ঘৃণার মেরিন
part : 16
season : 2
writer : Mohona
নীড় দুম করে মেরিনকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে গেলো। নিয়ে বেডে বসালো ।
নীড় : ১পা এখান থেকে নামলে পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখবো বলে দিলাম। বসো আমি তোমার খাবার নিয়ে আসছি।
নীড়ের কোনো কথাই যেন মেরিন শুনতে পায়নি। মেরিন বেড থেকে নেমে চুপচাপ যেতে নিলে নীড় হাত টেনে মেরিনকে কাছে এনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।
নীড়: সমস্যাটা কি তোমার? কথা কানে যায়না? বললাম না বসে থাকতে।
মেরিন: বসে থাকলে আমার কাজগুলো কে করবে?
নীড় : জাহান্নামে যাক কাজ।
মেরিন: কাজ জাহান্নামে গেলে টাকা পাবো কোথায়? বাচবো কিভাবে?
নীড় : টাকায় মানুষ বাচে?
মেরিন নীড়ের গলায় হাত রেখে
বলল: হামম। আমি তো বাচি। টাকার জোরে টাকার নেশাতেই তো মেরিন বেচে আছে।
নীড় : তাহলে কি নীড়কে ভালোবেসে মেরিন বেচে নেই? টাকা কি নীড়ের চেয়েও বড়?
মেরিন: হয়তো… কারন টাকা না থাকলে মেরিন নীড় পেতোনা। যাই হোক ছারুন। আমাকে যেতে দিন।
নীড়: যদি না ছারি…
মেরিন: ধরে রাখার কোনো কারন নেই।
নীড় : আমিও দেখি তুমি আজ কিভাবে যাও…
মেরিন : সমস্যাটা কোথায় আপনার ? বাচতেও দেননা মরতেও দেননা। atleast আমাকে আমার মতো থাকতে দিন। ছারুন।
নীড় : না।
.
মেরিন: আপনার কি মনে হয় আপনি আমাকে আটকে রাখতে পারবেন….
নীড় : হামম।
মেরিন: এর আগেও তো চেষ্টা করেছিলেন…. পেরেছিলেন?
নীড়: …. তখন পারিনি। তবে জানি এখন পারবো।
মেরিন : এখন কি কোনো দৈব্যেশক্তি পেয়েছেন আমাকে আটকানোর…. নাকি অসুস্থ বলে?
নীড় : ….
মেরিন: তো কিভাবে আটকাবেন আমাকে?
নীড়: স্বামী হয়ে আটকাবো… ভালোবেসে আটকাবো….
মেরিন: স্বামী হয়ে? ভালোবেসে? 🤣। হ্যা স্বামী আপনি আমার… but ভালোবাসা কোথায় থেকে এলো?
নীড় : দেখো মেরিন…
মেরিন: দেখছিই তো আপনাকে…. আমার তো আর অন্য কিছু দেখার নেই। হার না মানা মেরিন যে নীড়ে হেরে গেছে , আটকে গেছে। কিন্তু নীড়তো নীরাতে আটকে আছে।
নীড় : যদি বলি বর্ষন বন্যায় পতিত হয়েছে। মিশে গেছে বন্যায়…. তবে?
যদি বলি মেরিনকে ভালোবেসে ফেলেছে। তবে?
.
মেরিন: ভালোবাসা? ছোট্ট ১টা গুলির এতো শক্তি? গুলির যে মানুষ মারার ক্ষমতা আছে সেটা জানতাম কিন্তু ভালোবাসানোর ক্ষমতা আছে সেটা জানতাম না।
যদি জানতাম তবে অনেক আগেই খেয়ে নিতাম।
নীড় : গুলি খাওয়াতে ভালোবাসা হয়না।
মেরিন: একদম ঠিক। গুলি খাওয়াতে ভালোবাসা হয়না। কৃতজ্ঞতা হয়। এখন সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে আসা দয়া-মায়াকে ভালোবাসা ভাবছেন। ভিক্ষা দিচ্ছেন।
আর মেরিন বন্যা ভিক্ষা নেয়না।
নীড় : আর যদি বলি গুলির জন্য না। দয়া-মায়াও না। এটা ভালোবাসা… অনেক আগের।
যদি বলি তোমার জীবনের সব ঘৃনা আমার আর আমার জীবনের সব ভালোবাসা তোমার।
কথাটা শুনে মেরিন হা হা করে হাসতে লাগলো । পাগলের মতো।
মেরিন: না মেরিনের জন্য ভালোবাসা জায়েজ আর না নীড়ের জন্য ঘৃণা জায়েজ…
আর আপনার ভালোবাসা ? আমার প্রতি? তাও আগে থেকে….?
হ্যাহ…
যদি ভালোবাসতেন তবে বিশ্বাস করতেন। সেদিন ওই ৫ই জুন অমন অপমান করতেন না… অবিশ্বাস করতেন না…
অতো বড় শাস্তিও দিতেননা। আপনাকে না ছোয়ার , আপনার সামনে না আসার।
যদি ভালোবাসতেন তবে ভালোবাসার জ্বালে ফেলে ধোকা দিতে পারতেন না ।
যদি ভালোবাসতেন তবে আমার ১টা কথা অন্তত রাখতেন। কোথাও বের হতেন না।
যদি ভালোবাসতেন তবে আমাকে ফেলে ভোর ৪টায় অন্য মেয়ের কাছে যেতেন না।
নীড়: তুমি আমার কথাটা তো শোনো…
মেরিন: আমি তো আপনার কথা শোনার জন্যেই চাতক পাখির মতো আশায় থাকি। আপনাকে ভীষন ভালোবাসি। তাই আপনাকে শাস্তি দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।
আপনার তো ৭খুন মাফ…..
.
নীড় : তুমি ভুল ভাবছো…
মেরিন: ভুল ঠিক জানিনা নীড়। আপনার ওপর আমার কোনো আক্ষেপ নেই। আর না কোনো অভিযোগ… শুনেছি স্ত্রীরা দাবি না ছারলে, অভিযোগ করলে স্বামীরা নাকি জান্নাতে যেতে পারবেনা। যদি সেটা সত্যি হয় তবে আমি মেরিন আজকে আপনার ওপর থেকে সকল প্রকারের সব দাবি ছেরে দিলাম।
নীড় : এই মেয়ে এই ১টা থাপ্পর দিবো। ফালতু কথা একদম বন্ধ। বুঝিস না তোকে আমি ভালোবাসি….
মেরিন: হামম। ভালোবাসেন। অস্বীকার করিনি। তবে সেটা কৃতজ্ঞতার। আপনার কোন দোষ নেই। যে আমার জন্ম দাতা তাকে লিভার দিয়েছি বলে তার কাছে আমি পাপের ফসল থেকে মেয়ে হয়ে গেলাম। আজব না? আর আপনি তো পরের ছেলে । না রক্তের সম্পর্ক ,না মনের, না শরীরের, না আত্মার ,না ভালোবাসার…. uffs… শরীরের সম্পর্ক তো হয়েছে। ২ ২ বার। আচ্ছা তখন কি আমার জায়গায় নীরা কে দেখেছিলেন?
নীড় : ….
মেরিন : whatever … কারো দয়া-ভিক্ষা নিতে পারবেনা । #ঘৃণার_মেরিনকে ঘৃণারই থাকতে দিন। তাকে ভালোবাসার ভুল করবেন না। ভালোবাসলে পরে আফসোস করবেন। আর হ্যা মেরিনের চিন্তা করবেন না। মেরিন ননীর পুতুল না.. মেরিন iron lady …। এখন আমার পথ ছারুন।
নীড়: ….
মেরিন: কি হলো?
নীড়: তোমার বলা শেষ?
মেরিন: yes my dear জান।
নীড় : good ….
বলেই মেরিনকে কোলে তুলে বেডে নিয়ে গেলো। বসালো। এরপর হাত বেধে দিলো।
.
নীড়: বন্যার তেজ সবাই জানে। কিন্তু বর্ষনের তেজও কারো কাছে অজানা নয়। আমি ১দিন তোমাকে বলেছিলাম যে আমি তোমার থেকেও dangerous …. সেটা এমনি এমনি বলিনি। তুমি তো আমার নারী নক্ষত্র সবই জানো। তো আমার রাগ সম্পর্কেও জানো। আমি তোমার থেকে অনেক জেদী। তুমি তো কেবল নরম ভূমি ধংব্স করো। আর আমার বিদ্যুতের আঘাতে সুবিশাল পাহাড়ও ধংব্স স্তুপে পরিনত হয়। আজকে থেকে আমার কথার বাইরে কোনো কাজ করবেনা। না হলে আমি যে কি করবো তা নিজেই জানিনা। বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি।
বলেই নীড় খাবাার আনতে গেলো।
খাবার নিয়ে এসে নীড় মেরিনকে জোর করে খাইয়ে দিলো।
.
পরদিন…
মেরিন : আজও কি আমার হাত বেধে রাখবেন?
নীড় : হ্যা। কারন হাত খুলে দিলেই তুমি যেভাবেই হোক পালাবে।
মেরিন : ফোনটা তো দিবেন… কালকে থেকে বেজেই যাচ্ছে।
নীড় : হাত তো বন্ধ। কথা বলবে কি করে?
মেরিন : ….
নীড় : দেখি হা করো…
মেরিন : পারবোনা।
নীড় : মেজাজ খারাপ না করে খাও তো।
তখন মেরিনের ফোন বাজতে লাগলো।
মেরিন : ফোনটা আনুন…
নীড় : no…
মেরিন : না আনলে খাবোনা।
নীড় নিয়ে এলো। জনের call।
মেরিন : হাত খুলে দিন।
নীড় : not at all…. loud এ দিচ্ছি।
নীড় loud এ দিলো।
মেরিন : hello …
জন : hello mam..
মেরিন : কি হয়েছে?
জন : ম্যাম নীরাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। admit করা হয়েছে। কিন্তু…
মেরিন : কিন্তু কি?
জন: ম্যাম নীরার condition ভীষন খারাপ।
মেরিন : ১কাজ করো। তা হলে তো চলবেনা। নীরাকে সুস্থ করতে হবে। যতো টাকা লাগে খরচ করো। i want নীরা alive … নীরাকে বাচাতেই হবে। নীরা হলো রূপ কথার সেই তোতাপাখি যার মধ্যে কারো জীবন বন্দী থাকে। তোতাপাখি মারা গেলে সেও মরে যাবে।
এই কথাটুকু মেরিন নীড়ের দিকে তাকিয়ে বলল। নীড় মনে করলো মেরিন ওকে উদ্দেশ্য করে বলেছে।
জন : ok mam…
মেরিন : দরকার হলে তুমিও সিঙ্গাপুর চলে যাও।
জন: না ম্যাম তার দরকার হবেনা।
মেরিন : ok… bye….
.
নীড় : নীরা আমার জীবন না।
মেরিন : ….
মেরিন মনের সুখে খাবার খাচ্ছে। আর বাইরের আকাশ দেখছে। যেন এটাই সবথেকে দরকারী কাজ।
নীড় : কিছু বলেছি….
মেরিন : শুনেছি….
নীড় : নীরার বাঁচা মরা আমাকে effect করেনা ।
মেরিন ১টা ছোট্ট হাসি দিলো। নীড়ের পক্ষে হয়তো কোনোদিনও সেই হাসির মানে বুঝবেনা।
মেরিন : effect করেনা বলে নীরাকে বাচাতে চাইছেন?
নীড় : কি বলো এগুলা?
মেরিন : যা করার করুন। but নীরাকে মরতেই হবে। আমি ওর হৃদয়টা বের করে আমার পোষা কুুকুরদের খাওয়াবো। তবে তার আগে ওর সুন্দর চেহারাটা কুৎসিত করে দিবো।
নীড় : ধংব্সের খেলা বন্ধ করে সুন্দর করে বাঁচা যায়না?
মেরিন আবারো হাসি দিলো।
.
৫দিনপর….
নীড়ের শ্বাসন-বারনে অতীষ্ট মেরিন। আবার কেন যেন খুশিও।
নীড় : ওই… কালকে সকালে বাবা আসবে।
মেরিন : বাবা?
নীড় : কবির বাবা…
মেরিন : তো আমি কি করতে পারি?
নীড় : কিছু করতে হবেনা। বাজে ব্যাবহার করবেনা।
মেরিন: …
নীড়: কিছু বলেছি…
মেরিন: আপনি বলেছেন আমি শুনেছি এর বেশি কিছু আশা করবেন না ॥ আর ওই stupid ভালোগিরির expect আমার কাছে করবেন না। ৫দিন ধরে আটকে রেখে যদি মনে করেন আপনি যা ইচ্ছা তাই করবেন তাহলে ভুল ভাবছেন। আ…
তখনই মেরিনের ১টা ফোন এলো।
মেরিন : hello. …
মেরিন: ok. …
নীড় : কার ফোন ছিলো। মেরিন বাকা হাসি দিয়ে বলল কারোনা।
বলেই কাবার্ড থেকে কিছু ১টা নিয়ে washroom এ গেলো।
নীড়: এমন হাসি মানেই কোনো কাহিনী আছে।
মেরিন বেরিয়ে এলো।
নীড় : change করলা কেন?
মেরিন: আপনিও করে আসুন। আপনাকে নিয়ে কোথাও যাবো।
নীড়:কোথায়?
মেরিন: গেলেই বুঝতে পারবেন।
নীড় : তুমি কিন্তু drive করবেনা।
মেরিন: ok…
.
২জন ১টা জায়গায় গেলো। নীড় ভেতরে ঢুকে বুঝতে পারলো যে এটা মেরিনের সেই জায়গা। যেখানে সবাইকে শাস্তি দেয়।
নীড় : এখানে?
মেরিন: ভেতরে চলুন।
নীড় মেরিনকে কোলে তুলে ভেতরে ঢুকলো। ভেতরে ঢুকে দেখে সেদিনের ওই ৫জন হাত-পা বাধা রক্তাত্ব অবস্থায়।
নীড় : এরা?
জন: ম্যাম এরা দেশ ছেরে পালাচ্ছিলো ।
মেরিন: হামম। নীড় আমাকে নামাবেন please ?
নীড় নামালো। মেরিন নীড়ের হাত টেনে ১টা টেবিলের সামনে নিয়ে দার করালো। নীড় তাকিয়ে দেখলো যে টেবিল টাতে অনেক ধরনের গান, ছুরি রাখা আছে। সেই সাথে আরো অন্যধরনের অস্ত্রও আছে। নীড় কাহিনী বুঝলোনা।
মেরিন: এখান থেকে যেটা নিতে মন চায় সেটা নিন। এরপর এদের সাথে যা মন চায় করেন।
নীড় : মানে?
মেরিন : খুব সহজ । কারো হাত কাটবেন কারো পা কাটবেন কারো গলা কাটবেন কারো কলিজা বের করবেন। যার সাথে যা ইচ্ছা করুন।
নীড় : পাগল নাকি? এগুলো করবো কেন? ওদেরকে তো পুলিশে দেবো। যা করার আইন করবে।
মেরিন : আবার ভালোমানুষই পেচাল। তোদের ১টা সুযোগ দিয়েছিলাম কম কষ্টদায়ত মৃত্যু ভোগ করার। but আমার জামাইটা ভালোমানুষ। ১কাজ করুন আপনি গাড়িতে গিয়ে বসুন। আমি এদের মুক্তির ব্যাবস্থা করে আসছি।
নীড় : আর কতো মারামারি করবে ?
.
মেরিন: মারামারি? কে বলল যে আমি এদের সাথে মারামারি করবো? its too cheap …. মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী কি ১২-১৪ বছর কিশোর যে মারামারি করবে? আমি তো এদের রক্ত নিয়ে খেলবো। এদের কলিজা কতো বড় সেটা দেখবো। কোন কলিজায় আমার কলিজায় হাত দেয় সেটা দেখবো। আপনি তো ভালোমানুষ রক্ত দেখতে পারবেন না।
নীড়: যদি আমি পুলিশের কাছে যাই….
মেরিন: who care? আমার কাজ ততোক্ষনে হয়ে যাবে।
নীড়: তো তুমি মারবে ভালো কথা। আমাকে বাইরে যেতে বলছো কেন?
মেরিন: এখানে আপনাকে এনেছিলাম যেন আপনি এদেরকে শাস্তি দিতে পারেন। কিন্তু আপনি আইন আইন করছেন। ভেতরে থাকলে জ্ঞান দিবেন। কি করছো? পাগল নাকি? এমন করোনা। blah blah blah….
নীড় ১টা বাকা হাসি দিলো। মেরিন খানিকটা অবাক হলো।
.
নীড় : এখানে অস্ত্র দেখে মনে হচ্ছে যে তুমি অস্ত্রবিদ্যায় বেশ পারদর্শী। এখানে প্রায় সবই আছে কিন্তু তীর-ধনুক নেই।
মেরিন : বোরিং…
নীড় : কতোদূর থেকে shoot করতে পারো? বা ছুরি ছুরতে পারো?
মেরিন : মানে?
নীড়: ২হাত একসাথে use করতে পারো?
মেরিন : 🙄
নীড় ২হাতে ২টা ছুরি নিয়ে পিছে গেলো।
নীড় : কোথায় নিশানা লাগাতে হবে?
নীড়ের কর্মকান্ড দেখে মেরিন বুঝতে পারছেনা ।
নীড় : বলো।
মেরিন : হৃদপিন্ড বরাবর….
নীড় : ok…..
নীড় যথেষ্ট দূরে দারিয়ে ১বার ২জনের দিকে তাকিয়ে উল্টা ঘুরে গেলো। এরপর ওখান থেকে ২জনের বুক বরাবর ছুরি ছুরলো।
মেরিন : 😱।
.
নীড় মেরিনের সামনে গিয়ে ওর বন্ধ করলো।
নীড় : বলেছিনা আমি তোমার থেকেও dangerous …. আমার রাগের কারনেই নীরা আমার শত্রু হয়েছিলো। আমার রাগের জন্যেই হাজারো দুশমন আছে। আমার রাগের জন্যেই আমাকে abroad পাঠানো হয়েছিলো। class 8 এ ১জনের হাত কেটে ফেলেছিলাম। আমার হাতের থাপ্পরে নিশ্চয়ই বুঝেছো যে মাইরের হাতটা কতো শক্ত। মারামারি , অস্ত্র চালানো ছেরে দিয়েছি মাত্র। ভুলে যাইনি। মামনি অনুরোধে বিরত আছি। হিংস্র আমিও। ছুরি দিয়ে তো যেমন তেমন… এই হাত দিয়ে বুকটা চিরে হৃৎপিন্ডটা বের করার ক্ষমতাও আছে। so baby… underestimate me…. actually i am your hubby….
মেরিন: ….
নীড় : কি হলো?
মেরিন: কিছুনা।
নীড়: এখন কি এদের বুক চিরতে হবে?
মেরিন: থাক আপনার হাত আর নতুন করে রক্তাত্ব করতে হবেনা।
নীড় : নাহ চলো আজকে ২জন মিলে একেকটাকে ফাটাই। ধংব্সের খেলা খেলি।
খেলবে?
নীড়কে বড্ড অচেনা লাগছে মেরিনের।
.
জন: আপনারা ২জনই এখন বাসায় চলে যান please ….
নীড় : না গো । তোমার ম্যামের কথা ফেলি কি করে?
জন : স্যার please …
নীড় : হামম। চলেন ম্যাডাম বাসায় চলেন।
মেরিন যাবে কি? ও তো নীড়কেই দেখে যাচ্ছে।
চলবে….