চাচাতো_বোন_যখন_বউ 😍,part_4
writer_মো_রাশেদ
রাইসাঃ হ্যাঁ আমার মাথা ঠিকি আছে,,
তুই বোঝোস না আমি তোকে কেনো অন্য মেয়ের সাথে দেখতে পারি না।
কেনো অন্য মেয়ের সাথে কথা বলতে না করি।
তুই কি সত্যি বোঝোস না,,,
আমি তোকে কতো ভালোবাসি,,,
সত্যি আমি তোকে ছারা বাজতে পারবো না।
সত্যি তোকে অনেক ভালোবাসি তুই আমাকে ফিরিয়ে দিস না please ।
–
–
আমিঃ কি বলিস এই সব,,, না আমি পারবো না।
আর তুই এমন বাচ্চাদের মত আবদার করিস কেনো।
তুই কি ভুলে গেলি নাকি,,,,আমি আর তুই ভাই-বোন।
রাইসাঃ হ্যাঁ আমি তোর জন্যে বাচ্চাদের মতোই আবদার করবো।
আমিতো শুধু তোকে ভালোবাসি।
আর ভাই বোন কিসের আমি কি তোর আপন বোন।
যে ভালোবাসা যাবে না।
চাচাতো ভাই বোনদের মধ্যে বিয়ে হয়েই থাকে।
আমিঃ তার পরও আমি পারবো না।
রাইসাঃ কেনো পারবি না। আমি কি দেখতে অনকে খারাপ।
আমিঃ না মানে,,,আমি তোকে ওইরকম ভাবে ভাবি নাই কখনো তাই।
রাইসাঃ ভাবোস নাই তাতে কি এখন থেকে ভাববি।
আমিঃ বললাম না পারবো না ।
আর চাচা চাচি আব্বু আম্মু জানলে কি হবে একবার ভেবে দেখেছিস।
রাইসাঃ তারা কিছু ভাববে না তারাতো আমাদের অনেক ভালোবাসে।
আমিঃ তুই যাতো আমার ভালো লাগছে না।
রাইসাঃ তুই আমাকে ভালোবাসবিনা।😡
আমিঃ না।
রাইসাঃ সত্যি তো।
আমিঃ হুম।
রাইসাঃ আমিও দেখে নিবো তুই আমাকে কি করে ভালো না বাসিস এই বলে দিলাম।😡(রাইসা আমার কলার ধরে)
–
–
–
এইবলে চলে গেল।
আর আমি ভাবছি এটা কি হলো ও আমাকে কবে থেকে এইসব ভাবা শুরু করলো।
কিছুই মাথায় ঠুকতেছে না।
আমি আর কিছু না ভেবে চলে গেলাম ভার্সিটি বন্ধুদের সাথে তার পর আড্ডা দিয়ে ও ক্লাস করে বাসায় গেলাম।
আর আজকে রাইসা ভার্সিটিতে আসেনি।
বাসায় গিয়ে দেখি রাইসা আমার রুমে শুয়ে আছে।
আমি ওর সাথে কথা না বলে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
ফ্রেশ হয়ে বেরহতেই দেখি রাইসা তোয়ালে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমাকে বের হতে দেখেই তোয়ালে টা আমার দিকে এগিয়ে দিলো।
আমি কোনো কথা না বলে তোয়ালে টা নিয়ে মুখ মুছে খেতে যাচ্ছি।
ওমনি রাইসা পেছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে।
রাইসাঃ খুব ভালোবাসি তুমাকে। ❤
আমিঃ ছাড় বলছি।
রাইসাঃ না ছাড়বো না একবার বলো ভালোবাসি তাহলেই ছেড়ে দিবো।😔
এইবলে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
আমিঃ ছাড় বলছি কেউ এসে পরবে।
রাইসাঃ আসুক না দেখলেই ভালো,,
তাও তো তোমাকে পাবার একটা উৎস পাবো।
–
–
তখন জোর করে ছারিয়ে আমি নিচে গেলাম খেতে সাথে সাথে রাইসাও আসলো।
ও আমার সাথেই খেতে বসলো।
সাথে সাথে শুরু করে দিলো দুষ্টুমি পার সাথে পা ঘসছে।
মাঝে মাঝে আসতে আসতে বলছে জানু খাচ্ছো না কেনো খাও।
কেনো যেন আমার এইসব কথা সহ্য হচ্ছিল না।
কারণ আমি তো ওকে ঐরকম চোখে দেখিনি তাই কেমন যেন লাগছিলো।
তাই খাবার কিছুটা বাকি রেখেই চলে আসলাম রুমে।
এভাবে অনেক দিন চলে গেল।
এর মাঝে রাইসা আরো অনেক বেশি অধিকার দেখানোর চেষ্টা করে।
কথায় কথায় জড়িয়ে ধরে।
আর যখনই দেখা হয় তখনই বলে ভালোবাসি।
আমিও কেমন জেন ওর এই পাগলামি গুলা কে ভালোবেসে ফেলেছি।
এখন ওর প্রতি দুর্বল হয়ে পরছি।
মনে হচ্ছে।
কিন্তু না ছোট আম্মু ছোট আব্বুর মনে কষ্ট দিতে পারবো না।
যে ভাবেই হোক রাইসার মাথা থেকে এইসব ভূত নামাতে হবে।
একদিন রাতে শুয়ে আছি তখনই রাইসা আসলো।
এসেই আমার মাথার কাছে এসে বসে আমার চুল গুলোতে হাত বুলাতে লাগলো।
আমিঃ একজনের রুমে আসলে যে দরজায় টোকা দিয়ে আসতে হয় তা জানোস না।
রাইসাঃ আমি কি অন্যের ঘরে গেছি নাকি।আমি তো আমার বববব।(আমি কথাটা পুরো বলতে দিলাম না)
আমিঃ থাক বলতে হবে না। কিসের জন্য আসছিস তাই বল।
রাইসাঃ আমি কিসের জন্য আসি তুমি জানো না।😔
আমিঃ না।
রাইসাঃ আমাকে কি একটুও ভালোবাসা যায় না।😔
আমিঃ না।
রাইসাঃ কেনো,,? আমাকে কি তোমার একটুও ভালো লাগে না।
আমিঃ না তা না আমরা চাচাতো ভাই বোন এই জন্য।
আর আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি।
(আমি কাউকে ভালবাসি না।
কিন্তু এই কথা বললাম কারণ,,,
ও যেন আর আমাকে ভালোবাসি ভালোবাসি না বলে।
কিন্তু না ওতো আরো রেগে গেলো।
আর যেটা ভাবলাম সেটা তো হলোই না
আরো বিপরীত দিকে গেল।)
–
–
–
রাইসাঃ ঐ তুই কি বললি আর একবার বল।😡
আমিঃ আআমি অন্য এএএকজনকে ভাবভাবভালোবাসি
(কথা গুলো ভয়ে ভয়ে বললাম)
তখনই রাইসা আমার কলার ধরে বিছানায়
ফেলে মারতে শুরু করে।
আর একি মাইর চর-থাপ্পর বুকের উপর ঘুষি মারছে,,,,আর বলছে,,,মারছে আর বলতেছে।
রাইসাঃ কুত্তা বিড়াল তোকে কি বলছিলাম।
তুই শুধু আমার আমি থাকতে তুই আর কারো হতে পারবি না।
আমি হতে দিবো না তুই আমাকে ভালো না
বাসলি আমি তোকে ভালোবাসি।
আর ভালোবেসে যাব।
তুই কারো হতে পারবি না তুই শুধু আমার মানে আমার।😤😡
আমিঃ ছাড় বলছি ব্যথা পাচ্ছি কিন্তু।🤕🤕
রাইসাঃব্যথা পাইলে আমি আদর করবো তোর ভাবতে হবে না। আগে তোর ফোন টা দে,,,?
আমিঃ ফোন দিয়ে কি করবি।
রাইসাঃ ফোন দিতে বলছি তো দে,,,,সুধু সুধু আমার রাগ তুলবি না বলে দিলাম।
আর কোন কথা না বলে দিয়ে দিলাম।
যে মার গুলা দিছে যদি আবার দেয় তাহলে আর আমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তাই দিয়ে দিলাম।
আমিঃ আবার ল্যাপটপ নিলি কেনো।
রাইসাঃ আগে বল ফোন আর ল্যাপটপ এর পাসওয়ার্ড আগের টাই আছে কি।।।??
আমিঃ হুম but কেনো।
রাইসাঃ আজকে এই দুটো আমার কাছে থাকবে।
আমিঃ কিন্তু কেনো।
রাইসাঃ আমি দেখবো তুই কাকে ভালোবাসিস
কে তোকে ফোন দেয়,,,,
আর কে মেসেজ দেয়।
–
–
এইবলে রাইসা ফোন আর ল্যাপটপ নিয়ে চলে গেল।
আর আমি শুয়ে আছি আর ভাবছি আমার ফোনে তো কোন অচেনা মেয়ে ফোন দিবে না।
দিলে আমার ফ্রেন্ডরা ফোন দিতে পারে।
কিন্তু ওরা ফোন দিলে আবার কি না কি ভেবে বসে।
আর আমি ভাবলাম কি আর হলো কি,,,,
ভাবলাম রাইসাকে মিথ্যা বলে
ওর কাছ থেকে বেঁচে যাবো।
তাতো হলোই না হলো তার ঠিক উল্টো টা হল।
সে বলে আমাকে ছাড়বেই না।
এইসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি খেয়ালি করিনি।
আর ওদিকে রাইসা ভাবছে।
শুধু একটাবার কেউ ফোন করুক তার পর কুত্তা কে বুঝাবো অন্য মেয়েকে ভালোবাসার
সাহস কিভাবে পাইলো।
(রাইসা একা একা কথা বলছে আর রাইসার চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পরছে।কারণ এই মেয়েটা সত্যি অনেক বেশি ভালোবাসে রাশেদ কে)
–
–
–
এই মেয়ে গুলাকে তো আমি সেদিন আনফ্রেন্ড করে দিলাম।
কিন্তু আবার না,,,কুত্তা তোরে যে আমি কি করমু।
(রাইসা আবার সেই মেয়ে গুলা কে আনফ্রেন্ড করে দিলো।
আর মেসেজ চেক করতে লালগো।
যে কার সাথে কি চ্যাটিং করছে।
আর বাবছে ও যাকে ভালোবাসে সে এর মধ্যে কে।
কিন্তু কোনো মতেই খুঁজে পেলো না।
আর সেরকম কোন মেসেজ ও করে নাই।
এগুলো হয়তো ওর ফ্রেন্ড হবে।
তার পরও আনফ্রেন্ড করে দিলো।
কারণ কোনো মেয়ের সাথেই কথা বলতে দেবেনা।
রাইসার সাথেই সুধু কথা বলতে হবে। )
অনেক সময় অপেক্ষা করে যখন দেখলো কেও ফোন দিচ্ছে না।
তখন বাবতেছে,,,??
না আর মনে হয় না কেউ ফোন দিবে।
দিলে হয়তো এতোখনে দিতো ও মনে হয় মিথ্যা বলছে আমাকে।
এইসব ভাবতে ভাবতে রাইসাও ঘুমিয়ে পড়লো।
–
–
সকালে রাইসার ঘুম ভাঙ্গে একটা ফোনে আর এই ফোন হলো রাশেদ এর ??
___চলবে!…….?