#পূর্নিমার_চাঁদ_জানে_তুমি_আমার
#লেখনীতে:মাইশা চৌধুরী
Part 5
রেহান ভাইকে দেখি কোথাও থেকে আসছেন।আজব লোক এভাবে কই যায় হঠাৎ হঠাৎ করে।
রেহান ভাইয়ের সাথে কেউ একজন আছে।সে কে দেখিতো।একটু পরই রেহান ভাই এসে সবার উদ্দেশ্যে বললেন,,
“মিট মাই ফ্রেন্ড আদ্রিয়ান।”
আদ্রিয়ান দেখতে মাশাল্লাহ। গায়ের রং ফর্সা।চুলগুলো ইউনিক ভাবে কাটা যেটা অসম্ভব সুন্দর ভাবে মানিয়েছে ওকে।ব্লু জিন্স হোয়াইট গেঞ্জির সাথে এ্যাস কালারের জ্যাকেট পরা।বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত সকল মেয়েই ক্রাশ খেয়ে গেছে একবার দেখে।
আদ্রিয়ানের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে রেহান ভাইয়ের চোখ যায় নিধির উপর।ওর এই অবস্থা দেখে রেহান ভাই ব্যাকুল হয়ে উঠে।পারলে নিধিকে বুকের মধ্যে লুকিয়ে রাখবে এমন ভাবে গিয়ে জরিয়ে ধরে।আমার একটু খারাপ লাগলো। আমি ওখান থেকে চলে এলাম রুমে।ভিষন মন খারাপ লাগছে।
হঠাৎ রুমের লাইট অফ হয়ে গেলো। আমার একটুও ভয় করছে না কারন এ কয়েকদিনে আমি এটা বুঝে গেছি যে এমনটা হলেই মিস্টার ভুত বসে।
কারর অস্তিত্ব টের পাচ্ছিলাম রুমে তবুও চুপ করে নিরবে কান্না করে যাচ্ছি।
“কাদছো কেনো সারা? তুমি কি নিধির এই অবস্থা দেখে খুশি হওনি?”
“না সেটা না তবে রেহান ভাই ”
বলেই আবারো চুপ করে রইলাম।তখন সে বলল,,
“মরিচিকার পিছে ছুটছো তুমি সারা। ভেবে দেখো তুমি কি সত্যি এই রেহান কে ভালোবাসো যে তোমার সাথে কখনো ভালো করে দু’টো কথাও বলেনি।”
“মানে কি বলতে চাইছেন আপনি?”
“যা ভাবছো তাই বলছি আমি।আমি তোমাকে ভালোবাসি সারা আজ থেকে ৯মাস আগে থেকে। ভালোবাসি তোমায়।তাই তোমার কোনো কষ্ট আমি দেখতে পারিনা। তোমার চোখে পানি এলে আমার বুকে র/ক্ত/ক্ষ/রণ হয়।আমি চাইলেই পারি তোমার সামনে আসতে তোমার বাবা মার কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যেতে। কিন্তু সেটা করছিনা আমি।অপেক্ষায় আছি সেদিনের যেদিন তুমি নিজে আমায় ভালোবাসবে।আমার ভালোবাসার কথা শুনে বা তোমার জন্য কি কি করেছি আমি এসব শুনে কৃতজ্ঞতার খাতিরে আমাকে ভালোবাসবে এমনটা চাইনা।”
“আমাকে ভালোবাসেন মানে?কে আপনি? ”
“সেটা তোমার দায়িত্ব আমি কে এটা খুজে নেওয়ার।”
“কিন্তু …”””
আর কিছু বলার আগেই আমার মনে হলো উনি চলে গেলেন।লাইট জ্বলে উঠলো।আমি বেশ অবাক হয়ে ভাবতে লাগলাম কি বলে গেলো মিস্টার ভুত।
_________________________________
পরেরদিন বেশ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম।। কেউই তেমন উঠেনি বোঝা যাচ্ছে। আমি হাটতে হাটতে রিসোর্টের বাহিরে গেলাম যায়গাটা বেশ সুন্দর পাশেই সুইমিং পুল। পুলের সাইডে বসার জন্য ব্যবস্থাও রয়েছে।আমি সবটা দেখছিলাম। হঠাৎ এমন শব্দ হলো যেনো পানিতে কিছু পড়লো।তাকিয়ে কেউ সাতার কাটছে।এই ঠান্ডায়।এতো সকালে এই ঠান্ডা পানিতে কে সুইমিং করছে। কে এটা দেখার জন্য তাকিয়ে থাকলাম।
একটুপর সুইমিং পুল থেকে উঠে এলো আদ্রিয়ান।পরনে শুধু থ্রি কোয়াটার প্যান্ট।আমি হা করে তাকিয়ে আছি।পরে নিজেকে কেমন লুচি লাগলো একটা ছেলের দিকে এভাবে তাকিয়ে আছি দেখে।তারাতাড়ি চোখ সরিয়ে নিলাম।ততক্ষণে উনি আমার কাছে এলেন।
“এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছো আমার নজর লাগলে কি হবে?”
“মমানে কি?আমমি তো ঘুরছিলাম”
“আমার দিকে তাকিয়ে ছিলে তুমি আমি দেখেছি”
বলে উনি মাথা মুছতে মুছতে চলে গেলো।
আজব লোক এমন করলো কেন?
আমি চলে এলাম রুমে হুদাই সকাল সকাল এই লোকের সাথে দেখা হলো।রুমে এসে দেখি রেহান ভাই আমার রুমে বসে আছে।আমাকে দেখেই বলল,,
“এতো সকাল সকাল কই গিয়েছিলি সারা?”
“হাটতে”
“তাহলে এভাবে দৌড়ে এলি কেনো?”
“কই?”
“আমি চোখে কানা নই।”
বলে রেহান ভাই হনহন করে রুমের বাহিরে চলে গেলো।রেহান ভাই যেতেই মুখোমুখি হলো আদ্রিয়ানের সাথে।। আদ্রিয়ান এক হাসি দিয়ে রুমে গেলো নিজের।
আমি দরজা লক করে দিলাম।সকাল সকল কি এক কাহীনি হলো বাবারে বাবা।
চলবে…!!