রোমান্টিক বুড়ো 😜 বর,১০ পর্ব,পর্ব-১১

রোমান্টিক বুড়ো 😜 বর,১০ পর্ব,পর্ব-১১
Mitu jahan Mitu
১০ পর্ব
,
,
আমি: আপনি আগে আমার কথা শুনুন———
,
থাসসসস,থাসসসস
,
পারভেজ: তোর এতো বড় সাহস হয় কি করে
আমার বোনকে কাদাতে ,
কোন অধিকারে তুই আমার বোনকে এসব প্রশ্ন করিস😠😠
,
আমি: চুপ (আমি অবাক হয়ে উনাকে দেখছি)
,
পারভেজ: আমি কখনো ও আমার বোনদের ফুলের টোকাও দি নি আর তুই কিনা আমার বোনকে কাঁদাস😠😠😠,
তুই এখনি আমার চোখের সামনে থেকে চলে যা 😤😤
আর আজ রাতের পর থেকে আমি তোকে এই বাড়িতে আর দেখতে চাই না।
,
(উনার কথা শুনে আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না,
আমাদের বিয়ের এই প্রথম উনি আমাকে তুই করে বলছেন এবং আজি ঘর থেকে চলে যেতে বলছেন ,
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আজ আমি উনাকে বলতে চেয়েছি আমার মনের কথা,
আর আজি আমার জীবনে ঝড় উঠেছে,
কিন্তু নিসু কেনোই বা আমার সাথে এমন করেছে তাই বুঝতে পারছি না তবুও বলতে চেয়েছি—-
,
আমি: শুনুন—-
,
পারভেজ: এনিয়ে আমি আর একটি কথাও শুনতে চাই না ,
আমার বোনকে যে কাঁদাতে পারে সে যাই হোক আমার কেউ হতে পারে না,
,
আমি: বাহ বাহ অনেক ভালো বলেছেন আপনি।
আজ আপনি যা বলেছেন তার জন্য একদিন ঠিকই আপনাকে প্রস্তাতে হবে,
আর শুনে রাখুন আমি কাউকে কাদায় নি ।
,
আর রইলো চলে যাবার কথা, হ্যাঁ চলে যাবো ,
আর আসতে চাইবো না আপনার জীবনে।
,
(এই বলে আমি চলে আসলাম রুমে,
জানি আমি,
আমার যাওয়াতে উনার কিছুই হবে না।
কারণ উনি আমাকে কখনোই ভালোবাসতে পারেন নি।
যদি ভালোবাসতো তাহলে আজ বিনা (গল্পের আসল লেখিকা মিতু জাহান মিতু)অপরাধে আমার গায়ে হাত তুলতে
আর বাসা থেকে বের করে দিতে পারতো না।
,
,
,
সকাল সকাল তৈরি হয়ে নিলাম সারা রাত একটুও ঘুমাতে পারি নি ,
আর উনিও একবার ও এই রুমে আসেন নি ,
,
,
বাসা থেকে বের হবার আগে দেখি মিসু(আমার বড়)আর ছোট ননদ এর জামাই সুজন এসেছে। আমাকে দেখে—
,
মিসু:আরে ভাবি , কেমন আছো?
,
আমি:আছি ভালো।
,
মিসু: কিন্তু তোমাকে দেখেতো মনে হচ্ছে না ভালো আছো ,
আর মুখটাকে এমন কুমড়ো পটাস করে রেখেছো কেনো?
আর কোথায় যাচ্ছ এতো সকালে?
,
আমি:বাড়ি যাচ্ছি 😟😟
,
মিসু:ওহ ভাইয়ার সাথে রাগ করে বুঝি নাকি অভিমান 😜
,
(হঠাৎ পারভেজ এসে)
,
পারভেজ:কি হচ্ছে কি এসব , ওকে যেতে দে😒😒
,
মিসু: যেতে দেব মানে, কি হয়েছে কি ভাইয়া তোদের মধ্যে🤔🤔।
,
পারভেজ: কিছু হয়নি , তোরা ভিতরে যা নিসু ঘরে আছে।
,
মিসু: কিন্তু ভাইয়া ভাবি—
,
পারভেজ: কতবার বলেছি আমার মুখের উপর কথা বলবি না।
,
(উনার কথা শুনে আর আমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না ,
সোজা বাসা থেকে বের হয়ে এলাম ।
পিছনে মিসু ভাবি ভাবি বলে আসছে,
,
মিসু: দাঁড়াও ভাবি, আমার একটা কথা শুনো তো।
,
আমি:কি হয়েছে কি মিসু আপু বলো।
,
মিসু:কি হয়েছে কি তোমাদের মধ্যে।
,
আমি: কিছু হয় নি তো
,
মিসু: কিছু তো হয়েছেই ,
না হলে ভাইয়া কেনো বলবে তোমাকে চলে যেতে।
প্লিজ ভাবি একটা বার আমাকে বলো।
,
আমি: তোমার ভাইয়া কে জিজ্ঞাসা করো নিয়ো, আমাকে জিজ্ঞাসা করো না।
,
মিসু: প্লিজ ভাবি তুমি বলো আমাকে।
,
(তখন আমি সব খুলে বললাম মিসুকে)
,
মিসু: ছিঃ নিসু যে আমার নিজের বোন তা ভাবতেও আমার ঘৃনা করছে,
ওর স্বামীর জিদ তোমার উপর দিয়ে নিলো ,
আজ আমি ওকে😠😠—-
,
আমি: প্লিজ মিসু আপু আমি আর কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না ।
আর নিসু কেনো এসব করলো তাও জানতে চাই না ,
তুমি ভালো থেকো (এই বলে চলে এলাম)
বেরিয়ে পড়লাম আমার বাসার উদ্দেশ্যে।
পারভেজ একটা বার ও বলেনি তুলি যেও না প্লিজ আমার ভুল হয়েছে ,
সত্যিই আমার কপাল টাই এমন,
সব সময় আমার সাথেই এমন হয় কেনো বুঝতে পারছি না।
,
,
অনেকক্ষণ হলো বাসাই এসেছি ,
আম্মু- আব্বু দুজনি আমার কান পচিয়ে ফেলছে।
জামাই কই,
জামাই আসে নি কেনো ,কি হয়েছে , জামাই ঠিক আছে তো,
তোর শরীর খারাপ করছে নাকি ব্লা ব্লা ব্লা
,
আম্মু:তুলি মা কি হলো কি তুই একা কেনো এলি জামাই কই।
,
আমি:চুপ
,
আব্বু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে—
,
আব্বু: তুলি মা কি হয়েছে রে মা পারভেজ এর সাথে রাগ করে এসেছিস বুঝি।
,
আব্বুর কথা শুনে আব্বু কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম
,
আমি:সরি আব্বু, আমাকে ক্ষমা করে দিও।
,
আব্বু:সরি কেনোরে মা কি হয়েছে কি বলনা আব্বু কে ।
,
আমি: আব্বু আমাকে মাফ করে দাও এতো দিন বুঝতে——
,
চলবে

#রোমান্টিক বুড়ো 😜 বর
#১১ পর্ব
#Mitu jahan Mitu
,
,
আব্বুর কথা শুনে আব্বু কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম
,
আমি:সরি আব্বু, আমাকে ক্ষমা করে দিও।
,
আব্বু:সরি কেনোরে মা ,
কি হয়েছে কি বলনা আব্বু কে
,
আমি: আব্বু আমাকে মাফ করে দাও ,
এতো দিন বুঝতে পারিনি প্রিয় জন কষ্ট দিলে কতোটুকু কষ্ট লাগে ,
কিন্তু আজ আমি বুঝতে পেরেছি আমি তোমাকে কতোটুকু কষ্ট দিয়েছি এতো দিন।
তোমায় কষ্ট দেওয়ায় মনে হয় আজ আমি কষ্ট পাচ্ছি প্রিয় জনের কাছ থেকে।
তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ
,
আব্বু:দেখো পাগলি মেয়ে কি বলে ,
আমি কোনো কষ্ট পায়নি বরং আমি চেয়েছিলাম আমার মেয়ে সুখে থাকুক ,
,
আম্মু: কিন্তু তুই একা কেনোরে মা ,
জামাই কেনো আসেনি?
,
আমি: চুপ
,
আব্বু:আরে চুপ করো না মাএ মেয়েটা এলো ,
ওকে বিশ্রাম নিতে দাও আর আমি জামাইকে ফোন করছি
,
আমি:না আব্বু তুমি উনাকে ফোন করবে না
,
আব্বু:কেনোরে মা কিছু হয়েছে বুঝি!?
,
আমি: কিছু হয়নি আব্বু 😭😭
,
আম্মু: তাহলে কাদছিস কে—
,
আব্বু:ইস চুপ করো না তুমি, আমাদের বাপ বেটির মধ্যে কথা বলো না তো।
আর হ্যাঁ মা আমি ফোন করবো না ,হলো তো এখন
,
আমি: হুম 😭😭😭
,
আব্বু: আচ্ছা মা তুই বরং বিশ্রাম নে আমরা পরে কথা বলবো
,
আমি:ঠিক আছে আব্বু
,
(এই বলে আব্বু আম্মু চলে গেলো আর আমি ভাবছি কি থেকে কি হয়ে গেলো)
,
আম্মু:এই কি হয়েছে কি,
মেয়েকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে দাও নি কেনো?
,
আব্বু: কি জিজ্ঞাসা করবে তুমি?
,
আম্মু:এই জামাই এলো না কেনো?!!
,
আব্বু: পাগল হয়েছো তুমি ,এসব জিজ্ঞাসা করবো মেয়েকে,
,
আম্মু: কিন্তু আমার মেয়ে এমন ভাবে কাঁদছে কেনো।
আর চোখ মুখ দেখে তো মনে হয় রাতে ঠিক মতো ঘুমাইনি
,
আব্বু:এর জন্যেই তো বললাম এখন মেয়েটা বিশ্রাম নিক।
আর আমার মনে হয় তোমার মেয়ে জামাই এর সাথে অভিমান করে এসেছে।
তাই বারং করছে জামাইকে ফোন করতে।
,
আম্মু: কিন্তু এখন আমরা কি করবো।
,
আব্বু:আমরা কি করবো মানে, ওদের স্বামী স্ত্রীর মান অভিমান কয়েক দিন থেকে এমনিতেই মিটে যাবে ।
আর দেখো জামাইও এসে পড়বো
,
আম্মু: তুমি যে কখন কি বলো কিছু বুঝি না।
যাই হোক আমার মেয়ে আমার কাছে এসেছে তাই এতো সহজে আমি আমার মেয়েকে এখন কোথাও যেতে দেব না ,
এখন আমার মেয়ে আমার কাছেই থাকবে,
,
আব্বু: আচ্ছা বাবা আচ্ছা রেখো তোমার মেয়েকে।
,
আম্মু: হুম
,
(অন্যদিকে মিসু চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তুলছে)
,
মিসু: ভাইয়া —- ভাইয়া —– কোথায় তুমি ,
,
পারভেজ:কি হয়েছে টা কি ,এতো চিৎকার করছিস কেনো বোন।
,
মিসু:কি হয়নি তাই বলো ভাইয়া।
,
পারভেজ:কি হয়েছে তা না বললে বুঝবো কি করে,
তুই কেনো চিৎকার চেঁচামেচি করছিস।
,
মিসু:বলছি বলছি , আগে আমাদের গুনোধর ছোট বোন নিসুকে আসতে তো দাও।
,
পারভেজ:নিসুকে ডাকছিস কেনো তুই
,
সুজন: হ্যাঁ আপু নিসুকে ডাকছেন কেনো(নিসুর স্বামী)
,
মিসু:বলছি সুজন আগে তো তোমার বউকে আসতে দাও
,
নিসু—–এই নিসু
,
নিসু:কি হয়েছে কি আপা এতো চিৎকার করছিস কেনো
আর ও (সুজন) এখানে কেনো।
,
মিসু: কেনো চিৎকার করছি তুই জানিস না বুঝি 😠
আর সুজন তোর স্বামী তাহলে সুজন এখানে থাকবে না তো কে এখানে থাকবে শুনি।
,
পারভেজ:কি হচ্ছে টা কি ,
আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না ।
আর সুজন এখানে মানে কি নিসু ।
ও তোর স্বামী ওই তো এখানে থাকবে
,
মিসু:পারবে পারবে সবি বুঝতে পারবে , আগে তো সব শুনো
,
পারভেজ:কি শুনবো বল
,
মিসু: জানো ভাইয়া নিসু এখানে কাল কেনো এসেছে।
,
পারভেজ:কেনো এসেছে মানে। ভাইয়ের বাসায় বোন এমনিতেই তো আসতে পারে।
,
মিসু: তা আমি জানি ভাইয়া। কিন্তু কাল নিসু সুজনের সাথে ঝগড়া করে এসেছে এখানে
,
পারভেজ: কিন্তু নিসু তো আমাকে এই বিষয়ে কিছু বলেনি
,
মিসু:বলবে কি করে সব দোষ তো ওর নিজের
,
নিসু:দেখ আপু সব না দেখে না শুনে আমার উপরে দোষ দিবি না কিন্তু।
,
মিসু:চুপ কর তুই ,কোন মুখে আবার এতো বড়বড় কথা বলছিস
,
পারভেজ:নিসু তুই চুপ কর আমি সব আগে শুনি তারপর তুই কথা বলবি ।
হ্যাঁ সুজন বলো তুমি কি বলতে চাও
,
সুজন:না মানে ভাইয়া কাল কথায় কথায় নিসুর সাথে আমার ঝগড়া লেগে যায় তখন আমি বলেছি——
,
সুজন:দেখো নিসু তুমি সব সময় আমার উপর জোর চালাও ,
এটা একদমি ঠিক না।
তুমি ভুলে যাও কেনো আমি তোমার স্বামী তুমি আমার নয়।
নিসু:কি বললে 😠 তুমি
সুজন:বিয়ের পর থেকে তোমার অত্যাচার সহ্য করে আসছি আমি।
কখনো ও এই করবো না , আবার তখনোও এই করবো না.।
আমার সব কাজ তোমাকে বলেই কেনো করতে হবে বলো তুমি।
আমার কি নিজের বলতে কিছু নেই,
নাকি তোমাকে বিয়ে করে তাও শেষ হয়ে গিয়েছে আমার।
,
নিসু: তাই নাকি, তাহলে কে বলেছিলো আমাকে বিয়ে করতে তোমায় ।
আমি যা করি তা তোমার আর আমার ভালোর জন্যই তো করি তাই নয় কি
,,
,
সুজন:সেটাই তো দেখছি জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল আমার।
আর তোমাকে আমার এতো ভালো করতে কে বলেছে।
হ্যাঁ তুমি আমার বউ আমার সব কিছুতে তোমার অধিকার আছে ,
কিন্তু তাই বলে আমার ইচ্ছা অনিচ্ছার কোনো দাম থাকবে না।
,
,
নিসু:কি আমাকে বিয়ে করা তোমার ভুল হয়েছে,
আর আমি তোমার ইচ্ছার দাম দি না
,
সুজন: হ্যাঁ ভুল ছিলো , আচ্ছা তোমার চেয়ে তো ভাবি অনেক ছোট ,
তবুও কতো সুন্দর সংসার করছে ,
আর তুমি দিন রাত সংসার এর নাম করে আমার উপর অত্যাচার চালাচ্ছো।
কেনো বলতে পারো?
,
নিপু:তাই নাকি খুব ভাবি ভাবি করছো
ভাইয়ার বিয়ের পর থেকে দেখছি, শুধু ভাবি এমন ভাবি তেমন ,
কিছু আছিলো নাকি তোমাদের মধ্যে
,
সুজন: থাসসসসস-থাসসসসস।
নিসু মুখ সামলিয়ে কথা বলো সবাইকে নিজের মতো ভাবো কেনো ,ভাবি আমার——
,
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here