ক্রাশ_যখন_বউ,পর্ব ০৯,১০
মেহেদী
পর্ব ০৯
মা :- ওকে সুস্থ করার উপায় টি হলো ভালোবাসা।
আমি :- মানে?
মা :- হ্যাঁ একমাত্র ভালোবাসার দ্বারা ওরে সুস্থ করা সম্ভব। ভালোবাসা পারে না এমন কিছুই নেই ।ভালোবাসা পেলে বনের হিংস্র পশুও পোষ মানে। তাই একমাত্র ভালোবাসা দিয়েই ওরে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
আমি :- সত্যিই ! তাহলে তো আমিই পারবো ওরে সুস্থ করে তুলতে। কারণ আমি ওরে অনেক বেশি ভালোবাসি। আমার প্রতিটি হৃদস্পন্দনের সাথে ও মিশে গেছে।
মা :- হ্যাঁ আমার ও বিশ্বাস তুই পারবি।
আমি :- দোয়া করো মা আমি যেন আমার ভালোবাসা দিয়ে ওরে আবার আগের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারি।
মা :- দোয়া করি বাবা তুই সফল হ।
আমি :- কিন্তু আরেকটি কাজ যে আমাকে করতেই হবে মা।
মা :- কি কাজ সেটা ?
আমি :- আমার ভালোবাসার এই অবস্থার জন্য যে দায়ী তাকে তো আমি ছেড়ে দিবো না মা।
মা :- হ্যাঁ বাবা ঐ জঘন্য মানুষটি কে বুঝাতে হবে যে কারো ভালোবাসা কে পুঁজি করে জীবন ধংস করে দেওয়ার কষ্ট কতটা যন্ত্রণাদায়ক।
আমি :- হুম মা তুমি শুধু দোয়া করো।আমি এর প্রতিশোধ নিবোই।
এখন ওরে নিয়ে চলো রুমে।
মা :- আচ্ছা আমি আর নিরা নিয়ে আসছি।
আমি :- তারপর রুমে আসি।মা আর নিরা ওরে নিয়ে আসে।
মা :- ওর কি অবস্থা ওরে গোসল করিয়ে পরিপাটি করে রাখতে হবে। এতোদিন একা ছিলাম তাই পারতাম না এখন তোরা আসছিস এখন পারবো।
আমি :- না মা কাজটা আমি একা নিজে করতে চাই। আমার ভালোবাসা দিয়ে ওরে সুস্থ করতে হবে তাই আজ থেকে ওর যাবতীয় কেয়ার আমি করবো।
মা :- তাহলে তো আরো ভালো কিন্তু তুই কি পারবি একটা মেয়ের যাবতীয় কেয়ার করতে।
আমি :- ভালোবাসার জোর থাকলে সব পারা যায়।আমি ওরে ভালোবাসি ওর স্বামী আমি তাই আমাকে যে পারতেই হবে।
মা :- আচ্ছা বাবা যা তুই ওকে নিয়ে।
আমি :- ওরে সাথে নিয়ে আসলাম রুমে।
আমার সামনে বসিয়ে রেখে দৃষ্টি না ফেলে ওরে দেখেই গেলাম। ভালোবাসার মানুষকে কাছ থেকে দেখাটা অনেক বেশি আনন্দের।
পাগলী টার কিছু মনে পরছে না।
শুধু খিলখিল করে হাসছে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে। ওর চোখে মুখে অনেক আকুতি জমে আছে। অনেক কিছু বলতে চাইছে হয়তো কিন্তু মানসিক ভারসাম্য না থাকায় পারছে না।
ওরে বললাম এই পরী চলো তোমাকে গোসল করিয়ে আনি।
আলিফা :- হিহিহি আমি গোসল করবো না।আমি তো পরী তাই গোসল করবো না। তুই কর গোসল আর যা সর। আমার কাছে আসবি না আমাকে ধরবি না । ওরা না আমাকে অনেক অত্যাচার করছে অনেক ব্যথা। আমি গোসল করবো না। তুই গোসল কর তুই পাগল হিহিহি।
আমি :- ওর কথা শুনেই নিজের অজান্তেই দু চোখের কোণ বেয়ে অঝোরে জল ঝরতে থাকে। এতো সুন্দরী পরিষ্কার পরিপাটি থাকা আমার পরীর আজ এই নির্মম অবস্থার জন্য দায়ী ঐ ডাক্তার আমি ছাড়বো খোদার কসম আমি ওকে বুঝিয়ে দিবো মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করা কতটা ভয়ংকর হতে পারে।
আলিফা :- এই তুই কি জানস আমার না জুনিয়র পিচ্চি স্বামী ছিলো ওরে আমি শেষ হতে দেখেছি হিহিহি।
আমি :- মনে মনে তোর স্বামী তোরই সামনে বসে আর তুই আজ চিনছিস না।
যাইহোক ওরে জোর করে গোসল করাতে নিয়ে গেলাম যদিও ও যেতে চায়নি।
সুন্দর কেশ গুলিও কেমন মৃতপ্রায় হয়ে গেছে যত্নের অভাবে। তারপর নিজ হাতে ওর ঐ চুলে শ্যাম্পু করে দিলাম।
চুলগুলো যেনো আবার আগের হারানো সতেজতা ফিরে পেলো।
ভালো করে ওরে গোসল করিয়ে দিয়ে নিজ হাতে সেই প্রথম যেদিন নীল শাড়িতে দেখে ছিলাম আর প্রেমে ডুবে গেছিলাম সেই শাড়িটাই পড়িয়ে দিলাম। পাগলীটা একদম স্থীর হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো।
ওর চোখের ভাষা বলছিলো আমাকে আমি যেনো নিজ হাতে ওকে শাড়ি পড়িয়ে দেই।ভালোবাসার মানুষের কেয়ার করা ও যে অনেক বড় পাওয়া। আমার খুব ইচ্ছে ছিলো ওর চুলে আমি শ্যাম্পু করে দিবো।
ওরে শাড়ি পড়িয়ে দিবো কপালে টিপ পড়িয়ে দিবো।
প্রতিটি ইচ্ছে এখন পূর্ণতা লাভ করছে কিন্তু এই পূর্ণতা ও উপভোগ করতে পারছে না।
হাত ভরে মেহেদী এঁকে দিলাম। আজ আমি আমার ভালোবাসাতে ওকে রাঙিয়ে নিলাম। অপূর্ব অপরূপ সুন্দর লাগছে ওরে। ওর চুলের ঘ্রাণে আমি আজ মাতাল হয়ে যাচ্ছি।
তারপর ওকে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে আমি নিজেও ফ্রেস হয়ে ওর শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে নীল পাঞ্জাবি পড়ে আম্মুর রুমে নিয়ে যাই।
মা :- মাশা আল্লাহ বউমা কে আজ সেই প্রথম দিনের মতো লাগছে । কতদিন পর এইভাবে দেখছি। তুই পারবি বাবা তোর ভালোবাসা দিয়েই সব কিছু জয় করতে পারবি। চল এখন লাঞ্চ করবি।
আমি :- নিজ হাতে তুলে ওরে খাইয়ে দিলাম।ও কেনো যেনো কোনো রকম বাধা দিচ্ছে না । ও হয়তো এই ভালোবাসা পেতে চেয়েছে। ওরে খাইয়ে আমিও খেয়ে আবার দুজন রুমে চলে আসি।
আলিফা :- এই তুই কি আমাকে বিয়ে করবি? তোরে আমার পছন্দ হয়ছে।তুই খুব ভালো।
আমি :- বিয়ে তো অনেক আগেই করছি তবে হ্যাঁ ও সুস্থ হলে আবার বিয়ে করে নিবো। তারপর ওরে বললাম হ্যাঁ আমি তো তোমাকে বিয়ে করবোই।
আলিফা :- হিহিহি তুই আমার জামাই হবি।আমার সরম করতাছে তুই সর।
আমি :- পাগলীটা লজ্জা পেয়েছে।লজ্জা পেয়ে একদম লাল টুকটুকে হয়ে গেছে।
লজ্জা পেলে যে ওরে আরো বেশি কিউট লাগে আজ বুঝতে পারলাম।
দেখতে দেখতে বিকাল গড়িয়ে এলো।
বিকাল বেলায় ছাদে যেতে ওর ভালো লাগে তাই আমি ওরে নিয়ে ছাদে যায়।
আলিফা :- এখানে কেন আসলি আমাকে নিয়ে । এখানে আমার এই বেলায় আসতে ভালো লাগে কিন্তু আমার সাথে না কেউ আসতোই না।তুই আসলি আমাকে নিয়ে আমার সাথে কি প্রেম করবি তুই ?
আমি :- আজ থেকে প্রতিদিন এই সময় তোমাকে আমি ছাদে নিয়ে আসবো। আর হুম তোমার সাথে আমি প্রেম করবো সুন্দরী।
আলিফা :- আচ্ছা তাহলে তুই এখন এইখান থেকে লাফ দে।
আমি :- আরে পাগলী তাহলে যে আমি মরে যাবো তোমার সাথে প্রেম করবো কেমনে।
আলিফা :- ওহ মরে যাবি লাফ দিলে থাক তাইলে তুই আমার সাথে আমার হাত ধরে বসে থাক।
আমি :- তারপর ওর হাত ধরে বসে থেকে বিকাল শেষে সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখে আবার রুমে চলে এলাম।
রুমে এসে ওরে নাস্তা করিয়ে বললাম এখন তুমি একটু ঘুমাও।
আলিফা :- কেন তুই কি এখন চলে যাবি আমাকে রেখে। আমাকে রেখে যাসনে আমার সাথে থাক তোর সাথে থাকলে আমার ভালো লাগে।
আমি :- আরে আমি যাবো না। তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না। তুমি ঘুমাও আমি একটু ব্যালকনিতে গিয়ে বন্ধুদের সাথে কথা বলবো।
অনেক দিন হলো ওদের সাথে কথা বলিনি।
আলিফা :- আমি ঘুমাবো কেমনে। আমার ঘুম আসে না তুই ঘুম পাড়িয়ে দিবি আমায়?
আমি :- আমার পরীর কথা কি আমি ফেলতে পারি। তারপর ওরে ঘুম পাড়িয়ে কপালে একটা কিস দিয়ে ব্যালকনিতে যাবো যখন ঠিক তখনই দেখি পাগলীটা আমার পাঞ্জাবির এক প্রান্ত ধরে ঘুমিয়ে আছে। এখন তো ছাড়াতে গেলেই ঘুম ভেঙে যাবে। বন্ধুদের সাথে কথা আজ বাসায় আসলেই বলবো নি।এখন বরং আমি ওর মাথার পাশে বসে থাকি।
ঘুমন্ত চেহারা যে কতটা নিষ্পাপ আর সৌন্দর্য্যে মোড়ানো সেটা পরীকে এভাবে কাছ থেকে না দেখলে বুঝতেই পারতাম না।
ওর কাজল কালো হরিণী চোখ,দীঘল কালো ঘন কেশ, ঠোঁটের নিচের তিল আর পড়নে নীল শাড়ি আমাকে প্রতি মুহূর্তে নতুন করে ওর প্রেমে ডুবিয়ে দিচ্ছে আমি যে সৌন্দর্য্যে মাতাল হয়ে যাচ্ছি।
কিছু না ভেবে ওর কোমল হাতটি আমার হাতে রেখে দিয়ে কপালে একটি ভালোবাসার প্রতীক এঁকে দিলাম।
আর তখনই…..
·
·
·
চলবে………………..
#ক্রাশ_যখন_বউ (পর্ব ১০)
#মেহেদী
·
·
·
আমি ওর কপালে ভালোবাসার প্রতীক এঁকে দিলাম । আর তখনই ওর ঘুম ভেঙে যায় আর আমাকে টান দিয়ে বুকে জড়িয়ে নেয়।
আলিফা :- ছাড়বো না এখন । দেখি কেমনে যাস তুই। আমার কপালে কি করলি বলে দিমু তুই পচা।
আমি :- এই ছাড়ো আর সবাইকে বলবা কেন আমি তো তোমাকে ভালোবাসি তাই কিস করেছি।
আলিফা :- তুই পচা আমি ঘুমিয়ে গেলে সুযোগ পেয়ে এসব করছিস। আমাকে না বলে আমি তোর আম্মুকে বলে দিমু।
আমি :- এই না পাগলী। নিজেদের মধ্যের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কথা কাউকে বলতে নাই।
আলিফা :- কেন বলতে নাই? বললে কি তোকে তোর আম্মু মারবে?
আমি :- মনে মনে এই পাগলীর সাথে মোটেও পাগলামী করা যাবে না করলেই বিপদ তার থেকে বরং ওর কথাতেই সাড়া দেই। হ্যাঁ আম্মুকে বললে আমাকে অনেক মারবে। আর আমাকে আম্মু তোমার সাথে প্রেম করতে দিবে না তোমার সাথে থাকতেও দিবে না।
আলিফা :- হুম ঠিক তাহলে বলমু না ।
আমি :- এই তো ভালো মেয়ের মতো কথা।
আলিফা :- হুম আমি ভালো আর তুই পচা।
আমি :- আচ্ছা আমি পচা। তুমি অনেক অনেক ভালো খুশি হও এবার।
আলিফা :- হুম আমি অনেক খুশি। তুই আমাকে একটা জিনিস দিবি?
আমি :- হ্যাঁ অবশ্যই দিবো ।বলো কি চাও?
আলিফা :- আমার একটা পুতুল কিনে দিবি ঐ পুতুল দিয়ে আমি খেলবো।
আলিফা :- হায় রে পাগলী পুতুল নিয়ে খেলবে কয়েক বছর পর ওর বাচ্চা। আর এখন ও বলে ও নিজেই খেলবে। কি আর করার সুস্থ হবার আগ পর্যন্ত পাগলামী সহ্য করতেই হবে।
আচ্ছা কাল তোমাকে পুতুল কিনে দিবো।
আলিফা :- তুই পচা না খুব ভালো।
আমি :- হুম তুমিও পাগলী।
এদিকে আবার সবার আসার সময় হয়ে গেছে। আর মাকে বলছি আমার কথা গোপন রেখে আসতে বলতে যাতে ওরা দেখেই চমকে যায়।
নিরা :- দাদা সবাই চলে আসছে তুমি ভাবিকে নিয়ে নিচে চলে আসো।
আমি :- আচ্ছা তুই যা আর কাউকে আমার কথা বলবি না। আমি তোর ভাবিকে নিয়ে আসছি।
আলিফা :- কোথায় যাবি আমাকে নিয়ে?
আমি :- নিচে ডাইনিং রুমে যাবো।
আলিফা :- আচ্ছা আমাকে হাত ধরে নিয়ে যাবি বউয়ের হাত ধরে যেভাবে নিয়ে যায় ঐভাবে।
আমি :- ঐ ভাবেই নিবো।
ওদিকে আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব সবার সাথে কথা বলছে। আর হ্যাঁ আজকে আমার জন্মদিন ছিলো তাই সবাইকে আজ বাসায় ইনভাইট করা হয়েছে।
মা :- তোমরা সবাই কেমন আছো?
বন্ধু ও আত্মীয় একসাথে :- হ্যাঁ ভালো আছি আপনি কেমন আছেন।
মা :- হ্যাঁ আমিও ভালো। সবাই তো জানো আজ মেহেদীর জন্মদিন।
সবাই একসাথে :- হ্যাঁ জানি। আজ যদি ও আমাদের মাঝে থাকতো তাহলে অনেক ভালো লাগতো সবাই মিলে একসাথে কত আনন্দ করতাম।
মা :- তা ঠিক। আর হ্যাঁ তোমরা সবাই চোখ বন্ধ কর কিছুক্ষণ এর জন্য। একটা সারপ্রাইজ আছে।
সবাই :- আচ্ছা বন্ধ করলাম আমরা চোখ।
আমি :- আলিফা কে নিয়ে ওদের সামনে চুপচাপ বসলাম।
মা :- এইবার সবাই চোখ খুলতে পারো।
সবাই চোখ খুলেই অবাক হতভম্ব হয়ে গেছে তাকিয়ে আছে অদ্ভুত দৃষ্টিতে।
সজীব :- মেহেদী! তুই কিভাবে এখানে? বেঁচে আছিস তুই আর আমরা সবাই ভেবেছি আমাদের রেখে চলে গেছিস।
আমি :- না রে বন্ধু তোদের সবাইকে রেখে কি করে যাবো। আল্লাহ নিজেই হয়তো এটা চায়নি তাই বাঁচিয়ে রাখছে।
বশর :- তোরে অনেক অনেক মিস করছি রে বন্ধু।
আমি :- এখন আর মিস করতে হবে না আমি এসে গেছি।
সবাই আবেগপ্রবণ হয়ে গেছে । সবার সাথে অনেকদিন বুকে বুক মিলিয়ে কোলাকুলি করে বার্থডে উদযাপন করলাম।
মা :- সবাই বলো সারপ্রাইজ টা কেমন ছিলো ?
সজীব :- আন্টি পৃথিবীতে এর থেকে বড়ো সারপ্রাইজ আর হতে পারে না। হারানো বন্ধুকে ফিরে পাওয়া যে অনেক আনন্দের আর তাও আবার এমন একটা স্পেশাল দিনে।
মা :- হুম এখন তোমরা নিজেরা কথা বলো আমি একটু আসছি।
সজীব :- আচ্ছা আন্টি
আমি :- কিরে তোরা সবাই কেমন আছিস তাহলে?
বশর :- এতদিন তো বেটা কেউই ভালো ছিলাম না তবে এখন অনেক ভালো আছি বন্ধু তোকে ফিরে পেয়ে।
তন্ময় :- হুম ঠিক বলেছিস।
আমি :- তো তোরা কি বিয়ে টিয়ে করে ফেলছিস।
সজীব :- নাহ চাসতো বিয়ে করিনি তবে এখন তুই আসছিস তাই বিয়ে করা যাবে।
আমি :- কারে মারিয়া কে নাকি আবার অন্য কেউ।
সজীব :- মারিয়া কেই।
বশর :- জানিস না তো তন্ময় এর পুষ্পিতার সাথে সব ঠিক হয়ে গেছে ।আমার কপালটাই খারাপ রাত্রি কে পাইলাম না।
রনি :- আরে রাত্রি নাই তো কি হয়েছে দিন তো আছে।
বাপ্পী :- ভাবি তো দেখি সুস্থ হয়ে গেছে।
আমি :- হ্যাঁ প্রায় সুস্থ হয়ে গেছে। ভালোবাসা দিয়ে সুস্থ করে তুলছি।
নুরনবী :- ঐ ভালোবাসা টাই আমার হলো না মিম আমাকে বুঝলোই না।
আমি :- চিল কাকা মিম বুঝবে টেনশন নাই। আলিফা সুস্থ হলে ওরে দিয়েই সবার ফিটিং করাবো।
আলিফা :- উনারা কারা কখন থেকে তুই কথা বলছিস আমার সাথে না বলে।
আমি :- ওরা সবাই আমার বন্ধু।
আলিফা :- ওহ আচ্ছা।
আমি :- মা আসো সবাইকে খাবার দিয়ে যাও।
মা এসে সবাইকে খাইতে দিলো। খাওয়া দাওয়া শেষে ডাক্তার এর ব্যাপারে ওদের কে বললাম।
সজীব :- তুই কোনো চিন্তা করিস না ঐ বেটা বজ্জাত কে উচিত শিক্ষা দিবো। তার আগে বল এই মেয়েটি কে আগে তো কখনো দেখিনি।
আমি :- তারপর সবাইকে পুরো ঘটনা খুলে বললাম আর নিরার পরিচয় ও দিলাম।
বশর :- ওহ আচ্ছা বুঝতে পারলাম।
রনি :- তাহলে নিরা কে দিয়েই কাজ হবে। ডাক্তার কে উচিত শিক্ষা দেওয়া যাবে।
বশর :- না ও পারবে না এ দেশের ব্যাপারে ওর অভিজ্ঞতা নেই।
আমি :- নিরা কে বুঝিয়ে বললাম ও বললো পারবে।
সজীব :- তাহলে তো হলোই এখন সব ব্যবস্থা করি।
আমি :- আচ্ছা । তারপর সবাইকে বিদায় জানিয়ে আলিফাকে নিয়ে রুমে আসলাম।
আলিফা :- এখন কি করবি ঘুমাবি নাকি?
আমি :- নাহ এখন তোমাকে ছাঁদে নিয়ে গিয়ে গান শুনাবো।
আলিফা :- সত্যিই! তাহলে এখনি চল।
আমি :- ওকে।
তারপর ওকে নিয়ে ছাঁদে আসি।
ওর শিউলি ফুল খুব পছন্দ। তাই আজকে আমি ওকে শিউলি ফুলের মালা গেথে দিলাম। আর বেলী ফুলের মালা খোপায় বেধে দিলাম।
ও অনেক খুশি হয়েছে আজ। ওর এই হাসি মুখ দেখার জন্য আমি রোজ শিউলি ফুলের মালা আর বেলী ফুলের মালা নিজ হাতে গেথে ওর খোপায় বেধে দিবো। আর ব্যালকনি টা কাঠ গোলাপে ভরিয়ে দিবো।কাঠ গোলাপের সাধার মায়ার মাঝেই আমার ভালোবাসা খুঁজে নিবে।
তারপর ওকে নিয়ে এসে আমার বুকে ওর মাথা রেখে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। ওর ঘুমন্ত মিষ্টি মুখটা দেখে কপালে একটি চুমু দিয়ে আমিও ঘুমিয়ে গেলাম।
·
চলবে……