অনুভূতির_সংঘাত-৮

অনুভূতির_সংঘাত-৮
ছামিনা_বেগম

প্রায় বছর খানেক আগের কথা , হুট করেই কামাল মিঞার মেজ ছেলে এসে বলল ,
– বাবা আশে পাশে কোথাও ভালো ভাড়া বাসা পাওয়া যাবে ? এই ধরো এক বছরের কন্ট্রাকে । বাসাটা কিন্তু একটু বড়ো হতে হবে বুঝলে ।
কামাল মিঞা একটু ভেবে বলেছিলেন ,
-বাসা তো পাওয়া যাবে । কিন্তু একবছরের কন্ট্রাকে পেতে গেলে একটু সময় লাগবে । কারণ এমন শর্তে তো সহজে কেউ রাজি হবে না ।
কামাল মিঞার ছেলে প্রায় হাত ধরে বলেছিল ,
– একটু চেষ্টা করো না বাবা । আমার বসের ফ‍্যামিলির জন্য লাগবে । ওদের বাড়িটা নতুন করে বানাচ্ছে , তাই । যদি খুঁজে দিতে পারি তাহলে আমি স‍্যারের গুড বুকসে চলে যেতে পারি ।

কামাল তখন মাথা চুলকে সম্মতি দিয়েছিল । নিজের কর্মস্থলে ফিরে বিশাল দৈত‍্যাকার বাড়িটির দিকে তাকিয়ে আকাশপাতাল ভেবেছিল । মাস ছয়েক ধরেই তিনি এই শুনসান বাড়িটির পাহাড়াদার হয়ে পাহাড়া দিচ্ছেন । বাড়ির বড়ো কর্তা ছেলের ডাকে বিদেশে সেটেল হয়েছে । ছোট কর্তা ছেলেমেয়েকে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে থাকতে শুরু করছেন আজ ছয় বছর যাবত । মাসে ফসকেও তাদের কেউ বেড়াতে আসে না এখানে । অথচ কামাল মিঞাকে মাসমাহিনে দিয়ে এই বিশাল বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণর দায়িত্বে রেখে গেছেন । প্রতিমাসে বেতনের সাথে সাথে কিছু টাকাও পাঠান বাড়ির মেইনটেনেন্সের জন্য । মাঝে মাঝে কামাল মিঞা বিক্ষিপ্ত ভাবে চিন্তা করেন বড়ো কর্তার সহৃদয়তার কথা । এই বৃদ্ধ বয়েসে নতুন করে চাকরি খোঁজা তো তার পক্ষে একপ্রকার অসম্ভবই ছিল । কিন্তু নাজিম হক তাকে চাকরি চ‍্যুত করেননি । অনেক ভেবে চিন্তে সেদিন কামাল মিঞা কল করেছিল নাজিম হককে । নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেছিল এতবড়ো বাড়ি মানুষ জনের অভাবে হানাবাড়িতে রুপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে । তাই যদি কোনো পরিবার ভাড়া নিয়ে থাকতে চায় তাহলে বাড়ির দেখাশোনার সাথে সাথে লোকজনেরও হইহুল্লোড় থাকবে । প্রথমে নাজিম হক আপত্তি তুললেও যখন শুনলেন একবছরের কন্ট্রাকে থাকতে চায় তাই আর রাজি না হয়ে পারলেন না । কামাল মিঞাকে খোঁজখবর নিয়ে ভাড়াটিয়া বসানোর কথা বলে দিলেন । সাথে প্রতি মাসের ভাড়াটাও কামাল মিঞাকেই রাখতে বললেন । সেই থেকে কামাল মিঞার পরিবারে সচ্ছলতা বেশ ভালো ভাবেই ধরা দিয়েছে । এই দোতলা বাড়িটির পুরো উপরতলাটিই ভাড়াটিয়াদের দখলে । সেখান থেকে প্রতি মাস শেষে মোটা অঙ্কের টাকা পাওয়ায় কামাল মিঞার বড়ো ছেলে কাঠের ব‍্যাবসা শুরু করেছে । কিন্তু এবার সবকিছু আগের মতো হয়ে যাবে ।

আগামী কালই নাজিম হক সপরিবারে দেশে ফিরে আসছেন । এদিকে আজিম হক ও সপরিবারে বাড়ি ফিরছেন । শুনেছিল ছোট কর্তা আজিম হকের শারীরিক অবস্থা নাকি বেশ খারাপ । হওয়ারই কথা , এতো অধিক মদ‍্যপ ব‍্যক্তির লিভার ভালো থাকবে এ আশা করা বোকামি । প্রায় চার বছর থেকে যমে মানুষে টানাটানি করে এবার ডাক্তাররা হাল ছেড়ে দিয়েছে । মরার আগে তাই কন‍্যাদায় মুক্ত হয়ে ফিরতে চান তিনি । অনেকদিন আগে থেকেই বড়ো বোনের ছেলে সাইফের সাথে নিজের মেয়ের বিয়ে দেবেন বলে ঠিক করে রেখেছিলেন । কিন্তু বোনের আকস্মিক মৃত্যুর পর নাজিম হক সাইফকে দত্তক নিয়ে নিল । সেই থেকে বিষয়টা চাপা পড়ে গিয়েছিল । অনেক পুরোনো কাজের মানুষ বলে কামাল মিঞা এই বিষয়ে অবগত ছিলেন শুরু থেকেই । মাঝে সবকিছু ওলোটপালট হয়ে গেল । বৃষ্টি মামনি নিজের ভার্সিটির এক ছেলেকে ভালো বেসে ফেলল । আর সেটা সচক্ষে দেখলেন আজিম হক । সমাজের প্রথম শ্রেণীর ধনীর মেয়ে হয়ে একজন মধ‍্যবিত্ত পরিবারের সামান‍্য চাকুরে জীবির ছেলেকে ভালোবাসাটা একপ্রকার অপরাধ বলেই গন‍্য হয়েছিল আজিম হকের মনে ।

এখনো মনে আছে , সেদিন বাড়ি ফিরে কি কুরুক্ষেত্রটাই না বাধিয়ে ছিলেন আজিম হক । বড়ো দাদাকে তুইতোকারি করতেও বাধছিল না তার । তার গলার স্বর এতোই উচ্চ ছিল যে বাইরে থেকেও স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল সব । নাজিম হক কিছুতেই ভাইকে শান্ত করতে পারছিলেন না। বড়ো দাদার ভরসায় ছেলেমেয়েকে রেখে যে তিনি ভুল করে ফেলেছেন এই কথাটিই বেশি বেশি শোনা যাচ্ছিল । এর পর বন্ধ ঘরের ওপাশে কি কথা হয়েছে আর জানা যায় নি । পরদিন বাক্সপ‍্যাটরা গুছিয়ে ছেলেমেয়ে সমেত উড়াল দিয়েছিলেন আজিম হক । বড়ো লোকের বাড়ির কথা পাঁচ কান হবার জো নেই । বাড়ির চাকরবাকররা সবাই শুনেছিল সব কিন্তু মুখে কুলুপ এটে থাকতে হয়েছে । নাহলে চাকরি খোয়াতে হতো । এমনিতেই আজিম হক মানুষটা ভীষণ রগচটা আর একরোখা । কামাল মিঞাও তাই আর দুঃসাহস দেখাননি । অবশ্য বলতেন কাকে ?কেউ তো আর জানতে আসেনি ।

অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের শব্দে ভাবনার জাল ছিড়ে সচকিত হলো কামাল মিয়া । হাতের লাঠিটা একপাশে সরিয়ে রেখে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিল । একজন নার্সের সহযোগিতায় বৃষ্টি বাবাকে গাড়ি থেকে নামতে সাহায্য করল । অন‍্য গাড়ি থেকে ইশান নেমে এসে হুইল চেয়ার এগিয়ে দিয়ে লাগেজ গুলো নামিয়ে নিলো ধীরে ধীরে । কামাল মিঞা আগেই নিচ তলাটা পরিষ্কার করে রেখেছিলেন । তাই আর ঝামেলা হলো না । নার্স আজিম হককে ভেতরে নিয়ে গেলে বৃষ্টি হাসি মুখে কামাল হকের দিকে এগিয়ে এলো ,
– কেমন আছেন চাচা ?
-এই তো মা , আছি কোনো রকম ।

বৃষ্টি একবার উপর তলার দিকে তাকিয়ে দেখল একজন মহিলা ছোট বাচ্চা কোলে বেলকনিতে দাড়িয়ে তাদেরকেই দেখছে । বৃষ্টি ঈষার দিকে তাকিয়ে সৌজন্যতার হাসি হেসে প্রশ্ন করল কামাল মিঞাকে,

-ওরাই বুঝি ভাড়াটিয়া ? আপনি তো বলেছিলেন ওরা চলে যাবে শীঘ্রই । এখনো কি করছে তাহলে ?

বৃষ্টির রুক্ষ্ম স্বরে বয়স্ক কামাল মিঞা একটু বোধহয় আহত হলেন । ইতস্তত করে বললেন ,

– হ‍্যাঁ,
হ‍্যাঁ । ওরাও কালকেই চলে যাচ্ছে । ওদের বাড়ির কাজকর্মও নাকি শেষের দিকে ।

-ওহ আচ্ছা । তাহলে ঠিক আছে । আমি ভিতরে যাচ্ছি ….বাকি লাগেজ গুলো আনতে সাহায্য করুন তো …..

কামাল মিঞা মাথা নাড়াল । মধ্য দুপুরের সূর্য এখন পশ্চিমে হেলে গেছে । তিনি ইশানের পেছন পেছন লাগেজ নিয়ে ভেতরে ঢুকে গেলেন ।

হকবাড়ির প্রবেশ দ্বার মূলত দুই টি । একটি ড্রয়িং রুমের পাশদিয়ে ডায়নিং রুমের কাছে লাগোয়া সিড়ি আর অপরটি সিড়িটি বাইরে লনের পাশ দিয়ে উপরে উঠে গেছে । এই সিড়িই এতদিন ব‍্যবহার করে এসেছে বকুলরা । এতদিন নিচতলাটি বন্ধ পড়ে থাকায় ভেতরের সিড়ির দরজা বন্ধ ছিল । বৃষ্টি সদর দরজা দিয়ে ঢোকার মুখেই ছোট বাচ্চা কান্নার আওয়াজ শুনল । পা জোড়া একবার থমকে গেলেও বিশেষ পাত্তা দিলো না । হয়তো ওই মহিলার বাচ্চাটিই কাদঁছে । বাবাকে দেখে এসে বৃষ্টি দীর্ঘ সময় নিয়ে স্নান সাড়ল । দুপুরের খাবার অনলাইনে অর্ডার করে দিয়েছে ইশান । তা দিয়েই দ্বিপ্রাহরীক আহার সাঙ্গ করে শুয়ে পড়ল । এখন তার একটা লম্বা ঘুম প্রয়োজন ।

******

শেফালী বেগম জোহরের নামাজ আদায় করতে বসেছেন । নামাজের আগে তুলনকে একবার এসে দেখে গেছেন । সে তখন খেলছিল বকুলের ছেলে তৌফিকের সাথে । ঈষা তখন কি একটা কাজ করছিল ঘরে । ছেলের কান্নার আওয়ার শুনে কাজ ফেলে দৌড়ে আসে ঈষা । দেখে তৌফিক মেঝেতে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদছে , একটু দূরে বসে বসে অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে তুলন । হাতে শক্ত করে ধরে রেখেছে তৌফিককে দেওয়া কেকটা । নিশ্চয়ই এই মেয়ে ছিনিয়ে নিয়েছে । নাহলে তৌফিক কাঁদবে কেন ? রাগে ঈষার গা জ্বলছে । বড়ো বড়ো পা ফেলে এসে তৌফিককে কোলে নিতেই দেখল তৌফিকের ডান চোখের নিচে খামচির দাগ , একটু ছিলেও গেছে । কপালের এক পাশে কালশিটে দাগ । তৌফিকের ফর্সা মুখখানা লাল হয়ে আছে । ঈষা অগ্নি চক্ষু নিয়ে তাকালো তুলনের দিকে , দাত কিড়মিড় করে ঠাস করে এক চড় বসিয়ে দিল তুলনের গালে । হতভম্ব তুলনের হাত থেকে কেক পড়ে গিয়ে সে গাল ধরে কয়েক মুহূর্তে চেয়ে রইল ফ‍্যালফ‍্যাল করে । তারপরেই ব‍্যাথার অনুভূতি হতেই চিৎকার করে কান্না জুড়ে দিল । তুলনকে কাঁদতে দেখে তৌফিক নিজের কান্না বন্ধ করলে ঈষা ছেলেকে নিয়ে হনহন করে চলে গেল নিজের ঘরে ।

নামাজে বসে নাতনীর কান্নার আওয়াজ শুনে বিচলিত বোধ করলেন শেফালী । কিন্তু রাকায়াত শেষ না হওয়ার উঠে আসতে পারলেন না । ধৈর্য ধরে তাড়াতাড়ি করে সুন্নত আদায় করে সালাম ফিরিয়েই হাঁক দিলেন ঈষাকে ।
– বৌ মা ? তুলন কান্না করছে কেন দেখ তো ?

ছেলের মুখে মসশরাইজার ক্রিম মাখিয়ে দিতে দিতেই শ‍্যেন দৃষ্টিতে তুলনের দিকে তাকাল ঈষা । তুলন তখনও নাকের জলে চোখের জলে এক করে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কা‌ঁদছে । তৌফিককে ঈষার কালে দেখে সেও হাত বাড়িয়ে দিল ঈষার দিকে । কিন্তু ঈষা কোলে তো নিলোই না বরং সোফায় বসে তৌফিককে আদর করতে করতে বলল ,

– ও পড়ে গেছে মা ।

-ওহ । কিছু একটা হাতে দাও খেলার জন্য , চুপ হয়ে যাবে ।

-হুম , দিচ্ছি …..

ঈষা সোফায় বসিয়ে রাখা একটা টেডি বেয়ার ছুড়ে দিল তুলনের মুখ বরাবর । তারপর তৌফিককে কোলে নিয়েই দরজা খুলে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করে ফিরে গেল নিজের ঘরে । একই স্থানে বসে সবটাই দেখল তুলন । ওর ছোট মাথায় ঠুকলো না চাচিমা তাকে কোলে নেয় না কেন ? কাঁদলে তৌফিকের মতো করে চুমু দিয়ে আদর করে না কেন ? অবশ্য তুলনের এসব বোঝার বয়স নয় । সে হাতের তালু দিয়ে চোখ মুছে টেডি বেয়ারটাকে জাপটে ধরল । এদিক ওদিক তাকিয়ে কাউকেই দেখতে না পেয়ে ভেজানো দরজা দিয়ে বেরিয়ে এলো বাইরে । নিচে গাড়ি দাড়িয়ে থাকতে দেখে সেও উচ্ছ্বসিত হয়ে বসে বসে সিড়ির সব ধাপ পেরিয়ে নেমে গেল নিচে । গুটিগুটি পায়ে গাড়ির পাশে গিয়ে অবাক চোখে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগল সব । নিচতলার খোলা দরজা দিয়ে দেখল একজন অচেনা লোক হেটে বেরাচ্ছে ভেতরে । সেও কৌতূহলী হয়ে এক পা দু পা করে ভেতরে ঢুকে গেল । ওর নিঃশব্দ পদচারণায় কেউ তাকে বিশেষ খেয়াল করল না ।

ইশান নিজের ব‍্যাট , জামাকাপড় আলমারিতে গুছিয়ে রেখে বাইরে বেরিয়ে এলো । সারারাস্তা ঘুমিয়ে এসে এখন তার আর ঘুম পাচ্ছে না । অথচ সারাবাড়ি মরার মতন নিস্তব্ধ হয়ে আছে । ইশান কানে হেড ফোন লাগিয়ে একবার উকি দিদির ঘরে । বৃষ্টিকে ঘুমাতে দেখে দরজা ভেজিয়ে রেখেই চাবির রিং হাতে ঘুরাতে ঘুরাতে বেরিয়ে গেল বাইরে । অনেক বছর বাদে নিজের শহরে ফিরেছে সে। আজ রাতে পুরোনো বন্ধুদের একটা রিইউনিয়ন হবে ক্লাবে । আগেই সবাইকে নিজের আসার কথা জানিয়ে দিয়েছিল সে । বিকেলটা ঘুরাঘুরি করে তারপর রাত অবধি আড্ডা চলবে তাদের । এটাই বলতে এসেছিল দিদিকে । কিন্তু ও ঘুমিয়ে আছে জন্য গাড়িতে বসেই মেসেজে লিখে দিল নিজের পরিকল্পনার কথা । এও জানিয়ে দিলো আজ তার ফিরতে দেরি হবে । বৃষ্টি যেন অপেক্ষা না করে ।

সোফার আড়ালে দাড়িয়ে টেডি হাতে নিয়েই তুলন বিস্মিত দৃষ্টিতে দেখতে লাগল নতুন রহস্যময় ঘরটিকে আর তাতে বাস করা নতুন মানুষ গুলোকে । এতকাল যে ঘর বন্ধ পড়ে ছিল । টেডি বেয়ারটাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেই সেও উকি দিল একটু আগের দেখা ছেলেটির প্রথমে উকি দেওয়া সেই ঘরেটিতে । দেখল একজন বুড়ো মানুষ শুয়ে আছে । পাশেই একটি চেয়ারে বসে বসে ঘুমাচ্ছে এক সাদা পোশাক পড়া মহিলা । তুলন ঘুরে ঘুরে ঘরের চারপাশটা দেখে উকি দিল সবশেষ ঘরটায় । দরজা হালকা ভেজানো দেখে ঢুকে পড়ল ঘরে । তুলন ঘাড় কাঁত করে দেখল বিছানায় ঘুমিয়ে আছে একটি সুন্দর মেয়ে । একটি হাত গালের নিচে দেওয়া। অপর হাতটি বালিশের ওপর । কপালের কিছু খোলা চুল একটা চোখের অর্ধেক ঢেকে দিয়েছে । তুলনের মনে পড়ে গেল আব্বুর কম্পিউটারে দেখা আম্মির ছবিটি ।তার আম্মিও এভাবে ঘুমায় । তুলন নিজের কৌতুহল মেটাতেই কি না কে জানে নিঃশব্দে এগিয়ে গেল বিছানার দিকে …….

(চলবে …..)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here