মনের_অরণ্যে_এলে_তুমি #তাহিরাহ্_ইরাজ #পর্ব_৬ ( প্রথমাংশ )

#মনের_অরণ্যে_এলে_তুমি
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_৬ ( প্রথমাংশ )

” বন্ধুগণ! এই মাত্র আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন মিস ঢঙী শেখ। শীঘ্রই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন উনি। ওনার জন্য জোরে এক হাততালি হয়ে যাক? ”

ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিমায় নিজস্ব অনুভূতি পেশ করলো মিনহা। ওর কথায় পরিহাস স্পষ্ট। তা কি হৃদি বুঝতে সক্ষম হলো? সে হাসিমুখে এগিয়ে গেল মিনহার পানে। ওর এলোকেশ কানের পিঠে গুঁজে ডান হাতে আলিঙ্গন করলো গলা। মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে বললো,

” নিজেকে বড় যে বলে বড় সে নয়
অন্যকে ঢঙী যে বলে ঢঙী সে হয় ”

বিহ্বল হলো মিনহা! মেয়েটা এসব কি বলছে! মিনহা’র সঙ্গীরা মুখ টিপে হাসছে। পারছে না বান্ধবীর ভয়ে সশব্দে হাসতে। হৃদি আস্তে করে মিনহার গলা ছেড়ে মুখোমুখি দাঁড়ালো। হাসিমুখে টানা-টানা স্বরে বললো,

” শুনলে তো ডার্লিং? অ্যাক্চুয়াল ঢঙী ঠিক কে? ”

মিনহা শক্ত কণ্ঠে শুধালো, ” তুই কি আমাকে ঢঙী বলছিস? ”

হৃদি জিভ কেটে নেতিবাচক মাথা নাড়লো। ধীরপায়ে পিছিয়ে গেল কয়েক কদম। পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালো মেয়েটির পানে। প্রাশ্চাত্য সংস্কৃতি হতে অনুপ্রাণিত হয়ে তেমনই আধুনিক পোশাক পরিহিতা মেয়েটি। মুখে কৃত্রিম প্রসাধনীর বেশ চকচকে প্রলেপ। ঢঙী বলাই চলে। হৃদি মৃদু হেসে বললো,

” অন্যকে ঢঙী যে বলে ঢঙী সে হয়। সো আমি কিছুই বলিনি। বরং তুই বলেছিস। তাই বলছি কি ময়না। নিজেকে একবার আয়নায় দেখ। তারপর আমাকে। বুঝতে পারবি কে ঢঙী আর কে নয়। ওকে? ”

মিনহা ওর পানে এগিয়ে এলো। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নয়নে নয়ন স্থির রেখে বললো,

” এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে। হাফ বিয়াইত্তা হয়ে গেছিস। এজন্য খুব ভাব বেড়ে গেছে তাই না? সাপের পাঁচ পা দেখে নিয়েছিস? ”

হৃদি বিস্মিত কণ্ঠে শুধালো,

” ও মা! সাপের পাও আছে? জানা ছিল না তো। অ্যাই তুই জানলি কি করে? স্বচক্ষে দেখেছিস বুঝি? ”

মিনহা ওর মুখের সামনে তর্জনী তাক করে হিসহিসিয়ে বললো,

” একদম কথা ঘুরানোর চেষ্টা করবি না। ”

” ঘোরানো প্যাচানো আমার স্বভাব নয়। তোর। নাউ এক্সকিউজ মি প্লিজ। ক্লাস আছে। ”

কোনোরূপ জবাবের অপেক্ষা না করে নিজ ডিপার্টমেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা হলো হৃদি। কিছুটা পথ অতিক্রম করতেই নাদিরা, দিয়া এবং ইভার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। নাদিরা জিজ্ঞেস করলো,

” ওই মিনহা কি বলছিল রে? ”

ওদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হৃদি দৃষ্টি সীমার বাহিরে চলে গেল। পেছনে রয়ে গেল ক্ষি প্ত মিনহা। হৃদিকে তার দু চোখে সহ্য হয় না। আস্ত এক ঢঙী শেখ।

ইরহাম এবং হৃদির বিয়ে আর মাত্র কিছুদিন পর। বিবাহের আয়োজন পুরোদস্তুর চলমান। শপিং চলছে মনপ্রাণ ঢেলে। সঙ্গী রূপে হৃদি নিজেও রয়েছে। নিজে উপস্থিত থেকে প্রি ওয়েডিং এবং পোস্ট ওয়েডিং ফাংশনের পোশাক নির্বাচন করছে। তেমনিভাবে আজোও শপিংয়ে এসেছে হৃদি এবং তার পরিবার। লেডিস জোনে মা, চাচি এবং বড় বোনের সাথে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের জন্য পোশাক দেখছে মেয়েটা। সেলস্ ম্যান ওর পছন্দমত পোশাক বের করে দেখাচ্ছে। দেখাদেখির এক পর্যায়ে একটি মাস্টার্ড ইয়েলো রঙা পোশাক দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। হৃদি সেলস্ ম্যানকে সেটি দেখাতে বললো। উনি পোশাকটি বের করে ওর সামনে উপস্থাপন করলেন। প্রসন্ন চিত্তে পোশাকে স্পর্শ করলো মেয়েটি। অমনি তাতে বাঁধা পড়লো। ডান পাশে দাঁড়িয়ে ছিল রাঈশা। অসন্তুষ্ট কণ্ঠে বলে উঠলো,

” এসব কি দেখছিস? কেমন ক্ষ্যা ত লাগছে। ভালো জিনিস দেখতে পাচ্ছিস না? ”

মলিন হলো বদন। মিহি স্বরে হৃদি বললো,

” এটা সুন্দর আছে আপু। দেখ। ”

” দেখেছি। হলুদে এখন এসব আওফাও ড্রেস পড়বি? তোর চয়েজ বরাবরই লো ক্লাস। দেখি সর তো। আমাকে দেখতে দে। ”

মনটা বড় খারাপ হয়ে গেল। কালো মেঘে ছেয়ে গেল হৃদয়। ফারহানা এবং নাজরিন কাছাকাছি না থাকায় এসব টেরও পেলেন না। রাঈশা ঘুরে ঘুরে বেশকিছু পোশাক দেখতে লাগলো। তন্মধ্যে নাজরিন একটি পোশাক দেখলেন। সেটি বেশ সুন্দর। হৃদিরও পছন্দ হলো। তবে মনের গহীনে রয়ে গেল মাস্টার্ড ইয়েলো রঙা পোশাকটি। শেষমেষ পছন্দের পোশাকটি আর ক্রয় করা হলো না। অপূর্ণ রয়ে গেল ক্ষুদ্র ইচ্ছেটুকু। আজকের শপিং সমাপ্ত হলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শপিংমল হতে বেরিয়ে এলো মেয়েটি।

রাতের শহর। আলো ঝলমলে পরিবেশ। মানুষজনের উপস্থিতিতে গিজগিজ অবস্থা। তারা সকলে উঠে বসলো উবার এ। পথচলা আরম্ভ হলো। হৃদি মনোনিবেশ করলো মোবাইলে। কখন যে মন খারাপের রেশ মুছে গেল টেরও পেলো না। সে যে এমনই। মন্দ লাগা তাকে বেশিক্ষণ গ্রাস করতে ব্যর্থ।

নিকষকৃষ্ণ রজনী। রাতের ভোজন পর্ব চলছে। নীরবতায় আচ্ছাদিত ডাইনিং রুম। হৃদি বিরস বদনে মা-বাবার পানে তাকালো। অতঃপর খেতে মনোনিবেশ করলো। এ যে নিত্যদিনের চিত্র। চারিদিকে নিস্তব্ধতা। সঙ্গীহীন সে বড় একলা। শুধু টুং টাং প্লেট-চামচের ধ্বনি। যথাসম্ভব দ্রুত ভোজন পর্ব সম্পন্ন করে উঠে পড়লো মেয়েটা। সেথা হতে বেসিনের ধারে অগ্রসর হলো।

কক্ষে এসে হাঁফ ছাড়ল হৃদি। বাতায়ন হতে পর্দা সরিয়ে কক্ষের আলো নিভিয়ে দিলো। বহিরাগত স্বল্প কৃত্রিম আলো প্রবেশ করতে লাগলো অন্দরে। বিছানায় হেডবোর্ডে হেলান দিয়ে বসলো মেয়েটি। ডান পাশ হতে রিমোট নিয়ে টিভি অন করলো। উপভোগ করতে লাগলো রণবীর সিং এর মুভি ‘সিম্বা’। টেরও পেলো না কখন তার মোবাইলে অপরিচিত নম্বর হতে খুদেবার্তা এলো। যাতে রয়েছে ক্ষুদ্র দু’টো বাক্য।

” এখনো সময় আছে। ব্যাক অফ। ”

কে এই অপরিচিত ব্যক্তি? কি তার উদ্দেশ্য? এমনতর খুদে বার্তার পেছনে লুকায়িত রয়েছে কি ভিন্ন কিছু?

আর মাত্র চারদিন। অতঃপর সেই পবিত্র হালাল লগ্ন। এক সুতোয় বাঁধা পড়তে চলেছে দু’জনে। বন্ধু – বান্ধবদের সঙ্গে আজকের দিনটি মনের মতো করে উপভোগ করলো হৃদি। আর তো মাত্র চারদিন। এরপর সিঙ্গেল জীবন সমাপ্ত হয়ে মিঙ্গেলের আগমন। তাই আপাতত দিনগুলো পুরোপুরি উপভোগ করে চলেছে। বিশেষত বন্ধুবান্ধব এবং চাচাতো দুই বোনের সঙ্গে। আজো ঘোরাঘুরি করতে করতে গোধূলি নেমে এলো ধরনীতে। লেডিস ওয়াচ বলছে সময় এখন সাতটা বেজে পনেরো মিনিট। রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে হৃদি। চিন্তিত বদনে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।

” উফ্! কতটা সময় পেরিয়ে গেছে। বাড়ি গেলে আম্মু তো পা’ক্কা ঝাঁ!টাপেটা করবে। কি যে করি? ”

জনশূন্য রাস্তায় ভাবনায় তলিয়ে মেয়েটি। আকস্মিক ভাবনায় ছেদ পড়লো। ঠিক সম্মুখে এসে দাঁড়ালো মেরুন রঙের টয়োটা প্রিমিও। অপ্রত্যাশিত এহেন কাণ্ডে বেশ ভয় পেল মেয়েটা। বক্ষস্থলে হাত রেখে ঘন শ্বাস ফেলতে লাগলো। তন্মধ্যে ঘটলো আরেক কাণ্ড। ড্রাইভিং সিটের পাশের ডোরটি উন্মুক্ত হলো। একের পর এক কাণ্ডে হৃদি দিশেহারা প্রায়। এ কে রে ভাই? হুটহাট গাড়ি নিয়ে উদয় হচ্ছে। আবার দরজাও খুলে দিচ্ছে। পরিচয় তো জানতেই হচ্ছে। হুম। যেই ভাবা সেই কাজ। স্বল্প অবনত হয়ে হৃদি শিকারি চোখে গাড়ির চালকের পানে উঁকি দিলো। ঠিক সে মুহূর্তে চালকের আসনে বসে থাকা মানুষটিও এদিকে অর্থাৎ বাঁয়ে তাকালো। নয়নে নয়ন মিলিয়ে গেল সহসা। হকচকিয়ে গেল মেয়েটি। দ্রুত সোজা হয়ে দাঁড়ালো। এ কি অনাকাঙ্ক্ষিত কাণ্ড! ইনি এখানে কি করছেন! ভাবনার মাঝে কর্ণ কুহরে পৌঁছালো পুরুষালি ভারিক্কি কণ্ঠস্বর,

” গেট ইন দ্যা কার। ”

হৃদি জোরপূর্বক হেসে গাড়ির পাশে দাঁড়ালো। বুঝতে পারছে না ঠিক কোথায় বসবে। সামনেই নাকি পেছনে!

” গাড়িতে উঠতে বলেছি বোধহয়! ”

” জ্ জ্বি জ্বি। ”

ইতস্তত ভাব এক পার্শ্বে রেখে ইরহামের পাশের সিটেই বসলো। বন্ধ করলো কার ডোর। ধীরে ধীরে চলন্ত রূপ ধারণ করলো টয়োটা প্রিমিও টি। হৃদি শুকনো ঢোক গিলে বোকা হাসি উপহার দিলো। মৃদু স্বরে শুধালো,

” আপনি এখানে? কোনো কাজে এসেছিলেন বুঝি? ”

ওপাশ হতে জবাব এলো না।

” বুঝতে পারছি। কাজেই এসেছিলেন। আমিও কাজেই এসেছিলাম। ”

পরক্ষণেই প্রকৃত সত্য প্রকাশ করে বসলো,

” মানে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে। ও-ই আর কি। ক’দিন পর তো বিয়ে। তাই ধুমছে ঘোরাঘুরি করছি। এরপর যদি.. ”

ইরহাম ওর পানে আড়চোখে তাকাতেই মেয়েটা থেমে গেল।

” কিছু না। কিছু না। ”

কয়েক মিনিটের বিরতি। অতঃপর,

” তা ইলেকশনের প্রস্তুতি কেমন চলছে? খবর পেলাম কয়েক মাস পরে নাকি ইলেকশন? ”

ইরহাম এবার পূর্ণ অথচ কেমন অদ্ভুত চাহনিতে তাকালো। তা লক্ষ্য করেও হৃদি নিজের মতো বলে গেল,

” ইলেকশন বলে কথা। ফার্স্ট ক্লাস প্রস্তুতি নেবেন। আপনাকে ই বিজয়ী হিসেবে চাই। বুঝেছেন? কোনো মতে হেরে যাবেন না যেন। ”

কুখ্যাত উপদেষ্টা হৃদি শেখ নিজের মতো করে উপদেশ দিয়ে যাচ্ছে। আকস্মিক থেমে যেতে বাধ্য হলো। কর্ণ কুহরে পৌঁছালো সাবধান বাণী,

” বেশি কথা পছন্দ নয়। ”

হৃদি কেমন দুঃখী চাহনিতে তাকালো। অধরে লেপ্টে থাকা হাসিটুকু মিলিয়ে গেল হাওয়ায়। তার ভাগ্যেই এমন ফুলস্টপ জামাই ছিল! এ যে ঘোর অন্যায় অবিচার। এ অবিচারের বিচার চাইতে আঁধারে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো মেয়েটি। কয়েক মিনিটের নীরবতা। অতঃপর,

” আচ্ছা আপনার গায়ে হলুদ হচ্ছে তো? আপনি ঠিক কেমন আউটফিট নিয়েছেন? আমি তো একটা.. ”

আকস্মিক ব্রেক। থেমে গেল চলন্ত গাড়ি। হৃদি মুখ থুবড়ে পড়তে গিয়েও পড়েনি। সিটবেল্ট না থাকলে যা হয় আর কি। মনে মনে আচ্ছা মতো গা’লমন্দ করে সোজা হয়ে বসলো মেয়েটা। জানালা গলিয়ে বাহিরে তাকাতে লক্ষ্য করলো অ্যাপার্টমেন্ট পৌঁছে গেছে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে গাড়ি হতে নেমে এলো মেয়েটি। পিছু ঘুরে মানুষটির পানে এক পলক তাকিয়ে ভেংচি কেটে প্রস্থান করলো। ধন্যবাদ তো বহু দূরের কথা। ওর গমন পথে শূন্য চাহনিতে তাকিয়ে রইলো ইরহাম। অতঃপর গাড়ি ঘুরিয়ে সেথা হতে চলে গেল।

তমস্র রজনী। অ্যাপার্টমেন্টের ছাদ আজ হলদে আভায় সুসজ্জিত। সকলের আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো একটি কারুকার্য খচিত আকর্ষণীয় দোলনা। বৃহৎ আকৃতির দোলনাটি গাঁদা ফুলের সমারোহে সজ্জিত। অগণিত গাঁদা ফুলের উপস্থিতি যেন দোলনার ব্যাকড্রপ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিছু ঝুলন্ত ফুলের বল দোলনার আকর্ষণ আরো বৃদ্ধি করে দিয়েছে। কমলা রঙে আবৃত দু’টো কুশন স্থান পেয়েছে দোলনায় বসার স্থানে। সকলের মধ্যমণি হয়ে বসে হবু কনে হৃদি। পড়নে তার এমব্রয়ডারিকৃত হলুদ রঙা লং ফ্লারেড আনারকলি পার্টিওয়্যার। দীঘল কালো কেশ উন্মুক্ত হয়ে পৃষ্ঠে ছড়িয়ে। দু কানে শোভা পাচ্ছে পুষ্পের মিলনমেলায় তৈরিকৃত কানের দুল। দু হাতে ব্রেসলেটের ন্যায় জড়িয়ে পুষ্প মালা। গৌর বর্ণের মুখশ্রীতে মানানসই কৃত্রিম প্রসাধনীর ছোঁয়া। অসাধারণ লাগছে দেখতে!

রাঈশা বোনের বাঁ কপোলে হলুদ ছুঁয়ে দিলো। অধরে জোরপূর্বক হাসির রেখা। বিলম্ব না করে সরে গেল সে। এবার হাজির হলো দুই বোন। নীতি এবং নিদিশা। হলুদে রাঙা হলো হবু কনের অবয়ব। মেয়েলী সমস্বরে চলছে গানের শব্দমালা,

‘ গতরে হলুদো লাগাইয়া কন্যারে
সাজাও বধূরো সাজে মিলিয়া
আতরো গোলাপো লাগাইয়া কন্যারে
সাজাও বধূরো সাজে মিলিয়া ‘

বান্ধবীরা দুষ্টুমি করে পুরো মুখ হলদে রঙা করে তুললো। হাসিঠাট্টা আয়োজনে অতিবাহিত হলো কয়েক ঘণ্টা। ঘড়ির কাঁটা তখন এগারোর কাছাকাছি। ফারহানা বাধ্য হয়ে ছাদে এলেন। সাথে নাজরিন। এক ধমকেই আড্ডাখানা ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল। গড়িমসি করে ছাদ হতে নেমে এলো ওরা। সমাপ্ত হলো এক দিন। অপেক্ষা নতুন দিবা। এক নয়া সূচনার।

চলবে.

[ আসসালামু আলাইকুম পাঠকবৃন্দ। হৃ’হাম এর বিবাহে আপনাদের নিমন্ত্রণ রইলো। সকলে উপস্থিত থাকবেন কিন্তু। ধন্যবাদ সবাইকে পাশে থাকার জন্য। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here