সূর্যের_পারিজাত (পর্ব ১০)

#গল্প১৩৮

#সূর্যের_পারিজাত (পর্ব ১০)

১.
সূর্য চিন্তিত মুখে জেল সুপার স্যারের রুমে দাঁড়িয়ে আছে। সাধারণত বড় কোনো ঘটনা না ঘটলে ওনার রুমে ডাক পড়ে না। এই জেল সুপার নতুন এসেছেন, নাম মামুনুর রশীদ। আগে যিনি ছিলেন তার সাথে সূর্যের এক দু’বার কথা হয়েছে। লোকটা ভালো ছিল। কিন্তু এই নতুন জেলার সাহেব যে কেমন কে জানে।

জেলার মামুন মনোযোগ দিয়ে একটা কাগজ দেখছিলেন। কিছুক্ষণ পর মুখ তুলে তাকিয়ে গম্ভীরমুখে বলেন, ‘তুমি আয়ুস্মান আহসান সূর্য?’

সূর্য সম্মতিসূচক মাথা নেড়ে বলে, ‘হ্যাঁ, আমি আয়ুস্মান আহসান সূর্য।’

মামুন স্মিত হাসি হেসে বলে, ‘বাহ, সুন্দর নাম। তোমার জন্য একটা সুখবর আছে।’

সূর্য মনে মনে অবাক হয়, ওর মতো বন্দি মানুষের জন্য আবার কে সুখবর পাঠাল?

সূর্য জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতেই জেলার সাহেব বলেন, ‘আপনার মা যে আপিল করেছিল তার রায় হয়েছে, আপনার শাস্তি দশ বছর কমে গেছে। মানে বুঝেছেন তো, আর মাত্র সাড়ে তিন বছর, তারপরই মুক্তি। অবশ্য আরো আগেই মুক্তি পেতে পারেন। আপনার তো জেল রেকর্ড ভালো, তাতে অনায়াসে শাস্তির মেয়াদ আরো এক বছর কমে যেতে পারে।’

সূর্য অবিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে থাকে, ও কী ভুল শুনছে! হ্যাঁ, মা আপিল করেছিল এটা ও জানত। তাই বলে ওর শাস্তি অর্ধেক হয়ে গেল? একটা আনন্দ টের পায় বুকে, মায়ের মুখটা মনে হয়, সাথে পারিজাতের। মনে মনে বলে, প্রিয় মানুষেরা, আমি আসছি তোমাদের কাছে।

প্রথমেই ও জাহাঙ্গীর ভাইকে খবরটা বলে। জমশের চাচার গতবছরই জামিন হয়ে গেছে, আজ উনি থাকলে খুব খুশি হতেন, লোকটা জেল জীবনের প্রথম থেকেই ওকে স্নেহ করতেন।

জাহাঙ্গীর ভাই সূর্যকে জড়িয়ে ধরে বলে, ‘ভাই খুব খুশির সংবাদ। আপনার দুঃখী মা আপনার পথ চাইয়া বইসা আছে, শীঘ্রই তার অবসান হইব, এর চাইতে খুশির খবর আর আছে। আপনার দারুণ সৌভাগ্য, তাড়াতাড়িই প্রিয় মানুষগুলার কাছে ফিরা যাইবেন।’

হ্যাঁ, ও ফিরে যাবে ওরই প্রিয় মানুষগুলোর কাছে, যাদের মুখ মনে করে এখানে ও বেঁচে ছিল। কিন্তু একটা দুশ্চিন্তাও সেই সাথে ঘিরে ধরে ওকে। এতদিন একটাই চাওয়া ছিল এখান থেকে মুক্তি পাওয়া। আর সেই ব্যাপারটা যখন ওর নিকট ভবিষ্যৎ তখন আরেকটা বড় চিন্তা ওকে গিলে খায়। ও যখন বের হবে ততদিনে ওর সরকারি চাকরিতে আবেদন করার বয়সসীমা শেষ হয়ে যাবে। আর ওর মতো অপরাধী সরকারি চাকরি করতে পারে কিনা ওর জানা নেই। প্রাইভেট কোনো জব যে করবে সেখানেও যদি ওর এই ভুলে থাকতে চাওয়া অতীতটা জানে, তাহলে চাকরিটা হবে না। তখন কী করবে ও? মায়ের দায়িত্বটা নেবে কী করে? আর পারিজাত? ও এখনো বিয়ে না করে ওর জন্যই অপেক্ষা করছে। পারিজাতকেই বা ও কি করে বিয়ে করবে এমন অবস্থায়?

সূর্য অনেক ভেবেও এর কোনো সমাধান খুঁজে পায় না। ওর বার বার মনে হতে থাকে ও বুঝি একটা অন্ধকার কুঠুরি থেকে বের হয়ে আরেকটা অন্ধকারে যাচ্ছে যেখানে ওর পরিচিত পৃথিবীটা অনেকটাই পালটে গেছে।

২.
ধ্রুব একটা কথা ভাবছিল, ইদানীং পারিজাতকে খুব প্রাণচঞ্চল লাগে, আগেরমতো গম্ভীর থাকে না। মেয়েটার হলো কী? তাহলে কী এই মেয়েটাও গতানুগতিক নিয়ম মেনে সময়ের সাথে সাথে সূর্যকে ভুলে গিয়ে নতুন কোনো সম্পর্কে জড়িয়েছে?

এই যখন ভাবছে তখন পারিজাত হাসিমুখে কাছে এসে বসে, তারপর খোঁচা দিয়ে বলে, ‘এই যে, কোথায় ডুব দিয়েছেন, একটু নিশ্বাস নিয়ে নিন, না হলে তো দমবন্ধ হয়ে মরে যাবেন।’

ধ্রুব হাসে, আর মনে মনে অবাক হয়, সেই চুপ করে থাকা মেয়েটা আজ কত উচ্ছল, ও মেলাতেই পারে না। পারিজাতকে হাসতে দেখলে ওর নিজেরও খুব ভালো লাগে, এই ভালো লাগাটার উৎস কোথায় ও আসলে ঠিক জানেনা।

ধ্রুব হেসে বলে, ‘আমি লম্বা দমের মানুষ, এত সহজে মরব না। কিন্তু আপনাকে এত হাসিখুশি দেখাচ্ছে কেন, রহস্য কী?’

দপ করেই পারিজাতের মুখটা কালো হয়ে যায়, সবাই ওর মনমরা মুখটাই স্বাভাবিক ধরে নিয়েছে। অবশ্য অন্যদের তো দোষ নেই। ও যে হাসতে পারে সেটা ও নিজেই ভুলে গিয়েছিল এই ক’টা বছর।

পারিজাত বিষন্ন হেসে বলে, ‘আপনাকে বলা যায়, আপনি তো আমার সব গল্প জানেন। সূর্যের আপিলের রায় হয়েছে, ওর সাজা দশ বছর কমে গেছে। তাই মনটা একটু ভালো থাকে। সূর্যের ভালো মন্দের সাথে আমার মনের পারদটা যে ওঠানামা করে।’

ধ্রুব এবার অনুতপ্ত হয় মনে মনে, ইশ, কেন যে মেয়েটাকে কষ্ট দিতে গেল। এবার ও কৃত্রিম গম্ভীরমুখে বলে, ‘তাহলে মিষ্টি কই? আর আপনি এত বড় একটা খবর এমন চেপে রেখেছেন? আপনার শাস্তি হিসেবে আজ আমাকে পুরান ঢাকার হোটেল রাজ্জাকে পেট চুক্তি খাওয়াতে হবে।’

ধ্রুবর কথা বলার ধরন দেখে পারিজাত হেসে ফেলে, বলে, ‘সে হবে খন। তার আগে আপনি আমাকে একটা কথা বলেন, একটা মোটামুটি সাইজের বুকশপ দিতে কত খরচ হতে পারে?’

ধ্রুব একটু চিন্তা করে বলে, ‘সেটা কোথায় দেবেন তার উপর নির্ভর করে। এসব ক্ষেত্রে এডভ্যানস এর টাকাটাই বেশি, ভালো জায়গা হলে পঞ্চাশ লাখ টাকাও লেগে যেতে পারে। তবে আপনি চাইলে আমি সাহায্য করতে পারি, মানে আমার পরিচিত একজন আছেন, নামমাত্র এডভ্যান্সে শাহবাগে দোকান ম্যানেজ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি বুকশপ দিয়ে কী করবেন?’

পারিজাত ঠোঁট কামড়ে বলে, ‘বলব আপনাকে সব। আমি একটা অনলাইন বুকশপ চালু করেছি, অনেকে সরাসরি কিনে নিতে চায়, সেজন্যই একটা বুকশপ দরকার।’

ধ্রুব চোখ কপালে তোলে, ‘আপনি এই কলেজ করে, প্রাইভেট ব্যাচ পড়িয়ে বুকশপে বসার সময় পাবেন কখন?’

পারিজাত নরম একটা হাসি হাসে, তারপর বলে, ‘সূর্য বসবে।’

এবার ধ্রুবর কাছে পুরো ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে যায়। মেয়েটা কেন এতগুলো ব্যাচ পড়ায়। সূর্যের জন্য কিছু একটা করার চিন্তা থেকেই এত কষ্ট করছে। ধ্রুব ভাবে, মানুষ মানুষকে এতটা ভালোবাসতে পারে? মনে মনে আবারও পারিজাতের প্রতি ওর শ্রদ্ধাটা বেড়ে যায়।

ধ্রুব আশ্বাসের সুরে বলে, ‘আপনি একটুও ভাববেন না, সূর্য ওঠার আগেই বুকশপ উঠে যাবে।’

পারিজাত জোরে হেসে ফেলে, এই ধ্রুব ছেলেটা এত মজা করে কথা বলে, না হেসে পারা যায় না। একটা জিনিস ভালো লাগে, অন্তত একজন মানুষ তো ওকে সাহায্য করতে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পরিচিত বন্ধু, আত্মীয়রা তো দূরেই সরে গেছে, আর ও নিজেও চায় না ওদের মুখোমুখি হতে।

সেদিনের পর থেকে পারিজাত নতুন বুকশপের স্বপ্ন সফল করতে মাঠে নেমে পড়ে।

৩.
আজ সূর্যের শেষ দিন এই জেলে। আজ ওকে হুমায়ুন ভাই ছুটিই দিয়েছে, কোনো কাজ রাখেনি। এই লোকটার কাছে ও কৃতজ্ঞ, সেদিন সেই বাংলা টাইপ করতে গিয়েই তো ও লেখালেখির সুযোগটা পেল। সূর্য আন্তরিক ভাবে বলে, ‘হুমায়ুন ভাই, আপনার কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ, আপনার জন্যই আমি আমার লেখালেখিটা করতে পেরেছি।’

হুমায়ুন মনে মনে একটু সংকুচিত হয়, ওর গল্প যে চুরি করে ও পোস্ট করত আর সেটা যে পারিজাত জেনে ফেলেছিল এটা এই ছেলেটা জানলে ওকে সারাজীবন ঘৃণা করবে। হুমায়ুন অবশ্য সেদিনের পর আর কোনো পর্ব পোস্ট করেনি। হুমায়ুন শুকনো মুখে বলে, ‘আচ্ছা, ঠিক আছে। তবে তোমার লেখা খুব ভালো। আমি লেখাগুলা তোমাকে মেইল করে দেব, তোমার মেইল এড্রেস দিয়ে যেও।’

সূর্যের মনটা কৃতজ্ঞতায় ভরে যায়। আজ সবাইকেই খুব ভালো লাগছে ওর। হাঁটতে হাঁটতে সূর্য সেই মান্দার গাছটার কাছে এসে দাঁড়ায়, একটা মায়া নিয়ে গাছটার দিকে তাকিয়ে থাকে। এই ক’টা বছর এই গাছটাই ওকে পারিজাতের কথা মনে করিয়ে দিত। ফিসফিস করে বলে, ‘তোমার কাছ থেকে পারিজাতকে ধার করে চলেছি এতদিন, আজ আমি আমার সত্যিকারের পারিজাতের কাছে চলে যাচ্ছি। তুমি মন খারাপ করবে না তো?’

রাতের বেলা সূর্য মন খারাপ করে জাহাঙ্গীর ভাইয়ের পাশে বসে থাকে। এই লোকটা এই বন্দি জীবনের পুরোটা সময় ওর পাশে থেকেছে। ওর শাস্তি হাসিমুখে নিজের কাঁধে নিয়েছে। এখানে এসে এমন একটা মানুষের দেখা পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। সূর্য আবেগতাড়িত গলায় বলে, ‘জাহাঙ্গীর ভাই, কোনোদিন আপনার কোনো কাজে লাগলে আমাকে বলবেন। আমি নিয়মিত আপনার খোঁজ রাখব।’

জাহাঙ্গীরের মনটাও আজ খারাপ লাগছে, এই ছেলেটাকে খুব ভালো লাগত, মনে হতো ও যা পারেনি সূর্য তাই পেরেছিল। ধরা গলায় বলে, ‘যদি পারেন, আমার দেশের বাড়িতে আমার বোনটার কবর একটু জিয়ারত কইরেন। আপনার মতো পূণ্যবান মানুষের দোয়া পাইলে আমার বোনটার আত্মা খুশি হইব।’

সূর্যের চোখে পানি চলে আসে, একটা হাত চেপে ধরে বলে, ‘জাহাঙ্গির ভাই, আমি অবশ্যই যাব আপনার দেশের বাড়ি।’

সেদিন রাতে সূর্যের ঘুম আসে না, একটা ছটফটানি নিয়ে সারারাতই জেগে থাকে। শেষ রাতে ঘুম আসে, স্বপ্ন দেখে ও জেলগেট দিয়ে বের হয়েছে। কিন্তু মা আর পারিজাত ওকে দেখেই দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। ও পিছু পিছু ছুটছে, আর ওরা আরো দৌড়ে দূরে সরে যাচ্ছে। কারা যেন বলছে, ও খুনী।

ঘুমটা ভাঙতেই সূর্য মন খারাপ করে বসে থাকে, আচ্ছা, মা আর পারিজাত কি ওর খুনী পরিচয়টা কোনোদিন মন থেকে সরাতে পারবে? মনের অজান্তে ওরা কি ওকে আগেরমতো আপন করে নেবে? ভাবনাটা ভাবতেই একটা অজানা ভয় ওকে ঘিরে ধরে।

৪.
পারিজাত মেহেরুন্নেসার হাত ধরে জেলগেটে দাঁড়িয়ে আছে। দুপুর পেরিয়ে গেছে অনেকক্ষণ, এতক্ষণে চলে আসার কথা সূর্যের। আজ মাকে বলেছে ফিরতে দেরি হবে, কলেজের অনুষ্ঠান আছে। মা বলেছিলেন গাড়ি নিয়ে যেতে, ও না করেছে, বলেছিল ধ্রুব পৌঁছে দেবে। তাতে অবশ্য মা খুশিই হয়েছে, ধ্রুবর ব্যাপারে মায়ের কোনো আপত্তি নেই। পারিজাত একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে, এত বছর পরও মা আশা ছাড়েনি। ধ্রুবকে বলেছিল ওর সাথে আসতে, কিন্তু আজ ছেলেটা একটা অদ্ভুত কথা বলেছে, ‘আজ সূর্য উঠবে, তার আলোয় যে সব তারা ঢেকে যাবে।’

পারিজাত ভ্রু কুঁচকে বলেছিল, ‘মানে?’

ধ্রুব উদাস হয়ে বলেছিল, ‘ধ্রুবতারার মতো সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাও দিনের সূর্যের আলোয় হারিয়ে যায়। আপনি আজ একাই যান, সেটাই সবদিক দিয়ে ভালো।’

পারিজাত বুঝতে পারে ধ্রুবর লুকানো ব্যথাটা। তবে ধ্রুবকে সাথে নিয়ে আসাটা আসলেই ঠিক হতো না। যদিও ছেলেটা অনেক সাহায্য করেছে নতুন বুকশপটা করতে।

হঠাৎ একটা শব্দ হতেই পারিজাত চোখ তুলে তাকায়, দেখে একটা লম্বা, শীর্ণকায় ছেলে, বের হয়ে আসছে। চোখে রোদ পড়াতে পারিজাত হাত দিয়ে ঢেকে চোখ কুঁচকে তাকাতেই বুঝতে পারে এটা সূর্য! বিকেলের শেষ সূর্যের আলো গায়ে মেখে ওর সূর্য বের হয়ে আসছে। ওর এতদিনের মেঘে ঢাকা আকাশে আজ থেকে সূর্য উদিত, উজ্জ্বল।

মেহেরুন্নেসা ততক্ষণে দৌড়ে গিয়ে ছেলেকে জড়িয়ে ধরেছেন, হাউমাউ করে কাঁদছেন। সারা গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলছেন, ‘আমার সূর্য, আমার সূর্য।’

পারিজাতের চোখটা ভিজে গেছে, বুকের ভেতর তিরতির করে কাঁপছে, খুব ইচ্ছে করছে সূর্যকে পাগলের মতো জড়িয়ে ধরতে, বুকের ভেতর লুকিয়ে যেতে। এতদিনের জমানো সব কষ্ট ওকে দিয়ে শান্তিতে ওর বুকে লুকিয়ে থাকতে।

মেহেরুন্নেসা এবার একটু স্বাভাবিক হয়ে ভাঙা গলায় ডাকে, ‘তুই কাছে আয়, এই দেখ সূর্য এসেছে।’

পারিজাত ধীর পায়ে কাছে এসে দাঁড়ায়। সূর্য পূর্ণ চোখে ওর মুখটার দিকে তাকায়, কতদিন পর এই প্রিয় মুখটা কাছ থেকে দেখল। সেই চেনা একটা মায়া লেগে আছে ওর মুখে। পারিজাত ওকে ভালোবাসে, আজও। সূর্য এক হাতে পারিজাতকে আলতো করে ধরে, নরম মায়ার গলায় বলে, ‘পারিজাত, তোমার সূর্য তোমাকে ছুঁয়ে দিয়েছে!’

পারিজাতের চোখে জল আর বাধা মানে না, শরীরটা কেঁপে কেঁপে উঠতে থাকে। ইচ্ছে করছে পারিজাত ফুলের মতোই সূর্যের ছোঁয়ায় ওর বুকে ঝরে পড়তে। ও যে সূর্যের পারিজাত, সূর্যের জন্যই ওর ফোটা।

সূর্য তার প্রিয় দু’জন মানুষকে দু’হাতে ধরে সামনে এগোতে থাকে, মুক্ত পৃথিবীতে। ভোরের সেই স্বপ্নটা মিথ্যে। ওর প্রিয় মানুষেরা আগের মতোই আছে, ওকে রেখে কখনো পালিয়ে যায়নি। ওদের স্পর্শে ও একটা গভীর মায়া টের পায়। মুক্ত এই পৃথিবীটা আসলেই সুন্দর, অনেক মায়াময়।

**গল্পটা এখানে শেষ হতে পারত, সূর্য আর পারিজাতের কষ্টের দিন শেষে নতুন পথ চলা শুরু। কিন্তু গল্পের আরো কিছু দাবি এখনো মেটেনি।

মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস
শিমুলতলী, গাজীপুর
০৩/০৩/২০২২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here