চাঁহাত,৩য় পর্ব
আরশিয়া জান্নাত
গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে এগিয়ে চলছে চাঁহাতদের গাড়ি।তাঁর মামাতো বোন নিধির বিয়ে উপলক্ষে গ্রামে যাচ্ছে।চাঁহাত জানলা দিয়ে মাথা বের করে দেখে যাচ্ছে সবুজ প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।মাঠের পর মাঠ,পুকুর আর সারি সারি গাছ।মহান আল্লাহর কি অপূর্ব সৃষ্টি!ঐদিকে চাঁহাতের দাদী এটাসেটা নিয়ে কথা শোনাচ্ছেন দিলারাকে।সিয়াম ও মনের সুখে কানের ইয়ারফোন গুজে বাইরে তাকিয়ে আছে।চাঁহাতের বাবা ওমর ফারুক ল্যাপটপে কাজে মগ্ন।
ঘন্টাখানেক পর তাঁরা পৌছালো মুরাদপুরে।
চাঁহাতের মামা নাহিদ আকরাম দীঘির সামনে ঘাটবাধানো সিঁড়িতে বসে অপেক্ষা করছিল তাঁদের।।গাড়ি দেখেই চিৎকার করে বাড়ির সবাইকে ডাকলো।চাঁহাতের মামী আর মামাতো ভাইবোনেরা সবাই তাঁদের স্বাগত জানাতে চলে এলো।
চাঁহাতের মায়েরা চার ভাই দুবোন।বিয়ে উপলক্ষে সবাই একত্র হয়েছেন।যার ফলে এখনি উৎসব উৎসব ফিল হচ্ছে।সবার সাথে কুশল বিনিময় করে তাঁরা ভেতরে গেল।চাঁহাতের কাজিন- প্রিয়া,তিথি,আঁখি,ঐশি,নিধি,নাদিম,মাসুম,ইশরাক,পলাশ আর পিয়াস।বড় ফ্যামিলির এই এক মজা অনেক মানুষ।চাঁহাতের প্রায় আফসোস হয় তাঁর কেন কোনো ছোট ভাইবোন হলো না।এখানে আসলে অবশ্য সেই আফসোস থাকেনা।।সবাই ওকে অনেক ভালোবাসে।চাঁহাত নানা-নানুর রুমে গিয়ে তাঁদের সালাম করলো।
নানাভাই :বেঁচে থাকো নানুভাই।ভালো আছো তো?
চাঁহাতঃ হ্যাঁ ভালো আছি।তোমরা কেমন আছ? নান্নান তুমি দেখি দিনদিন রূপসী হয়ে যাচ্ছ।আমার নানাভাইকে আর কত পাগল বানাবে হু?
নান্নানঃ ওরে পাঁজি (বলেই কান মলে দিল)
নানাভাইঃ ঠিকই তো বলেছে।বুঝলি নানুভাই তোর নান্নান শেষ বয়সে এসেও তাঁর প্রেমে মত্ত করে রেখেছে আমায়।আমি তো এখন তাঁকে ফেলে মরার ও সাহস পাইনা পাছে অন্য কেউ নিয়ে যায় যদি।হাহাহা
সবাই হাসতে শুরু করলো।হাসি থামিয়ে নান্নান বললো, কিরে হতচ্ছাড়ি মাঝেমধ্যে আসতে পারিস না এই বুড়োবুড়ির কাছে? শহরে পড়ে থাকিস কেন সবসময়?
:কত ব্যস্ত থাকি জানো? আর তোমার মেয়ে আর মেয়ের জামাই কে বলোনা।তাঁদের রুটিনের সাথে আমার রুটিন মেলে নাকি!
:তাও কথা।
🍃🍃🍃🍃
আয়াজ এর সিক্রেট এসিসটেন্ট নাহিদ দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে ঢাকা ইউনিভার্সিটির সামনে।হাতে থাকা ছবির মেয়েটার খোঁজে।এতো মানুষের ভিড়ে সবার চেহারা দেখেই যাচ্ছে কিন্তু সেই মেয়ের খবর নেই।ঐদিকে আয়াজ একটু পরপর ফোন করে খবর নিচ্ছে।তিন দিন ধরে খুঁজে যাচ্ছে অথচ এমন চেহারার মেয়েকে পাওয়াই যাচ্ছে না।আচ্ছা কোনো ভুল ইনফরমেশন দিলো নাতো?
আয়াজের মাথা প্রচুর গরম।সে তার অপরিচিতাকে পেয়েও পাচ্ছেনা।এটাই তাঁর অপরিচিতা কি না কনফার্ম হওয়ার জন্য সরাসরি দেখা হওয়া অনেক জরুরি।এতে যদিও অনেক রিস্ক আছে।কি করবে কিছুই বুঝতে পারছেনা।মাঝেমধ্যে আয়াজের মনে হয় সে যদি সাধারণ মানষ হতো জীবনটা খুব সহজ হতো।পাবলিক ফিগারদের জীবনটা আসলেই দূর্বিষহ।চাইলেই যেখানে সেখানে যাওয়া যায়না।
বিশাল বড় এক গামলায় ভাত তরকারি নিয়ে বসেছেন চাঁহাতের নান্নান মনোয়ারা।যখনই তার সব নাতি নাতনী একত্রিত হয় তিনি সবাইকে একসঙ্গে মুখে তুলে খাইয়ে দেন।সবাই গোল হয়ে বসে থাকে তিনি মাঝখানে মোড়ায় বসে সবার গালে খাবার তুলে দিতে দিতে গল্প করেন।যদিও সবাই মোটামুটি বড় হয়ে গেছে তবুও কেউ এটা মিস করেনা।চাহাতের দাদী ফাতেহার অবশ্য এসবে আগ্রহ নেই।।এতোগুলো মানুষকে মুখে তুলে খাওয়ানো বাপ্রে এই মহিলার ধৈর্য আছে!
নাতনির মধ্যে সবার বড় নিধি।চেয়ারম্যান বাড়ির প্রথম মেয়ের বিয়ে বলে কথা।সবকিছুতে আলাদা জাঁকজমক।বিয়ের এক সপ্তাহ আগেই পুরো বাড়ি লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে।চাঁহাত বেশ আগ্রহ নিয়ে সবকিছু দেখছে।এখানে আসার পর থেকে সে এক মুহুর্ত ও একা হবার সুযোগ পাচ্ছেনা।আড্ডাগান হৈ হুল্লোড়ে দারুণ সময় কাটছে তাঁর।
চাঁহাতের সবচেয়ে পছন্দ বাড়ির পেছনের দীঘির ঘাট।বিশাল বড় এই দীঘি তাঁর নানার বাবার আমল থেকে আছে।সব বোনেরা মিলে এখানে বসে কচি লাউয়ের ভর্তা বানিয়ে খাচ্ছে।লাউ কুচি করে লবণ-মরিচ, তেঁতুল আর আচারের তেল দিয়ে এতো মজার ভর্তা আগে কখনো খায়নি ও।
প্রিয়াঃ শোন সবাই ,আপুনীর বিয়েতে আমরা সবাই এক রকম শাড়ি পড়বো এটা আগে থেকেই ঠিক করা আছে।সবার শাড়িও আনা হয়ে গেছে।সমস্যা হলো আমরা কাঁচা ফুলে সাজবো নাকি আর্টিফিশিয়াল ফুলের গয়নাতে?
আঁখিঃ গয়না বলতে আমরা সবাই কাঁচা ফুলের টিকলি আর কানের দুল পড়বো।আর কিছু না।
তিথিঃ না না শাড়ির সাথে এতো সিম্পল হবেনা।থ্রিপিস হলে ওটা ভালো লাগতো।গলা খালি ভালো লাগবেনা।
ঐশিঃ হ্যাঁ একদম ঠিক।চৈতির বিয়েতে সবাঈ থ্রিপিস পড়েছিল আর এই সাজ দিয়েছে।।এটা বাদ অন্য আইডিয়া দে।
প্রিয়াঃতাহলে আর্টিফিশিয়াল গয়না? সবার চুলে থাকবে রজনীগন্ধা আর গোলাপের মালা।শুধু নিধিকে সম্পূর্ণ কাঁচাফুল দিয়ে সাজানো হবে।
প্রিয়ার আইডিয়া সবার পছন্দ হলো।
চাঁহাতঃ সব তো বুঝলাম কিন্তু আমি কি করবো।আমি আজ পর্যন্ত শাড়ি পড়িনি।গয়নাগাটি তো অনেক দূর।
নিধি হেসে বললো, আগে পড়িস নি তো কি হয়েছে এবার পড়বি।এই পরিবারে সবে তো বিয়ে শুরু হলো।এই লম্বা লাইনের সবার বিয়েতে এসব পড়তেই হবে।
চাঁহাত শুকনো একটা হাসি দিলো।
🍃🍃🍃
আয়াজ আহমেদ কে ক্যাম্পাসে দেখে মোটামুটি বড়সড় ভীড় জমে গেছে।সবাই আয়াজ আয়াজ করে চিৎকার করছে।মেয়েরা তো সব হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।নাতাশা সেই ভীড়ের একদম সামনে।ইশ সে যদি আগে থেকে জানতো ভালোমতো সেজেগুজে আসতো।তাঁর অজু বেবী তাঁর চোখের সামনে ভাবতেই কেমন মাথা ঘুরে আসছে।দিপু তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে আছে,ভীড়ে সেইফটি দিতে।ইরা আর নীলয় দূর থেকে দাঁড়িয়ে সেসব দেখছে আর হাসছে।সাথে ছবিও তুলে নিচ্ছে চাঁহাত কে দেখানোর জন্য।
আয়াজ এর পিএ মেরাজ মনে মনে ভীষণ বিরক্ত হলো।স্যার কে কতো করে বললো এখানে আসার দরকার নেই। বিনা এনাউন্সমেন্টে এসে কি বিড়ম্বনায় ই পড়তে হচ্ছে!!
আয়াজের অবশ্য এসবে কোনো মাথাব্যথা নেই।সে অস্থিরতা নিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে পারছিল না বলেই চলে এসেছে।মেরাজ কে বলে প্রিন্সিপাল এর সঙ্গে মিটিং এর ব্যবস্থা করলো।
আয়াজঃ আস্সালামু আলাইকুম স্যার।দুঃখিত আমি আপনাকে এমন হুট করে এসে ডিস্টার্ব করছি।
প্রিন্সিপালঃ ওয়ালাইকুম আস্সালাম।কি যে বলো তুমি! তুমি এতো বড় স্টার তার উপর এই ভার্সিটির এক্স স্টুডেন্ট তোমার ইচ্ছে হলেই আসতে পারো এখানে।
: কিন্তু স্যার আমি এখানে এসেছি একটা বিশেষ কাজে।আশা করছি আপনি আমাকে সাহায্য্য করবেন।
: হ্যাঁ অবশ্যই।বলো কি করতে পারি?
:স্যার ক্যামিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট এর একটা স্টুডেন্ট এর ইনফরমেশন লাগবে আমার।আমি জানি এটা রুলসের এগেইনস্ট কিন্তু এটা আমার জন্য খুব প্রয়োজন।প্লিজ স্যার আমাকে হেল্প করুন।
:দেখো এরকম করা তো যায়না এখানে প্রাইভেসির ব্যাপার আছে।তবে আমি আশা করি তুমি খারাপ কিছু করবেনা।তাই আমি তোমাকে এলাউ করলাম ।কিন্তু কখনো যদি তোমার জন্য সেই স্টুডেন্ট এর কোনো ক্ষতি হয় আমি কিন্তু স্টেপ নিতে দেরী করবোনা।
:আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন আমি সেই পরিস্থিতি আসতে দিবোনা ইনশাআল্লাহ।
আয়াজ চাইলেই নিজে না এসেও এই কাজটা করতে পারতো।কিন্তু সে আর অপেক্ষা করতে পারছিল না তাই সরাসরি এসে দেখা করতে চেয়েছিল।কিন্তু তাঁর এতো ব্যাড লাক এতো ঝড়ঝাপ্টা সয়ে জানতে পারলো মেয়েটি পনেরো দিনের ছুটিতে আছে।আজ এক সপ্তাহ ক্যাম্পাসে আসেনি।আরো সাতদিন অপেক্ষা করতে হবে!!
“আর কতো ধৈর্য ধরতে হবে?আর কত অপেক্ষা করাবেন মিস চাঁহাত?আমি যে ব্যাকুল হয়ে আছি।”
শেষে বাসার এড্রেস নিয়ে চলে গেল আয়াজ।
আজ নিধির গায়ে হলুদ।লাল হলুদের কম্বিনেশনে সাজানো হয়েছে পুরো বাড়ি।স্টেজে রাজকীয় ফার্নিচার বসিয়ে হলুদ লাল সাদার রঙের নেট কাপড় এর ফাঁকে ফাঁকে মরিচ বাতি দিয়ে সাজানো।কেক- মিষ্টি সাথে নানা রকম ফল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন চোখ ধাঁধানো আইটেম।
চাঁহাত শাড়ি হাতে বসে আছে।তাঁর সব কাজিনরা এক এক করে রেডি হচ্ছে।আঁখি আর প্রিয়া সবাইকে সাজিয়ে দিচ্ছে।চাঁহাতকে লাস্টে রেডি করাবে।আগে আগে করলে এই মেয়ে নির্ঘাত শাড়ি উল্টে পড়ে ভেজাল করবে তাই ওর সিরিয়াল সবার শেষে।মেয়েরা সবাই গোলাপির মধ্যে সোনালি রঙের কাজ করা শাড়ি পড়েছে।
ছেলেরা সবাই সাদা পাঞ্জাবির ওপর নীল রঙের মুজিব কোট পড়া।
চাঁহাতকে সাজানো পর তিথি বললো,
চাঁহাত তোকে সাজলে এতো সুন্দর লাগে আগে জানতাম না তো!! মাশাআল্লাহ কারো নজর না লাগে।
ঐশিঃ আসলেই চাঁহাত আপু তো কোনোদিন সাজেই নাই।দেখবা কিভাবে।
নিধিঃ আমার তো এখন টেনশন হচ্ছে সবাই আমাকে ফেলে চাঁহাতের দিকেই ফোকাস দেয় কিনা!
চাঁহাত লজ্জায় লাল হয়ে বললো, তোমরাও না কিসব যে বলে।আমার তো এখনি অসহ্য লাগছে।এসব পড়তে এতোক্ষণ থাকবো কিভাবে।
আঁখিঃ তোকে সবার শেষে রেডি করিয়েছি তাও যদি এসব বলিস মারব কিন্তু।এতো মিষ্টি একটা মেয়ে হয়ে কেমন ছেলেদের মতো চলিস।ফুপীর কত আফসোস তোকে নিয়ে জানিস?
চাঁহাতঃ হুহ বলবাই তো।
দিলারা মেয়েকে দেখেই আবেগাপ্লুত হয়ে বললেন, মাশাআল্লাহ।আমার মেয়েটাকে এতোদিনে মেয়ে মনে হচ্ছে।কি মিষ্টি লাগছে গো! যেন হুরপরী নেমে এসেছে।
দাদীঃ আহা বৌমা নিজের সন্তানের দিকে বেশি তাকাতে নেই মায়ের নজর বেশি লাগে।
দেখি দিদিভাই কানের পাশে একটু কাজল দিয়ে দেই।
ভিডিও করার সময় কনের মাথার উপর উড়না ধরে নাদিম,পলাশ, ইশরাক,পিয়াস নিধিকে নিয়ে স্টেজে উঠালো।পেছনে আঁখি,চাঁহাত,প্রিয়া,তিথি,ঐশি একেক জনের হাতে একেক আইটেম নিয়ে স্টেজে রাখা টেবিলটায় সাজালো।
নিধির বাবা মা প্রথমে নিধিকে রাখি বেঁধে কেক কাটলো।তারপর বড়রা সবাই গ্রুপ ফটো তুললো তারপর সব কাজিনরা তুললো।এরপর চারজন চারজন করে স্টেজে উঠে কেক খাওয়ানোর পর্ব চললো।সবশেষে নাচ গানে দারুণভাবে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হলো।
চাঁহাত এর মধ্যে দুবার জুতো মচকে পড়েছে।শাড়ি পায়ের সাথে পেঁচিয়ে পড়তে পড়তে বেঁচেছে।ওর পাশে সারাক্ষণ ঐশি থেকে ওকে সাহায্য করেছে।
চাঁহাত এর মনে হল আজ সে কঠিন পরীক্ষা দিচ্ছে।
হিল পড়ে পায়ে ফোস্কা পড়ে গেছে,কান ফুলে গেছে গলায় এলার্জি হয়ে গেছে।উফ কেন যে এসব পড়তে গেল।এসব একদম সহ্য হয়না তাঁর।
ওমর ফারুক মেয়ের এসবে চিন্তিত হয়ে ডাক্তারকে খবর দিলেন।দিলারা ভয়ে চুপসে গেছে।আর কখনওই সে চাঁহাতকে মেয়েলি সাজ সাজতে দেবেনা বলে প্রতিজ্ঞা করলেন।
আয়াজের বাবা সাদমান আহমেদ বেশ রেগে আছেন ছেলের উপর।মেরাজ তাঁকে বলেছে আয়াজ কোন মেয়ের খোঁজে ভার্সিটি গিয়েছিল।খবরটা লিক হয়ে গেলেই গসিপ শুরু হয়ে যাবে।তিনি অবশ্য বেশ কড়াভাবে ব্যাপারটা হাইড করার ব্যবস্থা করেছেন।কিন্তু তাঁর এতো ইনটেলিজেন্ট ছেলে এই ভুলটা করলো কি করে তাঁর মাথায় ঢুকছে না।আয়াজের বড় বোন সুপ্তি আইসব্যাগ নিয়ে বাবার মাথায় ধরে রেখেছে।
সুপ্তিঃ আব্বু একটু শান্ত হও।ভাই ফিরলে সব জানতে পারবে তো।এখন থেকেই প্রেশার বাড়িয়ে অসুস্থ হবার মানে কি।দেখবে ঘটনা যতো বড় ভাবছো ততো বড় না।অযথাই টেনশন করছো।
:তুই তো বলবিই আদরের ভাই না তোর!ও কি এখন সাধারণ কেউ?সারাক্ষণ মিডিয়া উৎ পেতে থাকে কখন কি নিউজ করা যায় তা নিয়ে।আর তোর ভাই করলো কি কোনো প্ল্যান ছাড়া হুট করে ক্যাম্পাসে চলে গেল!!
:আহা এতো কথা বলোনাতো তেঁতুল পানিটা খাও তো।
সাদমান আহমেদ ভ্রু কুঁচকে তেঁতুল পানি খেয়ে বললেন,হ্যাঁ রে এটা কি ঐ মেয়েটা নাকি?
:মনে তো হচ্ছে।নাহয় অন্য কোনো মেয়ের জন্য তো ও এমন করার কথা না।তবে কি সত্যি সত্যি মেয়েটার খোঁজ পেয়ে গেল?
সাদমানের রাগ পড়ে গেল প্রফুল্ল স্বরে বললো,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।এবার তোর ভাইয়ের ঘাড় ধরে বিয়ে পড়িয়ে দেবো।হাহাহাহা
সুপ্তি ও হাসতে লাগলো…
চলবে….