ঢিল মেরে ফেলে দেই এরপর বলতাছি কেউ এই সাপটাকে ধরেন আমি পা সরাই কেউ রাজি না দুই একজন লাঠি খুজতে গেছে কারন একটু এদিক ওদিক হলে কামর খাবো আমি। এরপর সেই সময় আবার ওইদিক দিয়ে একজন ভালো মানুষ আসতেছিলো মানে আমার ছোট ভাইয়া আরকি ভাইয়া এই রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করে। তো ভাগ্যক্রমে ভাইয়া এইদিক দিয়ে আসছে আর আমাকে দেখলো। এরপর ভাইয়া বলল আমি আস্তে আস্তে পা উঠাতাম আমিও তাই করি আমি পা সরানোর সাথে সাথে ভাইয়া সাপের মাথা চেপে ধরে দূরে ফেলে দিয়ে ফুটবলখেলা ভাইদের বকাঝকা করলো যে লাঠি লাগে মাথা চেপে ধরলেই তো সাপ নড়তে পারে না। এরপর আমাকে নিয়ে বাসায় যায় রাস্তায় আমাকে একটা আইসক্রিম কিনে দেয় আর বলে সাবধানে চলাচল করতে।
সত্যি ওইদিন আমার ছোট ভাই না আসলে হয়তো বাকি ছেলেদের লাঠি খোজাখুজি ঠেলায় আমি অজ্ঞান হয়ে যেতাম। ১০ মিনিটের মত হবে সাপের উপর পা রাখা বেচারা সাপ।
সত্যি বলতে ওই ছেলে গুলো আমাকে কোনো সাহায্যই করতে চাচ্ছিলো না তারা মজা নেওয়া শুরু করলো যখন বলল যে লাঠি খুজে আনি আমি বললাম সাপকে কি লাঠি দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলবেন তখন একজন বলে যে” আপনি নিজেই তো আধা মরা করে ফেলছেন আর আপনার এত মায়া লাগছে কেন আপনি শ্বশুর নাকি সাপটা”।
এত খারাপ লেগেছে ওদের হাসি ঠাট্টায় কি বলবো কেউ কেউ আবার সান্ত্বনা দিয়েছে কিন্তু কেউ সাহায্য করেনি। কেউ কেউ তো আমায় ভয় দেখানো শুরু করছে যে বিষধর সাপ। মরে গিয়েও আমার পিছু ছাড়বে না। আমাকে অভিশাপ দিবে হেনতেন আরো কতকি।
ওইদিন আমার লাইফের তৃতীয় হিরো আমার ছোট ভাই আমাকে রক্ষা করে।
এরপর থেকে সাবধানে উপর নিচ ভালো করে দেখে শুনে হাটি আর কখনো ওই রাস্তা দিয়ে যাইনি।
তো একদিন বৃষ্টির সময় কলেজে যাচ্ছিলাম সকালে রাস্তাঘাট ভেজে আমি যাচ্ছি অপর রাস্তা দিয়ে রাসেল আসছে তো আমি তাকে দেখেও না দেখার ভান করে হাটতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যাই তার সামনে। মান সম্মান সব গেলো৷ এরচেয়ে ভালো খিচ্চা দৌড় দিতাম তাও হতো। রাসেলের দিকে চেয়ে দেখি সে হাসছেও না ইগনোরও করতে পারছে না আবার কিছু বলতেও পারছে না। এরপর সে আমার সামনে এসে আমাকে ধরে তুলে জিজ্ঞেস করলো ঠিক আছি কি না আমি মাথা নেড়ে হ্যা বলি আর এইদিকে আমার ড্রেস শেষ তার সাথে পায়ে হালকা ব্যাথা পাই। রাসেল চলে যায় আমি আর কলেজে না গিয়ে বাসায় চলে যাই
এভাবে দিন পার হচ্ছিলো আস্তে আস্তে আমি সেকেন্ড ইয়ারে উঠলাম টেস্ট এক্সাম দিয়ে শান্তিতে আছি। হঠাৎ একদিন পাত্র পক্ষ আসে। আমাকে আগেই বলেছিলো যে আসবে আমিও কিছু বলিনি কারন আমার পরিবারকে আমি চিনি আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে না বা ভুল সিদ্ধান্ত নিবে না। এরপর তারা আসলো। পাত্রের বাবা, বড় বোন আর ফুফু এসে আমাকে দেখে যায় সব ঠিক করে ওনাদের পছন্দ হয়েছে এইদিকে পাত্র সম্পর্কে আমাকে কোনো ধারনা দেওয়া হয়নি আমিও আগ্রহ দেখাইনি। বান্ধুবিদের জানিয়ে দিলাম এরপর আরেকবার সবাই আসলো কিন্ত আমাকে দেখলো না আমি আমার রুমের কোনায় ছিলাম বিয়ে পুরোপুরি ঠিক হলো করা হলো আমি পাত্রী তাই নিজের রুমে ছিলাম। বড়দের মাঝে নানান ফুসুরফাসুর চলতো তার কিছুই আমি জানতাম না। সবাই দেখি এক পায়ে রাজি এই বিয়েতে। এরপর আমার হালকা রাগ হলো আমার বিয়ে অথচ পাত্রের নাম জানি না কেউ বলেও না। সব শেষ এ বলা হলো যে পাত্র আসবে নিজেই দেখে নিতাম। আমিও রেডি হলাম এরপর একদিন পাত্র আসলো।
আর সেই পাত্র এসেই শপথ বাক্য থেকে শুরু করে গরুর রচনায় শেষ করলো।মানে আপনারা ওইদিনের কাহিনি জানেনই আমার বিশেষ পাত্রপক্ষের কাহিনিটা। (যারা বিশেষ পাত্রপক্ষ অনুগল্পটা পড়েছেন তারা বুঝতে পারবেন রাসেল ভাইয়া কি জিনিস আর রানী আপু কি জিনিস🤣🤣।লেখনীতেঃ ইনসিয়া আহমেদ হায়াত) তাই ওইব্যাপারে আর বললামই না।
এরপর আস্তে আস্তে বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসতে লাগলো।
আমার বিয়ে ঠিক হলো রাসেলের সাথে। রাসেল হোসেনের সাথে রানী ইসলামের বিয়ে ঠিক হলো। এই বিয়েতে অমত করার প্রশ্নই আসে না। কারন তাকে আমার হালকা পাতলা ভালো লাগতো। ভালোলাগাটা শুরু হয় তার ইগনোর এর কারনে সে আমাকে যখন থেকে ইগনোর করা শুরু করেছিলো তখন থেকে তার প্রতি টান অনুভব করি। তার সাথে দেখা হলে সে দেখেও না দেখার ভান করতো।
ওর মা ভাই ভাবি আমাকে দেখেছে তাই শুরুতে তারা আসেনি বাবা বোন আর ফুফু এসেছে আর আমার বাবাকে সব বলেছে যে চারবছর ধরে রাসেল রানীকে পছন্দ করে(এটা পড়ে জানতে পারি) । বাবা ও ভাইদের রাজি করিয়ে শেষ ফলে বিয়ে ঠিক করলো সবাই সবটা জানতো আমি বাদে।
এভাবে দিন যাচ্ছে। আমি আবার ফেসবুক সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে গিয়েছি মেসেজ রিকুয়েষ্ট কিভাবে দেখে তাও শিখে নিজের মেসেজ রিকুয়েষ্ট অপশনে গিয়ে দেখি রাসেলের আইডি থেকে মেসেজ নিকনেম দিয়ে রাখছে “মিস কুইন” তখন বুঝলাম ওই ফোনওলাটা কে ছিলো। অনেক অনেক মেসেজ ছিলো না একটা মেসেজই বার বার দেওয়া সাথে ডেইট লিখে। যেমনঃ ৬-৮-২০১৭ তাকে দেখিছি সব কথা বিয়ে পর বলবো🙄।
এইধরনে মেসেজ দেওয়া দেখে অবাক হয়ে শুরুতে রিপ্লাই দেইনি এরপর বিয়ে ঠিক করার পর রিপ্লাই দিলাম হবু বর এইগুলো কি। বলে বিয়ের পর সব বলবে সব। আমিও আর প্রশ্ন করিনি।
কিছুদিন পর আমার হবু বরকে একটু টেস্ট করতে মন চাইলো আরকি তাই একটা ফেক আইডি খুলে দিলাম রিকুয়েষ্ট। ৭ দিন আমারে ঝুলিয়ে রেখেছে এক্সেপ্ট করার নাম গন্ধ নেই। ওইদিকে আমার রিয়েল আইডিতেও রিকুয়েষ্ট দিয়ে রাখছে বহু বছর আগে এক্সেপ্ট করিনি বিয়ে পর করব। হাজার হুমকি ধামকি শুনেও এক্সেপ্ট করিনি। তো এক্সেপ্ট না করায় ভাবলাম একটা মেসেজ দেই।
রানীঃ হাই
রাসেলঃনো সিন নো রিপ্লাই
রিপ্লাই না দেওয়া পরেরদিন আবার মেসেজ দিলাম।
রানীঃ হ্যালো
রাসেলঃ 😤কোনো রিপ্লাই নাই
শেষ ফলে রাগে দুঃক্ষে মেসেজ দিলাম
রানীঃ আপনার বয়স কতো?
রাসেলঃ৬০ হাহাহাহা
( কতো বড় সাহস আমারে রেখে অন্য মাইয়ারে মেসেজের রিপ্লাই দিছে🤬 ওপ্স এটা তো আমিই এইসব মনে মনে ভাবছিলাম)
রানীঃবাটপার আপনাকে দেখে তো মনে হয় না ৬০ হবে। তো বাচ্চাটাচ্চা কতো গুলো।
রাসেলঃ আরে আমার বয়স ৬০ আমার বউ এর ৫০. বাচ্চাটাচ্চার সংখ্যা দাড়ান গুনে নেই তার পর বলব।
রানীঃঅবাক হওয়ার ইমুজি দিলাম(কি বলে এইগুলো আমি কাকে বিয়ে করতে যাচ্ছি লুচু তোকে আমি ছাড়বো না মনে মনে)
রাসেলঃ ৩০ জন আমার ছেলেমেয়ে
রানী? দূর মিয়া ফাজলামি করেন(১০০ এর উপরে রাগী ইমুজি দিছি)
রাসেলঃ 🤣 ফেক আইডি দিয়ে মেসেজ না দিয়ে রিয়েল আইডি দিয়ে কল দেও রাসেলের রানী🥰🥰।
রানীঃ না বুঝার ভান করে আন্দাজে ইমুজি দিলাম।
এরপর অনেক চেষ্টা করেও তারে বুঝাইতে পারলাম না আমি যে রানী না। শেষ ফলে সে আমাকে লোভ দেখিয়ে দেখিয়ে ধরা দিয়েছে। মানে আমাকে চক্লেট কিনে দিবে ।
তখন মনে মনে একটাই গান বাজছে আমি ফাইসা গেছি মাইনকা চিপায়।
অবশেষে আমার বিয়ের দিন চলে এলো প্রথমে গায়ে হলুদ এরপর বিয়ে। আমার আত্নীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব ছাড়া বিয়েতে কেউ নেই কারন এখন আমাকে কাবিন করানো হবে এইচএসসির পর উঠিয়ে নিবে । আমাদের পরিবারের শেষ বিয়ে এরপর আর কেউ নেই নানীর বাড়িরও দাদীর বাড়িরও কেউ নেই।
কনে সেজে বসে আছি। বরপক্ষ আসলো।
বিয়ে পড়ানো শুরু হলো। অবশেষে কবুল বলে হয়ে গেলাম আমি রাসেলের রানী।
চলবে