স্বামী,০৭

স্বামী,০৭
Ariyan Shaiquat.

— আহো ভাতিজা আহো, খেলা হবে।

আমরা সময় ফিক্স করলাম দেখা করার জন্যে। ২ দিন পরে কোনো এক পার্কে।

আমাকে হাসতে দেখে জাহান জিজ্ঞেস করলো,
— এইযে মিষ্টার, কি করতাছেন যে হাসেন?
— লিখিতাছি, তোমার কমোড়ে হাত রাখছি আর তুমি ভয়ে লাফ দিয়ে সরে গেছো, বাসর রাতে।

আমার কথা সুনে জাহান হাসছিলো আবার রাগ ও করছিলো। একটু পরে ঠাস করে এসে ল্যাপ্টপ টা বন্ধ করে দিলো৷ আর আমার শার্টের কলার ধরে বললো,
— এতো দিন রোমাটিক বউ দেখছো আর এখন দেখবা ঝগড়াটে বউ।
— এই Wait তুমি আবার রোমান্টিক ছিলা নাকি?
— মানে এতো দিন যে রোমান্স করলা এটা কার সাথে করছিলা?
— Oh! Hello, রোমান্স করছি আমি আর উপভোগ করছো তুমি। So, Romantic তুমি না আমি।
— কি আমি সুধু উপভোগ করছি?
— হ্যাঁ করছোইতো।
— দারা শশুরের ব্যাটা আজকে দেখাচ্ছি তোকে।

বলেই জাহান দৌড়ে গিয়ে দরজা আটকায় দিলো। আর আমি কিছুটা ভয় নিয়ে দারিয়ে রইলাম। কিন্তু আমার যে কি পরিমানে হাসি পাচ্ছে সেটা আমি একাই জানি ।

চুপ করে দেখছি আর জাহান যা করার করছে। সেটা #তিলক গল্পের মতো কিছু একটা।

সকালে ঘুম ভাংলো জাহান আমার বুকে শুয়ে আছে। আমার চোখ পরলো তার ঠোটে। লিপস্টিক লেপ্টে ছিলো। হ্যা এটার কারন যে আমি সেটা আর বলার কি আছে?

আমি জাহানের ঠোঁটের পাসে লেপ্টে থাকা লিপস্টিক গুলাও খেয়ে নিলাম। জাহানের ঘুম ভেঙ্গে গেলো। আর সে আমাকে দেখে হাসতে লাগলো।

জিজ্ঞেস করলাম,
— কি হইছে?

কিছু না বলেই। কিসস করলো। পরে বুঝতে পারলাম কিসস করে নাই। আমি যেমনে ওর ঠোঁটের লিপস্টিক খাইছি ওও ঠিক একিভানে আমার গুলা খাইছে। মানে আমার ঠোটে লেগে থাকা লিপস্টিক। ফ্রেশ হয়ে বসে আছি। দেখলাম জাহান চুল আচরাচ্ছে আয়নার সামনে বসে।

খেয়াল করলাম তার ঠোঁট লাল হয়ে আছে। জিজ্ঞেস করলাম,
— কি হইছে তোমার ঠোঁট লাল কেনো?
— সম্পুর্ন রাত অত্যাচার করে এখন জিজ্ঞেস কর লাল কেনো?

বুঝতে বাকি রইলো না এর কারন ও আমিই। যাইহোক। জাহান রান্না ঘরে গেছে রান্না করতে আম্মু রান্না ঘর থেকে বের হওয়া মাত্র আমি ঢুকে জাহানের কমোড় ধরা মাত্র। চিৎকার দিতে চাচ্ছিলো। কিন্তু হাত দেখে বুঝে গেছে আর চিটগকার দেয় নাই। বললো,
— ঐ তুমি এখানে কি করো? আম্মু চলে আসবেতো।
— আশুক,,,,,,,,,

বলে পিছনে তাকাতেই দেখি আম্মু আসছে। আমাদের দেখে একটা মুচকি হাশি দিলো। আমি জাহানকে ছেরে দেওয়া মাত্র আম্মু এসে জাহানকে বললো,
— জাহান মা তুমি কাজ করো আমি একটু পাসের বাসা থেকে ঘুরে আশি।

সাথে সাথে আম্মু চলে গেলো আর আমি ঠাই দারিয়ে রইলাম। তার পরে জাহান বললো,
— নাও এখন ধরো। ইজ্জত তো দিলা।
— আরে বাদ দাওতো আব্বু আম্মু কতো রোমান্স করছে।
— মানে?
— কিছু না তোমার অতো জানতে হবে না। এখন ভদ্র মেয়ের মতো পাপ্পি দাও একটা।
— ভদ্র মেয়েরা এসব করে না।
— তাহলে ভদ্র বউয়ের মতো করে দাও।
— আদায় করে নাও৷ আমি দিতে পারবো না।

জাহানের কমরে ধরে গলায় পাপ্পি দিলাম। তার পরে কি যেনো ভেবে আবার চলে আসলাম৷ এসে রুমে শুয়ে আছি। হঠাৎ করেই মেসেজ আসলো।

— ভাই চলেন আজকে সন্ধায় দেখা করি। আসলে আগামীকাল কিছু কাজ আছে৷

আমিতো আরো বেশি খুশি হিয়ে গেলাম। তার পরে আর কি? বিকেলে প্রস্তুত হয়ে বের হলাম। ছেলেটিকে আমি দেখি নাই। পিক দেয় নাই কোনো।

আমি দিছিলাম আমার পিক। আমি দারায় আছি। প্রায় ৬ টা বেজে গেছে এমন সময় একটা কালো ছেলে এসে আমার সামনে দারালো,
— আসসালামু আলাইকুম।
— ওয়ালাইকুম সালাম। ভাই আপনি কে?
— আরে আপনার ফ্যান আমার সাথেইতো দেখা করতে আসছেন।
— ওহ
— আচ্ছা চলেন ভাইয়া বসি এক যায়গায়।

আমি আর সে গেলাম রেস্টুরেন্টে অনেক খানা পিনা কিরে বিল দিতে যাবো তখঞ্জ বললো,
— আরে ভাই আপনি কেনো আমি দিচ্ছি।

আর দিলাম না ইচ্ছে করেই। বিল দেওয়ার পরে ছেলেটিকে নিয়ে বাইরে এসে দারিয়েছি তখনি একটি কালো ভ্যান এসে আমাদের দুইজনকে উঠিয়ে নিয়ে আসলো।………….
To be Continue…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here