My_Mafia_Husband❤,পর্ব:৮
লেখিকা: মিহু
মেঘ: ডোন্ট ওয়ারি আমি প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলে নিব
।
মিহু: ওক্কে
।
মেঘ: যাও আমার জামাকাপড়গুলো বের করে দাও,,,আমি একটু বের হব কাজ আছে
।
মিহু: হুম (বলে আলমারি থেকে একটা একটা ব্ল্যাক কালারের শার্ট, ব্ল্যাক জিন্স, ব্ল্যাক ওয়াচ, সানগ্লাস, ব্ল্যাক সু আর ওনার গানটা খুব ভয়ে ভয়ে নিয়ে বেডের উপরে রাখলাম। এই জিনিসটা আমি এখনো ভয় পাই)
।
মেঘ: (আমি রেডি হয়ে নিলাম,,,মিহু আমাকে ব্ল্যাক লং কোর্টটা পরিয়ে দিল)
।
মিহু: (ওনার থেকে একটু দূরে সরে দাড়ালাম,,,এই লোকটা এত হ্যান্ডসাম কেন? ওনার উপর না জানে কত মেয়ে নজর দেয়) এই শোনেন আ..আপনি বাসার থেকে বের হওয়ার আগে রোজ কালো টিকা লাগিয়ে বের হবেন বুঝেছেন?
।
মেঘ: কেন😒
।
মিহু: কজ আমি চাই না অন্য কোনো মেয়েরা আপনার দিকে নজর দিক তাই
।
মেঘ: হুম,,,দেখি এদিকে এসো তো😁 [দুষ্টুমি হাসি দিয়ে]
।
মিহু: কেন😒
।
মেঘ: আরে হাসবেন্ড যখন বাইরে যায় তখন তাকে এগিয়ে দিতে হয় জানো না?
।
মিহু: আপনাকে এগিয়ে কেন দিতে হবে,,,এমন তো না যে আপনি এ বাসার কিছু চিনেন না
।
মেঘ: এই মেয়ে আমি তোমাকে এত কথা তো বলতে বলি নি,,,এদিকে আসতে বলছি আসো😡 [কিছুটা রেগে]
।
মিহু: পারেনই তো খালি রাগ দেখাতে,,,আর কিছু পারেন নাকি আপনি?😡 [রেগে]
।
মেঘ: (যাহ্ বাবা এটা কোনো কথা হলো? আমি রেগে গেলাম কোথায় আমার রাগ ভাঙ্গাবে তা না করে ম্যাম নিজেই রাগ দেখাচ্ছে? এখন মাঝে মাঝে নিজেকে বিড়াল বলে মনে হয়। আমি যে একজন মাফিয়া তার কোনো পাত্তাই দেয় না এই মেয়ে) তোমার আবার কি হলো?
।
মিহু: আপনাকে বলতে হবে নাকি? আর শোনেন কথায় কথায় রাগ দেখাবেন না আমার উপর😡রাগ দেখাতে আমিও জানি😡
।
মেঘ: 😅 কোথায় রাগ দেখালাম?😅
।
মিহু: 😤😤😤
।
মেঘ: (এই মেয়ে আজকাল আমাকে একটুও ভয় পায় না,,,উল্টো আমার ওনাকে ভয় পেতে হয়😭আমি কি আসলেই মাফিয়া?)
।
মিহু: কি হলো কি ভাবছেন?
।
মেঘ: কিছুনা আচ্ছা এদিকে আসো তো
।
মিহু: (ওনার কাছে এগিয়ে গেলাম) কি হয়েছে?
।
মেঘ: (ওকে টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলাম,,,আর ঠোঁটে আলতো করে একটা চুমু দিলাম) নাও নজর টিকা লাগিয়ে নিয়েছি
।
মিহু: এটা কোন ধরনের নজর টিকা?😒
।
মেঘ: এটা আমার স্টাইলের নজর টিকা খুব ইউনিক তাই না?😁
।
মিহু: ঠোংগা
।
মেঘ: সেটা আবার কি?
।
মিহু: ঢং এর মেইল ভার্সন আপনার বোনের কাছ থেকে শিখেছি
।
মেঘ: ভালো কিছু তো শেখাতে পারবে না তাই এগুলোই শিখিয়েছে
।
মিহু: আপনার বোন বলে কথা
।
মেঘ: ইউনিক ভাইয়ের ইউনিক বোন বুঝলে?
।
মিহু: হুহ্,,,ফুহ্,,,ছুহ্,,,থুহ্
।
মেঘ: আমাকে ভূতে ধরে নি যে তুমি ভূত তাড়ানোর জন্য এগুলো বলছো
।
মিহু: 😒😒😒
।
মেঘ: আচ্ছা শোনো রেডি হয়ে থেকো বিকালে বের হব
।
মিহু: কোথায় যাব?
।
মেঘ: একটা পার্টি আছে সেখানে যাব
।
মিহু: ওকে
।
মেঘ: হুম বাই জান
।
মিহু: বাম দিকে কেন যাব?😁
।
মেঘ: 😖(নিজের কপাল নিজে ফাটাতে মন চাইছে,,,তাই আর কিছু না বলে চুপচাপ বেরিয়ে গেলাম)
।
মিহু: 😂😂😂😂
।
বিকালে_____________
.
মেঘ: (কখন থেকে মিহুকে ফোন করে যাচ্ছি কিন্তু ও ফোনটা একবারও রিসিভ করছে না। এখন মেজাজটা এত খারাপ হচ্ছে বলার বাইরে,,,দাড়াও একবার বাসায় পৌঁছে নেই তোমার খবর আছে মিসেস মিহু চৌধুরী। এতদিন তোমাকে সেভাবে কোনো রাগ দেখাই নি বলে তুমি মাথায় চড়ে বসেছো)
।
“মেঘ বাসায় পৌঁছে গাড়ি থেকে নেমে সোজা উপরে চলে গেল,,,রাগে মেঘের অবস্থা খারাপ হয়ে আছে। উপরে যেয়ে রুমের গেটটা খুলেই পুরো থ মেরে দাড়িয়ে আছে মেঘ। ও হাসবে না কান্না করবে কিছুই বুঝতে পারছে না”
।
।
মিহু: (ধুর বাবা কখন থেকে শাড়িটা পরার ট্রাই করছি পারছিই না। এ কারনেই মম বলতো আমি কোনো কাজের না। শাড়িটা নিয়ে জিন্সের উপরেই পরে গোল গোল ঘুরিয়ে সাইডে আঁচল দিয়ে দাড়িয়ে আছি। কিন্তু শাড়ির কুঁচি কই গেল? কুঁচি দেয় কিভাবে? আর সহ্য করতে না পেরে শাড়িটা খুলে ছুড়ে ফেলে দিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বেডে বসে পড়লাম)
।
মেঘ: (ওহ্ গড্ এই মেয়ে জাস্ট একটা শাড়ি পড়তে পারে না?) মিহু!
।
মিহু: (কারও আওয়াজ শুনে সামনে তাকিয়ে দেখি মেঘ) আপনি! আপনি কখন এলেন?
।
মেঘ: যখন তুমি শাড়িটা পরার ট্রাই করছিলে তখন এসেছি
।
মিহু: না মানে আমি আসলে শা..শাড়ি পড়তে পারি না😅
।
মেঘ: হুম তা তো দেখলামই
।
মিহু: 😅😅😅
।
মেঘ: আচ্ছা বাদ দাও শাড়ি পড়তে হবে না।আলমারিতে দেখো একটা প্যাকেট আছে ওইটা নিয়ে রেডি হয়ে আসো
।
মিহু: কিসের প্যাকেট?
।
মেঘ: দেখে নাও তুমি নিজেই আর তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আসো আমি নিচে গাড়িতে ওয়েট করছি
।
মিহু: ওকে
।
মেঘ: (আমি নিচে চলে গেলাম)
।
মিহু: (আলমারি থেকে প্যাকেটটা বের করলাম। প্যাকেটা খুলে দেখি একটা গাউন। আমি তাড়াতাড়ি যেয়ে রেডি হয়ে আসলাম। ওনার চয়েস্ আছে বলতে হবে। গাউনটা ফুল ব্ল্যাক কালার আর প্রচন্ড ঘের দেওয়া। আমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে চলে গেলাম)
।
মেঘ: (দেখলাম মিহু আসছে,,,ওকে দেখে আমার দু’চোখ ওখানেই আটকে গেল। চুলগুলো ছেড়ে সামনে দিয়ে ফুলিয়ে নিচে দিয়ে কার্ল করা,,,হালকা মেকআপ,,,ঠোঁটে ডার্ক রেড লিপস্টিক,,,কানে ব্ল্যাক স্টোনের দুল,,,হাতে ব্ল্যাক স্টোনের ব্রেসলেট,,,স্মোকি আই মেকআপ আর ব্ল্যাক হাই হিল। সব মিলিয়ে ওকে অসাধারন লাগছে)
।
মিহু: (কখন থেকে দেখছি উনি আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। তাই ওনার সামনে তুড়ি বাজালাম) এই মি. ওভাবে কি দেখছেন? আমার নজর লাগবে তো
।
মেঘ: (মিহুর কথায় আমার হুস ফিরলো) হুম কি বললে?
।
মিহু: বললাম এভাবে তাকিয়ে থাকলে আমার নজর লাগবে (একটু ভাব নিয়ে)
।
মেঘ: তাই? আচ্ছা ওয়েট আমি নজর টিকা লাগিয়ে দিচ্ছি (বলেই ওর ঠোঁটে আলতো করে একটা চুমু দিলাম) নাও দিয়ে দিয়েছি নজর টিকা
।
মিহু: 😳😳😳
।
মেঘ: গাড়িতে উঠো [মুচকি হেসে]
।
মিহু: (চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসলাম)
।
“কিছুক্ষণ পরেই ওরা একটা জয়গায় এসে গাড়ি থেকে নামলো। মেঘ গাড়ি থেকে নেমে মিহুর দিকে হাত বাড়িয়ে দিল,,,মিহুও মুচকি হেসে ওর হাত ধরে নেমে এলো। ওরা ভেতরে ঢুকে গেল,,,আর তখনি একজন লোক এসে মেঘের দিকে হাত বাড়িয়ে দিল”
।
।
লোকটি: ওয়েলকাম মি.মেঘ চৌধুরী
।
মেঘ: থ্যাংক ইউ মি. রাফিন। মিট মাই বিউটিফুল ওয়াইফ মিসেস মিহিকা চৌধুরী
।
রাফিন: হ্যালো [হাত বারিয়ে]
।
মিহু: আসসালামু আলাইকুম
।
রাফিন: ওহ্ সরি ওয়ালাইকুম আসসালাম
।
মেঘ: (মিহু এটা ইচ্ছে করে করেছে তা ওর চেহারা দেখে বুঝা যাচ্ছে। একদম ঠিক কাজ করেছে ও,,,এই রাফিন মেয়ে দেখলেই হইছে খালি শুরু হয়ে যায়। বাট মিহুর দিকে নজর দিলে ওর জন্য খুব খারাপ হয়ে যাবে) আব.. মিহু চলো আমরা ভেতরে যাই
।
মিহু: ওকে চলুন (আমরা ওখান থেকে চলে আসলাম)
।
রাফিন: এ্যাটিটিউড হা আই লাইক ইট,,,আই নিড দিস্ গার্ল এ্যাট এনি কস্ট
।
“এদিকে মেঘ মিহুকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। মিহুও সবার সাথে বেশ ফ্রিলিভাবে মিশে গেল। মেঘ আর মিহু একপাশে দাড়িয়ে কথা বলছিল,,,তখনি একটা মেয়ে এসে মেঘের গালে হঠাৎ করে কিস করে। মিহু তো দু’চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে”
।
।
মেঘ: হুয়াট ইজ দিস্ রুপসা?😡 [রেগে]
।
রুপসা: হেই এত হাইপার হচ্ছো কেন?
।
মেঘ: তোমাকে না আমি কতবার বলেছি এভাবে যখন তখন আমার গায়ে টাচ করে কথা বলবা না😡
।
রুপসা: কামন মেঘ ইট’স জাস্ট এ কিস্
।
মেঘ: কিস মাই ফুট। কোন সাহসে তুমি আমাকে কিস কর?
।
রুপসা: আমি তোমাকে ভালোবাসি সেই সাহসে
।
মিহু: হুয়াট?😡
।
মেঘ: লিসেন রুপসা আই এম ম্যারিড,,,এন্ড সি ইজ মাই ওয়াইফ [মিহুকে দেখিয়ে]
।
রুপসা: হুয়াট?😱 [শকড্]
।
মেঘ: ইয়েস আই এম ম্যারিড
।
রুপসা: মানে কি মেঘ? তুমি কবে বিয়ে করলে?😱
।
মিহু: আমাদের বিয়ে হয়েছে আড়াই বছর চলে😡
।
রুপসা: হাউ ইজ দিস্ পসিবল?😱
।
মিহু: কেন পসিবল নয় শুনি?😡
।
রুপসা: তুমি কি জানো যে তোমার হাসবেন্ড একজন ইন্টান্যাশনাল মাফিয়া?😏
।
মিহু: জ্বি হ্যা জানি যেদিন বিয়ে করেছি সেদিন থেকেই জানি😡
।
রুপসা: তারপরও ওকে মেনে নিয়েছো?😱
।
মিহু: হ্যা নিয়েছি,,,তাতে তো তোমার জ্বলার কথা না। তাহলে তুমি কেন জ্বলছো?
।
রুপসা: তুমি এভাবে আমার ড্যাডের পার্টিতে এসে আমাকে অপমান করতে পার না😡
।
মিহু: আর তুমিও এভাবে আমার হাসবেন্ডের দিকে নজর দিতে পার না। আর একবার যদি আমার হাসবেন্ডের দিকে তাকিয়েছো না তাহলে তোমার ওই চোখ খুলে নিয়ে আমি লুডু খেলব বলে রাখলাম😡
।
রুপসা: ননসেন্স😡 (বলে হনহন করে ওখান থেকে চলে গেলাম)
।
মিহু: ওর সাহস কি করে হয় আমার জামাইয়ের দিকে নজর দেওয়ার?😡 ওকে তো আমি জানেই মেরে ফেলব😡
।
মেঘ: (এতক্ষণ ওর কাহিনি দেখে আমি মুখ চেপে হাসছিলাম)
।
মিহু: ওই আপনি হাসেন কেন?😡
।
মেঘ: কোথায় না তো,,,আমি হাসি নাই তো😶
।
মিহু: অাপনি যদি ভুলেও অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকিয়েছেন তো আপনার খবর আছে বলে দিলাম😡
।
মেঘ: আর যদি তাকাই তো কি করবা?😜
।
মিহু: খুন করে ফেলব😡
।
মেঘ: তোমার হাতে মরতে আমার কোনো প্রবলেম নেই😊
।
মিহু: হুহ্😤
।
রাফিন: (দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখছি মেঘ মিহুর হাত ধরে দাড়িয়ে আছে। এই মিহুর মধ্যে কিছু তো একটা আছে,,,ওকে আমার এক রাতের জন্য চাইই চাই) ওয়েটার!
।
ওয়েটার: ইয়েস স্যার
।
রাফিন: ওই যে ওখানে একটা মেয়েকে দেখতে পাচ্ছো না? ওইখানে ড্রিংকস্ দেওয়ার নাম করে যেয়ে ওই মেয়েটির ড্রেসে ড্রিংকস্ ফেলে দিবে বুঝেছো? এই নাও তোমার টাকা আর বাকি টাকা কাজ শেষ হওয়ার পর পাবে
।
ওয়েটার: উনি তো মেঘ স্যারের ওয়াইফ,,,মেঘ স্যার যদি একবার জানতে পারে তাহলে আমাকে আর জীবিত রাখবে না
।
রাফিন: কিছু হবে না যা
।
ওয়েটার: আচ্ছা স্যার
।
মেঘ: কিছু খাবে?
।
মিহু: একটু জুস পেলে ভালো হত,,,গলাটা শুকিয়ে গেছে
।
মেঘ: আচ্ছা,,,ওয়েটার!
।
ওয়েটার: ইয়েস স্যার (বলেই ম্যামের ড্রেসে জুস ফেলে দিলাম)
।
মিহু: আরে…..
।
ওয়েটার: সরি ম্যাম সরি খেয়াল করি নি
।
মেঘ: ইউউউউউ😡
।
মিহু: মেঘ আপনি ওনাকে কিছু বলবেন না থাক,,,ভাইয়া আপনি যান
।
ওয়েটার: সরি ম্যাম
।
মিহু: ইট’স ওকে আপনি যান
।
মেঘ: 😡😡😡
।
মিহু: থাক থাক আপনাকে আর ফুলতে হবে না
।
মেঘ: তুমি বললে বলে ওকে ছেড়ে দিলাম নাহলে ওর ১২ টা বাজিয়ে দিতাম
।
মিহু: হ্যা জানি আচ্ছা আমি ওয়াশরুম থেকে ক্লিন করে আসি
।
মেঘ: হুমম😡
।
মিহু: (আমি ওয়াশরুমে চলে গেলাম। ড্রেস ক্লিন করে নিলাম। যেই ওয়াশরুম থেকে বের হতে যাব তখনি দেখি রাফিন দাঁড়িয়ে আছে) এটা কোন ধরনের অসভ্যতা? আপনি লেডিস ওয়াশরুমে কেন এসেছেন?
।
রাফিন: হেই কাম ডাউন,,,এত উত্তেজিত হওয়ার কিছু হয় নি
।
মিহু: আপনি সরুন আমি বের হব
।
রাফিন: আরে যার জন্য আসলাম সে যদি চলে যায় তবে আমি কি এখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আঙ্গুল চাটবো?
।
মিহু: সে আপনি চাটতেই পারেন বাট আমাকে যেতে দিন
।
রাফিন: উম.. দিতে পারি তবে আমার সাথে টাইম স্পেন্ড করতে হবে
।
মিহু: মানে?
।
রাফিন: মানে হলো উইল ইউ বি মাই বেড পার্টনার?
।
মিহু: (সাথে সাথে ওনার গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলাম) মেয়েদের সম্মান করতে না জানলেও এটলিস্ট অসম্মান করবেন না। আর আপনার ভাগ্য ভালো যে আমার হাসবেন্ড এই কথাটা শুনে নি,,,,নাহলে আপনি আজকে আর বেঁচে ফিরতেন না বাসায়😡
।
রাফিন: (একহাত দিয়ে ওর গাল চেপে ধরে দেওয়ালের সাথে লাগালাম) ওই কি করবে তোর সো কলড্ হাসবেন্ড? কি করবে? [জোরে চিল্লিয়ে]
।
মিহু: আই সেইড লিভ মি
।
রাফিন: তোর হাসবেন্ডের জন্য আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়ারা আমাকে নিয়ে মজা করে তামাশা করে। কেন জানিস? কারন তোর হাসবেন্ড আমার থেকে বেশি পাওয়ারফুল বলে আর ও একবার আমাকে মেরেছিল পর্যন্ত😡
।
মিহু: লিভ মি
।
রাফিন: তোকে দিয়ে তোর হাসবেন্ডের কাছ থেকে শোধ নিব আমি😡
।
এদিকে______________
.
মেঘ: (এই আবার কোথায় গেল? ওয়াশরুম থেকে আসতে এতক্ষণ লাগে? উফফফ এই মেয়ে আমাকে জ্বালিয়ে মারবে)
।
ওয়েটার: স্যার
।
মেঘ: (পাশে তাকিয়ে দেখি সেই ওয়েটারটা যে মিহুর ড্রেসে ড্রিংকস্ ফেলেছিল) কি চাই? [ভ্রু কুঁচকে]
।
ওয়েটার: স্যার আমায় মাফ করে দিয়েন তখন আমি ইচ্ছে করে ম্যামের ড্রেসে জুস ফেলে দিয়েছিলাম
।
মেঘ: হুয়াট?😡 (ওর কলার ধরে) তোর সাহস কি করে হলো?
।
ওয়েটার: স্যার আমাকে রাফিন স্যার বলছিল তাই করেছি। আর আপনাকে বললাম কারন আপনি আমার ওয়াইফকে বাঁচিয়েছিলেন তাই
।
মেঘ: (রাগে আমার শরীর কাঁপছে। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম ওকে) রাফিন কোথায়?
।
ওয়েটার: স্যার উনি ম্যামের পেছন পেছন ওয়াশরুমে গিয়েছে
।
মেঘ: (ওখান থেকে দৌড়ে ওয়াশরুমের দিকে গেলাম)
।
মিহু: (তখন থেকে দু-হাত দিয়ে ওনাকে সরানোর ট্রাই করছি বাট পারছি না)
।
রাফিন: কৈ মাছের মত লাফালাফি করছিস কেন? কি হলো এখান আবার কাঁদছিস কেন?
।
মিহু: প্লিজ লিভ মি
।
রাফিন: তোকে ছাড়ব কিন্তু তোর এমন অবস্থা করে ছাড়ব যাতে তুই কাউকে মুখ না দেখাতে পারিস। আর এতে তোর হাসবেন্ডের উপর থেকেও আমার শোধ নেওয়া হয়ে যাবে (বলে ওর দিকে মুখ এগিয়ে নিচ্ছিলাম)
।
মিহু: (মেঘ কোথায় আপনি প্লিজ বাঁচান আমাকে) প্লিজ ডোন্ট ডু দিস্ টু মি
।
রাফিন: সাট আপ
।
মিহু: (তখনি কে যেন সজোরে এক লাত্থি দিয়ে রাফিনকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দিল। পাশে তাকিয়ে দেখি মেঘ। আমি যেয়ে মেঘকে জরিয়ে ধরলাম আর কাঁদতে লাগলাম)
।
মেঘ: (আমিও মিহুকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম। কাঁদতে কাঁদতে ওর হিচকি উঠে গেছে)
।
“মেঘের দু’চোখ লাল রক্তবর্ণ ধারণ করেছে। মেঘের হাত-পা রাগে রীতিমত কাঁপছে। মেঘ মিহুকে এক সাইডে দাড় করিয়ে রাফিনকে যেয়ে ইচ্ছে মত মারতে লাগলো”
।
।
মিহু: মেঘ!
।
মেঘ: (মিহুর ডাক শুনে ওর দিকে তাকিয়ে দেখি ও মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। তাই রাফিনকে ছেড়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি মিহুর কাছে গেলাম। ও সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে তাই ওকে কোলে করে নিয়ে পার্টি ছেড়ে বেরিয়ে গেলাম। ওকে গাড়িতে শুইয়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়িতে গেলাম। রুমে নিয়ে গিয়ে ওকে বেডে শুইয়ে দিলাম) আ’ম সরি জান,,,আমি যদি জানতাম যে এমন কিছু হবে তাহলে আমি কখনোই তোমাকে ওই পার্টিতে নিয়ে যেতাম না। প্লিজ জান আমাকে ক্ষমা করে দাও (ওর কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিলাম)
।
“মেঘ ডক্টরকে ফোন করেছিল,,,একটু আগে ডক্টর এসে মিহুকে দেখে গিয়েছে। অতিরিক্ত ভয়ের কারনে মিহু সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে। তাই ডক্টর ওকে একটা ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে গিয়েছে। মেঘ মিহুর পাশে ওর হাত ধরে বসে আছে আর অপেক্ষা করছে কখন মিহুর জ্ঞান ফিরবে। একটু পরেই মিহুর জ্ঞান ফিরলে মিহু দেখে যে মেঘ ওর এক হাত শক্ত করে ধরে চোখ বন্ধ করে বসে আছে”
।
।
মিহু: মেঘ!
।
মেঘ: জান তুমি ঠিক আছো?
।
মিহু: (উঠে ওনাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম)
।
মেঘ: এই পাগলি কাদছো কেন? দেখ আমি তো আছি একদম কাঁদবে না
।
মিহু: আপনি যদি আজকে ঠিক সময়ে না আসতেন তাহলে ওই..ওই রাফিন আমাকে…. (বলে আবার কাঁদতে লাগলাম)
।
মেঘ: আমি থাকতে তোমার কিছু হবে না জান। জান আ’ম সরি আমার তোমাকে একা ছাড়া উচিৎ হয় নি। প্লিজ জান তুমি কেঁদো না। দেখি আমার দিকে তাকাও। তুমি আমাকে বিশ্বাস কর তো তাই না?
।
মিহু: (মাথায় নাড়িয়ে সম্মতি দিলাম)
।
মেঘ: তাহলে আর কাঁদবে না প্লিজ। আর দেখো এরপর থেকে কেউ কখনো তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না
।
মিহু: হুম
।
মেঘ: এটা তোমার এই মাফিয়া হাসবেন্ডের প্রমিস
।
মিহু: (ওনার কথা শুনে হেসে দিলাম) হুম You are #My_Mafia_Husband❤
।
মেঘ: এই তো আমার জানটার মুখে হাসি ফুটেছে। শোনো আর কখনো কান্না করবা না। তোমাকে কান্না করলে একটুও ভালো লাগে না
।
মিহু: হুম😊
।
মেঘ: (ওর নাকে নাক ঘষে দিলাম)
।
মিহু: (ওনার নাকে একটা কামড় বসিয়ে দিলাম দৌড়) 😂
।
মেঘ: মিহুউউউউ দাঁড়াও আজকে তোমার খবর আছে
।
মিহু: ধরতে পারে না😁
।
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,
😊