ঘৃণার মেরিন
part : 13
Writer : Mohona
মেরিনের জ্ঞান ফিরলো। চোখ মেলে দেখে সবাই দারিয়ে আছে। জনও।
নির্বন: মামনি ও মামনি…… তুমি ঠিক আছো?? মামনি আমি তোমাকে আর কোনো প্রশ্ন করবোনা মামনি। sorry মামনি…….
মেরিন: সবাই please একটু বাইরে যাবেন??? আমি ভাইয়ার সাথে একটু কথা বলবো। বাবুই পাখি তুমিও যাও।
সবাই বাইরে গেলো।
মেরিন: ততততুমিও ননননির্বনকে বলেছো যে mr. chowdhuri ওর বাবা…..
জন:…..
মেরিন: কককিছু জিজ্ঞেস ককককরেছি ভভভাইয়া ততততোমাকে…..
জন:হামমম।
মেরিন: ততততুমি কিভাবে পপপারলে ববববলতে?
জন: ক্ষমা করে দে রে বোন আমার…..
মেরিন: তোমার ওপর তততো আমার কককোনো রাগই নননেই ভভভাইয়া। তুমি তো আমার ভভভাইয়া। আমমি কককেবল ততততোমাকে জজজিজ্ঞেস কককরলাম। যাই হোক এখন আমি নির্বনকে নিয়ে কোলকাতা চলে যেতে চাই। তুমি যযযেভাবেই হোক ব্যাবস্থা করো।
নীড় : পারবেনা তো…….
মেরিন: আআপনি….
নীড়: any doubt ……
মেরিন ভয়ে জনের হাতটা শক্ত করে ধরলো।
.
নীড়: তোমার ভাইয়া কেন কেউ পারবেনা এখন তোমাকে আমার থেকে আলাদা করতে। এরপরও যদি তুমি আলাদা হতে চাও তবে….. আরে আমি মুখে বলছি কেন?
নীড় কতোগুলো পেপার মেরিনের হাতে দিলো। মেরিন দেখলো যে এগুলো সেই পেপার যেগুলোর মধ্যে জন ওর signature নিয়েছিলো। মেরিন ওগুলো পড়লো। আর পড়ার সাথে সাথেই ওর হাত থেকে পেপারগুলো পরে গেলো। কারন পেপারগুলোর মধ্যে প্রথম টাতে আছে যে ও আবার আড়াল থেকে মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী হলো। কবির ফয়সাল খান & কনিকা খানের মেয়ে। নীড় মেরিন আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের স্ত্রী। পরের পেপারে আছে যে মেরিন কখনোই নীড়কে divorce দিতে পারবেনা। বা আলাদা হতে পারবেনা। তবুও যদি আলাদা হতে চায় তবে নির্বনকে ওর বাবা নীড়ের কাছে দিয়ে নির্বনের ওপর থেকে সব অধিরার ছেরে দিয়ে চলে যেতে হবে। মেরিন কাগজগুলো পড়ে ১বার জনের দিকে তাকালো। জন মাথা নামিয়ে ফেলল।
নীড়: ৯বছর আগে এমন ধরনের contract এ আমার signature নিয়ে তুমি আমাকে তোমার করেছিলে। আমার স্ত্রী হয়েছিলে। আর আজকে ৯বছর পর আমি এই পেপারে তোমার signature নিয়ে তোমাকে আমার করে নিলাম। তোমার স্বামী হলাম। নিজের সাথে বেধে নিলাম।
মেরিন: আপনি বববোধহয় ভুলে গগেছেন যে নীড়-মেরিনের divorce হয়ে গেছে ৮বছর আগে।
নীড়: আমি কিছুই ভুলিনি। তুমি ভুলে গেছো যে ১জনের signature এ কিছুই হয়না। ২জন signature করলে তবেই divorce হয়।
মেরিন: পেছন থেকে ছুরি মারার স্বভাব আপনার কখনোই যাবেনা।
নীড়: যেটা তুমি মনে করো।কিন্তু শুধু এটা মনে রেখো যে তুমি আমার। শুধুই আমার। তুমি আর নির্বন আমার। আমার পরিচয় এটা নয়যে আমি নীড় মেরিন আহমেদ চৌধুরী বর্ষন। আমার পরিচয় হলো আমি মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরীর স্বামী আর নির্বন আহমেদ খান চৌধুরীর বাবা। তোমার স্বামীতো তাই তোমার মতো করেই তোমাকে আমার করে নিলাম।
মেরিন: আমি কাউকে ছলনা করে নিজের করিনি। আমি যা করি সামনা সামনি করি।
নীড়: তবে সেদিন ছলনা করে কেন আমার জীবনের সুখ নিয়ে চলে গিয়েছিলে? জীবনের রং নিয়ে গিয়েছিলে?
মেরিন: আমি কারো কখনোই নেইনা। ১জনকে নিজের ভেবে নিয়েছিলাম। কিন্তু সেও অন্যেরই প্রমান হলো। তাই যার জিনিস তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। আর কেবল মাত্র নিজের জীবন নিয়ে চলে গিয়েছিলাম।
নীড়: না। নির্বন শুধু তোমার না। আমারও। নির্বন আমাদের আর তুমি শুধুই আমার। আজীবন আমরা একসাথে থাকবো।
মেরিন:আপনি নির্বনের বাবা হতে পারবেন কিন্তু কখনোই নির্বনের মায়ের স্বামী হতে পারবেন না।
নীড়: নির্বনের মায়ের ভালোবাসা আমি।
মেরিন: ছিলেন। এখন আপনি তার অতীতে করা ভুল।
নীড়: ভুল নাকি ফুল সেটা সময়ই বলবে। ভুলকে ফুলের মালা করে আবার গলায় জরাবে । নির্বনের মা আবার নির্বনের বাবাকে ভালোবেসে মেনে নিবো।
যাই হোক এখন আমার ছেলেকে বলো যে আমি ওর বাবা…..
যদি তুমি আপসে না মানো contract তবে আমি আদালতে যাবো। নির্বনকে আমার সাথে share না করলে নির্বনকেও হারাবে।
.
মেরিনের মধ্যে আর কোনো কিছু হারানোর শক্তি নেই। আর ও জানে যে ওর ভাগ্য ওর প্রতি এতোটাই নির্মম যে হয়তো নির্বনকেও কেরে নিবে। আর ও এখন সেই মেরিন নেই যে নির্বনকে নিজের করে রাখতে পারবে। যখন power ছিলো তখনই তো নিজের ভালোবাসাকে মনের খাচায় বন্দী করে রাখতে পারেনি। আর এখন তো নিঃস্ব। তাই মেরিন দরজা খুলে নিচে গেলো। নির্বন ছুটে এলো।
নির্বন: মামনি….. তুমি ঠিক আছো?
মেরিন: হামম। বাবাই মামনি তোমাকে ১টা কথা বলতে চাই।
নির্বন: কি কথা?
মেরিন: এই কথাই যে তোমার মামা সত্যি কথাই বলছিলো যে ওই uncle টাই তোমার বাবা….
নির্বন: সত্যি মামনি??☺️☺️😇😇🥺🥺।
মেরিন: হামম।
নির্বন: আমি আমার বাবার কাছে যাই?
মেরিন: যাও।
.
নির্বন বাবা বলে দৌড়ে নীড়ের কাছে গেলো। নীড়ও ছেলেকে বুকে জরিয়ে নিলো। কেদে দিলো নীড়।
নির্বন: বাবা তুমি কি কাদছো?
নীড়: নারে বাবাই….. এটা তো খুশির কান্না। তুমি আবার আমাকে বাবা বলে ডাক দাওনা সোনা।
নির্বন: বাবা…..
নীড়: আবার…..
নির্বন: বাবা।
নীড়: আবার বলো।
নির্বন: বাবা বাবা বাবা…….
নীড়:বারবার বাবা বলতেই থাকো বাবাই।
নির্বন: বাবা বাবা বাবা আমার বাবা।
নীড় নির্বনকে কোলে নিয়ে সারা বাড়ি ঘুরতে লাগলো।
নীড়: বাবা…. আমিও বাবা হয়েছি বাবা। আমিও বাবা হয়েছি। আমারও সন্তান আছে বাবা। আমারও support আছে বাবা। আমারও ছায়া আছে বাবা।
নীড়ের আনন্দ দেখে সবার চোখে পানি চলে এলো। নীড় এমনভাবে নির্বনকে নিয়ে আনন্দ করছে যে নির্বন খিলখিল করে হাসছে। ছেলের হাসি দেখে বাবাও খিলখিল করে হাসছে। বাবা-ছেলের হাসি সারা চৌধুরী বাড়িতে বাজছে। ৮টা বছর পর এই বাড়িতে হাসির শব্দ পাওয়া গেলো।
.
রাতে……
সবাই নিচে বসে একসাথে নির্বনকে আড্ডা দিচ্ছে। কিন্তু মেরিন একা একা বারান্দায় দারিয়ে তারা দেখছে। সারাটাদিন কিছুই খায়নি মেয়েটা।
নীলিমা: দেখেছো কথা বলতে বলতে ১০টা বেজে গেলো। রাতে কিছু খাওয়ার ইচ্ছা নেই নাকি??
নীড়: যা ক্ষুধা লেগেছে না মামনি। তুমি টেবিল সাজাও আমি আর নির্বন মিলে মেরিনকে ডেকে নিয়ে আসছি। চলো বাবাই…..
নির্বন: চলো বাবা।
নীড় নির্বনকে কোলে নিয়ে সিরি দিয়ে উঠছে।
নির্বন: জানো বাবাই আমি damn sure যে মামনি এখন বারান্দায় দারিয়ে শুকতারার পাশে ঝলমলে তারাটা দেখছে।
নীড়: তাই বুঝি? কিভাবে বুঝলে?
নির্বন: কারন যখন আমি ঘুম থাকি তখন মামনি সেটাই দেখে। কেন বলো তো??
নীড়: কেন?
নির্বন: কারন ওই তারাটা হলো বড়বাবা। মানে মামনির দাদুভাই।
নীড়ের মনে পরলো সেইদিনের কথা। যেদিন ও মেরিনকে এই কথাটা বলেছিলো। নীড় মুচকি হাসলো।
নির্বন: হাসছো যে বাবা……
নীড়: কিছুনা। আচ্ছা বাবাই শোনো আমরা গিয়ে মামনিকে যদি বলি যে আসো খেয়ে নাও তাহলে মামনি খাবেনা। কারন মামনি কোলকাতাকে ভীষন miss করছে। না করবে। তারমধ্যে দুপুরেও কিছু খায়নি মামনি।
নির্বন: তাহলে…..
নীড়: শোনো তোমাকে কি করতে হবে? …..
.
বাপ-বেটা গিয়ে দেখলো যে সত্যি মেরিন আকাশের তারা দেখছে। নির্বন দৌড়ে গিয়ে মামনি বলে মেরিনকে জরিয়ে ধরলো। মেরিন চোখের পানি মুছে ছেলের দিকে ঘুরলো। মেরিন নির্বনকে কোলে নিয়ে কপালে ১টা চুমু দিলো। নীড় মেরিনের চোখ ঠিকই বুঝতে পারলো যে মেরিন কাদছিলো।
নির্বন: চলো মামনি dinner করি নেই।
মেরিন: এখনো করোনি?
নির্বন: উহু। তুমি রাতে না খাইয়ে দিলে কখনো কি আমি খাই?
মেরিন: আচ্ছা চলো তোমাকে খাইয়ে দিবো।
নির্বন: তুমি খাবেনা?
মেরিন: না বাবাই মামনির ক্ষুধা লাগেনি।
নির্বন: মানে কি? তুমি খাবেনা কেন?
মেরিন: এমনিতেই বাবাই।
নির্বন: তুমি না খেলে আমিও খাবোনা।
নীড়: বাবাই চলো বাবা তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছি।
নির্বন: না। আমি রাতে শুধু মামনির হাতে খাই। আর দুপুরে তো তোমার হাতে খেলামই। এখন থেকে রাতে মামনির হাতে আর দুপুরে তোমার হাতে। আর তার থেকেও বড় কথা মামনি না খেলে আমি খাবোনা খাবোনা খাবোনা।
নীড়: আহ বাবাই মামনি না খেলে পরে খেয়ে নিবে। চলো আমরা খেয়েনি।
নির্বন : না না না। মামনি না খেলে আমি খাবোনা।
মেরিন বেশ বুঝতে পারছে যে এসব নীড়ের কার্সাযি।
আর ও নির্বনকেও চেনে। ও না খেলে নির্বন ১ফোটা পানিও খাবেনা। অনেক জেদী। মেরিন আর নীড়েরই তো ছেলে। ওর জেদ হবেনা তো কার জেদ হবে? নীড় মিটিমিটি হাসছে।
নীড়: তোমার না ক্ষুধা লেগেছে বাবা……
নির্বন: লাগুক। তবুও আমি খাবোনা।
মেরিন: আচ্ছা ঠিকাছে চলো তোমাকে খাইয়ে দিয়ে আমি খাবো। চলো।
নীড়-নির্বন-মেরিন একসাথে সিরি দিয়ে নামছে। একদম perfect পরিবার লাগছে। বাকিরা তাকিয়ে আছে।
.
টেবিলে……
মেরিন নির্বনকে খাইয়ে দিচ্ছে।
নির্বন: মামনি তুমি খাও।
মেরিন: এই তো তোমাকে খাইয়ে তারপর খাবো।
নির্বন: না এখনই খাবে। না হলে আমি খাবোনা।
মেরিন: আহা নির্বন….. জেদ করে না। এখন তো আমি তোমাকে খাওয়াচ্ছি। তো আমি কিভাবে খাবো বলো তো?
নির্বন: কেন বাবা খাইয়ে দেবে তোমাকে……
মেরিন: নির্বন। চুপচাপ খাও বলছি।
নির্বন: না আমি খাবোনা….
নীড়: নিজের জেদের জন্য বাচ্চা ছেলের খাওয়া বন্ধ করার কোনো মানে হয়না।
অনেক জোরাজোরি করার পর মেরিন রাজী হলো। মেরিন নির্বনকে খাইয়ে দিচ্ছে আর নীড় মেরিনকে। নিহাল চুপিসারে দৃশ্যটা বন্দী করে নিলো।
.
২ঘন্টাপর…..
মেরিন নির্বনকে বুকে নিয়ে ঘুম পারাচ্ছে। সারাদিন অনেক আনন্দ করায় সাথে সাথেই নির্বন ঘুমিয়ে গেলো। সেই তখন থেকে নীড় মেরিনের দিকে তাকিয়ে আছে। মেরিন খেয়াল করলেও ignore করলো। মেরিন নির্বনকে খাটে শুইয়ে দিয়ে নিচে বিছানা করে শুয়ে পরলো। সাথে সাথেই নীড় ওর পাশে গিয়ে শুয়ে পরলো।
নীড়: হামম ideaটা ভালোই…. নির্বন ওপরে ঘুমাবে আর আমরা এখানে….. romance করবো। 😍😍😍। এতোক্ষন তো ছেলেকে ঘুম পারালেই। এখন ছেলের বাবাকে ঘুম পারাও। সে যে ৮টা বছর ধরে ঘুমায়না।
মেরিন বিরক্ত হয়ে উঠে বারান্দায় চলে গেলো।
.
নীড় গিয়ে পেছন থেকে মেরিনকে জরিয়ে ধরলো। ঘারে মাথা রাখতেই মেরিন নীড়কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো।
মেরিন: stay in your limit….. আমি আমার ছেলেকে ছারা থাকতে পারবোনা। আর শুধুমাত্র তাইজন্যেই বাধ্য হয়েই আমি এখানে আছি। তার সসুযোগ নননেয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনি নির্বনের বাবা। ভালো কথা। কিন্তু আমার স্বামী হওয়ার চেষ্টা করবেন না। আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানিনা। আর না আপনার সাথে বিয়েটা মানি।
নীড়:🤣🤣🤣।। same dialogue same situation আমরা আগেও face করেছি। তবে মানুষ ঘুরে গেছে। ৯বছরআগে এই কথা গুলোই আমি তোমাকে বলেছিলাম। আর আজকে তুমি বলছো। না ৮বছর আগে এই কথার মানে ছিলো আর না আজকে আছে। আমাদের বিয়েকে অস্বীকার করার ক্ষমতা আল্লাহ ছারা কারো নেই। তোমার আমারও নেই। তুমি চাইলেও তোমাকে আমার সাথে থাকতে হবে। আর না চাইলেও। তুমি মানো আর না মানো তুমি আমার বউ। এটাই সত্য।
মেরিন: বউ🤣🤣🤣🤣।
বলেই মেরিন চলে যেতে নিলো। নীড় মেরিনের হাত ধরে ফেলল। ওকে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে
বলল: হ্যা বউ। সব গল্পেরই এপিঠ ওপিঠ থাকে। তেমনি আমাদের গল্পেরও এপিঠ ওপিঠ আছে। আমার দিকের পিঠের সত্য তুমি জানোনা। আমি আজকে তোমাকে সেই সত্যটা জানাবো। ৮বছর আগে…. সেদিন তুমি যা দেখ……
মেরিন নীড়কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো।
মেরিন: আমি কোনো সত্য জানতে চাইনা। আমার জীবনের একমাত্র সত্য আমার ছেলে। আর কোনো কিছু আমার জানার নেই।
নীড়: কিন্তু আমি তো তোমাকে জানাবোই।
মেরিন: আমি শুনবোনা। নির্বনের ওপর কোথাও না কোথাও আপনার অধিকার আছে। কারন ছলনার হলেও সে মুহুর্ত গুলো সত্য ছিলো। তাই biologically আপনি নির্বনের বাবা। তাই আপনি ওর সাথে থাকতে পারবেন। আপনার বাড়িতে ও থাকবে। কিন্তু ওর যাবতীয় সব খরচ আমি দিবো। এগুলো শুধুই আমার অধিকার।
নীড়: কিন্তু ও আমাদের ছেলে।
মেরিন: আমি আর আপনি কখনোই আমরা হতে পারবোনা।
নীড়: মেরিন….. তুমি…..
মেরিন: যে মেরিনকে আমি ৮টা বছর আগে জীবীত কবর দিয়েছি সেই মেরিন নামের প্রলয়কে আর জীবীনদান করবেন না।
মেরিন গিয়ে শুয়ে পরলো।
নীড়: আমি তো আমার সেই ভয়ংকর মেরিনকেই চাই। যাকে ভালোবেসেছিলাম। আমি কোনো অসহায় মেরিনকে ভালোবাসিনি……
নীড় ভেতরে গিয়ে মেরিনকে কোলে তুলে নিয়ে খাটে শুইয়ে বুকের একপাশে নির্বন আর অন্যপাশে মেরিনকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো। মেরিন ছোটার হাজার চেষ্টা করেও পারলোনা।
.
পরদিন…..
সকালে….
নীড় ঘুম থেকে উঠে মেরিনকে ওর আগের style এ good morning kiss করে নিলো।
.
একটুপর….
মেরিন নির্বনকে ready করিয়ে নিজেও ready হয়ে নিলো।
নীড়: ওকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছো?
মেরিন: স্কুলে ভর্তি করাতে।
নীড়: ওর ভর্তি হয়ে গেছে।
মেরিন: মানে??
নীড়: ভর্তি মানে ভর্তি। আমার ছেলেকে best school এ admit করিয়েছি। যেদিন এখানে এসেছি সেদিনই। after all , খান & চৌধুরী empire এর আপাদত একমাত্র সম্রাট বলে কথা।
নির্বন: বাবা আপাদত একমাত্র সম্রাট মানে কি?
নীড়: সম্রাট মানে কি??
নির্বন: emperor ….
নীড়: good boy…. আপাদত একমাত্র মানে হলো খুব তারাতারি মামনি আর বাবা মিলে নির্বনের জন্য ১টা cute ছোট আপুমনি যার নাম কিনা নিরাম তাকে আনতে চলেছি। যে নির্বনকে ভাইয়া ভাইয়া বলে ডাকবে।
নির্বন: সত্যি?
নীড়: হামম। তিন সত্যি।
নির্বন: আচ্ছা বাবা আপুমনির নাম নিরাম কেন?
নীড়: তোমার মামনির নাম কি?
নির্বন: আড়াল।
নীড়: না বাবা মামনির আরো ১টা নাম আছে। সেটা হলো মেরিন। Marin…. আর এই ইংরেজীতে Marin নামটাকে উল্টে দিলে কিহয়।
নির্বন: N I R A M…..
নীড়: বানান করো।
নির্বন: নিরাম।
নীড়: good … তো নিরাম মানে হলো তোমার মামনির নামের উল্টোটা। যেখানে তোমার মামনি আর আমি ২জনই আছি।
নির্বন: মজার তো…….
নীড়: now give me a high five…..
নির্বন দিলো।
নীড় :good boy…. now go… দাদুভাই আর নানাভাই তোমার জন্য wait করছে। নির্বন দৌড়ে চলে গেলো।
.
মেরিন জানে নীড়ের কথায় এখন react করলে নীড় আরো পেয়ে বসবে। তাই react না করে নিজের সকল certificate , আর অন্যসব কাগজপত্র গোছগাছ করছে। তখন ধাম করে নীড় মেরিনকে কোলে তুলে নিলো।
মেরিন: আরে কি করছেন কি?? নামান…..
নীড়: বারে আমি মেয়ের বাবা হবোনা??
মেরিন: কল্পনাও করবেন না।
নীড়: আরে আমি এখনের কথাই বলেছি নাকি? তবে ১দিন না ১দিন তো হবোই।
মেরিন: আপনার নিরার কাছে যান।
নীড়: ok… but আত্মাদের কি baby হয়??🤔🤔🤔।
মেরিন: আত্মা মানে?
নীড়: মানে অনেক কিছু। সময় নিয়ে বলবো। যেদিন তুমি শুনতে চাইবে….
তখন নির্বনের আসার আভাস পেয়ে নীড় মেরিনকে নামিয়ে দিলো।
.
নির্বন: মামনি…..
মেরিন: হ্যা বাবাই।
নির্বন: আজকে নাকি আমরা নানুৄবাসায় যাবো। নানাভাই বলল।
মেরিন: না সোনা…. তোমার না তো নানাভাই আছে। আর না নানুবাসা । তাই তুমি যাবেনা। মামনি এখন বের হচ্ছি। একটুপরই চলে আসবো। ততোক্ষন good boy হয়ে থাকবে।
নীড়-নির্বন: কোথায় যাবে?
মেরিন: মামনি এখন জবের জন্য যাচ্ছি।
নির্বন: কিসের জব??
মেরিন: মামনি আগে কিসের জব করতাম? ডাক্তারের তাইনা।
নির্বন: তুমি কোলকাতা যাবে?
মেরিন মুচকি হেসে বলল: না রে বোকা । ঢাকারই কোনো hospital এ। now give me a আপ্পা…..
নীড়: অন্য হসপিটালে কেন জব করবে? ২বাবা মিলে তোমার নামের ১টা হসপিটাল করেছে তুমি সেখানের MD হবে।
মেরিন: আপনার বাবাদের হসপিটালে আমি কেন MD হবো? তারা আপনার বাবা। আমার না। আমি এতিম। অনাথ।
নীড়: মেরিন ১টা ছোট বাচ্চার সামনে।
মেরিন: ও আমার ছেলে। আমি ওকে সেই বাস্তব পৃথিবীর সাথে পরিচিত করতে চাই। সবাইকে সম্মান করতে শিখিয়েছি, ঘৃণার বদলেও ভালোবাসতে শিখিয়েছি কিন্তু সাদা কে সাদা আর কালো কে কালো হিসেবেই দেখতে বলেছি। আমি চাইনা আমার ছেলে আমার মতো ভুল করুক। ভুলকে ফুল ভাবুক। কিন্তু সবটাই যেন ভালোবাসা দিয়ে করে।
নীড়: মেরিন তুমি…. নির্বন বাবা একটু নানাভাইয়ের সাথে খেলা করো।
নির্বন চলে গেলো।
.
নীড়: তুমি…
মেরিন: নীড় আমাকে আমার মতো থাকতে দিন।
নীড়: যাই হোক। তুমি MD নাই বা হলে জবই করো। but আমাদের হসপিটালেই করো।
মেরিন: না। আমি গরীব হলেও ভিখারী নই। আমি কারো ভিক্ষা নেই না। নিজের দক্ষতায় চাকরি করবো।
নীড়: আমার ১টা ফোন তোমার জন্য সব দরজা বন্ধ করে দেবে।
মেরিন: আমার তো সকল দুয়ার আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। যাও নতুন ১টা দরজা খুলেছিলো তাও বন্ধ করে দিয়েছে। #ঘৃণারমেরিন থেকে ভালোবাসার আড়াল হয়েছিলাম। তাও কেরে নিলেন।
বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো।
নীড়: আমার মনে তোমার জন্য কোনো ভালোবাসাই ছিলোনা। ঘৃণা ছিলো। তবুও তোমার ভালোবাসার কাছে হার মেনেছিলাম। এখন আমার ভালোবাসার কাছে তোমারে হারতে হবে। আর তোমার মনে তো আমার জন্য আগে থেকেই ভালোবাসা আছে। তাই আমি পারবো ইনশাল্লাহ। তোমাকে আমি গত ৮বছরের দুঃখের কথা শুনিয়ে তোমার ভালোবাসা আদায় করবো না। আমি ভালোবেসে তোমার ভালোবাসা আদায় করবো । তুমি তোমার অতীত আড়াল করেছিলে আমার কাছে। তেমনি আমিও এই ৮বছর আড়াল করবো। অভিমান কে হারিয়ে ভালোবাসাকে জিতাবো। নিজেকে কথা দিলাম।
নীড় কাউকে ফোন করলো।
.
ওদিকে…..
মেরিন ঢাকা মেডিকেলে apply করলে সেখান থেকে ওকে সোহরাওয়্যার্দীতে পাঠালো। ও সেখানেই practice করতে পারবে। পরে মন মতো chamber এ বসতে পারবে। মেরিন খুশি হলো। সেই সাথে অবাকও।
মেরিন: এতো সহজেই হয়ে গেলো? mr. chowduri কিছু করেনিতো? না উনি কিছু করলে তো জবটাই হতোনা।
আসলে নীড়ের জন্যেই মেরিন জবটা পেলো। কারন মেরিন ওদের কাহিনি আবার নতুন করে শুরু করতে চায়। ঘটনা যেখানে শুরু হয়েছিলে সেখানেই ফিরতে চায়।
চলবে….