শেষ_প্রহর,পর্বঃ ১০
জাহান আরা
মুখোমুখি চেয়ারে বসে আছে সুলতানা আর নিষাদ,সুলতানার মুখ থমথমে। নিষাদের কলিজা শুকিয়ে গেলো সুলতানার থমথমে মুখের দিকে তাকিয়ে।
শিউলি তলায় বসে চন্দ্র এখনো কাঁদছে নিষাদের চোখ বার বার সেদিকে যাচ্ছে।
চন্দ্রর চারদিকে ছড়িয়ে আছে অজস্র শিউলি ফুল।সাদা শিউলির মাঝে চন্দ্রকে নিষাদের প্রতিমার মতো লাগছে।মনে হচ্ছে যেনো চন্দ্রর চরণে পুষ্পাঞ্জলি দিয়েছে শিউলি গাছ নিজের সব ফুল দিয়ে।
এতো সুন্দর কেনো চন্দ্র?
নিষাদের বুক কেঁপে উঠে ভাবতেই।সে এই সুন্দর মেয়েটাকে কাঁদাচ্ছে কিভাবে,ওর এক ফোটা চোখের জল মুক্তার মতো।
সুলতানা চুপ করে আছে,নিষাদের অস্বস্তি আরো বাড়ছে।
নিরবতা ভেঙে নিষাদ কথা বললো আগে।
“কিছু হয়েছে ভাবী?”
“তোমার সাথে আমার কিছু জরুরি আলাপ আছে তাই ডেকেছি,কথাগুলো আগেই বলা উচিৎ ছিলো আর,পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলি নি।”
নিষাদের কেমন কষ্ট হতে লাগে,কি বলবে ভাবী?
চন্দ্রকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলবে না-কি আবার?
চন্দ্রকে ছেড়ে নিষাদ বাঁঁচবে কিভাবে,না এটা হতে পারে না।ভাবী এসব বলতে পারবে না।চন্দ্র তার বৌ।
“আমি বাবা মায়ের এক মেয়ে জানো তো,কতো আদরে বড় হয়েছি। যখন আমি ক্লাস টেনে পড়ি বড় ভাইয়া অনার্স ১ম বর্ষে,মেঝ ভাইয়া ইন্টার ফাইনালে,ছোটজন ৭ এ পড়ে।
বাবা মায়ের যতোটা আদর পেয়েছি ভাইদের আদর তার চাইতে হাজার গুণ বেশী পেয়েছি।
বিশেষ করে মেঝ ভাইয়া।
এমন কোনো দিন বাদ যায় নি যে ভাইয়া কলেজ থেকে ফিরেছে আর সবার আগে আমাকে ডাকে নি।
ভাইয়ার ঘুম ছিলো খুব ভারী,কুম্ভকর্ণের মতো।কুম্ভকর্ণ কে জানো তো??
রাবণের ভাই ছিলো কুম্ভকর্ণ।৷ রাবণের মেঝ ভাই ছিলেন তিনি।তিনি এতটাই ধার্মিক, বিচক্ষন ও অজেয় ছিলেন যে স্বয়ং দেবরাজ ইন্দ্র ও তার শক্তির প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিলেন৷ তিনি তার ভাই রাবণ ও বিভীষণের সাথে এক মহাযজ্ঞে অংশগ্রহণ করে তারা প্রজাপতি ব্রহ্মাকে তুষ্ট করতে সফল হন৷ কিন্তু ব্রহ্মার কাছে বর চাওয়ার সময় দেবরাজ ইন্দ্রের অনুরোধে দেবী সরস্বতী তার জিহ্বা আড়ষ্ট করে দেন৷ এই কারণে বর হিসাবে ‘ইন্দ্রাসন’ চাওয়ার বদলে তিনি ‘নিদ্রাসন’ চেয়ে বসেন। তার এই অনুরোধই ব্রহ্মা গ্রহণ করেন৷ তার বড়ভাই রাবণ বিভিন্নভাবে ব্রহ্মাকে এই শাপরূপী আশীর্ব্বাদ না দেওয়ার অনুরোধ করলেও তিনি তাতে সম্মতি দেন নি৷ কুম্ভকর্ণ টানা ছয়মাসযাবৎ নিদ্রাচ্ছন্ন থাকতেন এবং তার ঘুম ভাঙলে মানুষসহ হাতের সামনে যা পেতেন তাই খেতেন…………থাক সেসব বাদ দিই,আমার ভাইদের কথা বলি।
সকালে মেঝ ভাইয়া কে ঘুম থেকে তোলা ছিলো দুরূহ এবং কষ্টসাধ্য। বাবা যে কতো মার মেরেছে এই ঘুমের জন্য কিন্তু ভাইয়া ঘুম থেকে জাগিতেই পারতো না।
সেই ভাইয়ার ঘুম আমি ২০ সেকেন্ডে ভাঙ্গিয়ে দিতাম। শুধু তার কানের কাছে গিয়ে কান্নাভেজা কণ্ঠে বললেই হতো,” ভাইয়া,ও ভাইয়া,ভাইয়া রে”
৫ টি শব্দ ব্যবহারেই ভাইয়া লাফ দিয়ে বিছানায় উঠে যেতো,কি কি কি হয়েছে সুলতানা বলতে বলতে।
আমি তখন খিলখিল করে হেসে উঠতাম,ভাইয়া জানতো এটা তাকে ঘুম থেকে তোলার একটা টেকনিক কিন্তু তবু ঘোমের ঘোরে তো আর এসব মনে থাকে না মানুষের, ভাইয়া উঠে যেতো ঘুম থেকে।
মাঝেমাঝে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে রাত হয়ে যেতো,মা বাবা কে লুকিয়ে আমি-ই দরজা খুলে দিতাম ভাইয়া কে ঘরে আসার,ফ্রিজ থেকে খাবার গরম করে খেতে দিতাম যেদিন ভাইয়া দেরি হবে বলতো ফিরতে সেদিন আর আমি রাতে সবার সাথে খেতাম না।
মাঝেমাঝে বড় ভাইয়া ঝগড়া লেগে যেতো আমি তাকে পছন্দ করি না বলে।অথচ আমার ৩ ভাইয়ের কলিজার টুকরো ছিলাম আমি।
মেঝ ভাইয়ার প্রতি আমার ভালোবাসা বেশী হওয়ার কারন ছিলো,ভাইয়ার এক পায়ে সমস্যা ছিলো জন্মগত,ভাইয়া পা টেনে টেনে চলতো কিছুটা”
নিষাদ বুঝতে পারছে না এসব কেনো বলছে ভাবী,ভাবীর তো ভাই দুইজন এখন,একজন মারা গেছেন,তবে কি তার কথা মনে পড়েছে আজ এজন্য ভাবীর মুখ থমথমে হয়ে আছে?
নিষাদের আবার আফসোস হয় নিজের বোন নেই বলে,বোন থাকলে তো সেই বোন ও এভাবে তাদের জন্য শোক করতো,মাসে মাসে ছুটে আসতো বাবার বাড়ি,আনন্দে মাতিয়ে রাখতো তাদের পরিবার। অবশ্য সেই দায়িত্ব এখন ভাবী পালন করছে।
“আমার খুব আফসোস হতো আমার কেনো বোন নেই,মা বাবা আমাকে কোথাও যেতে দিতো না কেনো জানি। এক মেয়ে ছিলাম বলেই হয়তো মা বাবার ভয় ছিলো।আর ভাইয়ারা ও যেতে দিতো না আমাকে।নানার বাড়ি বেড়াতে গেলে ভাইয়েরা ৩ জনেই রেডি হয়ে যেতো কেউ না বলতেই,তাদের এক কথা আমাকে একা যেতে দিবে না।আমি বাড়ি না থাকলে ওদের দম আটকে আসে।বাবা বলতো যেকোনো একজন যাবে আমার সাথে কিন্ত ওরা শুনতো না।
দেখা যেতো বাবা শুধু বড় ভাইয়াকে যেতে দিয়েছেন,আমি বড় ভাইয়ার সাথে যাচ্ছি,ঠিক তার পর পরই ওই দুজন সু্যোগ পেতেই ছুটে বের হয়ে যেতো আমাদের পরের বাসে করে চলে যেতো নানার বাড়ি।
চন্দ্র আর অনিতা ছোট ছিলো,ওদের দুই বোন কে দেখতাম সারাক্ষণ এক সাথে থাকতো।দুজন সারাদিন কথা বলতো,আমি চেষ্টা করতাম ওদের সাথে মেশার কিন্তু চন্দ্র আমাকে পাত্তাই দিতো না।
আমি সায়েন্সের স্টুডেন্ট ছিলাম,বাবার ইচ্ছে ছিলো আমাকে ডাক্তার বানাবে।
সব ইচ্ছে কি আর মানুষের পূর্ণ হয় এক জীবনে!!
সুলতানা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। নিষাদ বাহিরে তাকায়।চন্দ্র এখন কান্না বন্ধ করে গাছে হেলান দিয়ে বসে আছে। নিষাদ ভাবছে যদি সে এই শিউলি গাছটা হতে পারতো তবে তো চন্দ্রকে ছুঁতে পারতো,কেনো গাছ হলো না।
” আচ্ছা নিষাদ,চন্দ্র কি তোমাকে বলেছে তার জীবনের একটা দুর্ঘটনার কথা? ”
নিষাদ এই কথা শুনে চকিতে সোজা হয়ে যায়। সুলতানা এবার আসল কথাতে এসেছে। এই কথাটাই বলতে চেয়েছে সুলতানা তাহলে তাকে।
“না তো,বলবে বলেছে,পরে কেনো জানি এড়িয়ে গেছে”
“খালু মারা গেছে চন্দ্ররা ছোট থাকতে। একটা মজার কথা কি জানো,খালু আমাকে ও ভীষণ আদর করতো,কিন্তু আমি কখনো বুঝতে পারি নি কেননা উনি কখনোই আমাদের বাড়ি আসেন নি,আমি যেতাম মায়ের সাথে ওরা আসতো না।খালা খুব কম আসতো কিন্তু খালু আসেই নি,চন্দ্র আর অনিতাও না।
হয়তো খালু হীনমন্যতায় ভুগতেন আমার বাবা বড় চাকুরিজীবী বলে।
খালুর আমার প্রতি প্রবল ভালোবাসা আমি বুঝতে পারি খালুর মারা যাওয়ার সময়। মারা যাওয়ার আগ মুহূর্তে উনি চন্দ্র,অনিতা কাউকে না,আমাকে দেখতে চেয়েছেন,ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিলেন,মা আমাকে নিয়ে যাওয়ার পর খালু আমার হাত ধরেন,আমি মুখে এক চামচ পানি দিই,তারপর খালু মৃত্যুবরণ করেন।
চন্দ্রর একদিন ভীষণ জ্বর ছিলো,খালা ফোন করে মেঝ ভাইয়া কে বললো ঔষধ নিয়ে যেতে। মেঝ ভাইয়া চন্দ্রদের বাড়ি যায়।খালা ছিলো স্কুলে,অনিতা ও স্কুলে।ভাইয়া যাওয়ার পর চন্দ্র ভাইয়া কে চা দেয়।
চন্দ্র চা দিয়ে চলে যেতে নিতেই ভাইয়া চন্দ্রর বুকের উপর হাত দেয়।”
এই কথা শুনেই নিষাদ তড়াক করে উঠে দাঁড়ালো,চন্দ্রকে কেউ নোংরা স্পর্শ করেছে নিষাদের ভাবতে কষ্ট হয়। কান্না চলে আসে নিষাদের।
“বসো,এখনো কথা বাকি আছে।”
নিষাদ বসে যায়।
“চন্দ্র ভীষণ ভয় পেয়ে যায় ভাইয়ার এই ব্যবহারে।মেয়েদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় এসব ক্ষেত্রে বেশি সচেতন থাকে চন্দ্র ছুটে গিয়ে অন্য রুমের দরজা লাগিয়ে দেয়।
ভাইয়া সিগারেট ধরায়,তারপর চা খায়। চন্দ্রর রুমের কাছে গিয়ে চন্দ্রকে ডাকে দরজা খুলতে।চন্দ্র যখন কিছুতেই রাজী হয় নি তখন ভাইয়া অন্যপথ ধরে।
ভাইয়া জানে অনিতাকে চন্দ্র কতো ভালোবাসে তাই ভাইয়া বলে যে চন্দ্র দরজা না খুললে এই কাজ ভাইয়া অনিতার সাথে করবে।
চন্দ্র বাধ্য হয় দরজা খুলতে। তারপর ভাইয়া তার পুরুষত্ব দেখায় চন্দ্রর সাথে। ছোট একটা মেয়ে,তার পক্ষে এই সেক্সুয়াল বিষয় টা কেমন হতে পারে ভাবতে পারো নিষাদ?”
নিষাদ চুপ করে আছে,ইচ্ছে করছে এখনই গিয়ে চন্দ্রকে জড়িয়ে ধরে।
“ভাইয়া বাড়ি ফিরে এলো দুপুরে,গোসল করে রুমে গেলো।আমি ভাইয়ার রুমের দিকে পা বাড়াতেই শুনি ভাইয়ার কথা শোনা যাচ্ছে ফোনে।ভেবেছিলাম ভাইয়া প্রেমে পড়েছে তাই আড়ি পেতে শুনতে লাগলাম দরজার পাশে দাঁড়িয়ে। ভাইয়া তার কোনো বন্ধুর কাছে রসিয়ে রসিয়ে গল্প করছে,চন্দ্রর শরীরের প্রতিটি ভাজের বর্ণনা দিচ্ছে ভাইয়া।
আমার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়ে। আমার ভাই কিভাবে পারলো এই নোংরা কাজ করতে,আমি আমার কানকে বিশ্বাস করতে পারছি না।
রাগ হলো,ভীষণ রাগ হলো।
চলে এলাম রুমে,চন্দ্রর নিষ্পাপ মুখটা বার বার ভেসে উঠছে চোখের সামনে।ওই হতভাগীর না আছে বাবা না আছে ভাই না আছে একটা বড় বোন,কার কাছে বলবে সে নিজের মনের ব্যথা?
আজও পারে নি কাউকে বলতে এই ভয়াবহ অতীতের কথা।জীবনে প্রেমে পড়ে নি চন্দ্র,আবার যদি এই নোংরা কাজ কেউ করে সেই ভয়ে।
পরেরদিন স্কুলে গেলাম,ল্যাবে স্যার আমাদের কে নিয়ে যেতো প্রতি সোমবার। ভাগ্যক্রমে পরের দিন সোমবার ছিলো।ল্যাব থেকে চুরি করে কিছুটা সায়ানাইড নিয়ে এলাম।চন্দ্রকে ধর্ষণ করার শাস্তি আমি নিজে দিবো ঠিক করলাম।সেদিন রাতেই ভাইয়ার আনা বিয়ারের মধ্যে মিশিয়ে দিলাম।
সকালে ভাইয়া কে ডাকতে গিয়ে নিপুণ অভিনয় করলাম।চিৎকার করে মা’কে ডেকে বললাম ভাইয়া মনে হয় মদ খেয়েছে মা দেখে যাও ঘরে মদের বোতল।
বাবা এলেন,মা এলেন,বড় ভাইয়া,ছোট ভাই সবাই এলো।
ভাইয়ার এই অভ্যাসের কথা আমি আগে থেকেই জানতাম।রাতে এজন্যই আমি জেগে থাকতাম যাতে বাড়িতে আর কেউ না জানতে পারে ভাইয়ার এই অভ্যাসের কথা।
বাবা রেগে গিয়ে ভাইয়ার কলার টেনে ধরলেন,কিন্তু ভাইয়া চোখ খুলছে না,কি মনে করে বাবা ভাইয়ার গায়ে হাত দিলেন,তারপর চিৎকার করে উঠলেন ভাইয়া মরে গেছে বলে।আমরা সবাই হকচকিয়ে গেলাম,আমি দৌঁড়ে গিয়ে ভাইয়া কে জড়িয়ে ধরলাম,আর পাগলের মতো বলতে লাগলাম,”আমার ভাইয়া মরতে পারে না,আমার ভাইয়া বেঁচে আছে তোমরা ভাইয়াকে হাসপাতালে নাও না কেনো এখনো”
বাবার যেনো হুশ এলো। মা তো আরো আগেই অজ্ঞান হয়ে আছেন।বাবা ও জানেন ভাইয়া মরে গেছে আমি তো আরো আগেই জানি,কিন্তু বুঝতে দিলাম না এমন ফার্স্টক্লাস অভিনয় করলাম।
হাসপাতালে ডাক্তার বলে দিলো ভাইয়ার মৃত্যু অনেক আগেই হয়েছে।আমি হাসপাতালের ফ্লোরে শুয়ে গড়াগড়ি খেলাম কাঁদতে কাঁদতে।
তোমাদের হাসপাতালেই গিয়েছিলাম আমরা ভাইয়া কে নিয়ে,সেখানেই তোমার ভাইয়া আর বাবা আমাকে দেখে,ভাইয়ার জন্য আমার কান্না দেখেই আমাকে তোমাদের ভালো লেগে যায়।
ভাইয়ার এই হুট করে মৃত্যু কেউই প্রত্যাশা করে নি।থানা পুলিশ হলো,কে মেরেছে প্রমাণ নেই,তার উপর আমার মন ছুঁয়ে যাওয়া অভিনয়। তোমার ভাই ছাড়া আজও কেউ জানে না খুনী আমি,এখন তুমি জানলে।
চন্দ্র কিন্তু ভাইয়ার মৃত্যুর দিনে এসেছিলো জীবনে প্রথম আমাদের বাড়ি,আমি খেয়াল করেছিলাম চন্দ্রর মুখে একটা মুচকি হাসির রেখা ফুটে আছে।
আমি কোনো ভুল করি নি। উচিৎ শাস্তি দিয়েছি,যাও এবার আমার আর কিছু বলার নেই,তোমার ভাইকে বলো আমার লেবার পেইন উঠেছে অনেক আগে,আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে,পানি ভাঙছে অনেকক্ষণ ধরে”
নিষাদ অবাক হয়ে যায় সুলতানার কথা শুনে। লেবার পেইন নিয়ে এই মেয়ে কেমন নির্বিকারভাবে এতো কথা বলে গেলো,কিভাবে পারে এভাবে সহ্য করে যেতে নিষাদ বুঝতে পারছে না।
নিষাদের মনে একটা প্রশ্ন জেগে উঠে। কেনো নিজের ভাইকে খুন করে ফেললো খালাতো বোনের জন্য সুলতানা। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি নেই। নিষাদ ভালো করে তাকিয়ে দেখে ব্যথায় সুলতানার ফর্সা চেহারা নীল হয়ে গেছে।
দাঁত কামড়ে বসে আছে,নিষাদ উঠে দাঁড়ায়। ফ্লোর ভিজে আছে।
নিষাদ দৌঁড়ে নিচে নেমে যায়।
নিশান,নাসিমা বেগম,তোজাম্মেল সাহেব,চন্দ্র,নিষাদ সবাই উপরে আসে।সুলতানা কেমন শক্ত হয়ে বসে আছে। ড্রাইভার গাড়ি বের করেছে।নিশান সুলতানা কে কোলে তুলে নেয়।
গাড়িতে বসে সুলতানা মা,মা করে ডাকতে থাকে,নিশান সুলতানার মা,বাবা,ভাইদের কল দেয়।
চলবে……???