ক্রাশ_যখন_বউ,পর্ব ১১,১২ শেষ
মেহেদী
পর্ব ১১
পরদিন সকালে নিরার ডাকে ঘুম ভাঙ্গে
নিরা :- দাদা আর কতো ঘুমাবে এবার উঠে ফ্রেস হয়ে ভাবিকে নিয়ে নিচে আসো।
আমি :- পরীকে ডেকে তুলে দুজনে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করতে গেলাম।
এদিকে নিরা এখন বাংলা শিখে গেছে মোটামুটি সব কিছু বুঝে বলতে পারে।
নিরা আজ তাহলে তোর কি কাজ জানিস?
নিরা :- হ্যাঁ দাদা খুব ভালো করেই জানি। আর কাজটা যেনো সঠিক ভাবে সঠিক উপায়ে করতে পারি তার জন্য পরিকল্পনা ও করে ফেলছি।
আমি :- বাহ খুব ভালো কাজ। তাহলে আজ সকালেই শুরু করে দে।
নিরা :- আচ্ছা দাদা।
আমি :- নাস্তা শেষ করে আলিফা ও নিরা কে সাথে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম।অনেকদিন পর বাসা থেকে বের হলাম। সেটাও আবার কিনা দীর্ঘদিন পর দেশে এসে।
নিরাকে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে ডাক্তার এর ক্লিনিক এ পাঠিয়ে দিয়ে আমরা দুজন ওখান থেকে চলে এলাম।
সে দিকে
নিরা :- ভিতরে আসতে পারি?
ডাক্তার :- হ্যাঁ আসুন।
নিরা :- ধন্যবাদ
ডাক্তার :- বসেন। আর আপনার কি সমস্যা বলেন।
নিরা :- আমার তো সমস্যার শেষ নেই। অনেক রকম সমস্যা।
ডাক্তার :- সমস্যা নেই বলেন সব।
নিরা :- আমার রাতে ঘুম হয় না , বুকের বা পাশটা চিনচিন করে ব্যাথা করে, রোজ রাতে স্বপ্নে দেখি আমি এক ডাক্তার এর সাথে ঘুরতে বের হয়েছি।এগুলোই আমার সমস্যা।
ডাক্তার :- মনে মনে ভাবছে
পেয়েছি এই মেয়েকে পটানো খুব সহজ হবে।এই মেয়েই আমার পরবর্তী টার্গেট। একে দিয়েই নিজের একাকীত্ব দূর করে পরে ছুড়ে ফেলে দিবো।
আচ্ছা আপনি টেনশন করবেন না । এই ঔষধ গুলি নিয়মিত খাবেন আর এই নেন আমার নাম্বার ঔষধ খেয়ে ফলাফল জানাতে ভুলবেন না।
নিরা :- আচ্ছা ঠিক আছে। আমি এখন আসি আর হ্যাঁ আপনি অনেক স্মার্ট।
ডাক্তার :- ভাবছে
ইশ কপাল খুলে গেলো। এতো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি ।
ওহ তাই ধন্যবাদ আপনিও অনেক রূপবতী।
নিরা :- ধন্যবাদ আসি এবার আবার দেখা হবে।
ডাক্তার :- হুম আসুন।
ইশ কাজ হয়ছে আবার দেখা হবে।আরো কতো কি হবে।
আমি :- আলিফা কে নিয়ে সবুজ প্রকৃতি টা উপভোগ করে বাসায় ফিরলাম।
নিরা :- দাদা কাজ তো হয়ে গেছে। বেটা বজ্জাত নাম্বার ও দিয়েছে এবার শুধু ফোনটা দিবো আর কাজটা হয়ে যাবে।
আমি :- দোয়া রইল বোন তুই পারবি।
তারপর লাঞ্চ করে দুপুরের লম্বা ঘুম শেষ করে বিকালে ছাঁদে গেলাম পরীকে নিয়ে।
আলিফা :- আজ বিকেলটা অনেক সুন্দর।
দখিনা মৃদু বাতাস আকাশে রঙিন ঘুড়ির মেলা সত্যিই অনেক ভালো লাগছে।
আমি :- আরে পাগলী দেখছি সুস্থ হয়ে গেছে প্রায়।
হ্যাঁ অনেক সুন্দর। তারপর দুজন মিলে গল্প করে সন্ধ্যা শেষ করে রুমে ফিরে আসি। কিছুক্ষণ পর মা খেতে ডাকে তারপর দুজনে খেয়ে এসে ব্যালকনিতে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি।
আর ঐদিকে
নিরা :- এখন ফোন দেই বেটা বজ্জাত কে।ফোন ধর তারাতারি। ফোন রিসিভ করে বলে
ডাক্তার :- কে আপনি?
নিরা :- এতো তারাতারি ভুলে গেলেন কে আমি।
ডাক্তার :- আহা আপনি আপনার পরিচয় না দিলে কি করে বুঝবো আপনি কে আর এখানে ভুলে যাওয়ার কথা আসছে কেন?
নিরা :- আমি আপনার পেশেন্ট নিরা ফোন দিতে বলে এখন নিজেই ভুলে গেছেন।
ডাক্তার :- আরে না আমি তো আপনার ফোনের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।
নিরা :- সত্যিই ! আমার ফোনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
ডাক্তার :- হ্যাঁ সত্যি। কেন আপনার ফোনের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না কি আমি?
নিরা :- নাহ মানে আমার ফোনের জন্য তো কেউ অপেক্ষা করেনি কখনো তাই বললাম।
ডাক্তার :- কেউ করেনি তো কি হয়েছে।আজ থেকে না হয় রোজ আমি অপেক্ষায় থাকবো।
নিরা :- এভাবে বলবেন না প্রেমে পড়ে যাবো।
ডাক্তার :- সমস্যা নেই তো।
নিরা :- আপনার স্ত্রী কষ্ট পাবে।
ডাক্তার :- ধুর কি যে বলেন আজ পর্যন্ত প্রেম করতেই পারলাম না আর স্ত্রী তো অনেক দূরের কথা।
নিরা :- তাহলে তো ভালো। ডাক্তার এর প্রেমে পড়ে গেলেও সমস্যা নেই ।
ডাক্তার :- সত্যি আমার অনেক ভালো লাগছে। একদিনেই এতো প্রেম।
নিরা :- ওহ কেন একদিনে প্রেম হতে পারে না। বিশ্বাস করতে না পারলে বাই।
ডাক্তার :- এই না বিশ্বাস করি।
ভালোবাসি আপনাকে।
নিরা :- আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি আর হ্যাঁ আজ থেকে আমায় আপনি না তুমি করে বলবে।
ডাক্তার :- তুমি বললে তোমাকে বউ বলেও ডাকতে পারি।
নিরা :- আপাতত তুমিই ঠিক আছে।
ডাক্তার :- আচ্ছা বেবী।
কি করো তুমি?
নিরা :- তোমার সাথে কথা বলি বাবু।
তুমি কি করো গো?
ডাক্তার :- আমিও তোমার সাথে কথা বলছি। আমার কাজই তো এটা।
অনেক্ষণ কথা শেষে
নিরা :- আচ্ছা বাবু এখন ঘুমাও।
ডাক্তার :- আর ৫ টা মিনিট থাকো প্লিজ।
নিরা :- চুপ আর ১ সেকেন্ড ও না এখনি ঘুমাও গুড নাইট।
ডাক্তার :- ওকে বেবী গুড নাইট।
এদিকে
বশর এর ফোন
আমি :- কিরে হঠাৎ রাতের বেলা ফোন দিলি আমাকে কি মনে করে।
বশর :- না মানে তোর সাথে কিছু কথা বলার ছিলো।
আমি :- কি কথা বল।
বশর :- শুনার পর রাগ করতে পারবি না।
আমি :- আরে না তুই আমার বন্ধু তোর কথাতে আমি রাগ করবো না।
বশর :- তাহলে শুন। নিরা কে আমার প্রথম দেখাতেই ভালো লাগছে প্রেমে পড়ে গেছি। ওকে আমি বিয়ে করতে চাই তোর যদি কোনো আপত্তি না থাকে।
আমি :- আরে এটা তো খুশির কথা। তুই নিরা কে ভালোবেসে ফেলছিস। তাই তো বলি সেদিন রাতে নিরা কে দিয়ে ডাক্তার কে শায়েস্তা করানোতে তুই না করেছিলি।
আমার কোনো আপত্তি নেই তুই তোর পরিবারকে আমার আম্মুর সাথে কথা বলতে বল বিয়ের দিন তারিখ তারাই ঠিক করবে।
বশর :- আচ্ছা বন্ধু ধন্যবাদ তোকে। আর হ্যাঁ তোর বোন বিয়ে করবো বলে তোকে ভাইজান বলে ডাকতে পারবো না।
আমি :- আরে সমস্যা নেই আমরা আগে থেকেই বন্ধু তাই ভাইজান বলার দরকার নেই তুই টাই বেস্ট।
বশর :- আচ্ছা বন্ধু তাহলে এখন রাখি আর নিরা কে বলে দিস ডাক্তার এর থেকে যেনো নিজেকে নিরাপদে রাখে।
আমি :- ওকে বলবো এখন ঘুমা গুড নাইট।
তারপর আমার পাগলী বউকে বললাম বিয়ের কথা।
আলিফা :- বাহ বিয়ে মানেই কতো মজা তাই না। তাহলে আমরাও বিয়ে করে ফেলবো হ্যাঁ।
আমি :- আচ্ছা ঠিক আছে এখন তুমি আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যাও।
আলিফা :- আচ্ছা তুই ও ঘুমা আমার সাথে।
আমি :- ওকে গুড নাইট।
তারপর ঘুমের শেষে সকালে উঠে ফ্রেস হয়ে নাস্তার টেবিলে বসে ডাক্তার কে শায়েস্তা করার ফাইনাল পরিকল্পনা করে নিরা কে শিখিয়ে দিয়ে একসাথে বের হলাম।
পথিমধ্যে ডাক্তার এর ফোন
ডাক্তার :- বেবী তুমি কোথায়?
নিরা :- বাবু আমি তোমার দেওয়া ঠিকানায় আসছি।
ডাক্তার :- ওকে তারাতারি আসো বেবী।
আমি :- এদিকে সজীব কে পুলিশ নিয়ে সময় মতো যে রেস্টুরেন্টে দেখা করতে চেয়েছে ডাক্তার আর অনৈতিক কাজ করার জন্য প্রস্তাব দিছে সেখানে হাজির হতে বলি।
নিরা কে ভিতরে পাঠিয়ে দিয়ে আমি ও আলিফা পাশেই অবস্থান করি।
ডাক্তার :- বেবী আসছো।
নিরা :- হুম বাবু আসলাম।
ডাক্তার :- তাহলে চলো শুরু করা যাক।
নিরা :- কথাটি শুনেই ঠাস করে ডাক্তার কে থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়। তুই কি ভাবছিস আমাকে লম্পট চরিত্রহীন তোকে আজ মেরেই ফেলবো।
ডাক্তার :- কি বলছো বেবী এসব আসো শুরু করি।
আমি :- সামনে গিয়ে কি শুরু করবি রে বাইঞ্চোদ।
ডাক্তার :- তুই! কিভাবে বেঁচে আছিস তোর তো বাঁচার কথা না।
আমি :- তোকে শায়েস্তা দেওয়ার জন্যই আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখছে।কথাটি শুনার পর ডাক্তার পকেট থেকে একটি ছুরি বের করে নিরার গলাতে ধরে বলে
ডাক্তার :- একদম কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারবি না। নয়তো এই মেয়েকে শেষ করে দিবো।
সাথে সাথে পুলিশ ওকে চারপাশ থেকে ধরে ফেলে হাতে হাতকড়া লাগিয়ে দেয়। কারণ আমরা আগে থেকেই পুলিশ আর রেস্টুরেন্ট এর লোকজন নিয়ে আড়ালে লুকিয়ে এসব লক্ষ করছিলাম ।
বিষয়টা আলিফা বুঝতে পেরে কেমন যেন সব কিছু আগের মতো ঠিক করে নিয়ে বলে…
আলিফা :- ঐ কুত্তার বাচ্চা কে…..
·
·
·
চলবে………………..
#ক্রাশ_যখন_বউ (সমাপ্তি পর্ব ১২)
#মেহেদী
·
·
·
আলিফা :- ঐ কুত্তার বাচ্চা কে মেরে ফেলবো আমি।ওর জন্য আমার জীবন থেকে সুন্দর মুহূর্ত গুলি হারিয়ে গেছে। ও আমার ক্ষতি করেছে ওকে আজ আমি খুন করে ফেলবো।
আমি :- এ কি! আলিফা দেখি পুরো সুস্থ হয়ে গেছে।
পুলিশ :- নাহ আপু আপনার কিছু করতে হবে না ওর উপযুক্ত শাস্তি ও পেয়ে যাবে। আইনের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। আমরা ওকে নিয়ে গেলাম।
আমি :- পরী তুমি সুস্থ হয়ে গেছো!
আলিফা :- হ্যাঁ আমি এখন সুস্থ। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও মেহেদী । আমি তোমার ভালোবাসা বুঝতে পারি নি। তোমাকে অনেক বেশি কষ্ট দিয়েছি। অনেক অপমান করেছি। এর কোনো ক্ষমা হয় না তবুও আমি আজ তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি।
আমি :- ধুর পাগলী তুমি হলে আমার বউ তাই আমি সব ভুলে গিয়েছি কিছু মনে রাখিনি।
আলিফা :- নাহ গো তবুও আমি অপরাধী। তুমি বলো আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছো।
আমি :- আচ্ছা পাগলী আচ্ছা আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।
আলিফা :- ধন্যবাদ। আর আজ আমি তোমাকে একটি কথা বলতে চাই। যে কথাটি দেড় বছর আগে বালিতে পিংক বীচে বলার জন্য আমি একটু আলাদা হয়ে ছিলাম । কখনো ভাবিনি যে তার জন্য এভাবে দেড় বছরের জন্য আলাদা হয়ে যাবো।
আমি :- ঐ সব অতীতের কথা বাদ দিয়ে কি বলতে চাও বলে ফেলো আমার আর কৌতূহল এর শেষ হচ্ছে না।
আলিফা :- আমি তোমাকে ভালোবাসি । থাকবে তো শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমার সাথে। বিপদ আপদে সব সময় পাশে থাকবে।
আমি :- আমিও তোমাকে অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি পরী। আর হ্যাঁ আমি তোমার হাসি মুখের জন্য সব করতে পারবো।
আলিফা :- তাহলে করছো না কেনো?
আমি :- কি করছি না!
আলিফা :- গাধা জড়িয়ে ধরো আমাকে।
আমি :- বলার সাথে সাথে শক্ত করে ওকে জড়িয়ে ধরলাম।
প্রায় দুবছরের বিবাহিত জীবনে এই প্রথম ওকে জড়িয়ে ধরেছি। ভালোবাসার মানুষের প্রথম স্পর্শ যা কখনো ভুলা যায় না। এটা এক অন্যরকম ভালো লাগা।
ওর মাথা একদম আমার বুকে মিশে গেছে।
আমার হৃদস্পন্দন গুলি খুব কাছ থেকে অনুভব করছে পরী।
কপালে একটি কিস ও করে দিলাম।
কিন্তু পাগলী টা করতে পারছে না।কেনো না ও আমার পিচ্চি বউ।
আলিফা :- ঐ কুত্তা নিচু হবি না কি হাঁটু মারতে হবে জায়গা মতো তাহলে তখন এমনিতেই নিচু হয়ে যাবি।
আমি :- এই কি বলো হাঁটু মারলে তোমারই লোকসান। যাইহোক আমি মাথা নিচু করছি।
তারপর আর কি ও আমার কপালে একটা দিয়ে দিলো।
আলিফা :- আচ্ছা এই মেয়েটি কে?
আমি :- তারপর ওকে সব বললাম বুঝিয়ে।
আলিফা :- তাহলে তো ভালোই ননদ ও পেয়ে গেলাম।
নিরা :- হ্যাঁ আর আমিও তোমার মতো একটা সুন্দরী ভাবি পেলাম।
আমি :- আচ্ছা হয়েছে এখানে আর সময় নষ্ট না করে শপিং এ যাওয়া যাক।
বিয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে যে।
আলিফা :- হ্যাঁ চলো।
ওমা ননদ দেখি লজাতে লাল হয়ে গেছে।
নিরা :- লজ্জা নারীর ভূষণ।
আলিফা :- হুম জানি গো ননদিনী।
আমি :- চুপ করো এখন শপিং মলে চলে আসছি।
তারপর বিয়ের যাবতীয় কেনাকাটা করলাম।
আলিফা :- এই পাঞ্জাবি টা পড়ে দেখো তো।
আমি :- ওর পছন্দ মতো আমি একটি পাঞ্জাবি নিয়ে নিলাম আর আমার পছন্দ মতো ও শাড়ি নিলো।
কেনাকাটা শেষ করে সোজা বাসায় চলে আসলাম।
ফ্রেস হয়ে খেয়ে রুমে আসলাম।
আলিফা :- এই শুনো কাল তো নিরার বিয়ে সবাইকে দাওয়াত দিয়েছো ঠিকমতো।
আমি :- সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হয়ে গেছে গো গিন্নি আপনার ভাবতে হবে না।
আলিফা :- গুড বয়।
আমি :- গুড বয় নাকি গুড স্বামী।
আলিফা :- স্যরি গো আমার ভালো স্বামী।
আমি :- হুম হয়ছে এখন ঘুমাও। কাল তারাতারি উঠতে হবে অনেক কাজ আছে বিয়ের।
আলিফা :- আচ্ছা আমাকে বুকে নিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দাও।
আমি :- ওকে।
তারপর ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে আমিও ঘুম।
সকালে
আমি :- সবাইকে নিয়ে কাজে লেগে পড়েছি। আর মনে মনে ভাবছি
ইচ্ছা ছিলো বন্ধুর বিয়েতে ওর সাথে কনের বাড়িতে যাবো কতো মজা করবো কিন্তু তা আর হলো কোথায় নিজের বোনের সাথেই বিয়ে দিচ্ছি বন্ধুর।
সজীবের ফোন
সজীব :- কিরে সব কিছু কমপ্লিট।
আমি :- হুম কমপ্লিট। খুব আনন্দ তাই না তোরা ওর সাথে আসতেছিস আর আমি বরযাত্রী হতে পারলাম না।
সজীব :- আচ্ছা বরযাত্রী হবার যখন এতোই শখ তখন তুই বিয়ে বাড়ির গেটের একটু সামনে এসে আমাদের সাথে বরযাত্রী হয়ে গেট দিয়ে প্রবেশ করিস।
আমি :- আচ্ছা এটা ভালো বুদ্ধি।
তারপর কথামতো ওদের সাথে বরযাত্রী হয়ে আমিও আসলাম। সবাই তো পুরাই অবাক।
আলিফা :- বিয়াই সাহেব দেখি লজ্জায় লাল হয়ে গেছে(আমাকে উদ্দেশ্য করে মশকরা করে বলে)।
আমি :- আমিও কম না বলে ফেললাম। হ গো বিয়াইন আপনিও লাল হয়ে গেছেন।
সবাই আমাদের কাহিনী দেখে পাগলের মতো হাসছে।
তারপর বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে ওদের দোয়া করে ছেড়ে দিয়ে আসলাম।
আলিফা :- মনটা খারাপ লাগছে নিরাকে ছাড়া।
আমি :- আমারও অনেক খারাপ লাগছে। কিন্তু এটাই নিয়ম। ঘুমিয়ে পড়ো।
তারপর ঘুম শেষ করে পরদিন বৌভাতে গিয়ে ওদের নিয়ে আসলাম।
আজ বিয়ের ৪ দিন অতিবাহিত হয়েছে।
নিরা বশর সহ সবাই আজ বাসায়। অন্যান্য আত্মীয় স্বজন ও আছে। ভাবছি হঠাৎ করে আজ সবাই একসাথে কাহিনী কি?
আলিফা কে ডাকলাম।
আলিফা :- আরে কোনো কাহিনী না সবাই মিলে আজ একসাথে ডিনার করবো তো তাই ( আমার কথা শুনে বললো)।
আমি :- ওহ আচ্ছা চলো তাহলে সবাই মিলে ডিনার করে নেই।তারপর ডিনার শেষে সবাই চলে গেলো আর আলিফা কে কি যেন বলে গেলো। আমি একনো রুমেই যায়নি।যাক পরে যাবো এখন একটু ছাঁদে যায়। আলিফা কে ডাকলাম আসলো না অথচ অন্যান্য দিন ও নিজে থেকে আমার সাথে ছাঁদে আসে।
যাইহোক একাই ছাঁদে গিয়ে রাত ১১ টার দিকে রুমে ফিরে আসলাম।
আর এসেই অবাক ক্যান্ডেল লাইট দিয়ে সাজানো রুম। বিছানা বাসর রাতের মতো করে সাজানো। মাঝে বড়ো করে লেখা ভালোবাসি।
কিন্তু কে করলো কখন এসব। আম্মুকে ডাক দিলাম আম্মুও ডাকে সাড়া দিলো না।
হুট করেই পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে আমাকে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে দিলো কে যেনো। স্পষ্ট বুঝতে পারছি না কে।
আস্তে আস্তে কারো আমার দিকে এগিয়ে আসার শব্দ পেলাম।এসব কি হতে যাচ্ছে আমার সাথে। পুরো বাড়ি চুপচাপ মা ও নাই পরীকেও দেখছি না।
একটি অবয়ব একদম সামনে এসে দাড়ালো। তার ঘন নিঃশ্বাস আমার মুখে পড়ছে। আমি সাহস করে কে আপনি ।
আমি সাথে সাথে জড়িয়ে ধরে কিস করে বললো আমি তোমার বউ আলিফা।
আমি :- তার মানে এত সব কিছু তোমার কাজ। আর এজন্য সবাইকে ইনভাইট করছিলা।
আলিফা :- হুম।আমাদের তো বাসর হয় নাই তাই আজ সব কিছু করছি। আজ আমাদের বাসর হবে।
আমি :- আচ্ছা দুষ্টু বউ। সাথে সাথে ওকে জড়িয়ে ধরে কিস করতে লাগলাম। ওর ভারী নিঃশ্বাস আমার মুখে পড়ছে আর আমার ভারী নিঃশ্বাস ওর মুখে পড়ছে। আজ তোমাকে আমি আমার ভালোবাসায় রাঙাতে চাই।
আলিফা :- আমিও আজ তোমার ভালোবাসায় নিজেকে রাঙাতে চাই।
আমি :- সাথে সাথে ওকে কোলে নিয়ে সোজা বিছানায় শুয়ে দিলাম।
আলিফা :- এতো দিনের সকল জমানো ভালোবাসা আজ একসাথে পেতে চাই আমি।
আমি :- সব পাবে আজ শুধু তুমি আর আমি।এই কথা বলেই ওর কপালে কিস দিলাম তারপর আর বলা যাবে না । দুজন দুজনের ভালোবাসায় ডুবে গেলাম।
(সমাপ্ত)