রোমান্টিক বুড়ো 😜বর,৮ পর্ব,পর্ব:৯
Mitu jahan Mitu
৮ পর্ব
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বুড়ো খাটাস বরটা রুমে নেই ।
,
তাই নিচে নেমে খুঁজতে লাগলাম,
কিন্তু পুরো বাড়িতেই উনাকে না পেয়ে একটা কল দিতে যাবো তখনি দেখলাম মোবাইলে একটা এসএমএস–
,
“”আমি অফিসে এসেছি , টেবিলে নাস্তা আছে খেয়ে নিও আর সাবধানে থেকো ও””””
,
আমি:( মেসেজ টা পড়ে আমার কি যে খারাপি লাগছে না)
দেত কি দরকার ছিল এতো ঘুমানোর 😕😕
,
উনি সকালে উঠে নাস্তা বানিয়ে ,
নাস্তা করে গেছেন আবার আমার জন্য ও তৈরি করে গেছেন ,
নাহ কাল থেকে যলদি উঠে সব তৈরি করে দেবো।
যাক এখন আপাতত খেয়ে ভার্সিটিতে একবার যায় ,
অনেক দিন হলো একটা ক্লাস ও করিনি।
,
,
,
,
ভার্সিটিতে ক্লাস করে আসার সময় অনেক বন্ধুদের সাথে দেখা হলো।
অনেক ভালো দিন কাটলো আজ।
,
বিকেলে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ,
রান্না ঘরে ঢুকে ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে রান্না করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো ,
কাজ সেরে টিভি দেখছিলাম।
,
হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো,
আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৯ টা বাজে ।
তার মানে আমার খাটাস বরটা এসে গেছে।
দরজা খুলে দেখি হে উনিই এসেছেন ।
দেখলেই বুঝা যাচ্ছে অনেক ক্লান্ত উনি,
কিন্তু হাতে করে বকুল ফুলের মালা 🌸 ও এনেছে।
তাই উনার ব্যাগটা হাতে নিয়ে—
আমি :ওয়াও বকুল ফুলের মালা 🌸😍😍 ,কার জন্য এনেছেন।
,
পারভেজ: আমার গার্লফ্রেন্ড এর জন্য গো🙄🙄
,
আমি;কি-ই-ই 😠😠।এর জন্যেই তো খাটাস বর বলি(মনে মনে)
কোন গার্লফ্রেন্ড এর জন্য শুনি,
আর আপনার গার্লফ্রেন্ড এর জন্য ঘরে ফুল আনতে গেলেন কেনো?
অফিসে দিলেই পারতেন মালা 🌸 টা।
,
পারভেজ: আচ্ছা তুমি এতো বেশি বুঝো কেনো ,
তুমি কি কোনো জ্যোতিষ শাস্ত্র জানো নাকি।
,
আমি:না কিছু জানি না আমি 😤😤
,
পারভেজ: তাহলে এতো আগে বুঝো কিভাবে ,
,
আমি: আমি সব বুঝি 😀
,
পারভেজ: বুঝাই যাচ্ছে কি বুঝো ,
কচু বুঝো তুমি 🤣🤣🤣🤣
,
আমি: কি আমি কচু বুঝি 😡😡😡 ,
,
পারভেজ:না না তাও বুঝো না😜😜
,
আমি:এই দেখুন এখন কিন্তু ঠিক হচ্ছে না কিন্তু 😭😭
,
পারভেজ: আচ্ছা বাবা আচ্ছা আমার ভুল হয়েছে,
তুমি সব বুঝো ,
আর আমি কচু বুঝি 😬😬
,
আমি: এখন ঠিক আছে 🙂🙂।
ওকে আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি খাবার দিচ্ছি।
,
,
পারভেজ: ঠিক আছে যাচ্ছি আর মালাটা তোমার জন্য ই এনেছি😰😰
,
আমি:ওহ আচ্ছা তাই বলুন ,কেনো যে এতো কথা ঘুরান😎😎 । কিন্তু ধন্যবাদ আপনাকে ☺️
,
পারভেজ: হুম 😶😶😶
(এই বলে উনি চলে গেলেন।আধা ঘন্টা পরে উনি এসে খাবার টেবিলে বসে)
,
পারভেজ:দাও তো কি রেঁধেছো☺️
,
আমি: হুম দিচ্ছি
,
পারভেজ: আমার জন্য শুধু খাবার নিচ্ছো কেনো ?
তুমি খাবে না?
,
আমি: আমি পরে খাবো আগে তো আপনি খান।
,
পারভেজ: যেমন তোমার ইচ্ছা
,
বাহ মাছের ঝোল করেছো । আমার খুব প্রিয়😋😋
,
আমি:☺️☺️☺️ তাই বুঝি।
,
পারভেজ: হুম-ম-ম জানো একবার শুভা আমাকে রেঁধে —- কি টেস্ট😋😋😋😋
(ডাহা মিথ্যা কথা শুভা মাছের ঝোল কি মাছ ভাজতেও জানে না🤣🤣🤣)
,
আমি:(😠😠 আমি কষ্ট করে রেঁধে খাওয়াচ্ছি ,
আর এই বুইড়া খাটাস নাকি তারিফ করছে ওই শাকচুন্নী শুভার।
আমি ও কম যায় না দেখেন কি করি আপনার)
ওহ তাই বুঝি , সত্যিই শুভা আপু আপনার অনেক খেয়াল রাখে,
ঠিক আমার ফ্রেন্ড কায়েস এর মতো 😜😜😜
,
পারভেজ:কয়েস টা আবার কে😐😐
,
আমি:আর বলবেন না আমার বেস্ট ফ্রেন্ড😜 (ডাহা মিথ্যা কথা কায়েস আমার চাচাতো ভাই)
,
পারভেজ:ওহ তাই বলো ভালো তো🙄🙄 ,(খাবার খেতে খেতে)
,
আমি:হে জানি ভালো ,
ওর মতো ছেলেই হয় না,
জানেন ও না আমাকে অনেক ভালোবাসে 😎
কিন্তু কখনও আমার সামনে এসে বলতেই পারে না 🤣🤣🤣🤣 ।
,
পারভেজ: তাহলে তুমি জানলে কিভাবে 😕।
,
আমি:আর বলবেন না ওর ফ্রেন্ড থেকে জানলাম।
,
পারভেজ:ওহ ভালো আচ্ছা আমি যাই ,
,
আমি:একি ভালো করে যে কিছুই খেলেন না।
,
পারভেজ:খেয়েছি তো , আমি এখন ঘুমাবো।
ওকে শুভ রাত্রি। তুমি খেয়ে নিও।
,
আমি: আচ্ছা আপনি যান । আমি খেয়ে নেব 😉😉
(আমি জানি উনার মন খারাপ হয়ে গেছে তাতে আমার কি 😏😏😏
আমার যখন মন খারাপ হয় তখন কি উনি বুঝে তাহলে আমি কেনো বুঝবো😏 ।
আজ তো শুধু জ্বলার দিন উনার)
,
,
,
এভাবেই আমাদের মধ্যে রাগ,
খুনশুটিতে কেটে গেলো অনেক গুলো দিন।
,
,
একদিন খবর পেলাম আমার বড় ননদ মিসু মা হতে যাবে ।
এই খবর শুনে এই প্রথম উনার চোখে মুখে এমন আনন্দ দেখলাম।
উনি মামা হবে শুনে খুশিতে আত্মহারা।
মনে হয় কেউ বাবা হবে শুনেও ততো টা খুশি হয় না।
,
রাতে উনি রুমে এসে বলতে শুরু করলো—-
,
পারভেজ:জানো তুলি , আব্বু আম্মু চলে যাবার পর আমিই ওদের কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি।
ছোট পুতুল এর মতো যত্ন নিয়েছি ,
ফুলের টোকাও পড়তে দি নি ।
আর সেই ছোট পুতুল দুটোর বিয়ে ও হয়ে গেলো আর এখন মাও হয়ে যাবে ।
জানো আমি বিয়ে করতে চাই নি ওরাই জোর করে বিয়ে করিয়েছে।
আচ্ছা তুলি একটা কথা বলি তোমাকে।
,
আমি: হুম বলেন
,
পারভেজ: আচ্ছা আমাদের ঘরে কি একটা পুতুল আসলে খুব বেশিই সমস্যা হয়ে যাবে।
বলো না তুলি খুব বেশি সমস্যা কি হবে?
,
আমি-চুপ(অবাক হয়ে উনাকে দেখছি!!!!!!!।
,
পারভেজ:বলো না তুলি ,
আমরা কি পারি না একটা পুতুল সন্তান আনতে আমাদের এই ছোট্ট ঘরে ।
,
আমি: দেখুন——-
,
,
চলবে
#রোমান্টিক বুড়ো 😜 বর
#৯ম পর্ব
#Mitu jahan Mitu
,
,
আমি: দেখুন আমার মনে হয় আপনি আজ আপনার মধ্যে নেই,
তাই এসব বলছেন 😨😨😨
চলুন আপনাকে খেতে দি
(এই বলে আমি যেই যেতে চাইলাম উনি আমার হাত চেপে ধরলেন।)
,
আমি:কি করছেন কি ছাড়ুন আমাকে।
,
পারভেজ: প্লিজ তুলি আমি বাবা হতে চাই ,
,
আমি: পাগল হয়ে গেছেন আপনি ,কি সব বলছেন।
,
পারভেজ:হে আমি পাগল হয়ে গেছি,
প্লিজ তুলি ,
(এই বলে উনি আমাকে আরো জোরে চেপে ধরলেন উনার বাহু দিয়ে)
,
আমি:কি করছেন টা কি, আমি ব্যথা পাচ্ছি তো।
(কিন্তু উনি আমার কোনো কথা বা বাঁধা মানছেন না ,
আরো কাছে আসছেন ,
তাই আমি উনাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে—-
আমি: দেখুন আপনি বলেছেন আমার ইচ্ছা ছাড়া কখনও আপনি আমার উপর কোনো প্রকার জোরাজোরি করবেন না,
তাহলে , এখন কেনো এমন করছেন।
,
পারভেজ:😡 হে বলেছি কিন্তূ তোমার কিসের এতো অহংকার,
আর আমি কোন দিক দিয়ে তোমাকে কম দিচ্ছি বলো,
আর যদি বলো আমার বয়স বেশি,
তাহলে বিয়ে কেনো করেছো ।
,
আমি: দেখুন আমি তা বলতে চাইনি😕
,
পারভেজ:থাক আর বলতে হবে না 😡
আজকের পর থেকে তুমিই নিজে যদি আমাকে তোমার কাছে না ডাকো তাহলে আমি কখনোই আসবো না ।
তুমি কি মনে করো নিজেকে তা আমি জানি না ,
কিন্তু আজকের পর থেকে আমি আর নিজে থেকে তোমার কাছে নিজেকে ধরা দেবে না
(এই বলে উনি চলে গেলেন ।
আর আমি ভাবছি সত্যিই তো আমি কেনো এমন করলাম ,
আমি কি উনাকে একটুও ভালোবাসি নি এই কয়েকদিনে।
আর উনার অধিকার আছে আমার উপর ,
আচ্ছা উনিকি আমায় আর ভালোবাসবে না,
নাকি চলে যাবে ওই শুভা ডাইনির কাছে ।
নাহ আর আমি ভাবতে পারছি না😥😢😢😥😥😥)
,
,
,
,
ওই ঘটনার পর ,
ইদানিং পারভেজ আমার সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না ।
সব সময় আমাকে এড়িয়ে চলে।
বাসায় ঠিক সময়ে আসে না ,
আর বেলি ফুলের মালা 🌸 ও আনে না,
বিভিন্ন অযুহাত দিয়ে খাবার ও ঠিক মতো খায় না।
সব সময় আমাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে ,
এভাবে আর কতদিন যাবে আমি ঠিক জানি না।
কিন্তু এই কয়দিনে এটা বুঝে গেছি আমার #রোমান্টিক বুড়ো 😜 বর টাকে আমি অনেক ভালোবাসে ফেলেছি।
,
কিন্তু আমি বলি কি করে উনাকে ,
আমার ও একটা(আসল লেখিকা মিতু জাহান মিতু, ) পুতুল চাই ।
,
কিন্তু খাটাস টাকে কিভাবে বলি আমার ও উনার ভালোবাসা চাই ,
নাহ আজ বলেই ফেলবো ।
,
,
বিকেলে ঘর গোছাচ্ছি ,
আজ সন্ধ্যা হলে সেজে বসে থাকবো,
আমার দুষ্টু মিস্টি#রোমান্টিক বুড়ো 😜 বর এর জন্য।
,
,
হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো ,
,
আমি:এই অ সময়ে কে আসলো আবার,
গিয়ে দরজা খুলে দিলাম।
,
দরজা খুলে অবাক,
আমার ছোট ননদ নিসু এসেছে ,
কিন্তু ওকে দেখে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না।
চোখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে অনেক কেঁদেছে,
তাই আমি ওকে ধরে ভিতরে এনে বসাতে চাইলে আমার হাত জারি দিয়ে সরিয়ে ঘরের দিকে চলে গেলো
আমি:নিসু কি হয়েছে কি 🙁 তোমাকে দেখতে এমন লাগছে কেনো।
,
নিসু: চুপ😡😡
,
,
আমি: কিছু তো বলো হঠাৎ করে এখানে আসলে কেনো ? কোনো সমস্যা?
,
নিসু: হঠাৎ করে মানে😠😠, আমার বাড়ি আমি যখন খুশি আসবো তাতে তোমার কি ,
নাকি বিয়ে হয়ে গেছে বলে বাড়িটা আর আমার নেই। তোমার হয়ে গেছে।
,
আমি: আমি তেমন করে কিছু বলতে চাইনি নিসু😕।
,
নিসু: কেমন করে বলেছো তাহলে শুনি,
তুমি আমাকে প্রশ্ন করার কে শুনী,
যদি আমাদের বোনদের সহ্য নাই হয় তাহলে বলে দিও আসবো না তোমার বাসায় ।
আসুক ভাইয়া জিজ্ঞাসা করবো কে এতো সাহস দিলো তোমায়।
,
আমি:দেখো নিসু তুমি কিন্তু এখন বেশি করছো।
আমি তেমন কিছুই বলিনি।
,
নিসু:কি বলো নি তুমি ,
আসুক ভাইয়া বলবো সব😡
,
আমি:বলো তোমার ভাইয়া কে আমিও দেখবো উনি কি বলেন 😒।
,
নিসু:কি বললে তুমি—
,
(এরি মধ্যে পারভেজ চলে এলো ,
দরজা খোলা ছিলো তাই সোজা ঘরে ঢুকেছেন)
,
পারভেজ:কি হয়েছে কি নিসু,
তুই কাদছিস কেনো বোন।
,
নিসু: কাঁদবো না তো কি হাসবো নাকি বলো ভাইয়া।
,
পারভেজ:ইস এতো কথা না বলে আসল কথা বল ,
কে আমার বোনকে কাঁদিয়েছে ।
,
নিসু:জানো ভাইয়া আমি এখানে এসেছি বলে ভাবি বলে আমি এখন এখানে কেনো এসেছি,
তখন আমি বলেছি আমার বাড়ি আমি আসবো তাতে তোমার কি,
ভাইয়া আসলে আমি সব বলবো ।
তখন ভাবি বলে-
বলো তোমার ভাইয়া কে ,
দেখি তোমার ভাইয়া আমাকে কি করে।
আচ্ছা ভাইয়া এটা কি আমাদের বাসা নয় ,
নাকি বিয়ে হয়েছে বলে তোমার পর হয়েগেছি(কাঁদতে কাঁদতে)
,
পারভেজ: অবশ্যই এটা তোদের বাসা।
যখন খুশি আসবি আর যখন খুশি থাকবি ।
আর কার এতো বড় সাহস হয় যে আমার বোনকে কাঁদায়😠😠,
,
নিসু:কে আবার তোমার বউ😭😭😭(ন্যাকা কান্না করে )
,
আমি:আপনি আগে আমার কথা শুনুন———
,
থাসসসসস,থাসসসসস
,
পারভেজ:তোর এতো —-
,
চলবে