ভুলবশত♥ PART_06,07

ভুলবশত♥
PART_06,07
FABIYAH_MOMO🍁

বদ্ধ হয়ে আছি। নড়চড় করার ক্ষমতা আমার নেই। কেমন অকেজো হয়ে আছি। কার কাছে হেরে গেলাম। কে হঠাৎ হাত টান দিলো। কে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিলো। আমি দিশেহারা হয়ে অন্ধকারে দেখার চেষ্টা করছি। হাতের ওপর থেকে মনে হলো ভারী কিছু সরে গেল। হাতটা পাতলা পাতলা লাগছে। আগের মতো একশো মণের ন্যায় ভার লাগছে না। ঘুট্ঘুটে অন্ধকারেই কেউ বলে উঠলো-

–তুমি আমার ইগনোর করছো স্নেহময়ী। আমি ইগনোর সহ্য করতে পারিনা। কেউ আমাকে ইগনোর করলে শরীর ফেটে যায়। প্লিজ ইগনোর করবে না!

কন্ঠ চিনতে সময় লাগলো না। সাগ্রত ছাড়া কেউ ছিলো না। কিন্তু সে আমায় উদ্ভট কথা কেন শুনাবে ভেবে পাচ্ছিনা। কোনো ছেলে এভাবে অন্ধকারে টেনে নিয়ে অসৎকর্ম সাধন করে। সে কি আমায় ক্ষতি করবে? মতলব কি খুবই বাজে কিছু করার? আমি কিছু বললাম না। আমি অন্ধকারে আশেপাশে হাত লাগিয়ে দেখছি। পেছনে হাত দিতে মনে হলো মেইন দরজা। দরজার নব আলতো করে ঘুরালাম তাও ক্যাচচ্ করে একটা শব্দ হলো। শব্দটা তার কানে পৌছাতেই আমাকে দ্রুত টেনে ধরলো। সাগ্রত সাথেসাথেই বলে উঠলো-

–প্লিজ যাওয়ার চেষ্টা করো না। তুমি ব্যর্থ। এখানে আমি ছাড়া তুমি কারোর কাছে যেতে পারবেনা। তোমার ক্ষতি করতে চাচ্ছিনা প্লিজ কথা শুনো!

সাগ্রত আমার অনেক কাছে। কতটা কাছে থাকলে একটা মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাস ছাড়ার অনুভূতি অনুভব হয়, সাগ্রত আমার ততোই কাছে। ধাক্কা দেওয়ার প্ল্যান থাকলেও সাগ্রত আমার হাত দুটো ওর হাতের মুঠো ভরে ধরেছে।
–আমাকে ধাক্কা দিবে না স্নেহময়ী। আমি ওতো খারাপ ছেলে না যতো তুমি আমায় ভাবছো। আমি খুব ভালো ছেলে তাও আবার না। মানুষ মারি। ইউ ক্যান স্যা আ’ম এ্যা ক্রিমিনাল।

পায়ের নিচ থেকে মাটি কাপছে নাকি আমি কাপছি! তা কিছুকাল হতভম্বের মতো থেকে পরোখ্ করতে পারলাম। আমি কাপছি। থরথর করে কনকনে শীতের মতো কাপছি। শুধু দাতে দাত লেগে আসার শব্দ হওয়া বাকি। সাগ্রত হাত ছেড়ে দিলো। আমি একপা নিজের মতো পিছাবো, ও খপ করে অন্ধকারে আবার ডান হাতটা শক্ত করে চেপে ধরলো। সাগ্রত অন্ধকারে যেভাবে কর্ম করছে মনে হচ্ছে তার চোখের দৃষ্টি বিড়ালের মতো। অন্ধকারেও পরিস্কার দেখছে। আমি কোথায় এবং কোন্ লোকেশন তা যদি কেউ অন্ধকারে খুজতে বলে গ্যারান্টি দিলাম সাগ্রত তাতে পুরোপুরি বিজয়ী হবে! ওর হাতটা ঠান্ডা। ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে নাকি আমার হাত ভয়ের কারনে উষ্ণ ফিল হচ্ছে? উত্তর কোথাও জানা নেই। জানলেও আমি জানি না। সাগ্রত প্রত্যেকটা রুম অন্ধকার করে রেখেছে। টেনে নিয়ে কোনো এক রুমে ঢুকেছে। তার পায়ের সাথে আমার পা মিলিয়ে পিছু পিছু কেন যেনো হেঁটে যাচ্ছি!! কোন্ বিশ্বাসের ঘোরে এগিয়ে যাচ্ছি!! সে তো বড্ড অপরিচিত! আমার কেউ না।হঠাৎ আমার কাধে হালকা ধাক্কা অনুভব হলো। সাগ্রত আমায় ঠেলে বিছানায় বসালো।

–স্নেহময়ী ভয় পেও না। আমায় বিলিভ করো আমি কোনো ক্ষতি করবো না। আমি ক্ষতি করলে অনেক আগেই করতে পারতাম। অপেক্ষা করতাম না।
–তুমি কিসের কথা বলছো? কিসের অপেক্ষা? আমি তোমায় চিনি? যতটুকু মনে আছে আমার পরিবারের কেউ নেই। ফুপি ছাড়া নানীবাড়ি ত্যাজ্য! তুমি কে? কোত্থেকে আগমন করেছো?
–বলবো। বলার জন্য এসেছি। বলে চলে যাবো।
–রুমের লাইট জ্বালান! অসভ্যতা করার ইচ্ছা থাকলে মনের মধ্যে ছাই ঘষে নিন। আমার সাথে লুচ্চামি করার সাহস করবেন না!
সাগ্রতের কন্ঠে হাসির সুরটা জোরে পেলাম। ও হাসছে। কেন হাসছে? ভালোবেসেছে? ভালোবাসার মানুষের কাছে মানুষ সুন্দর করে হাসে, তাই নাকি? ও কেন ওভাবে হাসবে? আমি ওর কে?কোলের উপর রাখা হাতজোড়ার উপর ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেলাম। ধীরে ধীরে পাচটি করে দুহাতের আঙ্গুল দিয়ে আমার হাতজোড়া জড়িয়ে ধরলো। শিরশিরিয়ে উঠলো শরীর। কেমন অদ্ভুত অনুভুতি!! সিয়াম একবার তালবাহানায় আমায় হাত ছুয়ে ধরেছিলো, কই এমন তো হয়নি!! গা শিরশিরিয়ে আসেনি!! সিয়ামকে ভয়াবহ কথা শুনিয়ে গালাগাল করলেও সাগ্রতকে কেন পারছিনা? সাগ্রত ফ্লোরে বসে আমার হাত চেপে আছে। আমি বিছানায় নির্বিকার মতো বসে আছি। ও নরম কন্ঠে হেসে হেসে বলে উঠলো-

–তুমি আমায় বেশ ভালোই বিশ্বাস করো।টেনে ধরে নিজের অন্ধকার বিছানায় বসিয়ে রেখেছি একটাবারো চিৎকার করোনি।

আসলেই ঠিকতো! আমি কেন বোবার মতো বসে আছি! কথা কি জানি না নাকি! আশ্চর্য আমি মানুষকে আপত্তিকর কথা শুনিয়ে আসি হন্তদন্তে বুক ফুলিয়ে আসি! সেই আমি কিনা বোবা সেজে বসে আছি। অপরিচিত কোনো ছেলেকে কিনা কিন্ঞ্চিত কিছু বলছিনা। সাগ্রত কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠলো-

–প্রথম থেকেই বলা উচিত স্নেহময়ী। আমার এপেনডিক্সের অপারেশনটা হেতু ছিলো না। আমার সিরিয়াসলি পেইন উঠেছিলো। ডক্টর তোমায় স্টিচ নিয়ে কি কি বলতে পারে আমি কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছি। তুমি বাইরে যাওয়া কমিয়ে দিও। বিপদ কোনদিক্ থেকে আসবে বলতেও পারবেনা।

আমি কোনো কথাই বলতে পারছিনা। সাগ্রত আমায় সর্তক করছে নাকি হুমকি দিচ্ছে আলাদা করে বোঝা মুশকিল। কিন্তু ও আমায় কথাগুলো কেন বলছে আমি জিজ্ঞেস করলেও জবাব পাবো না।।।

.
.

রাত আড়াইটা। দুচোখে ঘুমের অভাব। কপালে কবজি বসিয়ে আনচান মনে বহু কিছু ভাবছি। সাগ্রতের বাসা থেকে রুমে আসার পর রাতের খাওয়া গলা দিয়ে নামেনি। খালি পেটে শুয়ে আছি। সাগ্রত আমায় পছন্দ করে। সামান্য কথা বলার জন্য ও আমাকে অন্ধকারে ওর ফ্ল্যাটে টেনে নিয়ে যায়। আমি রিজেক্ট করে এসেছি।ওকে নিয়ে ভাবার সময় নেই। আপু কোথায় থাকবেন? কে কিডন্যাপ করলে শান্তি পাবেন? লুকোচুরি সাইলেন্ট লাভার কে হতে পারে? সাগ্রত আমায় বাইরে বের হওয়া নিয়ে অধ্যাদেশ জারি করলো কেন? মাথার মধ্যে আরো কতো প্যাঁচ ঘুরছে!! চিন্তা হচ্ছে!! অশান্তি লাগছে!! হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো। ড্রিম লাইটের সবুজ আলোয় ফোনটা বালিশের নিচ থেকে নিলাম। নাম্বার চিনি না। রিসিভ করবো করবো করে খুশখুশ করলেও একপর্যায়ে রিসিভ করে ফোন কানে নেই। ঘুমঘুম চোখে কেউ বলে উঠলো-

–ঘুমাও না কেন? চোখে ডার্ক সার্কেল পড়ে যাবে স্নেহময়ী!
ওর কথা শুনতেই আমি শোয়া থেকে উঠে বসে রুমের চারিদিকে তাকাই। কোথাও জানালা বা দরজা খোলা নেই। সাগ্রত আমার ঘুমের ব্যাপারে জানলো কি করে! আমি ঝাঝালো সুরে বলে উঠলাম-

–সাগ্রত! তুমি কল করেছো! সাহস কত্তো বড় এতো রাতে আমায় কল করেছো!
–আমার সাহস ছোট থেকেই একটু বেশি। নট এ্যা মেজর ইন্সিডেন্ট! তোমায় ঘুমাচ্ছো না কেন? কি কাজ তোমার রাতে?
–লজ্জাহীন! থার্ড ক্লাস! ফালতু! বেশশরম!আমি তোমার কে হই! কেন তোমায় কৈফিয়ত দিতে যাবো!
–সরি স্নেহময়ী আমি সিরিয়াসলি ওভাবে বলতে চাইনি। কৈফিয়ত চাইনি। সিম্পলি আস্কিং।
–আমি আগেই বলেছি আমি তোমাকে পছন্দ করি না! আমায় নিয়ে কাহিনি করবে না সাগ্রত!
–উফ্…ওয়ান্স মোর! স্নেহময়ী প্লিজ ওয়ান্স মোর! তোমার মুখে আমার নাম শুনলে কতটা পিসফুল লাগে আই কান্ট স্যা!!
–পাগল তুমি? সেন্স অফ হিউমার কাজ করেনা?
–মেবি নো। সেন্স অফ হিউমার স্নেহার কাছে হার মানে।
–তুমি আমায় বিরক্ত করছো! কল করবে না আমায়! আর কি যেন বলেছিলে তোমার বাসায়? আমি বাইরে যাবো না? আমি আরো বেশি যাবো! দেখি কে আটকায় আমাকে!
–স্নেহময়ী বিলিভ করো! বাইরে তোমাকে এমনে এমনেই যেতে বারন করিনি! অবশ্যই কারন দর্শিয়ে তোমায় যেতে মানা করছি। প্লিজ কথা শুনো!
–আমি কিন্তু ফুপির কাছে বিচার দিবো!
–হাহা…তোমার ফুপি তোমার কথা শোনার জন্য বসে আছে? ওই মহিলা নিজে পারলে এক্ষুনি আমার কাছে তোমায় গছিয়ে দিয়ে যাবে।
–তুমি জানলে কি করে? কে বলেছে এসব? কে তুমি?
–এতো প্রশ্ন করা যাবে না। আমি কে তা তোমাকে জানতে দিবো না। এইটুকু শুনে রাখ। আমি তোমায় পছন্দ করি! তোমাকে পেতে খুনখারাবিও করতে পারি! আই সয়ার!স্নেহময়ী!!

-চলবে🍁

-Fabiyah_Momo🍁

#ভুলবশত♥
#PART_07
#FABIYAH_MOMO🍁

সকাল আটটা। সোনালী রোদের ঝিকিমিকি আলোয় ছাদে মাদুর পেতে বসে আছি। ঠান্ডা হিম জাগানো বাতাস। কোলে ফোন রাখা। মাথায় সাগ্রতের বলা কথাগুলোর টানাপোড়েন হচ্ছে। আমি কিছুতেই কিছু ভাবতে পারছিনা। বুঝতে পারছিনা। আপুকে কে কিডন্যাপ করে তুলে নিয়ে যাবে কোনো ক্লু খুজে পাচ্ছিনা। হঠাৎ ফোনটা বিশ্রী রিংটোনে বাজতে শুরু করলো। “ধরবো না” বলে ইচ্ছা থাকলেও সাফা আপুর বিষয়ে কোনো নিউজ আসে নাকি তাই ধরলাম। সিয়াম কল করেছে।

–হ্যা দোস্ত বল,
–জানু ঘুম থেকে উঠে গেছিস? আমি ভেবেছি তুই এখনো উপুত হয়ে ঘুমিয়ে থাকবি!!
–আমায় “জানুটানু” ডাকবিনা সিয়াম! আমি তোর গফ না!
–উহু জানু চেতিস কেন? গায়ে কি পড়েছিস?
–কেন? তুই জানতে চাচ্ছিস কোন্ সুখে?
–সুখ আবার কি? এমনেই জিজ্ঞেস করলাম। ভাবলাম তুই শীতের চাদর গায়ে দিয়ে বসে আছিস কিনা!!
–গ্রীষ্মের দিনে শীত কোত্থেকে প্রকট হবে সিয়াম? তুই কেমন আজগুবি কথা বলছিস?
–কিছু না কিছুনা!!আচ্ছা রাতে ঘুমাস কয়টায়?
–তুই জেনে কি করবি?
–আরে বল না!!
–কাল রাতে তিনটার পর ঘুমিয়েছি।
–ওহ্ আচ্ছা আচ্ছা।। রাতে যে গরম পড়ে উলঙ্গ হয়ে ঘুমালে শান্তি লাগে। তা রাতে কি পড়েছিলি? যে গরম রে বাবা!! কিরে চুপ করে আছিস? বললি না??
–….সালোয়ার, কামিজ।
–ওহহো।।।….শর্ট নাইটি পড়িসনি…
সিয়াম শেষ কথাটা নিচু গলায় বললো। খুব ইচ্ছা ছিলো স্নেহার মুখ থেকে নাইটি শব্দটা শুনার। কামুক মনে বাসনা মিটানোর। তা আর হলো না। মনে মনে স্নেহাকে নিয়ে খারাপ দৃশ্য অঙ্কন করা হলো না।

–জানু কি করিস?
–সিয়াম !
–আহা, রাগারাগী করিস না তো। সাফা আপুর কোনো নিউজ আমি পাইনি। পাইলে জানাবো।
–তাহলে রাখি। পরে কথা বলবো।

সিয়াম স্নেহার সাথে অসৎকর্ম সাধনের উছিলায় সুযোগের সন্ধানে বসে আছে। স্নেহা জানে না তার “ভালোবন্ধু” নামক ছেলেটি এক নাম্বার বজ্জাত কোয়ালিটির। মেয়েদের সামনে ভালো মানুষীর মুখোশ পড়ে ক্ষতি করার মতলবে থাকে বন্ধু নামক মানুষটি। একদিন সেই সুযোগ পেলে হাত মারতে টাইম গুণে না সিয়াম। বড়ই নিচু মানসিকতার ছেলে সিয়াম।

ছাদ থেকে নিজের রুমে চলে আসলাম। সকালের নাস্তা আজ কারোর গলা দিয়ে নামবেনা। সাফা আপুর খোঁজ না পাওয়া পযর্ন্ত ফুপির কান্নাকাটি কমবেনা। উনি সাফা আপুর রুমে বিছানায় বসে কাদছে। দরজা থেকে উনার অবস্থা দেখে আমার রুমে চলে আসলাম। বিছানায় আধশোয়া হয়ে বসে, পাশে ফোন রাখলাম। পিঠের পিছনে বালিশ রেখে হেলান দিয়ে বসলাম। চোখ বন্ধ করে নিলাম। কিছুক্ষণ পর চোখের সামনে ঘোলাটে কিছু দেখছি। খুব ঘোলা ঘোলা। হালকা অন্ধকারের মধ্যে ঝাপসা। যাকে বলে, VISUAL EFFTECTS. আমি দেখলাম, কেউ কালো শার্ট পড়ে উচু জায়গায় দাড়িয়ে আছে। শার্ট ঘামে ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছে। সে আমার দিকে তাকিয়ে চাপাকষ্টে হাসছে। আমি আরেকটু পরিস্কার দেখার চেষ্টা করছি। তার চেহারা ঝাপসা। বুঝতে পারছিনা। দেখতে পারছিনা। শুধু দেখছি ঠোঁটজোড়া।…ঠোঁটের উপর ঠোঁট চেপে মলিন হাসিতে হাসছে। চুলগুলো খাড়াখাড়া হয়ে আছে। কপাশের দুইপাশ থেকে কানের সাইডে ঘাম ঝড়ছে। কি সাংঘাতিক! তার শার্ট ঘামে সিক্ত না বরন্ঞ্চ রক্তের স্রোতে সিক্ত হয়ে যাচ্ছে। চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়ছে শার্টের নিচপ্রান্ত থেকে। শার্ট থেকে রক্ত টপটপ করে মাটিতে পড়ছে। তার ফোল্ডেড হাতদুটো কাপছে। বামহাতে কালো রঙের মোটা ডায়ালের বড় জগিং ঘড়ি। হাতদুটো প্রচুর রক্তে মাখামাখি। কাপাকাপা হাতদুটো বুকের কাছে উঠালো। হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করা, বৃদ্ধাঙ্গুল বের করা। বক্ষস্থলের ডানপাশে ও বামপাশে দুইহাতের বৃদ্ধাঙ্গুল দ্বারা দু’বার ছোয়ালো। কি ইশারা করলো আমি বুঝতে পারিনি। আমি বুঝার জন্য ছটফট করছি। এবার হাতদুটো দিয়ে ইংরেজি অক্ষর “C” এর ন্যায় অনেকটা শেপ করলো। দুটো হাতের “C” অক্ষর পাশাপাশি লাগিয়ে দিলো। মাঝে হোলের সৃষ্টি হলো। আমি অনেক বুঝার চেষ্টা করছি। হঠাৎ দেখি তার কপাল থেকে ঘামের পানি লালবর্ন আকারে পড়তে লাগলো। স্বচ্ছ ঘামের পানির রঙ ভয়ংকর লাল বর্নে ধারন করলো। তার হাত থরথর করে কাপছে। কাপুনি হাতের দ্বিতীয় ইশারা শেষে সে ঘড়িওয়ালা হাত দিয়ে আমার দিকে উঠাতেই কোত্থেকে একটা হুল্কা এসে লাগলো! বুকে বিদ্ধ হয়ে ফেনকি দিয়ে রক্ত ছুটিয়ে দিলো! সে উল্টে পড়ে গেলো। আমি চোখ খুলে ধরফরিয়ে সোজা হয়ে বসলাম। আরেকটু হলে জোরে গলা ফাটিয়ে দিতাম চিৎকার! বিছানা থেকে নেমে টেবিল থেকে পানির গ্লাস নিয়ে ঢকঢক করে গিললাম। অস্থির অস্থির লাগছে। খারাপ লাগছে। কাকে নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখলাম? কেন দেখলাম? দিনের বেলা কেউ দুঃস্বপ্ন দেখে? নাহ্! ভুল দেখেছি! কাল রাতে দেরিতে ঘুমিয়েছি তাই দিনের বেলায় খারাপ স্বপ্ন দেখেছি। হ্যাঁ এটাই হবে। এটাই হবে দেরিতে ঘুমানোর ফল।।

বিকেলে গোসল শেষে বিছানায় বসে চুল শুকাচ্ছি। ফ্যানের বাতাসে চুল না শুকালে আমার ভিজা চুলের কারনে ঠান্ডা লাগবে। আজ ইফরা আসবে। ইফরা হঠাৎ বিনা কারনে কেন আসবে জিজ্ঞেস করিনি। জিজ্ঞেস করলে খারাপ দেখাবে।কেননা, বান্ধুবীর বাসায় আসতে বারন নেই। কিন্তু এতিম বান্ধুবীর ফুপির বাসায় আসলে সমস্যা হয়। নিয়মিত সেই বাসায় আসা যায়না। ইফরা নিচে এসে আমাকে কল করে আনতে যেতে বললো। আমি ইফরাকে নিয়ে উপরে আসলাম। আসার পথে ইফরা একবার সাগ্রতের ফ্ল্যাটের দরজায় তাকালো। দরজা বন্ধ ছিলো। দরজা খোলা থাকলে ইফরা হয়তো খুশিতে পাগল হয়ে যেতো। আর সাগ্রতের যদি একঝলক দেখা মেলতো!তাহলে হয়তো খুশিতে আত্মহারা হয়ে যেতো। কিন্তু খুবই আফসোস কিছুই হলো না। ইফরা আমার রুমে বিছানায় পা তুলে বসলো। আমি টেবিল থেকে জগ নিয়ে গ্লাসে পানি ঢেলে নিচ্ছি। পানির গ্লাস নিয়ে ওর হাতে ধরিয়ে বলে উঠলাম-

–এনি প্রবলেম ইফরা? বিকেলে হুট করে বাসায় চলে আসলি?

আমার কথায় ইফরার টনক নড়লো না। ও যেভাবে বসেছিলো ওভাবেই বসে আছে। আমি অবাক হলাম। ইফরা মুখ গোমড়া করে বসে আছে। নিশ্চয়ই কিছু বড়জোড় ঘটেছে। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম-

–ইফু! কি হয়েছে বলবি? আর কতক্ষণ মৌনব্রত করবি? কেউ বেতন দিচ্ছে মৌন থাকার জন্য ছাগল!

ইফরা অস্থির হয়ে উঠলো যেমন। তাড়াহুড়ো করে একচুমুকে সবটুকু পানি খেয়ে সাবাড় করে দিলো। ঠোঁটের উপর জমা পানির বিন্দু বিন্দু অংশবিশেষ হাত দিয়ে মুছে নিলো। ও বসা থেকে উঠে দাড়ালো। আমি নির্বাক হয়ে ইফরার কীর্তি দেখছি। কি বলবো বলে মনে মনে কথা গুছাচ্ছি। আমি বিছানায় কৌতুহল হয়ে বসলাম। ইফরা জগ থেকে আরেকগ্লাস পানি ঢেলে নিলো। পানির গ্লাস নিয়ে বলে উঠলো-

–বেবি প্লিজ আমি আর ক্রাশ খেতে চাই না! লাভার চাই! বেবি আমি কাল থেকে ঘুমুতে পারছিনা! খেতে পারছিনা। আমি… আমি কেমন অগোছালো হয়ে গেছি বেবি। ব্যাচেলারের নাম কি বেবি? হোয়াটস হিস ফুল নেম?

ইফরার প্রশ্নে ভ্যাবাচেকা হয়ে বসে আছি। মাথার উপর দিয়ে সব ঘূর্ণিপাক হচ্ছে। কি বলছে না বলছে সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। ইফরা হাতে থাকা গ্লাসের পানিটুকু সম্পূর্ণ খেয়ে নিলো। আগের মতো ঠোঁটের উপর পানির হালকা আবরন মুছে ফেললো।আমার পাশে বসলো এবং বিনীত সুরে বলে উঠলো-

–আমার খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, স্যাডিউল সব বিগড়ে গেছে বেবি।। ব্যাচেলারের থুতনির সেই ছোট্ট গর্তের উপর আমার সবকিছু আটকে গেছে। ওর খাড়াখাড়া চুলের উপর আমার প্রবলেম নেই বেবি। ডু সামথিং বেবি প্লিজ!! তুই তো জানিস আমি তোকে ছাড়া আর কাউকে এ বিষয়ে শেয়ার করি না। বেবি হেল্প!
–তুই রিলেশনে আছিস ইফু! রাকিবের সাথে ধোকা দেওয়া হবে কিন্তু! বাজে কথা বলিস না প্লিজ!
–নো বেবি প্লিজ প্লিজ!! বেবি রাকিবকে আমি চাই না। আমি ওর যোগ্য না। রাকিবের সাথে কালরাতে ব্রেকআপ করেছি। আমি ব্যাচেলারকে চাই স্নেহু!
–পাগলামি কথাবার্তা বলিস না ইফু। ওই ছেলের কি দোষ? ও তো তোকে পাগলের মতো লাভ করে। তুই ব্যাচেলারের জন্য ধোকা দিবি? তুই ওই ব্যাচেলারকে চিনিস?
–চিনি না,চিনে নিবো! বাট ওকেই আমার চাই। আমি রাকিবকে ভালোবাসি না। জাস্ট টাইম পাসের জন্য ওকে রেখেছি এটা তুইও জানিস। প্লিজ বেবি ব্যাচেলারকে চাই।
–বললেই হলো? আমি নিজেও ওই ছেলের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড সম্বন্ধে জানি না। কিভাবে তোকে ওর সাথে যাওয়ার জন্য হাত বাড়াই?
–প্লিজ!!
ইফরার কাছে কথা বোঝানো আর দেয়ালে একশোবার মাথা ঠুকানো, ঠিক এক সমান। ইফরা আমার কথা আগেও শুনেনি এখনো শুনবে না। জেদি টাইপের ভয়ঙ্কর মেয়ে।আমি সম্মতির সুরে জোরে শ্বাস ছেড়ে বলে উঠলাম-
–আচ্ছা। তোর যেমন মনে হয় তাই কর। আমি কিছু বলবো না। বাধা দিবো না। হেল্প করবো যা।
–থ্যাংকিউ দিয়ে লজ্জা দিলাম না বেবি। ফ্রেন্ডশিপের মধ্যে “নো থ্যাংকস নো সরি”।। বেবি জানো, ওর পাতলা চিকন ঠোঁট, পাপড়ি ভরা চোখ, বাকা দাতের মুডি ভাব…সবই আমার চোখের সামনে ভাসে। কাল রাত থেকে এখন পযর্ন্ত কতটা ধুকে ধুকে মরছি!!ব্যাচেলারকে একটাবার দেখার জন্য পাগল হয়ে আছি। ওর নাম কি বেবি?
–সাগ্রত। ফুলনেম, তাশরীফ সাগ্রত।

ইফরা মাতালের মতো থেমে থেমে প্রতিটা শব্দ উচ্চারণ করে বলে উঠলো-
–T A S H R I F S H A G R O T O, ওহ্ মাই গড্…আমিতো মরেই যাবো বেব্! হিস নেম ইজ সো কিউট! স্নেহু বেবি আমি আর ক্রাশ চাই না ব্যস! ওকে লাভার হিসেবে চাই। তার জন্য যদি কোটি টাকার বন্ড সাইন করা লাগে তাও করবো! আমি তাশরীফ সাগ্রতকে চাই! বেবি চল!

ইফরা “চল” বলতে দেরি আমার হাত টান মেরে মেইন দরজার কাছে নিয়ে যেতে দেরি করলো না। ও দরজার সিটকিনি খুলছে। ভয়ে আমার বুক ধপাস ধপাস করছে। দরজা খুলার শব্দে যদি ফুপি জেগে যায় তাহলে সর্বনাশ! রুমের দিকে তাকালাম। ফুপির বোধহয় ঘুম ভাঙেনি। উনি উঠে আসেনি। ইফরা সাগ্রতের দরজার সামনে নক করলো। দরজা খুললো না। ইফরা হাত মোচড়াচ্ছে, আমার হাত টেনে বুলিয়ে দিচ্ছে। কেমন উটকো কাজ করছে! মাথার তার সম্ভবত ঢিলে হয়ে গেছে। ইফরা দরজা ধাক্কাতে শুরু করলো। একপর্যায়ে দরজা খুলে দিলো। সাগ্রত চোখ কচলাতে কচলাতে দরজা ঘুমে ঢুলু চোখে বলে উঠলো-

–জ্বী কি প্রয়োজন?
ইফরা ফট করে বলে উঠলো-
–আপনাকে প্রয়োজন! আমরা ভেতরে আসতে চাই! আসতে দিন!
সাগ্রতের চোখ কচলানো থেমে গেল। আমার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকালো। আমি অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে ইফরার পিছনে গেলাম। ইফরা বলে উঠলো-

–আমরা বাড়িওয়ালা। কিছু জরুরী কথা আছে বলেই ভেতরে আসতে চাচ্ছি। আমাদের ভেতরে আসতে দেয়া হোক।

সাগ্রত ইফরার পটরপটর কথার বুলি একদম সহ্য করতে পারছেনা। ইচ্ছা করছে কয়েক ঘা থাপ্পর বসিয়ে দিতে। কিন্তু সে পারছেনা। স্নেহা কেমন ভীতুর মতো পিছনে লুকিয়ে আছে। কি নিয়ে কথা বলবে সাগ্রত অনেক ভেবেই বুঝতে পারলো না। সাগ্রত ওদের আসার জন্য দরজা ছেড়ে সাইডে চাপলো। ইফরা স্নেহাকে নিয়ে ভেতরে ঢুকলো।

ইফরা সামনে হাটছে আমি ওর পিছু পিছু যাচ্ছি। সবকটা রুম অন্ধকার করা। লাইট জ্বালানো নেই। সাগ্রত ড্রয়িংরুমের লাইট জ্বালিয়ে বেডরুমের দিকে লাইট জ্বালিয়ে দিলো। ইফরা গুটিগুটি পায়ে এগুচ্ছে আর রুমের সবখানে চোখ দিয়ে দেখছে। আমি ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে হাটছি। বেডরুমে সাগ্রত আগে উপস্থিত হয়ে বিছানা গুছাতে লাগলো। গাদা গাদা ক্যালেন্ডারে মোলট বাধানো বই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখানো। প্রায় সব বই খোলা অবস্থায় উল্টে রাখা। সাগ্রত দ্রুততার সাথে সব বই নিয়ে বিছানার এককোণে জড়ো করলো। ইফরা বিছানার একপাশে বসে পড়লো। আমি সোফায় আসন নিলাম। ইফরা রুমের চারিদিকে চোখ বুলাতে বলে উঠলো-

–বিছানায় এতো বই ছড়িয়ে রাখা ছিলো!! আপনি কি স্টাডি করছিলেন?
সাগ্রত কফির মেকারের মেইন সুইচ অন করে দিলো। ইফরার কথায় জবাব দেওয়ার মোটেও কোনো ইচ্ছা নেই। শান্ত কন্ঠে বলে উঠলো-
–বই পড়ছিলাম। স্টাডি না।
–ওহ্ আচ্ছা। আপনার নামটা জানতে পারি?
–আমার মনে হয় আপনার পাশের জন অলরেডি আমার নামটা বলে দিয়েছে।
সাগ্রত ঝটপট ইফরার টেকনিক বুঝে গেল। কোনো মেয়ে যদি ব্যাচেলারের বাসায় আসে তাহলে পুরো চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে খবর জেনে আসে। আর এখন যদি তার নাম জিজ্ঞেস করা হয় তাহলে বোকামি ছাড়া কিছু হবেনা। ইফরা কাচুমাচু করছে প্রচুর। সাগ্রত আড়চোখে স্নেহার দিকে তাকালেও ইফরার উদ্দেশ্য বুঝে ফেলেছে। ও কফি মেকারে পানি ঢালতেই বলে উঠলো-
–দেখুন মিস আমি ব্যাচেলার বলে ফাজলামি করতে আসবেন না। আজকালকার মেয়েরা ব্যাচেলার দেখলে শান্তি পায় না। যাই হোক কফিতে সুগার কয় চামচ নেবেন?
ইফরা থতমত করা বন্ধ করে স্বাভাবিক গলায় বললো-
–দুই চামচ উচু করে।
–ডায়েট করেননা বুঝলাম। আচ্ছা আপনি কি আমার উপর ইন্ট্রেস্ট? দেখুন মিস আমি স্ট্রেট ফরয়ার্ড কথা বলতে ভালোবাসি। আই হোপ আমার আন্সার যৌক্তিকভাবে বলবেন।
ইফরা বিষম খেলো। একের পর এক প্রশ্নের হামলা বড় নাজেহাল করে দিলো। কি ভেবেছিলো আর এখানে হলো কি!! সাগ্রতকে চুপচাপ ভেবে বড্ড ভুল করেছে ইফরা। মনে মনে খুব পস্তাতে লাগলো। সাখ্রত কফিমেকার থেকে কফি দুটি কাপে ঢেলে দিলো। টেবিলে খুব সুন্দর করে কাপ, পিরিচ, চামচ, গুড়ো দুধের কৌটা, কফি পাউডারের বয়াম সাজানো ছিলো। একটা কাপ স্নেহার দিকে দিয়ে মিস্টি হাসিতে তাকালো। স্নেহা হাত থেকে শান্তমনে কফির কাপ নিলো। ইফরাকে অপর কাপ তুলে দিতেই ইফরা মুখ ফুটে বলে উঠলো-

–আমি আপনার সাথে ক্লোজনেস চাই না। আপনি আমাকে নিয়ে দুইধাপ বেশি ভেবে ফেলেছেন। আমি আপনার উপর ইন্ট্রেস্ট না। এমনেই আরকি স্নেহার নেবার বলে দেখতে এসেছি।
ইফরা মিথ্যা কথা বললো। সত্য বললে খুব ভালোভাবে ফেসে যাবে সাগ্রতের কাছে ইফরা তা বুঝলো।। সাগ্রতকে অন্য দশটা ছেলের মতো নাচের পুতুল বানানোটা কতো বড় কঠিন কাজ হবে ইফরা টের পেলো। রাকিবকে পটানো খুব কষ্টকর ছিলো না। আবার রাকিবের আগে রিফাতকে পটানো ছিলো বাম হাতের খেলা। সাগ্রত স্নেহার সাথে একাকী কথা বলার জন্য উপায় খুজতে লাগলো। ইফরাকে কীভাবে দুজনের মাঝ থেকে সরানো যায় ভাবতে থাকলো।। সাগ্রত বিছানার পাশে আলমিরার সাথে দেয়ালে হাতভাজ করে দাড়ালো। ইফরা নিরিবিলি কফির কাপে চুমুক দিচ্ছে। স্নেহা কফির কাপে থেমে থেমে খাচ্ছে। সাগ্রত কিছুক্ষণ ভেবে বলে উঠলো-

–মিস স্নেহা, এই ফ্ল্যাটে দুইটা ওয়াশরুমের সেকেন্ড ওয়াশরুমের ট্যাপটা নিউ মডেলের। আমি ওটার চাবি ঘুরিয়ে পানি ছাড়তে পারিনা। একটু এসে দেখিয়ে দিবেন প্লিজ?
স্নেহা চুমুক দেওয়া থামিয়ে দিলো। সাগ্রতের দিকে তাকালো। সাগ্রত আবার বলে উঠলো-
–আপনি বিশ্বাস করুন, আমি ফান করে জন্য কথা বলছিনা মিস। প্লিজ আমার ফ্ল্যাটে রিসেন্ট সমস্যাটার সমাধান করুন। মিস এনোদার(ইফরার দিকে তাকিয়ে)? আপনি মিস স্নেহাকে নিজের মতো করে বুঝিয়ে বলবেন?
ইফরা সাগ্রতের আদেশ সূচক কথা পেয়ে হাতে চাদ পাওয়ার মতো খুশি হলো। ও স্নেহার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো-
–স্নেহু বেবি কেউ হেল্প চাইলে হেল্প করা লাগে। যাও হেল্প করো।

আমি কফির কাপ রেখে উঠে দাড়ালাম। ওয়াশরুমের দরজা খুলে ভেতরে গেলাম। সাদা টাইলস বসানো হাই কমোড বিশিষ্ট নিউ মডেলের ট্যাপ লাগালো ওয়াশরুম। ফুপির শখ খুব শৌখিন বলে প্রতিটা ফ্ল্যাটের ওয়াশরুমে এমন ইউনিক বিদেশী টাইপের ট্যাপ বসানো। আমি ট্যাপ ঘুরিয়ে চেক করতেই সাগ্রত পেছন থেকে দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে দিলো। ধক করে উঠলো আমার! পেছনে তাকিয়ে দেখি সাগ্রত ওয়াশরুমের দরজায় দুইহাত দিয়ে ঠেকে দাড়ালো। মুখে একচিলতে হাসি…..

–চলবে

–Fabiyah_Momo🍁

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here