জ্বীন রহস্য (love story) ❤,Part 18,19

জ্বীন রহস্য (love story) ❤,Part 18,19
Writer Maishara Jahan
Part 18

যীন্নাত,,,,,,,আমি রাজি, আমি আমার সব শক্তি দিয়ে দিবো।

কাল,,,,,,,, বুদ্ধিমান।

মুগ্ধ,,,,,,,,, কিন্তু

যীন্নাত,,,,,,,, কোনো কিন্তু না, আমার বন্ধুদের থেকে বেশি কিছু না আমার কাছে।

মুগ্ধ,,,,,,,,, তুমি যা ভালো বুঝো তাই করো আমি আটকাবো না, কিন্তু একটা কথা মাথায় রেখ তোমার একটা প্রক্ষেপে নির্ভর করছে জ্বীন রাজ্যের ভবিষ্যৎ।

কাল,,,,,, এই চুপ,,, ও রাজি তো তোর এতো সমস্যা কি। যীন্নাত তুমি যেমন সুন্দর তেমন বুদ্ধিমান।

রোহান,,,,,,, শালা লুচ্চা

কাল,,,,,,, ঐ কি বললি।

রোহান,,,,,,,, আমি কিছু বলি নাই রিয়াদ বলছে।

রিয়াদ,,,,,,, ঐ শালা আমি কি কইলাম তুইতো লুচ্চা কইছস।

কাল,,,,,, চুপ ঐ, তোরে না কইছি চুপ থাকতে সত্যি সত্যি কিন্তু সিক ডুকিয়ে দিবো।

রিয়াদ,,,,,, আমি কি

কাল,,,,, চুপ,,, যীন্নাত দাও তোমার শক্তি দাও।

যীন্নাত,,,,,, এভাবে কিভাবে দিবো, আগে আমার বন্ধুদের ছাড়

,,, ঠিক আছে।

কাল ওদের ছেড়ে এক কিনারে দাঁড় করিয়ে রাখে।

,,,এখন দাও

,,,,, আমি খাঁচার ভিতর থেকে কিভাবে দিবো। আগে আমাকে বের করতে হবে।

,,,, ঠিক আছে।

কালের তুরিতে শুধু আমি বের হয় মুগ্ধ ভিতরেই থাকে।

,,,,,, মুগ্ধকে কেনো বের করা হয়নি।

,,,,,, আমাকে কি পাগল পাইছো যে সবাইকে ছেড়ে দিবো। শক্তি দাও এখনি।

,,,,,,, কিভাবে দিবো।

কাল,,,,,,, মানে

,,,, মানে আমি জানি না শক্তি কিভাবে দিতে হয়।

কাল,,,,,,, তাহলে একটাই উপায়,, মরতে হবে তোমাকে।

রিয়াদ তার পাশে একটা খাচায় পাখি দেখে,,, সে আস্তে আস্তে লুকিয়ে গিয়ে, পাখিটাকে ধরে জোরে চিৎকার করে।

রিয়াদ,,,,,,, পাইছি,, কালের বাচ্চা এবার কি করবি,, তোর জান এই পাখির মধ্যে তাই না, এবার এটাকে আমি মেরে ফেলবো, শালা বুইরা।

কাল,,,,,, এই তুই পাগল,, আমার জান পাখির কাছে থাকলে পাখির জান কই থাকবো।

মুগ্ধ,,,,, কি করছো তুমি।

রিয়াদ,,,,,,, কেনো টিবিতে তো এমনি দেখছি, শয়তানের জান পাখির মধ্যে থাকে।

যীন্নাত,,,,,,, এটা মুভি না।

কাল,,,,,,, কি জেনো বলছিলি

রিয়াদ,,,,, কই কিছুনাতো 😅😅

চুপচাপ পাখিটাকে ছেড়ে নিজের জায়গায় দাড়িয়ে যায়।

কাল,,,,, এবার শুরু করা যাক

,,,,কি

,,,, মরতে হবে যে তোমাকে।

যীন্নাত,,,,,,,,,, একবার ভেবে নেও, আমার মতো কিন্তু আর পাবে না, আমাকে মারতে পারবে তো। ( একটু ডঙ্গ করে )

কাল,,,,,,, মানে

,,,,, ইশশশ নিজের মুখে কিভাবে বলি, বুঝো না।

মুগ্ধ,,,,,, আমিও বুঝছি না

যীন্নাত,,,,,, তোমার বুঝা লাগবে না। কাল

কাল,,,,, হুমম,,

,,,,,,, বলো না আমাকে মারবে,, আমাকে দেখে কি মারতে ইচ্ছে করবে তোমার বলো।

কাল,,,,,, না না তুমি বললে আমি অন্য রাস্তা বের করে নিবো শক্তি পাওয়ার,, আর এদের ছেড়েও দিবো, শুধু

মুগ্ধ,,,,,,, শুধু 🤨🤨

কাল,,,,,,, বিয়ে করতে হবে আমাকে।

রিয়াদ,,,,,, তুই বিয়া কিইরা কি করবি, কিছুই তো করতে পারবি না।

কাল,,,,,, 👿👿 কিহহ

রিয়াদ,,,,,, অনেক কিছু করতে পারবেন বিয়ে করে।

যীন্নাত,,,,,,, তোমাকে বিয়ে করার জন্যই তো এসেছি।

মুগ্ধ,,,,,,,, সবাই কি এখানে এসে পাগল হয়ে গেছে,, মাথা ঠিক আছে তো তোমার।

যীন্নাত,,,,, কেনো কাল কি কোনো রাজকুমার থেকে কম লাগে নাকি।

রিয়াদ,,,,,,, দেখ ভাই বিয়া করবি কর কিন্তু এইভাবে রাজকুমারদের অপমান করিস না।

ফারা,,,,,, তোর সমস্যা কি।

রিয়াদ,,,,,, কারন আমার মা আমাকে রাজকুমার বলে।

রোহান,,,,,,, তাহলে তো ভাই তোর মা অনেক আগেই রাজকুমারদের অপমান কইরা ফেলছে।

রিয়াদ,,,,,,, কি কইলি।

কাল,,,,,, এখন কারো মুখ থেকে একটা কথা বের হবে সাথে সাথে ছাই বানিয়ে দিবো।

ওরা তিন জন মুখে আঙুল দেয়।

যীন্নাত,,,,,,,, আরে ওদের ছাড়ো আমায় দেখো।

মুগ্ধ,,,,,, আগে তুমি আমাকে দেখো 🤬🤬

যীন্নাত,,,,,, চুপ থাকোতো। কাল চলো না, আমরা অন্য কোথাও যায় এখানে কতো মানুষ আর জ্বীন।

কাল,,,,,, চলো গুহার বাহিরে যায়, অনেক সুন্দর দেখতে।

যীন্নাত,,,,,, চলো।

রিয়াদ,,,, যীন্নাতকে কি জ্বীনে ধরছে ( ফারার কানে কানে )

ফারা,,,,,,, ও নিজেই তো একটা জ্বীন।

রোহান,,,,,, মুগ্ধ মনে মনে কি ভাবছে জানিস।

রিয়াদ,,,,,, হুমম,,, আমি মরে যাবো জ্ঞান হাড়াবো বাঁচাতে পারবে না কেও,,,, এটাই ভাবছে।

যীন্নাত আর কাল বাহিরে যায়, গুহা থেকে বের হওয়ার আগে যীন্নাত লুকিয়ে তার জাদু দিয়ে খাঁচার দরজা খুলে দেয়।

কাল আর যীন্নাত বাহিরে আসে,,, সাথে সাথে সব জ্বীন সৈন্য হাজির হয়।

যীন্নাত,,,,,, কাল ওদের ভিতরে পাঠিয়ে দাও, আমরা একটু একা কথা বলি।

কাল,,,,, সবাইকে পাঠিয়ে দিবো।

যীন্নাত,,,,, কেনো ভয় পাচ্ছো নাকি, তোমার এতো শক্তি আছে তোমার আবার কাওকে ভয় পাওয়ার দরকার আছে নাকি।

কাল,,,,, ঠিক বলেছো,,,, এই তোরা সব ভিতরে যা। এখানে আসবি না।

সবাই ভিতরে চলে গেলো। কালকে এ কথা ও কথা বলে ভুলিয়ে রাখছি। কারন সত্যিটা জেনে গেলে ওর তার সব সৈনিকদের জীবিত করে দিবে পরে ওদের সাথে মারামারি করে কুলানো যাবে না।

আমি পিছনে ফিরতেই দেখি একটা জ্বীন দৌড়ে আসছে, আমি সাথে সাথে আমার তালোয়ার বের করে মেরে ফেলি।

কাল,,,,,, কি করলে এটা।

যীন্নাত,,,,,, এ কেমন গোলাম তোমার যে মালিকের কথা শুনে না,আসতে মানা করেছিলাম শুনেনি তাই মেরে দিয়েছি।

কাল,,,,,,, ঠিক করেছো।

যীন্নাত,,,,,, ( এতো ক্ষনে তো সব শেষ হয়তো বা এখন আমার পালা )

যে ভাবা সেই কাজ,, তালোয়ার দিয়ে গলায় আঘাত করতে নিলে কাল ধরে ফেলে।

কাল,,,,,,, এতো সহজ না 😈😈,, সৈনিক

যীন্নাত,,,,,, এতো কঠিন ও না,, পিছনে দেখ।

কাল পিছনপ তাকিয়ে দেখে,, রোহান রিয়াদ ফারা দাড়িয়ে আছে আর মুগ্ধ এক হাত দিয়ে তালোয়ার কাঁধে ধরে দাড়িয়ে আছে।

কাল,,,,, তোরা আমার সৈনিক।

ফারা,,,,,,, কাকু একটাও বেচে নেয়।

কাল,,,,, আমি একাই যথেষ্ট।

বলে বড়ো দুইটা তালোয়ার দিয়ে হামলা করে, আমি আর মুগ্ধ লড়ছি।আমারা দুজনে তাল মিলিয়ে লড়ছি।

যখন কাল আমাদের সাথে পেড়ে উঠছে না, তখন সে অনেক ভয়ানক জ্বীনদের নিজের ভিতরে ডাকে, এবং অনেক ভয়ানক হয়ে উঠে।

আমি আর মুগ্ধ অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু কিছুতেই পেড়ে উঠছি না। আমাদের দুজনকে উঠিয়ে ফেলে দেয়। নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে।

মুগ্ধকে কাল গলা টিপে ধরেছে, কোনো উপায় কাজ করছে না। বলে না যখন কোনো কিছু কাজে আসে না তখন আল্লাহর কালাম থাকে।

আমি জ্বীনদের ধরতে অনেক কিছু শিখেছি। তাই শুরু করলাম সূরা পড়া আর কালে হাত শক্ত করে ধরলাম।

কালের হাত থেকে ধোয়া বের হচ্ছে, যেনো পুরে যাচ্ছে। ও মুগ্ধকে ছেড়ে দেয় আর চিৎকার করতে থাকে।

আমি থামি না, কাল আমাকে ছিটকে ফেলে দেয়, কিন্তু আবার উড়ে আসি, সূরা পড়ে তালোয়ার নিয়ে সোজা মাথায় আঘাত করি, মাথা আলাদা করে দিয়।

সাথে সাথে কালের অস্তিত্ব শেষ।

আমার বন্ধুরা ইয়েএএ করে চিৎকার করে উঠে। অনেক বেশি চাপের কারনে আমার মাথা চক্কর দিয়ে উঠে ,, আমি জ্ঞান হাড়ায়।

মুগ্ধ আমাকে ধরে,, আমাকে কোলে তুলে ধরে।

ফারা,,,,,,,, আমরা যাবো,, চলো যায়।

মুগ্ধ,,,,,,,,,,, যীন্নাত অজ্ঞান হয়ে গেছে ও আমার কোলে, এখন আমি উড়ে তো সবাইকে নিতে পারবো না।

রিয়াদ,,,,,,,,, তাহলে আমরা যাবো কিভাবে 😒😒

তোমরা এখানে থাকো।

রোহান,,,,, এখানে থাকো মানে, এখানে কি মারতে চাও আমাদের।

মুগ্ধ,,,,,,,,, পুরো কথাটা তো শুনো, কয়েক মিনিট দাঁড়াও আমি কয়েক জনকে পাঠাচ্ছি তোমাদের নিয়ে আসবে।

রিয়াদ,,,,,,, ওরাও কি জ্বীন নাকি।

মুগ্ধ,,,,,,,, তোমার কি মনে হয় তোমাদের বাঁচাতে মানুষ পাঠাবো।

রিয়াদ,,,,,, যদি ওরা কিছু করে আমাদের।

মুগ্ধ,,,,, চিন্তা করো না কিছু করবে না।

রিয়াদ,,,,,, একটু চেহারা ভালো দেখে পাঠিয়ো না হলে দেখা যাবে আমাদের নিয়ে যাবে ঠিকি কিন্তু আমাদের আত্মা এখানে থেকে যাবে।

মুগ্ধ,,,,,, ঠিক আছে।

মুগ্ধ যীন্নাতকে নিয়ে চলে যায়, তারপর কিছু জ্বীন পাঠায়,তাদের আনতে।

চলবে

জ্বীন রহস্য (love story)
Writer Maishara Jahan
Part 19

,, আমি যীন্নাতকে নিয়ে চলে যায়, আর কিছু জ্বীন পাঠায় ওদের আনতে।

সারা রাজ্যে আনন্দ ছেয়ে গেছে কারন আজ থেকে কাল নামের বিপদ সবার জীবন থেকে চলে গেছে। কাল থেকে উৎব হবে।

যীন্নাত,,,,,,,

আমার যখন জ্ঞান ফিরে তখন আমি চোখ খুলে দেখি, আমি মুগ্ধের ঘরে তার বিছানায় শুয়ে আছি।

আশে পাশে কেও নেয়, মুগ্ধের বিছানায় এপাশ থেকে ওপাশ গড়ানি দিলাম।

মুগ্ধের বিছানায় মুগ্ধের শরীরের ঘ্রাণ লেগে আছে, অনেক ভালো লাগছে।

সামনে তাকিয়ে দেখি মুগ্ধ দরজায় হেলান দিয়ে এক হাত পকেটে ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

দেখে তাড়াতাড়ি টিক করে বসলাম।

মুগ্ধ,,,,,,,, কি করছিলে।

,,,,,,, হিহিহি কিছু না 😅😅

,,,,,,,, না আমি দেখলাম তো আমার বালিশ জরিয়ে, বিছানায় ঘরাঘরি করছিলে।

,,,,,,, কই না তো, এমন কিছুই করছিলাম না।

,,,,,,, দেখলাম তো আমি,, তুমি চাইলে আমাকে নিয়ে করতে পারো, বিশ্বাস করো আমি একটুও মানা করবো না। 😁😉

,,,,,,,, লাগবে না আমার, আগে বলো আমি এই রুমে কেনো, আমারও তো নিজের রুম আছে তাই না।

,,,,,, না আমি ভাবলাম কয় দিন পরে থেকে তো এখানেই থাকতে হবে তাই এখন থেকেই অভ্যাস করো। আরো অনেক কিছু আছে অভ্যাস করার চাইলে এখন থেকে করতে পারো। যেমন,,,

,,,,,, থাক আর বলা লাগবো না। এটা বলেন আমার বন্ধুরা কোথায়।

,,,,,, ওরা সবাই নিচে বসে আছে, সবাই ওদের সাথে এতো ভালো করে কথা বলছে তাও তারা ভয় পাচ্ছে।

,,,,,,, রোহান একটু সাহসী আছে কিন্তু ফারা আর রিয়াদ হার্ট অ্যাটাক করবে, তাড়াতাড়ি নিয়ে চলো আমাকে।

,,,,,,, রিয়াদ তো দেখলাম ভালোই আছে মুখের থেকে হাসি যাচ্ছে না।

,,,,,, রিয়াদের মুখে হাসি তাও আবার এখানে অসম্ভব,, চলো দেখি।

,,,, হুমম

নিচে গিয়ে দেখি ফারা ভয়ে কুকড়ে গেছে, আর রোহান সামলাচ্ছে, আর রিয়াদ কেমন করে যেনো সামনে তাকিয়ে আছে অনেকটা এইভাবে

,,,,, 🤤🤤😍

ব্যাপারটা দেখতে হচ্ছে, আমি একটু সামনে গিয়ে দেখি, একটা খুব সুন্দর পরী বসে নানুর সাথে কথা বলছে। তাহলে এই ব্যাপার।

যীন্নাত,,,,,,,,, মুগ্ধ এই মেয়ে কে, আগে তো দেখিনি।

মুগ্ধ,,,,,, ও আমার ছোট বোন কাল উঠিয়ে নিয়ে গেছিলো। তাই তুমি দেখো নি। চলো তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়।

যীন্নাত,,,,,,, হুমম।

আমি আর মুগ্ধ ওদের কাছে যায়। মেয়ে আর নানু উঠে দাঁড়ায়।

নানু,,,,,,, নানুভাই উঠে গেছো, তোমার শরীর এখন কেমন।

,,,,, নানু ভালো।

মুগ্ধ,,,,,, যীন্নাত ও মেহেরিমা আমার বোন।

,,,,,, ভাইয়া এনি কে।

,,,,,, ও তোর ভাবী না মানে হাভী রানী।

,,,,,,, ওওও তুমি সত্যিই অনেক সুন্দর ভাবী ( জরিয়ে ধরে )

,,,,,,, তুমি ও তোমার নামের মতো অনেক সুন্দর।

যীন্নাত,,,,,,, চলো তোমাকে আমার বন্ধুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়।

মেহেরিমা,,,,,,, চলো।

মেহেরিমা ওদের সামনে যেতেই রিয়াদ সবার আগে দাঁড়ায়🤤,, রোহান আর ফারা একটু ভয়ে দাঁড়ায়।

যীন্নাত,,,,,,,, মেহেরিমা, ও ফারা ও রোহান আর ও

,,,,, হাই আমি রিয়াদ ( হাত বাড়িয়ে )

আমি হাতটা ধরে নিচে নামিয়ে দিলাম।,,, ও হলো মেহেরিমা মুগ্ধের ছোট বোন।

মেহেরিমা,,,,,,, তোমরা মানুষ, আমার মানুষ দেখলে ভয় লাগে।

রিয়াদ,,,,,,, ওরা মানুষ আমি না, ভয় পেয়ো না।

ফারা,,,,,,,, তুই মানুষ না তো কি জানোয়ার।

রিয়াদ,,,,,,, আমি আশিক

রোহান,,,,,, আশিক মানুষি হয়,, তুমি কি সত্যি মানুষ দেখে ভয় পাও।

মেহেরিমা,,,,,, হুমম 😣

রোহান,,,,,, এটা শুনাও বাকি ছিলো। যাই হোক আমাদের ভয় পাওয়ার কিছুই নাই।

রিয়াদ,,,,,, আমাকে তো একদমিবভয় পাবে না।

রোহান,,,,,,, জোকার দেখে কেও হাসে না।

রিয়াদ,,,,,,, চুপ থাক বাল।

যীন্নাত,,,,,,, অনেক হয়েছে,, তোরূ ফ্রেশ হো, খেয়ে দেয়ে তারপর বাড়ি যাবি সবাই চিন্তা করছে।

রিয়াদ,,,,,,, আমি যাবো না।

,,,,, কেনো

রিয়াদ,,,,,,, আসলে আমার শরীরটা ভালো লাগছে না কালের সাথে লড়াই করে ক্লান্ত হয়ে গেছি, তাই মনে হয় না নড়তে পারবো।

রোহান,,,,,, কিহহ তুই ক,,

রিয়াদ,,,,,,,, ভাই চুপ থাক যা তারিফ করার পরে একা ঘরে করিস, সবার সামনে আমার তারিফ কারা লাগবে না লজ্জা করে। ( রোহানের মুখ ধরে )

ফারা,,,,,,,, তোর তারিফ করবে, আরে তোর মতো বড়ো ভি

রিয়াদ,,,,,,, ( ফারার মুখ ধরে ) বাহাদুর আর দেখিস নি তাই তো, থাক আর বলা লাগবো না।

যীন্নাত,,,,,, তুই

রিয়াদ,,,,,, চুপ থাকতে পারস না, কিছু না কিছু বলাই লাগবো, আমার ঘর কি কোনো দিন বসতে দিবি না তোরা।

মেহেরিমা,,,,,,, কি হয়েছে।

মুগ্ধ,,,,,, কিছু না ও একটু এমনি। যাও তুমি খাবার লাগাও ওরা আসছে।

মেহেরিমা,,,,,, ঠিক আছে,,, বলে চলে যায়।

মুগ্ধ,,,,,,, আমিও যায় তোমরা আসো। বলে চলে যায়।

রিয়াদ,,,,,,, দেখ তোরা যদি আমার বিষয়ে কোনো উল্টা পাল্টা কথা কস তাইলে কিন্তু আমি এখানে থেকে যেখানে মনে চাই চলে যাবো।

রোহান,,,,,,, সাহস আছে তোর, এখানে ঘুরার

রিয়াদ,,,,,,, কি বলতে চাস, আমার সাহস নাই।

রোহান,,,,,, তোর কি মনে হয়।

রিয়াদ,,,,,,,, সত্যি ভাই সত্যিই নাই,, কিন্তু দেখ এইভাবে ওর সামনে আমার সম্মান করার কোনো দরকার নাই।

ফারা,,,,,,, যা মাফ করলাম।

রোহান,,,,,,,, বিয়ে করতে চাস নাকি ওকে।

রিয়াদ,,,,,,, চাই তো, কিন্তু ভয় লাগে বিয়ের পরে যদি আমার সাথে রাগ করে ঘার মটকিয়ে মেরেটেরে ফেলে তখন৷

ফারা,,,,,, দুরর এমন করবে না।

রোহান,,,,,,,, ভাব তুই রাতে ঘুমিয়ে আছিস তখন তোর বউ তকে গলা টিপে হত্যা করে তখন।

রিয়াদ,,,,,, চুপ শালা সাহস না দিয়ে ভয় দেখাস।

যীন্নাত,,,,,, আরে দুরর এতো কিছু ভাবার আগে এটা দেখ তোকে পছন্দ করে কিনা।

রোহান,,,,, যদি করে।

যীন্নাত,,,,, তাহলে আমি তো আছি নাকি।

রিয়াদ,,,,,,,, love u dst

,,,, হয়ছে চল খাবি।

আমরা সবাই খেতে বসি। রিয়াদের পাশে নানু বসে,রিয়াদ উঠে আবার আমার পাশে বসে।

নানু,,,,,,উঠে গেলা কেনো।

রিয়াদ,,,,,,, না না নানু আসলে মেহেরিমা বলেছিল যে ও নাকি মানুষ দেখে ভয় পাই, তাই ভাবলাম আপনি যদি আমাকে দেখে না খেতে পারেন তাই আর কি।

রোহান,,,,,,,, কয়েকটা জোরে জোরে কাশি দেয়।

রিয়াদ,,,,,, বেশি কাশি হলে পানি খা।

ফারা,,,,, পানি ছাড় দেখনা কতো খাবার,, আর কি সুন্দর করে সাজানো।

যীন্নাত,,,,,, রিয়াদ

,,,,, হুমম 🤤🤤😍

,,,,,,, একটু খাবারের দিকেও নজর দে।

রিয়াদ,,,,,,, তদের সবার আমার বিষয়ে এতো মাথা ব্যাথা কেন, তুই দে খাবারের দিকে নজর।

খাবার শেষ করে,, এবার সবার যাওয়ার পালা।

রিয়াদ,,,,,,, মেহু

মেহেরিমা,,,,,,,, কে মেহু আমার মেহেরিমা

রিয়াদ,,,,,, আরে এটা হলো অদরের ডাক, এরকম করে ডাকে, যেমন তোমার ভাইয়া যীন্নাত কে যীনু বলে তেমন।

মেহেরিমা,,,,, ওওও

রিয়াদ,,,,, তোমার মোবাইল নম্বরটা দাও তো।

,,,,,,, এটা কি রিদু

,,,,,,, রিদু,,, ( ভালো হয়ছে আমার নাম প দিয়া শুরু হয়নাই না হলে কি হতো )

,,,,,, কি হলো।

,,,,,, কিছু না,, তোমার কাছে মোবাইল নাম্বার না থাকলে আমরা কথা বলবো কি করে। তোমাদের জ্বীনের মধ্যে কি কোনো বিজ্ঞানী নায়।

,,,,, আমার সাথে কথা বলতে হয়লে আমাকে ডাক দিয়ো আমি চলে আসবো।

,,,,, সত্যি 😍😍

,,,, হুমম 😊😊

যীন্নাত,,,,,, কতো কথা বলবি চল।

,,,, হুমম চল।

আমরা আমাদের বাসায় চলে আসলাম।

আমি ঘরে এসে গোসল করে চুল ছাড়তে ছাড়তে বের হয়ে দেখি মুগ্ধ বিছানায় শুয়ে আমাকে দেখে শিশ বাজাচ্ছে।

যীন্নাত,,,,,,,, জ্বী আপনি এখানে কেনো।

,,,,,, আমি আমার বউকে দেখতে এসেছি।

,,,,,, কে আপনার বউ, আমি কাউকে দেখছি না।

,,,,,,, আমার বউকে না দেখতে পারো কিন্তু তোমার স্বামীকে তো দেখতে পারছো।

,,,,, কিসের স্বামী, আগে মা বাবাকে বিয়ের কথা বলার সাহস তো করো।

,,,,,,, কালকেই আসছি পাকা কথা বলতে।

,,,,,, সত্যি

,,,,,হুমম । আর তুমি রাতে রাতে গোসল করো কেনো, ঠান্ডা লাগলে।

,,,,,,, আমার অভ্যাস হয়ে গেছে, সকালে, রাতে গোসল করা ।

,,,,,,, ওওও,,, আমিও করবো।

,,,,, করবো মানে তুমি গোসল করোনি৷

,,,,, আসলে সময় পায়নি।

,,,,, ছিঃ যাও গোসল করে আসো,,

,,,,, এখানে ভেবে নাও

,,,,, ভাবার কি আছে যাওতো।

,,,,, ঠিক আছে।

আমি বই খুলে বিছানায় বসে আছি, অনেক দিন হলো ভার্সিটিতে যায় না।

দরজা খুলার আওয়াজ পেয়ে সামনে তাকিয়ে দেখি,,

মুগ্ধ শুধু তোয়ালে পড়ে বাহিরে এসেছে, সাদা গায়ের রং, সেই বডি সিক্সপ্যাগ,,, গাঁ ভিজা,, হালকা লম্বা চুল ভেয়ে পানি পড়ছে, নীল চোখ,, চাওনিতেই শেষ।

আমি আমার চোখ সরাতে পারছি না, হার্ট বির্ড বেড়ে গেছে। কেমন যানি ফিলিং আসছে।

,,,,,,,, মুখ বন্ধ করেও আমাকে দেখা যাবে।

মুগ্ধের কথায় হুশ ফিরে তাড়াতাড়ি উঠে অন্য পাশ হয়ে দাঁড়ায়।

মুগ্ধ আমার ঘারের কাছে চলে আসে, আমি সামনে ফিরতেই মুগ্ধ আমার একদম কাছে চলে আসে, আমি পিছতে পিছতে দেওয়ালে লেগে যায়।

মুগ্ধ দুই হাত দিয়ে আমাকে দেওয়ালের বন্ধী করে ফেলেছে। ওর নিশ্বাস আমার মুখে পড়ছে, আমার কাছে এসে মাথা ঝাকায় চুলের পানি আমার নাক মুখ গলায় পড়ছে, আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি৷

চোখ খুলতেই মুগ্ধ তার ঠোঁট আমার ঠোঁটে লাগিয়ে দেয়। আমি মুগ্ধের পিঠ খামছে ধরি। কিছু খন পরে ছেড়ে দেয়।

আমি লজ্জায় নিচে তাকিয়ে আছি, ওর চোখের দিকে আর তাকাবো না।

মুগ্ধ,,,,,,, আমি এখন আসি না হলে সত্যিই একটা ভুল হয়ে যাবে।

মুগ্ধ চলে যায়,,, আমি লজ্জায় লাল হয়ে শুয়ে থাকি।
,,,,,,,,,

রিয়াদ হা করে শুয়ে আছে, হঠাৎ ওর কপালে কেও আঙুল দিয়ে টুকা দিচ্ছে।

তাকিয়ে আম্মা করে চিৎকার দেয়।

তাড়াতাড়ি উঠে বুকে হাত দিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিয়ে বলছে।

রিয়াদ,,,,,, তুমি এতো রাতে এখানে আমাকে মারতে আসছো নাকি।

মেহেরিমা,,,,,, আপনি তো আমাকে ডাকলেন।

,,,,,, তাই বলে এভাবে কেও চোখের সামনে আসে, এখনি তো আমার কলিজা বাহির হয়া গেলো হয়লে। আর আমি কখন ডাকলাম।

,,,,, আরে আপনি তো এই বালিশটা জরিয়ে ধরে মেহেরিমা মেহেরিমা করছিলেন।।

,,,,, স্বপ্নে বলছিলাম

,,,,৷ ওও৷

,,,,, ( এখন দেখা যায় টয়লেটে গেলে ভুলেও ওর নাম নেওয়া যাইতো, যদি বলেও বলে ফেলি তাহলে)

,,,,, কি ভাবছেন।

,,,,,,, এতো রাতে মেয়েদের বের হওয়া উচিত না।

,,,,,,, মানুষের মতো কথা বইলেন না

,,,,,, এক্সকিউজ মি আমি মানুষ 🙄🙄

,,,,,, ওওও আপনার বন্ধুরা জানোয়ার এমন কিছু বলছিলো৷

,,,,,, তুমি কি বলতে চাও 😑😑

,,,,,,,, কিছু না,, বাদ দেন৷

,,,, হুমম

,,,,,, চলেন না বাহিরে যায়।

,,,,,, ( আল্লাহ কয় কি এতো রাতে বাহিরে যামু, তাও আবার জ্বীনের সাথে, যদি আমারে মাইরা গাছে ঝুলািয়া রাইখা দেয়,,, আর আমি তো ভুলেই গেছি আমি ওর সাথে একা ঘরে আছি ও আম্মা গো )

,,,,, এতো কি ভাবেন ।

,,,,, কিছু না,, যাওয়ায় লাগবো।

,,,, চলেন না যায়,, আপনি কি ভয় পান

,,,,, আমি আর ভয় হুহ,, ভয় আমাকে দেখে ভয়,পায়।

,,,,,, তাহলে চলেন।

,,,,চলো ( চল রিয়াদ ভয়ের পরে মেহেরিমা আছে )

কিছু খন পর আমরা ফিরে আসলাম,,,,, কোন জঙ্গলে মঙ্গলে নিয়ে গেছে ভয়ে আমি শেষ, আরেকটু থাকলে নিশ্চিত আমার মা বাবা এতিম হয়ে যেতো।

আমরা ঘরে ফিরে আসি,,

,,,,,, কি হলো তুমি এভাবে কাপছো কেনো।

,,,,,,, আ আ আসলে আ আমার শীত ক ক করছে।

,,,,, এই গরমে শীত করছে।

,,,,,, এটা অন্য ধরনের শীত তুমি বুঝবা না শুধু মানুষেরা বুঝে।

,,,,, ওওও

,,,, যা যা যাও এখন, আমি ঘুমাবো।

,,,, ঠিক আছে টাটা।

,,,, হুমম টাটা টাটা

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here