Darkness,Part: 03
Writer: Abir Khan
জন্তুটাকে দেখতে একদম মানুষ রূপী কিন্তু হিংস্র পশুর মতো লাগছে। যেন এখনিই তনুকে খেয়ে ফেলবে। ও কি করবে বুঝতে পারছে না। ও ভয়ে থরথর করে কাঁপছে৷ আজ বোধহয় আর বাঁচা হবে না। ও জোরে একটা চিৎকার করতে নেয়। কিন্তু তার আগেই সেই জন্তুটা চোখের পলকে ওর কাছে এসে ওর মুখ চেপে ধরে। শুধু তাই না ওর গলাও চেপে ধরে। তনুর মনে হচ্ছে ও আর বেশিক্ষণ বাঁচবে না৷ ও মনে মনে বলছে, নেহাল যদি সেদিনের মতো আজও ওকে বাঁচাতো। কিন্তু সে হয়তো আর আসবে না৷ ও যে তাকে আসতে না করে দিয়েছে। তনুর চোখগুলো আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে আসছে। ও আর শ্বাস নিতে পারছে না৷ তাহলে এটাই কি ওর শেষ? না। হঠাৎ করেই তনুর গলাটা ওই জন্তুটা ছেড়ে দেয়৷ তনু ছিটকে পড়ে যায়। ও জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে দেখে জন্তুটার মাথায় কে যেন হাত দিয়ে ধরে আছে। শুধু তাই না সে হাতে আগুন জ্বলছে। দেখতে দেখতে আগুন মাথা থেকে পুরো শরীর ছড়িয়ে যায়। জন্তুটা জোরে চিৎকার দিয়ে মুহূর্তেই হাওয়া মিশে নাই হয়ে যায়। আর এরপরই তনু দেখে নেহাল দাঁড়িয়ে আছে। ওর হাতে সেই নীল আগুন জ্বলছে। তনু কোন মনে উঠে নেহালের কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে,
~ আমাকে বাঁচান প্লিজ আমাকে বাঁচান। আমি এভাবে মারা যেতে চাই না৷
নেহালের হাতে এখন আর আগুন নেই। ও তনুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ওর মাথার পিছনে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে,
— আর ভয় নেই৷ ওকে শেষ করে দিয়েছি আমি। ওর অস্তিত্বও আর খুঁজে পাওয়া যাবে না৷
~ আ…আমাকে মেরে ফেলতো আর একটুউউ হলেই….
— শান্ত হও। কান্না থামাও। দেখি আমার দিকে তাকাও তো।
তনুকে সামনে এনে নেহাল ওর গলায় হায় রাতে। কিছুক্ষণ পরই তনু ফিল করে ওর পুরো শরীর একদম আগের মতো হয়ে গিয়েছে। যেন ওর সাথে কিছুই হয় নি। ও পুরো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। নেহাল ওকে নিয়ে বেডের কাছে যায়। ওকে বসিয়ে দিয়ে একগ্লাস পানি এনে ওকে খেতে দেয়। তনুও পানি খেতে থাকে। আর এই ফাঁকে নেহাল বলতে থাকে,
— সরি আমার জন্যই তোমাকে এরকম একটা পরিস্থিতির শিকার হতে হলো। আমি যদি আগেই চলে আসতাম তাহলে ওকে দেখার আগেই ও শেষ হয়ে যেত।
তনু পানি খেয়ে গ্লাসটা আবার নেহালের কাছে দেয়। নেহাল সেটা রেখে দিয়ে তনুর পাশে এসে বসে ওর চোখ দুটো সুন্দর করে মুছে দেয়। তনু একটু শান্ত হয়ে আস্তে করে বলে,
~ আমাকে দয়া করে একটু বুঝিয়ে বলবেন? আমি এসব কিছুই বুঝতে পারছি না৷ কি হচ্ছে এসব?
নেহাল তনুর দিকে তাকায়। অনেকক্ষণ তাকিয়ে থেকে হঠাৎ করে ওর কপালে একটা চুমু দিয়ে দেয়। তনু অসম্ভব লজ্জা পায়৷ নেহাল সেই রহস্যময় মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলে,
— আই লাভ ইউ।
~ কিহ! (আশ্চর্য হয়ে)
— আই লাভ ইউ। মানে তোমাকে ভালবাসি।
তনু একলাফে দাঁড়িয়ে যায়। আর কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলে,
~ মানে! কি বলছেন কি এসব! আমি মানুষ আর আপনি ভ্যাম্পায়ার। আপনার সাথে আমার কখনো মিল হয় না৷
— না হলে এখন হবে৷ কজ আই লাভ ইউ। অ্যান্ড আই নিড ইউ।
~ আপনার মাথায় সমস্যা হয়েছে। এটা অসম্ভব। আমি সাধারণ একটা মেয়ে৷ আর আপনি…
— তুমি সাধারণ একটা মেয়ে? কে বলল?
~ মানে?
— তোমার জানো? তোমার রক্তে এমন একটা পাওয়ার আছে যা সব ভ্যাম্পায়ার’রা চায়। তুমি একটা চুম্বকের মতো। আমি যদি তোমার কাছে না থাকি তাহলে অন্য ভ্যাম্পায়ার’রা চলে আসবে। যেমন একটু আগে একজন এসেছিল।
~ কিন্তু সে তো আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আমার রক্ত খেতে আসে নি।
— হুম। কারণ তুমি মরে গেলে তোমার রক্তের শক্তি আর কেউ পাবে না৷ মানে আমি আর শক্তিশালী হতে পারবো না তার জন্য। আমার সব শক্তির উৎস এখন শুধু তুমি। তোমার রক্ত ছাড়া আমার শক্তি হারিয়ে যাবে৷ তাই ওরা তোমাকে মারতে এসেছিল।
তনু বেডে বসে পড়ে। নেহালের কথা শুনে ওর মনে হচ্ছে ওর মাথার উপর কে যেন বিশাল বড়ো একটা পাহাড় রেখে দিয়েছে। তনু মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে৷ নেহাল ওর কাছে গিয়ে বলে,
— আসলে আমি ভ্যাম্পায়ার কিং।
~ আপনি ভ্যাম্পায়ারদের রাজা? (ভীষণ অবাক হয়ে)
— হ্যাঁ।
~ তাহলে আপনি এভাবে ঘুরে বেরাচ্ছেন কেন?
— আমার শত্রুপক্ষ আমাকে মেরে ফেলতে চায় তাই। ওরা সবাই একসাথে হয়েছে। আমি চাইলে ওদের নিমিষেই শেষ করে দিতে পারি। কিন্তু একজন কিং কখনোই চাইবে না তার সাথীদের মেরে ফেলতে। তবে হ্যাঁ ওদের মধ্যে একজন বস আছে। যার পাওয়ার আমার সমতূল্য ছিল। কিন্তু তোমার রক্ত খাওয়ার পর আমি এখন আরও পাওয়ারফুল হয়ে গিয়েছি। তাই ওই বসটাকে মারতে পারলেই এই যুদ্ধ শেষ হবে৷ ওর সাথীরা ভয় পেয়ে আবার আমার অনুগত হয়ে যাবে৷
তনু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। পৃবিবীতে কত আজুবা আছে। তাদের মধ্যেও বেঁচে থাকার লড়াই চলে। তনু বলে,
~ আচ্ছা আমাকে মেরে ফেললে আপনি আপনার সব শক্তি হারাবেন?
— সব না কিছু টা।
~ ওও। এরজন্যই বলেছেন, আমাকে ভালবাসেন? কারণ আপনার আমাকে প্রয়োজন তাই। এবার সব বুঝতে পেরেছি।
— তোমাকে যদি এখন আমি মেরে ফেলে তোমার সব শক্তি আমি সাথে সাথে পেয়ে যাবো। এই শক্তি কখনো শেষ হবে না৷
~ তাহলে মারলেন না কেন?
— কারণ সেদিন রাতে আমি পাহাড়ের নিচে চাঁদের আলো থেকে শক্তি নিচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে মানুষের ঘ্রাণ পাই। দেখি তুমি পড়ে যাচ্ছো। কেন জানি মনটা বলল তোমাকে বাঁচাই। তাই বাঁচালামও। তুমি যখন আমার কোলে ছিলে চাঁদের মিষ্টি আলোটা তোমার উপর পড়েছিল। আর ঠিক তখনই আমি কারো মুগ্ধতায় হারিয়ে যাই। জীবনে প্রথম কোন মেয়েকে আমার এত ভালো লাগে। তুমি যখন আমার কোলে ছিলে আমার নিজেকে অনেক পাওয়ারফুল মনে হচ্ছিল। যেন কোন অস্বাভাবিক শক্তি আমার মধ্যে আসছে। তোমাকে আবার উপরে দিয়ে ভেবেছিলাম একটু কথা বলবো কিন্তু তোমার বন্ধুরা তোমার কাছে আসছিল। তাই আমি লুকিয়ে যাই। কিন্তু তোমাকে ছাড়া ভালো লাগছিল না আমার। তাই গভীর রাতে আমি আবার তোমার কাছে আসি। অনেকক্ষণ বসে ছিলাম তোমার কাছে। তোমার নেশায় এতটা বিভোর হয়ে যাই যে আমি অজান্তেই তোমার রক্ত খেয়ে ফেলি। আমি এটাই ভুলে গিয়েছিলাম যে আমি যদি কারো রক্ত খাই যে সাথে সাথে মারা যাবে। কিন্তু আমাকে পুরো অবাক করে দেও তুমি। তোমার রক্ত খাওয়া মাত্র আমি অস্বাভাবিক শক্তি অনুভব করি আমার মাঝে। শুধু তাই না তোমার শরীরে মুহূর্তেই রক্তে ভরে যায়। আমি পশুর রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকতাম। তবে যার রক্তই খেতাম সে মুহূর্তেই মারা যেত। কারণ আমার শরীর প্রচুর রক্ত টানে৷ তোমার পুরো শরীরের রক্ত খেতে আমার এক মিনিট লাগবে। কিন্তু সেদিন রাতে আমি অনেকক্ষণ তোমার রক্ত খেয়েও তোমার কিছু হয় নি। ঠিক তখনই আমি বুঝে যাই তুমি সাধারণ কোন মানুষ না। তোমার মধ্যে অস্বাভাবিক শক্তি আছে। তাই আমি সব ছেড়ে তোমার কাছে চলে আসি। এই একটা কারণ ছাড়াও আরেকটা কারণ হলো, আমার শত্রুপক্ষ কিভাবে যেন তোমার ক্ষমতা সম্পর্কে জেনে গিয়েছে। তাই তোমাকে বাঁচাতেও এসেছি। কারণ আমি চাই না আমার একমাত্র প্রিয় মানুষটার কোন ক্ষতি হোক। আর সত্যি বলতে তুমি যে একদম ভুল বলেছো ঠিক তা না৷ আসলে তোমার আমার অনেক ভালোও লেগেছে এবং তোমাকে আমার প্রয়োজনও।
তনু নেহালের কথা শুনে নিজেকে দেখছে। ও কখনো ভাবতেই পারে নি ওর মাঝে এত রহস্য লুকিয়ে আছে। হঠাৎ ওর একটা ঘটনা মনে পড়ে। একবার ও সিড়ি দিয়ে পড়ে মাথা ফেটে ওর অনেক রক্ত গিয়েছিল। কিন্তু তাও ওর কিছু হয়নি। ইভেন ওকে কোন রক্তও নিতে হয় নি। তনু নেহালের দিকে তাকিয়ে বলে,
~ আল্লাহ তায়ালা মনে হয় আমাকে আপনার জন্যই পাঠিয়েছেন। নাহলে আমার শরীরে এত রক্ত উৎপাদন ক্ষমতাও দিত না আর আপনাকে রক্তের তৃষ্ণাও দিত না৷
— হাহা। হয়তো। তবে ভয় নেই। সারাদিনে একবার তোমার রক্ত খাবো আমি। তাহলেই হবে।
~ কি জীবন আমার শেষমেশ রক্তচোষা এসে আমার কপালে জুটলো। তাও আবার রক্তচোষা রাজা।
তনুর কথা শুনে নেহাল হাসতে হাসতে বেডে গড়াগড়ি খাচ্ছে। তনু নেহালের দিকে তাকিয়ে আছে। নেহালকে দেখলে মনেই হয় না যে ও এত শক্তিশালী আর একটা ভ্যাম্পায়ার। একদম স্বাভাবিক মানুষের মতোই লাগে৷ নেহাল হাসতে হাসতে তনুকে টান মেরে ওর কাছে এনে ওকে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে বলে,
— তুমি চাইলে আমার মতো ভ্যাম্পায়ার হয়ে যেতে পারবে।
~ হ্যাঁ, তারপর আমি রক্ত পাবো কই?
— তোমার শরীরের এমনিই তো রক্ত বেশি। তোমার কোন রক্ত লাগবে না। উল্টো তুমি আমার মতো আরও বেশি পাওয়ারফুল হয়ে যাবে৷
~ তাই নাকি? তা আমাকে ভ্যাম্পায়ার হতে হলে কি করতে হবে শুনি?
— বলবো? শুনলে তো তুমি লজ্জা পাবে৷
~ পাবো না। বলেন।
নেহাল তনুর কানে কানে গিয়ে বলে। তনু শোনা মাত্রই লজ্জায় ওর পুরো মুখ লাল হয়ে যায়। ও নেহালের কাছ থেকে দূরে সরে বলে,
~ অসম্ভব অসম্ভব। আমি স্বাভাবিক মানুষই ভালো আছি।
— হাহা।
নেহাল তনুকে আবার কাছে টেনে বলে,
— যদি কোন দিন আমার কিছু হয় তাহলে শুধু তুমিই আমাকে বাঁচাতে পারবে। যদি তুমি ভ্যাম্পায়ার হও। আর আমি মরে গেলে তোমাকে বাঁচাবে কে বলো?
~ এইইই আপনি অনেক পঁচা। কথা জালে ফাসাচ্ছেন আমাকে তাই না? শোনেন যদি আমাকে সত্যিই ভ্যাম্পায়ার বানাতে চান তাহলে আমাকে বিয়া করতে হবে৷ নাহলে আমি কিছুই দিব না৷ এত সস্তা না আমি। এহহ…
— ভ্যাম্পায়াররা আবার বিয়েও করবে? হাহা। আচ্ছা যাও করলাম বিয়ে৷
~ হুম৷ আচ্ছা আপনাদের কোন মেয়ে ভ্যাম্পায়ার নেই?
— অনেক আছে।
~ তাদের মধ্যে কাউকে পছন্দ হয় নি?
— নাহ! সত্যি বলতে আমি রাজা হওয়ায় আর আমার পাওয়ার সবার থেকে বেশি হওয়ায় ভয়ে কেউ আমার কাছে আসতো না।
~ তার মানে আপনি যে এখন মানুষের রূপ ধরে আছেন এটা আপনার আসল রূপ না?
— না৷ আমার আসল রূপ দেখলে তুমি অজ্ঞান হয়ে যাবে ভয়ে৷
~ ওরে বাবা। থাক তাহলে। আপনাকে এভাবেই অনেক ভালো লাগে আমার।
— কি আমাকে ভালো লাগে? আসো এখনি তোমাকে ভ্যাম্পায়ার বানিয়ে দি। হাহা৷
~ এই এই সরেন…. একদম না।
তনু আর নেহাল হাসাহাসি করতে থাকে। তনু যেন ওর একাকিত্ব জীবনের মাঝে অন্যরকম একটা আনন্দ ভালো লাগা আর এডভেঞ্চার খুঁজে পেয়েছে। তনু এতটা অবুঝ না যে ও এটা বুঝতে পারবে না, আসলে নেহাল ওকে বাঁচাতে এসেছে। কিন্তু কাদের হাত থেকে? আর কারাই বা ওদের দুজনকে মারতে চায়? তনুর কেন জানি মনে হচ্ছে নেহাল ওকে সবটা বলে নি। কিছু রহস্য এখনো রহস্য আছে। তনু বলে,
~ আপনি কি এখন থেকে সবসময় আমার সাথেই থাকবেন?
— হ্যাঁ। কারণ আমার জীবনের একমাত্র সঙ্গী তুমি। তোমাকে ছাড়া কিভাবে থাকি বলো?
~ হুম বুঝি তো। সবই আমার রক্ত খাওয়ার ধান্দা।
— হাহা। একদম না। বলেছি না আমি তোমাকে ভালবাসি।
~ হুহ।
— আচ্ছা তুমি বলেছো তোমার অনেক গুলো ইচ্ছা আছে। কি কি বলো তো।
~ এখন একটা বলি। আস্তে আস্তে সব বলবো।
— আচ্ছে বলো।
~ আমার প্রথম ইচ্ছা হলো, আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাবো। সেখানে অনেক মজা করবো। জানি না ইচ্ছাটা পূরণ হবে কিনা৷ দেখা গেল ইচ্ছা পূরণ হওয়ার আগেই আমাকে আপনার ভ্যাম্পায়ার শত্রুরা খেয়ে ফেললো।
— আমি থাকতে তোমার আর কোন ক্ষতি কেউ করতে পারবে না দেখো।
~ দেখবো নে৷ এখন ছাড়েন আমি ঘুমাবো। খুব ঘুম পাচ্ছে।
তনু মুখ দিয়ে ছাড়তে বললেও ও নেহালকে জড়িয়ে ধরে আছে। নেহাল বুঝে যায় আসলে তনু ওকে ছাড়তে চায় না। তাই ও মুচকি একটা হাসি দিয়ে তনুকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,
— নিজে ছাড়িয়ে নেও। কারণ আমি তো তোমাকে ছাড়ছি না।
~ তাহলে থাক। এভাবেই থাকি।
তনু ছোট বেলা থেকেই একদম একা ছিল। কোন ভরসা কিংবা একটু আদর ও পায় নি। আজ নেহালকে ওর ভরসা হচ্ছে। নেহালের স্পর্শ ওকে অন্যরকম একটা ভালো লাগা দিচ্ছে। তনু নেহালের মাঝে নিজেকে অনেক সেইফ মনে করছে। তাই ও নেহালকে হারাতে চায় না। কখনো না। কিন্তু ওরা কি পারবে সবসময় একসাথে থাকবে? কারণ ওদের দুজনের বেঁচে থাকা অন্যদের কাছে হুমকি। নেহাল এটা ভেবেই খুব ভয় পাচ্ছে। ও কি পারবে শেষ পর্যন্ত তনুকে বাঁচাতে? নাকি তার আগেই নিজে শেষ হয়ে যাবে? নেহাল মনে মনে ভাবে, ও যতদিন তনুর সাথে থাকবে ওর প্রতিটি ইচ্ছা ও পূরণ করবে৷ তনুর জীবনটা আনন্দ আর খুশিতে ভরিয়ে দিবে৷ সেটা যেভাবেই হোক। তনু জানে না কাল সকালে ও কত বড়ো একটা সারপ্রাইজ পেতে যাচ্ছে। নেহাল শুধু কালকের সকালের অপেক্ষায় আছে।
চলবে…?