Accounting_Teacher,Part 21,22
Written_by_Ritu_Rosni
Part 21
.
বেলকনি দিয়ে উকি মেরে দেখলাম লুচু,শয়তান টা গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে আমার রুমের দিকে তাকিয়ে আছে।
আমাকে দেখতে পেয়ে উনার মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠল।
একটা ভেংচি কেটে চলে এলাম রুমে….
হুহহহহহ বসে বসে মদ খা,মানুষ হবি😆😃😃
,,
–ঋতু এসে বেলকনি থেকে উঁকি দিয়ে গেছে।
কি ব্যাপার!!! আসছে না কেনো??রেডি হতে এত সময় লাগার কথা না তোহহ😒
কি করছে এতক্ষণ ধরে ও…..
কল দিচ্ছি রিসিভ করছে না।মেজাজ খারাপ হয় না(দাঁত কিড়মিড় করে বলছে)
উফফফহহহহ!!আর কতক্ষণ লাগবে কে জানে???😡
,,
😱😱১১ টা বাজতে চললো আর এখনো ওর আসার নাম নেই।
বজ্জাৎ মেয়েটা আমায় রোদের মধ্যে দাড় করিয়ে রেখে করছে টা কি???
ফোন তো তুলছেই না।(ফোন তুলবে কেমনে??ঋতু তো ফোন সাইলেন্ট মুডে রেখে পেছন গেট দিয়ে পগার পার)😆😃
রাগে শরীর জ্বলে যাচ্ছে শুভ্রের।এ কেমন বেয়াদবি?? আবার কল দিলো,এবার রিসিভ করছে…
–কতক্ষণ লাগে নিচে আসতে??সেই ৯ টা থেকে অপেক্ষা করছি আর এখন বাজে বেলা ১১ টা।
কখন যাবে ক্লাসে???(এতক্ষণ বলেই যাচ্ছিল কথা ঋতু ভেবে)
—কে বলছেন??আর আপু তো সেই কখন বের হয়ে গেছে।ভার্সিটিতে যাবে বলে।(ঋতুর ছোট বোন বর্ষা কল রিসভ করছিল)
–ফোন কেটে দিয়ে,,
😱😱
কত্তো বড় সাহস ওর!!আমায় এখানে বসিয়ে রেখে ক্লাসে চলে যায়??
শুভ্রের রাগ এখন সপ্তম আসমানের চূড়ায়,,
ঋতুরে সামনে পাইলে যে কি করতো আল্লাহ মালুমই জানে।
,,
জল্লাদ টাকে বসিয়ে রেখে ক্লাসে চলে এসেছি।ইশশশশ!!
জল্লাদ টা যখন বুঝতে পারবে আমি চলে এসেছি তখন উনার মুখটা দেখার মতো হবে।😃😃
আমি বরং ক্লাস করি।আমার আবার ক্লাস!!
ক্লাসে সবাই এখন আগের মতোই ব্যবহার করছে আমার সাথে।
যারা সেদিন ঐসব কটু কথা বলছিল!! তারা এসে ক্ষমা চেয়ে গেছে।বুঝতেছি না এদের আবার কি হলো।😊
,,
অনেক দিন কলেজে আসি না,,আমার কলিজার টুকরা দের খুব মিস করছি।
বান্দরগুলা বাসায় গিয়ে দেখা করে আসছে।শুধু কনা বাদে।
ও বাসায় চলে গেছে,আংকেল এর জরুরী ফোন পাওয়ায়।
তবে ও ফোন দিয়ে সব সময় খোজ খবর রাখে।
ওদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে ক্লাসে গেলাম।
নোটিশ দিয়ে গেছে সামনেই half yearly Exam.
অনেকক পড়া জমে গেছে।এ কয়দিন ক্লাসে যা করায়ছে তা তো বুঝবো না কিছুই আমি😰😰
,,
এক্সামের তোর আর দেরি নেই বেশি।খুব কান্না পাচ্ছে আমার এখন।কি করবো কিছুই বুঝতেছি না😰😰
নুপুর এর থেকে সব নোট টুকে নিয়ে নিলাম।এবার ভালো করে পড়তেই হবে নইলে মান সম্মান কিছুই থাকবে না।
,,
রাত্রে,,,,,,,,,,,
রাগে আর ভার্সিটিতেই যায় নি শুভ্র,,
সারাদিনে অনেক কষ্টে ওর ভেতরের রাগটাকে থামিয়ে রেখেছে।
নাহহহ!!ও বাচ্চা মানুষ, তবে দুস্টু ও বটে।একটু মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।ওর করা ভুল গুলোকে শুধরিয়ে নিতে হবে।তবে সেটা রাগ নয় আমার ভালোবাসা দিয়ে।
আজ থেকে আর রাগ করবো না একটু ও,,খালি ভালোবাসুম💋
কি করবো বুঝতেছি না!!অনেক রাত ও হয়েছে।
চোখে ঘুম নেই,,ঘুম মামা হারিয়ে গেছে।
খুব দেখতে ইচ্ছে করছে আমার জান্টুস পাখি টাকে।
কি করবো বুঝতেছি না।ফার্মগেট ঘুরতে গিয়ে ওর অজান্তে কিছু পিক তুলেছিলাম সেগুলোই দেখছি আর হাসছি।
😆😆😃😃😃হাওয়াই মিঠাই খাচ্ছিল, তখন বার বার চুলগুলো মুখে উড়ে এসে পড়ছিল।পিক টায় দেখায় যাচ্ছে মুখে বিরক্তের ছাপ।
বার বার পিক গুলো দেখছি তবুও যেনো আমার তৃষ্ণা মিটছে না।
একটা পলক দেখার জন্য মন টা কেমন ছটফট ছটফট করছে।
উফফহহহ!!কেমন যেনো লাগছে।বুঁকের বাঁ পাশ টা মৃদু চিনচিনে বৃথা অনুভূত হচ্ছে।
খুব কষ্ট হচ্ছে,একটা নজর না দেখলে মনে হয় মরেই যাবো।
এত রাতে কি করবো কিছুই মাথায় আসছে না।সকাল হলেই তো দেখতে পারবো তারপরেও মন যে আমার মানছে না।😰
নাহহ আর পারছি না,,বাসার পোশাক পরেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো ঋতুর বাড়ির উদ্দেশ্যে।
রাত প্রায় ১টা বাজতে চললো।সবাই ঘুমে বিভোর।ঋতুই বা বাদ যাবে কেনো।তারপরে আবার শীতের রাত।
১০ টা বাজার সাথে সাথেই সবাই ঘুমাতে যায়।
চারদিকে কুয়াশায় কিছুই স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে না।কেমন পিনপিনে নিরাবতা রাতের আধাঁর জুরে।মাঝে মাঝে কুকুরের ডাক ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছে না।
ঋতুকে কল দিচ্ছি কিন্তু ধরছে না।(ধরবে কেমনে,সকালে ঐ যে সাইলেন্ট মুডে রেখে দিছে আর ফোন দেখে নায় ঐ অবস্থাতেই পড়ে আছে।)
শুভ্রের মুখের কোনে দুষ্টুমির হাসি লেগে আছে।কি করবে ও?
কি ভাবছে?
,,
ঋতুদের বাসার পাইপ বেয়ে অনেক কষ্টে বারান্দা দিয়ে ঋতুর রুমে ঢুকলো শুভ্র।
বারান্দায় দরজা না থাকায় রুমে ঢুকতে অসুবিধা হলো না তেমন।
তবে পাইপ পেয়ে উপরে উঠা চারটে খানি কথা নয়।
কিছুক্ষণ দম ছাড়িয়ে নিয়ে।
,,
বাহহহহ!!মেডাম তো বেশ গুটিশুটি মেরে কম্বল মুড়ে আরামে শুয়ে আছে।
আর এদিকে আমি😰 ছটফট করে মরছি।
দাড়াও তোমার ঘুম আমি ছুটাচ্ছি…
,,
ঘুমাচ্ছিলাম হঠাৎ মনে হলো কেউ আমার পেটে সুড়সুড়ি দিচ্ছে।(আমার আবার এই জিনিসটা একটু বেশিই)
উফফফহহহহ!!বর্ষা কি শুরু করলি এসব??লাত্তি খাবি নাকি??
লাত্তি মেরে খাটের নিচে ফালাই দিমু কলেম।
,,
বর্ষাাাাাাাাহহ কি শুরু করলি এসব??
আরে বর্ষা এখানে আসবে কেমনে?ও তো আম্মুর কাছে থাকে।তাহলে কে এমন করছে??ভুত টুত নয়তো??😒আর আমি তো টেবিলে পড়তে ছিলাম তাহলে এখানে আসলাম কি করে??😒
হঠাৎ কারো হাসির আওয়াজ পেলাম।
হাসির আওয়াজ টা ক্রমশই বাড়তেই থাকছে।😰😰
কি ব্যাপার!!
ফোনে টর্চ জ্বালিয়ে তো😱😱😱😱
আাাাাপনিিিিিিিিি?????
আপনি এখানে কি করছেন???আর কিভাবে এলেন???😡😡
—-আরে আরে আস্তে আস্তে,,কেউ শুনেবে তো।(ঋতুর মুখ চেপে ধরে)
এত জোরে কেউ চিল্লায়??কানের পোকা বের হয়ে গেছে।
–আগে বলুন আপনি এখানে কেনো এসেছেন??আর আসলেনই বা কি করে??
–কেনো??পাইপ বেয়ে।
—😱😱😱
পাইপ বেয়ে??
—কেনো??জীবনে মনে হয় আজকেই প্রথম শুনছো কথাটা।আর ফোনটা রিসিভ করলে এত কষ্ট করে পাইপ বেয়ে আমার উপরে উঠতে হতো না।
—বের হন,বের হন বলছি।
–এমন স্বার্থপরের মতো বিহাভ করছো কেনো??তোমার বাসায় এসেছি এত কষ্ট করে, কোথায় কিছু খাওয়াবে তা না।
বের হন,বের হন করছো।
–ওলে ফাঁপালে উনাকে খাওয়াতে হবে।মামার বাড়ির আবদার পাইছে মনে হয়।
একিিিিিি!!এদিকে আসছেন কেনো??স,,সরুন,সরুন বলছি।দে,,দেখেেেন ভা,,আাালো হবে না বলছিিিি,,আমি কিন্তু,,,,
–তুমি কিন্তু কি??
—আমি কিন্তু চিল্লাবো বলে দিলাম।(আমি)
—তো চিল্লাও না কেনো??চিল্লাও,,,
সবাই এসে কিন্তু আমাকে কিছু বলবে না।তোমাকেই বলবে!!এত রাতে তুমি একা ঘরে।
পর পুরুষের সাথে কি করছো…. 😃😆
মুখে দুষ্টুমির হাসি দিয়ে।
—মাাাাআাানেেেেেেেে
—মানেটা সিম্পল!!ডাক দাওওও
কি হলো??চুপ হয়ে গেলে যে??(শুভ্র)
,
চুপ করে দাড়িয়ে আছে ঋতু হঠাৎ শুভ্র টান দিয়ে বুঁকের সাথে মিশিয়ে নেয় ঋতুকে।
দুজনেরই হার্টবিটের আওয়াজ যেনো বেড়েই চলেছে।থামার কোনো কথাই নেই।
ঋতু লজ্জায় শুভ্রের বুঁকে মুখ লুকায়।
দুজনেরই নিঃশাষ ভারী হয়ে আসছে আস্তে আস্তে।
ঋতুর কপালে একটা ভালোবাসার পরশ বুলিয়ে দিয়ে শুইয়ে দেয় বালিশে।
এহেন ঘটনায় ঋতু যেনো বোকা বনে চলে গেছে।
একদম তব্দা খেয়ে গেছে আকস্মিকতায়।
—ভয় নেই!!বিশ্বাস রাখতে পারো আমার উপর।
খারাপ কিছু ঘটবেনা।
আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি ঘুমাও প্লিজজ!!
.
.
.
(চলবে)
Accounting_Teacher
Part 22
Written_by_Ritu_Rosni
.
.
এহেন ঘটনায় ঋতু যেনো বোকা বনে চলে গেছে।
একদম তব্দা খেয়ে গেছে আকস্মিকতায়।
—ভয় নেই!!বিশ্বাস রাখতে পারো আমার উপর।
খারাপ কিছু ঘটবেনা।
আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি ঘুমাও প্লিজজ!!
শুভ্র ঋতুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,আর ঋতু বাচ্চাদের মতো গুটিশুটি মেরে চোখ বন্ধ করে আছে।
শুভ্র বলছে বলে।হঠাৎ কি হলো কে জানে,শুভ্রর কথা মতো শুয়ে পড়লো।
,
—চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে শুভ্র,,
ঋতু মনে হয় ঘুমিয়ে পড়ছে।মেয়েটা এত ঘুম পাগলি কেনো??😒
আচ্ছা আমি যে এখানে ওর সাথে এক রুমে আছি,ওর কি ভয় করছে না নাকি??
এত নিশ্চিন্তে কিভাবে ঘুমাচ্ছে ও??
পাগলি একটা,বলেই মুচঁকি হাসি দিলো।😊
ড্রিম লাইটের আলো এসে পড়ছে ওর মুখে,এক অদ্ভুদ মায়াবী দেখাচ্ছে ড্রিমলাইটের আলোয়।
ঘুমন্ত অবস্থায় মনে হচ্ছে একটা ঘুমন্ত পরী কন্যা শুয়ে আছে আমার সামনে,আর আমি মুগ্ধ নয়নে চেয়ে আছি তার প্রাণে।😍
যদি রবিন্দ্রনাথ/কাজী নজরুল ইসলাম এখানে থাকতেন তাহলে নির্ঘাত এতক্ষণে ওর নামে কবিতা লিখে ফেলতো।😍
,,
সকালে,,,,
ঘুম থেকে উঠে ভাবছে ঋতু জল্লাদ টা কই গেলো??
ঘুমানোর পরে কি শুভ্র এখানেই ছিল নাকি চলে গেছে বাসায়?😒
রাত্রের কথা মনে হতেই ঋতু ব্লাশিং হচ্ছে।
ইশশশ!!😊😊
সব ভাবনার পার্ট চুকিয়ে ফ্রেশ হতে গেলো ঋতু।
আর এদিকে শুভ্র ঋতুর কাছে থেকে ফিরতে প্রায় ৪ টা বেজে গেছে।ঘুমিয়েছে খুব ভোরে।ঘুম হয়নি ওর তাই ঘুমাচ্ছে।
শুভ্রের মা শুভ্রকে ডাকতে এসে ফিরে গেছে।
হয়ত এখন কাজের খুব চাপ,দেরিতে ঘুমিয়েছে।তাই না ডেকে কপালে একটু আদর দিয়ে চলে গেলো।
,,
সামনে এক্সাম তাই ঋতু একটু ব্যস্ত পড়াশুনা নিয়ে।যদিও সারাক্ষণ আড্ডাবাজি নিয়েই বিজি তারপরেও ওর মায়ের সামনে এমন ভাব করে যেনো পড়াশুনার প্রতি ও খুব সিরিয়াস।😊
,,
অনেকদিন পর আজকে ফেসবুকে এসেছে ঋতু।
ডাটা অন করার সাথে সাথে একেরপর এক নোটিফিকেশন এসেই যাচ্ছে, সেই সাথে মেসেজে ভরে যাচ্ছে ইনবক্স।
আজকে যে ওর জন্মদিন সেটা তো ওর মনেই ছিল না😱😱
তবে এটা ভেবে ভালো লাগছে যে,এই নীল সাদার ভার্চুয়ালে কেউ আমায় মনে রেখেছে।
,
কি ব্যপার!!আজকে যে আমার বার্থ ডে সেটা কি আমার হাম্রি ফ্রেন্ডস গুলার কারোরই মনে নেই নাকি??😰
নুপুরের ও নাহহ??😰😰
এখন পর্যন্ত কেউ উইশ করলো না আমায়।এই আমায় ভালোবাসে নাকি সবাই!!
কারো সাথেই কথা বলবো না আর আমি😰সবাই সেলফিশ একটা।
হুরররররররর😈
,
আজকে ঋতুর বার্থডে।বাসায় ওর বার্থডে উপলক্ষে একটা ছোটখাটো অনুষ্ঠান আছে তবে সেটা সন্ধ্যায়।
ঋতুকে কেউ কিছু বলেনি এখনো,সারপ্রাইজ আরকি😊
,
প্রতিদিন এর মতো আজকেও যথাসময়ে রেডি হয়ে ভার্সিটিতে চলে গেছে ঋতু,তবে ক্লাস করতে নয়
বন্ধুদের সাথে নিজের বার্থডে টা সেলিব্রেট করতে😉
কিন্তু একি!!!😰
কেউ আজ ঋতুর সাথে কথা বলছে না।
সবাই যার যার পড়াশুনা নিয়ে বিজি,যেনো কারোই ঋতুর জন্য সময় নেই।
😰😰সবাই এত্ত পাল্টে গেলো কবে।
–কিরে তোরা কেমন আছিস??(ঋতু)
__দেখছিস না কেমন আছি?আবার জিজ্ঞাইতে হবে নাকি(কনা)
—না এমনি জানতে চাইলাম আরকি।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার,
Guys আজকে কয় তারিখ??(ঋতু)
—কেন তুই জানিস না??ফোনের ক্যালেন্ডার বের করে দিয়ে,দেখ আজ কত তারিখ(রাজু)
–হু,তোরা ভুলে গেছিস আজকে কি??(ঋতু)
–আজকে আবার কি??কিরে নুপু আজকে কোনো দিবস টিবস আছে নাকি??(ফরিদ)
—কই না তোহ!!কিরে ঋতু আজকে কি??
—তোরা সত্যিই জানিস না আজকে কি??(কাঁদো কাঁদো ভাব করে)
—আরে আজব তোহ!!জানলে কি আর চুপ করে থাকি??সকাল সকাল কি শুরু করেছিস তুই বলতো??(নুপু)
—ধুররররররররর!!রাগ দেখিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো ঋতু,
সব কটা নেংটি ইদুর,কটকটি আর বিটকেলের দল।
একটা শাকশুঁটকির ও কপালে বর জুটবে না বলে রাখলাম।আজ যে একটা বিশেষ দিন,আমার মতো মহান একজন মানুষের জন্ম হয়েছিল সেই খবর কি রাখে কেউ??😡
সব ফ্রেন্ড নামের কলংক,একেকটা ডাইনি।
মন চায় সব কয়ডারে চামিচ দিয়ে কুইট্টালাই😆😆
ক্যাম্পাসে বসে একাই বকবক করছে ঋতু।
,,
–কিরে!!আমরা একটু বেশিই করে ফেললাম না??বেচারি তো মনে হলো এখনি কেঁদে দিবে।
যাই বলিস না কেনো!খুব কষ্ট পেয়েছে…. (নুপু)
—আমারও তাই মনে হয়,ও যা পাগলি।আবার কিছু করে না বসে।চল দেখি কি করছে ও।
হু চল সবাই।
,,
—কিরে তুই এখানে বসে আছিস??😱
আর আমরা তোকে পুরো ক্যাম্পাস খুজে বেড়াচ্ছি।
——-
—যাই হোক!!আমরা সবাই শহরে যাচ্ছি।
তুই কি যাবি আমাদের সাথে??
–নাহ!!তোরা যাহ,তোদের মতো নেংটি ইদুর,শাকশুঁটকি, কাইল্লা বিলাই,করালবদনির ডাইনিদের সাথে আমার যাওয়ার কোনো ইচ্ছেই আমার নেই।
–(ওরা এসব গালাগালিতে অভ্যস্ত আর জানে ওদের পাগলি বান্ধপ্পি এখন রেগে আছে তাই এমন অদ্ভুদ অদ্ভুদ দুচারটা গালি হজম করতেই হবে।)
আমরা সবাই নুপুরের বফের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি, তাই তোকে যাওয়ার কথা বললাম,, আসলে আয় না আসলে বসেই থাক।পরে যেনো না বলা হয় যে আমায় বলিস নি কেনো।বলেই ওরা মুচকি হাসতে হাসতে যেতে লাগল।
—কিছুক্ষণ ভেবে,,,,,
এই দ্বারা তোরা,আমি যাবো।
–এতক্ষণ না ঢং করে বললি আসবি না??এখন আবার আসছিস কেনো???(কনা)
—তোদের মত কানকাটা পেত্নি,নেংটি ইদুর,রাক্ষুসী কটকটি,আফ্রিকান কাইল্লা বিল্লদের সাথে আসার আমার ঠ্যাহা পড়ছে নাহহ,আমি তো #আকাশ জিজুর সাথে দেখা করতে যাচ্ছি।(নুপুরের বফের নাম আকাশ)
–তো যা নাহহহ(কনা)
–এই তোরা থামবি??কি শুরু করলি এসব??(রাজু)
–দেখছিস না ঐ তাড়ছিড়া মেন্টাল টা কি বললো??(কনা)
—Stop it year,তোরা কি এখনো বাচ্চাই আছিস যে সারাক্ষণ দুটো তে মিলে ঝগড়া করিস।(ফরিদ)
,,
কিছুক্ষণ বাদে ওরা ইয়ারকর্নারের সামনে একটা রেস্টুরেন্টের সামনে এসে দাড়ালো।
ঋতু তুই একটু পরে আয়,আমরা ভেতরে যাচ্ছি।(নুপু)
—একটু পরে কেনো??তোরা সবাই যাচ্ছিস আর আমাকে একটু পরে যেতে বলছিস কেনো??(ঋতু)
—ইয়ে আসলে,ও এখনো আসেনি।ও আসলে তুই ওকে নিয়ে ভেতরে আয়।😊(নুপু)
—ওহহ!!সেটা আগে বললেই পারতিস।যা তোরা আমি অপেক্ষা করছি জিজু না আসা পর্যন্ত।
–ওরা সবাই ভেতরে গেলো ঋতুকে বাইরে দাড় করিয়ে রেখে।
,
–তোমরা এসে পড়েছো সবাই??এদিক ওদিক তাকিয়ে,,
ঋতু কোথায়?ওকে নিয়ে আসোনি?(ভেতর থেকে বলছে একজন)
—অনেক কষ্টে ওকে এনেছি,, বুঝতে দেয়নি ওরে কিছু😆
নুপুরের বফের সাথে দেখা করবো বলে নিয়ে এসেছি নইলে আমাদের এত কষ্টের প্ল্যান টা সব ভেস্তে যেত।(কনা)
—ওকে তোমরা এদিকে এসো,দেখো সব কিছু ঠিক আছে কিনা।(ঐ লোকটা)
,,
একটাও কাজের না সব অকাজের।আমাকে দাড় করিয়ে রেখে যে গেলো সে খেয়াল কি আর কারো আছে নাকি?? মনে হয় Bf টা আমার তাই অপেক্ষা করতে হবে আমাকেই।
দাড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যাথা হয়ে গেছে,মনে হয় লেট লতিফটা আসবে না।হুদাই মিছা কইছে😆
দেখি হার্মিগুলা ভেতরে কি করছে এতক্ষণ।
আস্তে আস্তে ডোর ওপেন করে ভেতরে ঢুকলাম।অন্ধকারে তো কিছুই চোখে পড়ছে না😰
রেস্টুরেন্টে কারেন্ট নাই নাকি??? ওরাই বা গেলো কোথায়?কাউকেই তো দেখছি না।😰
ভুলে অন্য কোথাও চলে আসলাম না তো আবার।😰
ভয় ও করছে।
নুপু,কনা,রাজু????কোথায় তোরা???
—আমরা এই তো,সামনেই আছি।তুই চলে আয় ভয় নেই।(কনা)
—হঠাৎ লাইট জ্বলে ওঠলো!আর পাশ থেকে সব হাম্রিগুলো Happy birthday to U ঋতু বলতে বলতে বেরিয়ে এলো।
😱😱😱আমি যাস্ট ওদের কান্ড দেখে হা হয়ে গেছি।
পুরো রেস্টুরেন্ট সাজিয়েছে।দেখতে যাস্ট 👌👌 লাগছে।
মাঝখানের টেবিলে বিশাল আকারের একটা চকলেট ফ্লেবারের বার্থ ডে কেক রাখা।চারপাশে মৌমবাতি জ্বলছে মাঝখানটায় রয়েছে কেক।
,,
—ঐখানে দাড়িয়েই থাকবি নাকি!!কেক টা কাটবি বলতো??
–হু,আসছি।
কেক কেটে সবাইকে একে একে খাইয়ে দিলাম।আবার সবার মুখে গালে মেখে দিলাম।
এত্তবড় সারপ্রাইজ পাবো ভাবতেও পারিনি,শুধু শুধু ওদের সাথে রাগ দেখালাম তখন।😒
সরি রে!!
—কেনো??(কনা)
—তোদের সাথে তখন শুধু শুধু রাগ দেখালাম।আর তোদেরকে এত্তগুলা থ্যাংকস😍😍
—আবার থ্যাংকস কেনো??(রাজু)
—-এই যে এইভাবে আমার বার্থ ডে টাকে সেলিব্রেট করার জন্য।
—উহু,ধন্যবাদ যদি দিতেই হয়,তাহলে উনাকে দে।
এই সব কিছুই উনি এরেন্জমেন্ট করেছে।
আমরা তো শুধু তোকে এখানে মিথ্যে বলে নিয়ে এসেছি।(নুপু)
—সামনে তাকিয়ে তো আমি😱😱😱
.
.
(চলবে)