Crush Villain,অতিরিক্ত অংশ(১৮)
“আবরার স্পেশাল”
লাবিবা ওয়াহিদ
আবরার চোখ দিয়ে ইশারা করতেই একজন লইয়ার ভেতরে আসে হাতে একটা অফিস ব্যাগ নিয়ে। লইয়ারকে দেখে মিস্টার শেখর অবাকের চরম পর্যায়ে চলে গেলো। অবাক হয়ে বলে,”তুমি না বৃষ্টির লইয়ার?”
লইয়ার মুচকি হেসে মাথা নাড়ায়।
– তুমি কোথায় ছিলে এতোদিন।
– ছিলাম আশেপাশেই কেন খুব প্রয়োজন ছিলো বুঝি?
মিস্টার শেখর কিছু বলার আগে কিছু পুলিশও ভেতরে আসে। পুলিশ দেখে মিস্টার শেখর আরও অবাক হয়ে যায় এবং সে রীতিমতো ঘামতে শুরু করে। আবরার কিছুটা মজা নিয়ে বলে,”আরে মিস্টার শেখর আপনি তো দেখছি এই এসির নিচে থেকেও ঘামছেন। আসলে কথায় আছে না অতিরিক্ত সুখ কপালের সহ্য হয়না। এই কথাটা আপনার সাথে সম্পূর্ণ ভাবে মিলে গেলো ওয়াও!”
মিস্টার শেখর যেনো বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে। এমন সময়ই ভেতরে মানিশা, নিশি, যাহির, তিনয়, নীল এবং আয়াফ ভেতরে প্রবেশ করে। ওদের কেউ-ই চিনতে পারলো না। মানিশা সামনে থাকা মধ্যবয়সী পুরুষ আর মহিলার দিকে একবার তাকায় আরেকবার আবরারের দিকে। আবরার ওদের দেখে বলে,”আরেহ তোমরা এসে গেছো? তোমাদেরই অপেক্ষায় ছিলাম। তা অফিসার আমি শুরু করি!”
আজ থেকে ৩০ বছর আগের কথা। আমার নানাভাইয়ের অনেক সম্পত্তি ছিলো। তার কোনো ছেলে ছিলো না বিধায় সব সম্পত্তি মায়ের নামে হয়ে গেলো। নানাভাইয়ের ব্যবসা আমার মা একা হাতে সামলাতো। যাকে বলে সারাদিন ব্যস্ততায়-ই তার সময় কাটতো। আমার এই মহামান্য পিতা আই মিন মিস্টার শেখর আবার ছিলো আমার মায়ের ব্যাচমেট। সেই থেকে তার এই বিশাল সম্পত্তির প্রতি লোভ হয়। তাই মাকে নানাভাবে পটিয়ে ফেলে ভালোবাসা এটা সেটা বলে! আমার মাও নরম মনের মানুষ ছিলেন। আর এই লোকটা এতোটাই নিঁখুত অভিনয় করেন যে মা তার আসল চাল টা বুঝতে পারেনি। তো মা বিয়ে করে। তাদের সংসার ভালোই কাটছিলো কিন্তু মা সংসারের দায়ভার নিতে পারতো না সে আগের মতোই বিজন্যাসে মত্ত ছিলো। মিস্টার শেখর অনেক চেষ্টা করে তার থেকে বিজন্যাস হাতানোর কিন্তু পারেনি। তার কিছুবছর পর গিয়ে আমি জম্ম হই, মা আমাকে ফেলতে পারবে না দেখে মিস্টার শেখর নানাভাবে ভুলিয়ে ভালিয়ে অফিসের দায়িত্ব নেয়। কিন্তু মা তাকে কখনোই সম্পত্তি লিখে দেয়নি শুধু এইটুকুই বলেছে যে তার অবর্তমানে মিস্টার শেখর তার সম্পত্তির দেখাশোনা করতে পারবে। বেচারা মিস্টার শেখর তো অতিরিক্ত উত্তেজিত থাকায় সে খেয়ালই করেনি মা আসলে সম্পত্তি দিয়েছে নাকি দেখাশোনা করার অনুমতি। সেই থেকে শুরু হলো আমার বাবার নাইট পার্টি, অন্য মেয়ের সাথে রাত কাটানো। মায়ের প্রতি বা আমার প্রতি তার যত্নই ছিলো না। সে প্রায়ই অন্যান্য মেয়েদের সাথে ডেট করতে বেরিয়ে যেতো, মা কিছু জিজ্ঞেস করলেই মারধর করতো। মাও কিছু বলতেন না চুপ করে থাকতেন। আমি যতো বড় হই ততোই চোখের সামনে এসব দৃশ্য দেখতে দেখতে বড় হই। মায়ের মলিন চেহারা দেখলে আমি সেই ছোট মুখে “পাপা পতা তুমি কেন আমাল মাম্মাকে মালো তুমালে নীল চুট পরা আঙ্কেলের হাতে ধরিয়ে দিবো!” এইটা বললে মাকে রেখে আমাকে মারধর করতো। মা আমায় জড়িয়ে ধরে এই পশুর হাত থেকে বাচাতো। হঠাৎ-ই বাবার এক মহিলার সাথে খুব মেশামেশি হয়, বেশিরভাগ সময় আর রাত সেই মহিলার সাথেই কাটাতো। সে ছিলো আমার বাবার এক্স গার্লফ্রেন্ড।সেই গার্লফ্রেন্ডের নাম ছিলো শীলা। মা বাবার সব পরকীয়া প্রেমলীলা জেনে যায় আর তখনই আমার নামে তার সব হুইল করে মায়ের বিশস্ত লইয়ারকে বে যেনো সে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। সেদিন আমি ক্লাস ৩ এ পড়ি তখন মা আমায় তার সবকথা শেয়ার করে এবং এটাও বলে দেয় যে সকল সম্পত্তির মালিক আমি এটা যেনো কেউ না জানে। আমিও সেদিন অবুঝের মতো মাথা নাড়াই।
বলেই আবরার থামলো। তারপর আবার শুরু করে,”
“সেদিন রাতে আমি মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছিলাম তখনই বাবা মাতাল হয়ে হঠাৎ রুমে ঢুকে পরে। লাইট জ্বালিয়ে একটা বালিশ হাতে নিয়ে মার মুখে চেপে ধরে আর ঘুমন্ত অবস্থায় মা হাত-পা ছুড়াছুড়ি করে নিজের প্রাণ বাচানোর চেষ্টা করে। আমি মায়ের হাত-পা ছুড়াছুড়িতে ঘুম থেকে উঠে যাই এবং দেখি আমারই নিজের বাবা আমার মাকে….(ভাঙ্গা গলায়) বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। আমি মাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করি। শেষে উপায় না পেয়ে এই অমানুষটার মাথায় ফুলদানি দিয়ে আঘাত কর আর সাথে সাথে সে জ্ঞান হারিয়ে ফ্লোরে ধরাম করে পরে যায়। মায়ের প্রাণ তখনো ছিলো তবে সে ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছিলো না। জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে একটা কথাই বলে,”উনি তোর বাবা হয় আবরার তাকে এভাবে আর মারবি না! তাদের সাসাসাথে ভালো ব্যবহার করবি!”
বলেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। আমি বারবার মাকে ধাক্কিয়ে উঠানোর চেষ্টা করি বারবার মা মা বলে ডাকি যেনো সে আমার ডাকে সাড়া দেয়। কিন্তু নাহ সে আর আমার ডাকে সারা দেয়নি।
বলেই আবরার চোখের জল মুছলো। উপস্থিত সবার চোখেই জল শুধুমাত্র মিস্টার শেখর আর শীলা বাদে। আবরার আবার শুরু করলো,
” সারারাত মাকে ডাকি কিন্তু সে শুনেনি। সকালে কাজের বুয়া আমার চিৎকার শুনে রুমে এসে দেখে মায়ের নিথর দেহ আর বাবার জ্ঞান হারয়ে পরে থাকা। বুয়া মায়ের শরীর ধরে দেখে মায়ের শরীর ঠান্ডা হয়ে আছে বরফের মতো আর তার পালসও চলছে না। বুয়া তখনই আর দেরি না করে আশেপাশের বাড়ির মানুষদের ডেকে নিয়ে আসে। সকলেই বলে উঠে আমার মা মৃত। আর বাবা জ্ঞান হারিয়েছে! ওইটুকুনি বয়সে যদি ওই পরিস্থিতিতে শুনি যে নিজের মা “মৃত” কি পরিস্থিতিটাই না হয় ওই সন্তানের? আমারও কোনো দিক ছিলো না। বাবার জ্ঞান ফিরতেই সে সবার সামনে মিথ্যা বলে যে ডাকাত ঢুকেছিলো বাসায় টাকা পয়সা না দেয়ায় বালিশ চাপা দিয়ে মাকে মেরে ফেলেছে আর সে মাকে ছাড়াতে গিয়ে তাকে জোরে বারি মেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।”
বলে আবারও থামে আবরার। আয়াফ তখন বলে উঠে,”তুমি কিছু বলেনি?”
– বলার মতো পরিস্থিতি আমার ছিলো না। কাঁদতে কাঁদতে আমার ঢেকোর উঠে গিয়েছিলো। তবে বড়রা আমাকেও জিজ্ঞেস করেছিলো কি হয়েছে? আমি তখন নিজের মধ্যে ছিলাম না বারবার মা মা করেই যাচ্ছিলাম। অবশেষে সবাই বিশ্বাস করে নিলো।
সাদা কাফনে মোড়ানো মায়ের মুখটা কতো নিষ্পাপ লাগছিলো। তার মুখটা ফ্যাকাসে আর উজ্জ্বল যেনো সে ঘুমিয়ে আছে আর এখনই তার ঘুম ভেঙে যাবে এবং আমাকে দেখে আমাকে বুকে নিয়ে বলবে, “এইতো আবরার বাবা আমি কোথাও যাবো না তোর কাছেই থাকবো!” কিন্তু নাহ সেই আশা আমার পূরণ হলো না। কিছুক্ষণ পর বাবাসহ অনেকেই খাটিয়া কাধে চাপিয়ে কোথায় যেনো চলে গেলো। আমার দিন মাকে ছাড়া খুবই কষ্টের মাঝে চলতে লাগে। বাবা কখনোই আমার খোঁজ নিয়েও দেখেনি আমি কেমন আছি কি করছি! সারাক্ষণ ফোন কল আর বাসার বাইরে থাকতো। আমাদের একজন বিশ্বস্ত খালা ছিলো সে-ই আমার যত্ন করতো। একদিন বাবাকে আবদার করে বললাম,”বাবা আমায় স্কুলে নিয়ে চলো না!” এইটা বলার কারণে আমাকে অমানুষের মতো মারধর করেন তিনি। সেদিন শরীরের ক্ষতর চেয়ে মনের ক্ষতটা আরও দীর্ঘ হয়ে যায় তবুও প্রকাশ করিনি। সেদিন আমার স্কুলও যাওয়া হয়নি। মায়ের মৃত্যুর বেশ কিছুদিন পর বাবার সেই এক্সকে বাবা বিয়ে করে এই বাড়িতে আনে এবং আমায় বলে আমি তোকে নতুন মা এনে দিয়েছি এখন আর একা থাকবি না তুই। সেদিন আমি বুঝিনি কেন আমার সাথে সে ভালো ব্যবহার করেছে তবে নতুন মা বলতে বুঝেছি আবারও মায়ের মতো কাউকে পাবো যে আমায় খুব যত্ন নিবে। কিন্তু মা যে মা-ই হয় তার স্থান কেউ দখল করতে পারেনা। এই নতুন মা আসায় আমার জীবন যেনো আরও নরকে পরিণত হলো। সেও সারাদিন এই ক্লাব ফ্রেন্ড ফূর্তি এমনকি অনেকসময় আমাদের বাসাতেও পুরুষ নিয়ে আনতেন। আমাকে প্রতিদিন সে মারের উপর রাখতো। নিজে ভুল করলে মিথ্যা সাজিয়ে বাবার কাছে নালিশ করলে সে আমাকে ধরে অনেক মারধর করতো। এতো পরিমাণ মারতো যে আমার শরীর কাঁপিয়ে জ্বর আসতো যা টানা ১সপ্তাহ যেতো। এতে তাদের কোনোরকম মাথা ব্যথা ছিলো না যে আমি মরেছি নাকি বেচে আছি। আমাকে কঠিনভাবে এও জানিয়ে দেয়া হয়েছে যেনো ঘরের কথা বাইরে প্রকাশ না করি। তবে হঠাৎ-ই বাবা মায়ের পার্সোনাল লইয়ারকে তন্নতন্ন করে খুঁজেও পায়নি যার কারণে সে নিজের নামে সম্পত্তি করতে পারেনি। তাই এতোদিন ধরে নকল কাজের মাধ্যমে সে এই পুরো সম্পত্তি সামলিয়েছে। আমাকে কোনো ইদেই ভালো জামাকাপড় দিতো না। ইদের সময় আমাকে যাও দিতো ফুটপাত থেকে কেনা লম্বা জোব্বা ফতুয়া। পোশাকের জন্য বন্ধুদের কাছে অনেক হাসির পাত্র হয়েছি তবে সেটা নিয়ে আমার কোনোরকম মন খারাপ হতো না কারণ পোশাক দিয়ে কাউকে বিচার করা বোকামি ছাড়া কিছুই না। সে যাইহোক এভাবে হাজারো অত্যাচারের মাঝের আমি লেখাপড়া চালিয়ে যাই। স্কুলে ঠিকমতো এটেন্ড না হলেও পরিক্ষা আসলে রেগুলার দিতাম। এভাবেই মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করি। এর উপরের ক্লাসে উঠেও মারধর-ই আমার সঙ্গী ছিলো। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এতো বড় হয়েছি সব সহ্য করেছি কিন্তু এখন সহ্য সীমানার বাইরে। কাল মানিশার কথায় বুঝেছি যাদের মধ্যে খারাপ কাজের বিষ রক্তের শিরায় শিরায় মিশে আছে তাদের হাজারবার সুযোগ দিলেও কাজ হবে না। তাই কালকে বিকালেই আমি তাদের বিরুদ্ধে সবরকম প্রুভ কালেক্ট করেছি। অফিসার আপনি লইয়ারকে বলুন তিনি সব যোগ্য প্রুভ-ই দেবেন।
অফিসার ঘৃণার সাথে বলে উঠেন, ” ছিহ আপনারা কি মানুষ? একটা মানুষকে খুন করে কতো সহজে নিজেদের দোষ ধামাচাপা দিলেন! শুধু তাই নয় একটা ছেলের প্রতি এতোটা অত্যাচার করেছেন এতোটা বছর ধরে! ছিহ আপনাদের কিছু বলতেও বিবেকে বাধছে।!”
আয়াফ কথার মাঝে রাগি সুরে বলে উঠে,”আগে ওনাকে জিজ্ঞেস করুন কেন ওই নিরপরাধ মানুষটাকে খুন করেছে!”
অফিসার এবার বলে,”হ্যাঁ ঠিক এইযে মিস্টার শেখর কেন মিসেস বৃষ্টিকে নির্বিচারে হত্যা করেছেন বলুন জবাব দিন!”(কঠিন ভাবে চেঁচিয়ে)
মিস্টার শেখর ভয়ে কিছুটা কেঁপে উঠে তারপর নিচের দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করে বলে,”আ.. সেদিন ড্রিংক করতে করতে হঠাৎ আমার ম্যানেজারের কাছে জানতে পারি যে বৃষ্টি সম্পত্তি আমার নামে লিখে দেয়নি শুধুমাত্র দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছে। তখনই মাথায় তীব্র রাগ চেপে বসে যার কারণে আমি নিজের মাঝে ছিলাম না। তাই বাসায় গিয়েই বৃষ্টিকে বালিশচাপা দিয়ে….”
বলেই মিস্টার শেখর থামলেন। আবরারের চোখের সামনে বারবার সেই দৃশ্য ফুটে উঠছে আর অঝোর ধারায় চোখের ঝর্ণা বেয়ে যাচ্ছে। মানিশা ছলছল দৃষ্টিতে আবরারের দিকে তাকিয়ে আছে। এই প্রথম আবরার নিজ চোখে কাঁদতে দেখছে। মানুষটার ভেতরে এতো ভয়ংকর চাপা কষ্ট ছিলো তা সে একবারের জন্যেও বুঝতে দেয়নি। বাস্তবতা এমন কেন?
শেষে সব প্রুভস মিস্টার এবং মিসেস শেখরের বিরুদ্ধে হওয়ায় অফিসার’স আর তার দলবল তাদের এরেস্ট করে। মিস্টার শেখর এতোটাই নির্দয় এবং পাপী যে আবরারের কাছে একবারের জন্যেও ক্ষমা চাওয়া তো দূরে থাক তাকিয়েও দেখেনি। তাহলে বোঝা যায় কতোটা খারাপ মানুষ সে। নিজের কর্মের জন্য সে এতোটুকুও অনুশোচনাবোধ করলো না। সে যাইহোক এদের এসব বলেও কাজ নেই। অফিসার যাওয়ার আগে আবরারের কাধে হাত রেখে বলে যায়,”নিজের খেয়াল রেখো ইয়াং ম্যান! তোমার ধৈর্যশক্তি সত্যি-ই প্রশংসনীয়। আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করবো যেনো এদের বড় কোনো শাস্তি হয়।”
আবরার ম্লান হেসে বলে,”জ্বী নিশ্চয়ই দোয়া করবেন!”
অফিসার আবরারের মাথায় হাত বুলিয়ে চলে যায়। সঅবার মাঝে নিরবতা বিরাজ করছে। হঠাৎ নিরবতা ভেঙ্গে নীল বলে,”তোমার নেক্সট প্লান কি ব্রো?”
আবরার মৃদ্যু হেসে মানিশার দিকে তাকায়। তারপর আনমনেই বলে উঠে,”মানিশাকে জীবনসঙ্গিনী করতে চাই। তাকে সবসময়ের জন্য পাশে চাই!”
মানিশাসহ সকলেই শকড! কি বলছে আবরার? মানিশাকে বিয়ে করবে মানে কি?? মানিশাকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকতে দেখে আবরার আবার বলে,”কি মানিশা হবে না আমার এই রাজ্যের রানী?”
সবাই ধরেই নিলো মানিশা রাজি হয়ে যাবে কিন্তু নাহ। সকলের আশায় সমুদ্রের পানি ঢেলে বলে,”সরি আবরার আমি পারবো না আপনাকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে। আমি এমনিতেই কোনো এক অন্ধকারে বন্দি সেই অন্ধকার জগতের ভাগিদার আপনাকে করতে চাইনা। আপনি এতোদিন অনেক কষ্ট করে আজ সুখ পেয়েছেন। পারবো না আপনাকে আবারও এই অন্ধকারের যন্ত্রণায় ফেলতে।”
বলেই চোখ জল নিয়ে দৌড়ে বের হয়ে গেলো বাড়ি থেকে। আবরার যেনো স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সাথে বাকিরাও।
চলবে!!!