ওগো_প্রণয়ের_নিমন্ত্রণ🌼 #লেখিকা:-Nowshin Nishi Chowdhury #৭ম_পর্ব

#ওগো_প্রণয়ের_নিমন্ত্রণ🌼

#লেখিকা:-Nowshin Nishi Chowdhury

#৭ম_পর্ব

ফ্ল্যাশব্যাক____________

সেদিন কফি শপ থেকে ফালাক বের হওয়ার পর ফালাকের ফোনে একটা মেসেজ আসে। মেসেজটা ওপেন করতেই চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠলো একটি পরিচিত নামের নেমপ্লেট।

ডা. মাইশা মাশহুকা চৌধুরী।
এমবিবিএস (নিউরোসার্জন)
ব্রেইন, নার্ভ, স্পাইন রোগ বিশেষজ্ঞ।

নামটা মনে মনে উচ্চারণ করে সারা শরীর যেন অবশ হয়ে আসতে চাইলো ফালাকের। অতিরিক্ত আনন্দ, খুশি এবং উত্তেজনায় প্রায় বেহুশের মতো ড্রাইভিং সিটে শরীর এলিয়ে দিয়ে বসেছিল সে। একবার ঘাড় বাঁকিয়ে তাকালো রাস্তার ওপারে কৃষ্ণচূড়া গাছের দিকে।

মনের মধ্যে চেপে রাখা ভালোবাসা পাওয়ার জন্য সকল আকুতি আর না পাওয়ার কষ্ট যন্ত্রণা ভেতর থেকে বেরিয়ে আসলো চোখের অশ্রুর মাধ্যমে। পুরুষ মানুষদের কাঁদতে হয় না। কিন্তু অতিরিক্ত সুখ বা দুঃখ কোনটাই তাদের সহ্য হয় না। যত বড়ই শক্তপোক্ত মনের মানুষ হোক না কেন। হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে বাচ্চাদের মতো।

সোজা হয়ে বসে, ফটোটা বারবার জুম করে দেখতে লাগলো সে। তার যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। আসলে দীর্ঘদিন নিরাশ হতে হতে যখন সত্যিকারের আশার আলো দেখা যায় তখন তাকেও প্রথমে কৃত্রিম আলো ও মনে হয়।

ফটোটা বুকের সাথে চেপে ধরে এবার হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো ফালাক। ফোনটা মুখের কাছে এলে ছবিটাতে অজস্র চুমোয় ভরিয়ে দিল।

হারিয়ে যাওয়া প্রিয় খেলনা খুঁজে পেলে বাচ্চারা যেভাবে তাকে বুকের সাথে চেপে ধরে পাগলামো করে , ঠিক তেমনটাই করছে ফালাক।

সত্যিকারের ভালোবাসা গুলো কখনোই দূরত্ব ও সময়ের ব্যবধানে হারিয়ে যায় না। বরং দূরত্ব ভালোবাসাকে প্রগাঢ় করে , আর সময় মানুষকে ওই প্রগাঢ় ভালোবাসাকে উপলব্ধি করতে শেখায়।

তখনই হাতের মধ্যে বেজে উঠলো ফালাকের ফোনটা। মিরা ফোন দিয়েছে। স্ক্রিনের মীরার নাম্বারটা দেখতে পেয়ে তৎক্ষণাৎ রিসিভ করল ফালাক। অপর পাশ থেকে মেয়েরা হেসে উত্তর দিল।

— খবরদার আমি কিন্তু তোমার বউয়ের ছবি এখন দিতে পারবো না। তাই অনুরোধ বা আবদার কোনটাই কিন্তু শুনবো না। একেবারে লাইভ দেখবে। অনেক কষ্টে তোমার বউয়ের ঠিকানা জোগাড় করেছি।

এদিকে মীরার কথাগুলো ফালাকের কানে বাজছে।আর ফালাক কাঠের পুতুলের মত বসে থেকে মীরার কথা শুনছে। আনন্দে যেন বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছে ফালাক। চোখ দিয়ে অশ্রু বন্যা হচ্ছে।

মীরা ফালাকের অবস্থা বুঝতে পেরে হেসে বলল,

— কি হলো একেবারে চুপ মেরে গেলে কেন ডাক্তার ফালাক শাহতাজ খান? এরকম দুর্বল হয়ে পড়লে তো চলবে না বরং নিজের মধ্যে শক্তি সঞ্চার করো। বউয়ের মান ভাঙ্গাতে হবে তো। তোমার পিচ্চি বউটা যে বড্ড অভিমান করে বসে আছে তোমার উপর।

ফালাক ডান হাতের তালু দিয়ে মুখ মুছে ভেজা গলায় বলল,

— শুধু একটা কথা বল , আমার পিচ্চি বউটা কি দেখতে সেই আগের মতই আছে ? এখনো কি রাগ হলে গাল ফুলায়,রাগ হলে কামড় খামচি দেয়?
হাসলে কি তার সাথে চোখ গুলো হেসে ওঠে, এখনো কি তেমন গোলুমোলু বাচ্চা বৌটাই আছে?

মীরা চুপচাপ ফালাকের পাগলামো গুলো শুনলো। কন্ঠটা এবার যেন কিছুটা দমে আসলো। হাসি খুশি কণ্ঠস্বরটা কিছুটা মলিন হয়ে জবাব দিল মীরা,

— সবাই কী আর সব সময় একই রকম থাকে ভাই। সময়ের সাথে সাথে মানুষ পরিবর্তনশীল। এটাই পৃথিবীর ধর্ম। তোমার বউয়ের ও বেশ পরিবর্তন হয়েছে।

কিন্তু আমার মনে হল এই পরিবর্তনটা শুধু এই বাইরের মানুষদের জন্য। আপন মানুষের সান্নিধ্য পেলে নিশ্চয় তোমার বউয়ের সেই পাগলামি, বাচ্চামো গুলো আবার বেরিয়ে আসবে।

বড্ড কষ্ট দিয়ে ফেলেছিলে তুমি তোমার বউকে। সেই কষ্টের ভারে কাঠিন্যতা ধারণ করেছে তার বাইরের খোলস। সেই খোলস কিন্তু তোমাকেই ভাঙতে হবে।

ফালাক সিটে মাথায় এলিয়ে দিলো। ভেজা চোখ জোড়ার সাথে গলাটাও ভিজে উঠল তার,

— আমি পারবো তো মিরা?

— অসম্ভব নয়।

তবে মজার ব্যাপার কি জানো তোমার পাগল বৌটা কিন্তু আমাকে চিনতে পারলো না। তার হতে হতে না হওয়া সতীনটাকে সে চিনতে পারলো না।ভাবা যায়।কী আছাড়টা না খাইয়েছিল আমাকে তোমার ওই দুষ্টু
বউটা। তোমার পেছন পেছন ঘুরেছিলাম বলে।

অশ্রু পূর্ণ চোখে হেসে উঠল ফালাক। বেশ আনমনা হয়ে বলল,

— পাগলী একটা।

_______🤎______

আকাশ জুড়ে আষাঢ়ে মেঘের মেলা। দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ ভার হয়ে আছে গোধূলি লগ্ন থেকে। যেকোনো মুহূর্তে ভূপৃষ্ঠ স্পর্শ করবে বারিধারা।

জোহরা মেডিকেলের নিজের কেবিনে বসে আছে মাইশা।আজ রোগীর চাপ অনেক বেশি। তার উপর একটা সার্জারি ছিল আজকে। সার্জারি শেষ করতে চারটা বেশি বেজে গিয়েছিল। তাড়াতাড়ি করে কোন রকমে অল্প করে খেয়ে দেয়ে পাঁচটা থেকে রোগী দেখতে বসেছে আর এখন রাত ১১ টা বাজতে চলল।

মাইসার কেবিলটা বেশ খোলামেলা। দু’পাশে বড় করে জানালা দেওয়া আছে। কাজের ফাঁকে মাইশা একবার বাইরে তাকালো দেখল ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছে। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে । মাঝে মাঝে থেমে যাচ্ছে কিছুক্ষণ পর আবার শুরু হচ্ছে বৃষ্টি।

জানালা থেকে নজর সরিয়ে সামনের পেশেন্টের দিকে তাকালো। একজন মাঝ বয়সী ভদ্রমহিলা তার ছেলেকে নিয়ে এসেছেন। ভদ্র মহিলার চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে ছেলের উপরে বেজায় ক্ষেপে আছেন তিনি।

ভদ্রমহিলা একনাগাড়ে ছেলের সমস্ত দুষ্টুমি গুলো গড়গড় করে বলে যাচ্ছেন। সারাদিন কম্পিউটার ইউজ করে, মোবাইলে গেমস খেলে। আর সারাদিন বলে মাথা যন্ত্রণা করছে।

মাকে এভাবে নালিশ করতে দেখে ছেলেটা মুখটা প্যাঁচার মতো করে চুপচাপ চেয়ারে বসে আছে মাথা নিচু করে।তা দেখে মাইশার বড্ড হাসি পেল।

হাতে থাকা বাবুটার প্রয়োজনীয় ইন্টারনাল রিপোর্ট গুলোতে চোখ বুলিয়ে তার মাকে বলল,

— দুশ্চিন্তার কিছু নেই। রিপোর্ট আলহামদুলিল্লাহ ভালোই এসেছে। সবকিছুই ঠিকঠাক।

মাইশার কথা শুনে ছোট ছেলেটাও মাইসার দিকে তাকালো। মুখে মিষ্টি হাসি। মাইসাও ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বলল,

— শুধু কম্পিউটার মোবাইলে গেমস খেলা যাবে না। একেবারে নিষেধ করছি না কিন্তু খুব কম পরিমাণে খেলতে পারবে। সব সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না।

তারপর বাচ্চাটার মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল কিছু মেডিসিন দিচ্ছি ওর নার্ভ ঠান্ডা রাখার জন্য। ও কিন্তু একটু বেশি ঘুমাবে। ইনশাল্লাহ মেডিসিন প্রোপার ভাবে মেইনটেইন করলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

মাইশা প্রেসক্রিপশনটা মহিলার দিকে এগিয়ে দিয়ে মিষ্টি হেসে বলল,

— আর বাহিরের চকলেট, চিপস ,কোলড্রিংস, জাঙ্ক ফুড এগুলো একদম খাওয়া চলবে না।

ছেলেটার মুখটা আবার ভার হয়ে গেল। মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব বড় বিপদে পড়ে গেছে সে।

________🤎________

ঘড়িতে ১১ টা ১০ বাজে। টেবিলে থাকা কলিংবেল চেপে রিসিপশনেস্টকে ডাকলো মাইশা। রাতুল দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করল।

ক্লান্তিমাখা চোখে রাতুলের দিকে তাকিয়ে মাইসা বলল,

— বাহিরে কি আর কেউ আছে?

রাতুল স্মিতো হেসে মাথা নাড়িয়ে বলল,

— না আপু।আজকে সিডিউলে যাদের যাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। তাদের সবাইকে দেখা হয়ে গেছে আপু।

মাইসা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,

— ওকেহ।তাহলে আমি এবার বাসায় যাবো।

— কিন্তু আপু বাইরে তো ওয়েদারের অবস্থা খুব খারাপ। ভারী বৃষ্টির সাথে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। এ অবস্থায় কি আপনার যাওয়া ঠিক হবে?

মাইশা ক্লান্তিমাখা চোখে চেয়ে বলল,

— সমস্যা নেই রাতুল। তাছাড়া আমার সাথে ড্রাইভার আছে। আজ আর আমি গাড়ি নিজের ড্রাইভ করবো না।যেহেতু নাইট শিফট করছি না সেহেতু হাসপাতালে থেকে ঘুম নষ্ট করার কোন দরকার নেই। তাছাড়া আমি খুব ক্লান্ত।

কথাগুলো শেষ করে নিজের ক্যারিব্যাগ ও সেলফোনটা হাতে তুলে নিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো মাইশা। নিজের কেবিন থেকে বেরোনোর পর রাতুল কেবিনটাকে লক করে চাবিটা মাইশাকে দিয়ে দিল।

দু’ঘণ্টা ধরে ভারী বর্ষণের কারণে রাস্তায় পানি জমে গেছে। এখনো বেশ জোরেই পরছে বৃষ্টি। বৃষ্টির তোড়ে গাড়ির কাঁচগুলো বার বার ধোঁয়াশা হয়ে যাচ্ছে।

মাইশা এক দৃষ্টিতে বাইরের পানে তাকিয়ে আছে। মনে মনে ভাবছে এই বৃষ্টিটা একসময় তার খুব প্রিয় ছিল। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও ভেজার সুযোগ ছিল না। আর এখন ভেজার সুযোগ থাকলেও বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছা করে না।

তখনই বেশ জোরে এক বজ্রপাত হলো। বেশ চমকে উঠলো মাইশা। ড্রাইভার গাড়ি ড্রাইভ করতে করতে পেছনে ফিরে মাইসার উদ্দেশ্যে বললো,

— আশেপাশেই বাজ পড়লো মনে হয়। সমস্যা নেই ম্যাডাম আমাদের আর পৌঁছাতে বেশি সময় লাগবে না।

প্রায় দশ মিনিট পর,

ড্রাইভার মাইসার অ্যাপার্টমেন্টের সামনে গাড়ি পার্ক করলো। মাইশা নেমে দেখল পুরো বিল্ডিং এ কারেন্ট নেই। বিল্ডিং এর ওয়াচম্যান মাইশাকে দেখতে পেয়ে তার কাছে এসে বলল,

— ম্যাডাম মেইন ট্রান্সমিটারে বজ্রপাত হয়েছে। যার কারণে এই এলাকার বিদ্যুৎ চলে গেছে। ঠিক হতে বেশ সময় লাগবে। আপনার বাসায় কি মোমবাতি লাইট কিছু আছে?

মাইসার মাথা নাড়িয়ে সায় জানালো। ড্রাইভারকে গাড়ি গ্যারেজে রাখতে বলে মাইসা বিল্ডিং এর ভিতরে চলে আসলো। যেহেতু কারেন্ট নেই সেহেতু চলবে না। তাছাড়া তার বাসা তৃতীয় তলায়। ফোনের লাইট অন করে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে লাগলো সে।

নিজের ফ্ল্যাটে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ জোরেশোরে একটা শ্বাস নিল। আজ সারাদিন তার অনেক ধকল গেছে। তিন তলা বেয়ে উঠতে গিয়ে সে সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে।

দরজার লক খুললো ভিতরে প্রবেশ করল। ফোনের ক্ষীণ আলোয় ওড়না , ব্যাগ এবং অ্যাপ্রোনটা সোফা সেটের উপরে রাখল। তারপর চলে গেল ফ্রেশ হতে। বেডরুমে প্রবেশ করতেই নাকে হালকা সুগন্ধি এসে লাগলো। গন্ধটা বেশ অন্যরকম সুন্দর। মাইশা বারান্দার দিকে তাকালো। তার ফুল গাছ থেকে কি এই সুগন্ধ আসছে। তাছাড়া আর কি!

ক্লান্ত থাকায় মাইশা ব্যাপারটা ততটা আর পাত্তা দিল না। সে ওয়াশরুমে চলে গেল একটা টাওয়াল নিয়ে। ২০ মিনিট পরে একেবারে গোসল সেরে বের হয়েছে মাইশা। মাথায় টাওয়েল পেঁচানো আর পরনে টি শার্ট আর প্লাজু।বাম হাতে ফোন ধরা।

ড্রেসিন টেবিলের সামনে এসে ড্রয়ার ট্রেনে ম্যাচ বক্স আর মোমবাতি খুঁজতে লাগলো। কিন্তু না পেয়ে আনমনা হয়ে ভাবতে ভাবতে উঠে দাঁড়ালো মাইশা।

তখনই পেছন থেকে এক জোড়া হাত তার কোমর জড়িয়ে ধরল। তাল সামলাতে না পেরে কারোর সুঠাম বক্ষে মাইশা পিঠ ঠেকে গিয়েছে।

আগত্তক বেশ শক্ত করে তার কোমরটা জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে পিছনে। যার কারণে নাকের সেই পারফিউমের গন্ধ এসে লাগল। মাইশার ঘাড়ে উষ্ণ নিঃশ্বাস এসে পড়ছে।

কিছু সেকেন্ডের জন্য মাইশার মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ হয়ে গেল। জড় বস্তুর মতো কিছুক্ষণ সেই আগত্তকের হাতের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকলো সে। এরপর ড্রেসিং টেবিলের উপরে থাকা তার তীক্ষ্ণ ধারালো চুলের কাঠি সপ্তপর্ণে হাতে তুলে নিল সে।

যেই না হঠাৎ আক্রমণ করতে যাবে মাইশা। আগত্তক বুঝতে পেরে মাইসার হাতজোড়া চেপে ধরল। মাইশাকে আরো কিছুটা নিজের কাছে টেনে নিয়ে ঘাড়ে মুখ গুজে দিল।

ছাড়া পাওয়ার জন্য ছটফট করতে শুরু করল। তা দেখে আগত্তক কিছুটা বিরক্ত প্রকাশ করে নেশাক্ত গলায় বলল,

— উম! এত ছটফট করছ কেন! আগে তো এমন করতে না। বরং ছোট্ট বিড়াল সোনার মত আমার বুকের সাথে মিশে যেতে।

জড়ানো কণ্ঠস্বর শুনে মাইসা চমকে উঠলো। তার বুকটা ধক করে উঠলো। কতদিন পরে আবার সেই কন্ঠ। গলার স্বর। মাইশা যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞাসা করল,

— ক্ কে!

তখনই মাইসার মুখের সামনে একটা লাইটের জ্বালিয়ে ধরল আগত্তক। মাইশা কাঁপাকাঁপা চোখে সামনে থাকা আয়নার দিকে তাকালো।

গোসল সেরে সবে মাত্র বেরিয়েছে বলে মুখটা ভালো করে মুছতে পারেনি মাইশা। বিন্দু বিন্দু পানি রাইটারের ক্ষীণ আলোয় চিক চিক করছে।

আগত্তক মাইশার কানের কাছে মুখ নামিয়ে এনে বলল,

— শুভ জন্মদিন পুতুল বউ!

#চলবে…🤎

[ দুই দিন ধরে বেশ অসুস্থ। মাথা যন্ত্রণায় কাতর অবস্থা আমার। এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।তাই গল্প দিতে দেরি হয়ে গেল।

কিন্তু পর্বটা বেশ বড়। তাই আজকের পর্ব নিয়ে সকলের প্রতিক্রিয়া মন্তব্য আশা করছি।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here