জ্বীন রহস্য (love story)❤,Season 2,Part 22,23
Writer Maishara Jahan
Part 22
রিমি,,,,,,,,,,,,,, ওরে আমার সরল রে,, ও তো সোজা একদম জিলাপির মতো সোজা। ( ফারহানের দিকে কটমট করে তাকিয়ে )
ফারহান,,,,,,,,,,,,, আমাকে এভাবে রাতে ডাকবে না, লোকে কি বলবে ভালো দেখাই না।
রিমি,,,,,,,,,,,, ( হা করে তাকিয়ে ) তাই না,, ঠিক আছে, রিমির সাথে বাটপারি দেখে নিবো ( ফারহানের দিকে আঙুল দেখিয়ে )
রাগে কটমট করতে করতে চলে যায়। ফারহান মাথা চুলকাতে চুলকাতে বেকা হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে৷
রিমান,,,,,,,,,,,, যা গিয়ে ঘুমা।।
,,,,,,,,,,, তুই কি করোছ রাতে।
,,,,,,,, আমি একটু মাহুর সাথে কথা বলবো।
,,,,,,,, হি হি, মাহুয়া রিমির রুমে আর তুই যেমন রাগিয়ে দিয়েছিস তোর মনে হয় তোকে রিমি মাহুয়ার সাথে কথা বলতে দিবে।
,,,,,,,,,,, ঠিকি তো,, ঐ রিমি তুই ফারহানের সাথে যা মনে চাই কর আমার কোনো প্রবলেম নাই,, পারলে তুই ওরে মারতেও পারোছ লাঠি আমি এনে দিমু শুন,,,,
,,,,,,,,,, শালা সার্থপর যা এনতে,, দাড়া তোর যাওয়া লাগবো না আমিই যাচ্ছি।
,,,,,,,, আমি তো দাড়িয়েই ছিলাম।
,,,,,,,,, সর যেতে দে ( রিমানকে ধাক্কা দিয়ে চলে যাই )
,,,,,,,,,,,, এই জন্যই বলে কারো ভালো করতে নেয়। এখন কি করি মাহুয়াকে কিভাবে আনি। এক কাজ করা যায় আমি হঠাৎ করে যাবো আর রিমি কিছু বলার আগেই মাহুকে ধরে ঘায়েব হয়ে যাবো।
যেই ভাবা সেই কাজ। রিমান তুরি মেরে রুমে যায়, গিয়ে দেখে রিমি বসে বসে বক বক করছে আর মাহুয়া ঘুমাচ্ছে।
রিমান আস্তে আস্তে মাহুয়ার কাছে যায়, মাহুয়াকে ধরার জন্য হাত বাড়াতেই রিমি পিছনে তাকায়।
রিমি,,,,,,,,,,,, তুই এখানে,,, ওরে কুত্তা আমারে জ্ঞান দিয়ে তুই এখানে আসছস পিরিত করতে।
রিমান,,,,,,,,,,, ছিঃ ছিঃ এসব কি ভাষা,, বোন আমার এতো ভালো ভাষা বলে না।
রিমি,,,,,,,,,,,,,,, এর থেকে ভালো ভালো ভাষা আসছে আমার মুখ থেকে শুনাবো।
,,,,,,,,, না থাক আমার উপর এতো মেহেরবানী করা লাগবে না।
,,,,,,,,,, আমার মাথা প্রচন্ডভাবে গরম আছে যা এখান থেকে।
,,,,,,,,,, মাথা গরম তো বরফ দে।
,,,,,, তোরে তো আমি
রিমানকে ধরতে যেতে নেয়, আর রিমান তাড়াতাড়ি মাহুয়াকে ধরে ঘায়েব হয়ে যায়, রিমি ঘুষি দিতে নেয় যা বিছানায় পড়ে।
রিমি,,,,,,,,,, শয়তান বান্দর, ভাবীকে নিয়ে উদাও হয়ে গেছে, তরে পাইলে আজ আমি রিমান ভর্তা বানাতাম। ফারহানের বাচ্চা ( চিৎকার করে )
রিমান মাহুয়াকে নিয়ে জ্বীন রাজ্যের একটা সুন্দর জায়গা নিয়ে যায়। তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে মাহুয়াকে কোলে নিতে ভুলে যায়।
যার পরিনাম মাহুয়া ঠাস করে নিচে পড়ে যায়। নিচে পড়ে মাহুয়া চিৎকার দিয়ে উঠে।
মাহুয়া,,,,,,,,,,,,, ওমা আমার কমর গেলো গো 😭😭
রিমান,,,,,,,,,,,, সরি সরি।
,,,,,,,,,, তুমি এখানে,,, এক মিনিট আমি এখানে কি করছি।
,,,,,,,,,, আমি নিয়ে,,,,,,
,,,,,,,, ওও আমি স্বপ্ন দেখছি,,, এই তুমি আমার স্বপ্নে কি করো।
,,,,,,,, আমি তোমার স্বপ্নে আসবো না তো কে আসবে শুনি।
,,,,,,,,,, দরকার পরলে হিরো আলম আসবে তাও তুমি আসবে না।
,,,,,,,,,,,, আরে দূররর শুনো।
,,,,,,,,,,, আরে রাখো তোমার কথা,, স্বপ্নে ভালো মতো পাইছি আগে তোমাকে সাইজ করে নিয়।
,,,,,,,,,, মানে।
,,,,,,,,, মানে যা রাগ আছে আজ সব তোমার উপর ঢালবো।
বলেই মারা শুরু করে দেয়,, লাথি, ঘুষি যা মনে চাই দিচ্ছে।
,,,,,,,,,,, আরে আরে চোখ খুলো এটা স্বপ্ন না বাস্তব, ব্যাথা লাগছে।
,,,,,,,,,,,, বাস্তব হলে আমি এখানে আসলাম কিভাবে। ( মারতে মারতে )
,,,,,,,,,, আমি নিয়ে আসছি তোমাকে এখানে, মার থামাও কেও নিজের হবু স্বামীকে এভাবে মারে। ( চিমটি দিয়ে )
,,,,,,,,,,,, আওও ছারো ছারো,,, তার মানে এটা বাস্তব ( হাত ঢলতে ঢলতে৷)
,,,,,,,,,,, জ্বি মেডাম ,, এতো জোরে কে মারে,,, আর আমাকে তোমার মারতে মন চাই। এতো হেন্সাম ছেলেকে কই আদর করবে তা মারছে তাও আবার এতো জোরে।
,,,,,,,,,,, আমি তো মনে করেছিলাম এটা স্বপ্ন।
,,,,,,,,, জানো আমাকে মেয়েরা স্বপ্নে দেখলে জরিয়ে ধরে আরো না জানি কি কি করে।
,,,,,,,,,, তাহলে যাও ওদের কাছে আমার কাছে কেনো এসেছো।
,,,,,,,,,,, অন্য মেয়েরা আমাকে স্বপ্ন দেখতে চাই কিন্তু আমি তো শুধু তোমার স্বপ্নে থাকতে চাই। শুধু স্বপ্নে না বাস্তবেও তোমার হয়েই থাকতে চাই।
,,,,,,,,,,,,, ফিল্মি ডাইলক দেওয়া বন্ধ করো।
,,,,,,,,,,, তুমি আগে বসো।
,,,,,,, কোথায় বসবো এখানে।
রিমান তুরি মেরে একটা দোলনা এনে দেয়।
,,,,,,, এখানে বসো৷
,,,,,,,,,,, শুনো আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি,অন্য কাওকে না, আমার মনে শুধু তোমার ছবি আকা।
,,,,,,,,,,, মিথ্যা কথা ( অন্য দিকে ফিরে৷)
রিমান হাত দিয়ে তার দিকে ঘুরাই।
,,,,,,,, আমার চোখের দিকে তাকাও বলো দেখতে পারছো।
,,,,,,,,,, অনেক অন্ধকার তোমার চেহেরাই অনেক কষ্টে দেখতে পারছি চোখ কিভাবে দেখবো।
,,,,,,,,,, ও আমি তো ভুলেই গেছিলাম আমি স্পষ্ট দেখতে পেলেও তুমি পাবে না।
রিমান চার দিকে আলো জালিয়ে দেয়। চারপাশে ছোট বড়ো বল হাওয়াতে বাসছে যার মধ্যে থেকে আলো আসছে।
রিমানের চেহেরা স্পষ্ট ভেসে উঠছে। আমি চারপাশ দেখতে ব্যাস্ত রিমান আমার কোমরে ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসে। দোলনাটা দুলছে।
আমাকে এমন আচমকা টান দেওয়ায় আমি রিমানের দিকে তাকায়। আমি কোনো ছেলেকে এতোটা আকর্ষণীয় দেখিনি৷
তার চোখোও যেনো কথা বলছে। হারিয়ে গেছি তার চোখে, কোনো ছেলেকে এতো কাছে থেকে কোনো দিন দেখেনি, যে কোনো মেয়ে পাগল হয়ে যাবে এক দেখাতে, আমাকে ভালোবাসার তার কি কারন হতে পারে।
রিমান,,,,,,,,,,, আমি তোমাকে কতোটা ভালোবাসি তাকি আমার চেহেরা দেখে বুঝো না।
,,,,,,,,,,,, তোমাকে ভালোবাসার অনেক গুলো কারন আছে আমার কাছে কিন্তু আমাকে ভালোবাসার কি কারন আছে তোমার।
,,,,,,,,,, জানি, কেনো তোমায় ভালোবাসি, যে দিন তোমাকে প্রথম দেখি ঐ দিনই তোমার জন্য অন্য রকম একটা জায়গা হয়ে গেছে মনে। তোমার চেহেরার মায়ায় পরে গেছি।
,,,,,,,,,, কতোটুকু ভালোবাসো।
,,,,,,,,, এটা বলাতো মুশকিল, তবে এটা বলতে পারি যতো দিন বেঁচে থাকবো তোমাকে আমার পাশে দেখতে চাই। আল্লাহর কাছে দোয়া করবো মরার পরেও যাতে তোমাকেই আমার পাশে পাই।
,,,,,,,,,, সত্যি ( ঠোঁট বেঁকিয়ে )
,,,,,,,,, সত্যি ( হাসি দিয়ে ঠোঁট হাত দিয়ে চেপে ধরে )
মাহুয়া রিমানকে জরিয়ে ধরে।
মাহুয়া,,,,,,,,,, আই লাভ ইউ
,,,,,,,, আই লাভ ইউ টু,,, রাত অনেক হয়েছে চলো তোমাকে দিয়ে আসি।
,,,,,,,, হুমম চলো,,, অবশ্য জায়গাটা অনেক সুন্দর।
,,,,,, হুমম আর তুমিও
,,,,,,,,,, হয়ছে এবার চলো।
,,,,,,,,,, এবার গেলে নিশ্চিত আমার রিমির হাতে মার খাওয়া লাগবে। চলো,, 1,2,3
রিমান আর মাহুয়া চলে আসে রুমে। রিমান আগে থেকে চোখ ঘুরিয়ে নেয় চারদিকে,, দেখে রিমি চেয়ারে বসে ঘুমিয়ে পরেছে।
রিমান,,,,,,,,,, এই মেয়েটাও পারে, ঘুমানোর কোনো সাইজ নেয়, পরে বলবে ঘাড় ব্যাথা করে পিঠ ব্যাথা করে।
রিমান রিমিকে কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে দেয়। রিমি ঘুমের মধ্যে আঙুল নাচিয়ে নাচিয়ে বলছে,
রিমি,,,,,,,,, ছাড়বো না ঐ ফারহানকে আমি।
রিমান,,,,,,,, কিহহ,,,দেখো রাক্ষস রানী কটকটি ঘুমের মধ্যেও মারার কথা বলছে।
মাহুয়া,,,,,,,,, আচ্ছা যাও।
,,,,,,,,, যাবোওও ( ঢং করে )
,,,,,,,, যাওওওও
,,,,, ঠিক আছে লাভ ইউ ( রিমান তার আঙুলে কিস করে বন্দুকের মতো মাহুয়ার দিকে সুট করে চলে যাই।
,,,,,,,,,, হাউ কিউট,, রিমানকে কে বুঝাবে যে ও দিন দিন বড়ো হচ্ছে ছোট নয়।
মাহুয়াও গিয়ে শুয়ে পড়ে। সকাল হতে না হতেই আরাবের ঘরে সবাই হাজির, সব কিছু জানার জন্য।
মুন,,,,,,,,,, তাড়াতাড়ি বের করো না জানি আমার বনেরা কেমন আছে।
আরাব #জ্বীন_রহস্য কিতাব বের করে, সবার সামনে রাখে। জিজ্ঞেস করে মুনের সাথিরা কোথায় আছে। কে আটকে রেখেছে।
,,,,,,,,,নীল পাহাড়ে আটকে রেখেছে, আর এটি আপনার বড়ো চাচা করেছে।,,,,,,,,,,,
আরাব,,,,,,,,, আমি ঠিক সন্দেহ করেছি। আচ্ছা সে কি একা আছে।
,,,,,,,,,,, না আপনাদের তিন শত্রু এক সাথে হয়েছে,, তাই সাবধানে রাখার দরকার,,,,,,,,,
আরাব,,,,,,,,,, তিন শত্রু,, দুজন আবার কোথা থেকে আসলো। আর কি সাবধানে রাখবো। আচ্ছা মুনের মা বাবাকে কে হত্যা করে।
,,,,,,,,,,,, তিন শত্রুর মধ্যে একজন।
মুন নিচের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলছে, আরাব মুনের সামনে এসে দাঁড়ায়, মুন আরাবের দিকে তাকাতে পারছে না।
কিভাবেই বা তাকাবে, এতো আরাবকে সেই ভুলের শাস্তি দিয়েছে যা সে করেই নি।
আরাব মুনের হাত ধরে, মুন এখনো নিচে তাকিয়ে আছে।
আরাব,,,,,,,,, জানি তোমার কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু এতে তোমার কোনো দোষ নেয়, তোমার জায়গা অন্য কেও হলে হয়তো এটাই করতো। তাকাও আমার দিকে।
মুন এখনো নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। আরাব মুনের থুতনিতে ধরে মুখ উপরে তুলে,চোখের পানি মুছে দেয়৷
আরাব,,,,,,,, আর কান্না নয়, যারা এগুলো করেছে তাদের শাস্তি দেওয়া লাগবে তো তাই না,, তো চলো তোমার বোনদের বাচাতে হবে না, তারা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
রিমান,,,,,,,,,,, হুমম চল
আরাব,,,,,,,, তুই কই যাবি, আমারা একা যাবো।
ফারহান,,,,,,,,,, এই বিপদে তোকে একা ছেড়ে দিবো।
রিমি,,,,,,, হুমম চলো চলো।
রিমান,,,,,,,,,,,, কি চলো চলো, আমরা পিকনিক এ চাইতাছি না, চুপচাপ বাসায় যাও।
রিমি,,,,,, আমিও তো জ্বীন।
আরাব,,,,,,,,,, না,,, তুমি আর মাহুয়া যাবে না, মাকে বলে দিবো যেনো কারো দিয়ে তোমাদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়।
রিমি,,,,,,, কিন্তু
ফারহান,,,,,,,,,, কোনো কিন্তু না,, আমরা চারজন যাচ্ছি তোমরা সোজা বাসায় যাবে।
মাহুয়া,,,,,,,, আমি তো চিন্তাই মরে যাবো।
রিমান,,,,,,,, চিন্তা করো না আমি ঠিক চলে আসবো। খেয়াল রেখো আসি।
ফারহান,,,,,,,,,,,, আমার টুনটুনি আমি তাড়াতাড়ি চলে আসবো নো টেনশন।
রিমি আর মাহুয়াকে রেখে ওরা চারজন নীল পাহাড়ে যায়৷
,,,,,,,,,,,,,
চারজন নীল পাহারে এসে পৌছায়,,, একটু আড়ালে এসে দাঁড়ায়।
রিমান,,,,,,,,,,, আমরা এখানে কেনে এসেছি।
আরাব,,,,,,,,,, এটা পাহাড়ের শীর্ষ সীমানা, থাকলে এখানেই থাকতে পারে, সবাই যার যার হাতিয়ার বের করে নাও, আর সাবধানের সাথে দেখবে।
রিমান,,,,, কিন্তু ফারহানের কাছে কোনো হাতিয়ার নেয়।
ফারহান তার লকেটটা খুলে হাতে রেখে উপরের দিকে উঠায় লকেট একটা নীল তলোয়ারের পরিনত হয়।
রিমান,,,,,,,,,, ওয়াও,,, তুই এটা কিভাবে জানলি।
ফারহান,,,,,,,,,,, কিছু দিন আগেই এমনি লকেট নিয়ে কেচ কেচ খেলছিলাম তখন হয়ে গেছিলো, বলার সময় পায়নি।
আরাব,,,,,,,,,, লকেট নিয়ে খেলছি, আমি ভাবতাম এমন বুদ্ধিমানের কাজ শুধু রিমানি করতে পারে,, ভেরি গুড।
ফারহান,,,,,,,, ভালো লাগছিলো না তাই 😅😅
রিমান,,,,,,,,, তুই কি আমার তারিফ করলি না কি,,
আরাব,,,,,,,,,, তাড়াতাড়ি চল।
সবাই আস্তে আস্তে গুহার ভিতরে ডুকে, চারদিকে দেখে।ভিতরে যেতে যেতে, কয়েকজন জ্বীন আসে।
রিমান,,,,,,,,,, মাত্র এই কয়েকজন।
তাদের সাথে লড়াই করে হারিয়ে ভিতরে যায়, ভিতরে তিনটা খাঁচা রাখা,, কাপড় দিয়ে ডাকা। মুন গিয়ে খাঁচা থেকে কাপড় সরাই,,,যেখানে মুনের তিন সাথি ছিলো।
কাপড় সরাতেই রিমান আরাব আর ফারহানের হাত চেপে ধরে।
রিমান,,,,,,,, এরাই কি ভাবীর সাথি।।
আরাব,,,,,,,, হুমম
রিমান,,,,,,,,,,, এতো সুন্দর কেন দেখতে 😨😨
ফারহান,,,,,,,,,, লজ্জা করে না জ্বীন হয়ে ভয় পাস।
রিমান,,,,,,,,,, সব কিছু মার পাইছি কিন্তু কলিজাটা বাবার পাইছি কি করমু আমি 😨😨
মুন,,,,,,,,,,,,, আরাব এদের ছুটিয়ে দাও না।
আরাব,,,,,,,, ঠিক আছে দাঁড়াও
রিমান,,,,,,,,, আরে এরা খাঁচাতেই ঠিক আছে, থাকনা সুন্দর লাগছে।
আরাব,,,,,,, চুপ থাক শুনলে আর উপায় থাকবে না।
আরাব ওদের ছুটিয়ে দেয়।
,,,,,,,,,,, আমরা জানতাম তুই আর দুলাভাই আমাদের ছাড়াতে অবশ্যই আসবে।
রিমান,,,,,,,,,, দুলা
ফারহান,,,,,,,,,, ভাই।
,,,,,,, এরা কারা
মুন,,,,,,,, ও ফারহান আর ও রিমান। আর এরা এনি,মেনি রেনি।
রিমান,,,,,,,, আরে বা চেহেরার সাথে মিলানো একেবারে।
এনি রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে। রিমান দেখে একটা হাসি দিয়ে বলে,,
রিমান,,,,,,,,,, আমার ঘরে গার্লফ্রেন্ড আছে, বিয়েও করবো, ওকে রেখে এসেছি ভালো লাগছে না,, চলো সবাই৷
ফারহানের দিকে তাকাতেই।
ফারহান,,,,,,,,,, আমারো ঘরে বউ সরি গার্লফ্রেন্ড আছে। চল সবাই দাঁড়িয়ে আছিস কেনো।
আরাব,,,,,,,,, গুহাটা অনেক ফাঁকা,, আমাদের জন্য মাত্র এই কয়েকজন জ্বীন পাঠিয়েছে। খুব সহজে জিতে গেলাম না।
রিমান,,,,,, তোর জিতলেও প্রবলেম এখন,, আরে ভয় পায়ছে তাই আসে নাই।
মুন,,,,,,, আচ্ছা তোমরা অজ্ঞান হলে কিভাবে। এখানে আসলে কিভাবে।
,,,,,,, আমরা তো ঘরের বাহিরে ছিলাম,, কিছু একটার গ্রান পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। উঠে নিজেদের এখানে দেখি।
আরাব,,,,,,,, আর কাওকে দেখেছো।
,,,,,,,, না।
আরাব,,,,,, ঠিক আছে চলো এখন বাসায়।
ওরা জ্বীন রাজ্যে ফিরে আসে,, সেখানে গিয়ে জানতে পারে মাহুয়া আর রিমিকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ফারহান,,,,,,,, চল এবার আমরাও যায়।
আরাব,,,,,,,,, হুমম।
ওরা সবাই বাসায় চলে যায়,,কিছু মিনিট পর৷
রিমান ডেসিন টেবিলের সব জিনিস রাগে ফেলে দেয়।
রিমান,,,,,,,, সব আমার কারনে হয়েছে। ( চিৎকার করে )
আরাব,,,,,,,,,, এটা কিভাবে ভুলে গেলাম ( দেওয়ালে ঘুষি দিয়ে )
ফারহান,,,,,,,,,,,, এতো বড়ো ভুল কিভাবে করলাম ( চিৎকার করে )
চলবে
জ্বীন রহস্য (love story) ❤
Season 2
Writer Maishara Jahan
Part 23
ফারহান,,,,,,,,,,,, এতো বড়ো ভুল কি করে করলাম ( চিৎকার করে )
আরাব,,,,,,,,,,,, এই সব কিছু আমার জন্য হয়েছে। আমার বুঝা উচিত ছিলো জ্বীন_রহস্য কি সাবধানে রাখার কথা বলেছিল।
মুন,,,,,,,,,,,,, এখন মাথা গরম করে লাভ নেয়, ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে রিমি আর মাহুয়াকে কিভাবে বাঁচানো যায়৷
রিমান,,,,,,,,,, কিভাবে খুঁজবো শুধু আয়নায় লেখে দিয়ে গেছে আমার জিনিস আমি নিয়ে গেলাম, কোথায় নিয়ে গেছে কে জানে।
আরাব,,,,,,,,,,,, জ্বীন_রহস্য কিতাবে দেখি।
আরাব কিতাব বের করতে নেয় আর বাহিরে থেকে রিমি আর মাহুয়া আসে।
রিমি,,,,,,,,,, তোমরা এসে গেছো।
রিমান,,,,,,,,, রিমি মাহুয়া তোরা ঠিক আছিস।
রিমান গিয়ে দুজনকে জরিয়ে ধরে।
মাহুয়া,,,,,,,,,,,, আরে কি হয়েছে ( মৃদু হেসে )
ফারহান গিয়ে রিমিকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে।
ফারহান,,,,,,,,,, এখনি আমার জান বেরিয়ে যেতো।
আরাব,,,,,,,,,,, কোথায় গেছিলে তোমরা জানো কতো ভয় পেয়ে গেছিলাম।
মাহুয়া,,,,,,,,,, একটু বাহিরে গেছিলাম।
রিমান,,,,,,,,,,, ওরা এখানে ঠিক আছে তাহলে ওরা কি নিয়ে গেলো। মা বাবাও ঠিক আছে।
মুন,,,,,,,,,, হয়তো নিতে চেয়েছিলো কিন্তু সুযোগ পায়নি বা পড়ে নিয়ে যাবে এমন হুমকি দিয়ে গেলো হতে পারে।
আরাব,,,,,,,,,,, হুমম সেটা নিয়ে পড়ে ভাবা যাবে, সবাই অনেক ক্লান্ত যাও গিয়ে ফ্রেশ হতে যাও।
বিকেলে তিন বন্ধু নিচে বসে রয়েছে।
রিমান,,,,,,,,,,, কেনো জানি ভালো লাগছে না, মনে হচ্ছে কিছু তো একটা খারাপ হচ্ছে।
ফারহান,,,,,,,,,,,, কেনো জানি আমার মনটাও খারাপ।
আরাব,,,,,,,,, আমারো মনটা খজ খজ করছে,,, আরে হতে পারে আমরা বিষয়টা নিয়ে বেশিই ভাবছি তাই এমন হচ্ছে।
রিমান,,,,,,,,,, ঠিক,, রিমি আমাদের কাছে আছে তাকে সাবধানে রাখলেই হবে।
এই সময় মাহুয়া রিমি মুন নিচে নামে,নেমে সোফায় বসে।
রিমান,,,,,,,,, আজ তোমাকে অন্য রকম লাগছে।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, অন্য রকম লাগছে মানে, আমিতো আগের মতোই আছি ( কিছুটা অস্থির হয়ে )
রিমান,,,,,,,,,,,, আরে চিল,,, অন্য রকম লাগছে মানে তুমিতো বেশি কালো পড়ো না তাই আজ কালো ড্রেসে সুন্দর লাগছে সেটাই বললাম।
মাহুয়া,,,,,,,,,, ওও তাই বলো,, আমি ভাবলাম আমি হয়তো আগের থেকে কম সুন্দর হয়ে গেছি।
রিমান,,,,,,,,,,, কেনো ভাবলে এইটা।
মাহুয়া ,,,,,,,,, আরে গ্রাম থেকে ঘুরে এলে মানুষ কালো হয়ে যায় না তাই ভাবলাম জ্বীন রাজ্যে থেকে এসে হয়তো 😅😅
রিমান,,,,,,,,,,,,, অবশ্য তুমি সুন্দর আছো কিন্তু রিমি একটু কালো হয়ে গেছে 😁😁
রিমি,,,,,,,,,,,,, কিছু দিন গেলে আবার ঠিক হয়ে যাবে।
সাবই রিমির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
রিমান,,,,,,,,, তোর আর কিছু বলার নাই আমাকে।
রিমি,,,,,,,,,,,,, না।
রিমান,,,,,,,,,,, এতে ভদ্র হয়ে গেলি কবে থেকে।
রিমি,,,,,,,,,, মানে।
।ফারহান,,,,,,,,,, আরে আমার সাথে থেকে থেকে ভালো হয়ে গেছি।
রিমান,,,,,,,,,,,,, আচ্ছা আমরা তো সেই নেংটা কালের বন্ধু আমি তো তোর মতো হয়লাম না।
আরাব,,,,,,,,,, নেংটা কালের বন্ধু মানে 🤔🙄
রিমান,,,,,,,,, আরে যখন জামা কাপড় পরতাম না মানে বাচ্চা কালের বন্ধু।
ফারহান,,,,,,,,,,, এখানে মেয়েরা আছে কিছুতো শরম কর।
রিমান,,,,,,,,, এতে শরম পাওয়ার কি আছে, এখন তো আমরা জামা কাপড় পড়ি নাকি।
মুন অনেক কষ্টে হাসি আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করে কিন্তু আর না পেরে জোরে জোরে হেঁসে দেয়। মুন হাসছে আরাব মুনের দিকে তাকিয়ে থাকে।
মুন বিষয়টা লক্ষ্য করে হাসি থামিয়ে দেয়।
মুন,,,,,,,,,,,, আরাব তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে, একটু বাহিরে আসবে৷
আরাব,,,,,,,,,, হুমম চলো, চলো
রিমান,,,,,,,,,, বাগানের বাম সাইডটা সুন্দর আর নিরিবিলি আছে ঐ খানে যা কেও ডিস্টার্ব করবে না। 😁😁
আরাব রিমানের দিকে চোখ রাঙিয়ে বাগানের দিকে যায়৷
রিমান,,,,,,,, এই জন্য বলে কারো ভালো করতে নেয়।
ফারহান,,,,,,,,, তোকে ভালো করতে বলে কে।
,,,,,,,,,,,
মুন এসে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে, কি বলবে বুঝতে পারছে না।
আরাব,,,,,,,,,,,,, কি বলবে বলো।
মুন,,,,,,,,,,,, আসলে, কিভাবে বলবো,, আমি বলে চাই,,,, আমি,,,, আসলে আমি স,,
মুনের আর কিছু বলার আগে আরাব মুনকে বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়, জরিয়ে ধরে। মুন অবাক হয়ে যায়।
আরাব,,,,,,,,, তোমার কিছু বলা লাগবে না। আমি জানি তোমার মনে কি চলছে, যা হয়েছে তার জন্য মনে কষ্ট পাওয়ার কোনো দরকার নেয়।
পরিস্থিতিই এমন ছিলো, আমি কালো যেমন তোমায় ভালোবাসতাম আছো তেমনি বাসি। আমি জানি তুমিও আমাকে অনেক ভালোবাসো। ( জরিয়ে ধরে )
মুন,,,,,,,,,,,,, কিভাবে বুঝলে ভালোবাসি,, আমি তো তোমাকে কতো মেরেছি ( কান্না করে )
আরাব,,,,,,,,, হুমম,,কোনো স্বাভাবিক জ্বীন এটাই করবে, কিন্তু তুমি তো তোমার ভালোবাসার প্রমান দিয়েই দিয়েছো।
মুন,,,,,,,,,,, কবে,, কিভাবে।
আরাব,,,,,,,,,,,,,, যে দিন তুমি আমাকে চাবুক দিয়ে আঘাত করছিলে, ঐদিন তোমার তালোয়ারে নীল রেদ ছিলো যেটাতে আমার জান যেতে পারতো, তোমার মনে এতো কষ্ট ছিলো তাও তুমি আমাকে মারো নি। অন্য কেও হলে মেরেই দিতো।
মুন,,,,,,,,,,,,,, এতো বুঝো কিভাবে আমাকে।
আরাব,,,,,,,,,,,,, ভালোবাসি তাই।
,,,,,,,,,,, সরি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আমার জন্য তুমি এতো বছর কষ্ট পেয়েছো, আবার আমি তোমাকে মেরেছিও, অনেক ব্যাথা পেয়েছো তাই না।
,,,,,,,,,, হুমম অনেক ( দুষ্টমি করে )
,,,,,,,,,, সরিইই
,,,,,,,,,, শুধু সরি বলে হবে না।
,,,,,,,,,, তো কি করবো,বলো এখনি করছি।
,,,,,,,,,,, সত্যি যা বলবো তাই করবে 😏😏
,,,,,,,,,, কি করতে বলবে 😒😒
,,,,,,,,, বেশি কিছু না আমাকে প্রপোজ করতে হবে আর কিস ও।
,,,,,,,,,, কিহহ প্রপোজ তো ছেলেরা করে আর কিস 🙄🙄
,,,,,,,,,,, এমনি অনেক কষ্ট পেয়েছি না করলে না হয় আর একটু কষ্টই পাবো 😌😌
,,,,,,,,,,, ঠিক আছে, ঠিক আছে করছি প্রপোজ।
,,,,,,,,,, আই লাভ ইউ ( আরাবের হাত ধরে, নিচের দিকে তাকিয়ে )
,,,,,,,,,, আমরা ছেলেরা কি এভাবে প্রপোজ করি। ঠিক ভাবে করো।
,,,,,,,,,,, 🙁🙁 পারমু না 😒😒
,,,,,,,, ঠিক আছে গেলাম
,,,,,,,,, দাঁড়াও দাঁড়াও করছি।
মুন বাগান থেকে একটা গাধা ফুল নিয়ে, নিচে হাঁটু গেড়ে বসে, ফুল আগে বাড়িয়ে,,
,,,,,,,, গাধা ফুল,, আচ্ছা সমস্যা নেয় করো।
,,,,,, আই লাভ ইউ মিঃ অদ্ভুত,, অনেক অনেক ভালোবাসি।
,,,,,,,,আরাব মুনকে উঠায়, আমিও অনেক ভালোবাসি। হয়েছে এবার কিস।
,,,,,,,,,, নাআআ 🥺🥺
আরাব,,,,,,,,,,, হ্যাঁএএএ করো আর গালে করলে হবে না, নাও করো ( মুখটা আগে বাড়িয়ে )
,,,,,,,,,, আগে চোখ বন্ধ করো।
,,,,,,,,, ঠিক আছে,, এই নাও করলাম।
মুন আরাবের চোখ এক হাত দিয়ে ধরে, আস্তে আস্তে কাছে আসে, মুন আরাবের ঠোঁটে ছোট্ট করে একটা কিস করে ঠোঁট সরিয়ে নিতে যায়, আরাব মুনের মাথায় ধরে আবার কিস করতে থাকে।
মুন প্রথমে চমকে গেলেও পরে আরাবকে আঁকড়ে ধরে চোখ বন্ধ করে দেয়।
,,,,,,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,,,,,, এতো ক্ষন হলো এখনো আরাবের দেখা নেয়।
ফারহান,,,,,,,,,, তোর এতো সমস্যা কি আমি এটাই বুঝি না।
রিমান,,,,,,,,,, আমার কোনো সমস্যা নেয়, তবে রিমি আর মাহুয়ার কি হলো বেশি কথা বলছে না শুধু তাকিয়ে আছে।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, ভালো লাগছে না।
এই সময় আরাব আর মুন আসে,,, আরাবের হাতে গাধা ফুল।
রিমান,,,,,,,,,, আরে বা ফুলটা তোর হাতে মানিয়েছে 🤣😂
আরাব ফুলটা রিমানের দিকে ছুঁড়ে রিমান ধরে ফেলে।
আরাব,,,,,,,,, এবার বলা যায় দুই গাধা এক সাথে।
রিমান,,,,,,,,,,,, তোর বাপ না আমার মামা গাধা না, তুই গাধা।
অনেক ক্ষন সবাই আড্ডা দিয়ে যার যার ঘরে চলে যায়।
রাতের দিকে,,,
রিমান মাহুয়ার ঘরে আসে। দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মাহুয়া,,,,,,,,,, তুমি এখানে।
রিমান,,,,,,,,,,, আমি আমার মাহুকে দেখতে এলাম।
,,,,,,,,,,,, আমার নাম মাহুয়া, ভুলে গেলে নাকি।
,,,,,,,,, আমি তোমাকে মাহু বলে ডাকি তুমি ভুলে গেলে নাকি।
,,,,,,,, ওও না ভুলবো কেনো 😅 কেনো এসেছো।
,,,,,,,,, দেখো না এই রাতটা কতো রোমান্টিক, হালকা ঠান্ডা পরেছে, জালানা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস অন্য রকম অনূভুতি জাগাচ্ছে।
,,,,,,,,,, কেমন অনুভূতি ( একটু রোমান্টিক ভাবে তাকিয়ে )
,,,,,,, রিমান মাহুয়াকে দেওয়ালের সাথে ঠেকিয়ে ধরে। এক হাত দেওয়ালে রেখে।
রিমান,,,,,,,,,,,, বলবো কেমন অনুভূতি।
,,,,,,,,, বলো না।
,,,,,,, এটা বলা যায় না, ফিল করা লাগে।
,,,,,,, কিন্তু আমি কিছু ফিল করতে পারছি না।
,,,,,,,, ( একটু কাছে এসে ) এখন।
,,,,,, না হয়তো আরেকটু কাছে আসলে করতে পারবো।
মাহুয়া চোখ বন্ধ করে, ঠোঁট এগিয়ে দেয়। রিমান কিস করতে গিয়েও থেমে যায়।
রিমান,,,,,,,,,,,, ( আমার করতে মন চাইছে না কেনো, মনের ভিতর কেমন জেনো করছে, মাহুয়ার কাছে আসতেও ভালো লাগছে না, দুরর কি ভাবছি ও আমার ভালোবাসা )
রিমান জোর করে নিজের মনকে মানিয়ে কিস করতে গিয়ে সরে যায়।
মাহুয়া চোখ খুলে।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, কি হলো রিমান।
রিমান,,,,,,,,,, কিছু না,, এখন ভালো লাগছে না। আমি আসি৷
বলে রিমান চলে যায়।
,,,,,,,,,,,,,
ফারহান,,,,,,,,,, জানেমান আয়নার সামনে বসে কি করছো৷
রিমি,,,,,,,,,,,,, তোমার চেহেরা দেখার চেষ্টা করছি।
,,,,,,,,,, আচ্ছা আমি তো তোমার সামনে আছি, আর আয়নায় চেহেরা খুঁজছো।
,,,,,,,,,,,, কি করবো কাছে থেকে তোমাকে দেখার অনুমতি নেয়।
,,,,,,,,,,, ভালোবাসায় আবার কারো অনুমতির দরকার হয় বুঝি।
,,,,,,,,, তোমার জন্য তো আমি আমার সব নিয়ম ভাঙতে পারি।
,,,,,,,,,, আমি তো ভাবলাম কালকের জন্য রাগ করে আছো তাই মানাতে এলাম।
,,,,,,,,,, কেনো কাল কি হয়েছে রাগ করে থাকবো কেনো।
,,,,,,, আরে বা ভুলে গেছো,ভেরি গুড, গো আমার জানেমান এখন রাগ করে নেয়।
,,,,,,,,,,,, একদমি না,, তোমার সাথে কে রাগ করে থাকতে পারবে। ( ফারহানের গালে হাত বুলিয়ে )
,,,,,,,,,,, তুমি এমন করে বলছো কেনো৷
,,,,,,,,, তোমায় ভালোবাসাতে ইচ্ছে করছে।
,,,,,,,,, আচ্ছা কেমন ভাবে ইচ্ছে করছে।
,,,,,,,, যেমন ভাবে তুমি বলো।
,,,,,,,, আচ্ছা আমি যদি গভীর ভাবে বলি।
,,,,,,,, আমার কোনো সমস্যা নেয়। ( ফারহানকে বিছানায় ফেলে )
,,,,,,,,,, সমস্যা নেয় মানে,,, আর এ এ এই স সব কি করছো, মাথা ঠিক আছে তো।
,,,,,,,,, আজ আমার মাথা ঠিক নেয়, তুমি ছাড়া আজ আমি আশেপাশে কিছু দেখছি না। ( ফারহানের উপরে উঠে )
,,,,,,,,, সত্যি তোমার মাথা ঠিক নেয়। নিচে নামো।
,,,,,,,, কেনো কি হলো৷ ( ফারহানের কাছে গিয়ে )
ফারহান রিমিকে ধরে তার উপর থেকে সরিয়ে উঠে দাঁড়ায়।
ফারহান,,,,,,,,, পাগল হয়ে গেছো, বিয়ের আগে এই সব ঠিকনা৷
ফারহান চলে যেতে নেয় আর রিমি ফারহানকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে।
রিমি,,,,,,,,, পিল্জ যেওনা, আই ওয়ান্ট ইউ।
তুমি রেস্ট নাও,,,
ফারহান হাত ছাড়িয়ে চলে যায়।
ফারহান,,,,,,,,,, ( আমার শরীর এমন ঘৃন ঘৃন করছে কেনো, রিমির হঠাৎ করে কি হয়েছে )
,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,, কেও কি এখানে আছে,,আমি কোথায়, পিল্জ আমাকে বের করো এখান থেকে, আমার অন্ধকারে অনেক ভয় করে। ( কান্না করে )
আমি কোথায়, আমাকে বেঁধে রেখেছো কেনো,, পিল্জ যেতে দাও, আমি তোমাদের কি করেছি, যেতে দাও আমাকে ( কান্না করে )
,,,,,,,,,,, এখানে কেও এক বার আসলে আর যেতে পারে না, আর ধোকা দেওয়ার শাস্তি তো পেতেই হবে।
,,,,,,,,,,, কে আপনি,, আমি কাওকে দেখতে পারছি না, সব অন্ধকার, পিল্জ আমাকে যেতে দিন, আমি কাওকে ধোঁকা দেয় নি। ( কান্না করতে করতে )
অন্ধকারে চাবুক মারছে।
,,,,,, আআআ,, কে পিল্জ মারবেন না,, কে মারছে আমাকে আআআ আআ ( ব্যাথায় চিৎকার করে )
,,,,,,,,,, আরো চিৎকার করো শুনতে ভালো লাগে।
কিছু ক্ষন চাবুক দিয়ে মেরে চলে যায়।
,,,,,,,,,, রিমান বাঁচাও আমাকে, আমি আর সহ্য করতে পারছি না, রিমান কোথায় তুমি ( অসহ্য যন্ত্রণায় মাটিতে পড়ে কান্না করছে ) রিমান,,, রিমান,,, রিমান।
করতে করতে জ্ঞান হাড়ায়।
,,,,,,,,,,,,,
রিমান শুয়া থেকে দরফরিয়ে উঠে। রিমান উঠে লম্বা লম্বা শ্বাস নিচ্ছে। রিমান ঘেমে শেষ।
রিমান,,,,,,,,,,,, আমার হঠাৎ এমন লাগছে কেনো,, মনের ভিতর অজানা কষ্ট হচ্ছে কেনো। মনে হচ্ছে কেও আমাকে ডাকছে।
চলবে