ক্রাশ যখন বউ,পর্ব ০১,০২
মেহেদী
পর্ব ০১
শপিং এ যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি।সামনে ঈদ তাই কিছু কেনাকাটা করতে হবে। এমন সময় আম্মু বলে….
আম্মুঃ আজকে একটু তারাতারি আসিস।
আমিঃ কেন?
আম্মুঃ তোকে নিয়ে তোর খালার বাসায় যাবো।
আমিঃ তোমার বোনের বাসায় তুমি যাও। আমি গিয়ে কি করবো.?
বড় খালার বাসায় গেলে আমার বোরিং লাগে কারণ ঐ বাসায় কথা বলার মতো কেউ নাই।
আম্মুঃ আরে যাবো তো তোর জন্য।
তোকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছে।
আমিঃ আমার জন্য যাবে মানে?
আম্মুঃ হুম, তোকে দেখে না অনেক দিন ।
আমিঃ ওকে যাবো ।
আম্মুঃ হুম, তাহলে শপিং করে আয় তারাতারি।
আমিঃ তারপর আমি শপিং করতে চলে আসলাম। আমার জন্য আর আম্মুর জন্য কিছু কেনাকাটা করে আবার বাসায় ফিরলাম।
আম্মুঃ তারাতারি ফ্রেস হয়ে রেডি হ।
আমিঃ আমি তারাতারি ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নিলাম।
আম্মুঃ চল বাবা এখন রওনা দেওয়া যাক।
আমিঃ ১ ঘন্টা পর খালার বাসায় এসে পৌছলাম।
খালাঃ আরে বাবা মেহেদী আসলে তাহলে আমাদের বাসায়।কতদিন হল তোমাকে দেখি না। অনেক শুকিয়ে গেছো।
আমিঃ অসুস্থ ছিলাম যে এর জন্য শুকিয়ে গেছি। (মনে মনে বলি আমি মোটা ছিলাম কবে যে শুকাবো)
আম্মুঃ ভিতরে যেতে বলবা না ।বাইরে আর কত দাড়িয়ে থাকবো।
খালাঃ আসো ভিতরে আসো।বিশ্রাম নাও তোমরা। আমি তোমাদের জন্য নাস্তা নিয়ে আসছি।
আমিঃ নাস্তা শেষ করে আমি একটু ঘুরতে বের হলাম।আর খালার বাসার কাছে সুন্দর একটা জাদুঘর আছে এটা আমার পছন্দের।জাদুঘরের ভিতরে প্রবেশ করার পর আমি পাশের কক্ষে কয়েকজন মেয়ের কন্ঠ শুনতে পাই।তারপর আড়াল থেকে লুকিয়ে দেখি সুন্দরী একটা মেয়ে হাসতেছে।চুলগুলি বাতাসে উড়তেছে।মেয়েটার ঠোঁটের নিচে একটা তিল ও আছে।অপরূপ সুন্দরী মেয়ে নীল শাড়িতে একদম পরীর মত লাগতেছে। প্রথম দেখেই পাগল হয়ে গেলাম। ইচ্ছে করছে এখনই গিয়ে বলে দেই আমি তোমাকে ভালোবাসি পরী।
হঠাত করে কে যেনো আলিফা বলে ডাক দিলো আর তারপরই মেয়েটা হাওয়া হয়ে গেলো। চারিদিকে অনেক খুজেঁও পেলাম না। ধূর পরিচয়টা ও হলো না মনটা নিমিষেই খারাপ হয়ে গেলো।
অতঃপর আমি আবার ফিরে আসলাম খালার বাসায় ।
আম্মু : কিরে মেহেদী তুই কোথায় ছিলি?
আমি : ওহ আপনাদের তো আমার পরিচয় দেওয়া হয় নাই।আমার নাম মাসুদুর রহমান মেহেদী।আমি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়তেছি ফাইনাল ইয়ার।
জি আম্মু আমি একটু কাপাস হাটিয়া মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘরে ঘুরতে গিয়েছিলাম।
খালা : ভালো করছো ঘুরলে তোমার মনটা ভালো থাকবে আর ঐ জাদুঘর অনেক সুন্দর।
আম্মু : আমাকে সাথে নিয়ে যেতে পারিস নাই।আমিও একটু ঘুরে আসতাম।
আমি : তুমি যে যাবে সেটা তো জানতাম না। মনে মনে ভাবছি তোমাকে নিয়ে গেলে হয়ত পরীর দেখা পেতাম না আমি।
খালা : আচ্ছা তোমরা ডিনার করবে আসো।
আমি: খাওয়া দাওয়া শেষে আমি একটু টিভি দেখে ঘুমাতে গেলাম। আমার ঘুম আসছে না চোখ বন্ধ করলেই সেই পরীর চেহারা ভেসে ওঠে। আমি যে পরীর প্রেমে পড়ে গেছি।
আম্মু: এই মেহেদী কয়টা বাজে হ্যাঁ এখনো যে ঘুমাচ্ছিস ষাড়ের মতো।
তারাতারি ওঠে ফ্রেস হয়ে ব্রেকফাস্ট করতে আয়।
আমি: মনে মনে এই রে পরীকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে যে কখন ঘুমিয়ে গেছি মনেই নাই। আচ্ছা আম্মু তুমি যাও আমি আসতেছি। তারপর ফ্রেস হয়ে ব্রেকফাস্ট করতে চলে আসলাম।
আম্মু আর খালাকে কি বিষয় নিয়ে যেনো গুনগুন করতে দেখলাম।আমাকে দেখেই থেমে গেলো।
খালা: ঘুম হয়েছে রাতে আমাকে বললো।
আমি: হ্যাঁ খালা। কথা বলতে বলতেই ব্রেকফাস্ট শেষ।
আম্মু: বাবা শুন আজ তোকে নিয়ে তোর খালার ননদের বাসায় ঘুরতে যাবো। রেডি হয়ে নে।
আমি: কিছু না ভেবেই আমিও সম্মতি দিয়ে দিলাম।
আম্মু: কিরে আর কত সময় লাগবে তোর।
আমি: এই তো আম্মু হয়ে গেছে বের হও এখন।
আম্মু : ওকে বাবা চল।
আমি: কিছুক্ষণ পর আমরা খালার ননদের বাসায় এসে পৌছলাম। খালার ননদকে সালাম দিলাম।
খালার ননদ: আসো বাবা ভিতরে আসো।সেই কতদিন আগে যে তোমাকে দেখছিলাম। মাশা আল্লাহ অনেক সুন্দর হয়ে গেছো।
আমি: লজ্জা পেলাম কিছু বললাম না।তারপর আম্মু,খালা আর ঐ আন্টি একসাথে অন্য রুমে চলে গেলো।আমি একা রয়ে গেলাম।কিছুক্ষণ পর আম্মু আসলো।
আম্মু: বাবা তোকে এই বাসায় কেনো আনছি জানিস?
আমি: ঘুরতে নিয়ে আসছো এই তো।
আম্মু: আম্মু না ঘুরতে নিয়ে আসিনি। তোর জন্য মেয়ে দেখতে আসছি।
আমি : রেগে গিয়ে! কি বলতেছো তুমি পাগল হয়ে গেছো নাকি।আমি এখনো স্টুডেন্ট। আমি কি এখন বিয়ের উপযুক্ত না কি হ্যাঁ।আমি কি খাওয়াবে বিয়ের পর বউকে। তাছাড়া আমার একজনকে ভালো লাগে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে গেছি।
আম্মু: কে সে চিনিস তাকে?
আমি: না চিনি না জাদুঘরে দেখেছি এক পলক আর দেখেই প্রেমে পড়ে গেছি।
আম্মু : তাহলে ভুলে যা। আর তোর বড় খালার এই ননদের মেয়ের সাথেই বিয়ে দিবো। কোনো কথা বলতে পারবি না। বড়দের উপর কোনো কথা নাই।
আমি :তাহলে আমার পরীর কি হবে জীবনের প্রথম প্রেমে পড়লাম আর সেটাও কি অপূর্ণ থেকে যাবে। আবার হুট করে বিয়ে !
আম্মু: হ্যাঁ হুট করেই কারণ মেয়েটা অনেক সুন্দরী গুণবতী মেয়ে। আর মেয়েটি তোকে ঠিক করতে পারবে কারণ ও তোর ৩ মাসের বড় তুই ওর উপর জোড় প্রয়োগ করতে পারবি না।
আমি : কিহ! একে তো হুট করে বিয়ে তার উপর আবার সিনিয়র । আমার জীবনটা তেজপাতা করে দিবে।
আম্মু : চুপ করে বসে থাক ওরা মেয়েকে নিয়ে আসবে।
আমি : আধা ঘণ্টা হয়ে গেলো এখনো মহারানীর আসার কোনো খবর নাই। না জানি কত আটা ময়দা মাখতেছে।
আম্মু : চুপ কর হারামজাদা। ও এমনিতেই অনেক সুন্দরী মেকাপ করতে হয় না ।
আমি : আচ্ছা মানলাম।
অতঃপর ৪৫ মিনিট পর মহারাণীর আগমন।
লম্বা ঘোমটা দিয়ে আসছে দেখার কোনো উপায় নেই। এসেই আম্মুকে পায়ে ধরে সালাম করে নিলো না তো আমার মাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিলো।
আম্মু: বেঁচে থাকো মা। এখন লম্বা ঘোমটা সড়াও আমি আমার ছেলের হবু বউকে দেখি।
মেয়েটি ঘোমটা সড়িয়ে নিলো।
আমি : এ কি দেখছি আমি! আমার মাথা কি ঠিক আছে!……
·
·
·
চলবে……………….
#ক্রাশ_যখন_বউ (পর্ব ০২)
#মেহেদী
·
·
·
আমি :- এ কি দেখছি! মাথা ঠিক আছে তো? না একটা চিমটি কেটে দেখি এটা বাস্তব না সত্য। উহ অনেক জোরে চিমটি কেটেছি ব্যাথা পাচ্ছি। তাহলে তো এটি কোনো স্বপ্ন নহে রে বালক মেহেদী।এ তো আমার সেই জাদুঘরের হারিয়ে যাওয়া পরী। আর আম্মু ওর সাথে আমার বিয়ে ঠিক করছে।ব্যপারটা মেঘ না চাইতে বৃষ্টির মত। আহ পরীকে নীল শাড়িতে যা লাগতাছে পুরাই মাথা নষ্ট আমার।ইচ্ছে করছে বিয়ে করে এখনই পরীকে নিয়ে হানিমুনে চলে যায়। উফ পিঠে চিমটি কাটে আবার কে ?
আম্মু :- এই হারামজাদা কি হয়েছে তোর হুম। হা করে তাকিয়ে আছিস।
আমি :- কি হবে হ্যাঁ কিছু না তো। আমি ঠিক আছি। ইস সবাই কি বুঝে ফেললো নাকি যে আমি পরীর রূপের মায়ায় ডুবে গেছিলাম।
খালা :- মাশা আল্লাহ অনেক সুন্দর লাগতাছে আজকে আলিফাকে।
আমি :- মনে মনে সুন্দর তো লাগবেই খালা বউটা যে আমার।আহা ভাবতেই কত ভাল্লাগে।
হবু শাশুড়ি :- আচ্ছা মিনারা আপা আপনারা কিছু বলছেন না যে,
আমার মেয়েকে কি পছন্দ হয় নাই?
আমি :- মনে মনে এই পরীকে কার না পছন্দ হবে। আর হ্যাঁ আপনাদের একটি কথা বলি মিনারা হচ্ছে আমার আম্মুর নাম। ওদিকে আম্মু বলছে…
আম্মু :- পছন্দ হবে না কেন এরকম রূপবতী মেয়েকে পছন্দ না হবার কোনো কারণই নাই।আম্মু আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে কিরে তোর পছন্দ হয়েছে?
আমি :- তুমি আমার মা আর তোমার পছন্দই আমার পছন্দ।
একটু ভাব নিয়ে বললাম। কারণ একটা মেয়ে যখন জানতে পারে যে একটা ছেলে তাকে অনেক ভালোবাসে তার প্রতি দূর্বল তখন মেয়েটা ছেলেটাকে পাত্তাই দেয় না।
হবু শাশুড়ি :- আলহামদুলিল্লাহ। মিনারা আপা আপনার ছেলে যখন রাজি তখন বিয়ের দিন তারিখটা পাকা করে ফেলা যায়।
আম্মু :- অবশ্যই আসছে শুক্রবারেই তাহলে পবিত্র কাজটা করা উচিত।যদি আপনাদের কোনো সমস্যা না থাকে।
হবু শাশুড়ি :- আরে না আপা কোনো সমস্যা নাই তাহলে আসছে শুক্রবারেই বিয়ে।
আমি :- আহা আমার এতো ভালো লাগে কেন। আমার ক্রাশ আমার বউ হবে বাহ ভাবতেই কেমন যেন লাগে।
আম্মু :- আচ্ছা তাহলে আলিফা কে নিয়ে ভিতরে যান। ওরা ভিতরে যাবার পর আম্মু আমাকে বলে কিরে তখন ঐভাবে হা করে তাকিয়ে ছিলি কেন? বলছিলাম না ও অনেক রূপবতী। তুই তো শুধু জাদুঘরের মেয়েকে নিয়েই পরেছিলি।
আমি :- আরে আম্মা এই সেই জাদুঘরের পরী যাকে প্রথম দেখেই প্রেমে পড়ে গেছি।আর তুমি তার সাথেই আমার বিয়ে ঠিক করছো তুমি খুব ভালো মা সেরা মা I love you আম্মা।
আম্মু :- হয়েছে আর ঢং করতে হবে না।
আমি :- অতঃপর সবকিছু ঠিক হবার পর আমরা আমাদের বাসায় ফিরলাম। ফিরেই বন্ধুদের কল দিলাম মেসেঞ্জার গ্রুপে। আর হ্যাঁ আমার বন্ধুদের নাম হল সজীব,বাপ্পী,তন্ময়,বশর,নুরনবী আরো অনেকেই।
সজীব :- কিরে চাসতো কি খবর তোর?
আমি :- খুব ভালো চাসতো সুখবর আছে তোদের জন্য।
সজীব,বাপ্পী,তন্ময়,বশর সবাই :- কি সুখবর আছে বল দেখি শুনি।
আমি :- শুক্রবার আমার বিয়ে আর সেটা আমার ক্রাশের সাথে।
বন্ধুরা :- কি বলিস রে তর বিয়ে আবার ক্রাশের সাথে! কখন কি হলো জানতেই পারলাম না।
আমি :- সব জানতে পারবি কাল সকালে সবাই বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে চলে আসবি ঐখানে সব বলবো ও কেনাকাটা করবো।
বন্ধুরা :- ওকে ঠিক আছে।
আমি :- পরদিন সকালে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে ওদের সবাইকে নিয়ে কেনাকাটা শেষ করে রেস্টুরেন্টে খেতে বসে পুরো ঘটনাটা বললাম। ওরা শুনার পর ….
বন্ধুরা :- কস কি এতো পুরো সিনেমেটিক কাহিনী রূপকথার গল্পের মতো।
আমি :- হ্যাঁ তা বলতে পারিস। আচ্ছা শুন তরা সবাই কাল সময় মত চলে আসবি।তোদের ছাড়া আমি বিয়ে করতে যাবো না।
সজীব :- আমরা সবাই চলে আসবো। এখন তাহলে তুই বাসায় যা।
আমি :- ওদের বিদায় জানিয়ে বাসায় চলে আসলাম। তারপর ফ্রেস হয়ে ডিনার করে দিলাম এক ঘুম। আর এই ঘুমেই রাত শেষ। আম্মু :- ফ্রেস হয়ে নাস্তা করতে চলে আয়।
আমি :- ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে রুমে চলে আসলাম। বিয়ের সময় হয়ে আসছে বন্ধুরা সবাই চলে আসছে।
সজীব :- কিরে গোসল করে রেডি হ তারাতারি।
আমি :- গোসল করে রেডি হয়ে সবাই মিলে রওনা দিলাম। ৩০ মিনিট লাগলো পৌছতে।
সবাই বিয়ের গেট ধরছে। এখন ওদের আবদার পুরা করে বিয়ের পিরিতে বসতে যেতে হবে।
অবশেষে বিয়ে করে বাসায় বউ নিয়ে আসলাম। আম্মু আমাদের বরণ করে নিলো। তারপর আম্মুকে আমরা সালাম করে বাসর রুমে ঢুকবো ঠিক ঐখানেও গেট ধরছে আবার ওদের আবদার পুরণ করে বউকে রুমে রেখে ছাদে গেলাম বন্ধুদের সাথে একটু বুদ্ধি পরামর্শ করতে।
সজীব :- কিরে চাসতো এত সময় লাগে বউয়ের কাছ থেকে আসতে।
বাপ্পী :- আরে শালাই তো পারছে না ওর বউয়ের কোলে গিয়ে উঠতে।
আমি :- তরা মজা নিচ্ছিস ওকে নে মজা তোদের বিয়েতে আমিও মজা নিবো।
নুরনবী :- আরে ভাতিজা রাগ করো কেন।আজকেই তো একটু্ মজা করবো আমরা।
বশর :- জামালপুইরা রে তাহলে তুই আমার আগেই বিয়েটা করে ফেললি।
আমি :- বশরকে উদ্দেশ্য করে তো কি তর মত বুড়ো হয়ে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করবো নাকি।
তন্ময় :- তরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করিস না তো। আমাদের সবার উচিত মেহেদী কে এখন শুভেচ্ছা জানিয়ে ওর বউয়ের কাছে পাঠানো।
রনি :- হুম ঠিক বলছিস তুই।
আমি :- তোরা সবাই আমার জন্য দোয়া কর।
ঐদিকে আম্মু ডাকছে
আম্মু :- এই হারামজাদা বউ একা বসে আছে তুই তারাতারি রুমে যা।
আমি :- এই রে অনেক সময় হলো এইবার আসি আমি শুভ কাজটা সারতে হবে।
রনি :- হুম যা আর মনে করে বিড়াল টা মারতে ভুলিস না।
আমি :- আরে নাহ কাকা বিড়ালটাই আগে মারবো তোরা দোয়া কর আমি গেলাম।এই বলেই আমি বাসর রুমে ঢুকলাম। আমার বুকের হার্টবিট ফাস্ট হয়ে গেছে পা আর চলছে না। বউ আমার লম্বা ঘোমটা টেনে বসে আছে। আহা কি সুন্দরী বউ আমার। রূপের মায়ায় আমি যে ঘায়েল হয়ে যাচ্ছি।
রুমের লাইটটা অফ করে ক্যান্ডেললাইট জ্বালিয়ে দিলাম।
এ কি শুনেছি বাসর রাতে বউ স্বামীর পা ছুয়ে ছালাম করে।কিন্তু আলিফা যে করছে না।ওহ ও যে আমার সিনিয়র এই জন্যই সালাম করতে হয়তো লজ্জা পাচ্ছে। ইস আমার লজ্জাবতী বউ টারে। নাহ আর দেরি করে লাভ নেই এখন যাওয়া যাক বউয়ের কাছে। অবশেষে একবুক সাহস নিয়ে বিড়াল মারার কথা মাথায় রেখে আস্তে আস্তে ওর কাছে গিয়ে বসলাম।
যেমনি ঘোমটা টা সরাতে যাবো ঠিক ঐ মূহুর্তে আমার হাতটি এক ঝটকায় ছাড়িয়ে নিয়ে…..
·
·
চলবে…….