ভুলবশত♥ PART_14

ভুলবশত♥
PART_14
FABIYAH_MOMO

🥀♥
আষাঢ়ের ঝুম বৃষ্টির কবলে ফেসে আছে পুরো ঢাকা শহর। ধানমন্ডির পুরো এলাকা বৃষ্টির পানিতে হাহাকার। আমাদের বাসার সামনের গলিতে একহাটু পরিমান পানি জমলেও তা উপেক্ষা করে আমাদের বাসায় এসেছে ইফরা। ইফরার হাটু সমান পায়জামা ভিজলে তা এখন ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে এসেছে। আমি বিছানায় চায়ের কাপ নিয়ে চা খাচ্ছি। ইফরা চা খাচ্ছে পিরিচে ঢেলে। এটা ওর একটা বদঅভ্যাস। দিনদিন মেয়েটা শুকিয়ে যাচ্ছে, শুধু সাগ্রতের কথা ভেবে। এদিকে সাগ্রত লাপাত্তা। ‘গায়েবী মানুষ’ বলে কোনো কথা থাকলে সেটা সাগ্রতের জন্য প্রযোজ্য হতো। সাগ্রত ঠিক গায়েব হয়ে গেছে। হয়তো বা গায়েব না হয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে। ও একবার মুখ ফুটে বলেছিলো, ‘স্নেহময়ী আমি নিজের আসল বেশভূষায় শুধু তোমার সামনে এসেছি, আমায় নাকোচ করলে হারিয়ে যাবো, খুজলেও একবিন্দু খোঁজ পাবেনা!!’ কথাটা মেসেজে বলেছিলো। কোনো একদিন রাতের গভীরে মেসেজ দিয়েছিলো। আমি আর রিপ্লায় দেইনি। ইফরা আজ আমার বাসায় সেজেগুজে সাগ্রতকে দেখতে এসেছে। কিন্তু আফসোস! ঘন্টা তিনেক আগে সে জানতে পেরেছে সাগ্রত চলে গেছে।। একেবারের জন্য চলে গেছে।। ইফরা আমায় দেখতে আসেনি। আমি যে দীর্ঘ একসপ্তাহ বিছানায় শুয়ে শুয়ে রেস্টে আছি তা আর চোখে পড়লো না ওর। আমার ঘাড়ের আঘাতে ইফরার টনক কিন্ঞ্চিত কাপলো না। ইফরা সাগ্রতের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে নাকানিচুবানি খাচ্ছে। ব্যাপারটা বোঝা আর বাকি রইলোনা।। ইফরা পিরিচে চায়ের চুমুক লাগিয়ে জানালার বাইরে তাকিয়ে বললো-

–স্নেহা? একটা কথা শুনবি? সত্যি করে বলবি প্লিজ?

চমকে উঠলাম! চা খেতে গিয়ে উষ্ণ ঢোকে বিষম খেলাম আমি। ইফরা কোন্ সত্যের টানাপোড়নে আমাকে ফাসিয়ে প্রশ্ন করবে!!জানা নেই! ইফরা যেমন মজার মানুষ, তেমনি পাষাণের চেয়েও কঠিন কিছু। ইফরা গম্ভীর মুখে চা পিরিচে ঢেলে চায়ের শেষটুকু চুমুকে খেলো। আমার চা খাওয়া তখনো আটকে আছে, একপানে ইফরার দিকে তাকিয়ে আছি। ইফরা বিছানায় চায়ের কাপটা পিরিচের উপর রাখতেই বলে উঠলো-

–ব্যাচেলার কি তোকে ভালোবাসে? সত্যি করে বলবি! মিথ্যা আমার সহ্য না। সত্য কথা বলিস স্নেহা!

জিভ দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে নিলাম। উত্তর গুছিয়ে ইফরার দিকে বলতে পারছি না। অন্য সময় দিব্যি বকবক করে বলে দিতাম। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাবে না-সূচক বললে ইফরার মন শান্ত হলেও আমার মন অস্থিরতায় ভুগবে। খাওয়া-দাওয়া করতে অস্বস্তি হবে।গোসলে দেরি হবে। মোটামুটি আমি অস্বস্তিকর দোটানায় রাত-দিন পার করবো। বড় ঝামেলায় আমি ডিপ্রেসনে ভুগবো!! ইফরা আমার চিন্তার ভুবনে ছিদ্র করে আরো গম্ভীর মুখে বলে উঠলো-

–স্নেহা তুই চুপ থাকবি? চুপ হ্যাঁ-য়ের সম্মতি! মেনে নিবো? কিছু বলবি? বানোয়াট কথা বলার চেষ্টাও করবি না বলছি!

ইফরা আমাকে জেরা করে প্রশ্ন আদায়ের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। আমি হচ্ছি রিমান্ডে যাওয়া ডলা খাওয়ার আসামী। যে কোনো মূহুর্তে ইফরা নামক হবু সিআইডির মেয়ে দিবে এক ডলানি! আমি উপুড় হয়ে কতক্ষন বমিটমি করবো! তারপর জ্ঞান হারিয়ে দুদিন স্যালাইনের উপর থাকবো। ইফরা আমাকে চড় মারলো! সাথেসাথেই নানা চিন্তার বুনিয়াদ উবে গেলো। আমি গাল ধরে কপাল কুচকে ইফরার দিকে তাকিয়ে আছি, ইফরা আমায় আঙুল উচিয়ে সাবধানী ভঙ্গিতে বলে উঠলো-

–দেখ স্নেহা মাথা গরম করবি না! সোজা কথা জিজ্ঞেস করছি তুই সোজাসাপ্টা উত্তর দিবি! সাগ্রত তোকে ভালোবাসে? হ্যাঁ বা না !
–না….
–ও কেনো এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ? কোথায় গেলো সাগ্রত? সাগ্রত হুট করে বাসা ছেড়ে দিলো কেন?
–তুই আমাকে কেন প্রশ্ন করছিস! আমি কি ওর বউ! নাকি পার্সনাল চামচা! সমস্যা কি তোর ইফরা! মাথার ব্রেন কি নষ্ট হয়ে গেছে! পাগল হয়ে গেছিস!
–হ্যা আমার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে! হ্যাঁ আমি পাগল হয়ে গেছি! তুই তো জানতি আমি ব্যাচলারকে নিয়ে কতটা ডিসপ্যারেট! কি?তুই জানতি না??
–হ্যা জানতাম। বাট আমি এখানে কি করবো? আমি তো ওর ব্যাপারে জানার ট্রায় করিনি। জাস্ট জানি যে সাগ্রত তার খালার সাথে আমাদের ফ্ল্যাটে ভাড়ায় এসেছিলো….এছাড়া আমি কিচ্ছু জানি না।। বিশ্বাস কর ইফরা!
ইফরা স্বাভাবিক হয়ে জানালার দিকে তাকালো। থাই গ্লাসটা বৃষ্টির পানিতে ঝাপসা হয়ে স্বচ্ছ হচ্ছে। এ যেন ভুবন ভুলানো খেলা। ইফরা স্বর নামিয়ে বলে উঠলো-

–আচ্ছা, বিশ্বাস করলাম। এখন বল, তুই ঘাড়ে ব্যথা পেলি কি করে?তোর ফুপি এটা কেন বললো তোকে সাগ্রত হসপিটালে নিয়ে গেছে! তুই সাগ্রতের ফ্ল্যাটে না থাকলে সাগ্রত জানলো কি করে তুই ব্যাথা পেয়েছিস! তোর ফুপি তো বাসায় ছিলো না!
–দদোস্ত ততুই এএমন পপেচিয়ে ককথা ককেন বলছছিস…
–তাহলে তুই তোতলানো ভাষায় কথা কেন বলছিস! প্লিজ স্নেহা! মিথ্যা বলিস না! সাগ্রত জানলো কি করে বল!
–প্রমিস কর! তুই আমায় ভুল বুঝবি না!
–প্রমিস!
–সাগ্রত আমায় ভালোবাসে। আমি ওকে ভালোবাসি না। ও একটা খুনি! মানুষ খুন করে! ও ভালো না! ও আমাকেও মারতে এসেছিলো কিন্তু আমার মায়ায় পড়ে ভালোবেসেছে।। জানিস! তাশরীফ সাগ্রত আমার মামার পাঠানো লোক! মামা পাঠিয়েছে!!
ইফরা আমার কথায় শতগুণ অবাক হলো। চোয়াল ঝুলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ইফরার জন্য সাগ্রতের পরিচয়টা আইলার মতো! বিশালাকারে জলোচ্ছাস ছুটিয়ে ভেঙেচুরে সব লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে। ইফরা অবাকের দৃষ্টিতে স্বর নরম করে থেমে থেমে বললো-

–তাহলে…সাগ্রত…কিলার..
–হ্যাঁ ইফু! ও একটা সিরিয়াল কিলার! টাকার বিনিময়ে মানুষ মারার কন্টাক্ট সাইন করে! ইফু প্লিজ আমায় ভুল বুঝিস না! আমিও রিসেন্ট জেনেছি তাই তোকে জানানোর স্কোপ পাইনি!!
–স্নেহু…তুই জানলি কি করে তোর মামাই সাগ্রতকে পাঠিয়েছে?অন্যকেউ তো হতে পারতো…
–নাহ্ ইফু! আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিউর!আর একমাত্র মামাই একজন মানুষ যে কিনা আমাকে জন্ম থেকেই দেখতে পারেনা! মায়ের সব সম্পত্তি আমার নামে চলে এসেছে! মামা আমাকে আগেও মারার জন্য নানা কৌশল খাটিয়েছে! আমি প্রকৃতিগত কারনে বেচে গেছি! পুকুরে ফেলে দিয়েছে, এলাকার মানুষ বাচিয়েছে! শরবতে বিষ মিশিয়েছে, গ্লাস হাত থেকে পড়ে গেছে, শবরত চেখে বাড়ির কুকুর মারা গেছে! গুন্ডা পাঠিয়ে সাফা আপু আর আমাকে ক্যাম্পাসের বাইরে ধর্ষনের হুমকি দিয়েছে!
–এমনও হতে পারে তোর মামা না ! অন্যকেউ তোর মামার উপর দোষ দেখিয়ে কাজ করছে!!
–নাহ্ রে ইফু!! মামাই!! বাবা মারা যাওয়ার আগে আমাকে মামার ব্যাপারে হুশিয়ার করে গিয়েছিলো!! আমি তখন নাবালিকা ছিলাম! সম্পত্তি আমার নামে আসার প্রসেসিং চলছিলো!! তখনও মামা প্রতিদিন নানা কাহিনি রটাতো! কিন্তু দিনশেষে ব্যর্থ হতো!!
–সাগ্রত কি তোর মামার কথা মুখে শিকার করেছে?
–মনে পড়ছে না ইয়ার….
–একটা কথা বলি স্নেহা? আমার কেন জানি মন বলছে সাগ্রত তোকে এখনো অবজার্ভ করছে!! তুই কি কোনো জবাব দিয়েছিলি?
–উহু…দেইনি। আমি ওকে ভালোবাসি না দোস্ত! প্লিজ ওর ম্যাটার ক্লোজ কর! আমি ওর ব্যাপারে আর একটা কথাও শুনতে চাইনা!

.
.

রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে আমার বিছানা ঝেড়ে বালিশ ঠিক করছিলাম। হঠাৎ কেউ পেছন থেকে বলে উঠলো-

–মা রে সাফার কোনো খোঁজ পেয়েছিস রে? তোর বোনটার কোনো খবর আসছে?
আমি কন্ঠ পেয়ে পেছন ঘুরে তাকিয়ে দেখি ফুপি দরজা ধরে দাড়িয়ে আছেন। চোখে মুখে বিষন্ন ভাব। সাফা আপুর কোনো খবর তো পাওয়া যাচ্ছে না। কি করে বলি? দেশের পুলিশের তো ঠিক-ঠিকানা নেই।। তারা চেয়ারে বসে সিগারেট টানতে ব্যস্ত। আপুর মিসিং রিপোর্টে কাজ কি করবে?? আমি কাথাটা বালিশের নিচে রেখে ফুপির কাছে গেলাম। উনার কাধে হাত রেখে অভয় দেওয়া কন্ঠে বলে উঠলাম-

–সাফা আপুর খোঁজ পাওয়া যাবে ফুপি। আমি তো এখনো আছি। টেনশন করলে চলবে? আপু তো আমায় বকবে!! টেনশন ঝেড়ে ফেলো ফুপি…কেমন??

ফুপি মাথা নিচু করে নেতিয়ে গেলেন। উনার রুমের দিকে আনমনে যাত্রা করলেন। আমি জানালার পর্দা টেনে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। খট করে রুমের মধ্যে একটা শব্দ হলো। আমি উঠে বসলাম। অন্ধকার রুমে লাইট জ্বালিয়ে তন্নতন্ন করে শব্দ খোজার চেষ্টা করলাম কিন্তু কিছুই মেললো না! আমি ঘুমানোর জন্য মন স্থির করলেও ঘুমাতে পারছি না। টেবিলের উপর থেকে আমার সেলফোনটা নিলাম। বিছানায় শুয়ে ফোন অন করতেই একগাদা মেসেজের টিউন বেজে উঠলো। মেসেজগুলো যে সিম কোম্পানির ডাসা ডাসা অফারের মেসেজ হতে পারে —অভিজ্ঞতায় বলতে পারছি। তবুও একবার চেক করে মনের খুতখুত দূর করলাম। ফোনের মেসেজ অপশনে ক্লিক করলাম। এয়ারটেলে জিবি কেনার প্যাকেজ অফারের এত্তোগুলা মেসেজ।। সব কটা চেক করতেই শেষের মেসেজ গাঢ় হয়ে চোখ আটকালো!

“কিছু স্বপ্ন থাকে যা কখনো পূর্ণতা পায় না,
কিছু ছন্দ থাকে যা কখনো কবিতা হয়না,
জানি আমার সুর তোমার ছুবে না,
হয়তো রয়ে যাবে তুমি কল্পনায়।।♥”

চারটে লাইনের মেসেজ এসেছে কোনো এক প্রাইভেট নাম্বার থেকে। এই নাম্বার আগেও দেখিনি, কেউ কখনো মেসেজও করেনি। তবুও বেহায়া মন আমার বারবার সাগ্রতের মুখ তুলে দিচ্ছে। মন ইশারা দিচ্ছে, সায় দিচ্ছে, ঠেলে দিচ্ছে আমাকে মেসেজেটা তোকে সাগ্রত পাঠিয়েছে। ফোনের ভেতর মেসেজের বর্ণগুলো বড়ই অদ্ভুত লাগছিলো! মার্ধুয্য মেশানো শব্দ ছিলো। কেন্দ্রীয় স্নায়ু আমাকে বিপরীত আর্কষনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে! বেচেইন মন বেহুদা কাজ করছে। আমার ইচ্ছা করছিলো মেসেজ পেয়ে খুশিতে লাফ দেওয়ার! ব্রেন বলছিলো ফোন আছাড় মারার! পরিশেষে আমি কোনোটাই করিনি। মেসেজের রিপ্লায় আমি আর দেইনি। পূর্বের মতো মেসেজগুলো আর্কাইভ করে রেখে দিয়েছি।।

সূর্যোদয়ের স্নিগ্ধ সময়য়ে ঘুম ভাঙলো আমার। শরীরে টানা দিয়ে ঘুমঘুম চোখে বিছানায় বসলাম। জানালার ফাক ফোকর দিয়ে আলো আসার লুকোচুরি খেলা চলছে। সেই সাথে রুমের অন্ধকারকে দূরীভূত করার প্রয়াস চলছে। বিছানায় দুইহাত রেখে হাতের তালুতে ভর দিয়ে উঠে দাড়ালাম। ফ্লোরে পা রেখে জানালার পর্দা সরিয়ে দিলাম। সকালের মিস্টি আলো আমার মুখমন্ডল জুড়ে পড়লো। ঠান্ডা পরশ বসানো বাতাসে, শরীরে হিম লেগে আসলো। শিরশির করলো শরীর। ঠোটের প্রসারতায় এক চিলতে হাসি ফুটলো আমার। সাড়া জাগালো সকল ইন্দ্রিয় আমার। “দিনের শুরু সূর্যোদয় দেখে করতে হয়, তবে দিন আপনার মঙ্গলকর হয়”…কোনো এক নাম না জানা বইয়ের পাতায় উপদেশ বার্তার সন্ধান পেয়েছি, নতুন দিনের আশায় নিজেকে সূর্যোদয়ের মনোমুগ্ধকর দিনে বিলিয়ে দিয়েছি। চোখ বন্ধ করলাম। লম্বা শ্বাস নিলাম। ঠান্ডা শ্বাস নাসাছিদ্রে ঢুকে বক্ষ পযর্ন্ত পৌছালো! সারা শরীর বিমোহিত করে দিলো। আমি হাসি মাখা কারোর চেহারা দেখতে পেলাম। বদ্ধ চোখে তার পাপড়ি ভর্তি চক্ষুতারা দেখলাম। রেশমী নরম চুলের ঝলমলানি দেখলাম। আমি কাকে কল্পনায় দেখছি এখনো চোখ-মুখ-কান এক করে দেখিছি। শুধু অংশ ভেদে আলাদা আলাদা দেখছি। খানিকটা পর তার তিনটে সৌন্দর্য একীভূত করলাম! আমি কল্পনায় সাগ্রতকে দেখলাম! সে আমার কল্পনায় হাসছে! প্রাণখুলে ত্যাড়াব্যাকা দাতঁ অপূর্ব হাসিতে হাসছে! আচ্ছা তাকে নিয়ে কাব্য রচনা করলে মন্দ হতো? কাব্যিক সাহিত্যিকরা কি এমনি কাউকে ব্যাখ্যা দিতো? তারাও কি সাগ্রতের মতো কাউকে নিয়ে কল্পনার জগত সাজিয়ে জল্পনার ছবি আকতো?? অদ্ভুত সৌন্দর্যে সৌন্দর্যকে সম্মান দেওয়া হতো? সাগ্রত কি সেই সৌন্দর্যের ভাগীদার না? মানুষ খুন করলেও সে অসুন্দরের লিস্টে তালিকাভুক্ত হলো? হঠাৎ কেউ সামনে থেকে আবদ্ধ করে ধরলো! আমার পিঠে দুটি হাতে বন্ধন পেলাম শক্ত! আমি এতোক্ষন স্বাভাবিক কায়দায় শ্বাস নিলেও এখন নাকের ডগায় লাগছে অন্য দেহ! ইন্দ্রিয় আমায় জানান দিচ্ছে ‘ সাগ্রত তোমায় ধরে আছে স্নেহা! তুমি এবার নড়াচড়া করে পালিয়ে যেতে পারবেনা! ‘

চোখ খুলে সব অন্ধকার দেখলাম! সত্যিই আমার পিঠের উপর একজোড়া হাতের অনুভব হচ্ছে! শক্ত করে যে ধরেছে বলাই যাচ্ছে! আমি ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও বরফ বনে কঠোর হয়ে আছি! কেউ তাচ্ছিল্য গলায় হেসে হেসে বললো-

–ওহহো স্নেহময়ী জড়িয়ে প্লিজ ধরো না!! আমি তোমার কাছ থেকে দূরে চলে যাচ্ছি না!! দূরে যাওয়ার পাব্লিক অন্তত আমি সাগ্রত না..!!বুঝলেন???

-চলবে

-Fabiyah_Momo

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here