চাচাতো_বোন_যখন_বউ 😍,part_3

চাচাতো_বোন_যখন_বউ 😍,part_3
writer_মো_রাশেদ

তার পর আমি ওইখান থেকে চলে আসলাম।

কারণ আমি জানি আর কিছুক্ষন ওখানে থাকলে।

সোজাসুজি এসে মাইর শুরু করবে।

তাই আর কি চলে আসলাম।


পরে সবাই বাসে উঠে পরলাম।

আমি বন্ধুদের সাথে কথা বলছি।

আর রাইসা ওর বান্ধবীদের সাথে বসে কথা বলতেছে।

আমি আর আমার এক বন্ধু একসাথে বসেছি।

তাই রাইসা কিছু বলছে না।

কিছুক্ষন পর বাস ছেড়ে দিল।

আর কিছুক্ষন পর আমার পাশে বসে ছিল ঐ বন্ধুটা উঠে একটা মেয়ে কাছে গেল।

হয়তো পটানোর জন্য।

একটু পর একটা মেয়ে আসলো হয়তো রাইসাদের ব্যাচের হবে।



মেয়েটা বললঃ বসতে পারি যদি কিছু মনে না করেন।

আমিঃ হুম sure….

মেয়েটিঃ thanks ….

আমিঃ Welcome….

মেয়েটাঃ আপনার নাম টা কি জানতে পারি ?

আমিঃ হুম অবশ্যই আমি (রাশেদ) আর আপনার।


মেয়েটি বললঃ আমি রিয়া ।

রিয়াঃ আপনি অনেক সুন্দর গিটার বাজান।

আমিঃ Thank you but আপনে কিভাবে জানলেন যে আআমি সুন্দর গিটার বাজাই,, মানে আপনে কি কার কাছে শুনছেন।

রিয়াঃ হুম শুনেছি।

আর আপনি এতো আমাকে আপনে আপনে করছেন কেনো।

আমি তো আপনার ছোট তাই তুমি করে বলবেন।

হটাৎ রাইসা এসে বললঃ হ্যাঁ বলবোনি এখন ওঠ এখান থেকে।

আমিঃ ওমা রাইসা চলে এসেছে আমিতো আজকে শেষ।

তার পর আবার রাগি লুকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।

চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে।

মনে হচ্ছে এখনই চোখ দিয়ে আগুন বের হবে।

আমি ওর এই চোখ লাল হওয়া কে অনেক ভয় পাই।

কারন।। এর আগে একবার আমার মাথা ফাটিয়ে ফেলেছিল।

রিয়াঃ কেনো রাইসা।

রাইসাঃ এমনি আমি বসবো আমার দরকার আছে ওঠ তুই।

রিয়াঃ তোর আবার ওর সাথে কি দরকার।

তুই যেখানে ছিলিস সেখানেই যানা।

আমরা একটু কথা বলছিলাম।

রাইসাঃ ঐ তুই উঠবি কি,,,?

দরকার আছে আর ও আমার চাচাতো ভাই so দরকার আছে তুই যা একটু।

রিয়াঃ কিইইই তোর চাচাতো ভাই।

তাইলে আমার সাথে একটু সেটিং করিয়ে দিস,,,

আর এখন বস বস আমি যাচ্ছি,,,

তুই একটু করিয়ে দিস কিন্তু তাই হবে।

(রিয়া রাইসা কে একটু আছতে আছতে
বললো।)

রিয়াঃ ও হ্যাঁ আপনের ফেসবুক আইডি টা দেওয়া যাবে।

রাইসাঃ অহহ তুই যাবি কি এখন।

রিয়াঃ ওকে ওকে,,যাচ্ছি তাহলে তুই দিস কিন্তু।


এই বলে রিয়া চলে গেল আর রাইসা আমার দিকে তাকিয়েআছে।

আর আমি ভয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে আছি।


রাইসাঃ ঐ এখন কথা বলোস না কেনো,,

আর ওর সাথে তো ঠিকি কথা বললি,,

মেয়ে দেখলেই কথা বলতে ইচ্ছে করে তাই না!

কুত্তা।

আমিঃ আমি কি বলছি ওই তো এসে কথা বললো।

রাইসাঃ ও বললো সেই জন্ন্যই তোর বলতে হবে।

আমি তোকে না করছিলাম নাকি সেইটা বল।

আমিঃ বলছিলি,,,কিন্তু মেয়েটা কিন্তু জোস তোর বান্ধবী নাকি রে প্রেম করিয়ে দেনা।

রাইসাঃ কুত্তা তুই কি বললি,,,,,,আর একবার যদি এইসব কথা বলোস।

তাইলে খবর আছে তোর। (রাগি চখে বলল)

আর ওর সাথে যদি আর কখনো কথা বলোস তোকে খুন করে ফেলবো,,এই বলে দিলাম।

আমিঃকেনো আমি তো প্রেম করতেই পারি।

রাইসাঃ না তুই পারোস না। আমি থাকতে তুই পারবি না বলে দিলাম।

আমিঃ কিন্তু কেনো।

রাইসাঃ কেনো তুই বোঝোস না।

আমিঃ না বুঝি না।

রাইসাঃ তোর বোঝা লাগবো না।



কি আর করার কিছুই বুঝতাছি না।

ও সব সময় কেনো এরকম করে আমার সাথে।


আর ওদিকে রাইসা মনে মনে ভাবছে তুই কেনো বুঝোস না।

আমি তোকে ভালোবাসি তাইতো কোন মেয়েকে তোর সাথে দেখতে পারি না।

তুই কেনো বুঝোস না।

এগুলো ভাবতে ভাবতে রাইসা কেঁদে ফেলছে।



আমিঃ ঐ তুই কাঁদোস কেনো।

রাইসাঃ তোর বোঝা লাগবে না তুই আর কুন কথা বলবি না।😞

আমার ক্লাসমেটঃ আপু তুমি তো ওর চাচাতো বোন তাইনা।

রাইসাঃ হুম কেনো।

আমার ক্লাসমেটঃ না বলছিলাম কি,!

এইভাবে গেলেতো ভালো লাগছে না,,

তাই তুমি একটু ওইপাশে গিয়ে বসো,,

আর রাশেদ কে এই পাশে দাও,,,

আমরা সবাই গান গাইতে গাইতে যাই তাহলে সবারি ভালো লাগবে।


পরে ও আমার এই পাশে বসলো আর আমি ওই পাশে বসে গিটার বাজাচ্ছি।

আর গান গাইতেছে সবাই।

এইভাবে সারা পথ মজা করতে করতে চলে আসলাম পিকনিক স্পটে।

মানে রাঙামাটি।

তার পর অনেক ঘুরলাম এর মাঝে রিয়া আমার সাথে কথা বলার অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু পারেনি।

কারণ রাইসা আমার কাছেই ঘিরতে দেয়নি ওকে।

তার পর বাসে উঠে পরলাম,,,

আর তার পর আবার গান বাজনা করতে করতে চলে আসলাম।

রিকশায় উঠে রাইসা যেন কেমন করছে,,

আমার হাত শক্ত করে ধরে আমার কাঁধে মাথা দিয়ে রাখছে।


আমিঃ ঐ কি করছিস এসব।

রাইসাঃ কই আমি আবার কি করলাম।

আমিঃ হাত ছাড় আর আমার কাঁধে থেকে মাথা সরা ।

রাইসাঃ কেনো তোর কুন সমস্যা,,,

আমি ছাড়বো না আমি এইভাবেই যাবো।

আমিঃ না সরতো লোকে কি ভাববে।

রাইসাঃ যা ভাবার ভাবুক তা আমার কি।

আমিঃ তোর কি মাথা নষ্ট হয়ে গেছে,,,

আমরা চাচাতো ভাই বোন এসব দেখলে লোকে খারাপ বলবে।

রাইসাঃ বলবে না।



না ওকে বোঝার থেকে পাগলকে বোঝালেও বুঝতে পারবে।

কিন্তু ও বুঝবে না তাই আর কিছু বললাম না।

বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে সবার সাথে কথা বলে রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।

আর ওদিকে রাইসা মনে মনে ভাবছে,,

ওকে বলে দিতে হবে।

না হলে ও যেমনে মেয়েদের সাথে কথা বলে।

তাতে কখন যে কার প্রেমে পড়ে যায়।

তাই ওকে কালকেই বলবো আমি তোকে অনেক ভালোবাসি।

এদিকে সকালে ঘুম ভাঙ্গে গেল।

বুকে খুব চাপ অনুভব করছি,,,,

মনে হচ্ছে এই বুঝি দোমটা আটকে গেলো।

আমি ঘুম থেকে উঠে চোখ কপালে উঠে গেল।

একি রাইসা আমার বুকের উপর জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।

আমিঃ এই রাইসা কি হচ্ছে এইসব,,?

রাইসাঃ কি হইছে শুয়ে আছি দেখতেছো না।

আমিঃ শুয়ে আছোস ভালো কথা কিন্তু,,,, এইখানে কেনো,,?

আমি অই ছাইট দেখিয়ে বললাম,,,,,ঐখানে শুতে পারস না।

রাইসাঃ না আমার এইখানে ভালো লাগতেছে তাই শুয়েছি,,, তাতে তোমার কি।

আমিঃ ঐ আবার তুমি করে বলতেছোস মানে।

রাইসাঃ বর কে তো তুমি করেই বলতে হয় বর কে কি তুই করে বলা যায়।

আমিঃ ঐ কি বলিস এই সব মাথা ঠিক আছে কি তোর,,,তুই বর কাকে বলতেছস,,,হুম।

রাইসাঃ কেনো তোমাকে।

আমিঃ বিয়ে করলি কবে আমাকে।

রাইসাঃ করিনি তবে করবো।

আমিঃ রাইসা কি বলিস তোর মাথা ঠিক আছে।

রাইসাঃ হ্যাঁ আমার মাথা ঠিকি আছে,,,

তুই বোঝোস না আমি তোকে কেনো অন্য মেয়ের সাথে দেখতে পারি না।

কেনো অন্য মেয়ের সাথে কথা বলতে না করি।

তুই কি সত্যি বোঝোস না,,,,

আমি তোকে কতো ভালোবাসি।

সত্যি আমি তোকে সারা বাজতে পারবো না।

সত্যি তোকে অনেক ভালোবাসি,,,,,

তুই আমাকে ফিরিয়ে দিস না please ।

___চলবে…….!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here