স্বপ্নবিলাসী,পর্ব :-০২
Writing by Nishan_Bunarjee
.
.
-:”সৌমিক তার মাকে বোঝালো।
– মা, তুমি একটা নারী। নারী হয়ে আরেকটা নারীর ব্যথা তোমার বুঝা উচিৎ। তুমি হুট করে বলবে ভাইকে স্বামী হিসেবে মেনে নাও আর উনি মেনে নেবেন? তুমি তোমার জায়গা থেকে সরে একবার ভাবীর নজর দিয়ে দেখ তখব বুঝতে পারবে ভাবী কি পরিমাণ কষ্ট টা সহ্য করছেন।
সৌমিকের কথায় তার মা একরকম লজ্জাবোধই করলেন। সৌমিকের এমন আচরণ অহনাকেও একটু আকর্ষণ করল। কেউতো আছে যে অহনার পক্ষে কথা বলছে! সৌমিক এবার অহনাকে বলল, ভাবী, অস্থির হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিবেন না। অস্থিরতায় নেয়া সিদ্ধান্ত ভুল হয়। ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিন। এখন বাসায় চলুন। তারপর ধীরে সুস্থে কি করবেন সে সিদ্ধান্ত নিয়েন।
অহনার পক্ষে এখন আর ঐ ঘরে যাওয়া অসম্ভব। সে ঐ ঘরে যাবেনা যে ঘরের মানুষ তার সাথে প্রতারণা করেছে।
-সৌমিক তোমরা যাও। আমি পড়ে থাকবো এখানে। বাবা মা যদি আমার ভরণপোষণে অসমর্থ তাহলে আমিই আমার দায়িত্ব নিতে পারবো।
-ভাবী এখানে থাকলে লোকমুখে বারবার অপমানিত আর লাঞ্ছিত হতে হবে আপনাকে আর আপনার পরিবারকে। বিয়ের পরদিনই মেয়ে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছে। নিশ্চয়ই মেয়েতে দোষ আছে বলে শ্বশুরবাড়ির লোক তাড়িয়ে দিয়েছে। লোকমুখে এসবই প্রচার হবে। আপনি এখন চলুন। পরে দেখা যাবে যা হয়। অন্ততপক্ষে আমার উপর আস্থা রাখুন ভাবী।
সৌমিকের উপর যথেষ্ট বিশ্বাস হয়ে গেছে অহনার। বিপদে আমরা যাকে পাশে পাই তার প্রতি বিশ্বাস জাগাটা অতি স্বাভাবিক। অহনা এই এক সৌমিকের উপর বিশ্বাস করে শ্বশুর বাড়ি পুনরায় যেতে রাজি হয়ে যায়।
বাসায় আসতেই সৌমিকের মা সৌমিক কে কানে কানে বলল অহনাকে যেভাবেই হোক বিশালের সাথে সংসার করতে রাজি করার জন্য। সৌমিকও জানে অহনার মতো মেয়ে মরে যাবে কিন্তু বিশালের সাথে সংসার করতে রাজি হবেনা। সৌমিক তার মাকে মিথ্যে স্বান্তনা দিল। এদিকে অহনা ভীষণ অস্বস্তিকর বোধ করছে। সেতো সৌমিকের কথায় চলে এলো এই বাড়িতে। কিন্তু এই বাড়িতে তার কাজ কি? যার সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তার সাথে তো বিয়ে হয়নি। আর যার সাথে হয়েছে তাকে সে কখনো স্বামীর নজরেই দেখেনি। অহনা না চাইতেও ঘুরপ্যাঁচে পড়ে গেল। কল্পনার বাইরের সবকিছু ঘটছে। অহনার গভীর চিন্তাভাবনার সমাপ্তি ঘটলো সৌমিকের আগমনে।
– ভাবী, বেশি বেশি চিন্তা করে নিজেকে দুর্বল করে তুলবেন না। মনে রাখবেন সমস্যা থাকলে তার সমাধানও থাকে। নিজেকে শক্ত করুন। আমি আছি আপনার সাথে।
কথাগুলো বলেই সৌমিক আলতো করে অহনার হাতটা ধরে স্বান্তনা দিতে দিতে বলল,
-চিন্তা করবেন না ভাবী সবকিছু একদম ঠিক হয়ে যাবে। আমি আছি।
সৌমিকের স্পর্শ পেয়ে বিদ্যুৎ-এর গতিতে শিহরণ দৌড়ে গেল অহনার মাঝে। আলাদা আকর্ষণ, আলাদা অনুভূতি হলো অহনার। এই অনুভূতি অহনা সংজ্ঞায়িত করতে পারছেনা। এমন আলাদা আকর্ষণ কেন হচ্ছে সেটা সে বুঝে উঠতে পারছেনা। অপরদিকে সৌমিকের মধ্যে সবকিছুই স্বাভাবিক দেখা যাচ্ছে। তার কাছে অহনা তার ভাবী। এর থেকে বেশি কিছু না। কিন্তু সত্যটা তো ভিন্ন। দুজন বুঝেও বুঝতে পারছেনা যে নিয়তির মতে এখন তারা স্বামী-স্ত্রী। কারণ নিয়তিকে সাক্ষ্য রেখেই দুজনের বিয়ে হয়েছে। অগ্নির সামনে সাত পাকে বাঁধা পড়েছে দুজন।
– আচ্ছা সৌমিক, তুমি কেন তোমার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে আমার কথা ভাবছো?
অহনা অবাক ছিল সৌমিকের আচরণে। তাই অহনা এমনটা প্রশ্ন করলো। সৌমিক খুব স্বাভাবিক ভাবে বলল,
– ভাবী আমি বাবা-মায়ের বিরোধিতা করছিনা। আমি সত্যের পক্ষে লড়ছি। এটা তো সত্য যে আপনার বিয়ে আমার ভাইয়ের সাথে হয়নি। তাই আপনি আপনার জায়গায় ঠিক আছেন।
– আমাকে ভাবী বলবা না।
অহনার কথায় অবাক হলো সৌমিক।
– কেন ভাবী?
– আমার বিয়ে যেহেতু তোমার ভাইয়ার সাথে হয়নি তাই আমি তোমার ভাবী নই। ভাবী না বলে নাম ধরেই ডেক। আচ্ছা আরেকটা প্রশ্ন করতে চাই কিছু মনে করবেনা তো?
– না, না। করেন।
– আমাকে তো বিয়ে না করলেও পারতে। তাহলে কি দরকার ছিল?
সৌমিক একটু চুপ করে রইলো। কিন্তু পরপরই ভাবলো যে মেয়েটার সাথে এত অন্যায় হয়ে গেছে তার থেকে কোনোকিছু লুকিয়ে রাখা ঠিক হবেনা।
-আমার ভাই সারাটাদিন নেশা করে যেথায় সেথায় পড়ে থাকে। নেশায় সে এতোটাই আসক্ত যে নিজের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই তার। বাবা-মায়ের মতে বিয়ে করিয়ে দিতে পারলেই তাকে ঠিক করা সম্ভব। কিন্তু বিয়ের দিনও সে নেশা করে কোথায় গিয়ে পড়ে রইলো তা কেউ জানতো না। বাবা মা ভাবলো এ বিয়ে আর হবে না। তাই উনারা আপনার বাবাকে বললেন বিয়ে আর হবেনা। আপনার বাবা খুব বড় একটা ধাক্কা খেলেন। উনার কান্না আমার সহ্য হয়নি যার কারণে আমি ভাবলাম যে আপাতত বিয়েটা আমি করি পরে মামলা ঠান্ডা হওয়ার পর ভাইয়ার সাথে আপনার বিয়ে করিয়ে দেয়া হবে। এতে আমার বাবা মা আর আপনার বাবাকে রাজি করাই। আপনার বাবাও রাজি হয়ে যান। তাই আমি বিয়েটা করেছি।
অহনা চুপচাপ কতক্ষণ কিছু একটা চিন্তা করলো। তারপর বলল,
– কিন্তু আমার বিয়ে তো তোমার সাথে হয়েছে। তাহলে আমি কিভাবে তোমার বড় ভাইয়ের সাথে আবার বিয়ে করতে পারি!
– সেটা তো কেউ জানেনা যে আপনার বিয়ে আমার সাথে হয়েছে। আপনার বিয়ে বিশাল ভাইয়ার সাথে হয়েছে এটাই সবাই জানে।
– ঈশ্বর? উনি কি জানেন না?
সৌমিক ভাষা হারিয়ে ফেলে। অহনা জোর দিয়ে বলে,
– আমি কিভাবে নিজেকে বোঝাবো? কিভাবে অন্য পুরুষকে স্বামী হিসেবে মেনে নেব?
– আমার কাছে তখন সেটাই উচিৎ মনে হয়েছিল। আমি ভাবিনি যে এতবড় একটা সমস্যা হয়ে যাবে। আচ্ছা, এখন আপনি একটু শান্ত হোন পরে বিস্তারিত কথা হবে এ নিয়ে।
সৌমিক অহনাকে একটু স্বান্তনা দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো। বেরিয়ে আসতেই দেখলো তার বড় ভাই বিশাল এসেছে। এলোমেলো চুল, মুখভর্তি একগাদা দাঁড়ি। পরনের শার্টের বোতাম ছিঁড়ে বুকের কালো চুল দেখা যাচ্ছে। একদম পাগলের ন্যায়।
– ভাই, কোথায় ছিলে রাতভর?
কোনো জবাব দিলনা বিশাল। উপেক্ষা করল সৌমিক কে। কথা শুনে সৌমিকের মা রান্নাঘর থেকে এসে দেখলেন বিশাল হাবাগোবার মতো দাঁড়িয়ে আছে। এগিয়ে গিয়ে সজোরে চড় মেরে জিজ্ঞেস করলেন,
-হারামজাদা কোথায় ছিলি কাল? তোর যে বিয়ে ছিল কাল সেটা মনে ছিলনা? হারামজাদা তোর জীবন গুছিয়ে দেব বলে এতকিছুর মুখোমুখি হতে হলো আমাকে আর তুই মদ, গাঁজা খেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াস!
বিশাল চুপ। চড়ের আঘাত যেন তার গায়েই লাগেনি। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বিশালের মা বলল,
– তোর জন্য তোর ছোট ভাইকে তোর জন্য পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করতে হয়েছে। এখন যা তোর রুমে। বউমা সেখানে আছে। তাঁকে গিয়ে বলবি তুই আজ থেকে তার স্বামী আর সে তোর স্ত্রী।
সৌমিক বাঁধা দিয়ে বলল,
– মা কি বলছো এসব? ভাবী এতে রাজি হবে না!
মা রেগে গিয়ে বললেন,
– তুই চুপ কর। আমি নিয়ে যাচ্ছি বিশালকে। সে কিভাবে রাজি হয়না আমি দেখবো।
বিশালের মা বিশালকে নিয়ে গেলেন রুমে। সৌমিক গেল পিছনে পিছনে। অহনা বিশালকে দেখে ভীষণ অবাক।
– বউমা, যা হবার হয়ে গেছে। এখন থেকে এইসব নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। আজ থেকে বিশাল তোমার স্বামী। তাকে নিয়েই তোমার সংসার।
সৌমিকের মায়ের কথায় অহনা ভীষণ জোরে ধাক্কা অনুভব করলো। সে কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে পারবেনা।
– কি বলছেন আপনি এসব? আমাকে এমন ছেলের সাথে সংসার করতে বলেছেন যার সাথে আমার বিয়েই হয়নি! অসম্ভব..!
– কি অসম্ভব? আমার বিশালের জন্যই তো তোমাকে পছন্দ করা হয়েছিল তাইনা?
-তাতে কি? আমার বিয়ে তো আপনার বড় ছেলের সাথে হয়নি তাইনা। হয়েছে আপনার ছোট ছেলের সাথে…
– বলতে কি চাও তুমি? তোমাকে আমার ছোট ছেলের বউ করে রাখবো? অসম্ভব..
– আমি চাইনা আপনার ছোট ছেলের বউ হয়ে থাকতে। আমি চলে যাবো আমার বাবার বাড়ি সবকিছু ছেড়ে। আপনার ছোট ছেলে যখন আমার মাথায় পবিত্র সিঁদুর দিয়েছে তাহলে তাকে বলুন সেটা নিজের হাতে মুছে দিতে।
মা সৌমিকের দিকে তাকিয়ে বললেন,
-সৌমিক, এক্ষুনি মুছে দে তার সিঁদুর।
সৌমিক তার মাকে বোঝালো,
– মা, তুমি শান্ত হও। আমি বোঝাচ্ছি ভাবীকে। এখন ভাইয়াকে নিয়ে তুমি এখান থেকে যাও প্লিজ।
-তোর কথায় এই মেয়ে বুঝবে না। আমি শায়েস্তা করছি মেয়েটাকে সর…
– মা কি আবোলতাবোল বলছ? আমি বললাম তো কাল সকাল হতেই আমি সবকিছু ঠিক করে দিব। তুমি ভাইয়াকে নিয়ে আমার ঘরে শুইয়ে দাও, অনেক রাত হয়েছে।
সৌমিকের কথায় তার মা রাজি হলো। পুরো বিষয় টা বিশাল দেখলো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিন্তু সে যে কিছু বলবে এই অবস্থায় সে এখন নেই। বিশালকে তার মা নিয়ে গেল সৌমিকের রুমে। তাকে শুইয়ে দিল। এদিকে অহনা সৌমিকের আচরণে বরাবরের মতোই সন্তুষ্ট, আকর্ষিত। কিন্তু অবাকও বটে। কেন সৌমিক তার হয়ে কথা বলছে? যদিও সৌমিক এর কারণ টা বলেছে। কিন্তু অহনার মন যেন অন্য কোনো কারণ খুঁজে বেড়াচ্ছে। অহনা সৌমিক কে জিজ্ঞেস করলো,
– সৌমিক, সকালে কি সমাধান টা দেয়ার কথা বললে তুমি?
সৌমিক অনেক ভেবেচিন্তে বলল,
– সেটা তো জানিনা কিন্তু কিছু একটা ভাববো। ভেবে বের করব।
অহনা একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল,
– আমি জানি এর সমাধান কি!
সৌমিক অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-কি সমাধান?
– আমি সকাল হতেই চলে যাবো আমার বাবার বাড়ি। তোমার মা চাচ্ছেন তোমার বড় ভাইয়ের সাথে সংসার করতে যেটা আমার জন্য অসম্ভব। একদম অসম্ভব। আর আমি চাইনা তুমিও আর ঘাঁটাও এসব। তাই আমি চলে যাবো এ ঘর ছেড়ে।
সৌমিক হঠাৎ এমন কথায় ভীষণ অবাক।
– এটা কি বলছেন? আপনার বাবার কথা, মায়ের কথা আর ছোট বোনের কথা ভেবেছেন? তাদের যে পরিমাণে অপমান হবে সেটা ধারণা করতে পারেন আপনি? আর আপনিও এ সমাজে সুখে থাকতে পারবেন না। লোকে বলবে চরিত্র খারাপ বলে শ্বশুর শাশুড়ী তাড়িয়ে দিয়েছে !
– কি লাভ ভেবে? তাঁরা তো এইসব ভাবেনি! কিন্তু তুমি আমার কেউ না হয়ে এতকিছু ভাবছো! আমি যদি এইসব নিয়ে টানাটানি করি তাহলে তাহলে তুমিও তো বদনাম হবে! তাই আমার চলে যাওয়াটাই ভালো।
– না, আপনি যাবেন না। এখানেই থাকবেন।
– এখানেই থাকবো মানে? তুমিও চাও তোমার ভাইয়ের সাথে সংসার করব?
– না।
-তাহলে?
-সেটা আমি সকালে দেখব। আপনি শুধু আমার উপর বিশ্বাস রাখেন।
সৌমিকের উপর আস্থা রেখে সকালের সূর্যোদয়ের অপেক্ষা অধীর আগ্রহে করতে লাগলো অহনা। কাঙ্ক্ষিত সকালটা তার নিয়মমাফিক সময়ে উপস্থিত হল। অহনাকে সাথে করে সৌমিক তার বাবা মায়ের সম্মুখে হাজির হল।
– মা, আমি একটা সমাধান বের করেছি। এতে আপনার, অহনার এবং আমার সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
সৌমিকের দিকে তাকিয়ে তার মা আগ্রহের সহিত বললেন, বউমা তাহলে বিশালকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি!
– না মা। বিয়েটা যেহেতু আমি করেছি তাহলে আজ থেকে উনি আমার স্ত্রী। আইন এবং ধর্ম দুটোই একি কথা বলে। বিয়ে আমার সাথে হয়েছে তাই উনি আমার স্ত্রী।
– কি বলছিস তুই? তোর ভাইয়ের বউকে নিজের বউ করবি?
– ভাইয়ার বউ! কোন হিসেবে বলছ মা? বিয়েটা ভাইয়ের সাথে হয়নি আমার সাথে হয়েছে। তাই উনি তো আমার বউ তাইনা?
– মনে রাখ সৌমিক অহনাকে বিশালের জন্য পছন্দ করা হয়েছে। অহনার উপর বিশালের অধিকার।
– কোথায় ছিল বিশাল ভাইয়া যখন তার বিয়ে উনার সাথে হওয়ার কথা ছিল? এখন তাঁর অধিকার হয়ে গেল? লজ্জা হয় না তাঁর?
অহনা একপাশে দাঁড়িয়ে সব তামাশা দেখছে। কিভাবে তাকে নিয়ে তামাশা করা হচ্ছে সেটা দেখছে। সে যেন কোনো বস্তু এবং যে তাকে ক্রয় করেছে তার কাছেই তাকে যেতে হবে। ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেলো অহনার। রাগে, অভিমানে অহনা বলল, সৌমিক, কি বলছ তুমি? আমি তোমাকে কখনো ঐ নজরে দেখিনি! আমি গরীব ঘরের মেয়ে হতে পারি কিন্তু আমাকে কোনো বস্তু মনে করোনা যে তোমার মা বলবে বড় ভাইয়ের সাথে সংসার করতে আর তুমি বলবে তোমার বউ হয়ে থাকতে। নারী বলে এতোটা দুর্বল, এতটা আত্মসম্মানহীন ভেবনা। আমি ভেবেছিলাম তুমি অন্তত আমাকে বুঝতে পারবে। কিন্তু তোমরা তো পুরুষ, নারীর দুঃখ, কষ্ট, সম্মান তোমরা কি জানো! অনেক হয়েছে সৌমিক আমাকে আমার অবস্থায় ছেড়ে দাও। গরীবদের কপালে সুখ থাকেনা। তাঁরা পৃথিবীতে আসে দুংখ ভোগার জন্য, কষ্ট সহ্য করার জন্য। আমি আজই চলে যাবো আমার বাড়িতে। যদি সেখানেও আমার জায়গা না হয় তাহলে হয়তো কোথাও ডুবে মরে যাবো…..
.
.
চলবে…..