চাচাতো_বোন_যখন_বউ,part_2

চাচাতো_বোন_যখন_বউ,part_2
writer_মো_রাশেদ

আমিঃ তো ভাইয়া কে কেউ তুই করে বলে আবার নাম ধরে ডাকিস।
এখন থেকে শুধু ভাইয়া বলে ডাকবি।

রাইসাঃ পারবো না।

আমিঃ কেনো পারবি না।

রাইসাঃ জানি না।

আমিঃ তুই আর আমার সাথে কথাই বলবি না।

নাম এখন ভার্সিটি এসে পরেছি।

রাইসাঃ ভিতরে চল।

আমিঃ না তুই এখানেই নাম বলছি।

রাইসাঃ নামবো না।


কি আর করার ক্যাম্পাসের ভিতরে গিয়ে নামলো।

একদম ফাজিল মেয়ে।

যা বলবে তাই করবে।

ওচলে গেল আর আমি আমার বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠলাম।

আর তার পর পিকনিকের টাকা জমা দিয়ে ক্লাসে চলে আসলাম।

ক্লাস শেষে সবাই পিকনিকে কে কি করবে সেটা নিয়ে গল্প শুরু করে দিলাম।

একটু পরে রাইসা আসলো।


রাইসাঃ এই চল বাসায় যাব।

আমিঃ হুম যা আমি পরে যাব।

রাইসাঃ না তুই এখন আমার সাথে যাবি।😡

আমিঃ যাবো না বললাম না কানে কথা যায় না।

যা তুই রিকশা নিয়ে চলে যা।😠


আর তখনই আমার ক্লাসমেট কয়েকটা মেয়ে আসলো।

আর বললো

ঐ রাশেদ পিকনিকের দিন গিটার টা নিয়ে আইসো।

আমিঃ হুম আনবো তো কিন্তু তোমাদের গান গাওয়া লাগবে না হলে আনবো না।

সবাই একসাথে বলে উঠলো okkk গাইবো তুমি গিটার টা আইনো।

আর ওদিকে রাইসা তো লুচির মতো ফুলছে।

মনে হচ্ছে আমাকে খেয়ে ফেলবে।

আমি বুঝি না আমি অন্য মেয়েদের সাথে কথা বললে ওর কি সমস্যা।

বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বলতে…..হটাৎ কে যেন আমার হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে তাকিয়ে দেখি রাইসা।

আর আমার বন্ধুরা সবাই দেখছে আর বলছে।

কালকে আসবো না।

একবারে পিকনিকের দিন আসিস।


আমিঃ ঐ ওদের সামনে থেকে এইভাবে জোর করে টেনে নিয়ে আসলি কেনো।

রাইসাঃ কেনো মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে তাই না।😡

আমিঃ আমার বন্ধুদের সাথে আমি কথা বলতেই পারি তুই বলার কে।

রাইসাঃ শোন ভালো ভাবে বলসি কোনো মেয়ের সাথে কথা বলবি না।

আর পিকনিকে যদি গিটার নিয়ে যাস তাহলে তোর খবর আছে।😠

আমিঃ ১০০ বার বলবো,,,,

আর গিটার তো নিয়া যাবোই।

রাইসাঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,,আমিও দেখবো কিভাবে নিয়ে যাস।

রাইসাঃ এখন বাইক চালা।😒

তার পর বাসায় চলে আসলাম আর রাইসা আম্মু কে বললো।



বড়আম্মু তোমার ছেলে কে বলো আমাকে যেন না রাগায়।

আমি যে কি করবো আমি কিন্তু নিজেই জানি না।

আম্মুঃ ঐ হারামজাদা তুই আবার মেয়েটা কে কি বলছিস।

সত্যি করে বল,,? 😡

আমিঃ আমি কিছুই করি নাই,,,

আমি আমার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেই,,,

কথা বলি,,,,

আর ও না করে,,

আমি যে কথা না বলি,,

এটা কেমন কথা বলোতো।

রাইসাঃ না বলি নাই।।।। বড়আম্মু আমি শুধু মেয়েদের সাথে কথা বলতে না করছি।

আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে যা বলবো না।

তুইও যেন বলিস না আমার সাথে কথা।

রাইসাঃ কেনো আমি বলবো না কেনো।

আমিঃ কারণ তুইও তো মেয়ে তাই তোর সাথেও বলবো না।

রাইসাঃ ঐ কুত্তা আমার সাথে বলবি না মানে,,

আমি কি আমার সাথে কথা বলতে না করছি,,

আমি বলছি অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলবি না।😡


আমিঃযা চুপ থাক! আমি পারবো না।

আম্মু ওকে নাম ধরে ডাকতে মানা করো আর ভাইয়া বলে ডাকতে বলো।

রাইসাঃ যা আমিও পারবো না।

তুই মেয়েদের সাথে কথা বলবি না আমিও নাম ধরে ডাকবো না।


আম্মুঃ এই তোরা ঝগড়া থামা সারাক্ষণ শুধু ঝগড়াই করিস।

যা ফ্রেশ হয়ে আয় আমি খাবার দিচ্ছি।

আর রাইসা তুইও আয় আমাদের বাসায় খাবি।



পেত্নিটা চলে গেল আমি রুমে আসলাম এসে
ফ্রেশ হয়ে খেতে গেলাম।

সবাই এক সাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে এসে কিছুক্ষন ফেসবুকিং করে,,

দিলাম ঘুম।

খাওয়ার সময় ও ঝগড়া হয়েছে।

এইভাবে দুদিন চলে গেল এর মধ্যে অনেক ঝগড়া মারা মারিও হইছে।

আজকে পিকনিকে যাবো তাই রেডি হয়ে গিটার নিয়ে নিচে গেলাম।

গিয়ে দেখি রাইসা আগেই রেডি হয়ে বসে আছে আমার জন্য।

আর আমার হাতে গিটার দেখেতো রাগে আগুন হয়ে গেল।

রাইসাঃ তোরে কি বলছিলাম।😡

আমিঃ কই কি বলছিলি।

রাইসাঃ তোরে গিটার নিয়ে যেতে মানা করছিলাম না।😡

আমিঃ হুম করছোস,,,

তাই আমার কি,

আমার গিটার নিয়ে যেতে হবে।

রাইসাঃ বড়আব্বু তুমি কিছু বলছো না কেনো।

ও যদি গিটার নিয়ে যায় তাহলে আমি কিন্তু যাবো না।😞

আব্বুঃ ঐ রাশেদ গিটারটা আমার কাছে দেতো।

আমিঃ কেনো আব্বু।

আব্বুঃ দিতে বলছি কিন্তু।😡

আমিঃ এই নাও।

আব্বুঃ এখন যা আর ওকে দেখে রাখবি ওর যেন কিছু না হয়।

আমিঃ ঠিক আছে দেখে রাখবো কিন্তু আব্বু গিটারটা দাও না প্লিজ।

রাইসাঃ না বড়আব্বু দিবা না।

ঐ চল এখন তারা তারি।

এই বলে টানতে টানতে নিয়ে আসলো রাস্তায় রিকশা নিতে।

কারণ আজকে বাইক নিয়া যাবোনা দেখে।

তার পর একটা রিকশা নিয়ে ভার্সিটিতে
যাচ্ছিলাম।

কিন্তু ঐ পেত্নিটার সাথে একটাও কথা বলি নাই।

একটু পরে রাইসা আমার হাত ধরে
বলতে লাগলো।


রাইসাঃ ঐ কথা বলছিস না কেনো।😒

আমিঃ ঐ চুপ একটা কথাও বলবি না আমার সাথে।😡

আর এখন তুই খুশি তো,,,

আমি গিটার বাজাতে পারবো না।

এটাই তো চেয়ে ছিলি ।

রাইসাঃ হ্যাঁ খুশি অনেক খুশি এখন ভালো ভাবে বসই না হলে পরে যাবি তু।

আমিঃ পরে গেলে তোর কি পরে গেলে আমি যাবো।

আর বলতো তুই আমার সাথে এতো এই রকম করিস কেনো।

আমি তো একটা মেয়ের সাথে কথা বলতেই
পারি তাতে তোর কি।

তুইও ছেলেদের সাথে কথা বল দেখতো আমি তোকে কিছু বলি কি না।

রাইসাঃ হ্যাঁ তুই মেয়েদের সাথে কথা বললে আমারি সব কিছু।

আর আমি কেনো অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলতে যাবো।

আমিঃ তুই না বললি আমি বলবো ওকে।

রাইসাঃ তুই বলে দেখ তোকে কি করি।😡


কথা বলতে বলতে ভার্সিটি চলে আসলাম।

আমার জন্য সব বন্ধুরা অপেক্ষা করছে।

আমি আমার বন্ধুদের কাছে চলে গেলাম আর রাইসা ওর বান্ধবীদের কাছে গেল।

আমার কাছে গিটার না দেখতে পেয়ে।

সবাই বললো আমি গিটার কেনো নিয়ে আসিনি।

আমি বললাম আব্বু আনতে দিল না।

পরে আমার সাথের একজন বন্ধু বললো।

আচ্ছা বাস ছাড়তে আরো কিছুক্ষন লাগবে।

তাহলে আমি গিয়ে গিটার নিয়ে আসি।

পাশেই আমার এক বন্ধু আছে ওর কাছে থেকে দুইটা নিয়ে আসি।

আমরা সবাই বললাম আচ্ছা ঠিক আছে নিয়ে আয়।

কিছুক্ষন পর ও নিয়ে আসলো আর আমি একটা গিটার হাতে নিয়ে রাইসার কাছে গেলাম।

আর ওকে দেখিয়ে হাসতে লাগলাম।

আর ও আমার দিকে রাগি লুকিয়ে তাকিয়ে আছে।

তার পর আমি ওইখান থেকে চলে আসলাম।

কারণ আমি জানি আর কিছুক্ষন ওখানে থাকলে।

সোজাসুজি এসে মাইর শুরু করবে

তাই আর কি চলে আসলাম।

___চলবে……??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here