জ্বীন রহস্য (love story)❤Season 2,Part 20,21

জ্বীন রহস্য (love story)❤Season 2,Part 20,21
Writer Maishara Jahan
Part 20

,,,,,,,,,, আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি অনেকের থেকেও অনেক।

,,,,,,,,,,, আমিও

,,,,,,,,,,,,,,,

আরাব,,,,,,,,,,,, অফফ কিছুতেই ঘুম আসছে না, কি করি। একবার কি যাবো মুনের কাছে। না থাক আমাকে দেখলে রেগে যাবে।

দূরর রেগে গেলে যাক দূর থেকে দেখে চলে আসবো।

আরাব আর কিছু না ভেবে চলে যায় দেখ করতে, লুকিয়ে মুনের ঘরে আসে, মুন নাক মুখ ঢেকে শুয়ে রয়েছে। আরাব মুনের বিছানার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

আরাব,,,,,,,,,, যাক মুন ঠিক আছে, তাহলে এখন আমি যায়। ( থেমে গিয়ে ) না এতো দূর এসেছি একটু চেহেরাটা দেখে যায়।

আরাব আস্তে আস্তে করে মুখ থেকে চাদরটা সরায় কিন্তু সেখানে কোলবালিশ ছিলো।

,,,,,,, মুন নেয় এখানে, তো কোথায় গেলো।

আরাব মুনের পুরো ঘর দেখে কোথাও নেয়।

,,,,,,,, কোথায় গেলো মুন, ওর কিছু হলো না তো। কি করি এখন। আশেপাশে খুজে দেখি।

আরাব আশেপাশে অনেক খুঁজে, খুঁজতে খুঁজতে জঙ্গলের ভিতরে চলে যায়। জঙ্গলের ভিতরে গিয়ে দেখে মুন এক উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।

আরাব,,,,,,,, মুন মুন ঐখানে কি করছো,, মুন

মুন কোনো সারা শব্দ করছে, আরাব মুনের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।

আরাব,,,,,,,,, মুন কথা বলছো না কেনো, এতো রাতে এখানে কি করো হুমম,,,

মুন,,,,,,,,,,,, ****

,,,,,,,,,,, মুন,,, এর আবার কি হয়েছে।

আরাব খেয়াল করে মুন কোনো পলক ফেলছে না, শুধু তাকিয়ে আছে, আরাব কয়েক বার চোখের সামনে হাত নাড়ায় কিন্তু কিছু হচ্ছে না।

,,,,,,,,,,, মুনকে তো সম্মোহিত করেছে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু জ্বীনকে কে সম্মোহিত করতে পারে। যাই হোক আগে একে হুশে আনি কিন্তু কিভাবে।

আরাব মুনকে কোলে নেয়, কোলে নিয়ে মুনের বাসার দিকে রণা দেয়৷ মাঝ রাস্তায় মুনের হুশ হয়, সে নিজেকে আরাবের কোলে দেখে অবাক হয়ে যায়।

মুন,,,,,,,,,,, নিচে নামাও আমাকে এখুনি,, কোথায় নিয়ে যাচ্ছো নিচে নামাও ( চিৎকার করে )

আরাব,,,,,,,,,,, তোমার হুশশ এসে গেছে।

মুন,,,,,,,, আল্লাহ রহমতে হ্যাঁ,, নিচে নামাওওও

আরাব মুনকে নিয়ে নিচে আসে, মুন তাড়াতাড়ি কোল থেকে নামে।

মুন,,,,,,,,,, এতোটা নিচে নেমে গেছো তুমি ছিঃ,,কোথয় নিয়ে যাচ্ছিলে আমাকে।

আরাব,,,,,,,, কি বলছো,, তোমাকে তোমার বাসায় নিয়ে যাচ্ছিলাম।

,,,,,,,,,,, পাগল পাইছো আমাকে,,,তুমি আমাকে আমার ঘরে অজ্ঞান করে কোথায় না কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলে, যেই আমার জ্ঞান ফিরেছে ওমনি অভিনয় শুরু।

,,,,,,,,, কি বলছো এই সব আমি তোমাকে কেনো অজ্ঞান করবো।

,,,,,,,,, আচ্ছা তাহলে আমি এখানে তোমার কোলে কি করি।

,,,,,,,,, আরে আমি তোমার বাসায় গেছিলাম সেখানে তুমি ছিলে না, তাই তোমাকে খুজতে খুজতে এখানে পায় সম্মোহিত অবস্থায় তাই তোমাকে বাসায় নিয়ে যাচ্ছিলাম।

মুন,,,,,,,,,, বেস অনেক হয়েছে,তুমি আমার বাসায় আসার পর আমি কিছু বলার আগেই কিছু একটা আমার মুখে ছিটিয়ে দিয়েছো আর আমি অজ্ঞান হয়ে যায়।

আরাব,,,,,,,,,,,,, কিহহ কিন্তু আমি তো,,

মুন,,,,,,,,, আমি স্পষ্ট দেখেছি তোমাকে,,আর আমার সাথিরা কোথায়,, ওদের কি করেছো। কারন আমার কিছু হলে ওরা তো সবার আগে আসার কথা,কোথায় ওরা।

,,,,,,,,,,, আমি জানি না,

,,,,,,,,,,,মিথ্যা বলবে না বলো কোথায় ওরা। ওরা ছাড়া আমার আর কেও নেয়।

,,,,,,,,, আমি সত্যি বলছি,,,

,,,,,,, এক মিনিট আমার গায়ে এই গুলো কি,, সোনালী রেদ, এটা দিয়ে আমাকে অজ্ঞান বানানো হয়েছে।

,,,,,,,,,,, আমি কিছু করি নি।

,,,,,,,,, পাগল ভেবেনো আমাকে সোনালী রেদ রাজ বংশী ছাড়া আর কারো কাছে থাকে না। আমার বোনদের কি করেছো ( চিৎকার করে )

,,,,,,,,,,,,, বুঝার চেষ্টা করো আমি কিছু করিনি,,,আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

,,,,,,,,,,, মিথ্যা বলো না, আমার বোনদের কি করেছো, সবাইকে আমার জীবন থেকে কেনো কেড়ে নিতে চাও৷ ( চিৎকার করে )

,,,,,,,,,,,,,, আমি কিছু করিনি ( চিৎকার করে )

মুনের চোখ লাল হয়ে গেছে রাগে। মুন একটা বড়ো চাবুকের মতো আনে তার হাতে, যা আগুনের মতো জ্বলতে থাকে।

,,,,,,,,, এখনো সময় আছে, বলো আমার বনেরা কোথায় না হলে তোমার জন্য ভালো হবে না। ( রাগে )

,,,,,,,,, ঠিক আছে আমি ও কিছু বলবো না তোমার যতো রাগ আছে সব বের করে দাও, আমি বাধা দিবো না। ( মুনের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে )

মুন রাগে একের পর এক আরাবের গায়ে আঘাত করতে থাকে। যেখানে আঘাত লাগছে সেখানে পুরো জ্বলে যাচ্ছে।

আরাব সব সহ্য করছে, আর মুনের দিকে শক্ত হয়ে তাকিয়ে আছে। কিছু ক্ষন পর মারা থামিয়ে দেয়।

মুন,,,,,,,,,,, পিল্জ বলো কোথায় আমার সাথিরা।

আরাব,,,,,,,,,,, আমি জানি না।

মুন,,,,,,,,,, তাহলে এবার নিজেকে আটকে রাখতে পারবো না।

মুন তালোয়ার বের করে, সোজরে আরাবের দিকে তালোয়ার দিয়ে উড়ে যায়, আরাব চোখ বন্ধ করে ফেলে।

তালোয়ার আরাবের বুকের একদম কাছে নিয়ে মুন থামিয়ে দেয়৷ মুন অদ্ভুত ভাবে তার তালোয়ারের দিকে তাকিয়ে আছে। আরাব চোখ খুলে।

আরাব,,,,,,,,,,, কি হলো থেমে লেগে যে।

মুন,,,,,,,,,, ( আশেপাশে তাকিয়ে ) চুপচাপ নিজের বাসায় চলে যাও,,একদম আমার পিছে আমার বাসায় আসার চেষ্টা করবে না।

বলেই উধাও হয়ে যায়।

আরাব,,,,,,,,, মুন দাঁড়াও,,, মুনের হঠাৎ কি হলো। কালকেই সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবো। এখন যেতে হবে।

,,,,,,,,,,,,,

সকালে,,,,,,,,,,,,

রিমান ঘুম থেকে উঠে দেখে, ও মাহুয়ার কোলে ঘুমিয়ে আছে আর মাহুয়া বসে খাটে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে আছে।

রিমান,,,,,,,,,, বাচ্চা বাচ্চা লাগছে,, কিউটের ডিব্বা।

রিমান উঠে মাহুয়াকে ভালো করে শুয়িয়ে দিয়ে, গায়ে চাদর দিয়ে, কপালে আলতে করে একটা কিস করে চলে যায়।

রিমান,,,,,,,,, এতো সকালে আমার ঘুম ভেঙে গেছে, আর ওরা শান্তিতে ঘুমাবে এটা আমি দেখতে পারবো না। আগে গিয়ে ওদের ঘুম থেকে উঠায়৷

রিমান গিয়ে আগে ফারহানের দরজা জোরে জোরে ধাক্কানো শুরু করে।

রিমান,,,,,,,, খুলছে না কেনো,, আমি কেনো দরজা ধাক্কাচ্ছি আমি তো এমনিতেই যেতে পারবো৷

রিমান ভিতরে গিয়ে কেও নেয়৷

,,,,,,,, এতো সকালে এ আবার কোথায় গেলো,,,,,
ফারহান যেখানে আমাকেও নিয়ে চল সেখানে,, বলে তুরি মারে। রিমান গিয়ে ছাদে পৌঁছায়।

আমি ছাদে আসলাম কেনো, ফারহান ছাদে নাকি,, পিছনে ঘুরে রিমান হা করে থাকে।

ফারহান দোলনায় বসে একটা কোলবালিশ কোলে নিয়ে ঘুমাচ্ছে।

রিমান টেরা টেরা চোখে তাকিয়ে ফারহানের মাথায় জোরে থাপ্পড় দেয়। ফারহান চমকে উঠে।

ফারহান,,,,,,,, কি হয়েছে, কি হয়েছে।

,,,,,,,, হয়েছে তো অনেক কিছুই, তুই এখানে এভাবে কি করোছ।

,,,,,,,,,,, সরি দোস,, বুঝছি তোর খারাপ লাগছে কিন্তু কাল রাতে একটু রোমান্টিক হয়ে গেছিলাম, ভুলে হয়ে গেছে।

,,,,,,,,,, খারাপ তো লাগছে, কোলবালিশের সাথে রোমান্স 😐😐

,,,,,,,, এ্যাঁ কোলবালিশ মানে, ( ফারহান পাশে তাকিয়ে দেখে কোলবালিশ ধরে আছে, ফারহান কোলবালিশ ফেলে দেয় ) এটা কোথায় থেকে এলো।

,,,,,,, তোর ঘর থেকে,,, আর তুইইই

,,,,,,,,,, তুই যেটা ভাবছিস ঐটা একদমি না,, আমি তো এমনি, ঘুমাচ্ছিলাম বুঝেছিস।

,,,,,,,, হুম হুম বুঝেছি।

,,,,,,,, ভেরি গুড।

,,,,,,,,, আংকেল আন্টিকে বলতে হবে তোর বিয়েটা যেনো তাড়াতাড়ি দিয়ে দেয়। আহারে ভালো পোলাটা,,,,,, বলে চলে যায়৷

,,,,,,,,, আরে শুন, শুন,, তুই যেটা ভাবছিস ঐটা না।

রিমানকে বুঝানো আর গাধার আগে বিন বাঝানো একি কথা,, ও বুঝবে ঐটাই যেটা ও বুঝতে চাই।

রিমি শয়তান আমার কোলে কোলবালিশ দিয়ে চলে গেলো৷ আগে নিচে যায় দেখি রিমা৷ কাওকে কিছু বলে দিলো নাকি,, তাহলে মান ইজ্জত পানচার,, এমনিতেও কোলবালিশ নিয়ে ছেলেদের বদনামের অভাব নেয়,তার মধ্যে শীত পরছে।

ফারহান দৌড়ে নিচে যায়, গিয়ে দেখে রিমান আরাবের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

ফারহান,,,,,,,, এটা আবার আরাবকে বলতে যাচ্ছে শয়তান। তুই আরাবের দরজার সামনে কি করোছ।

,,,,,,,, ওরে ঘুম থেকে উঠামু৷

,,,,,,,,, আজ কি সবাইকে ঘুম থেকে উঠানোর দায়িত্ব নিছোস নাকি।

,,,,,,, না আজ আমার তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে গেছেতো তাই,,

,,,,, তাই অন্যদের ও শান্তিতে ঘুমাতে দিবি না তাই তো৷

,,,,,,, একদম ঠিক।

,,,,,,,,, কি বেশরম আবার শিকারো করছে।

রিমান আর ফারহান আরাবের রুমে ডুকে। ভিতরে ডুকে দেখে আরাব বসে আছে।

ফারহান,,,,,,,, কিরে এতো সকালে বসে আছিস যে।

আরাব,,,,,,,,, তোরা

রিমান,,,,,,,, তোর গাঁয়ে এমন কাটার দাগ কেনো,, কে করেছে এমন কার এতো সাহস।

আরাব,,,,,,,,, আরে চিল,,,, কিছু ক্ষন পরেই তো ঠিক হয়ে যাবে, আমার আঘাত বেশি ক্ষন থাকে না

ফারহান,,,,,,,,, তো কি হয়েছে ব্যাথা করেছে,, কে করেছে বল।

রিমান,,,,,,,,,, তাকে মেরে উল্টো লটকিয়ে দিবো।

আরাব,,,,,,,,,, তোদের ভাবী মেরেছে।

ফারহান,,,,,,,, ভাবী,,,,,,, মুন

রিমান,,,,,,,,,, এটা কি ভালোবাসার মার।

আরাব,,,,,,,, হুমম।

ফারহান,,,,,,,,, খুবি কঠিন

রিমনা,,,,,,,,,, ভাই কেনো এতো ভালোবাসা দিলো একটু বল।

আরাব সব কিছু বলে।

ফারহান,,,,,,,,, অনেক ব্যাথা করছে।

রিমান,,,,,,,, না মজা লাগছে।

আরাব,,,,,,,,,,, আচ্ছা যা তোরা সবাই ফ্রেশ হ, আমাকে একটু ভাবতে দে।

সবাই ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে,,খাবার টেবিলে।

রিমান ফারহানের সাথে বসে,, যাতে রিমান কাওকে কিছু বলে না দেয়৷ রিমি টেবিলে বসে ফারহানের দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছে, আর ফারহান রাগে রিমির দিকে তাকিয়ে আছে৷

রিমান,,,,,,,,,,,,, বেটকি মাছের মতো বেটকাচ্ছিস কেনো।

রিমি,,,,,,,,,,, মন চাইছে তাই, তোর কোনো প্রবলেম।

রিমান,,,,,,,,,,,, আল্লাহ হেদায়েত দান করো ভায়ের সাথে কেমন করে কথা বলছে।

রিমি,,,,,,,,,, ওরে আমার দুধে দোয়া কচু পাতা।

আরাব,,,,,,,,, তাড়াতাড়ি খা সবাই আমরা তিনজন জ্বীনরাজ্যে যাবো৷

রিমি,,,,,,,,, আমিও যাবো।

রিমান,,,,,,,,, আমরা মামা বাড়ি যাচ্ছি না,, আমিও যাবো৷

রিমি,,,,,,,,,, ওটা আমার মামার বাড়িই।

রিমান,,,,,,,,, ওহহ ভুলেই তো গেছিলাম,, আমার মামা হলে তোরওতো মামা হবে কাকা না।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, আমারো দেখার ইচ্ছে আছে।

রিমান,,,,,,,,, ঠিক আছে আজকে দেখিয়ে দিবো।

রিমি,,,,,,,,,, আরে বা,, আমি যখন বলছিলাম তখন তো ছেদ করে উঠছিলি। বউকে পেয়ে বোন পর হয়ে গেলো।

রিমান,,,,,,,, তুই আপন কবে ছিলি, তরে ঐ ডাস্টবিন থেকে উঠিয়ে আনছি।

রিমি,,,,,,,,,,, তোকে তো ড্রেন থেকে উঠিয়ে আনছি।

ফারহান,,,,,,, চুপ কর শরম নেয় তোদের।

রিমান,,,,,,,, তোর শরম আছে কোলবালিশের সাথে লুতুপুতু করোস।

আরাব,,,,,,,,,,, কিহহ৷

রিমান,,,,,,,,,, আরে আজ,,,,,,,

কিছু বলার আগেই ফারহান জোর করে রিমানের মুখে খাবার ডুকিয়ে দেয়।

ফারহান,,,,,,,,,,, আরে ও তো পাগল ওর কথা শুনা দরকার নেয়।

রিমান,,,,,,,,,,, আয়ি আআ আ পা,, ( কিছু বলতে পারছে না।

ফারহান,,,,,,,, তোর পায়ে পড়ি কিছু বলিস না। ( কানে কানে )

রিমান,,,,,,,,, আমি পাগল।

ফারহান,,,,, হুম না মানে আমি পাগল তুই তো ভালো।

আরাব,,,,,,,,,৷ হয়েছে তোদের চল এখন।

এই সময় মুন আসে,,,,,

আরাব,,,,,,,,,, তুমি।

রিমান,,,,,,,,, ভালোবাসা দিয়ে মনে হয় মন ভরে নাই রেডি থাক ( আরাবের কানে কানে )

মুন,,,,,,,,,, তোমার সাথে জ্বীন রাজ্যে যাবো, আমার সাথিদের খুজতে তোমার সাহায্য লাগবে।

আরাব,,,,,,,,,,, তুমি তো বলেছিলে আমাকে বিশ্বাস করো না।

মুন,,,,,,,, এখন করি৷

আরাব,,,,,,, সত্যি

মুন,,,,,,, একটু একটু।

আরাব,,,,,,,,,, কেনো।

মুন,,,,,,,,,, কেনো না আমার তালোয়ারে নীল পরদ ছিলো,, আরাবকে মারা সহজ না কিন্তু নীল পরদ জ্বীনের জন্য ভয়ানক। আরাবকে আঘাত করার সময় আমার চোখে পড়ে।

কেও আরাবকে আমাকে দিয়ে মারতে চাই।

আরাব,,,,,,,,, এখন বিশ্বাস করো।

রিমান,,,,, বললো না একটু একটু করে। আর বুঝলে কিভাবে তোমার সাথিরা জ্বীনে রাজ্যে আছে।

আরাব,,,,,,,, আমি সব কিছু খুলে বলছি।

রিমান,,,,,,,,, কিছু খুলা লাগবো না এখানে মেয়েরা আছে, সব পড়ে বল৷

আরাব,,,,,,,,,,, 😑😑 পরে বলবো চল এখন।

চলবে,,,,,,,

জ্বীন রহস্য (love story) ❤
Season 2
Writer Maishara Jahan
Part 21

রিমান,,,,,,,,, কিছু খুলা লাগবো না এখানে মেয়েরা আছে সব পড়েই বল।

আরাব,,,,,,,,,,, 😑😑 পরে বলবো, এখন চল।

মাহুয়া,,,,,,,,,,,,,,, আমি কিভাবে যাবো।

রিমান,,,,,,,,,,,, আরে চিন্তা করো কেনো জানু আমি আছি না।

রিমি,,,,,,,,,,,,, ফারহানের জন্য আমি আছি।

রিমান,,,,,,,,,,, লাগবে না, ওর লকেট আছে ছো ও এমনি যেতে পারবে, আপনার দরকার হবে না।

ফারহান,,,,,,,,,,,,, আমি রিমিকে সাহায্য করছি, ওর প্রথম বার তো।

রিমান মাহুয়ার হাত ধরে,,,

রিমি হাত বারিয়ে দেয় ফারহানের দিকে ফারহান রিমির হাত ধরে পিছনে নিয়ে কমরে ধরে যাতে কেও না দেখতে পারে।

রিমি চমকে ফারহানের দিকে তাকায়,ফারহান একদম স্বাভাবিক ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। রিমি ফারহানের হাত তার কমর থেকে সরাতে চায় ফারহান আরো শক্ত করে ধরে।

ফারহান,,,,,,,,,,, কি হলো জানেমান ভালো লাগছে না, একবার ভাবো আমার উপর যে এই গুলো করতে তখন আমার কেমন লাগতো। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকো না হলে সবার সামনে ধরতে আমি লজ্জাবোধ করবো না। ( রিমির কানে কানে )

রিমান,,,,,,,,,,, এতো কি খুছুরফুছুর করছিস চল।

রিমান মাহুয়ার হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে, ফারহান রিমির৷ আরাব মুনের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

মুন,,,,,,,,,,,, কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো,, চলো

রিমান,,,,,,,,,,, তাকিয়ে থেকে কোনো লাভ নেয় ভাই। চল চল

কিছু ক্ষন পর সবাই জ্বীন রাজ্যে পৌঁছে যায়।

রিমি,, মাহুয়া,,,,,,,,,,,, ওয়াও কতো সুন্দর, একদম স্বপ্নের মতো,ঠিক এমন জায়গা আমি স্বপ্নে দেখতাম।

রিমি,,,,,,,,,,,, তাহলে এইটা আমার মার বাপের বাড়ি,, আর আমি ২০ বছর পরে দেখছি। 😤😤

সবাই আনন্দ নিয়ে চারদিক দেখছে, আর মুনের চোখে পানি যেনো থামছে না।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, কি হলো মুন তুমি কাঁদছো কেনো।

মুন,,,,,,,,,, কতো বছর পর আমি আমার দেশে এসেছি। তোমার কোনো ধারণা নেয় এখানে আসার জন্য আমি কতো অস্থির হয়েছি।

বলে মুন উড়ে চলে যায়।

রিমি,,,,,,,,,,, আরে কোথায় যাচ্ছো।

আরাব,,,,,,,,,,,, আমি জানি ও কোথায় গেছে, তোমরা যাও আমি ওকে নিয়ে আসছি।

আরাবও উড়ে চলে যায়।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, যাকে দেখছি সে উড়ে চলে যাচ্ছে এখানে শুধু কি আমি একাই মানুষ।

ফারহান,,,,,,,,,,, আমিও আছি।

মাহুয়া হেঁসে হেসে আগে আগে হেঁটে যাচ্ছে,,

রিমান,,,,,,,,, মাহুয়া এখানে কিন্তু কোনো মানুষ নেয়, আশেপাশে সব কিন্তু জ্বীন।😅😅

মাহুয়া তাড়াতাড়ি এসে রিমানের এক হাত জরিয়ে ধরে।

মাহুয়া,,,,,,,,,,,,,,, ত ত তো কি হ হ হয়েছে আমি কি ভ ভয় পায় নাকি।

রিমান,,,,,,,,,,,, আমি কি তা বলেছি নাকি,, তুমি তো আমার সাহসী মেয়ে। এখন চলো।

ওরা মহলের ভিতরে প্রবেশ করে,, যেহেতু আরাবের আজকে সিংহাসনে বসার কথা তাই মেহমান অনেকে এসেছে, আর অনেকে আসার বাকি।

ওরা মহলে ডুকতেই অনেক পরীরা দৌড়ে আসে রিমানের জন্য, মাহুয়াকে রিমানের হাত জরিয়ে ধরে রাখতে দেখে পরীরা রাগে মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

পরীরা,,,,,,,,,,,,, তুমি রিমানের হাত ধরে রেখেছো কেনো।

মাহুয়া,,,,,,,,,,,, আপনারা রিমানের কি হোন ( হাত ছেড়ে দিয়ে )

ফারহান,,,,,,,,,,,,, এরা সবাই রিমানকে পছন্দ করে।

এটা বলা মাত্রই মাহুয়া তাড়াতাড়ি আবার রিমানের হাত ধরে ফেলে।

মাহুয়া,,,,,,,,,,,, আমি ওর গার্লফ্রেন্ড আপনারা।

পরীরা,,,,,,,,,,, আমরাও ওনার গার্লফ্রেন্ড।

মাহুয়া রিমানের হাত ধরে নিচের দিকে টান দেয়, রিমান হালকা মাহুয়ার দিকে ঝুঁকে যায়।

মাহুয়া,,,,,,,,,, কিহহ

রিমান,,,,,,,,,,, আরে ওরা জাস্ট ফ্রেন্ড।

মাহুয়া,,,,,,,,,,,, এমন ভাবে তো আরাব ভাইয়াও বলে ওনি আর মুন নাকি জাস্ট ফ্রেন্ড, কিন্তু এটা কি সত্যি।

রিমান,,,,,,,,,, আরে কিসের সাথে কি মিলাছো, তেমন কিছু না, তুমি আমার ওনলি এক মাত্র জিএফ। 😫😫

মাহুয়া,,,,,,,,,,,, তা তো দেখায় যাচ্ছে।

রিমান,,,,,,,,,, ফারহান ভাই কিছু বলনা

ফারহান,,,,,,,,,,,,, ফ্লাট করার সময় মনে থাকতো না, তখন যে মানা করতাম তখন কি কানে যেতো না।

মাহুয়া,,,,,,,,, তোমরা ওর কেমন গার্লফ্রেন্ড।

পরীরা,,,,,,,,,, রিমান তো বলতো, আমরা গার্ল আর রিমানের ফ্রেন্ড তাই গার্লফ্রেন্ড।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, তাই না ( রিমানের দিকে কটমট করে তাকিয়ে )

রিমি,,,,,,,,,,,,, ছিঃ ছিঃ ভাবী দেখো, ভাইয়া কি কি করছে, তোর কাছে এমনটা আশা করিনি,, আমার কবুতরের মতো ভাবিকে ধোকা।

রিমান,,,,,,,,,,,, রিমি তুই কি বিয়ে করানোর পন্ডিত।

রিমি,,,,,,,,,,,, না।

রিমান,,,,,,,,,,,, তাহলে আগুনে ঘি কেনো ডালছিস। মাহু তুমি যেমন ভাবছো তেমন কিছু না।

পরীরা,,,,,,,,,,,,, রিমান আপনার গান শুনার জন্য আমরা সবাই অপেক্ষা করেছিলাম, আমাদের জন্য গান গাইবেন তো।

মাহুয়া,,,,,,,,,, ও কোনো গান গাইবে না। ( রাগ )

পরীরা,,,,,,,,,, তুমি বলার কে ও গাইবে ( রাগে )

মাহুয়া,,,,,,,, তোদের তো ( রিমানের হাত ছেরে পরীদের দিকে এগিয়ে )

রিমান,,,,,,,,,,,, মাহুু ওরা কিন্তু মানুষ না।

মাহুয়া আবার ফিরে আসে, এবার রিমির হাত ধরে।

মাহুয়া,,,,,,,,, নিজের ফল খারাপ থাকলে অন্যকে বলে কি করবো।

রিমান,,,,,,,,,,,, কোনো ফল খারাপ না, দেখো আমি একদম ফ্রেশ তাজা আছি।

রিমি,,,,,,,,,,, হুমম তাজা ফলের থেকে গন্ধ বের হয় না৷

রিমান,,,,,,,,,, চুপ থাক ( ধমক দিয়ে )

রিমি,,,,,,,,,,,, ফারহান তোমার তো আবার এখানে এমন কেও নেয়৷

রিমান,,,,,,,,, ওর সাথে কে করবে,, ওর সাথে প্রেম করা মানে নিম গাছে বসে করল্লা খাওয়া, কেও আসলেই বলতো সরি আমার কথা বলতে ভালো লাগে না।

মাহুয়া,,,,,,,,,, আপনার কাছে আসলে কি বলতেন যে আসো আমার কথা বলতে খুব ভালো লাগে।

রিমান,,,,,,,,,, আরে না, উফফ কি যে করি।

রিমি,,,,,,,,,,, 🤣😂🤣 একে বলে প্যারা।

ফারহান,,,,,,,,,,, আরে দূরর এখন চলো তো।
।,,,,,,,,,

রিমি,,,,,,,,, মামা মামি কেমন আছো,

যীন্নাত,, মুগ্ধ,,,,,,,,,, আমরা ভালো আছি তুমি কেমন আছো।

রিমি,,,,,,,,, আর ভালো তোমরা এতো সুন্দর জায়গা থাকো আর আমি আজ জানতে পারলাম,,, সবাই বলে মামার বাড়ি না মধুর হাড়ি আর তোমরা আমাকে কি দিছো কচুর ছড়ি।

মুগ্ধ,,,,,,,,,,,, আরে বাপরে আমার মামনি তো দেখি অনেক রেগে আছে৷

রিমি,,,,,,,,, অনেক।

যীন্নাত,,,,,,,,,,, আমি তো তোমার জন্য একটা সুন্দর ড্রেস এনেছিলাম,, তুমি রেগে থাকলে,,

রিমি,,,,,,,,, সত্যি,, কোথায় আমার ড্রেস।

রিমান,,,,,,,,,, আরে লোভীরে।

মুগ্ধ,,,,,,,,,, তা এই মেয়ে কে।

রিমান,,,,,,,,,,, মামা আমার জি,,,

মাহুয়া,,,,,,,,, আমি রিমির বন্ধু।

যীন্নাত,,,,,,,,,, শুধু বন্ধু হলে এখানে আসতে না,, আমাদের আর বুঝার বাকি নেয়। তা আরাব কোথায়।

ফারহান,,,,,,,,,, ওরা আসছে মুন মানে মুনতাহাকে নিয়ে।

মুগ্ধ,,,,,,,,, মুনতাহাকে খুঁজে পেয়েছে। ( ব্যাস্ত হয়ে )

ফারহান,,,,,,,, হুমম

,,,,,,,,,,

আরাব,,,,,,,,,,,,, আমি জানতাম তুমি এখানেই থাকবে।

মুন,,,,,,,,, তুমি এখানে ( মুনের মা বাবার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে )

আরাব,,,,,,,,,,,, আমি কোনো দিন এইদিকে আসি নি, ভাবতাম চাচা চাচির সামনে কিভাবে যাবো, সাহস নেয়। কিন্তু এখন

মুন,,,,,,,, এখন কেনো এসেছো।

আরাব,,,,,,,,,, কারন আমি জানি আমি নির্দোষ, এখন আমার কোনো লজ্জা ভয় কিছু নেয়।

মুন,,,,,,,,,, কিন্তু আমার চোখে তুমি এখনে দোষী৷

আরাব,,,,,,,,,, জানি খুব তাড়াতাড়ি সেটাও শেষ হয়ে যাবে। এখন চলে সবাই তোমার অপেক্ষা করছে।

মুন,,,,,,,,,,,,, হুমম চলো।

মুন মহলে পা রাখে ওর চোখ বেয়ে পানি পড়ছে, পুরো মহলে তার মা বাবার সাথে সবার সাথে স্মৃতি দিয়ে ঘিরা৷

মুগ্ধ,,,,,,,,,,, মুনতাহা,,কেমন আছিস,,তকে কতো খুঁজার চেষ্টা করেছি, কতো সিপাহী পাঠিয়েছি।

মুন,,,,,,,,,, তাও খুজে পাও নি,, এটা কি করে হতে পারে। আচ্ছা যাক বেঁচে আছি দেখতেই পারছো। ( অভিমান )

যীন্নাত,,,,,,, এতো বছর পরে দেখে তোকে খুব ভালো লাগছে।

মুন,,,,,,,,,,, ভালো লাগছে ( তুচ্ছ হাসি দিয়ে ) আমার রুমটা কি আগের মতো আছে নাকি,,,,

মুগ্ধ,,,,,,,,, তোর রুম আগে যেমন ছিলো এখনো তেমনি আছে।

মুন,,,,,,,,,, তাহলে আমি আমার রুমে যাচ্ছি।

বলে মুন সোজা হেঁটে চলে যায়৷

আরাব,,,,,,,,, মা বাবা মন খারাপ করো না, ও এখনো অভিমান করে আছে, সব ঠিক হয়ে যাবে।

যীন্নাত,,,,,,,,,, হুমম যাও সবাইকে সবার রুম দেখিয়ে দাও৷

,,,,,,,,,,,,,

আরাব সবাইকে সবার রুম বুঝিয়ে দেয়।

মাহুয়া,,,,,,,,,, আমি একা একা থাকতে পারবো না।

রিমান,,,,,,,,, ঠিক আছে আমার সাথে থাকো। 😁

মাহুয়া,,,,,,,,,,, কেনো আপনার পরীরা আছে না, তাদের সাথে থাকেন। আমি রিমির সাথে থাকবো।

রিমি,,,,,,,,,,, ঠিক আছে, আমিও একা একা থাকতে পারবো না।

মাহুয়া,,,,,,,, আর ঘর গুলো দেখছো কি বড়ো বড়ো, কোনো প্রবলেম হবে না।

আরাব,,,,,,,,,,,,,, তোরা সবাই ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে আয়।

,,,,,,,,,,,

মুন,,,,,,,,,,, আমার রুম তো সেই আগের মতোই আছে তাও অনেক পরিবর্তন লাগছে। চিনা জিনিস গুলো আজ বড্ড অচিনা লাগছে আর আপনজনেরাও।

লম্বা একটা নিশ্বাস ফেলে, যাই হোক আমাকে আমার সাথি বোনদের খুঁজতে হবে। জানি না কেনো বিশ্বাস তো করতে মন চাইছে আরাবকে কিন্তু মাথা অন্য কিছু বলছে।

,,,,,,,,,

রিমি,,,,,,,,,,, ভাবী দেখো কি সুন্দর গ্রাওন, হালকা গোলাপী। কেমন লাগবে আমায়।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, এতে তোমায় দারুন মানাবে। আমারটা সাদা।

রিমি,,,,,,,,, এটা পরলে ভাইয়া তো চোখ ফিরাতে পারবে না।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, আর তোমার ভাইয়া,, ওর নাম নিবা না।

রিমান, ফারহান, আরাব রেডি হয়ে নিচে আসে,অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে পুরো মহলটা।

রিমান,,,,,,,,,, ভালো হয়েছে মামুকে বলে শার্ট প্যান্ট কোর্ট এনে পরেছি না হলে এদের মতো ব্রিটিশ আমলের রাজাদের পোশাক পড়া লাগতো।

তিন জনেই সাদা শার্ট কালো কোর্ট প্যান্ট পড়ে। হালকা লম্বা সিল্কি চুল। সাদা গায়ে কালো ফুটে রয়েছে।

রিমি মাহুয়া রেডি হয়ে রুম থেকে বের হয় সাথে মুনও বের হয়৷

রিমি,,,,,,,, ওয়াও তোমাকেও আজ ফাটাফাটি লাগছে, নীল গ্রাওনে মানিয়েছে তোমাকে।

মাহুয়া,,,,,,,,, চলো তিন জনে এক সাথে নিচে যাবো।

তিন জনে এক সাথে নিচে নামতে থাকে। রিমান, ফারহান, আরাব যেভাবে তাকিয়ে আছে, মনে হয় এখনি মুখ থেকে পানি পড়বে 🤤🤤।

মুন নিচে নেমেই আরাবের সামনে দিয়ে হেঁটে যায়, আরাবও মুন যে দিকে যাচ্ছে ঘাড় ঘুরিয়ে ঐ দিকে তাকিয়ে আছে।

রিমান,,,,,,,,,, অনেক সুন্দর লাগছে তোমাকে।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, ঐদিকে তাকাও পরীদের আরো সুন্দর লাগছে।

রিমি,,,,,,,,, ভাইয়া আমাকে কেমন লাগছে।

রিমান,,,,,,,,, আমাকে জিজ্ঞেস করিস আমি মিথ্যা কথা বলতে পারি না।

রিমি,,,,,,,,,, মানে৷

রিমান,,,,,,,,,, মানে ছাগলকে জামা পড়িয়ে দিলে যেমন লাগে আরকি।

রিমি,,,,,,,, শয়তান তকে দেখে মনে হচ্ছে কোনো বান্দর কে প্যান্ট শার্ট পরিয়ে দিয়েছে।

মাহুয়া,,,,,,,,, ঠিক বলেছো রিমি।

রিমান,,,,,,,,,, মাহু তুমি আমাকে বান্দর বললা, তুমি দেখতে,,,,,,

মাহুয়া,,,,,,,,, কি, কি আমি দেখতে 🤨😠

রিমান,,,,,,,,,, না একদম কিউট খরগোশের মতো 😅😅

মাহুয়া,,,,,,,,,, এখন তো আমাকে খরগোশের মতোই লাগবে, এতো এতো সুন্দরীদের মধ্যে আমাকে কি আর ভালো লাগবে৷

রিমি,,,,,,,,,,, দেখো ভাবী দেখো মেয়েদের দেখে কেমন পরিবর্তন হয়ে গেছে।

রিমান,,,,,,,,,,, তোর ঝাড়ুর মতো মুখ বন্ধ রাখ।

মাহুয়া রাগে অন্য দিকে চলে যায়,

রিমান,,,,,,,,, আরে শুনো,,, ( রিমানও মাহুয়ার পিছনে পিছনে যায় )

ফারহান,,,,,,,,, হয়েছে আপনার এবার একটু আমার দিকেও তাকান৷

রিমি ফারহানের দিকে তাকিয়ে মিথ্যা একটা হাসি দিয়ে চলে যেতে নেয়, ফারহান রিমির হাত ধরে এক কোনায় নিয়ে যায়। রিমিকে দেওয়ালে ঠেকিয়ে, এক হাত দেওয়ালে রেখে দাঁড়িয়ে আছে।

ফারহান,,,,,,,,,,,, আমার থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছো,, ( টাই ডিলা করতে করতে )

রিমি,,,,,,,,,, একদমি না 😅😅

ফারহান,,,,,,,,,,, আজ তোমায় অনেক সুন্দর লাগছে।

রিমি,,,,,,,,,,, Thanks,,, আর কিছু।

,,,,,,,,,,, আরো অনেক কিছু বলতে তো চাই আর শুধু বলতেই না ( রিমি মুখের কাছে গিয়ে৷)

রিমি,,,,,,, ভয়ে শেষ।,,,,, মা মা মানে।

,,,,,,,,, জানেমান তুমি কি ভয় পাচ্ছো, তোমার অবস্থা আগে যেমন আমার হতো অমন হচ্ছে, ভয় পেওয়া না।

রিমি,,,,,,,,,, ভ ভয় কে কেনো পাবো,,,, আরে ভাইয়া

ফারহান পিছনে তাকায়, আর ঐ সুযোগে রিমি দৌড়ে পালায়৷

ফারহান দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে, ঠোঁট বেকিয়ে হেসে।

পালিয়ে কোথায় যাবে, আমার কাছেই আসতে হবে।

,,,,,,,,,,,,,,

মাহুয়া রাগে দাঁড়িয়ে আছে রিমানও যায়,,, তখনি পরীরা গিয়ে রিমানকে চারদিক দিয়ে ধরে।

পরীরা,,,,,,,,, রিমান চলেন না আমাদের সাথে।

রিমান,,,,,,,,, আরে ছাড়ো যেতে পারবো না 😐😐

মাহুয়া,,,,,,,,,,, এই ছাড়ো ছাড়ো।

পরীরা,,,,,,,,,, ছারবো না, কি করবে, চলে যাও এখান থেকে না হলে ভালো হবে না।

মাহুয়া,,,,,,, তোর ভালোর গুষ্টি কিলায়।

বলে জোর করে সব গুলোর হাত ছাড়িয়ে ধাক্কা দেয়।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, খবর দার যদি এর দিকে চোখ দিয়েছিস৷ ( মাহুয়া এমন করছে যেনো পরীদের মেরেই ফেলবে )

রিমান,,,,,,,,,,, মাহুয়া এরা মানুষ না পরী।

মাহুয়া,,,,,,,,,, আরে রাখুন আপনার এক কথা, পরী তো কি করবো, এদের নিয়ে নাচবো,আমিও কোনো পরী থেকে কম না। 😡😡

আর রিমান খবরদার যদি ওদের পরী পরী বলেছেন,, তাহলে আমার কাছে মনে হয় তারিফ করছেন ওদের। এই পরীদের সবাইকে বোন বলে ডাকবেন,, কি বলে ডাকবেন 😠😠

রিমান,,,,,,,,,,,, বোন 😒😒

মাহুয়া,,,,,,,,, হুমম,,, আর তোমাদের বলছি রিমানের আশেপাশে দেখলে না তোমাদের ডানা কেটে হাতে ধরিয়ে দিবো।,, আর আপনাকে তো আমি দেখে নিবে।

বলে রাগে ফসফস করতে করতে চলে যায়।

রিমান,,,,,,,,, আমি আবার কি করলাম।

পরীরা,,,,,,,,,, একটা মানুষ হয়ে আমাদের ধমকে চলে গেলো ছাড়বো না 😡😡

রিমান,,,,,,,,,, ওর কিছু করার কথা স্বপ্নেও ভাববে না, না হলে তোমাদের জন্য খুব একটা ভালো হবে না৷

,,,,,,,,,,

আরাব,,,,,,,,,, মুন তোমায় দারুন লাগছে, সব থেকে আলাদা।

মুন,,,,,,,,,,, হয়েছে, আপনার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে এবার জান।

আরাব,,,,,,,,,, সবার সামনে জান বলো না লজ্জা করে, ওকে জানু আমি যাচ্ছি।

মুন,,,,,,,,, আরে আমি ঐ জান বলি নি।

আরাব যায় সবার সামনে আরাবকে রাজা ঘোষণা করা হয়, সিংহাসনে বসিয়ে, রাজকীয় তালোয়ার আর #জ্বীন_রহস্য কিতাব দেওয়া হয়।

আরাব সাথে সাথে কিতাব খুলতে চাই, কিন্তু পারে না।

যীন্নাত,,,,,,,,, সিংহাসনে বসার সাথে সাথে এটা তোমার জন্য কাজ করবে না,, কিছুটা সময় লাগবে কালকে খুলবে।

আরাব,,,,,,,,,,,, আচ্ছা মা সবাইকে দেখছি বড়ো চাচা আর তার ছেলেকে দেখছি না।

যীন্নাত,,,,,,,,,,, ওরা কি এক জরুরি কাজে গেছে।

আরাব,,,,,,,,,, ওও আচ্ছা মা নীল রেদ কার কাছে আছে।

যীন্নাত,,,,,,,,,, তোর বড়ো চাচার কাছে খুবি অল্প ছিলো। কেনো।

আরাব,,,,,,,,,,, না এমনি।

চারদিকে আনন্দ উৎসব হচ্ছে।

রাতে সবাই খেতে বসে, মাহুয়া রাগে খাচ্ছে, যেভাবে খাচ্ছে মনে হচ্ছে খাবারকে পেটাচ্ছে।

রিমান খাবারের জায়গায় নিজেকে দেখতে পারছে।

রিমি,,,,,,,,, কিরে ভাইয়া এই জায়গায় এসে তোর চেহেরার রং খুশিতে মনে হচ্ছে উজ্জ্বল হয়ে গেছে কারন কি 😁😁

মাহুয়ার দুই চোখ আগুনের মতো হয়ে যায়, কাটা চামচ প্লেটে চুরির মতো ধরে রিমানের দিকে তাকায়।

রিমান,,,,,,,, রিমির বাচ্চা

ফারহান,,,,,,,, হুমম আমিও খেয়াল করেছি।

আরাব,,,,,,,,,, ও যতো বারি এখানে আসে ততো বারি এমন খুশি থাকে।

মাহুয়ার রাগ চরম মাত্রায় পৌঁছে যায়।

রিমান,,,,,,,,,,,,, আমার সুখ তোদের গায়ে সয় না।

মুগ্ধ,,,,,,,,, রাত অনেক হয়েছে তোমরা গিয়ে শুয়ে পড়ো।

ফারহান,,,,,,,,,,, মাহুয়া শুয়ে পরলে বাগানে আসবে কথা আছে। ( আস্তে )

রিমি,,,,,,,,, কি কথা।

ফারহান,,,,,,,,, আসলেই শুনতে পাবে।

মাহুয়া শুয়ে পড়ে, রিমি এই সুজোগে পা টিপে টিপে রুম থেকে বেরিয়ে যায়, ভয়ে ভয়ে বাগানে যায়।

বাগানে যেতেই ফারহান রিমির হাত টান দিয়ে গাছের সাথে মিশিয়ে দেয়।

রিমি,,,,,,,,,, আল্লাহ তুমি

,,,,,,, অন্য কাওকে চাইছিলে।

,,,,,,,,,,, আরে দূরর, এখানে কেনো ডাকলে তাও আবার রাতে।

,,,,,,,,,, দেখো না কতো রোমান্টিক জায়গা, তাই রোমান্স করতে মন চাইছে।

,,,,,,,,,,,, এই তুমি এমন পাল্টে গেলে কিভাবে, এখন তো তোমার সামনে আসলে আমার ভয় লাগে।

,,,,,,,,,,,, কেনো ( রিমির কাছে এসে )

,,,,,,,,,,,,,, একটু দূরে গিয়ে কথা বলো কেমন লাগছে।

,,,,,,,, কেমন লাগছে। ( আরো কাছে এসে )

,,,,,,,,,,,,, জানি না,, কি বলবে বলো ( নিচে তাকিয়ে)

ফারহান নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে রিমির দিকে। রিমি ফারহানের দিকে তাকাতে পারছে না লজ্জায়৷

ফারহান রিমির ঠোঁটের দিকে এগুচ্ছে, রিমি ফারহানকে ধাক্কা দিয়ে যেতে নেয়। ফারহান হাত ধরে ফেলে।

রিমিকে টান দিয়ে রিমির ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়, রিমি ফারহানকে খামছে ধরে। কিছু ক্ষন পরে ছেড়ে দেয়। রিমি ফারহানকে জরিয়ে ধরে।

এমন সময় রিমান কমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

রিমান,,,,,,, কিরে তোরা এখানে কি করোছ।

ফারহান রিমিকে ছেড়ে দেয়।

রিমি,,,,,,, কই কিছু না,,

রিমান,,,,,,,,, তা তো দেখছিই, এতো রাতে তুই পা টিপে টিপে রুম থেকে বের হওয়ার সময় আমার সন্দেহ হয়েছিলো।

রিমি,,,,,, তুই আমার রুমের সামনে কি করছিলি।

রিমাব,,,,, চোরের মায়ের বড়ো গলা,,,, কেনো এসেছিস এটা বল।

রিমি,,,,,,,,, ফারহান আমাকে এখানে ডেকেছে।

ফারহান,,,,,,,, না রিমি আমাকে জোর করেছে এখানে আসতে।

রিমি হা করে ফারহানের দিকে তাকায়।

রিমি,,,,,,, ঠাডা পড়া মিথ্যা কথা, ও ডেকেছে।

রিমান,,,,,,, আমাকে বলতে হবে না,, তুমি কেমন আমি জানি,,, আমার খরগোশের মতো নাজুক বন্ধু ও এগুলো করতে পারে না।

রিমি,,,,,, ওরে আমার নাজুক রে

রিমান,,,,,,,,, ফারহান এতো রাতে তোকে ডাকার সাহস করতেই পারে না, ও একটা ভোলা ভালা ছেলে তাকে তুই নষ্ট করছিস। বিচারা কতো ভয় পেয়ে গেছে।

রিমি,,,,,,,,,, ফারহান ভোলা ভালা ঐ কিছু কও।

ফারহান,,,,,,,,,, শুধু শুধু এতো রাতে না ডাকলেই পারতে৷

রিমান,,,,,,,,,, ভদ্র একটা ছেলে, সহজ সরল পেয়ে অত্যাচার করছিস।

রিমি,,,,,,, ওরে আমার সরল রে,,,, তোর বন্ধু অনেক সোজা একদম জিলাপির মতো সোজা। ( ফারহানের দিকে কটমট করে তাকিয়ে )

আপনাদের জন্য বড়ো করে লিখেছি, এখন ভালো ভালো কমেন্ট করুন দয়া করে।

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here