স্বামী,part,1
Ariyan Shaiquat
— I was raped. [জাহান]
কথা শুনে আমি অবুঝের মতো তাকিয়ে আছি আমার বউয়ের দিকে। আজ বাসর রাতে সে আমাকে বলছে সে ধর্ষিত৷ আমি তার কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেছি। বাস্তবতায় ফিরলাম তার স্পর্সে।
যখন বুঝতে পারলাম সে স্পর্স করেছে নিজের উপরে ঘৃনা হতে লাগলো। আমি আপন মনে আল্লাহকে জিজ্ঞেস করছিলাম।
— কি দোষ করেছি আমি? কোনো মেয়ের দিকেতো তাকাতাম ও না। তাহলে আমার কপালে কেনো এই ধর্ষিত নারী জুটলো?
আমার ভাবনায় ব্যাঘাত ঘটে জাহানের কথায়,
— আমি জানি আপনি নিজের ভাগ্যকে দোষ দিচ্ছেন। আমার স্পর্স আপনার কাছে খুব খারাপ লাগছে। ইত্যাদি আরো অনেক কিছু ঘটছে আপনার মাথায় আমি জানি না৷ কিন্তু বিশ্বাস করেন আমি ইচ্ছে করে কিন্তু ধর্ষনের স্বিকার হইনি। খুব বিস্বস্ত কিছু বন্ধু ছিলো। যারা হয়তো আমাকে তাদের ভোগের বস্তুই ভেবেছিলো। তাই আজ আমি ধর্ষিত।
বলেই মেয়েটা মাথা নিচু করে নিলো। আমি তার গল্প শোনার জন্যে আগ্রহী হয়ে উঠলাম৷ কেনো? কীভাবে? কি জন্যে? কিচ্ছু জানি না সুধু আমার জানতে ইচ্ছে হচ্ছিলো কি হয়েছে তার সাথে। তাকে জিজ্ঞেস করতে যাবো তখন খেয়াল করলাম সে কান্না করছে।
একটা মানুষ যেমনি হোক সে কখনো কোনো মেয়েকে কষ্টে কান্না করতে দেখে কিছু বলতে পারে না। বাক রুদ্ধ হয়ে পরে সে৷ আমিও পারলাম না।
ভাবলাম কিছুটা ফ্রি হতে হবে তার সাথে তার পরে আসতে আসতে জানতে হবে কি হয়েছিলো তার সাথে? কেনো হয়েছিলো? কারা করেছে এই নির্মম কাজটি?
আমি অনেক আগে থেকেই ধর্ষকদের ঘৃনা করি। কেনো সেটা জানি না। কিন্তু আমার তাদের দেখলেও থুথু আসে। আমাদের গ্রামেই ছিলো একজন। সে কোনো একটা এক্সিডেন্টে মারা গেছে৷ তার পরের দিন মসজিদে সবাই মিলাদ পরাইছে। অবস্যই তার জান্নাত না পাওয়ার জন্যে। আচ্ছা যাইহোক,
আমি চুপ করে জাহানকে বললাম।
— প্লিজ কান্না করো না। তুমি ঘুমায় পরো আমারো খুব ঘুম পাচ্ছে আমিও ঘুমাবো৷ তুমি খাটে ঘুমায় পরো আমি ছাদ থেকে হেটে আসছি।
বলে বের হলাম। ছাদে উঠে আকাশ দেখতে দেখতে আর তারাদের সাতগে কথা বলতে বলতে আর আল্লাহর কাছে বিচার দিতে দিতে রাত পার করে দিলাম।
সারা রাত খুব খারাপ লাগছে নিজের ভাগ্যকে দোষ দিয়ে গেছি। কিন্তু যেই ফজর এর আজান দিলো। সাথে সাথে মাথায় একটা অদ্ভুত শান্তি অনুভব করলাম আর অএয়ে গেলাম আমার সকল প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার ধরন।
আমই যদি এখনি জাহানকে জিজ্ঞেস করি। তাহলে তার কাছে খুব খারাপ লাগবে। আর যদি খুব ভালো বন্ধু হয়ে জানতে চাইম তখন বলতেও হবে না সে নিজে নিজেই বলবে। আর আমি সেই জানোয়ার গুলাকে শাস্তি দাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবো৷ যদিও জাহানকে মনে হয়না নিজের স্ত্রী মানতে পারবো। তবুও একটু সাহাজ্য তো করতে পারি৷ আর কিছু নাহোক মানবতার খাতিরেই।
আমি আযান শেষ হওয়ার সাথে সাথে নিচে চলে এলাম। এসে দেখি জাহান নামাজ পরছে। আমার কাছে ভালো লাগলো জিনিসটা। আমি সাথে সাথে ওজু করে মসজিদে চলে গেলাম।
যদিও প্রতিদিন নামাজ পরি না। তবুও আজ কোন এক কারনে নামাজ পরতে যেতে ইচ্ছে হলো। তাই চলে এলাম মসজিদে।
নামাজ পরে এসে দ্বখি জাহান বসে বসে ঝুমুচ্ছে। বুঝতে পারলাম মেয়েটি ঘুমায়নি সারা রাত। কি করে ঘুমাবে? তার জীবনের এতো সুন্দর একটা রাত৷ ধরতে গেলে সবচাইতে বেশি আসা থাকে এ রাতকে নিয়েই। সেই রাতে সে যার সাথে সময় কাটাবে সেই মানুষটি তার সাথে।
হয়তো আমি পারতাম জাহানকে বলতে,
— তোমার অতীত নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই।
কিন্তু আসলেই কি থাকতো না? না, আমার থাকতো দিন দিন জাহানের প্রতি ঘৃনা বেরে যেতো আমার। তার চেয়ে ভালো আমি তার একটা বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করি। পরে যা হবে তা দেখে নেবো।
নামাজ পরে এসে জাহানকে ঝিমুতে দেখে। তার পেছনে একটা বালিশ দিলাম। আমি সোফায় গিয়ে সুয়ে পরলাম, ঘুমাই নি। কিছুক্ষন পরে জাহান পেছন দিকে পরে গেলো। আবার উঠে এদিক ওদিক দেখে আমার দিকে তাকালো। আবার বালিশের দিকে তাকালো। অত:পর একটি মুচকি হাসি দিয়ে গহুমিয়ে পরলো।
যদিও আমার তখনো কিছুটা অস্থির বোধ হচ্ছিলো। কিন্তু হল্ক করে বলতে পারবো জাহানের হাসিটা ছিলো একের হাসি। বারে বারে চোখের সামনে ভাষছিলো। মনের অজান্তেই আমার মুখেও একটা হাসি ফুটে ওঠে।
হঠাৎ করে আবার মনে পরে গেলো তাকে ধর্ষন করা হয়েছে। আমার মুখের হাসিটাও মলিন হয়ে যায় । ………………………
To be Continue….