ঘৃণার মেরিন part : 16

ঘৃণার মেরিন
part : 16
writer : Mohona

২দিনপর….
আজকে শুক্রবার। তাই সবাই বাসায়। নির্বন কবির-নিহালের সাথে ঘোড়া ঘোড়া খেলছে। ১বার নিহালের পিঠে চরছে ১বার কবিরের পিঠে। দাদা-নানাও ভীষন মজা করছে নাতি কে নিয়ে। মেরিন ওপর থেকে দেখলো। দেখে বুঝতে পারছে যে কবিরের কষ্ট হচ্ছে তবুও খেলেই যাচ্ছে। মেরিন দৌড়ে নিচে গেলো।
মেরিন: নির্বন….
নির্বন: হ্যা মামনি……
মেরিন: মনি আপু ফোন করেছে। যাও কথা বলে এসো।
নির্বন: মনি আপু??😀😀😀 ।
নির্বন দৌড়ে রুমে গেলো।
কবির: মামনি…..
মেরিন: don’t you dare to call me মামনি। আপনি আমার কেউনা। আমি অনাথ।
কনিকা: মারে ক্ষমার অযোগ্য আমরা তা জানি। কিন্তু সবথেকে বড় সত্যি তো এটাই যে তুই ছারা যে আমাদের আর কিছুই নেই…….
মেরিন: 🤣🤣🤣🤣। কেন আপনাদের প্রানপ্রিয় কলিজার টুকরা…. না না কলিজার টুকরা না পুরো কলিজা নি…..রা কোথায়? মরছে নাকি? wait wait … এমনটা নয় তো সে mr. chowdhuri কে বিয়ে করে খান empire নিজের নামে করিয়ে পালিয়েছে তাই তাকে এখানে দেখা যাচ্ছেনা। যার জন্য mr. chowdhuriএর মেরিনের কথা মনে পরেছে। so called ভালোবাসা। আর তার থেকেও বড় কথা আপনারা খান বাড়ি ছেরে এই চৌধুরী বাড়িতেই পরে আছেন কেন? ভিখারীর মতো?
নীড়: মেরিন…….
মেরিন: চিল্লাবেন না….. আপনি একাই চিল্লাতে পারেন না…….
নীড়: আম্মু-বাবার সাথে এভাবে কথা বলার মানে কি?
মেরিন: আমার মুখ আমি যেকোনো কথা বলতে পারি। আর তাছারাও যে যার উপযোগ্য।
নীড়: তারা ভুল করলেও তারা তোমার মা-বাবা……
মেরিন: না। আমার মা-বাবা নেই। আমি এতিম, অনাথ। এনারা আমার কেউনা……
নীড়: তুমি বোঝার চেষ্টা করো….
মেরিন: আমাকে বোঝাতে আসবেন না। আপনি নিজের কথা ভাবুন। দেখুন আজকে আপনার জন্য কি অপেক্ষা করছে।
নীড়: হ্যাহ….. গত ১০দিন ধরেই তো কিছু না কিছু gift পাচ্ছি তোমার তরফ থেকে। যা মন চায় করো….. কিন্তু বাজীতে আমিই জিতবো। আর আজকের দিনটা special ….. আমার জন্য…… কেন তা হয়তো তোমার জানা নেই……
মেরিন: আজকের দিন কি আর ভোলার নী… mr. chowdhuri…. আজকে যে ছিলো আমার সর্বনাশের ১ম ধাপ….

.

রাতে…….
মেরিন ছাদে দারিয়ে আছে।
মেরিন মনে মনে: আজকের দিনটা যে আমার কাছে খুব special …… আজকের দিনেই আপনি আমাকে ভালোবেসেছিলেন। আপনার জন্য যা খেলার শুরু ছিলো। কিন্তু আমার জন্য তো তা ভালোবাসাই ছিলো……

মেরিন রুমে গেলো। রুমে গিয়ে অবাক হয়ে গেলো। কারন রুমটা খুব সুন্দর করে সাজানো। মোমবাতি-ফুল দিয়ে। তখন নীড় পেছন থেকে ওকে জরিয়ে ধরলো।
নীড়: i m sorry…. তখন তোমার সাথে ওভাবে কথা বলা আমার ঠিক হয়নি।
মেরিন নিজেকে ছারিয়ে নিলো।
মেরিন: আপনার কথা affect করেনা। you are nothing to me…. একি নির্বন কোথায়?
নীড়: আজকে ও মামনি বাবার সাথে ঘুমাবে। গল্প শুনবে।
মেরিন: কেন?
নীড়: কারন আজকে আমি তোমাকে চাই….
মেরিন: shut up…..
নীড়: দেখো আমার ভীষন ক্ষুধা লেগেছে। চলো ২জন মিলে dinner করেনেই। আমি জানি তুমি কিছু খাওনি…. আর আমিও।
নীড় মেরিনকে কোলে নিয়ে সোফায় বসলো।
নীড়: দেখো আমি নিজের হাতে বিরিয়ানি রান্না করেছি। তোমার না আমার হাতের বিরিয়ানি খুব পছন্দের। নাও হা করো……
মেরিন নীড়ের হাত ঝাকি মেরে সরিয়ে দিয়ে উঠে দারালো।
মেরিন: আপনি ভাবলেন কি করে আপনার হাতে বিরিয়ানি আমি খাবো? এর থেকে বিষ খাওয়া আমি বেশি পছন্দ করবো। আর কে জানে যে এই খাবারে বিষ আছে কিনা…..
কথাগুলো নীড়ের বুকে তীরের মতো বিধলো।

.

নীড় খাবার একবার মুখে দিলো।
নীড়: এখন তো আমি আগে মুখে দিলাম। বুঝলে তো এতে বিষ নেই…….
মেরিন:…..
নীড়: আসো খেয়ে নাও।
মেরিন: না আমি খাবোনা।

নীড়: দেখো আজকে নির্বন এখানে নেই। তো আমি যা মন চায় তাই করতে পারি। তুমি যদি না চাও ৮ বছর আগের style এ তোমাকে খাইয়ে দেই তবে তুমি ভালো মতো লক্ষি মেয়ের মতো খাও।
মেরিন নীড়ের কথা কানে না দিয়ে bed থেকে ফুল টুল ফেলে দিয়ে। রুমের মোমবাতি সব নিভিয়ে শুয়ে পরলো।
নীড়: নাহ এই মাইয়া তো জীবনেও শুধরাবে না।
নীড় গিয়ে মেরিনকে টেনে তুলল। এরপর কোলে বসিয়ে গাল চেপে ধরে মুখে খাবার ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে দিলো। এরপর মুখের ওপর হাত রেখে
বলল: চুপ চাপ খাবারটা চিবিয়ে গিলে ফেলো।
মেরিন না তো নরতে চরতে পারছে আর না তো কিছু বলতে পারছে। মেরিন খাবার মুখে নিয়ে বসে আছে। গিলছে না।
নীড়: হায়রে।
নীড় মেরিনের নাক চেপে ধরলো। তাই বাধ্য হয়ে মেরিন মুখের খাবার টা গিলে ফেললো। নীড় এভাবেই মেরিনকে খাওয়াতে লাগলো। সাথে সাথে নিজেও খেলো।

.

একটুপর…..
নীড় ১টা ব্যাগ দিয়ে
বলল: এর ভেতর ১টা শাড়ি আছে। যাও পরে আসো। আর হ্যা এই খোপা টোপা খুলে চুল ছেরে আসবে।
মেরিন নীড়ের হাত থেকে ব্যাগটা নিয়ে আগুনে জালিয়ে দিলো।
মেরিন: বেশি বারাবারি করলে এই ব্যাগটার জায়গায় আপনি জ্বলবেন।
নীড়: আমি তো এখনও জ্বলছি…. আর কতো জ্বলবো?
মেরিন: আপনার bakwas শোনার মতো ফালতু সময় আমার নেই।
নীড়: তুমি যেই ম্যাচ বক্স থেকে আগুন জ্বালিয়েছিলে তাতে আর কয়টা কাঠি আছে দেখো তো….
মেরিন: shut up…..
নীড়: দেখোনা….
মেরিন: 🤬🤬🤬।
নীড়: ok… না করলে তুমি check ……. আমিই করছি।
নীড় ম্যাচ বক্সটা খুলে
বলল: its empty now…. এখন তুমি আর আগুন জ্বালাতে পারবেনা বউ।
নীড় ১টা লাল রঙের শাড়ি বের করে
বলল: আমি জানতাম যে তুমি অমনটাই করবে। তাই খালি ব্যাগটা তোমাকে দিয়েছিলাম baby…..
মেরিন: কাঠি নেই তবে কাচি তো আছে….
নীড়: আগে আমার হাত থেকে তো মুক্তি পাও।

মেরিন জানে যে ও হাজার চেষ্টা করলেও নিজেকে ছারাতে পারবেনা।
নীড়: যাও এই শাড়িটা পরে আসো।
মেরিন:ভাবলেন কি করে আমি ওটা পরবো। ওটার থেকে আমি কাফন পরতে পারলে বেশি খুশি হবো।
নীড়:তাই বুঝি। তাহলে তো তোমাকে এটাই পরতে হবে। যাও পরে আসো।
মেরিন: না।
নীড়: পরো।
মেরিন: না।
নীড়: তুমি পরবে না আমি পরাবো?
মেরিন: ভয় দেখাচ্ছেন? তাও আমাকে?
নীড়:না। সত্যি বলছি। যাও পরে আসো।
মেরিন: না…..
নীড়: আর কোনো উপায় নেই….. বলেই নীড় নিজেই মেরিনকে শাড়ি পরিয়ে দিলো। এরপর চুলের খোপা খুলে দিলো। মেরিনের খোলা চুল দেখে নীড় অবাক হয়ে গেলো। কারন মেরিনের চুল এখন আগের brown & layer cut নেই। এখন মেরিনের চুল কালো মিচমিচে। কোমড় ছারিয়ে গেছে।
নীড় : crush খেলাম….. 😍😍😍।
মেরিন তো ছোটার চেষ্টা করেই যাচ্ছে। পারছেনা। মেরিনের চুল আচরে দিয়ে নীড় মেরিনকে কোলে তুলে বারান্দায় নিয়ে গেলো rocking chare এ বসলো। মেরিনকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে রাখলো।

.

নীড়: আজকে অন্ধকার বিলাস করবো। আমার চাদের সাথে।
মেরিন: দেখুন ভালো হচ্ছেনা। ছারুন..
নীড়:আহা চুপ থাকো তো। let me feel this moment …
মেরিন: আ….
নীড়: আর ১টা কথা বললে কিন্তু তোমার যেটা করতে চাইছিনা সেটা করবো।
মেরিন:🤬🤬🤬।
নীড়: তুমি এই ৮বছর কিভাবে থাকতে পারলে আমাকে ছেরে…… তুমি তো ১টা দিনও আমাকে ছারা থাকতে পারতে না। তোমার তো কোনো সকালই আমার মুখ না দেখে শুরু হতোনা। না কোনো দিন শেষ হতো আমাকে না দেখে। আমার হাত ছারা তো ১টা বেলাও খেতে না….. আমার বুকে না মাথা রাখলে তোমার ঘুম আসতোনা। তোমার অষ্ট প্রহরে তো অষ্ট নীড় আর নীড় ছিলো। সেই আমাকে ছেরে এই ৮টা বছর কিভাবে কাটালে…. আমার কথা কি ১টা বারও মনে পরেনি? তোমার মনে আছে ৮বছর আগেও আমি এই দিনে অন্ধকার বিলাস করতে চেয়েছিলাম।
আচ্ছা মেরিন তোমার তো সেই আড়াইমাস নাটক মনে হয়। তোমার মনে হয় যে আমি ওই আড়াইমাস কেবল তোমার সাথে নাটক করেছি। ভালোবাসিনি….. ১টা বার আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলো তো…… কি দেখতে পাও…..
নীড় মেরিনের মাথাটা তুলে চোখে চোখ রাখলো।
মেরিনের ক্ষমতা নেই নীড়ের চোখ থেকে চোখ সরানোর। কারন এটা ওর দুর্বলতা। তাই মেরিন চোখ বন্ধ করে ফেলল। নীড় আবার মেরিনের মাথা বুকে ঠেকালো।

.

নীড়:এই ৮ বছর আমার জন্য কিয়ামত ছিলো.. তোমাকে সারা পৃথিবীতে খুজেছি।। মন খারাপ হলে তুমি যে শ্মশানে গিয়ে drinks করতে সেখানে কতো রাত কাটিয়েছি তুমি জানোনা…..

নানাধরনের কথা বলতে বলতে নীড় ঘুমিয়ে গেলো। নীড়ের কথাগুলো মেরিনকে অনেক অবাক করলো। নীড় ঘুমিয়ে পরলে মেরিন উঠে আসতে নেয়। নীড়ের শার্টের ওপরের ২টা বাটন খোলা। মেরিন ওঠার সময় নীড়ের বুকের দিকে নজর যায়। সেখানে কিছু লেখা আছে। শার্টটা সরিয়ে অবাক হয়ে গেলো। কারন সেখানে “Marin” লেখা। মেরিনের মাথার ওপর দিয়ে গেলো।

.

সকালে……..
নীড়ের ঘুম ভাঙলো। দেখলো মেরিন নেই। নিচে গেলো। তবুও মেরিনকে পেলোনা। নীড় ভয় পেয়ে গেলো। মেরিন আবার ওকে ফেলে চলে যায়নি তো???

ওদিকে….. মেরিন তলোয়ারবাজী করছে। না কারো সাথে না। নিজের সাথেই। কারন o confused ….. কারন গত রাতে নীড়ের বলা সব কথার মধ্যে ভালোবাসা পেয়েছে।। নীড়ের বুকে ওর নাম লেখা। এসবও কি নাটক? নাকি ভালোবাসা। তাহলে কি সত্যি ওর আড়ালে কিছু আছে?
মেরিন: কোনটা সত্য? সেদিন আমি যা দেখেছিলাম সেটা না কি তারআগের আড়াইমাস? আচ্ছা নিরা কোথায়? ও কি সত্যি পালিয়ে গেছে। কিছুই মাথায় আসছেনা।
নীড়:মাথার দোষ দিয়ে কি লাভ?
মেরিন তাকিয়ে দেখলো যে নীড় তলোয়ার হাতে দারিয়ে আছে।
নীড় এগিয়ে আসতে আসতে
বলল: খেলা দাবার হোক আর তলোয়ারের….. দক্ষ partner এর ভীষন দরকার। না হলে খেলাটা boring হয়ে যায়।
মেরিন নীড়কে cross করে চলে যেতে নিলে নীড় মেরিনের ঘারে তলোয়ার রাখলো।
নীড়: হেরে যাওয়ার ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছো।
মেরিন: হেরে যাওয়া আমার ফিদরতে নেই…..

.

শুরু হয়ে গেলো ২জনের তলোয়ার বাজী।
নীড়: কিসের এতো confusion ……
মেরিন: কোনো confusion নেই।
নীড়: আমাদের সবসময় মনের কথা শোনার দরকার।
মেরিন: মোটেও না। আমাদের মস্তিষ্কের অনুযায়ী চলার দরকার।
নীড়: ভুল। মস্তিষ্ক সফল করতে পারে। কিন্তু সুখী না। মন মানুষকে বাচার কারন দেয়।
মেরিন: নাহ। মন মানুষকে মেরে ফেলে।
নীড়: ভুল। মনের দাবি না মানলে আত্মা মরে যায়।
মেরিন: মনের দাবি পূরন করতে গিয়ে আমি মরে গিয়েছিলাম।

.

২দিনপর……
মেরিন:এতো কিছু করছি তবুও উনি রাগ করছেনা কেন? এখন কিসের নাটক? নিরাকে কোথায় পাবো? পেতেই হবে ওকে। ওই এখন আমার তুরুপের তাস। ওরা কি সবাই আমায় মিলে আমাকে নিয়ে খেলছে ? কিন্তু কেনো খেলবে? আমি তো এদের দাবি মিটিয়ে দিয়েছিলাম। তবে? আর কি চাওয়া থাকতে পারে? এমনটা নয়তো যে নিরা কখনো মা টা হতে পারবেনা। আর তাই ওরা নির্বনকে নিয়ে নিতে চায়। কিন্তু mr. chowdhuri এর বলা কথা। উনার চোখ…. যদি ওদের উদ্দেশ্য আমাকে নিয়ে খেলা হয় তবে আমি ওদের একেকটাকে ধরে ধরে কুপাবো। কিন্তু সবার আগে নিরাকে খুজতে হবে। নিরার গলায় ছুরি ধরলে সবগুলা তোতাপাখির মতো সব বলতে শুরু করবে। তুই যেখানেই থাকিস না কেন নিরা…… আমি তোকে খুজে বের করবোই।
নীড়: পারবেনা……
মেরিন: মানে?
নীড়: খুব সহজ। নিরাকে খুজে পাবেনা।
মেরিন: না শব্দটার সাথে মেরিন পরিচিত নয়।
নীড়:🤣🤣🤣। তাহলে পরিচিত হয়ে নাও।
মেরিন: ওই…. তখন নির্বন রুমে এলো।
নির্বন: মামনি বলেই মেরিনের কোলে এলো। মেরিন বুঝতে পারলো নির্বনের বেশ জ্বর।
মেরিন: একি বাবাই তোমার তো দেখি ধুম জ্বর।
নীড়: দেখি দেখি। oh my god….. এতো অনেক জ্বর।
মেরিন: চলো সোনা মাথায় পানি দিয়ে দিচ্ছি।
রাতভরে নীড়-মেরিন ছেলের জন্য জেগে রইলো।

.

৩দিনপর……
নির্বন সুস্থ হলো। বিকালবেলা সবাই নাস্তা করছে। তখন কেউ একজন নীড় বলে বাড়িতে ঢুকলো। সবাই পেছনে ঘুরে দেখে অবাক। শুধু মেরিন ছারা। কারন এটা নিরা। আসলেই নিরা? নাকি মেরিনের চাল? সবাই দেখে অবাক হয়ে দারিয়ে গেলো । নিরা নীড় বলে দৌড়ে গিয়ে জরিয়ে ধরলো। এরপর
মেরিনকে দেখে ভয় পেয়ে
বলল: মমমেরিন……. নীড় ও কেন…..
মেরিন: no worry…. তোমার সুখের ঘরে আগুন দিতে আসিনি।
নিহাল: এই মেয়ে কে তুমি।
নিরা: আমি নিরা বাবা।
নিহাল: ১ টা থাপ্পর দিবো। তুমি কিভাবে নিরা হতে পারো? নিরা তো ম……
নীড়: বাবা….. ও নিরাই। চোখ মুখ চুল বলে দিচ্ছে যে ও নিরা।
মেরিন মনে মনে: হায়রে আমার পাগল অন্ধ প্রেমি…. চিরকাল চেহারাকেই ভালোবেসে গেলেন। ভালো তো ভালোনা। এখন নিরা আমাকে আসল নিরার কাছে পৌছে দেবে। এরপর নিজের হাতে ওকে সকলের সামনে খুন করবো।
নীড় মনে মনে: আমি জানি না এটা কে জান…… কিন্তু তুমি নিজের মুখেই ২দিনের মধ্যে বলবে ও কে? তোমার চালেই আমি তোমাকে মাত করবো। তবে তুমিও ছলনা করতে পারে দেখে অবাক হলাম।
মেরিন মনে মনে: কখনো কখনো কোনো চোর ধরতে হলে চোরের মতো করে ভাবতে হয়। আবার কখনো নিজেকেই চোর হতেই হয়। আপনাদের সকলের মুখোশটা খোলার জন্য আমি আজকে ছলনার আশ্রয় নিলাম। ছোট ছোট ধামাকা তো অনেক হলো। এবার আসল খেলায় আসি। ২০দিন তো হয়ে আসছে।

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here