মায়াজাল (ভৌতিক গল্প),পর্ব-৮
লামিয়া আক্তার রিয়া
তাসমির আসতেই তার দাদা তাকে জানালো তাকে ভাগলপুর যেতে হবে।ওখানকার কিছু জায়গায় জমি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে তাই তিনি যেতে বললেন।কিন্তু তাসমির না করতেই প্রচন্ড এক ধমক দিয়ে যেতেই হবে বলে নিজের ঘরে চলে গেলো।তাসমিরও রেগে নিজের রুমে এসে দরজা আটকে দিলো।কিছুক্ষন পরে তাসলিমা(তাসমিরের মা) তাসমিরের রুমের সামনে এলেন এলেন।
তাসলিমা: বাবা?
তাসমির: যাওতো মা ভালোলাগছে না।
তাসলিমা: তোর বাবাও এসেছে।
বাবার কথা শুনে তাসমির বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলে সরে গেলো।তাসমির সরে যেতেই তাসলিমা আর কাবিল (তাসমিরের বাবা) ভেতরে এসে দরজা আটকে দিলো।
তাসমির: বলুন কি বলবেন।
কাবিল: আমি চাই তুমি কালকে ভাগলপুর যাও।
তাসমির: কেন?
কাবিল: তাতে তুমি এখানের জমিদারি নিজের হাতে আনতে পারবে।এভাবে ধিরে ধিরে সবটা নিজের হাতে আনতে পারলে আমাদেরই লাভ।
তাসমির: এসব দিয়ে কি করবো আমি?মা?আমার এক মেয়েকে পছন্দ হয়েছে।তাকে যতদ্রুত সম্ভব নিজের করতে চাই।
কাবিল: মুর্খ(জোরে)।সব জমিদারি পেলে এসব মেয়েরা কিছুই না।তোমার প্রধান লক্ষ্য জমিদারি।
তাসমির: কিন্তু-
তাসলিমা: দেখ বাবা তুই ওখানকার ঝামেলাটা মিটিয়ে আয় তারপর আমি ওই মেয়েকে তোর কাছে এনে দেবো।আর তুই একবার সবকিছুর জমিদারি হাতে পেলে মেয়ের অভাব হবেনা।
তাসমির: ও যদি অন্যকারো-
তাসলিমা: ছিনিয়ে আনবি।কিন্তু এখন জমিদারিটা বেশি প্রয়োজন।
কাবিল: তোমার এই মেয়েদের আসক্তির জন্যই আব্বা সব তার ছোট নাতি অনুভবকে দিতে চায়।এতেও কি তোমার ধ্যান ভাঙেনা?তুমি কালকে যাচ্ছো এটাই বলতে এসেছি।তাসলিমা এসো।
কাবিল বের হয়ে গেলে তাসলিমাও তাসমিরের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
তাসলিমা: তুই চিন্তা করিসনা বাবা।আমার স্বপ্ন তুই একদিন অনেকবড় জমিদার হবি।জমিদার তাসমির চৌধুরির মা হব আমি।আর মেয়েতো তখন যত ইচ্ছে পাবি।দরকার হলে আলাদা মহল করে নিবি নিজের আয়েশের জন্য।কিন্তু এখন ক্ষমতা প্রয়োজন।ঠান্ডা মাথায় ভাব।এলাম।
তাসলিমা চলে যেতেই তাসমির শয়তানি হাসি দিলো।মায়ের দেয়া প্রলোভনে তার চোখ চকচক করছে।দরজা বন্ধ করে শুয়ে পরলো সে।চোখ বন্ধ করতেই সামনে এলো সেই আবেদনময়ি নারীমূর্তি।একসময়ে তাসমির ঘুমিয়ে পরলো।
পরদিন তাসমির ভাগলপুরে চলে গেলো।অন্যদিকে জমিদার গিন্নি নাসিমা তার ছোটছেলের বউ অমৃতাকে নিয়ে চললো মালির ঘরে।মালি গিন্নি মায়া তাদের দেখেই দ্রুত তাদের বসার ব্যবস্থা করলো।
নাসিমা: ব্যস্ত হওনা মায়া।মৃন্ময়ি কোথায়?
মৃন্ময়ি: এইতো দাদি।ফুল তুলতে গিয়েছিলাম।তুমি এখানে?আরে ছোটমা?
অমৃতা: আয় আয় আমার কাছে।কি কি ফুল আনলি?
মৃন্ময়ি: বাগানে যা ফুল ছিলো।মালা বানিয়ে তাহাকে দিয়ে পাঠিয়ে দিতাম তোমার জন্য।তুমি কষ্ট করে এলে কেনো?
অমৃতা: কেনরে?আমি এসেছি তাতে তুই খুশি না?(মুখ ফুলিয়ে)
মৃন্ময়ি: এ মা না না সেটা না।এসেছ কষ্ট হলো তাই।
নাসিমা: হয়েছে হয়েছে।মায়া?তোমার বরটা কোথায়?
মায়া: ও তো ওই বাজারে গেলো।কেন গিন্নি মা?
নাসিমা: তুমি মৃন্ময়িকে বিয়ে দেয়ার কথা বলছিলে না?ছেলে পেয়েছি।
মৃন্ময়ি: দাদি?আবারো?আমি যাবোনা মা বাবাকে ছেড়ে।
নাসিমা: দূরে যেতে হবেনা।মায়া?তোমরা যদি রাজি থাকো তাহলে মৃন্ময়িকে আমরা আমাদের অনুভবের বউ করে নিয়ে যেতে চাই।
মায়া: অনুভব মানে ছোট সাহেব?(অবাক হয়ে)
অমৃতা: ছি ছি আপা।ও তোমার ছেলের মতো।সাহেব কেন বলছো?তাছাড়া আমার সই হিসেবে মৃন্ময়িকে বেশ পছন্দ।আর ছেলের বউ হিসেবেও।এই চাঁদকে আমি ছাড়ছিনা।(মৃন্ময়ির থুতনি ধরে)
মৃন্ময়ি: ধ্যাত( লজ্জা পেয়ে ভেতরে চলে গেলো।)
নাসিমা: মায়া?তুমি বরং মইনুরকে বলো ও এলে।আমরা খুব জলদিই ওকে নিতে চাই।পারলে পরশুই।
মায়া: পরশুই?
নাসিমা: দেখো মৃন্ময়ি যেমন মেয়ে ও সেজে সবার সামনে আসবেনা।পর্দা করেতো।
মায়া: সে ঠিক কিন্তু বাড়ির কর্তারা মানবে?
নাসিমা: মনে আছে আমার উনি মৃন্ময়িকে ছোটবেলায় কত আদর করতো?আর কাইফও (ছোট ছেলে) তো মৃন্ময়িকে মা ছাড়া কথা বলতোনা।বড় হওয়ার পর ওকে না দেখলেও ভালোবাসা কমেনি।আর রইলো অনুভব দাদুভাই,সে আমাদের উপরে ভরসা রাখে।আর আমাদের মৃন্ময়িই বা কম কিসে?তুমি নিশ্চিন্ত থাকো।
অমৃতা: হ্যা আপা।আমি জলদিই আমার সইকে নিয়ে যাবো।তা আপনি মানা করলেও শুনবোনা বোললাম।
মায়া: ছি ছি মানা করবো কেন?আপনারা এতবড় জমিদার হয়েও আমাদের মতো মালির ঘরের মেয়েকে বউ বানিয়ে নিবেন এতো আমাদের ভাগ্য।ও এলে আমি বলবো।
নাসিমা: আচ্ছা।আর বলো জমিদারবাবু দেখা করতে বলেছে।
মায়া: আচ্ছা।
নাসিমা: এবার উঠি মা।
মায়া: কিছুতো খেলেন না গিন্নি মা।
অমৃতা: আরে আপা একদিন পরে আমরা বেয়ান হবো।তখন তো এসে খাবই।আজ আসি।আমার সইকে দেখে রাখবেন।বেচারি লজ্জা পেয়েছে।এখন আর আসবেনা আমার সামনে।
নাসিমা: তা যা বলেছো বৌমা।মেয়েটা যে লাজুক।আচ্ছা এবার উঠি।
নাসিমা আর অমৃতা চলে গেলো।মায়া যেয়ে মৃন্ময়িকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু দিলেন।
মায়া: তোর ভাগ্য কত ভালোরে মা।সয়ং জমিদার গিন্নি তার নাতবউ করতে চেয়েছেন তোকে।আমি খুব খুশিরে আজ।যাই ভালো কিছু রান্না করি।আজ নফল নামাজ পরবো।তুই গোসল করে নে।
মায়া চলে যেতেই মৃন্ময়ি লজ্জায় নুইয়ে পরলো।সে ভাবতে লাগলো অনুভবের কথা।ছোট থেকেই ছেলেটাকে ভীষন ভালোলাগতো।অনেকবার গাল ধরে টেনেছে।অনুভব রেগে মারতে এলেই দৌড়ে ছোট মায়ের কাছে গিয়ে বিচার দিতো আর অনুভব মায়ের কাছে বকা খেয়ে রাগে ফুসতো।তখন ছেলেটার মুখ দেখে হাসতে হাসতে মৃন্ময়ি ছোটমায়ের গায়ে ঢলে পরতো।ছোটমাও মৃন্ময়িকে নিজের সাথে আগলে রাখতো।আগের কথা ভাবতেই মৃন্ময়ি খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো।তারপরেই গোসলের জন্য গেলো।
–
–
–
৩টা ছেলে চোরের মতো এদিক ওদিক তাকিয়ে জমিদার বাড়ি ঢুকছে।তাদের জামা কাঁদায় মাখা।
: ভাইরে জমের খাঁচায় কেন আনলি?বাড়িতেই যেতাম না হয়।
: হ্যারে ভাই।তোর বাবা দেখলে আমাদের তিনটাকেই গাছে বেধে পিটাবে।
: হ্যা অনু চল পুকুর থেকে গোসল করে আমাদের বাড়ি যেয়ে জামা পাল্টে নেবো।
ওদের দুজনের কথা শুনে অনুভব রাগি দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকালো।
অনুভব: চুপ থাক বেয়াদবগুলো।কে বলেছিলো ওই কাদার মধ্যে থেকে যেয়ে আম চুরি করতে?আমাদের বাগানে কি কম আছে?মালি কাকাকে বললেই হতো।সে নিজেই এনে দিতো।বুদ্ধিটা জয়ের না?
জয়: এই না না আমি না।এটা তামিমের বুদ্ধি।
অনুভব তামিমের দিকে তাকাতেই তামিম ক্যাবলা মার্কা হাসি দিলো।
তামিম: আভ না না মানে দেখ আসলে ভাই চুরি করে খাওয়ার মজাই আলাদা।হিহি😅
জয়: তোদের বাগানের উত্তরের দিকটায় ছেলেদের যেতে দেয়না কেন?
অনুভব মুচকি হাসলো।
তামিম: হাসছিস কেন?
অনুভব: ওখানে আমার রানী আছে।আর সে পর্দা করে।তাই যাওয়া বারন।
জয়,তামিম: রানী!!
অনুভব: হুম।চল এবারে।আস্তে আস্তে আয়।বাবা যেনো দেখতে না পায়।
তিনজন পা টিপেটিপে বাড়ির ভেতরে ঢুকে সিড়ির কাছে এলো।যেইনা উপরে দৌড় দিবে তখনি পেছন থেকে গম্ভীর কন্ঠ শোনা গেলো।এটা তার বাবা।
কাইফ: কোথা থেকে এলেন নবাবরা?দেখি আপনাদের চাঁদমুখগুলো।
ওরা কেউ পেছনে ফিরলোনা।
জয়: ভাই?আমি পারবোনা তোর বাবার বকা খেতে।গতবার কানে যে জোরে টান দিলো।
তামিম: ভাইরে আমার প্রানের ভাইরে,,এবারের মতো বাঁচিয়ে দে ভাই।
অনুভব: হ্যা হ্যা দোষ তোমরা করবে আর মার আমি খাবো।ও মাগো,কই তুমি?
কাইফ: ফিরবে?(ধমকে)
কাইফের ধমকে তিনজনই কাইফের দিকে ফিরলো।ওদের দেখে কাইফের চোখ বড়বড় হয়ে গেলো।
কাইফ: একি?কোথায় গিয়েছিলি তোরা?জামা-কাপরের এই হাল কেন?কার সাধে মারামারি করে এলি?এই কে আছিস আমার চাবুকটা নিয়ে আয়তো।তিনটাকে আজ সত্যিই গাছে বেধে পিটাবো।
জয়: হি হি চাচা তুমি কোনোদিনও পিটিয়েছো নাকি গাছে বেধে?ওই কান ধরা অবধিই থাকো।
জয়ের কথা শেষ হতেই অনুভব আর তামিম ওকে ধাক্কা দিয়ে কাইফ চৌধুরির সামনে এগিয়ে দিলো।
কাইফ: তাই বাবারা?আমি কান ধরা অবধিই সীমাবদ্ধ?এখন তো অনুর মাও বাইরে।এবার তোদের তিন ছাগলকে কে বাঁচাবে?
অনুভব: আব্বু!!কিসব বলছো?আমরা ছাগল?ওদের দেখতে ছাগলের মতো লাগতেই পারে।কিন্তু আমি জমিদার বাড়ির ছোট ছেলে।কত সুন্দর আমি।জানো কতো মেয়ে আম-
কাইফ: থামলে কেনো বাবা?মেয়ে কি?কয়টা মেয়ের সাথে কি করেছিস?এই শিক্ষা দিয়েছি তোকে?(রেগে)
অনুভব: না না বাবা বিশ্বাস করো আমি কিছু করিনি।বুঝ হওয়ার পর থেকে দাদি,বড়মা আর মা ছাড়া শুধু মৃন্ময়ির সাথেই মিশেছি।আর তুমি কিসব বলো?ছি ছি।নাউজুবিল্লাহ্।ও দাদাভাই?কোথায় তুমি?
কাসেম: আরে কি হলো কি?সকাল সকাল গরুর মতো চিল্লাচ্ছিস কেন?
অনুভব: তুমিও?তোমার ছেলে আমায় ছাগল বললো আর তুমি গরু বললে?থাকবোনা আর তোমাদের বাড়িতে।দাদি?মা? কোথায় তারা?
কাসেম: সেসব পরে হবে।কিন্তু তোর এই অবস্থা কেন?
অনুভব: (তামিমকে দেখিয়ে) এই বেয়াদবটার জন্য সব হয়েছে।ওর বুদ্ধিতেই ওই কাদা জমি পেরিয়ে গোসাইদের আম বাগানে-
কাসেম: চুরি করতে গিয়েছিলে?হায়রে জমিদারবাড়ির ছেলে চুরি করে?
অনুভব: আরে পরেতো যেয়ে টাকা দিয়ে আসি।
কাইফ: অনেক কথা হয়েছে।এই তোরা কে আছিসরে ওদের তিনটাকে গাছে বাধ।
অনুভব: ও বুড়ো থুরি দাদুভাইগো,,এবারের মতো বাঁচিয়ে দাও।তাহলে তোমার টাক মাথায় যেন আবার চুল গজায় তার জন্য দোয়া করে মসজিদে টাকা দিয়ে আসবো।দাওনাগো এবারের মতো বাচিঁয়ে তোমার ওই রাগি ছেলের হাত থেকে।
অনুভবের মিষ্টি হাসি দেখে কাসেম হেসে দিলেন।
কাসেম: আচ্ছা তোরা যা। গোসল করে নিচে আয়।খেয়ে কথা আছে তোদের সাথে।
অনুভব: ধন্যবাদ বুড়ো।তোমাকে একটা চকলেট খাওয়াবো আমাদের বাঁচানোর জন্য।
কাসেম: তবেরে? দাড়া তোরা।
অনুভব: এইরে দৌড়া।
কাসেম হাতের লাঠি নিয়ে একটু এগোতেই ওরা তিনজন একসাথে দৌড় দিয়ে উপরে চলে গেলো।ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে কাসেম আর কাইফ হাসতে লাগলো।
কাসেম: বুঝলি কাইফ তোর এই ছেলে আর বড় হোলোনা।এবার বউ আনলে যদি ঠিক হয়।
কাইফ: হ্যা।আমার মৃন্ময়ি মা ঠিকই এই ফাজিল ছেলেকে মানুষ করবে।কিন্তু ওরা এখনো এলোনা কেন?
কাসেম: ওইতো এসেছে।কি খবর বৌমা?
অমৃতা: আপাকে বলে এসেছি সব।মইনুর ভাই বাজারে গিয়েছিলো।বিকেলে আসবে দেখা করতে।
কাইফ: আপত্তি?
নাসিমা: আরে না না আপত্তি কেন করবে?
কাসেম: আচ্ছা যেয়ে হাতমুখ ধুয়ে নাও।অনুরা গোসল করে এলে একসাথে খেতে বসবো।
অমৃতা: বড়আপা চলে গিয়েছে?
কাসেম: হুম।বড়খোকা দিয়ে আসতে গিয়েছে ওর বাপেরবাড়ি।এই তাসমিরটাকে মানুষ করতে পারলাম না।
নাসিমা: তাসমির কেন?তোমার বড়ছেলেকে মানুষ করতে পেরেছো?আমরা পারিনি ওকে মানুষ করতে।আর বউটাও জুটেছে।মৃন্ময়িকে নাকি দাদুভাইয়ের বউ বলে মানবেনা।বলে কিনা সামান্য মালির মেয়ে।নিজেও তো সামান্য প্রহরির মেয়ে ছিলো।তার আবার দেমাগ।
অমৃতা: আহা মা,থামুনতো।অন্যের পেছনে নিন্দা করা গিবত।এটা ঠিক হচ্ছেনা।আর তাসমিরও ভালো হয়ে যাবে।
নাসিমা: এতও সাধারনভাবে নিওনা ছোটবৌমা।যখন পেছন থেকে ছুরি বসাবে তখন কেদেও কূল পাবেনা।
কাইফ: আহ্ মা।এভাবে ওদের মধ্যে ঝামেলা করো না।যাও হাতমুখ ধুয়ে এসো।অমৃতা তুমিও খাবারের ব্যবস্থা করতে বলো।অনুরা এখনি চলে আসবে।
কাইফের কথায় যে যার কাজে চলে গেলো।
–
–
–
ভোরের আজান ভেসে আসছে।বাইরে থেকে আবারো সেই হিংস্র আওয়াজ।মোবাইলের ওপাশ থেকেও কেপে উঠলো ইমু।এতক্ষন প্রত্যেকেই অতিতে ডুবে ছিলো।
তাসমির: ধোকা?তোরা ধোকা দিলি আমায়?আজান দিলে আমি আর থাকতে পারবোনা তাই এইটা করলি তোরা?ছাড়বোনা তোদের আমি।কালকে রাতই হবে তোদের শেষ রাত।আসবো আমি।আসবই।
ধিরে ধিরে আওয়াজ থেমে গেলো।আজানও শেষ।আদ্র মোবাইলটা কানে ধরলো।
আদ্র: আছো?
ইমু: হুম।
আদ্র: এসব কি বিশ্বাস করবো?
ইমু: জানিনা আমি।সব গুলিয়ে যাচ্ছে।
আদ্র: আচ্ছা ঘুমিয়ে পরো।
ইমু: আদ্র?
আদ্র: বলো।
ইমু: নাহ্ কিছুনা।নামাজ পরে ঘুমিয়ে পরুন।
আদ্র: হুম।
কল কেটে নামাজ পরে দুজনেই পারি দিলো ঘুমের রাজ্যে।
চলবে…..