প্রেমময়_বসন্তের_আগমন #পর্বঃ১১

#প্রেমময়_বসন্তের_আগমন
#পর্বঃ১১
#বর্ষা
কামরুল আহসানের গ্রেফতার!সংবাদটা খান বাড়িতে এক আতংকের সৃষ্টি করেছে।মহিলারা অজানা সেই আতংক সম্পর্কে।এ আতংক যেন পুরুষদের দৃষ্টিতে দৃষ্টিতে। খাওয়া দাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছে।দুইদিন হয়ে গেলো কামরুল আহসানের গ্রেফতারির।কোনো সংবাদ আর প্রকাশিত করেনি পুলিশ।কি চলছে তা এখনো জানা যাচ্ছে না!

রাকেশ খান লাইব্রেরি রুমে লাইট অন অফ করছেন।হয়তো কিছু ভাবছেন। তায়েফ লাইব্রেরি রুমে ঢুকতে গিয়েও ঢোকে না। কেননা ওর গর্ভবতী স্ত্রী তমার চেঁচানোর আওয়াজ আসছে।তায়েফ ছুটে যায় সেদিকে।তমার লেবার পেইন উঠেছে।বাড়ির নারীরা একত্রিত হয়েছে।তবে তায়েফ কোনো রিস্ক নিতে চায় না স্ত্রীকে নিয়ে।তাইতো স্ত্রীকে নিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্যে ছুটেছে সে।

ওয়াজিহা নিজ ঘরের বারান্দা থেকে ওদের গাড়ি যেতে দেখেছে।বাইরে চেঁচামেচিও শুনেছে।তবে বের হয়নি‌। কেননা কাল সারাজীবনের জন্য এ বাড়ি ছাড়বে সে। সারাজীবনের জন্য। অবশ্য এ বাড়ি থেকেও বহু মানুষকে সারাজীবনের জন্য বাড়ি ছাড়তে হবে!

ওয়াজিহা নিজের জামাকাপড় ব্যাগে অলরেডি ভরে রেখেছে।বাইকটাও গেরেজে পাঠিয়েছে ঠিক করতে অবশ্য সকলের অগোচরে।মোবাইলের স্ক্রিন ফেটে গেছে। যাইহোক সেটা নিয়ে পরে ভাবা যাবে। ওয়াজিহার ফোনটা বেজে ওঠে,

”সব রেডি আছে।আমি তোর অপেক্ষায় থাকবো।কাল আমাদের ওপর হওয়া প্রতিটা অন্যায়ের মাশুল গুনতে হবে এদের!”

ওয়াজিহার উত্তরের অপেক্ষা না করেই কলটা কেটে দেয় ওপর পার্শের মানুষটা। পুরুষ কন্ঠ। ওয়াজিহার চোখটা টলমলে হয়ে যায়।যেন চোখ ঝাপটালেই অশ্রুকণা গড়িয়ে পড়বে! ওয়াজিহা অশ্রু ঝড়তে দেয় না।রাত এগারোটা পঁয়তাল্লিশ অর্থাৎ এখনো পনেরো মিনিট আছে বারোটা বাজতে। ওয়াজিহা এশার ফরজ নামাজ আর বেতর নামাজ আদায় করে নেয়।সালাম ফিরিয়ে মোনাজাতে কাঁদে সে।একটু নয় বরং অনেক কাঁদে।

ফোনের শব্দে ওয়াজিহা মোনাজাত শেষ করে উঠে দাঁড়ায়।ফোনটা হাতে নেয়। আননোন নাম্বার থেকে মিসড কল। ওয়াজিহা কল ব্যাক করে।ওপর পার্শ থেকে রিসিভ হলেও কোনো কথা বলে না। ওয়াজিহা হয়তো কিছু বুঝে ফেলে,পনেরো সেকেন্ড অতিক্রমের পূর্বেই কল কেটে দেয়!ঘামতে থাকে।তবে কি তারা ওর খোঁজ পেয়ে যাবে!

ওয়াজিহা দ্রুত মোবাইল থেকে ওই সিমকার্ড বের করে ভেঙে ফেলে। অবশ্য চাইলেও সিমকার্ডের লোকেশন তারা ট্রেক করতে পারতো না,তবে কলের মাধ্যমে সম্ভব হতো।তবুও রিস্ক নেয়নি ওয়াজিহা।অন্য সিমকার্ড ফোনে ঢুকিয়ে কাউকে কল করে সে।

”আই থিঙ্ক ওরা আমার খোঁজ পেয়ে গেছে। আমাকে কি আবারো মরতে হবে?”

”না,এবার তোমাকে সবার সামনে আসতে হবে!এবার থেকে মরার দিন শেষ,মারার সময় শুরু।”

”আমি কাউকে মারতে চাই না। শুধু মাত্র সুন্দর ভাবে বাঁচতে চাই আমার পরিবারের সাথে!”

”পরিবার..হাহ!তোমার পরিবারকে তো খুন করা হয়েছে।ভুলে গেছো তোমার মাম্মামের সাথে করা ঘৃণিত কাজ,ভুলে গেছো তোমার আম্মুদের কিভাবে মৃত্যু যন্ত্রণা থেকেও বড় যন্ত্রণা প্রদান করা হয়েছিলো,ভুলে গেছো তোমার পরিবারকে কিভাবে নিঃশৃসভাবে হত্যা করা হয়েছিলো?”

”আমি ভুলিনি..আমি ভুলতে পারিনি..আমার ছোট্ট মস্তিষ্ক সহ্য করতে পারেনি এসব।এখনো পারছে এ মৃত্যুর খেলা সহ্য করতে।আমি রেহাই চাই।”

ওয়াজিহা দাঁড়িয়ে আছে প্রেসের লোকের সামনে।হাতে একটা চিপ।যা লেপটপে কানেক্ট করতেই ভেসে ওঠে নির্মম এক রাতের বিশ্লেষণ।কয়েকজন হাসছে আর বিশ্লেষণ করছে। হঠাৎ সকলের চেহারা সুস্পষ্ট হয়ে উঠলো।এ দেখছি রাকেশ খান,রুকন খান।সাথে আছে দুই মহিলা সদস্য মোহনা জুবায়ের এবং রাকেশ খানের স্ত্রী মাইশা জুবায়ের।মোহনা আর মাইশা দুইবোনও বটে।

আরো নানা দৃশ্য ফুটে উঠতে থাকে।এক ছোট্ট বাচ্চার প্রতি নির্মমতা।আরো কত কি! রুকন খান আর রাহমির ওয়াজিহা হত্যার পরিকল্পনার দৃশ্যটিও তুলে ধরা হয়েছে। সারাদেশসাবী লাইভ দেখছে এই ভিডিও।

পুলিশ অফিসার তুরহাম খন্দকার ওয়াজিহার থেকে প্রমাণ হিসেবে পেন-ড্রাইভ নেয়। ওয়াজিহা তার দিকে একবার তাকিয়ে স্থান থেকে সরে আসতে চায়।তবে তার পূর্বেই গুলির আঘাতে নিস্তেজ হয়ে পড়ে সে।পুলিশ-প্রেসের সামনেই এই ঘটনা।কি পরিণাম হবে এর!

পুলিশের লোকেরা দ্রুত হসপিটালে এডমিট করে ওয়াজিহাকে।প্রেসের লোকেরা এখনো হসপিটালের বাইরে। তাদের প্রশ্ন একটাই কেন ওয়াজিহা নিজ পরিবারের গোপন রহস্য ফাঁস করলো।আর কেনই বা তারা ওয়াজিহাকে হত্যা করতে চায়!

হার্টের খুব কাছ দিয়ে গুলি গিয়েছে। বাঁচার চান্স খুব কম। ডাক্তাররা দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে ঢুকেছে।ইউশা ইজহান ছুটে এসেছে হসপিটালে।হাতে তার ব্যান্ডেজ।হামলা হয়েছিলো তারও ওপর!তবে কি দুজনের কোনো যোগ সূত্র আছে!

পুরুষ মানুষ নাকি কাঁদে না।তবে ইউশা কাঁদছে। খুব করে কাঁদছে। ভালোবাসার মানুষ ছাড়া অন্য কারো জন্য তাদের অশ্রু তো গড়ায় না।তবে ইউশা কি ওয়াজিহাকে ভালোবাসে!তাও এমনি সেমনি নয় পাগলের মতো ভালোবাসা যাকে বলে!ইউশার কান্নায় চারপাশ ভারী হচ্ছে।পুলিশ অফিসার তুরহাম খন্দকার অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইউশার দিকে। শক্তপোক্ত দেহের সুদর্শন পুরুষটিকে কাঁদতে দেখছে সেও। হসপিটালের অনেকেই বারবার এদিকটায় তাকাচ্ছে।বিরল দৃশ্যের সাক্ষী যে সবাই হতে চায়!

”পিয়াস,আমার বেটা ঠিক হয়ে যাবে তো!”

প্রিতম ওয়াহেদ মির্জার কন্ঠে অবাক নয়নে তাকায় ইউশা ইজহান উরফে পিয়াস।ইউশা জড়িয়ে ধরে প্রিতম ওয়াহেদ মির্জাকে।তারপর কান্না বন্ধ করে শক্ত গলায় বলে,

”বাবাই তোমায় না পুতুল কেবিনেই থাকতে বলেছিলো? তুমি এখানে কি করছো?”

”আমার বেটা যে মৃত্যুর সাথে লড়ছে।আমি কি করে নিজের সুরক্ষার জন্য কেবিনে সুয়ে থেকে কোমায় থাকার অভিনয় করবো বলতে পারিস!”

পুলিশ অফিসার তুরহাম খন্দকার অবাকের ওপর অবাক হচ্ছেন।তিনি প্রিতম ওয়াহেদ মির্জাকে সুস্থ দেখে অবাক হচ্ছেন। কেননা পাঁচদিন আগেই না তার গুরুতর এক্সিডেন্ট হলো!তিনি তো এখন কোমায় থাকার কথা।আর ওনার বেটা আসলো কোথা থেকে! তুরহামের মাথায় শতখানেক প্রশ্ন। উত্তর শূণ্য।

মাস পেরিয়েছে।খান পরিবারের শাস্তি হয়েছে।মির্জা পরিবারের খুনের শাস্তি কেস শেষমেশ সমাপ্ত হয়েছে।তবে জানা যায়নি কে বা কারাই ওয়াজিহাকে গুলি করেছে!প্রিতম ওয়াহেদ মির্জা আজও আশার আলো সাথে নিয়ে মেয়ের রুমে যাচ্ছেন।মেয়েটা যে গভীর নিদ্রায়।কবে তার নিদ্রা ভাঙবে জানেন না প্রিতম ওয়াহেদ মির্জা।

মেয়ের রুমে গিয়ে মেয়ের পাশেই বসেন।আলতো করে হাত বুলিয়ে দেন মেয়ের মাথায়।মেয়েটা যে কি সুন্দর নিজেকে আড়ালে রাখতো তা তো ডক্টরদের কথায় সেদিন বুঝতে পেরেছেন তিনি। অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন সমাপ্তির পর যখন ডক্টর বললো যে মাথার পেছনে গুরতর এক পুরনো আঘাত আছে যা প্রায়ই ওয়াজিহার স্মৃতির সাথে খেলছে। এজন্য এঅপারেশন সাকসেসফুল হলেও বলা যায় না ওয়াজিহার জ্ঞান করে ফিরবে।স্বপ্নকে বাস্তবতা ভেবে সে সারাজীবনের জন্য স্বপ্নের দুনিয়াতেই আটকে থাকতে পারে। অবশ্য ডক্টররা এ ক্ষত ভরার জন্য মেডিসিন দিচ্ছেন।তবে এ মেডিসিন এ ক্ষত ভরতে আদো সম্ভব কিনা তা তারা নিজেরাও জানেন না।

”পা..পাপাই”

ওয়াজিহার কন্ঠ কানে আসতেই প্রিতম ওয়াহেদ মির্জা চোখ মুছে মেয়ের দিকে তাকান।মেয়েটা নিভু নিভু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।প্রিতম ওয়াহেদ দ্রুত ডক্টরকে ফোন দেন।আধা ঘন্টার মাঝেই ওয়াজিহার চিকিৎসা করা মেডিকেল বোর্ড হাজির হয়। ওয়াজিহার চেকআপ করে। খুশির সংবাদ দিয়ে যায়। ওয়াজিহা রিকভার করছে।খুব দ্রুতই হয়তো রিকভারি সম্ভব হবে।

সপ্তাহ পেরিয়েছে ওয়াজিহাও এখন ঘুরে বাড়াচ্ছে।তবে এতে যেন প্রিতম ওয়াহেদ মির্জার দুঃখ কমার পরিবর্তে আরো বেড়েছে।মেয়েটা যে একটা বাচ্চা বনে গেছে।সারাদিন টইটই করে ঘুরে বেড়ানো আর মাম্মাম, পরিবারের সবাইকে খোঁজা। পাশাপাশি পিয়াসকে খোঁজাই যেন ওয়াজিহার একমাত্র কাজ।

পিয়াসকে চিনতেই পারে না।ছেলেটা দুঃখে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে বেহাল দশা।চোখ মুখ রুক্ষতায় ভোরে গেছে।সারাক্ষণ কার্টুন দেখা আর কিচেনে যাওয়ার জন্য বাহানা খোঁজা।একটু সুযোগ পেলেই কিচেনে গিয়ে আবিষ্কারের চেষ্টা।ঐদিন পিয়াস না থাকলে তো আগুন লাগিয়েই ফেলতো বাড়িতে।সব শেষ হয়ে যেতো!

”এই ছেলে এদিকে এসে!”

ওয়াজিহা ড্রয়িংরুমে টিভি দেখতে নিয়ে পিয়াসকে ডাকে।পিয়াস অবাক হয়।মনে মনে খুশিও হয় বটে।তবে ওয়াজিহার সামনে খুশির প্রতিফলন করে না।

”বলো”

”তুমি আমার পিয়ু ভাইকে এনে দিবে!”

”পুতুল কতবার বলবো আমিই তোর পিয়ু ভাই!”

”নিজেকে আয়নায় দেখেছো?আমার পিয়ু ভাই এইটুকুন।আর তুমি কত বড়!”

”তুই নিজেকে আয়নায় দেখ তুইও বড় হয়ে গেছিস!”

”এহহ…যাও তো এখান থেকে।আমার পিয়ু ভাই কোথাও চলে গেলো আমায় রেখে!আমায় তো সাথে নিবে বলেছিলো সে!”

ওয়াজিহার কথায় যতটা না খুশি হয় পিয়াস তার চেয়ে বেশি জেলাস হয় সে। অবশ্য নিজের সাথে নিজের জেলাসি ভাবা যায়!পিয়াস আপন মনেই বলে,

”এই পিয়াস তোর বড় হতে হলো কেন? পুতুলের জন্য ছোট থাকতে পারলি না!নয়তো আজ তো তোকে চিনতো।মেয়েটা তোর প্রতিক্ষায় অপেক্ষারত।আর তুই কিনা বড় হয়ে গেলি!”

পিয়াসের কথায় একটুও যৌক্তিকতা নেই তবে যদি সে একটু শান্তি পায় তার কথায় তাতে দোষের কি!পিয়াস নিজেকে বকে নিজেই শান্তনা নিচ্ছে।তা সেও ভালো মতোই জানে।

পিয়াস চলে যেতেই ওয়াজিহা ভেজা চোখে পিয়াসের চলে যাওয়া দেখে।বিড়বিড় করে কিছু একটা বলে ক্যামেরার দিকে তাকায়।উঠে চলে যায় নিজ রুমে।তারপর নিরুদ্দেশ হয় সেখান থেকে। অন্ধকারাচ্ছন্ন গুপ্ত রাস্তায় প্রবেশ করে।আপন মনেই বলে,

”যতদিন না তাকে খুঁজে পাই ততদিন অব্দি যে আমাকে বাচ্চাদের মতো বিহেভ করতেই হবে।নয়তো তোমাদের জীবনও যে আমি বাঁচাতে পারবো না!আমাকে ক্ষমা করো তোমরা। তাছাড়া পুলিশ যদি জানতে পারে আমি সুস্থ তবে আমি যে তোমাদের সাথে থাকতে পারবো না।তারা গোপন সূত্রে হোক আর যেভাবেই হোক প্রমাণ খুঁজে আমাকে তোমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে গারদে ভরবে খুনের আসামী করে।ভয়াবহ দুইটা খুন যা আমিই করেছিলাম যা তোমরা জানো আমি করিয়েছি তবে নিজে করিনি।”.

”ওয়াজিহা, ওয়াজিহা, ওয়াজিহা আর কতদিন স্মৃতি হারিয়ে বাচ্চা বনে থাকবে তুমি? তাড়াতাড়ি সুস্থ হও!আমাকে খুঁজে বের করো।তবেই না খেলা জমবে।তবে পাবে কি করে খোঁজ? ঘরের শত্রু বিভীষণ জানো তো?”

হাসতে থাকে ওসমান মালেক।প্রিতম ওয়াহেদ মির্জার বিশাল এই সাম্রাজ্যের পতি যে হতে চায় সে।তবে এর জন্য যে ওয়াজিহাকে মরতে হবে! ওয়াজিহা মরলেই যে সে হবে এর পতি। কেননা ওয়াজিহা মরলে একদমই শেষ হয়ে যাবে প্রিতম ওয়াহেদ মির্জা এবং পিয়াস। আচ্ছা, ওয়াজিহা কি আদৌ খুঁজে পাবে এনাকে?নাকি সে বাইরের মানুষদের মাঝে খুঁজতে খুঁজতে হারিয়ে যাবে না ফেরার দেশে!তবে পিয়াস কি নিজ প্রিয়তমাকে এবার বাঁচাতে পারবে এনার থেকে!

সমাপ্ত

বিঃদ্রঃ আসসালামু আলাইকুম পাঠকগণ। অনেকেই হয়তো ভাববেন কেন শেষ করলাম না। মানুষের জীবনে একটার পর একটা ঘটনা ঘটতেই থাকে।আদৌতে তা শেষ হবার নয়। ওয়াজিহার গল্পটা ছিল তার সময়টা ঘিরে।হয়তো অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে।তবে সবার জীবনের সব সত্যি কি আমরা জানি!তেমনি ওয়াজিহাও সেমন এক ব্যক্তি যার জীবনটা রহস্যময়ী যার জীবনকাল অজানা বেশিরভাগের নিকট অর্থাৎ আমাদের নিকট!

পূর্ববর্তী পর্বঃ
https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/932625228459250/?mibextid=2JQ9oc

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here