স্বামী,০৩

স্বামী,০৩
Ariyan Shaiquat

আমি সত্যি সত্যি জানতে চাই কারা তার সাথে এটা করেছে। তাকে ধর্ষণ করে দিলো? এই কথা টা মনে পরতেই আমার মধ্যে কেমন যেনো একটা রাগ কাজ করে অনেক বেশি।

কিছুক্ষন পরে জাহান মাথা নিচু করেই বলা শুরু করলো,
— আমার যখন ১৭ বছর ইন্টার ১ম বর্ষে পড়ি। তখন একটা ছেলের সাথে বন্ধুত্ব হয়। আমার প্রথম ছেলে বন্ধু ও আমি আমার জীবনে সব চাইতে বেশি বিশ্বাস করতাম ওকে। সবাই বলতো ও খারাপ ছেলে ইত্যাদি কিন্তু আমার সাথে কখনো খারাপ ব্যাবহার করতো না। তাই আমি বিশ্বাস করতাম ওকে। ১ দিন সন্ধ্যার দিকে ফোন দেয় আমাকে। বলে ” দোস্ত আমার এক ফ্রেন্ড পার্টি দিবো৷ তুই নিচে আয়। আমি তোর বাসার নিচে দারায় আছি।” আমিও বেশি কিছু না ভেবে হাল্কা সেজেগুজে বেরিয়ে গেলাম। আমি পৌঁছে দেখি সেখানে কেউ নাই। আমি ওকে জিজ্ঞেস করতে যেই পেছন দিকে ঘুরেছি তখনি দেখি ও দরজা আটকায় দিছে। আমার বুঝতে আর বাকি রইলো না আজকে আমার সাথে খুব খারাপ কিছু হবে। আমি চিৎকার করতে যাবো তখনি একটা রোমাল দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে৷ পরের দিন সকালে ঘুক থেকে উঠে বুঝতে পারলাম আমার সাথে খুব খারাপ কিছু একটা ঘটে গিয়েছে। কাদতে লাগলাম আমি। কিছুক্ষন পরে দেখি একটা চিরকুট পরে আছে আমার পাসে। চিরকুট টা খুলে দেখি তাতে লিখা, ” মজা পাইছু কিন্তু তুই অজ্ঞান না থাকলে আরো বেশি মজা পাইতাম” কাদতে লাগলাম। কিছুক্ষন পরে খুব কষ্ট করে গেটে বাসায় আসি। অনেক বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারি নাই। আর আপনার সাথে এতো বড় ধোকা হয়ে গেলো।

বলেই থেমে গেলো। সে অনেক কান্না করতাছিলো বুঝলাম। তার মুখ বেয়ে অশ্রু গড়ায় পরছিলো নিচ দিকে।

কোত্থেকে কিভাবে জানি না। কিন্তু তখন আমার মধ্যে কিছু একটা হচ্ছিলো। খুব রাগ হচ্ছিলো। জানোয়ারটার উপরে। আর তার সাথে এটাও বুঝতে পারছিলাম৷ আমি জাহানের মায়ায় আটকিয়ে গেছি।

তার অশ্রু গুলা নিচে পরছিলো এটা দেখতে আমার ভালো লাগছিলো না। তাই হাত দিলাম৷ সে আমার দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকালো। আমি একটা হাসি দিয়ে তার হাথটা ধরে বললাম,
— তোমার কোন দোষ নাই। আর হ্যা এইযে এই পানি গুলা আছে আমার হাতে। এদের আর কখনো ঝরতে দেবো না। তোমার চোখের কাজল আর নষ্ট হিবে না। এটা তোমার কাছে কথা দিলাম।

জাহান আমার দিকে ভুত দেখার মতো তাকায় আছে। তার পরে আমি তাকে বললাম,
— আচ্ছা আমি কি ঐ ছেলেটার ছবি দেখতে পারি?
— আমার কাছেতো নাই। আর তাছারা ওকে দিয়ে আপনি কি করবেন?
— সেটা তুমি পরে যেনে নিও। আর একটা কথা যদি আর একবার আপনি বলো তাইলে আমি কান্না করবো। বলে দিলাম।

সাথে সাথে জাহান ফিক করে হেসে ফেললো। আমি তার হাশির মায়ায় আটকায় গেলাম আবারো। তার ডান গালে কি টোল পরলো। আমি হা করে তাকায় ছিলাম।

আর মনে মনে সপথ করে ফেললাম, কোনো ভাবেই জাহানের এই হাসিটা হারাতে দেবো না। এবার যা করতেই হোক। অপর দিকে ঐ ছেলেকে খুজতে হবে। ওর জীবনটা আমি ঝুলায় দেবো। দরকার পরে ডার্ক ওয়েব থেকে গুন্ডা ভারা করবো। কিন্তু ও জীবনে শান্তিতে থাকতে পারবে না। আমি ওকে জাহানের পায়ে এনে ফেলবোই।

জাহান হাসছিলো আর আমি দেখছিলাম। কেনো জানিনা আমি নিজেকে আর আটকাতে পারলাম না তাকে একটা কিসস করে বসলাম।……………..

To be Continue…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here