জ্বীন রহস্য,(পর্ব-০১)
লেখক-রিয়াজ রাজ
– জ্বীনটা প্রতিদিন আমার ব্লাউজ খোলে।
– কি বলিস।
– অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। আমিও বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু কিছুদিন যাবার পর নিশ্চিত হয়ে গেছি।
– ব্লাউজ খোলে কি করে সে?
– জানিনা। তবে আমার বুকে আমি স্পষ্ট কারো ছোয়া পাই।
– যেমন?
– মনে হয় কেও আমার স্তন ভোগ করে নিচ্ছে।
– কোনো কবিরাজ দেখাস নি?
– না। তোকেই বললাম আমি। পরশু আমার গায়ে হলুদ। তার পরেরদিন বিয়ে। স্বামীর কাছে কিভাবে মুখ দেখাবো আমি। বা উনার কাছে আমি কিভাবে শেয়ার করবো সেটাই ভাবছি।
– তোর ফ্যামিলিকে জানাতে পারিস।
– আবার কি ঝামেলা হয় সেই ভয়ে জানাচ্ছিনা। তুই তো জানিস,রিয়াজকে আমি গত ৫ বছর যাবত ভালোবেসে এসেছি। ভাগ্য আমার সহায়ক হয়েছে বলে ওর সাথেই আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। এখন বিয়ের আগে এসব নিয়ে মাতামাতি হলে,যদি বিয়ে ভেঙ্গে যায়?
– কিন্তু তোর মনে হচ্ছেনা? যে তুই রিয়াজকে ঠকাচ্ছিস?
– জানিনা। কিন্তু রিয়াজকে ছাড়া আমার বেচে থাকারও ইচ্ছে নেই।
– যা ভালো বুঝিস। যাইহোক, আমি যাচ্ছি রে। কলেজে তোর সাথে আমার এইটাই শেষ দেখা। বিয়ের পর তো আর আসবিনা। একেবারে তোর গায়ে হলুদে আসবো।
– হুম।
ধনিয়াপাড়ার মেয়ে তাজকিয়া। গত ২ মাস ধরেই রাতের বেলা অস্বস্তি অশান্তি সহ্য করে আসছে। কোনো এক জ্বীন তার ব্রা খোলে প্রতিদিন অশ্লীলতায় মেতে উঠে। তাজকিয়া অনুভব করতে পারে। কিন্তু চোখে দেখেনা। বিষয়টা সবাইকে বলবে,সেই মুখটাও নেই। বিয়ে ভাঙ্গার ভয়ে সে,আত্মগোপন করে রেখেছে সব। কিন্তু এই রিয়াজ কে?
তাজকিয়াদের বাসার পাশেই রিয়াজদের বাসা। পাশাপাশি থাকায়,প্রতিদিন তাদের দেখাটা হয়ে যেতো। রিয়াজ প্রতিদিন ছাদে ব্যায়াম করার জন্য আসতো,আর তাজকিয়া চা খাওয়ার বাহানা ধরে ছাদে এসে রিয়াজকে দেখতো। এই ঘটনা গত ৫ বছর ধরেই ঘটে আসছে। রিয়াজকে কয়েকবার তাজকিয়া চিঠি পাঠায়। তবে ঝামেলা এক জায়গায়,রিয়াজ কখনো চিঠি হাতে পায়নি। সব চিঠি রিয়াজের ছোট ভাই রাজু তার মায়ের কাছে দিতো। রিয়াজের মা ব্যাপারটা তাজকিয়ার মায়ের কাছে শেয়ার করে। আর ফ্যামিলিগত ভাবেই ওদের বিয়ে ঠিক হয়। সব ঠিকঠাক হয়ে আসছিলো,কিন্তু গত ২ মাস ধরে, তাজকিয়ার সাথেই অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে আসছে। শিরোনাম এইটুকুই ছিলো,চলুন এইবার পরের ঘটনা জেনে আসি।
কলেজ থেকে একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে বাসায় ফিরছিলো তাজকিয়া। কড়া রৌদের প্রভাবে কপাল বেয়ে ঘাম প্রভাবিত হচ্ছে। সেদিকে কোনো খেয়াল নেই তার। তাজকিয়ার মন শুধু এই জ্বীনের ব্যাপার নিয়ে। কি হবে তার সাথে,বা কি হতে যাচ্ছে। কয়দিন পরেই তার বিয়ে। না চায় সে বিয়ে ভাঙ্গুক,আর না চায় রিয়াজকে ঠকাতে। করনীয় কাজটা তার সাধ্যের বাহিরে। বলতে গেলে,সমাধান খোজে পাচ্ছিলোনা সে।
বাসায় ফিরে ব্যাগটা টেবিলে রাখে তাজকিয়া। ওর মা এসে বলল,
– কিরে,এতো দেরি হলো কেন? তোকে বলেছিলাম আজ তোর বিয়ের কেনাকাটা করতে যাবো। আগে আসা উচিৎ ছিলো না?
– সরি মা।মনে ছিলো না। আমি গোসল সেরে আসছি।
কথা না বাড়িয়ে তাজকিয়া সোজা রুমে চলে যায়। দরজা বন্ধ করে আয়নার সামনে দাঁড়ায়। নিজের চেহারাটা দেখে নিজেই কান্না করতে লাগলো। তখনি জানালায় একটা খটখট শব্দ হয়। তাজকিয়া ভয়ে আঁতকে উঠে। জানালার দিকে তাকিয়ে দেখে কেও নেই,তবে একটা গোঙ্গানির শব্দ আসছে। তাজকিয়া জানালার দিকে তাকিয়ে আছে। সে ভয় পেতে লাগলো, জ্বীনটা দিনেও এসে যায়নি তো?
ভাবনার মাঝে হটাৎ তাজকিয়া খেয়াল করে,ব্যালকনিতে কেও ধপাস করে পড়েছে। যা দেখে তাজকিয়ার চোখ কপালে উঠার অবস্থা। রিয়াজ জানালা বেয়ে ওর রুমে প্রবেশ করেছে। হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকে তাজকিয়া। হটাৎ রিয়াজ কেন এখানে। আর এমন কিছু তাজকিয়া সত্যিই আশা করেনি। বলতে গেলে তার অবিশ্বাস হচ্ছিলো।
রিয়াজ দৌড়ে এসে তাজকিয়াকে কোলে নেয়। এরপর বিছানায় ফেলে দিয়ে ওর উপরে ঝাপিয়ে পড়ে। রিয়াজের প্রথম স্পর্শ, প্রথম নিশ্বাসের তাপ,প্রথম গায়ের গন্ধ পেয়ে তাজকিয়া যেখানে উত্তেজিত হবার কথা। সেখানে সে হতভাগ হয়ে তাকিয়ে আছে। রিয়াজের হটাৎ কি হলো। রিয়াজ তাজকিয়ার কানে কানে বলতে লাগলো,
-কেমন দিলাম আমার সুন্দরী বউ। এরকম সারপ্রাইজ নিশ্চয়ই আশা করো নি।
– আগে উপর থেকে নামো।
– নামবো না। যা বলার এখানেই বলো।
– তুমি এইভাবে কেনো এসেছো। কেও দেখে ফেললে?
– কি হবে?
– কি হবে জানো না? খারাপ বলবে সবাই। বিয়ের আগেই?
– তাতে বিয়ে ভাঙ্গবে? ভাঙ্গতে দাও। রিয়াজের সাথে তোর বিয়ে আমি হতে দিবো না।
হুট করে লাফিয়ে উঠে তাজকিয়া। রুমের কোথাও রিয়াজ নেই। তাজকিয়া তার বুকের দিকে তাকিয়ে দেখে,আবারো ব্রা খোলা। এইবার আর বোঝতে বাকি নেই,ওটা জ্বীন ছিলো।
তাজকিয়া আবার ফুপিয়ে কাদতে থাকে। এইবার যেনো তার মনে হচ্ছে,রিয়াজকে সে সব সময়ের জন্য হারাবে। তখনি দরজার বাহির থেকে তাজকিয়ার মা বলতে লাগলো,” কিরে, রেডি হস নাই? আমরা সবাই অপেক্ষা করতেছি”। তাজকিয়ার আম্মুর ডাকে তাজকিয়া বলল,” আসছি মা”।
অসহায় তাজকিয়ার দিন এইভাবেই কাটতে থাকে। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে সে মার্কেটে যায়। কত স্বপ্ন ছিলো বিয়ের কেনাকাটা অনেক অনন্দের সাথে করবে। সেখানে মন মরা হয়ে আছে তাজকিয়া। সময় যত ঘনিয়ে আসছে,তাজকিয়ার ভয়টা তত বেশি বাড়তে থাকে। হয়রানির মাঝেই মার্কেটিং শেষ করে বাসায় ফিরে সে। রাত ১০ টা বাজে। তাজকিয়া জানে,একটু পরেই সে জ্বীন আসবে। আবার তার অশালীন তান্ডব চালাবে। প্রতিদিনের মতো আজও তার পুরো শরীর ব্যাথা হয়ে যাবে।ভয়ে ঘুমাচ্ছে না তাজকিয়া। বিছানায় বসে অনমনা হয়ে ভাবছে। সে এক গভীর ভাবনা।
কিছুক্ষণ বাদেই তাজকিয়ার চোখ ঝাপসা হতে লাগলো। তাজকিয়া হাপিয়ে উঠে। বোঝতে বাকি নেই,জ্বীনটা চলে এসেছে। তাজকিয়া দরজার দিকে এগিয়ে আসতে চায়। সে পালাতে চায়। আর সহ্য হয়না এই অশরীরীর অত্যাচার। কিন্তু চোখ ঝাপসা হওয়ায় তাজকিয়া দরজা খোজে পাচ্ছেনা। হেলে ঢুলে পড়ে যাচ্ছে সে। হাতটা এগিয়ে দিয়ে,অন্ধের মতো দরজার সন্ধানে আছে তাজকিয়া। এরই মাঝে হুট করে ফ্লোরে পড়ে যায় সে। চোখ ঝাপসা হলেও, পুরো হুশ আছে তার। তখনি তাজকিয়া অনুভব করে তার পিঠের নিছে কেও হাত ঢুকায়। তাজকিয়া চটপট করতে থাকে। অদৃশ্য হাতটি তাজকিয়াকে তুলে কোলে নেয়। এরপর বিছানার দিকে নিয়ে ফেলে দেয় তাকে। তাজকিয়া ঝাপসা চোখ নিয়ে চটপট করছে আর চারপাশে দেখার চেষ্টায় আছে। এবং সেই মুহূর্তে তাজকিয়ার চোখে নতুন কোনো ঘটনা আটকে যায়। অনেক লম্বা কিছু একটা তাজকিয়ার পায়ের পাশে দাড়ানো। পুরো শরীর কুচকুচে কালো৷ তার দেহ অনেক মোটা,কিন্তু মাথাটা একদম ছোট। ঝাপসা চোখে এর চেয়ে ভালো আইডিয়া করতে পারেনি তাজকিয়া। যা দেখেছে,তার পরেই জ্ঞান হারায় সে।
রৌদের আলো মুখে পড়তেই লাফিয়ে উঠে তাজকিয়া। অনেক ঘাবড়ে আছে সে। তড়িঘড়ি করে বিছানায় বসে পড়ে। নিছের দিকে তাকিয়ে দেখে,আজও শরীরে জামা নেই। গেঞ্জি বিছানায়,সাথে ব্রা টাও। ভেঙ্গে পড়ে সে। এইভাবে আর নিতে পারছেনা । কি করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছেনা। ক্লান্ত মস্তিষ্ক নিয়ে আবার শুয়ে পড়ে সে।
কাল তাজকিয়ার গায়ে হলুদ। বাসায় মেহমান ভরপুর। বাসার চারপাশে আলোকসজ্জা আর বিয়ের স্টেইজ তৈরি হচ্ছে। পাশের বিল্ডিং রিয়াজদেরও সেম অবস্থা। ব্যালকনিতে দাড়িয়ে সব দেখছে তাজকিয়া। এই দিনটার জন্য সে গত ৫ বছর অপেক্ষা করে আসছে। আজ সেই দিন চলেই এলো। কিন্তু খুশিটা আর রইলো না। মন খারাপের দেশে ঢুবে থাকে সে। তাজকিয়া কনফিউজড হয়ে আছে। বিয়ের পর রিয়াজের রুপ ধারণ করে সেই জ্বীন এসে না সহবাস করে ফেলে।আবার বিয়ের পিড়িতে রিয়াজের বদলে সেই জ্বীন যদি কবুল বলে? জ্বীনটা ইচ্ছে করলে অনেক আগেই সহবাস করতে পারতো,কিন্তু করেনি। কেনো করেনি তা হয়তো তাজকিয়ার কাছে একটা রহস্যের গোলকধাঁধা। তবে যেকোনো মুহূর্তে যা কিছু হতে পারে। জ্বীন তো হুমকি দিয়েই গেলো,রিয়াজের সাথে বিয়ে হতে দিবেনা। তাজকিয়ার মাথায় কিছু ঢুকছেনা। ভাবতে না পেরে সে ব্যালকনি থেকে নিজের রুমে চলে আসে।
মেহমানদের সময় দিতে দিতে দিনটা চলে যায়। তাজকিয়া সিদ্ধান্ত নেয়,রিয়াজকে বিষয়টা বলে দিবে। যদিও বিয়ের আগে ওদের ফোনালাপ করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু রিয়াজ নিজেই নিষেধ করছিলো। কেনো করেছে সে জানে। এই মুহূর্তে তাজকিয়ার মনে হতে লাগলো,রিয়াজের সাথে ব্যাপারটা বলা খুব জরুরি। সে রিয়াজকে ঠকাতে চায় না। বিয়ের আগে ছেড়ে চলে গেলে,হয়তো মানিয়ে নিতে পারবে।কিন্তু বিয়ের পর ছেড়ে দিলে তাজকিয়ার সাথে,তার ফ্যামিলিও ভেঙ্গে পড়বে।অবশেষে তাজকিয়া ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেয়,আজ সে রিয়াজকে বিষয়টা বলবেই।
সন্ধ্যা করে সে বাসার বাহিরে আসে। রিয়াজের ছোট ভাইকে বলে,রিয়াজকে যেনো নিছে আসতে বলে।রাজু রিয়াজের কাছে না গিয়ে,সোজা রিয়াজের মাকে বিষয়টা বলে। রিয়াজের মা রিয়াজের রুমে গিয়ে রিয়াজকে বলে। রাজু এমনি। ছোট মানুষ। তাছাড়া, সে যাই কিছু হোক,সবার আগে তার আম্মুকে বলবে। এবং পরে অন্য কাওকে বলার প্রয়োজন মনে করেনা। এদিকে তাজকিয়া বাসার নিছে দাঁড়িয়ে আছে। হটাৎ তাজকিয়ার ঘাড়ে কারো হাতের স্পর্শ।পিছনে তাকিয়ে তাজকিয়া দেখতে পায় রিয়াজ চলে এসেছে। তাজকিয়া রিয়াজকে হুট করে জড়িয়ে ধরে। রিয়াজ তাজকিয়াকে সামলে নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
– কি হয়েছে। এমন আতংকিত দেখাচ্ছে কেন?
– আমি আপনাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে এসেছি। দয়া করে পুরো কথাটা মন দিয়ে শুনুন।
– হুম বলো?
– আপনি প্রমিজ করেন,শুনার পর আমাকে ছেড়ে যাবেন না।
– বলো তো আগে।
এরপর তাজকিয়া প্রথম থেকে শেষ অব্দি সব বলে।
– ওও আচ্ছা। জ্বীনটাকে কখনো দেখেছো?
– না। ঝাপসা চোখে তার কালো রঙটাই দেখেছি।
– দেখো তো? এমন কিনা?
এ বলেই রিয়াজ তার চেহারা বদলে ফেলে।তাজকিয়া অশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে আছে। লাল লাল দুইটা চোখ আর কালো চেহারাটা আর সামনে। পিছন থেকেই রিয়াজ তাজকিয়াকে ডাক দেয়। তাজকিয়া পিছনে তাকিয়ে দেখে রিয়াজ দাঁড়িয়ে আছে। দৌড়ে তাজকিয়া রিয়াজের কাছে যেতে যেতে রিয়াজ অদৃশ্য হয়ে যায়। আবার তাজকিয়া অবাক হয়ে যায়। এগুলোর কোনোটাই রিয়াজ নয়। সব এই জ্বীনের ধোকা মাত্র। তখনি রিয়াজদের বাসার দরজায় তাজকিয়া রিয়াজকে দেখতে পায়। তাজকিয়া আর সহ্য করতে না পেরে,দৌড়ে তার বাসায় চলে আসে। সবাই তাজকিয়ার এমন অদ্ভুত আচরণ দেখে তাকিয়ে আছে। তাজকিয়া সোজা নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এদিকে রিয়াজ তাজকিয়ার পিছু পিছু তাদের বাসায় আসে। রিয়াজকে দেখে,তাজকিয়ার বাসার মেহমানরাও অবাক হয়ে যায়। রিয়াজ তাজকিয়ার আম্মুকে জিজ্ঞেস করলো,
– তাজকিয়া কোথায়।
– সে দৌড়ে এসে তার রুমে চলে গেলো।
– রুমটা কোনদিকে।
– উপর তলার বাম পাশেরটা।
রিয়াজ দৌড়ে তাজকিয়ার রুমের দরজায় যায়। এরপর দরজা ধাক্কাতে ধাক্কতে তাজকিয়াকে ডাকে। তাজকিয়া দরজা খোলেনা। ভিতরে সে ভীতুর মতো বসে কান্না করছে। রিয়াজ তাজকিয়াকে ডেকে যাচ্ছে। তাজকিয়া বিশ্বাস করতে পারছেনা যে,এইটা রিয়াজ। হয়তো এইটাও কোনো জ্বীন। রিয়াজের প্রতিটা ডাকে তাজকিয়া আরো জোরে কান্না করতে লাগলো।
চলবে…..?
[ রহস্যের ঘেরা জালে বন্দি তাজকিয়া।বিশ্বাস শব্দটাও আটকে যায় রহস্যে৷ রহস্যের এই বন্দি জাল থেকে মুক্তি পাবে সে? রিয়াজের সাথে তার বিয়ে হবে? নাকি এর আগে এসব কারণে ভেঙে যাবে সব। আবার হতে পারে রিয়াজের কোনো ক্ষতি হয়ে যাবে। কি হবে? ঘটনার দৌড় কতদূরে যাবে৷]